এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • বই, লাগলে বলবেন!

    রজত দাস লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৪ ডিসেম্বর ২০২২ | ৬৭৪ বার পঠিত
  • বেশ কয়েকদিন ধরে আমাদের পাড়ার সরুদাকে খুঁজছিলুম। সরুদা মানে সরগম সরখেল। ছোটবেলায় সরুদা নাকি এমন কাঁদত তার শব্দ ঠিক রাগরাগিণীর সরগমের মতই শোনাতো। সেই কান্নার শব্দ শুনেই সরুদার দাদু হরদম সরখেল এই নাম রাখেন। সরুদার দাদুর নাম শুনে হাসছেন? আসলে ওনার নাম হরিদাম। তার অপভ্রংশ ঘটে হয়েছিল হরদম। এই সূত্রে সরুদার বাবার নামটিও বলে রাখি। সরগরম সরখেল। এই নামেরও ইতিহাস আছে। সরুদার বাবা জন্ম থেকেই নাকি সারা বাড়ি মাতিয়ে রাখতেন, তাই হরদম দাদু ছেলের নাম দিয়েছিলেন সরগরম । এই সরখেল পুরো বংশটাই বেচুবাবু। তবে শুনুন ওই বংশের শেষ বেচুবাবুর কীর্তি..

    বেলা এগারোটায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলুম এক প্রকাশককে ধরবার জন্যে বই পাড়ায় যাব বলে। ব্যাটাচ্ছেলে আমার কবেকার কিছু টাকা মেরে বসে আছে। উহুঁ ! ওটা ভাববার কোন কারণ নেই যে আমি বই লিখে টাকা কামিয়েছি। আর সেই টাকাই ধরার জন্যে দৌড়াদৌড়ি করছি। গোপনে বলে রাখি, এর আগের কবিতার বইটা ছাপতে কাগজের দাম বাবদ যে টাকা কটা দিয়েছিলুম। তার থেকে হিসেবমত কিছু টাকা বেঁচে গেছিলো। আর সেই টাকা কটাই পাবার আশায় বছরখানেক ধরে ওই প্রকাশকের দরজায় ঘুরে মরছি। তাহলে বুঝতে পারছেন আমার কপাল!

    পাড়ার মোড়ে ঘটকদার চায়ের দোকানে চোখ গিয়ে পড়তেই দেখি মূর্তিমান সরুদা বেঞ্চিতে বসে। সন্মুখের টেবিলে এক পেয়ালা চা আর পিরিচে কিছু বিস্কুট। সে লিকলিকে পায়ের ওপরে আর এক পা তুলে নাচিয়ে নাচিয়ে সুড়ুৎ সুড়ুৎ করে চা খাচ্ছে, থুড়ি পান করছে। ঘটকদার দোকানে বসে চা পান করছে বলে আমার কোনো আপত্তি নেই। সেতো এই দোকানে আমিও বসে বসেই চা পান করি। বসার জায়গা না পেলে দাঁড়িয়ে করি অবশ্য। এই দেখুন যেমন ঘটকদার নামটা! ওঁর নাম কিন্তু আদৌ ঘটক নয়। এমনকি পদবিও ঘটক নয়। বাপকেলে নাম পঞ্চু পোরেল । জন্ম ইস্তক দেখে আসছি উনি চা বেচাকেনা করছেন। মানে কিনছেন কম বেচছেন বেশি। লোককে চা পান করানোর পাশাপাশি ওনার ঘোড়া রোগ ঘটকগিরি করা। নেশাই বলতে পারেন। ওঁর মুখেই শুনেছি এই পর্যন্ত্য খান চল্লিশেক বিয়ে দিয়েছেন। আমাকেও বিয়ে দেবার জন্যে বহু চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সফল হননি। হবেনই বা কি করে? পাত্রীপক্ষ পাত্রীকে পাত্রস্থ করেন মোটামুটি একটা মিনিমাম কোয়ালিটি দেখে। আমার মধ্যে তেমন কোনো কোয়ালিটি আছে বলে, আমার জানা নেই। যা পাত্রীপক্ষের কৌতূহলোদ্দীপক হতে পারে। চাল বা তথাকথিত চুলো কোনোটাই আমার নেই। খাই-দাই আর ঘন্টা বাজাই গোত্রের জীবন। কাজের মধ্যে করি গুচ্ছের কাগজ নষ্ট করে লেখালিখি। সেই লেখাগুলো প্রকাশকদের দরজায় হত্যে দিয়ে, নাকানি চোবানি খেয়ে যাও বা ছেপে বেরোয় তো সেগুলো কেউ পড়ে না। কবিতার বই ছাপালে তো পকেট থেকে কাগজের দাম প্রকাশককে দিয়ে আসতে হয়, আগেই যেটা বললুম। এহেন 'পাঠক পড়েনা আপনি লেখক'কে (আসল প্রবাদ:- গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল) কোন পাত্রীপক্ষ নিজ কন্যা দেবেন মরতে ? তাই আমায় বিয়ে দিতে গিয়ে ঘটকদা অব্যর্থভাবে চরম ব্যর্থই হয়েছিলেন।

    আমায় সরুদা লক্ষ্যই করেনি। চুপিসারে গিয়ে ওর টেবিলের অপর দিকের বেঞ্চিতে বসে পড়লুম। মুখোমুখি আমি আর সরুদা।

    কি সাংঘাতিক..! আমায় দেখে ও একটুও চমকালো না, উল্টে ঘটকদাকে বলল "ঘেঁটুকে এক কাপ চা আর দুটো লেড়ো বিস্কুট দাও, সকাল থেকে বেচারা হয়তো না খেয়েই কোথাও চলেছে।" আশ্চর্য্য! আমি না খেয়ে আছি সেটাও সরুদা জানে! টেবিল পেরিয়ে লম্বা ডান হাতখানা বাড়িয়ে আমার কাঁধে চাপ্পড় মেরে বলল, "দেখ্ তোর পয়সাতেই কাল থেকে চা বিস্কুট অমলেট ঘুগনী এইসব খেয়ে চলেছি। এখন তোকেও খাওয়াবো। হেঁ হেঁ হেঁ করে কালো দাঁতকপাটি বের করে হাসতে থাকলো। আমার পয়সা দিয়ে সরুদা দুদিন ধরে খেয়ে চলেছে ? ভারী আশ্চর্য্যের বিষয়! ভেতরে ভেতরে একটা সম্ভাবনা উঁকি দিয়ে উঠলো মনের মধ্যে। তবে কি বইগুলো....?  
           
    খুলেই বলি ব্যাপারখানা। কয়েকদিন আগে সাতসকালে সরুদা আমাদের পোড়ো বাড়িটায় এসে হাজির। দাদুর করে যাওয়া বাড়িটায় শেষ চুনকাম আর মেরামতের কাজ হয়েছিল বাবা বেঁচে থাকতে। পনেরবছর হল তিনি ভবের খেলা সাঙ্গ করে পরপারে চলে গেছেন। আমার জন্যে রেখে গেছেন পলেস্তারা খসা ইঁটের কঙ্কালসার এই বাড়িখানা। বাড়ির দেয়াল বেয়ে খানকতক বট আর অশ্বত্থ গাছ বাড়িটাকে ভালবেসে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। উঠোনের বুড়ো নিমগাছটা এখনো পর্যন্ত্য বসন্তে কচি পাতা সারাপাড়াকে সরবরাহ করে চলেছে নির্বিকারভাবে।

    সেই নিমপাতার লোভেই সরুদার আগমন ঘটেছিল। নিমপাতা না পেড়ে আমার নির্জন চিলেকোঠার ঘরে গিয়ে উঁকি, আমার সঙ্গে খেজুরে করার প্রবৃত্তিতেই। আমি ভদ্দরলোকের ছেলে তাই ঘরের ভেতরে ডেকে নিয়ে ভাঙ্গা নড়বড়ে তক্তপোষের ওপরে বসতে দিলুম। সেখানেই আমার কিছুদিন আগে প্রকাশিত গল্পের বই "গালগল্প" থরে থরে রাখা ছিল। বহুকাল ধরেই গালগল্পতো প্রচুর লিখে চলেছি। তন্মধ্যে থেকে বারোটি নিয়ে একটি সংকলন প্রকাশ করেছে এক বোকা প্রকাশক। তিনি হঠাৎই বেশকিছু বই কয়েকদিন আগে আমার বাড়িতে, একটা চিঠি সমেত পাঠিয়ে দিয়েছেন। চিঠিতে যা লেখা ছিল তার সারমর্ম নিম্নরূপ...

    প্রিয় লেখকবন্ধু,
    মশাই, অনেক চেষ্টা করিয়া আপনার কিছু বই কাটাইয়াছি। আর পারিতেছি না তাই হাঁফাইয়া উঠিয়াছি। বাঁচিয়া যাওয়া বইগুলি আপনাকে পাঠাইয়া দিলাম, গুদামে জায়গার অভাবে। কেন জানিনা, এতদিন গুদামে পড়িয়াই ছিল তবুও বইগুলিকে একটি ইঁদুরও চাখিয়া দেখে নাই! অথচ নামী সাহিত্যিকদের বই কিংবা বুকলিস্টও ওরা ছাড়িয়া দেয় না। যাই হোক, আপনি আপনার বইগুলির যাখুশি করিয়া সদগতি করুন।
    বিনীত - চণ্ডীচরণ চাকলাদার
    (কেলেঘাই প্রকাশনী)
    বিদ্রঃ- বইগুলি বিক্রি করিয়া আপনার পাওনা গন্ডা বুঝিয়া লইলে কৃতার্থ হইব।

    বইগুলো আসার পর আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধব অনেককেই প্রথমে কুড়ি শতাংশ পরে পঞ্চাশ শতাংশ অবধি ডিসকাউন্টে কিনতে বলেছিলুম। একজনকেও ক্রেতা না পেয়ে অগত্যা একশো শতাংশ ডিসকাউন্টে বিলোতে গিয়েও অকৃতকার্য হলুম।

    এমনও ঘটল, বাড়িতে আত্নীয় কুটুম্ব বন্ধু বান্ধব দীর্ঘদিন যাবৎ কেউই পদার্পণ করছে না। পাছে আমার বই অনিচ্ছাসত্ত্বেও তাদেরকে বগলদাবা করতে হয়, সেই ভেবে।

    তাই সেদিন আকস্মিকভাবেই সরুদা বইগুলোর প্রসঙ্গে কথা বলতে, তাকেই বইগুলো বেচার দায়িত্ব দিয়ে দিলুম। সেও এককথায় রাজি হয়ে গেল বইগুলো নিতে। এবং এও বলল যে অত কষ্ট করে আমি বইগুলো লিখেছি। সে ওগুলো বিক্রি করেই ছাড়বে। আমার পরিশ্রমের একটা মূল্যতো আছেই...। সরুদার কথা শুনে মনটা যারপরনাই আনন্দে আর খুশিতে ভরে উঠেছিল। দু চারটে রেখে সব বইগুলোই বেঁধে রিকশায় চাপিয়ে কচি কচি নিমপাতা সমেত পাঠিয়ে দিয়েছিলুম।

    তারপর থেকেই সরুদা বেপাত্তা ছিল। আজ হঠাৎ করেই ঘটকদার দোকানে তাকে পেয়ে গেলুম। আর আমারই পয়সায় দুদিন খাওয়াদাওয়া করছে মানে, বুঝে নিতে কষ্ট হল না। আমার বইগুলো বিক্রি হয়ে গেছে। যাক বাব্বা! আমার বইও তাহলে বিক্রি হয়... ওহ্ আনন্দের আতিশয্যে বুকটা কেমন হু হু করছে। এতদিনে সকলের সাথে মনখুলে কথা বলতে পারব। এইসব আকাশকুসুম ভাবনার মাঝেই ঘটকদা, চা আর লেড়ো বিস্কুট দিয়ে গেছে। পুলকিত হৃদয়ে সরুদাকে বললুম, "আমার বইগুলো তাহলে বিক্রি করেই দিলে সরুদা ?" সরুদা আমার কথার জবাব না দিয়ে পেয়ালা থেকে চা'টা পিরিচে ঢেলে সুড়ুৎ করে টেনে চুমুক দিলো। আমি আরো বিগলিত হয়ে বললুম, "আমার 'গালগল্প' বিক্রি হবার জন্যে পুরো কৃতিত্ব তোমার সেলসম্যানশিপের।" কথাগুলো বলতে বুকটা যদিও একটু কেঁপে উঠলো।
    সরুদা এবার গম্ভীর মুখে বলে উঠলো, "সবকটা এখনও হয়নি। খান পঞ্চাশেক বই ভোলাদার চপের দোকানে দিয়ে এসেছি।"
    "ভোলাদার চপের দোকানে?", আমি বেশ অবাক হয়েই জিজ্ঞেস করলুম। তবে কি আমার বইয়ের পাঠক এখন চপের দোকানেও হানা দিচ্ছে! বাহ্ বাহ্! সরুদার অকৃত্রিম কামাল দেখে আমি স্তম্ভিত। আমার বইগুলো নিয়ে মিনিট দেড়েক মনের মধ্যে চাপানউতোর। অতঃপর সরুদা পুনরায় চা পান পর্বের পর মুখ খুলল, "বুঝলি ঘেঁটু, তোর বইগুলো বেচতে গিয়ে আমারও কালঘাম ছুটে গেছে।" বলে কপালের একবিন্দু ঘাম আঙুল দিয়ে সরিয়ে মেঝেতে ফেলল।

    "কেউ তোর 'গালগল্প' কিনে পড়তেই চাইলো না। আমিও ছাড়নেবালা বান্দা নয়। বেচেই ছাড়ব বই, পণ করে নিলুম। দুএকজন অবশ্য বিনেপয়সায় দিলে পড়ে দেখবে বলেছিল। আমি একটি বইও কাউকে বিনেপয়সায় দিইনি, আর দেবই বা কেন? ঘেঁটু... তোর কি একটা মানসম্মান নেই? আর কত মেহনত করে লিখেছিস..."। হাঁ করে সরুদার কথাগুলো শুনতে শুনতে হাসব না কাঁদব ভাবছিলাম। হঠাৎ এরকম প্রসঙ্গ আসবে বলে তৈরিও ছিলুম না। আমার উত্তরের অপেক্ষা না করেই সরুদা বলতে শুরু করল। তার আগে মাত্র একটা ডবল ডিমের অমলেট অর্ডার করল নিজে খাবে বলে। বলাবাহুল্য আমি খাব কিনা জিজ্ঞেসটুকুও করল না।

    "শোন ঘেঁটু, তুই তো জানিস আমি বরাবরই বেচুবাবু। কেউই যখন তোর বই কিনতে আগ্রহ দেখালো না। তখন আমার মাথায় একটা বুদ্ধি খেলে গেল।" বলতে বলতেই সরুদা গরম অমলেটের ওপর দাঁত বসিয়ে দিল। নির্মম ও মোক্ষম কামড়ে এক টুকরো অমলেট খসে গিয়ে ওর মুখের ভেতরে প্রবেশ করল। করুণ চোখে সেই দৃশ্য দেখা ছাড়া আমার আর কিই বা করার আছে ? আমার 'গালগল্প' বিক্রির গল্প শোনার ঔৎসুক্য ক্রমশ বেড়ে চলেছে। অমলেটের টুকরোটি কায়দা করে সরুদা আবার শুরু করল, "অবশেষে ঠিক করলুম যে একবার ঝন্টু মুদি কে বললে কেমন হয় ?" অমলেট চিবোতে চিবোতে সরুদার অকপট উক্তি। আমি বললুম, "যাচ্চলে, পাড়ার মধ্যে থেকেও এতবড় খবরটা জানতুম না তো! ঝন্টু মুদি এতবড় পাঠক...! তা সে আমার গালগল্প কিনতে রাজি হয়ে গেল? ঝন্টু মুদিকে তো মুদিখানা ব্যবসার পাশাপাশি আমার বইগুলো বেচবার টোপও দিতে পারতে! ও দুটো এক্সট্রা পয়সার মুখ দেখত।" সোৎসাহে এক নিঃশ্বাসে বললুম। সরুদা অমলেটের কাঁচালঙ্কা বাছছিল। আমার কথাগুলো শুনে একটা অন্যরকম চাহনিতে তাকিয়ে বলল, "ঝন্টু মুদিকে বইটা দেখিয়ে সবরকম প্রস্তাবই দিয়েছিলুম। কোনোটাতেই রাজি হচ্ছিল না। শেষে একটা বই নিয়ে দেখতে চাইল।" আমি ভীষণ উত্তেজিত হয়ে পড়েছি, সেটা সরুদা বুঝতে পেরেই বোধহয় নিজের গলাটা কিঞ্চিৎ খাঁকারি দিয়ে নিল। তারপর বেশকিছুটা খাদে নামিয়ে বলল, "তোর বইয়ের দাম তো একশো টাকা রেখেছিলিস..?" আমি সম্মতিসূচক ঘাড় নাড়লুম।
    "ঝন্টু মুদি বইটা হাতে নিয়ে ভাল করে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখলো। তারপর বলল, বইটার কাগজটা ভালই দিয়েছে। খবরের কাগজের মত পাতি নয়। অন্য কেউ এলে পাঁচ ছ'টাকার বেশি দিতুমই না। তুমি এয়েচ তাই আট টাকা দিতে পারি। ওর চেয়ে বেশি দিলে লস্ হয়ে যাবে গো দাদা। চানাচুর বাদাম মুড়ে দিতে গেলে একটু ভাল কাগজের দরকার পড়ে বলে নিচ্চি। তাই একা ঝন্টু মুদিই শ'দুয়েক নিয়েছে। এরপর শঙ্করকাকার দোকানে গিয়ে দেখাতেই সঙ্গে সঙ্গেই শ'দেড়েক  নিয়ে নিলো। তবে শঙ্করকাকা দুটাকা বেশিই দিয়েছে। আর শেষে বেঁচে যাওয়া সবক'টা বই ভোলাদার চপের দোকানে দিয়ে এলুম, সিঙ্গেল চপ বা ফুলুরি দিতে..."।

    সরুদা পরপর বর্ণনা গড়গড় করে বলে যাচ্ছিল। কিন্তু আমার মাথাটা কিরকম ঝিমঝিম করতে লাগলো আর গা'টাও কেমন যেন গোলাতে লাগলো বলে ঘটকদার দোকান ছেড়ে মাথা নিচু করে বেরিয়ে পড়লুম। বেরোবার সময়ে দু তিনবার হোঁচট খেলুম। তবুও শুনতে পেলুম সরুদা আমায় ডাকছে, "ও ঘেঁটু... শোন শোন। একটা অন্তত অমলেট খেয়ে যা... আর এক কাপ চা। তারসাথে নাহয় দু চারটে লেড়ো বিস্কুট...!"

    ----------------------------------------------

    All copyrights reserved ©Rajat Das | 02.10.21
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন