এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ছাপ রেখে যাই 

    Arundhati Sarkar Santra লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৮ মে ২০২২ | ৭৩৩ বার পঠিত
  • কানানদীর ওপরের বাঁশের পোল পেরিয়ে, সদগোপ পাড়া ডাইনে রেখে, ভাঙা শিবমন্দিরের উল্টোদিকে দত্তবাড়ী। তাদের মাটির দোতলা, কাঠের মেঝে। সেই বাড়ির বড় বৌ সাতসকালে এক গামলা, ধোঁয়া ওঠা ফেনেভাতে ঘি আর মটরডালের বড়া মেখে গ্রাস করে খাইয়ে দিত ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের। সেই ছোটদের দলে আমার মাও ছিল।
    এই চর্বিত চর্বন বারংবার শুনতে আমার বিরক্ত লাগলেও, প্রতিবার ঐ স্মৃতিটুকু বলতে গিয়ে মা মনে মনে পৌঁছে যেত সেই কাঠবারান্দায়, সেই বাতাবীলেবুর গাছের ছায়া ছায়া উঠোনে, সেই গরম ঘি ভাতের ঘ্রাণে।
    এই যে হৃদয়হরণ হৃদমাঝারি ছেলেবেলা! বড় না হলে এর দেখা মোটেই মেলেনা। তাই আমি অবশ্যি করে বলতে পারি, ছেলেবেলার রং পাশুঁটে, সেপিয়া। বড়বেলায় দূর থেকে দূরবীক্ষণে, ফেলে আসা ফ্ল্যাশব্যাকেই ঐ ছোটবেলাটা ধরা পড়ে। চুলে পাক ধরলে, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসলে, নিদ্রাবঞ্চিত মাঝরাত্রিতে অদৃশ্য বেতার তরঙ্গের মতো মাথার মধ্যে আছড়ে পড়ে সেইসব অতি সামান্য মুহুর্ত। ব্যক্তি মানুষের কাছে আসলে যা অমূল্য সম্পদ।
    আমার প্রাক প্রাথমিক শিক্ষাজীবন, যাকে বলা যেতে পারে নেহাতই বাল্যকাল, সেই সময়টা কেটেছে ক্ষয়িষ্ণু শিল্প শহর হাওড়ায়. তবে সেই সময়ে যখন আমি হিন্দি সিনেমার সমস্ত নায়িকাদেরই হেমামালিনী বলে চিনতাম, তখন শহরের অর্থনীতি ক্ষয়িষ্ণু না বর্ধিষ্ণু তার বোঝার ক্ষমতা আমার হয় নি। অন্য বাচ্চাদের মত আমিও নিজের মতো করেই তখন শহরের আশপাশ চিনে নিচ্ছিলাম। আমার গণ্ডি বলতে তখন বাড়ির সামনে অবসর ক্লাবের মাঠ, পিছনে রাধামাধবের মন্দির। আর বাড়ি থেকে বেরিয়ে ডান দিকে গেলে দলুই ডাক্তারের চেম্বার। বাঁ দিকে কোয়ার্টার্সের ভাঙা দেওয়াল পেরিয়ে বড় জলট্যাঙ্কের পাশ দিয়ে বাস রাস্তা। এই বাস রাস্তার দিকে অভিভাবক ছাড়া যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ। তবে এ কথা নিশ্চিত আমি ওই দিকে স্বইচ্ছায় মোটেই যেতাম না। এর কারণ ভাঙা দেয়ালের লাগোয়া দাসদের বাড়ির দুই ভাড়াটে দিদিমণি। এই দুই মহিলা আমাকে জীবনে প্রথম 'বুলি' করে অদ্ভুত এক অব্যর্থ কায়দায় আমার মধ্যে ভয় মিশ্রিত বেদনার একটা অনুভূতি তৈরি করে দিয়েছিলেন।
    বাবার ছুটি থাকার কারণেই সম্ভবত আমরা রবিবার মামার বাড়ি যেতাম। ওরা ঠিক কোন স্কুলে পড়াতেন নাকি প্রাইভেট টিউশন দিতেন, সেকথা আর আমার এখন মনে নেই তবে ঠিক আমরা যাওয়ার সময়ে ওরা ভাড়া বাড়ির সামনের আলকাতরা মাখানো দরজায় বসে থাকতেন। আর আমাকে দেখে, কেমন একটা সুর করে বলত, "তোর তো মামা নেই। তুই যাচ্ছিস দাদুর বাড়ি। দাদু মরে গেলেই ব্যস।" বলেই হাত দুটো উল্টে খ্যাঁক খ্যাঁক করে বিশ্রী রকম হাসতেন। একবার নয় বারবার। প্রতিবার ওঁরা যেন নিজেরাই নিজেদের এই রুচিহীন রসিকতায় প্রমোদ খুঁজে পেতেন। আর আমি মামা না থাকার মতো এক সাংঘাতিক অপরাধের অপরাধী হয়ে তেতো মন নিয়ে 'দাদুর বাড়ি' যেতাম।
    সে যাই হোক ওই দিদিমণিদের আলকাতরা মাখা দরজার সামনে বসিয়ে রেখে আমরা আবার নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসি। তখনো পাড়ায় পাড়ায় বহুতলের চল হয়নি। লোকজন বাড়িতেই বাস করত। কেউ ভাড়া বাড়িতে, কেউ নিজের বাড়িতে। কেউ নতুন বাড়িতে, আবার কেউ নতুন বাড়ি করার স্বপ্ন নিয়ে পুরনো ভাঙা বাড়িতে। তখনও নতুন, পুরনো, ভাঙা, আধাতৈরি বিভিন্ন প্যাটার্নের বাড়ি নিয়ে এক একটি পাড়া তৈরি হত। আমাদেরও একটা নিজেদের বাড়ি ছিল, পাড়ার ঠিক মাঝবরাবর। সবজে সদর দরজায় দুটি মজবুত কড়া লাগানো আমাদের পুরনো বাড়িটার লাগোয়া লম্বাটে বাড়িটি ছিল গোয়ালাদের। ওদের বাড়িটা তখন ছিল বেশ নতুন, লোকজনে ভরা। গয়লা না বলে গয়লানী বলাই উচিত। কারণ ওদের বাড়িটি মাতৃপ্রধান।
    বিধু গয়লানী, তার পাঁচ ছয়টি ছেলেমেয়ে এবং দুটো গরু নিয়ে ওদের বাড়িটা ছিল যাকে বলে একেবারে 'অলওয়েজ হ্যাপেনিং'। আমাদের ভাঙা ভাঙা বাড়িতে চারজনের দিনযাপন ছিল তারপাশে নিতান্তই সাদামাটা। অন্ততঃ আমার তাই মনে হতো।
    ওদের ঐ বাড়িটার প্রতি আমার একটা অমোঘ আকর্ষণ ছিল। বাবার অফিস কেন্দ্রিক আমাদের রুটিনবদ্ধ জীবনের চেয়ে পৃথক ধরনের ওদের ঘরকন্না, দিনভর হৈ চৈ, বালতি ভর্তি দুধ, পিকনিকের মত উঠোনের মাঝখানে তোলা উনুনে রান্না এইসব মিলিয়ে ওদের বাড়িটা ছিল আমার কাছে জানলার ফ্রেমের মধ্যে দিয়ে দেখা জ্যান্ত ছায়াছবি।
    তবে ঐ জানলার ফ্রেমটি খুব ঘন ঘন খুলে রাখার অনুমতি মিলত না আমার। বাড়ির অভিভাবকেরা গরুর গায়ের মশা ও মাছির অজুহাতে ঐ জানালাটি বন্ধ রাখতেই আগ্রহী ছিলেন।
    যেহেতু ততদিনে শিশুদের স্পঞ্জসুলভ শোষণ দক্ষতায় আমি আশেপাশের বিভিন্ন 'ইনফো' গিলে নিতে শুরু করে দিয়েছি। তাই বড়দের আলোচনা থেকে জেনে গেছি গরুর গায়ের মশা মাছিই ঐ জানালাটি বন্ধ করে রাখার একমাত্র কারণ নয়। ওদের বাড়ির হৈ চৈ এর একটা বড় অংশ জুড়ে থাকত ঝগড়া আর গালাগালি। ঐ গালি যাতে আমি ঐ পরিবেশ থেকে শুষে না নিই, তাই ঐ জানালাটি বন্ধ রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
    বয়স্করা মনে মনে গজগজ করতেন, "ঐ মাহিষ্যদের গালের চোটে সক্কালবেলা গুরুমন্তরটুকুও জপতে পারব না? ছেলেপুলেরাই বা কি শিখবে?" তাঁরা তখনও বলিরেখার মতো জাতকৌলিন্যের পুরনো চাদর জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের দক্ষিণরাঢ়ী কায়স্থ হবার স্বধর্মের এই কলকব্জার শহরে যে কানাকড়িও দাম নেই তা মাঝেমধ্যেই তাঁদের বিলাপে প্রকাশ পেত। মোটামুটিভাবে পাশের মাহিষ্য গোয়ালা বাড়ির সঙ্গে দক্ষিণরাঢ়ী কায়স্থ আমাদের কখনোই উষ্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠলো না। ওদের দিকে হয়ত এপার থেকে শিক্ষার, কালচারের, জাতকৌলিন্যের শীতলতা ছলকে পড়ে থাকবে, ওরাও তাই আর খুব একটা আমাদের সঙ্গে মিশতে আসেনি।
    কিন্তু এই 'ওরা থাকে ওধারে'র শীতলতা ভেঙে একদিন আমাদের দুই বাড়ির মধ্যে তুমুল বচসা হয়েই গেল। এবং বাংলায় যাকে বলে আনফরচুনেটলি, তার কারণ হলাম সেই পাঁচ-ছ বছরের আমি।
    বিধু গয়লানীদের বাড়ির সামনে রাস্তায় একটি কর্পোরেশনের জলের কল ছিল। আগে প্রতি পাড়াতেই এরকম একটা দুটো কল থাকত। আর জল আসার সময়ে সেই কলগুলোকে কেন্দ্র করে একধরনের 'কলতলা কনসার্ট' বসত। সেই কনসার্টে দীপক রাগে ঝগড়া, ইমন কল্যানে পাড়াতুতো প্রেম, ধীরলয়ে পরচর্চার আলাপ এসবের চল ছিল। বিধু গয়লানীর বাড়ির সামনের এই কলটার জল অন্যরা নিলেও, কলটা সারাদিন ওদের দখলেই থাকত। সেইজন্যই হয়তো ওরা নিজেরাই সম্ভবত একদিন সিমেন্ট দিয়ে কলতলার নিচের মেঝেটা সুন্দর করে বাঁধিয়ে দিয়েছিল। এবং সেইদিন, হাঁ সেইদিনই আমি বৈকালিক ভ্রমনে বেরিয়ে ঐ সিমেন্ট বাঁধানো চাতালটির ওপর দিয়ে পদব্রজে আড়াআড়ি চলে গেলাম। ভুল করে চলে গেলাম একদমই বলা যাবেনা। তাহলে চটির দাগ থাকত। আমি গেলাম চটি খুলে হাতে নিয়ে, এক নার্সিসিস্টিক মোহে মোহিত হয়ে বাঁধানো চাতালে নিজের পায়ের ছাপ এঁকে দিতে দিতে।
    বারোয়ারী কলতলার কাঁচা সিমেন্টে একটি পাঁচ-ছয় বছরের মেয়ের পায়ের ছাপ যেন মহাকালের বুকে এক অনন্ত যতি চিহ্ন!
    আমি কি বিদ্রোহী ভৃগু?
    না কি জয়দেবের রাধা?
    দেহিপদপল্লবমুদারম্ টাইপ?
    খেলে ফেরার সময় মনে হয় সেই লেভেলেরই একটা আলোচনার ফুটন্ত কড়াইতে আমি এসে পড়লাম। লোকজন মেলা জমেছে সেই পদচিহ্নের সামনে। ততক্ষণে দৈর্ঘ্য, প্রস্থ, বেধ মেপে এটা যে আমারই পায়ের মাপ তার প্রমান হয়েই গেছে। কেবলমাত্র স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড থেকে পুলিশ কুকুর আসার অপেক্ষা, এরকমই একটা অবস্থা। বাবা তখনও বাড়ি ফেরেনি, গয়লা বাড়ির লোকজন ওদের ক্ষতির খতিয়ান নিয়ে আমার মাকে প্রায় পেড়ে ফেলেছে আরকি।
    আমার মা আবার হাইপার টাইপের। হাসলে হা হা করে হাসে, ভালোবাসলে আপনপর জ্ঞান নেই, আবার চেঁচালে হৈ চৈ করে খানিক পাড়া মাত করে ফেলবে এইরকম। আমার অপরাধে মা কোনঠাসা হয়েই ছিল। আমি ফিরতে মা'র কাছ থেকে তর্জন গর্জনের সঙ্গে দু একটা চপেটাঘাতও জুটে গেল।
    তবে এতে পরিস্থিতি খানিকটা হলেও, আমার পক্ষে ঘুরে গেল। ওঁরাও হয়তো বিষয়টা এতদূর গড়াবে ভাবেননি। লোকজন আবার শিশুর খেয়াল, সামান্য দাগে এত হৈ চৈ, শিশুর বাবা মা'র ইতিকর্তব্য ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনায় মগ্ন হয়ে পড়ল।
    এর আরও বছর দুয়েক পর আমরা ঐ বাড়িটি বিক্রি করে অন্যত্র চলে আসি।
    ততদিনে ঐ বাঁধানো মেঝেয় আমার পায়ের ছাপের চিত্রগুলো আবছা হতে শুরু করেছে। সময় সব ছাপই মুছে দেয়।
    অথবা কিছুটা ছাপ কখনো মোছেনা। ঐ ছাপ দেখে, আমরা চলে আসার পরও ঐ পাড়ায় জল আনতে এসে হয়তো কারো আমার কথা মনে পড়ে যাবে। বিধু গয়লানীদের বাড়ির কারোর হয়তো মনে পড়ে যাবে, জানলায় দাঁড়ানো ছোট্ট একটা মেয়েকে।
    ঐ বিজ্ঞাপনের ভাষায়, 'দাগ ভালো।' দাগ হয়তো কখনো কখনোসত্যি ভালো।...  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Gopa Deb | ১৮ মে ২০২২ ১৮:০৮507811
  • খুবি সুন্দর লেখা খালি মনে হয় লেখাটা যদি অনন্ত  পথের মতো  চলতেই  থাকতো  ...
    আবাহমান কাল 
  • Arundhati Sarkar Santra | ১৯ মে ২০২২ ১৬:২০507863
  • অনেক ধন্যবাদ গোপা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন