এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • এসো হে বৈশাখ, এসো এসো!

    Asok Kumar Chakrabarti লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৫ এপ্রিল ২০২১ | ১৬০৭ বার পঠিত
  • “নব বৎসরে করিলাম পণ”। আজ পয়লা বৈশাখ ১৪২৮। বাঙালির সাধের হালখাতা। এসো হে বৈশাখ, এসো এসো। চৈত্র শেষে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করার পর বৈশাখ এসে সামনে দাঁড়াতেই মন গেয়ে উঠলো – “আজি প্রাতে সূর্য ওঠা, সফল হলো কার”! শুভ বাংলা নববর্ষ।

    বিশাখা নক্ষত্র যুক্ত পূর্ণিমার নাম বৈশাখী। তার থেকেই নামকরণ বৈশাখ। বৈশাখ মাস পুণ্য মাস। মহাজনের দেনা-পাওনা বুঝে নেওয়ার লাভজনক হাল-খাতা। বর্ষ শুরুর পুণ্য মাস হিসেবে তাই তাকে সাদরে বরণ!  বৈশাখ নয়, অতীত ভারতে অগ্রহায়ণ মাসই ছিল বর্ষ শুরুর মাস। ওই সময় মাঠ থেকে গোলায় ধান উঠতো। কৃষক মহাজনের ঋণ পরিশোধের সময় হিসেবে বেছে নিয়েছিল অগ্রহায়ণ মাসকেই। অন্য দিকে শরৎ কাল কে একদল মানুষ নববর্ষের সূচনা কাল হিসেবে ধরে নিয়েছিল। কালের গতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে অগ্রহায়ণ মাসের বদলে পরে অভিষেক হলো বৈশাখ মাসের। হাতে এল নতুন পঞ্জিকা।

    অনাদি-অনন্ত কাল থেকে পৃথিবী আপন ছন্দে ছুটে চলেছে সূর্য – প্রদক্ষিণের পথে। মানুষ নিজের বুদ্ধি দিয়ে এই অনন্ত অখন্ড মহাকালকে খন্ডিত করেছে। ভাগ করেছে সেকেন্ড-মিনিট-ঘন্টা – দিন মাস-বছরে। মিশরীয় পন্ডিতরা বিশ্বের প্রথম পঞ্জিকা সৃষ্টি করেন। নীল নদের বন্যা ও সমকালীন আকাশের গ্রহ-তারকার অবস্থিতি পর্যবেক্ষণই হলো সেই পঞ্জিকা সৃষ্টির উৎস। চন্দ্র সূর্য্য দেখে তার গতি নিরীক্ষণ করে বর্ষ গণনা তখনো মানুষের অজানা। প্রকৃতির স্বভাব – লক্ষণই ছিল মানুষের বর্ষ গণনার উৎস। একমাত্র অবলম্বন। সবার ওপরে মানুষ সত্য, তাহার ওপরে নাই। কে না জানে, বীর  ভোগ্যা বসুন্ধরা! মানুষ বুদ্ধি ভাঙিয়ে চাঁদে। পৃথিবী তার পদতলে! দিন যায়, বছর গড়িয়ে চলে। নববর্ষ স্বমহিমায় ফের হাজির।

    বাংলা নববর্ষ মানেই হাতে হাতে মিষ্টির প্যাকেট সঙ্গে নতুন ক্যালেন্ডার। আদর আপ্যায়ন খুঁজতে হয়না। আগে দোকানে ঢুকলে গোলাপ জল মিশিয়ে স্প্রে করা হতো। এখন এই করোনা কালে না চাইতেই এগিয়ে দেওয়া হয় স্যানিটাইজার। কোথাও কোথাও দেওয়া হয় বাহারি মাস্ক। টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে বাড়িতে সুদৃশ্য আমন্ত্রণ পত্র পাঠান অনেকে। বিশেষ করে, সোনার দোকানের চিঠি  অনেকেই পেয়ে প্রমাদ গোনেন। মেয়ে বা ছেলের বিয়ের গয়না তৈরি করতে অনেক টাকা পেমেন্ট হয়ে গেলেও, কিছুটা এখনও বাকি। সেই টাকা পরিশোধ করতে হয় এই হালখাতার দিনে। অনেক দোকানে পয়লা বৈশাখের পরিবর্তে অক্ষয় তৃতীয়ায় হালখাতার অনুষ্ঠান করার রেওয়াজ রয়েছে। হাতে একমাস বাড়তি সময় মেলে। তাতে ক্রেতা  – বিক্রেতা উভয় তরফেই বেশ কিছুটা সুবিধা না চাইতেই মেলে।

    যদিও এবার ভোট মিটে গেলে করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল হবে। দোসরা মে-র দিকে সবাই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে রয়েছে। তবু নববর্ষ মানেই নতুন জামা কাপড় পরার চল। প্রায় একমাস আগে থেকেই পোশাক- আশাক কেনা শুরু হয় চৈত্র সেলে। কোথাও দশ পার্সেন্ট, আবার কোথাও পঁচিশ পার্সেন্ট ছাড়। জামা কাপড় শাড়ি মায় বেড শীট, বেড কভার, পিলো কভার, মশারী সবই উঠেছে সেলের দাঁড়িপাল্লায়। যদিও করোনা কারনে সেলের বাজার এবার ততোটা ভালো নয়। হাতি বাগানের ফুটপাতে সেরকম ভিড় নেই। শেয়ালদা বা গড়িয়াহাট মার্কেটও প্রায় মাছি তাড়াচ্ছে। তবু সেল বলে কথা। হুজুগে বাঙালি  করোনা – ফরোনা সেভাবে মানছে কই? বাড়ির গিন্নি কোথায় নেই? ঝোলে,ঝালে অম্বলে সর্বত্র হাজির। দুপয়সা ছাড় দিলে না গিয়ে থাকা যায়! পুজোর কেনাকাটা অনেকেই চৈত্র সেলে সেরে নেয়। ছাড় যেটুকু পাওয়া যায়! নাকে মাস্ক পরে ‌আর যাই হোক, ভিড়ের মধ্যে অসহ্য গরমে ফর্দ মিলিয়ে কেনাকাটা হয় না। ছাড় যেটুকু যা পাওয়া, তার চেয়ে যাতায়াতের খাটুনি অনেক বেশি।

    নব আনন্দে জাগো। তখন প্রভাত ফেরী হতো। সঙ্গে স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের লম্বা পথ-পরিক্রমা। যা ছিল নিছক বানিজ্যিক , তাকে মানুষের প্রাণের সঙ্গে জুড়ে নিলেন যিনি, তিনি হলেন রবীন্দ্রনাথ।  ১৯৩৯ সালের ১৪ এপ্রিল শান্তিনিকেতনের শ্যামলী প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি বললেন – “আজ পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। নতুন করে কাজ শুরু করার দিন। দেখতে গেলে রোজই  আমাদের নববর্ষ। রোজই তো পর্ব নতুন করে শুরু”। সব ধর্মের মানুষ বিভেদ ভুলে সহজেই নববর্ষের উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন। রবীন্দ্র নাথ, নজরুল, রজনী কান্ত, অতুলপ্রসাদ বাংলা নববর্ষের উৎসবে সবাইকে শামিল করতে মিলনের গান গেয়েছেন। দুই বাংলা জুড়ে নববর্ষের অনুষ্ঠান। আকবরের আমলে থেকেই মহাসমারোহে দিনটি সর্বত্র পালিত। চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষে চড়কের মেলা বসে। যাত্রা, পালাগান, তরজা, ম্যাজিক শো, হরবোলা, পুতুল নাচের অনুষ্ঠান চলতো সপ্তাহ ব্যাপী। গাঁ-গঞ্জেও নববর্ষের এই অনুষ্ঠানে যথেষ্ট লোক সমাগম হয়। এবছর অবশ্য ভোটের কারনে নববর্ষের অনুষ্ঠান ঘিরে সেরকম মাতামাতি নেই। ওদিকে তলেতলে ঝাঁপিয়ে পড়েছে করোনা। আক্রান্তের সংখ্যা‌ দৈনিক হাজারে হাজারে। মৃত্যু চোখ রাঙাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। সারা দেশ জুড়ে গভীর উৎকন্ঠা। কোথাও নাইট কারফিউ। আবার কোথাও ১৪৪ ধারা জারি। দোসরা মে-র পর লকডাউন হলো বলে! বাজারে সব কিছুরই সাংঘাতিক টান। কাজ হারানোর ভয়। এই রকম একটা অবস্থায়দাঁড়িয়ে লোককে ডেকে বলা যাচ্ছে কই – “শুভ নববর্ষ।”!



    শুভ বিজয়া দশমী পার করেছি আমরা স্রেফ ভার্চুয়ালি। আসা -যাওয়া টোটালি বন্ধ ছিলো করোনা আতঙ্কে। আজ পয়লা বৈশাখ। ফোন করে শুভ নববর্ষ জানানো ছাড়া উপায় কি! সম্পর্ক বজায় রাখতে আজকের মতো সহজ-সরল দিন আর হয়না বললেই চলে! দীর্ঘ বিরতির পর হঠাৎ ফোন “শুভ নববর্ষ। আপনারা সব আছেন কেমন? করোনা নতুন করে তেড়ে ফুঁড়ে এগিয়ে আসছে। ভ্যাকসিন না নেওয়া হয়ে থাকলে যত শিগগিরই পারেন, নিয়ে নিন।” মিষ্টি ছাড়াই মিষ্টি মুখ। শুভ নববর্ষের সাদর সম্ভাষণ গ্রহন করুন। এক ফোনেই গল্প শেষ। মান-অভিমান নিমেষেই দূর ! এক চিলতে পয়লা বৈশাখ ধন্য!

    অথচ পয়লা বৈশাখে বিকালে নতুন জামা-কাপড় পরে দোকানে দোকানে ঘুরে হাল খাতা করতে যাওয়ার আলাদা একটা মজা ছিল। আজ থেকে বছর ষাটেক আগে এই প্রতিবেদক বাবার সঙ্গে বেরিয়ে কাশীপুর -চিৎপুর বাজার  এলাকায় বড়-সড় মুদী দোকানে ভিয়েন বসতে দেখেছে। কচুরি , জিলিপি, মিহিদানা, দরবেশ, কাশ্মীরি আলুর দম সব বানানো হতো ফুটপাতের ওপর ত্রিপল খাটিয়ে। অতিথিদের বসিয়ে খাওয়ানো হতো। কাউকে কাউকে পার্সেল করে দিতো গৃহকর্ত্রী সঙ্গে না এলে। তখন অবশ্য রেশনিং ব্যবস্থা এখানকার মতো ছিল না‌। ওইসব মনোহারী বড় মুদিখানার ওপরে ভরসা করে সাধারণ ছাপোষা মানুষের দিন চলতো। মাসকাবারী ধারের খাতা ছিল। হাল খাতা মানে ধার শোধ করার দিন। তাই এতো যত্ন। আদর- আপ্যায়ন।

    বহুবাজার বা হাতিবাগান এলাকার গয়নার দোকানে আদর-আপ্যায়ন ছিল চোখে পড়ার মতো। অতিথিদের উদ্দেশ্যে গোলাপ জল স্প্রে করা হতো। তারপর হাতে হাতে ঠান্ডা পানি নয়তো আইসক্রিম। লেনদেন চুকে গেলে মিষ্টির বাক্স সঙ্গে পেল্লায় বড় ক্যালেন্ডার। করমর্দন সহ বিদায় দৃশ্য ছবি তুলে রাখার মতো। আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই। একেই বোধহয় বলে বনেদিয়ানা। অভিজাত ভদ্রতা!

    দৃশ্যপট বদলেছে। সৌখিন সমাজে ভদ্রতা ও আন্তরিকতা সবকিছুই মেপেজুকে।এখন আর নববর্ষ উদযাপন নিয়ে মানুষের কোনো বাড়তি আহ্লাদ নেই। তাছাড়া ধারে বিক্রি বন্ধ। কাজেই পাড়ার দোকান ছাড়া কারোরই টাকা ফেরৎপাওয়ার দুর্ভাবনা নেই। করোনা দেখিয়ে সেখানেও এবার হালখাতার অনুষ্ঠান বন্ধ। শুধুই ভোরবেলা উঠে পুজো দেওয়ার উদ্দেশ্যে কালীঘাট নয়তো দক্ষিণেশ্বরমন্দিরে লাইন দেওয়া। কুমোরটুলি পটুয়াপাড়ায় গণেশ-লক্ষীর ছোট সাইজের পুতুল বিক্রির চাহিদা চোখে পড়েনি। পুরোনোটা দিয়েই অনেকে বছরটা কাটিয়ে দেবেন, সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ফলে মন্দির প্রাঙ্গনে লাইন দীর্ঘ হচ্ছে না।

    পয়লা বৈশাখ অনেক পরিবারে গুরুজনদের পায়ে হাত দিয়ে প্রনাম করার রীতি বা চল রয়েছে  এখনও। এই সমাজে বাবা-মা আলাদা ঠিকানায় থাকে। ছেলে- বৌ আলাদা ফ্ল্যাটে। পয়লা বৈশাখ সকালে ঘুম থেকে উঠে হয় বাবা মায়ের কাছে ছেলে বৌ নাতি-নাতনি যায়। নচেৎ বাবা মা আসেন  ছেলের ফ্ল্যাটে। দিন ভোর আনন্দ হৈ হুল্লোড়। একসঙ্গে লাঞ্চ। সম্পর্ক নিবিড় হলে একেবারে ডিনার সেরে ফেরা!

    এই প্রতিবেদক বাবা-মাকে হারিয়েছে বহুদিন। পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করার মতো তার জীবনে আছেন একজনই। তিনি হলেন অধ্যাপক দেবী প্রসাদ চট্টোপাধ্যায়। দর্শন শাস্ত্রের সুপন্ডিত এই মানুষটি এই শহরে থাকলেও তাঁর পার্ক ম্যানশনের ফ্ল্যাটে এবছর পয়লা বৈশাখ সকালে ঘুম থেকে উঠে যেতে পারলাম না  স্বাস্থ্যের কারনে। তাঁকে আমার সাষ্টাঙ্গে প্রনাম। মনেপ্রাণে ষোলো আনা বাঙালি এই অসাধারন মানুষটি কেউ চিঠি লিখলে তাঁকে নিজে হাতে উত্তর দেন এবং সেই চিঠির নিচে সইটি অবশ্যই বাংলায়।

    একটি ঘটনা মনে পড়ছে। একবার পয়লা বৈশাখ সকালে তাঁকে প্রনাম করতে গিয়ে, ফুরসৎ পেয়ে তিনি, ইন্দিরা গান্ধী তাঁকে নিজের হাতে রেঁধে খাইয়ে ছিলেন, সেই গল্পটা আমাকে শুনিয়েছিলেন। চিতল মাছের মুইঠ্যা। অসাধারন টেস্ট। ভালো কিছু রান্না করলে ডাক পড়তো হামেশা। রাজনীতি আলোচনায় কখনো উঠতো না। আটপৌরে জীবনের অকপট কথোপকথন। 

    ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় তখন বঙ্গলোকের সম্পাদক। আমাকে হাতের কাছে পেয়ে বললেন – “কাল ১৯ নভেম্বর ইন্দিরা গান্ধীর জন্মদিন। তোমাকে এখুনি একটা লেখা লিখে দিতে হবে। নামে ছাপা হবে”। লোভ সামলাতে পারলাম না। কাগজ টেনে নিয়ে লিখতে বসে গেলাম সঙ্গে সঙ্গে। পরদিন সম্পাদকীয় পাতা খুলে দেখি বিশেষ প্রবন্ধ ইন্দিরা গান্ধীর জন্ম দিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। আনন্দে টগবগ। এমন সময় এল ফোন। দেবীবাবু খুঁজছেন। -“এখুনি চলে আসুন “। ওইদিনের কাগজের একটা কপি নিয়ে দেখা করতে গেলাম ওঁর বাড়িতে। ভয়ঙ্কর ভয় পেয়ে গেলাম। বিনা অনুমতিতে ছেপে নিশ্চয়ই ঠিক করিনি। বকাঝকা করবেন সাংঘাতিক। বসতে বললেন। পেট পুরে ভালমন্দ খাওয়ালেন। তারপর জানতে চাইলেন – “সেদিন তোমার কাছে কি কোনও টেপ -রেকর্ডার ছিল?”। ঘাড় নাড়তেই বললেন “সেকি,তোমার মেমোরি এত শার্প জানতাম না। আমি লেখাটা পড়ে একটাও ভুল খুঁজে পেলাম না। কুড়ি কপি কাগজ আমার সেক্রেটারি বাজার থেকে কিনে এনেছে। “বঙ্গ লোক” নতুন কাগজ। একে -ওকে পাঠাবো পড়ে দেখবে। লেখাটা সত্যিই খুব ভালো লেগেছে। তুমি যে আমার কথাগুলো সেদিন এতো মন দিয়ে শুনেছো , সেটাই ভাবছি।”

    অসাধারণ ওই মানুষটির প্রতি শ্রদ্ধা ও ভক্তি বহুগুন বেড়ে গেল। বিনা অনুমতিতে এতো বড় একটা অন্যায় করলাম। ঘরোয়া কথা কাগজে লিখে প্রকাশ্যে এনে ফেললাম। কিন্ত উনি বকাঝকা না করে বেশি করে আমার স্মৃতি -শক্তির তারিফ করলেন। এতটা হয়তো, হয়তো কেন, সত্যিই আমার প্রাপ্য ছিলো না! 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন