এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হারিয়ে গেছে নিষ্পাপ প্রেমপত্র 

    Supriya Debroy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | ৩৭৫ বার পঠিত
  •  গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সবচেয়ে বড় চিঠির তালিকায় যেটি অন্তর্ভুক্ত, সেটি কিন্তু একটি প্রেমপত্র। নর্থ এবং সাউথ কোরিয়ার মধ্যে তিন বছরের একটু বেশি সময় ধরে যে যুদ্ধ চলেছিল, সেই সময় ১৯৫২ সালে নিউইয়র্ক ব্রুকলীনের এক নারী তাঁর প্রেমিককে যে চিঠি লিখেছিলেন তা ছিল ৩ হাজার ২০০ ফুট লম্বা। এই চিঠি লিখতে সময় লেগেছিল এক মাস। প্রেমিকটি মার্কিন সেনাবাহিনীর সৈনিক ছিলেন। এই প্রসঙ্গে মনে পড়ে বিশ্বের সবচেয়ে ছোট চিঠির সম্বন্ধেও, যেটি স্থান পেয়েছে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। যদিও সেটি প্রেমের চিঠি নয়। ১৮৬২ সালে ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগো তাঁর উপন্যাস ‘লা মিজারেবল’ প্রকাশের পর প্রকাশককে লিখেছিলেন একটি চিঠি, সেখানে ছিল একটি প্রশ্নবোধক চিহ্ন (?)। অর্থাৎ জানতে চেয়েছিলেন, কেমন বিক্রি। প্রকাশক বিস্ময়কর (!) চিহ্ন দিয়ে উত্তরের মাধ্যমে বুঝিয়েছিলেন, বিক্রি অবিশ্বাস্য। আর আজকের দিনে দ্রুত প্রভাব বিস্তারকারী ভাষা হিসেবে যেটি জায়গা করে নিয়েছে ২০১৩ সালে অক্সফোর্ড অভিধানেও অর্থাৎ ই(অর্থ ছবি)মো(অর্থ লেখা)জি(অর্থ চরিত্র) – সহজ কথায়, লেখা ও ছবিতে ফুটিয়ে তোলা একটি চরিত্র ইমোজি, আবিষ্কারক জাপানি নকশাকার শিগোতাকা কুরিতা। এই জাপানি শব্দটি ইমোজির ওপর আজ সবাই নির্ভরশীল তার ভাব-অনুভূতি প্রকাশ করার ক্ষেত্রে, আর তিন শব্দের অর্থবহ বাক্য প্রকাশ করতে এর তুলনা নেই।
    ক্যালেন্ডারের একটি তারিখ ১৪ ফেব্রুয়ারি, দিনটি এখন পালিত হচ্ছে ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসাবে। এখন ভ্যালেন্টাইন ডে মানেই উপহারের বহর। ভালবাসার দিন অছিলায় যেন একটি ক্রয়-বিক্রয়ের খেলা।  উপহার আদান-প্রদানের মাধ্যমে বাণিজ্যিক স্বার্থেই যেন এই দিনটির এত প্রচার। ভালবাসাকে, প্রেমকে কি নিছক একটি দিনে বাঁধা যায়! প্রেম দিবস বলে কি কিছু হয়! আমাদের ছোটবেলায়, যৌবনে তো শুনিনি ভ্যালেন্টাইন ডে বলে কিছু ছিল। আর বসন্ত এলেই কি শুধু প্রেম পায়! গ্রীষ্মের খরতাপের দ্বিপ্রহরে আম-নিম-তেঁতুল গাছের ছায়ায় মাদুর বিছিয়ে শুয়ে থাকতে, প্রবল বারিধারায় ভিজে একসা হতে, শরতের মেঘের ভেলায় চড়ে দূর-দূরান্তরে হারিয়ে যেতে, হেমন্তের অরণ্যে নরম হলুদ রোদ্দুরের রোমে ভিজতে, শীতের তীব্র শীতলতায় হাঁটু মুড়ে কম্বলের উষ্ণ পরশে ওম নিতে কে না চায়! তখন কি প্রেম জাগে না আমাদের অন্তরের গহীনে! হয়তো এটা সত্যি - শীতের রুক্ষ, শুস্ক, পাতাঝরা মরশুম পেরিয়ে যখন প্রকৃতি নবযৌবনে মেতে ওঠে, কোকিলের কুহু-কুহু মিঠে বোলের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের প্রেমিক মন জেগে ওঠে। আর ফাগুনের রঙের খেলায় শরীরী উচ্ছ্বাস তো এইসময়েই দেখতে পাওয়া যায়। প্রেমিক-যুগল কৃষ্ণ আর রাধার সম্পর্ককে প্রেমের প্রতীক হিসাবে অমর রাখতে, নন্দগাঁও আর বারসানা গ্রামের যুবক-যুবতীরা রঙের খেলায় তো এইসময়েই মেতে ওঠেন। তাই হয়তো জনশ্রুতি, বসন্ত এলেই প্রেম জাগে মনে।  
    আমাদের মতো প্রবীণদের কৈশোরে-যৌবনে প্রেমিক-প্রেমিকার দেখা হত চিঠির মাধ্যমেই। চিঠির মাধ্যমেই হত মন দেয়া-নেয়া, রাগ-অনুরাগ, দেখা করার জায়গা ও সময় নির্ধারণ। স্কুল বয়সে শুরু হত বইয়ের আদান-প্রদান। লুকিয়ে থাকত পাতার ভাঁজে মনের কথা। একটু বড় হতেই সাহস যখন একটু ঊর্দ্ধে, রঙিন পাতায় ভাবপ্রকাশ। রঙিন খামে ভরে  হস্তান্তর আসা-যাওয়ার পথে কিম্বা ফেলে দেওয়া সবার অগোচরে বাড়ির সামনে ঝোলানো লেটারবক্সে। অবশ্যই সেই চিঠি নাম-ঠিকানা বিহীন।  চিঠি আসা মাত্রই দুরুদুরু কম্পন বুকে ব্লাউসের আড়ালে কিম্বা শাড়ির আঁচলে অথবা প্যান্টের পকেটে তা লুকিয়ে ফেলা কিম্বা রেখে দেওয়া বইয়ের পাতার আড়ালে। ইতিউতি তাকিয়ে বিছানায় উপুড় হয়ে সেই হৃদয়ে দ্রিমি দ্রিমি জ্যোৎস্না-বাঁশি বাজানোর পাতাটি লুকিয়ে পড়া। কত বই পড়ে, খুঁজেপেতে উল্লেখ করতে হত তাদের রবীন্দ্রনাথ, শঙ্খ, জীবনানন্দ, সুনীলের লেখা প্রেমের  লাইনগুলি। তখন কোথায় গুগল যে এক বোতামের চাপেই বেরিয়ে আসবে শয়ে শয়ে প্রেমের সব বিখ্যাত উক্তিগুলি। অনেকসময়ই হাতে নাতে ধরাও পড়ে যেত তারা। জুটত তখন বকা, কানমলা কিম্বা পিঠে বেশ কয়েকটি কিল, চপোটোঘাত। সেই সময়ের যুবক-যুবতীরা যে সাহস আর ধৈর্য দেখিয়েছেন তা আজকের দিনের তরুণ-তরুণীদের নিকট নিছক কল্প-কথা। এখন তো সকালে পাঠানো একটি মেসেজ ইমোজির সাথে, তারপর দেখা করা। পছন্দ হোল তো কয়েকদিন জিইয়ে রাখা তাকে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে। পছন্দ হোল না তো রাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে খেয়ালবশে তাকে ব্লক করে দেওয়া।
    আমার শৈশব-কৈশোর যে মফস্সল শহরে কেটেছে, সেখানে থাকত বুবু’দি। হাফ-প্যান্ট বয়স থেকে সে আমার খেলার সাথী। লুডো, বাগাডুলি ব্যতিত কানামাছি, কিতকিত, ডাংগুলি খেলাতেও। যখন সে দশম শ্রেণিতে পড়ত আর আমি অষ্টম শ্রেণিতে, একদিন শীতের দুপুরে সে দেয় আমার হাতে একটি মুখবন্ধ খাম, ভিতরে একটি ভাঁজ-করা কাগজ। বলে, বিকেলে ক্রিকেট খেলার মাঠে কল্লোল’দার হাতে দিয়ে দিতে। বারংবার সাবধান করে দেয়, কল্লোল’দার হাতে। আর কারুর হাতে নয়। বলেছিল, পর-দিন  দুপুরে স্কুল শেষে কতবেল মাখা খাওয়াবে। সেদিন কল্লোল’দা আসেনি খেলতে। কলেজ থেকে তখনও ফেরেনি। মুখবন্ধ খামটা ধরিয়ে দিলাম কল্লোল’দার ভাইয়ের হাতে। পরেরদিন দুপুর কেন, কোনও দুপুরেই বুবু’দি আর দেখা করে না আমার সাথে। ভাগিয়ে দেয় ওর বাড়ি থেকে। পরে জানতে পারি, কল্লোল’দার ভাইয়ের থেকে – চিঠিটা চলে যায় তার মায়ের হাতে আর তার মা সেটি গিয়ে বুবু’দির মায়ের হাতে ধরিয়ে দু’কথা শুনিয়ে আসেন। এবার আমি কী করি ! বুবু’দি ছাড়া পৃথিবী যে আমার কাছে বর্ণহীন, গন্ধহীন, নিঃশব্দে ভরা একটি জগৎ। বুবু’দির কাছে আমি সাঁতার শিখেছি। গাছে চড়ে জামরুল-পেয়ারা পাড়তে শিখেছি। কালবোশেখির ঝড়ে কুঁড়িয়ে আনা আমের গুটিতে নুন লাগিয়ে খেতে শিখেছি। সহায় ছিলেন সরস্বতী দেবী, সমস্যার সমাধান করে দিলেন উনি। পাড়ার পুজোতে অঞ্জলি দেওয়ার ফাঁকে নজরে পড়ল কল্লোল’দা আর বুবু’দির মধ্যে চোখের ইশারা, দুজনের ঠোঁটের কোণে ঝুলে থাকা আলতো হাসি। আর বুবু’দির পরনে পাটভাঙা সবুজ পাড় দেওয়া হলুদ শাড়ির খসখসানিতে আমি ভুলেই গেলাম ঠাকুরমশাইয়ের সাথে অঞ্জলির মন্ত্র আওড়াতে। পুজো-শেষে কল্লোল’দার মধ্যস্থতায় বুবু’দির সাথে আবার ভাব হয়ে গেল। অনেক কৌতূহল থাকা সত্বেও জানতে পারিনি, কী ছিল লেখা সেই ভাঁজ-করা কাগজে। এক বছর পেরিয়ে গেছে। দুজনের মধ্যে কথা-বার্তা, দেখা-সাক্ষাৎ হচ্ছে তখন জমিয়ে। একটু একটু তখন বুদ্ধি হয়েছে বুঝতে, চিঠিতে বড় দাদা-দিদিরা কী লেখে। একদিন সাহস করে বাংলা খাতার একটা পাতা ছিঁড়ে কিছু না বুঝে-শুনেই লিখে ফেললাম, “সেইদিন বিকেলে ডাকতে গিয়ে তোমাকে দেখলাম বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায়, কী সুন্দর লাগছিল তোমায়।” বিকেলে কুলের আচার ভাগাভাগি করে খাওয়ার সময় বুবু’দির হাতে কাগজটি গোলাকার  পিন্ডের মত পাকিয়ে ধরিয়ে দিলাম। বললাম, বাড়িতে গিয়ে দেখবে। ভাবল, হয়তো কোনও ছড়া-কবিতা লিখেছি। সন্ধের আঁধার ঘনিয়ে এসেছে। পড়তে বসব। বুবু’দি আগুন-ঝরা চোখে আমার পড়ার ঘরে ঢুকে টানতে টানতে নিয়ে যায় জামরুল গাছের তলায়। সজোরে বামগালে এক চড়। জ্বলে যাওয়া পলাশ রাঙা গালে হাত বুলাচ্ছি, চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়ছে টপটপ করে জল। অবাক করে দিয়ে বুবু’দি তার দুই হাতের তালুতে আমার ভ্যাবাচ্যাকা খাওয়া মুখের গালদুটি চেপে ধরে কপালে এঁকে দেয়  চুম্বন। নির্নিমেষ নয়নে দেখতে থাকি বুবু’দির চলে যাওয়া।  
    কিছু না বুঝে বুবু’দিকে লিখে ফেলা সেই ছেলেমানুষি-পনার চিঠি’টিই ছিল আমার প্রথম এবং শেষ প্রেমপত্র। যদি অবশ্য সেটাকে প্রেমপত্র আখ্যা দেওয়া যায়। কারণ বেজেছিল সেই চিঠিটিতে এক নিস্পাপ ভাললাগার অনুরণন। লুকিয়ে ছিল না শব্দগুলির ছদ্মবেশে কোনও কপটতা, ছলনা কিম্বা চতুরতা।   
     
    সৌজন্য়ে : যুগশঙ্খ পত্রিকা রবিবারের বৈঠক-এ  (১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩) প্রকাশিত 

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন