এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  ভ্রমণ  ঘুমক্কড়

  • পায়ের তলায় সর্ষেঃ মিশর

    Shuchismita
    ভ্রমণ | ঘুমক্কড় | ১৫ মে ২০২২ | ১৯১৬ বার পঠিত
  • মিশরের ডায়েরিসমূহ
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • hu | 72.24.***.*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:০০742300
  • সুদীপ্তর টইটা দেখে মনে পড়ল প্রায় বছর খানেক আগে এই টইতে কয়েকটা পোস্ট তুলে রাখব ভেবেছিলাম। কিন্তু ভুলে গেছি। সুদীপ্তর মিশর ভ্রমণের পাশে এইটা তুলে এনে খামোখা দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইনা। কিন্তু আজকেও যদি পোস্টটা না করতে পারি তাহলে আবার ভুলে যাবো। তাই আর কিছু না ভেবে পোস্ট করেই দিচ্ছি।
     
    --------------------------------------------------------------------------------
    ২০শে মে, ২০২২
     
    এবারের মিশর ট্রিপটা সত্যি বলতে কি অতটা ভালো হচ্ছে না। তার প্রধান কারণ গাইড এবং মিশর ট্যুরিজমের অবনতি। মিশর এমন একটা জায়গা যেখানে ভালো গাইড পাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এমন না যে নিজে নিজে মিশর ঘোরা যাবে না। আর্কিওলজিকাল সাইটগুলোতে নিজে হাজির হওয়াই যায়। কায়রো থেকে সব প্রধান শহরেই ট্রেন ও প্লেন চলে। শহরের মধ্যে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট বলতে মিনিভ্যান। এগুলো মিনিবাসের মত প্রাইভেটে ভাড়া খাটে। এছাড়া গাড়ি ভাড়া করা যেতে পারে। কিন্তু সাইটে পৌঁছানোর পরে ঘুরে দেখতে একজন ভালো গাইড লাগবে যে বলে দেবে মন্দির বা সমাধির দেওয়ালের কোন ছবির পিছনে কি গল্প আছে। ঐ গল্পগুলো না জানলে ছবিগুলোকে একই রিচুয়ালের পুনরাবৃত্তি মনে হতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একটি আঁচড়ও বাড়তি পড়েনি এবং প্রতিটাই গভীর অর্থবহ। কেউ যদি প্রতিটি ছবির সম্পর্কে আগে থেকে পড়ে যায় তাহলে হয়ত গাইড ছাড়া ঘোরা সম্ভব। কিন্তু ছবির সম্ভার এতই বিপুল যে অধিকাংশ ট্যুরিস্টেরই সেই সময় ও পড়াশোনা থাকে না।

    পনেরো বছর আগের ট্রিপে গাইড হিসেবে পেয়েছিলাম ভিভিয়ান নামের একটি মেয়েকে। সে অত্যন্ত প্যাশন ও দক্ষতার সঙ্গে কাজটা করেছিল। প্রায় তিরিশ জনের গ্রুপ ট্যুর ছিল সেটা। কিন্তু ভিভিয়ান এমনই বুদ্ধিমত্তার সাথে ট্যুর প্ল্যান করত যে আমরা অধিকাংশ সময়েই ফাঁকায় ফাঁকায় ঘুরেছি যেটা মিশরে প্রায় অসম্ভব বলা চলে। ভিভিয়ান অনেক সময় আমাদের নিয়ে রাতের বেলা কোনো মন্দিরে চলে যেত। প্রতিটি সাইটেই খুব ভালো আলো থাকে। রাতে দেখতে কোনোই অসুবিধা হয়নি। উপরন্তু অন্য কোনো ট্যুর গ্রুপ সেই সময় না থাকায় অঢেল সময় পেয়েছি ভালো করে দেখার ও ছবি তোলার।

    এবারের ট্যুরে মাত্র ছ’জনের গ্রুপ। আমরা দুজন বাদে এক ব্রিটিশ দম্পতি এবং আমেরিকান বাবা-ছেলে। প্রত্যেকেই অত্যন্ত সজ্জন। কিন্তু সমস্যা বেধেছে গাইড নিয়ে। প্রথমত একজন গাইডের হাতে পুরোটা নেই। এক একটা অংশ এক একজনের জিম্মায়। তার উপর এই গাইডরা কেউই ভিভিয়ানের মত দক্ষ নয়। আমরা প্রতিটি জায়গাতেই অত্যন্ত ভীড় পেলাম যদিও মে মাস এখানে লো সিজন। গাইডের তরফ থেকে কোনো চেষ্টাই দেখলাম না ভীড়ের আগে বা পরে আমাদের নিয়ে যাওয়ার। মিশরের ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রিও এই পনেরো বছরে কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে যা সাধারণ ট্যুরিস্টদের জন্য অসুবিধাজনক। ভ্যালি অফ কিংসে মিশরের ফারাওদের সমাধিগুলো আছে। তুতেনখামেনের সমাধি এখানেই। পনেরো বছর আগে ভিভিয়ান আমাদের সাথে সমাধির মধ্যে ঢুকে প্রধান ছবিগুলোর মানে বুঝিয়েছিল। এবারে দেখলাম সমাধির মধ্যে গাইডের প্রবেশ নিষেধ। কারণ বুঝলাম না। গাইড না থাকার সুযোগ নিচ্ছে গার্ডরা। তারা বিভ্রান্ত ট্যুরিস্টকে ছবি দেখাচ্ছে, সমাধির মধ্যে তাদের ছবি তুলে দিচ্ছে এবং তারপর বকশিসের জন্য হাত পাতছে। এছাড়াও গোলমালের বিষয় হল আগে ভ্যালি অফ কিংসের সাধারণ টিকিটে তিনটে সমাধিতে ঢুকতে দিত। তুতেনখামেনের জন্য আলাদা টিকিট কাটতে হত। এখনও সেই নিয়মই বহাল আছে। কিন্তু সাধারণ টিকিটের সমাধিগুলো বদলে গেছে। এই সমাধিগুলো অতটা বর্ণাঢ্য নয়। এখন অতিরিক্ত টিকিট কেটে তুতেনখামেন ছাড়াও আরও কয়েকটি সমাধিতে ঢোকা যায়। আমি পনেরো বছর আগের অভিজ্ঞতার ওপর নির্ভর করে শুধুই তুতেনখামেনের অতিরিক্ত টিকিট কাটলাম। ফলত কিছু খুব ভালো ছবি মিঠুনের অদেখা থেকে গেল।

    সবশেষে যা বলব সেটা আরোই দুঃখজনক। জানি না এ আমাদের গাইডের নিজস্ব দর্শন নাকি মিশর ট্যুরিজমের নির্দেশ। লক্ষ্য করলাম গাইড সন্তর্পণে বিতর্কিত জায়গাগুলো এড়িয়ে যাচ্ছে বা ছেলেভোলানো ব্যাখ্যা দিচ্ছে। পনেরো বছর আগে ভিভিয়ান নিঃসংকোচে বলেছে প্রাচীন মিশরীয়রা মূর্তিপুজো করত, বহু দেবতার অস্তিত্বে বিশ্বাস করত। এবারের গাইড দেখলাম তার পূর্বপুরুষদের পলিথেইজিম স্বীকার করতে বেগ পাচ্ছে। একাধিকবার বোঝানোর চেষ্টা করল আসলে সূর্য দেবতা রা ছিল একমাত্র দেবতা। বাকি সবাই অপ্রধান উপদেবতা। তারা রা-এর বিভিন্ন রূপ। উপরন্তু রা হল বিমূর্ত। বলা বাহুল্য একথা সত্য নয়। সূর্য দেবতা রা একজন প্রধান দেবতা ঠিকই, কিন্তু সে মোটেই বিমূর্ত নয় এবং প্রতিটি প্রাচীন প্যাগান সংস্কৃতির মত মিশরেও একাধিক প্রধান দেবতা ছিল যাদের মধ্যে অসংখ্য নারী দেবতাও আছে।
    তারপর ধরা যাক সাথের ছবিটির কথা। এটা লুক্সর মন্দিরের প্রবেশপথে তোলা। বড় মূর্তিটি মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা ফারাও দ্বিতীয় রামেসিসের। তার হাঁটুর কাছে ছোট মূর্তিটি পাটরাণী নেফারতারি। প্রাচীন মিশরে সর্বত্র মূর্তির আয়তন সেই ব্যক্তির গুরুত্বের সাথে সমানুপাতিক। তাই ফারাও এবং দেবতাদের মূর্তি সবচেয়ে বড়। রাজপাট টালমাটাল অবস্থায় কখনো দেখা গেছে রাজপুরোহিতের মূর্তি রাজার সমান। শুনেছি আখেনআতেনের রাণী নেফারতিতির একটি মূর্তি আছে যা ফারাওয়ের মূর্তির সমান। কিন্তু এই ব্যতিক্রমগুলো বাদ দিলে রাণীদের মূর্তি সাধারণত রাজাদের হাঁটুর সমান এবং এই আয়তন তাদের ক্ষমতার গুরুত্ব নির্দেশ করে। লুক্সর মন্দিরে আমাদের গাইড একটি মেয়েভোলানো কথা বলে এই ছোট মূর্তির সাফাই গাইল। সে বলল প্রতিটা সফল পুরুষের পিছনে একজন মহিলার সাপোর্ট থাকে। এই হাঁটুর কাছে থাকা রাণী রাজাকে সাপোর্ট দিচ্ছে।

    এরকম উদাহরণ আরও আছে। হাতশেপসুতকে নিয়ে আলাদা করে লিখব। মিশরের এই মহিলা ফারাওএর নাম যে ইতিহাস থেকে মুছে দেওয়া হয়েছিল তা সর্বজনবিদিত। সেখানেও আমাদের গাইড নানা মেয়েভোলানো কথার অবতারণা করল।
     
    সব মিলিয়ে এবারে মিশরের ট্যুরিজম নিয়ে আমি হতাশ। রক্ষণশীলতার প্রভাব স্পষ্ট। এতদিনে মাত্র একজন মেয়ে গাইড দেখলাম। এটাও আমার পনেরো বছর আগের দেখার সাথে মেলে না। অবশ্য গোটা পৃথিবীই যেভাবে রক্ষণশীল ও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে তাতে হয়ত এটাই স্বাভাবিক।
     

     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:c052:ff12:c844:***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:২৯742301
  • যতদূর মনে পড়ছে নেফেরতারির সমাধিতে রামেসিসের কোন ছবি নেই।
  • hu | 72.24.***.*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৩৭742302
  • ২৮শে মে, ২০২২
     
    মা-বাবা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে মিশরের গল্প শুনল। বিশেষ করে তুতেনখামেন নিয়ে খুব আগ্রহ। বাবার তো আমার মত গুগুল সার্চে রিফ্রেশ করা মেমোরি নয়। আগে যা পড়েছিল সেগুলোই নিখুঁত মনে রেখেছে। একটি একটি করে তুতেনখামেনের সমাধির সম্পদগুলোর খোঁজ নিচ্ছিল। ইজিপশিয়ান মিউজিয়ামে দেখে এসেছি আমরা তুতেনখামেনের সোনার মুখোশ, তিনপ্রস্থ সোনার কফিন, স্বর্ণালঙ্কার। বাবা বিশেষ করে বলল তুতেনখামেনের গলার শুকিয়ে যাওয়া ফুলের মালাটির কথা। সেকালের নিবন্ধে বোধহয় লেখা হত বাল্যবধু আঁখেসেনামুনের শেষ উপহার এই শুকনো ফুলের মালা। আমরা অবশ্য সবাই একমত হলাম বাল্যবধুর শেষ উপহার জোর করে রোম্যান্স খোঁজার চেষ্টা। মহাকালের রোম্যান্স আরও অনির্বচনীয়। সাড়ে তিন হাজার পরে সেই শুকনো ফুলের মালা তাই মানুষ খুঁজে পায়। সেই মালা থেকে হিসেব হয় কোন ঋতুতে কিশোর রাজার অকালপ্রয়ান হয়েছিল।
     
    সাথের ছবিটি তুতেনখামেনের সমাধির দেওয়ালের। কি উজ্জ্বল রং এখনো। ছবির ডানদিকে চিতার চামড়ার উত্তরীয় গায়ে রাজপুরোহিত। তার সামনে তুতেনখামেন। মাঝের দুইজনের একজন আকাশের দেবী নূত, অন্যজন তুতেনখামেন। একেবারে বামদিকে মৃত্যুর দেবতা ওসিরিস। ওসিরিসের সামনে দুটি মানুষের মূর্তিই তুতেনখামেনের। একটি তার দেহ, অন্যটি আত্মা।
     
    দেওয়ালের সামনে যে পাথরের বাক্সটা দেখা যাচ্ছে সেটা সার্কোফেগাস। এর ভিতরেই সেই অতিবিখ্যাত সোনার কফিনসমূহ রাখা ছিল।

    এপিঠ ওপিঠ নানা কথার পর সিন্ধু সভ্যতার কথা উঠল। বাবা জানতে চাইছিল - এত উন্নত নগর সভ্যতার ইঞ্জিনিয়ারিং এর কোনো নিদর্শন পরবর্তীকালে পাওয়া গেল না কেন? বন্যায় হোক, খরায় হোক - বিস্তৃত সিন্ধুসভ্যতার সবটুকু নিশ্চয়ই একদিনে ধ্বংস হয়ে যায়নি। তারা অন্য কোথাও সরে গেল না কেন? যদি তারা বহিঃশত্রুর কাছে পরাজিতও হয়, তাহলেও প্রতিটি মানুষকে নিশ্চয়ই মেরে ফেলা যায়নি। যারা পরাজিত হয়ে রইল, দাস হয়ে রইল, তারা ওই উন্নত ইঞ্জিনিয়ারিং কোথাও ব্যবহার করল না কেন? আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না। কেউ কি বলতে পারে? 
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:c052:ff12:c844:***:*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৩৮742303
  • আমার অভিজ্ঞতা হল গাইড ব্যাপারটা সাধারণত খুবই গোলমেলে। সবচেয়ে ভাল হল নিজে প্রস্তুত হওয়া কি কি দেখতে হবে। তারপর গাইডকে জিজ্ঞেস করা অমুক জিনিসটা কোথায়? বা হিয়েরোগ্লিফ পড়তে গিয়ে আটকে গেলে একটু জিজ্ঞেস করে নেওয়া। মিশরের মত জায়গায় একেবারে হিয়েরোগ্লিফ না পড়তে পারলে অসুবিধা হবেই।
     
    গাইডেড ট্যুর চাইলে একটা ট্যুর আছে যেটায় ডঃ জাহি হাওয়াস (এই মুহূর্তে বোধহয় সবচেয়ে বিখ্যাত ও প্রভাবশালী ইজিপ্টলজিস্ট), এবং আরো দুএকজন বিখ্যাত ইজিপ্টলজিস্ট গাইড হন। কিন্তু সেটা একটু পকেটের ওপর চাপ দেয়।
  • hu | 72.24.***.*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০২:৪১742304
  • ২৩শে মে, ২০২২
     
    এইরকম হাড় বার করা বাড়ি আমি পনেরো বছর আগের মিশর ভ্রমণেও দেখেছিলাম। গাইড আমাদের বলেছিল বাড়িগুলো ভিতরে যথেষ্টই সাজানো গোছানো, কিন্তু বাইরেটা এরা প্লাস্টার করে না ট্যাক্স বাঁচানোর জন্য। এবারে দেখলাম এয়ারপোর্ট থেকে হোটেলে আসার রাস্তায় দুপাশে থিকথিক করছে এমন বাড়ি। কয়েকটায় প্লাস্টার হয়েছে, কিন্তু ভাঙা। ড্রাইভার ইংরেজি জানে না। পরে গাইডের কাছে জানতে চাইলাম। শুনলাম ২০১১র বিপ্লবের সময় গভর্নমেন্টের জমিতে এরকম অগুনতি বেআইনি বাড়ি তৈরি হয়েছে। সরকার এখন সেগুলোকে ভেঙে দিচ্ছে। কিছু বাড়িতে নাকি লোক সরে যেতে রাজি হয়নি। বাড়ির ভিতরে লোক আছে এই অবস্থাতেই প্লাস্টার ভেঙে দিয়েছে। এই লোকজন এখন যাবে কোথায় কে জানে। আমাদের হোটেল ছিল শহরের বাইরে। প্রায় সাহারার মধ্যে বলা চলে। সেদিকে হাউজিং প্রোজেক্ট হচ্ছে দেখলাম। মিশর বিশাল দেশ। কিন্তু মানুষ বাস করে নীলনদের দুই তীরে সরু ফিতের মতো সবুজ অংশটুকুতে। বাকি সবটাই মরুভূমি।
     
  • প্রশ্ন  | 173.62.***.*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৪:২৯742305
  • "ওসিরিসের সামনে দুটি মানুষের মূর্তিই তুতেনখামেনের। একটি তার দেহ, অন্যটি আত্মা।"
    এরকম বিশদে কিভাবে জানা যায়? 
  • hu | 72.24.***.*** | ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৫:১৭742306
  • আমরা গাইডের থেকে জানি। গাইড বই পড়ে জানে। বইয়ের লেখকেরা ছবির পাশে হায়রোগ্লিফিকে কি লেখা আছে তার থেকে জানে। শুধু এখানে কি লেখা আছে সেটুকুই নয়, অন্য সমাধিগুলোতে কি লেখা আছে সেগুলোও কাজ দেয়। স্বর্গে যাওয়ার পদ্ধতি প্রকরণ ভালো করেই লেখা আছে বিভিন্ন জায়গায়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন