এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • রসিকতা    

    Jaydip Chakraborty লেখকের গ্রাহক হোন
    ১১ মার্চ ২০২১ | ১৭৩১ বার পঠিত
  • খবরটা শোনার পর একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেল শাঁওলি। সোফার ওপর ধপ করে বসে পড়ে, নির্বাক হয়ে রইল খানিকক্ষণ। তারপর, নিচু গলায় ধীরে ধীরে সৌমিলিকে জিজ্ঞাসা করল, তুই ঠিক শুনেছিস? কোনও ভুল হচ্ছে না তো?

    এতে আর ভুল হওয়ার কি আছে? সব কটা নিউজ চ্যানেলে এখন এই খবরই তো বার বার দেখাচ্ছে।
    **********
    সৌজন্য কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছে, পেছন থেকে পৌষালীর ডাক শুনে ঘুরে দাঁড়ালো ও। পৌষালী একটু দৌড়ে সৌজন্যের সামনে এসে দাঁড়ালো।

    - তোর অনার্সের খাতাটা একটু দিবি। জেরক্স করে এখুনি ফেরত দেবো।
    - সে নে। তবে এখানে তো জেরক্স নেই। পাশের গলিতে যেতে হবে।
    - তোর তাড়া না থাকলে আমার সাথে একটু চল না। নোটটা আমার খুব দরকার।
    - চল।

    পৌষালী ও সৌজন্য দুজনেই কোলকাতার একটি কলেজে পদার্থ-বিদ্যাতে অনার্স নিয়ে স্নাতক করছে। সৌজন্য পড়াশোনায় বেশ ভালো, তবে একটু সাদাসিধে। এ যুগের ছেলে-মেয়েদের মত চোখে-মুখে কথা বলা, গুছিয়ে মিথ্যে বলা, প্রভৃতি কোনও গুণই ওর নেই। সরল-সিধে স্বভাবের জন্য পৌষালীর প্রতি সৌজন্যের দুর্বলতাটা সহজেই প্রকাশ পায়। এই দুর্বলতা সৌজন্যের সহপাঠীদের একটা মজার ও রসিকতার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    পৌষালী ও সৌজন্যর ফাঁকা গলি দিয়ে হেঁটে চলা ওদের অলক্ষ্যে ক্যামেরা বন্দী হয়ে যায় ওদেরই কয়েকজন সহপাঠীর মোবাইলে। নিছক মজা করার উদ্দেশ্যে সেই ছবি হোয়াটস-অ্যাপের মাধ্যমে ক্লাসের সবার কাছে ছড়িয়ে যেতে বেশি সময় লাগেনি।

    পৌষালীর বয়স যখন দশ বছর তখন একটা অ্যাকসিডেন্টে ওর বাবা মারা যায়। ওর বোন সৌমিলি তখন বছর চারেকের। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে পৌষালী অন্তর্মুখী হয়ে যায়। প্রয়োজন ছাড়া কারোর সাথে খুব একটা কথা বলে না। কলেজে ওর কোনও বিশেষ বন্ধু নেই। কলেজ থেকে কোনোদিন বন্ধুদের সাথে সিনেমা বা অন্য কোথাও যায়নি পৌষালী। শুধু কলেজ আর কোচিং ক্লাসে যাতায়াত এখন ওর নিয়মিত রুটিন।

    জেরক্স করে গলি থেকে বড় রাস্তায় এলো পৌষালী। সৌজন্য ঐ গলি থেকেই অন্য গলি হয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়াল। ফুটপাথে হেটে চলেছে পৌষালী। একটু এগিয়ে অটো ধরবে ও। একটা চারচাকার গাড়ি এসে দাঁড়ালো ওর সমান্তরালে। বিনায়ক বোস গাড়ির ড্রাইভার আসনে। পৌষালীকে হাতের ইশারায় ডেকে পাশের আসনে বসালেন উনি। ওদের বাড়িতেই এখন যাচ্ছেন বিনায়ক। তাই পৌষালীকে নিজের গাড়িতে তুলে নিলেন।

    বিনায়ক বোস একজন ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক দলের নেতা। দুবার বিধানসভা নির্বাচনে পৌষালীদের কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে হেরে গেলেও, এবারে জয়লাভের বিশেষ সম্ভাবনা আছে। কারণ ওনাদের দল এখন আগের চেয়ে অনেক বেশী শক্তিশালী। রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা দলের অনেকেই এখন বিনায়কদের দলের সদস্য। এই রাজ্যে না হলেও, দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে ও কেন্দ্রে ক্ষমতায় রয়েছে বিনায়কদের দল।

    বিনায়ক বোসের আরেকটি পরিচয় হল উনি পৌষালীর মা মৃত্তিকার বিশেষ বন্ধু। ওর বাবার মৃত্যুর আগে থেকেই ওদের বাড়িতে বিনায়কের যাতায়াত। ভদ্রলোকের মৃত্যুর পর সেই যাতায়াত ও মৃত্তিকার সাথে ঘনিষ্ঠতা দুটোই বৃদ্ধি পায়। মৃত্তিকা একজন বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। সেই রোজগারে তিনজনের সংসার যেমন ভাবে চলার কথা তারচেয়ে অনেক বিলাস-বহুল ভাবেই ওদের জীবন-যাত্রা অতিবাহিত হয়। তার কারণ এই বিনায়ক বোস। অর্থ ছাড়া নানারকম সুযোগ সুবিধেও পাইয়ে দেন উনি। পৌষালীর পদার্থ-বিদ্যায় অনার্স নিয়ে কলেজে পড়া বিনায়কের সৌজন্যতেই। সেই কারণে এই লোকটাকে মনে-প্রাণে অপছন্দ করলেও তার বিন্দু-মাত্র প্রকাশ করে না পৌষালী।

    বাড়ির সামনে গাড়ি দাঁড়ালে এক লাফে গাড়ি থেকে নেমে বাড়ি ঢুকে গেল পৌষালী। বিনায়ক গাড়ি পার্ক করছে। সেই সময়ে মায়ের সাথে দেখা করে, প্রয়োজনীয় কথা-বার্তা সেরে, পৌষালী নিজের ঘরে ঢুকল। কিছুক্ষণ আর মায়ের ঘরে যাওয়া যাবে না। একাদশ শ্রেণীতে পড়ার সময় মায়ের ঘরে অসময়ে ঢুকে বেশ অপ্রস্তুতে পড়তে হয়েছিল পৌষালীকে। এরপর থেকে বিনায়ক থাকা কালীন দুই বোন আর মায়ের ঘরে যায় না।

    গাড়ি পার্ক করে, ফোনে কথা বলতে বলতে, বাড়ির ভেতর ঢুকল বিনায়ক।

    ঐ পার্টি অফিসটা আমাদের চাই। ওটা দখলে থাকতে এবারের নির্বাচন লড়াটা সহজ হবে। ……. ঠিক আছে, যত লোক লাগে লাগা। খরচ-পাতি ভাবতে হবে না। রোববারের মধ্যে ওটা আমাদের দখলে আসা চাই।

    ফোন রেখে মৃত্তিকার সাথে প্রণয়ে মাতল বিনায়ক।

    সৌজন্য বাড়ি ফিরে হাত-পা ধুয়ে খেতে বসেছে। পাশে একমাত্র কাছের মানুষ, ওর মা লাবণ্য। এতো বড় ছেলেকে এখনও উনি ভাত মেখে দেন, মাছের কাঁটা বেছে দেন। মায়ের এই সাহায্য টুকু না পেলেও সৌজন্যর কোনও অসুবিধে হয় না। তবুও উনি করেন। ওনার ভালো লাগে তাই করেন। সৌজন্য সেটা বোঝে। তাই মাকে ও বাঁধা দেয় না। বরং প্রতিটি গড়াসে মায়ের স্নেহ অনুভব করে সৌজন্য।

    মাছের কাঁটা বাছতে বাছতে লাবণ্য বললেন, এই শনিবার তোর কলেজে কেমন ক্লাস রে বাবু?

    - অনার্সের ক্লাস নেই। পাসের ক্লাস আছে দুটো। তাও তেমন ইম্পরট্যান্ট নয়। কেন? তোমার কি দরকার?
    - তাহলে আর শনিবার কলেজে গিয়ে কাজ নেই।
    - কেন? শনিবার কি আছে?
    - ভুলে গেলি বাবু? শনিবার তোর জন্মদিন না? একটা স্পেশাল জিনিস বানাবো তোর জন্য।
    - সে তো জানি। পায়েস তো?
    - আরে না। সে তো প্রত্যেক বছরই বানাই। এবারে কেকও বানাবো। ইউটিউব থেকে শিখেছি।
    - তুমি ইউটিউব থেকে শিখে কেক বানাবে? সেই কেক খাওয়া যাবে তো? বেঁছে বেঁছে গিনিপিগটা আমাকেই বানাতে হবে?
    - থাক, তাহলে বানাবো না। প্রত্যেকবার শুধু পায়েস বানাই, তাই ভাবলাম এবার পায়েসের সাথে একটা কেকও তৈরি করি। তোর জন্য এতো কষ্ট করে শিখলাম। আর তুই যদি এমন কথা বলিস …..
    - ও মা, তুমি রাগ করছ কেন? আমি তো মজা করছিলাম। তুমি ছাড়া আমার আর কে আছে বল? আমি আর কার সাথে মজা করবো?

    ছেলের কথার কোনও উত্তর দিতে পারে না লাবণ্য। ওনাদের যখন বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে তখন সৌজন্য বারো বছরের। ছোটবেলা থেকেই সৌজন্যের জীবন জুড়ে শুধু ওর মা। বিচ্ছেদের পর লাবণ্য বাপের বাড়ি চলে আসে। স্বামীর থেকে এককালীন যে মোটা অঙ্কের টাকাটা পায় সেটা স্থায়ী আমানত করে রাখে। সেই টাকার সুদ আর বেশ কিছু ছাত্র-ছাত্রী পড়িয়ে নিজের ও ছেলের খরচটা চালিয়ে নেয় লাবণ্য। বাবা-মার অবর্তমানে দোতলাটা ভাড়া দিয়ে দেয় ও। লাবণ্যর বাবাও বেশ কিছু সঞ্চয় তার মেয়ের জন্য রেখে গেছেন। তাই মা ও ছেলের জীবন ধারণের কোনও অসুবিধে নেই।

    শনিবার সকাল থেকেই বিনায়ক বোস বেশ উদ্বিগ্নতার মধ্যে রয়েছেন। ক্ষমতায় থাকা দলের পার্টি অফিস দখল করা মুখের কথা নয়। দিনের শুরু থেকেই নানা ধরণের ফোনে ব্যস্ত রয়েছেন উনি। ঠাণ্ডা মাথায় হিসেব কষে পরিকল্পনা করে কাজটা করতে হবে। একটু এদিক সেদিক হয়ে গেলে বিনায়কের রাজনৈতিক জীবনে তা যথেষ্ট প্রভাব ফেলবে।

    প্রধানত বিনায়কের নির্দেশেই পৌষালী শনিবার কলেজে যায়নি। দুপুরের খাওয়া-দাওয়া সেরে সহপাঠী ও পাশের পাড়ার মেয়ে শাঁওলিকে ডেকে নিয়ে বাড়িতেই পড়াশোনা করছে পৌষালী। ঘণ্টা দুয়েক একটানা পড়াশোনার পর চা পানের বিরতি। চা বানানোর জন্য রান্নাঘরে ছুটেছে পৌষালী নিজেই। আর শাঁওলি সেই অবসরে সৌমিলিকে নিয়ে দুষ্টু বুদ্ধি আঁটছে।

    - সৌমিলি, আমার মাথায় একটা দারুণ প্ল্যান আছে। করবি? দারুণ মজা হবে।
    - কি প্ল্যান শাঁওলি দি।
    - প্র্যাঙ্ক কল করবি?
    - ওরে বাবা, আমি অন্য নাম নিয়ে অপরিচিত কাউকে ফোন করবো? একদম না। অভিনয় আমার আসে না।
    - না না, অন্য নাম নিয়ে অপরিচিত কাউকে ফোন করতে হবে না। তুই পৌষালীর বোন হিসেবেই আমাদের এক ক্লাস-মেটকে ফোন করবি। নিজের পরিচয় দিয়ে বলবি, তোর দিদি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তোরা দুজন ছাড়া বাড়িতে আর কেউ নেই। দিদির কথাতেই তুই ওকে ফোন করছিস। ও যেন এখুনি এই বাড়িতে চলে আসে।
    - এমা, ঢপ মেরে ছেলেটাকে এই বাড়িতে নিয়ে আসব?
    - ন্যাকামো করিস না তো। দুজন মিলে অলি-গলিতে ঘুরছে। আর সেই ভিডিও ক্লাসের সবার মোবাইলে। দুজনেরই অবস্থা বুক ফাটে তো মুখ ফোটে না। আমি বরং দুজনকে একত্র করে ওদের কাছে আসার সুযোগ করে দিচ্ছি। এটাকে জনসেবা বলতে পারিস। নে, নে, পৌষালী এ ঘরে আসার আগে ওর ফোন থেকে ঝটপট ফোনটা সেরে ফেল তো।

    কথা বলতে বলতেই পৌষালীর ফোন থেকে সৌজন্যকে কল করে সৌমিলিকে ফোন ধরালও শাঁওলি।

    সকাল থেকেই আজ রান্নাঘরে ব্যস্ত লাবণ্য। ছেলের জন্মদিন বলে কথা। দুপুরের মেনুতে মটর ডাল, ঝুরঝুরে আলু ভাজা, ইলিশ মাছের মাথা দিয়ে কচু শাক, ইলিশ মাছ ভাপা, খেজুর-আমসত্ত্বের চাটনি। সবগুলোই সৌজন্যের পছন্দের। দুপুরের আহারের পর একটু বিশ্রাম নিচ্ছে সৌজন্য। লাবণ্য তার ইউটিউবে শেখা বিদ্যার বাস্তবিক পরীক্ষা দিচ্ছে। এমন সময় সৌজন্যের ফোন বেজে উঠল।

    - কি হয়েছে পৌষালীর? …. ও তাই? কখন? ……. না না, তুমি একদম ঘাবড়িয়ো না। চিন্তার কিছু নেই। আমি এখুনি আসছি। তবে তোমাদের বাড়িটা …. হ্যাঁ, হ্যাঁ, সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডার চিনি। … বেশ আমি ওখানে পৌঁছে তোমাকে ফোন করছি।

    ফোন রেখেই রেডি হয়ে নিলো সৌজন্য।

    - কিরে, এখন আবার কোথায় বেরচ্ছিস?
    - পৌষালী মাথা ঘুরিয়ে পড়ে গেছে। আমাকে এখুনি ওদের বাড়ি যেতে হবে।
    - এখুনি বেরিয়ে যাবি? কেকটা তো এখনও বানানোই হল না। পায়েসটা খেয়ে যা অন্তত।
    - গলা অবধি ভর্তি। এখন আর কিছুই ঢুকবে না। ফিরে এসে কেক আর পায়েস দুটোই খাবো।
    **********
    - শাঁওলি দি, তোমার প্ল্যানেই কিন্তু এমনটা হল।
    - আমি কি করে বুঝবো যে এরকম একটা ঘটনা ঘটে যাবে? আমি তো জাস্ট মজা করার জন্য করে ছিলাম।

    পৌষালী এতক্ষণ চুপ করে ছিল। খবরটা ওকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। শাঁওলি ও সৌমিলির আলোচনা শুনে ও জিজ্ঞাসা করল, প্ল্যান? কি প্ল্যান করেছিলি তোরা?

    মৃত্তিকা ড্রইং-রুমের সোফায় এসে বসেছে। মেয়েদের কথার মধ্যে না ঢুকে নিউজ চ্যানেল চালাল ও। খবরটা তখনও বলে যাচ্ছে টিভিতে। এক খবর অনেকবার বলে সংবাদ মাধ্যম গুলো।

    দুই রাজনৈতিক দলের সংঘর্ষে শনিবার বিকেলে উত্তপ্ত হল দক্ষিণ কোলকাতার একটি এলাকা। পুলিশ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পার্টি অফিস দখল নিয়ে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ওই সংঘর্ষে বোমার আঘাতে গুরুতর ভাবে জখম হন সৌজন্য বোস নামে এক যুবক। সৌজন্যকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন