এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ই ন্দ্র জা ল - জাদুর রহস্যময় দুনিয়া

    রজত দাস লেখকের গ্রাহক হোন
    ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ | ৮১৬ বার পঠিত
  • "হকাস ফকাস গিলি গিলি গে..."
     
    || চলুন ঘুরে আসা যাক জাদুবিদ্যার অজানা দুনিয়ায় ||
     
     
    আদি যুগ থেকেই ভারতীয়রা চিরকাল জাদুবিদ্যার ভক্ত। তারফলেই ভৌতিক আধাভৌতিক তন্ত্র মন্ত্র কালাজাদু ইত্যাদির এদেশে বোলবালা। প্রাচীনকাল থেকেই বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সন্ন্যাসী এবং সাধুসন্তরা অলৌকিকতা প্রক্ষেপণকে জাদুবিদ্যা নামে দেখিয়ে আসছেন। অশিক্ষিত ও অর্ধশিক্ষিত ভারতবাসীর কাছে সেই জন্যেই সন্ন্যাসী ও সাধুসন্তদের চিরকাল প্রাধান্য। যাঁরা বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে সেই জাদুকে মানুষের মনোরঞ্জনে ব্যবহার করেছেন তাঁদেরকে মানুষ জাদুকর নাম দিয়েছেন। জাদুবিদ্যা বলে আপাতদৃষ্টিতে কিছু হয়না। মানুষের অজানা বিজ্ঞান আর দৃষ্টি বিভ্রমকেই জাদুকররা সুনিপুণভাবে কাজে লাগান। তারফলে সৃষ্টি করেন এক আশ্চর্য্য চমক। যার দ্বারা দর্শকের মনের উপর প্রভাব বিস্তার দ্বারা মনোরঞ্জন করে থাকেন। জাদুকরদের ইতিহাস সম্পর্কে আপাত অজ্ঞান বা প্রায় অজানা বাঙালিদের জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং বিশ্ববিখ্যাত জাদুকর বলতে একজনকেই বোঝায়। তিনি হলেন প্রতুল চন্দ্র সরকার ওরফে পি সি সরকার সিনিয়র। তাঁর জীবনকালে তিনি যত না চর্চিত। তারচেয়েও বেশি চর্চিত হয়েছেন তাঁর অন্যতম সুযোগ্য পুত্র প্রদীপ চন্দ্র সরকার ওরফে পি সি সরকার জুনিয়র। প্রফেশনাল জাদুকরদের বিষয়ে যদি কেউ একটু চর্চা করে থাকেন তাহলে তিনি অবশ্যই জানবেন, যে জাদুকররা নিজেদেরকে এবং নিজের শো ব্যবসাকে সফল করবার জন্য চূড়ান্তভাবে বিজ্ঞাপনের আশ্রয় নেন। অবশ্যই সেটা করতেই হবে কারণ তাঁদের সেটাই রুজিরুটি। জাদু অন্যসব শিল্পকলার মতই একটি কলা যেমন সঙ্গীত বা অভিনয় । আর যেকোনো কলায় শিল্পী তাঁর গুরুকে কানে হাত ছুঁইয়ে স্বীকার করেন, নাম নেন। এই বিধি, গুরুর প্রতি চরম সম্মান প্রদর্শন। কিন্তু যদি কেউ নিজের গুরুকে নিজমুখে কখনো কোনোভাবেই জনসমক্ষে হোক বা না হোক, স্বীকারই না করেন তাহলে ? সেই শিল্পীকে কি নামে আখ্যা দেবেন ? সেই বন্দিত ও নন্দিত শিল্পী যদি কোনওদিনই তাঁর গুরুকে স্বীকারই না করেন তবে তাঁকে কি বলা যেতে পারে ? 
     
    বাঙালীর নয়নমনি জাদুকর শ্রীযুক্ত প্রতুল চন্দ্র সরকার নিজেতো বটেই তাঁর সুযোগ্য পুত্র শ্রীযুক্ত প্রদীপ একই পথের পথিক। সারাজীবন তাঁরা সর্বসমক্ষে এক ভিন্নধরনের গপ্প ছড়িয়েছেন। সিনিয়র সরকার পূর্ববঙ্গে জন্মেছিলেন। তিনি নাকি পথ জাদুকর যাঁদের মাদারী বলে, তাঁদের থেকেই বহুকষ্টে জাদুবিদ্যা শিখে নিজের চেষ্টায় ভারতীয় জাদুকে বিশ্বের দরবারে পৌঁছে দিয়েছেন। কথাটা আংশিক সত্য। আসল সত্য যেটি কোনোদিন সর্বসমক্ষে বলা হয়না। তা হল সিনিয়র পি. সি. সরকারের শিক্ষাগুরু ছিলেন শ্রীযুক্ত গণপতি চক্রবর্তী। যিনি খুবই বড় মাপের যেমনি জাদুকর ছিলেন। ঠিক তেমনই ছিলেন বড়মাপের জাগলার। পেশাগতভাবে তিনি সার্কাসেই নিজের জীবনের বেশিরভাগটা কাটিয়েছিলেন। ব্যক্তিগত জীবনে ছিলেন খামখেয়ালি আর মদ্যপ। সর্বজনবিদিত এই ধরনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষরা নিজেদের ব্যক্তিগত যশ খ্যাতি ইত্যাদি সম্পর্কে উদাসীন হন। উনিও তাই ছিলেন। উত্তর কলকাতায় বরানগর অঞ্চলে তাঁর নিজস্ব বাড়ি আছে। আজও পুরোনো মানুষ জনেরা তাঁর ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। আমি নিজে ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর সম্পর্কে জানার চেষ্টায় বাড়ির আশপাশে ঘুরে এসেছি। বয়স্ক প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বাড়িটি শরিকি দখলে জর্জরিত, জীর্ণ প্রায়। 
    গণপতি চক্রবর্তী যেটা জানতেন না, সেটা হল আত্ম প্রচার। নিজের প্রচার নিজেই করা। যেটা এই শিল্পের অন্যতম বিশেষ শর্ত বলা যায়। নিজেকে প্রফেশনাল ম্যাজিশিয়ান হিসেবে বাজারে দেখতে হলে এই আত্ম প্রচারে বিশেষ দক্ষ হতে হয়। দুঃখের কথা, তিনি সেটা একেবারেই ছিলেন না। জানতেন না, নিজেকে কিভাবে মেলে ধরতে হয়! নিজে জাদু ও সার্কাসের দল বানিয়েও চিরকাল অখ্যাতই রয়ে গিয়েছিলেন। নিজের শেষ জীবন কাটিয়েছিলেন প্রচন্ড অর্থ কষ্টে। একাকীত্বে নিঃসঙ্গতায় ভুগে। এহেন গণপতিবাবুর কাছেই সিনিয়র সরকার জাদুর যাবতীয় শিক্ষা গ্রহণ করেছিলেন। তার সাথে ছিল নিজের কৃষ্টি ও বুদ্ধিমত্তার জোর। এটা বলা যেতে পারে, সেই যুগে বিদেশের মাটিতে জাদুকর হিসেবে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করার মত ব্যক্তিত্বের অভাব ছিল। সেই সার সত্যটা তিনি অনুভব করেছিলেন। নিজেকে সেইমত প্রস্তুত করেছিলেন। সেই সময়কার ভারতীয় জাদুকরদের মধ্যে তিনিই প্রথম অনুভব করেছিলেন, জাদুকরকে নিজের দর বাজারে বাড়াতে এবং নিজের শিল্পকলা বাজারজাত করতে সর্বাগ্রে প্রয়োজন প্রচার। নিজের ঢাক নিজে পেটাবার সবরকম কৌশল করায়ত্ত করতে হবে। 
     
    চল্লিশ পঞ্চাশের দশকে, আমাদের বইমেলার মতই জাপানে হত দেশি বিদেশী বিভিন্ন শিল্পকলার প্রদর্শনী মেলা। সেই মেলায় প্রথম নিজের জাদু শো দেখাবার সুযোগ পেয়ে যান সিনিয়র সরকার, (শোনা যায়, আরো একজন সেই সময়ে জাদু প্রদর্শনীর জন্য জাপান যাবার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু সিনিয়র সরকার সরকারি স্তরে নিজের প্রভাব খাটিয়ে সেই ব্যক্তির যাওয়া বানচাল করে দিয়েছিলেন)। সেই জাপান সফরকেই নিজের প্রচারে অভূতপূর্ব কাজে লাগিয়ে বঙ্গে তথা এদেশে খ্যাতনামা হয়ে উঠেছিলেন। তখনকার দিনে এখনকার মত মিডিয়ার দাপাদাপি ছিল না। রেডিও আর খবরের কাগজই ছিল একমাত্র গণমাধ্যম। সেযুগে বেশিরভাগ মানুষই শিক্ষার আলো পাননি। শিক্ষিত বঙ্গবাসী কাগজ পড়ে আর রেডিও শুনে যেটুকু জানতে পারতেন, তা একেবারেই নগণ্য ছিল। সুতরাং সিনিয়র সরকার নিজের প্রচার চাতুর্যের জোরে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত জাদুকর। মাঝেমধ্যে জাপানের মেলায় করে আসা শোয়ের কথা বাংলার কাগজগুলোতে ফলাও করে ছাপা হত। এ আর এক গোপন রহস্য, সংবাদপত্রে জাদুকর ও তাঁর জাদু শোয়ের কথা বিজ্ঞাপন নয়। সাংবাদিকদের করা সংবাদে যাতে স্থান পায়, তারজন্য সেদিন থেকে অদ্যবধি প্রফেশনাল বড় জাদুকর সম্প্রদায় বিশেষ কৌশল নেন। সেই কৌশলটিকে সচক্ষে প্রত্যক্ষ করার সৌভাগ্য আমার বেশকিছু বছর আগে হয়েছিল। (এক প্রযোজনা সংস্থার জাদু কেন্দ্রিক একটি হিন্দি ছবি নির্মাণের উদ্দেশ্যে চিত্রনাট্য লেখার কাজে নিযুক্ত হয়েছিলাম। সেই কারণে কয়েক মাস খুব কাছ থেকে ভারতীয় জাদুকরদের মধ্যে অন্যতম বিখ্যাত এক জাদুকরকে দেখার ও তাঁর সফলতম শো ব্যবসা পরিচালনা পর্যবেক্ষণের অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের সৌভাগ্য আমার হয়েছিল।) আমি তখন উপলব্ধি করেছিলাম, প্রচারের জোর যাঁর যতবেশি। এই জাদু ইন্ডাস্ট্রিতে সেইই হয়ে যান তত সুবিখ্যাত। প্রচারের ঢক্কানিনাদে বিদেশে নিজের শো নিয়ে জীবনে পদার্পণ না করা জাদুকরও বেমালুম নিজেকে সংবাদমাধ্যমের কাছে বিশ্ববিখ্যাতরূপে প্রতিষ্ঠিত করে ফেলেন। খুব কাছ থেকে দেখে ফেলার পর আমি যারপরনাই বিস্মিত হয়েছি। পেশাদার জাদুকরদের নিরানব্বই শতাংশই এক সুবিশাল আর সুবিস্তৃত মিথ্যার মোড়কে নিজেদের মুড়ে রাখেন। যদিও পুরোটাই আর্থিকভাবে নিজের শো-কে সফল করার জন্যই এই প্রচার চাতুর্য। প্রসঙ্গত বলে রাখা দরকার জাদু প্রদর্শনের পুরো ব্যাপারটাতেই লাগে প্রচুর লোকবল। মঞ্চে জাদুকরের সঙ্গে যদি দু চারজনকে সহকারীরূপে দেখেন। তাহলে জেনে রাখুন মঞ্চের ওপর পুরো শো'টি এবং ব্যবসাটি পরিচালনা করতে বিশ গুণ মানুষ মঞ্চের আড়ালে কাজ করেন। একজন সুবিখ্যাত জাদুকরের কাছে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়। তবে বেশিরভাগ জাদুকর নিজ দলের কর্মীদের খাওয়া ও বাসস্থানের সঙ্গে খুব যৎসামান্যই বেতন দেন। জাদুকরের দলে কাজ করা মানে সেই কর্মীকে যাযাবর হতেই হবে, এই চাকরির প্রাথমিক শর্তই হল সেটা। জাদু প্রদর্শনীতে যুবতী মহিলাদের ভীষণভাবে প্রাচুর্য্য থাকে। সেই মহিলাদের সাথে কোন জাদুকর কি ব্যবহার করেন, সেটা আবার অন্য এক কিস্যা। 
     
    বিশেষ কিছু খেলা ছাড়া ভারতীয় জাদুকরদের প্রদর্শিত সব খেলাই বিদেশী জাদুকরদের আবিষ্কৃত খেলার ভারতীয়করণ। আজকের ভারতে নিজের শোয়ের নিজেই প্রযোজক এমন জাদুকর হাতে গোনা। একটু খুলে বলা যাক, যে জাদুকর নিজের শোয়ের জন্য নিজেই হ'ল ভাড়া করেন। তাঁর নিজস্ব খরচেই শো শুরু করার প্রায় একমাস আগে থেকে উক্ত হ'লের ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ কিলোমিটার জুড়ে হোর্ডিং, ব্যানার, পোস্টার, মাইকিং, সংবাদপত্র, টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে চলে ব্যাপক প্রচার। যে জাদুকরের আর্থিক ক্ষমতা যতবেশি, সে তত বড় আকারে তাঁর শোয়ের প্রচার করে থাকেন। আর যতবেশি প্রচার ততবেশী টিকিটের মূল্য আর পাল্লা দিয়ে হয় ব্যবসা। একজন বড় দরের জাদুকরের দল মানে সে এক মহাযজ্ঞ। সিনিয়র সরকার সেই প্রচার কৌশলকে এমন উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন, যে সেটা মিথএ পরিণত হয়ে গেছে। এমন অনেক কাহিনী প্রচলিত, যেমন সিনিয়র সরকারের একটি শোএ দেরি করে হ'লে প্রবেশ করায় উপস্থিত দর্শকের হাত ঘড়ির একসঙ্গে সময়ের বদল ঘটে যাওয়ার ঘটনা প্রত্যেক বাঙালীরই জানা। আমি দায়িত্বের সাথে বলতে পারি, সেই সব গল্পই সংবাদমাধ্যমকে পাশে নিয়ে সুচারুরূপে মানুষের মধ্যে বুনে দেওয়া। যা বর্তমানে মিথ। প্রতিটি বড় জাদুকর খুব বড়মাপের শিল্পকলা ব্যবসায়ী। সরকার মহাশয় ছিলেন প্রচার কৌশলে পারদর্শী এক সুচতুর শিল্পী ও ব্যবসায়ী। যিনি পেশাগত প্রতিযোগিতার নিরিখে সমসাময়িক বঙ্গদেশের আর কোনো জাদুকরকেই প্রাধান্য পেতে দেন নি। 
     
    একদা কলকাতার বড় বাজারে কাপড়ের পাইকার ছিলেন। গুজরাটি ব্যবসায়ী কে. লাল তৎকালে বেশ প্রতিভাবান জাদুকর ছিলেন। যাঁর অর্থবলও কম ছিলনা। কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট আমলে সরকার ও নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ নিয়ে জাদুকর কে. লালকে সিনিয়র ও জুনিয়র সরকারবাবুরা, শীতের সিজনে মহাজাতি সদনে হ'লে শো করার জন্য বিভিন্নভাবে বাধার সৃষ্টি করতেন। যার জন্যই কে. লাল সপরিবারে কলকাতার পাততাড়ি গুটিয়ে বহুকাল আগেই গুজরাটে বসবাস করতে চলে গিয়েছিলেন। সিনিয়র কে. লাল কয়েকবছর হল গত হয়েছেন। এখন তাঁর যোগ্য উত্তরসূরি জুনিয়র কে. লাল নিয়মিত জাদুর শো করেন গুজরাট ও রাজস্থানের শহরগুলোতে। বিদেশ তো বহুদূর এই বঙ্গের বাইরের রাজ্যগুলোতে আপামর জনগণের বৃহদংশ আমাদের বিশ্ববিখ্যাত সরকারমহাশয়দের চেনেনই না। এই সত্যটি যাঁরা কলকাতার বাইরে কর্মসূত্রে রয়েছেন তাঁরা খুব ভাল বলতে পারবেন। (এই খবরটি কোনো সংবাদমাধ্যম প্রচার করেনি/জাদু ইন্ডাস্ট্রির বিশ্বস্ত সূত্রে খবরটি প্রকাশ) বছর দশ বারো কিংবা পনেরো আগে মুম্বইতে অন্য বড় জাদুকরদের মতই নিজেই নিজের শোয়ের প্রযোজক হয়ে হ'ল ভাড়া করে শো করতে সস্ত্রীক জুনিয়র সরকার গিয়েছিলেন। এক সপ্তাহ অতিক্রান্ত হলেও তাঁর শো তেমনভাবে জমে নি। দৈনিক প্রচুর খরচের ধাক্কা সামলাতে না পেরে তিনি, দশ বারো দিনের মাথায় বামাল সমেত সদলবলে কলকাতায় প্রত্যাবর্তন করেছিলেন। জুনিয়র সরকার কোনওদিনই নিজ খরচে তারপর থেকে শো ব্যবসা করার ধৃষ্টতা দেখাননি। তিনি মূলতঃ নিরাপদ কল শো করেই জীবিকা অর্জন করেন। জুনিয়র সরকার বাম আমলে প্রথমে শিলিগুড়িতে ভূতুড়ে কার্যকলাপ ঘটবে এমনি একটি রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা করেছিলেন। সেটি বাস্তবায়িত হয়নি, পরে হাওড়ায় সেরকম একটি রেস্তোরাঁ খুলেছিলেন বটে কিন্তু সেটিতেও সাফল্য পাননি। জুনিয়র সরকারের এখন অনেকটাই বয়েস হয়েছে। কয়েক বছর আগে তাঁর বিজেপি দলে যোগদান। ভোটে দাঁড়ানো, নিশ্চয়ই সকলের মনে আছে। রাজনীতিতেও তিনি ব্যর্থ হয়ে ব্যাক টু প্র্যাভিলিয়ন।
    পারিবারিক জাদু ব্যাবসার ব্যাটন নিজের জেষ্ঠ্যা কন্যা মানেকা সরকারকে দিয়েছেন। সেও জাদুর দুনিয়ায় বিশাল কিছু সুনাম অর্জন করতে পারেননি। একপ্রকার অক্ষমই বলা চলে।
     
    আমি ব্যক্তিগতভাবে এটা বলতেই পারি, ভারতবর্ষের খ্যাতনামা বেশ কয়েকজন জাদুকরের শো চাক্ষুষ দেখেছি। ইউটিউবেও প্রচুর দেশি বিদেশি শো দেখেছি। পি. সি. সরকার সিনিয়রকে চাক্ষুষ দেখিনি। ইউটিউবেও খুব বেশি তাঁর শো নেই। তাই তাঁর পারদর্শিতা জানিনা। কিন্তু পি. সি. সরকার জুনিয়রের শো বেশ ভালই হয়। খুবই আকর্ষক। মঞ্চ জুড়ে তাঁর রঙিন শো ছোট বড় সকলেরই মনোরঞ্জন করে॥
     
    সেকাল ও একালের বিদেশী ও ভারতীয় সফল জাদুকরদের নাম দিলাম। যাঁরা নিজের শো নিজে প্রযোজনা করেন বা করতেন :-
     
    ১। হ্যারি হুডিনি 
    ২। ডেভিড কপারফিল্ড 
    ৩। ফ্রাঞ্জ হারারে 
    ৪। ডায়নামো 
    ৫। জাদুগর আনন্দ 
    ৬। ও. পি. শর্মা 
    ৭। কে. লাল 
    ৮। মুথুকাড 
    ৯। জাদুগর মঙ্গল 
    ১০। জাদুগর করণ
    '''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''''
    তথ্যসূত্র - ভারতীয় / বিদেশী জাদু সম্বন্ধীয় বিভিন্ন বই, পত্রপত্রিকা ও অন্তর্জাল
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • উজ্জ্বল | 2401:4900:b97:bcc0:0:e:1165:***:*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:২০512193
  • পি সি সরকার সিনিয়রের পুরো নাম প্রতুল চন্দ্র সরকার, প্রবীর চাঁদ সরকার নয়।
  • উজ্জ্বল | 2401:4900:b97:bcc0:0:e:1165:***:*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০৯:২২512195
  • *প্রবীর চন্দ্র সরকার
  • আগ্রহী | 43.239.***.*** | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১২:২৮512201
  • রজত৷ বাবু, যোগাযোগের উপায় জানাবেন?
  • manimoy sengupta | ২২ সেপ্টেম্বর ২০২২ ২২:৩৭512217
  • আপনি তো গোটা লেখাটা জুড়ে সিনিয়র পি সি সরকারের পুরোনামটা ভুল লিখে গেলেন। 
  • রজত দাস | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০১:৪৮512281
  • প্রতুল চন্দ্র সরকারের নামটি ভুলবশতঃ প্রবীর হয়ে যাওয়ায় দুঃখিত। তাঁদেরকে ধন্যবাদ যাঁরা ভুল ধরিয়ে দিয়েছেন। যিনি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছেন,তাঁর জন্য নিচে আমার ফেসবুক পেজের লিংক দেওয়া রইল। 
     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন