এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • কোনো চরিত্র কাল্পনিক নয় 

    সৌমাল্য মুখার্জী বিধর্মী লেখকের গ্রাহক হোন
    ১০ মে ২০২২ | ৫০২ বার পঠিত
  • কথনক্রিয়াকে যখন নিয়ন্ত্রণ করছি আমি তখন আমার উপর যে খোদকারি চলবে না তা তো বুঝতেই পারছেন।   সুতরাং আমার চরিত্রের সাথে আমি অর্থাৎ লেখক নিজেও উপস্থিত থাকবে এই গল্পে। ফর্মকে দোমড়াবে, মোচড়াবে নিজের ইচ্ছা মতো, সরাসরি বক্তব্য রাখবে, অব্জেকটিভিটিকে লাথি মারবে। সেরকম লেখক করেই থাকে, ক্ষ্যাপা আদমি আছে, ফলত সাবধান (বিশ্রাম কদাচ নয়) ! আপাতত লেখক নয়, গল্পের প্রথম বাঁকটিতে আমরা দেখতে পাচ্ছি রাজর্ষিকে। রাজর্ষি কী করিতেছে?

    সারিবদ্ধ বৃক্ষের কৃষ্ণঘন অন্ধকার ফুঁড়ে যে ধ্যানমগ্ন গৈরিক ঔদাসীন্য প্রাক-সন্ধ্যার আকাশকে মৌন ও স্তব্ধতাকে বাঙ্ময় করে তুলছে তার দিকে অপলক চোখে তাকিয়ে ছিল রাজর্ষি। উন্মাদ, উতল বাতাস এবং পাতার মর্মরধ্বনি রাজর্ষির সমস্ত হৃদয় ও স্নায়ুকে ক্রমে অধিকার ও মথিত করে ফেলছিল। লালিমার ধীর বিস্তারে কী এক অনির্বচনীয় শান্তি ! রাজর্ষি, যে কিছুক্ষন আগে মানুষের সঙ্গের জন্যে কাতর ছিল, সে এখন সমস্ত প্রাণ দিয়ে শুষে নিচ্ছে, উপভোগ করছে মুহূর্তটির পরমতা। রাজর্ষির চরিত্রের এই এক দন্দ্ব। এমনিতে রাজর্ষির নির্জনতা পছন্দ, উপভোগ করে একাকিত্বের স্বাদরস। কিন্তু হঠাৎ-হঠাৎ তার মনে হয় এক বিশাল ডানাওলা কাক তীক্ষ্ণ চঞ্চু দিয়ে তার বুকের ভিতর থেকে মাংসখন্ড উপড়ে নিচ্ছে, তখনি সে মানুষের সঙ্গের জন্যে কাতর হয়ে ওঠে, তার ভিতরে তখন এক অস্ফুট গোঙানি। তখন সে নিঃসঙ্গ, ক্ষুধার্ত একা শৃগালের মতো। তখন এই ভুখন্ডে সে একা, তার কেউ নেই, সে ছুটে যায় শহরের জনাকীর্ণ অঞ্চলগুলিতে, যদি একটা চেনা মানুষের মুখ দেখা যায়, মানুষের মুখ তখন তার পরমাকাঙ্খিত খাদ্য। কিন্তু ওই দিনগুলিতে রাজর্ষি খুঁজে পায় না একটাও চেনা মুখ, নিঃসঙ্গতা উত্তরোত্তর বাড়ে। বুকের ক্ষতস্থানটা আরও ব্যাথাতুর হয়ে ওঠে। কিছুক্ষন আগে আবারও এই অদ্ভুত অসুখটি রাজর্ষিকে কাতর করেছিল, কিন্তু আজ আর রাজর্ষি যায়নি ভিড়ে ধ্বস্ত এলাকাগুলিতে চেনা-মানুষ সন্ধান করতে, বরং চলে এসেছে শহর ছাড়িয়ে জলের বাঁধটার কাছে, যেখানে এই জঙ্গলের মতো স্থানটা রয়েছে, যেখানে বৃক্ষ ও আকাশের নীরব অলস ঘ্রান কিছুটা ভোগ করা যায়। অস্তায়মান সূর্যের মন্থর লালিমা, ভিজে বাতাসের চঞ্চলতা, পাখ-পাখালির গৃহে প্রত্যাবর্তনকালীন ডাক একটা প্রলেপ দিচ্ছিল রাজর্ষির ক্ষতে। কিন্তু কারুর শান্তি কী হারামি লেখকটার সহ্য হয় ! হঠাৎ তার মনে উদিত হল একটা ভয়, এই সময়ে যদি তাকে সাপে কামড়ায় কী হবে ! হাসপাতাল তো দূরস্থান ধরেকাছে লোকজনও নেই, বছরের এই সময়টাই নাকি আবার আত্মপ্রকাশ করার সাপেদের আইডিয়াল টাইম (ওরে রাজর্ষি, লেখক বলছি, বাপ্ আমার, পালা, পালা, এদিক ওদিক দেখছিস কী রে শালা, পালা)। রাজর্ষি দে দৌড়, মানে প্রকৃতার্থে দৌড় মারলো না, চলে গেল আর কী। কিন্তু যাবে কোথায়? বুকের ক্ষতটা আবার চাগিয়ে উঠেছে, সে ছুটলো সুপার-মার্কেটের দিকে, সুপার-মার্কেট আজ সত্যিই ভিড়ে ন্যুব্জ, আশাতীত ভিড়, একটা গন্ডগোলও বেঁধেছে মনে হচ্ছে ! এই গন্ডগোলে কি লেখকের কোনো ভূমিকা আছে? লেখক তখন কী করিতেছে?

    লেখক মহা হুজ্জত করিতেছে। চারিদিকে ভিড় সামলানো দায়। পাঠক, আপনি আপনার পক্ষ নির্বাচন করুন, আপনার শ্রেণী-অবস্থান নির্বিশেষে আপনার শ্রেণী-পরিচয় নির্ণয় করুন আপনি নিজে, কোনো শালাকে সুযোগ দেবেন না, নাহলে যেকোনো সময়ে আপনি পদপিষ্ট হয়ে জ্যোৎস্নাপ্লাবিত আকাশে টুইনকল টুইনকল লিটল ষ্টার হয়ে যেতে পারেন। ঝামেলাটা খুলে বলি। ভিড় কিন্তু মলের ভিতরে ছিল না। ছিল রাস্তায়, ফুটপাতে। মলটা (অর্থাৎ সুপার-মার্কেটটা) মৃতপ্রায় কঙ্কালসার বৃদ্ধের মতো দাঁড়িয়ে ছিল। ভিতরে মরা-মরা হলুদ আলো জ্বলছে। আসলে মলটার হাতবদল হচ্ছে। মালিকপক্ষের কাছ থেকে মলটা কিনে নিচ্ছে অন্য এক ফ্রাঞ্চাইজি। তারা মলটাকে নতুন করে সাজাবে, খোলনলচা পাল্টাবে, নামও বদলে যাবে। এই নবীকরণের কাজ চলছে মাস-চারেক ধরে। সুতরাং মাস চারেক ধরে মলটায় চাকরি করা ৭৩ জন কর্মচারীর মাইনে-ফাইনে বন্ধ, ভ্যানিস (প্রতুল চন্দ্র সরকার জিন্দাবাদ !)। তাছাড়া এরকম একটা কথাও হাওয়ায় ভাসছে যে পুরোনো কর্মচারীদের চাকরি নাকি ঘ্যাচ্যাং হবে,
    THE ADMINISTRATION WILL GET SOME EFFICIENT PEOPLE ON THE BOARD
    তাই শুধু কর্মচারীরা নয়, তাদের বৌ-ছেলে-মেয়ে, বুড়ো বাপ্-মা সব কাতারে কাতারে জমেছে মলের সামনে।
    চাকরি ফেরাও, চাকরি চাই !
    অবশ্য আর একটা কারণও আছে, এক কর্মচারী (বলা উচিৎ প্রাক্তন-কর্মচারী বা লেট্ কর্মচারী) সোমনাথ সাধুর সাথে মালিকপক্ষের হেবি বাওয়াল হয়েছিল, মালিকপক্ষ মানে মালিকপক্ষের ছুটকো-ছাটকাগুলোর সাথে, অর্থাৎ ল্যাজের সাথে, মুড়ো তো 'অধরা মাধুরী' ! কাল কারা মাঝরাতে যত্ন নিয়ে সোমনাথকে শহীদ করে দিয়ে গেছে (রাষ্ট্র Communist হলে সোমনাথকে কি গান স্যালুট দিত?), যত্ন করে খুন করার আগে যত্ন করে যৌনাঙ্গ থেঁতলে দেওয়া হয়, তারপর যত্ন করে বডিটাকে বাইরে টেনে এনে ফেলা হয় যাতে সকালে পথচারী দেখে চমকে উঠে বলতে পারে 'ওমাগো লাশ' এবং মিডিয়া (MEDIA) বলতে পারে 'আপনারা কিন্তু দেখতে পাচ্ছেন আমরা কিন্তু চলে এসেছি লাশের কাছে, আমরা exclusively এই খবর যত্ন করে পৌঁছে দিচ্ছি আপনাদের ঘরে, আপনারা দেখতে থাকুন... একটা ছোট্ট ব্রেক... কোত্থাও যাবেন না...' ! এই ঘটনা নিয়েই ঝামেলা আরও বেড়েছে। দু-একটা মানবাধিকার দল-টলও চলে এসেছে, এমনকি বুদ্ধিজীবীরাও আঁটঘাঁট বেঁধে আসার প্ল্যান করছে, কোনদিকের পাল্লা ভারী বুঝতে না-পারার কারণে এখনো এসে পৌঁছাতে পারেনি, এসে পড়বে নিশ্চই। লেখকও দাঁড়িয়ে হেবি বাওয়াল করছিল, সোমনাথের খুনের বিচার চাই, সবার চাকরি ফিরিয়ে দেওয়া চাই...এমন সময়ে লেখকের চোখ পড়লো একপাশে ক্যাবলার মতো হাঁ-করে দাঁড়িয়ে থাকা রাজর্ষির দিকে, লেখক এগিয়ে গিয়ে বললো, 'কী হে, কেমন আছো, অনেকদিন দেখা-সাক্ষাৎ নেই।'
    'ভালো, আপনি?'
    'হুজ্জত করতে পারছি মানে জানবে ভালো আছি, যেদিন দেখবে হুজ্জত না করে কবিতাসভায় গিয়ে প্রতীক, অলংকার, ছন্দপতন নিয়ে সাংঘাতিক আলোচনায় মগ্ন রয়েছি সেদিন বুঝবে অবস্থা খুব একটা ভালো নয়।'
    রাজর্ষি ক্যাবলার মতো হেসে ওঠে।
    লেখক বলে, ' তা এখানে?'
    'এমনিই।'
    'বাঃ, দারুন, এমনিই ঘুরছো , এমনি ঘোরার লোক খুব কমে যাচ্ছে, আমি একজনকে চিনি যে কুড়ি বছর ধরে এমনি ঘুরছে, একদিন দেখা করাবো তোমার সাথে।'
    রাজর্ষি চিরক্যাবলার মতো বলে ওঠে, 'কবে করাবেন?', কেন বলে সে নিজেও জানে না।
    'যেদিন তুমি বলবে, আজ করবে?'
    'হ্যাঁ।'
    'চলো তাহলে। যেতে হবে কিন্তু অনেকটা।'
    লেখক তার সেকন্ড হ্যান্ড অল্টোয় রাজর্ষিকে বসিয়ে তিনবার স্টার্ট দিয়ে (প্রথম দুবার লেখক বিফল হয়েছিলেন) ধাঁ করে বেরিয়ে যায়। হুজ্জত তখনো চলছে।

    এই জায়গাটিও ঘনসন্নিবিষ্ট বৃক্ষের বসতি। মাঝে সরু পথ, আকাশে চাঁদ জ্যোৎস্নাস্নান করছে। অল্টো থেকে নেমে লেখক ও রাজর্ষি হাঁটছিল, লেখক একটি দিকে ইঙ্গিত করতে রাজর্ষি দেখলো সত্যিই একটি লোক হাঁটছে অন্ধকারের মধ্যে, ঠিক তারই মতো, লোকটির বুক থেকেও যেনো একখন্ড মাংস তুলে নিয়েছে সেই বিশাল ডানাওলা কাক, দেখেই মনে হয় অনেকদিন ধরে হাঁটছে লোকটি। লোকটিকে দেখে রাজর্ষির মায়া হল (এই সম্ভবত প্রথম রাজর্ষি জীবনে মায়া অনুভব করলো)। কাছে যেতে লেখক তার বাজখাঁই গলায় ডাকলো লোকটাকে, লোকটা ঘুরতেই আধিভৌতিক জ্যোৎস্নায় লোকটার মুখ দেখে কাঠ হয়ে গেল রাজর্ষি, দাঁড়িয়ে রইলো পাথরের মতো, অস্ফুটে বললো, 'বাবা !' রাজর্ষির যতদূর মনে আছে রাজর্ষির বাবা অফিস থেকে বাড়ি ফিরে চা-খেয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল, মনে আছে কারণ এমনটাই হয়, ছোট থেকে রাজর্ষি এমনটাই দেখেছে, অফিস থেকে ফিরেই বাবা বেরিয়ে যায়, বন্ধুর বাড়ি, তাস খেলতে, অনেকজন মিলে তাস খেলে বাবারা, কিন্তু বাবা এখানে... রাজর্ষি প্রস্তরখন্ডের মতো দাঁড়িয়ে থাকলো...যেনো সে বাবার পরকীয়া ধরে ফেলেছে  বা এমন একটা কিছু জানতে পেরেছে যা জানার অধিকার রাজর্ষির নেই...
    রাজর্ষি ভুলে গেছিলো কিন্তু লেখক ভোলেনি রাজর্ষি এবং তার বাবার দেহে একই রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে... দুজনের বুকেই মাংসখন্ড নেই...অর্থাৎ দুজনকেই আমরণ কাতরাতে হবে মানুষের সঙ্গ এবং নির্জনতার জন্যে...এবং লেখক হুজ্জত চালিয়ে যাবে, কোনো শালা আটকাতে পারবে না, পাঠক আপনি পক্ষ নির্বাচন করেছেন?

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন