এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • খেলার মাঠ ও জাতীয়তাবাদ

    বাইরে দূরে লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ | ৬৭৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • খেলার মাঠ ও জাতীয়তাবাদ

    খেলার জগতে এক এক দেশের আপন জাতীয় দল হয় বলে জেনে এসেছি। দেশের মধ্যে আবার প্রতি রাজ্যের ফুটবল বা ক্রিকেট দল সন্তোষ ট্রফি অথবা রনজি ট্রফিতে খেলে । আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় জিতলে জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় জাতীয় সঙ্গীত বাজে। রনজি ট্রফি জিতলে ইডেনে বাংলার পতাকা উঠবে না কারণ আমাদের রাজ্যের কোন পতাকা নেই।কোন রাজ্য সঙ্গীত নেই।

    ইউরোপে এসে অবধি মহা ধন্ধে আছি। বিশেষ করে ইংল্যান্ডে।

    সংযুক্ত রাজ্যে চারটে দেশ – ইংল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, ওয়েলস, উত্তর আয়ারল্যান্ড। তাদের প্রত্যকের জাতীয় ফুটবল দল আছে। তারা সবাই আন্তর্জাতিক ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য। বিশ্বকাপ বা ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় তারা একে অপরের বিরুদ্ধে খেলে। ২০১৬ সালের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে চব্বিশটা ইউরোপীয় দেশের মধ্যে ইংল্যান্ড ওয়েলস উত্তর আয়ারল্যান্ড মূল প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। ক্রিকেটে ওয়েলসের আলাদা দল নেই, তারা ইংল্যান্ডের হয়ে খেলে। স্কটল্যান্ড খেলে নিজের পতাকার নিচে।

    আয়ারল্যান্ডে ব্যাপারটা ক্রমশ গোলমেলে হতে থাকে। উত্তর আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট খেলে কিন্তু এই নামের কোন ক্রিকেট দলের নাম আপনারা শোনেন না। উত্তর আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট খেলে আরেক সার্বভৌম রাষ্ট্র আয়ারল্যান্ডের হয়ে ।

    ওয়েলস স্কটল্যান্ড ইংল্যান্ড রাগবি খেলে আপন নামে। কিন্তু উত্তর আয়ারল্যান্ড (যদিও তারা সংযুক্ত রাজ্যের অংশ) খেলে আইরিশ রাষ্ট্রের দলের হয়ে। যদিও এ দুটো আলাদা দেশ, রাগবিতে এক হয়ে যায়। সমস্যা হয় জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে – আইরিশরা গড সেভ দি কুইন, অথবা, উত্তর আইরিশরা আমহান (সৈন্যের গান) গাইতে পারে না। এই জটিলতার একটি আরও জটিলতর সমাধান করা হয়েছে। আইরিশ টিম যখন ডাবলিনে খেলে সৈন্যের গান, এবং, গড সেভ দি কুইন - দুটোই বাজে। কিন্তু এই সংযুক্ত আইরিশ দল যখন লন্ডনের টুইকেনহাম, প্যারিস রোম বা কার্ডিফে খেলে তখন যে গান বাজে তা হল "আয়ারল্যান্ডের আহ্বান" (কল অফ আয়ারল্যান্ড) । কয়েকশ বছরের ব্রিটিশ শাসন শেষে ১৯২১ সালে দেশ ভাগ হয়েছে ধর্মের নামে। কিন্তু মনে প্রাণে তারা সবাই আইরিশ।

    যে আইরিশ দল আন্তর্জাতিক রাগবি প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মার কাটারি লড়াই করে, সে দলের একাধিক সদস্য বিলেতের মহারানীকে কর দেয়, তাঁর সৈন্য বাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ রক্ষা করে! ব্রিটিশ অ্যান্ড আইরিশ লায়ন্স নামে এক রাগবি দল তিন বছরে একবার অস্ট্রেলিয়া নিউজীল্যান্ড দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করে – এ দলটি তৈরি হয় দুই আয়ারল্যান্ড, ইংল্যান্ড ওয়েলস স্কটল্যান্ড নিয়ে। ক্রিকেটের হিসেবে মনে করুন ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার মিলিত দল অস্ট্রেলিয়া নিউজীল্যান্ড ওয়েস্ট ইনডিজ বা ইংল্যান্ড সফরে যাচ্ছে!

    স্পেন আর কাতালুনিয়া এখনো একই পতাকার নিচে খেলছে, যদিও রিয়াল মাদ্রিদ বনাম বার্সেলোনার ফুটবল ম্যাচ দুই জাতীয়তাবাদের মুখোমুখি লড়াই। বার্সেলোনা (বার্সা) ফুটবল টিমের লোগো হল – একটা ক্লাবের চেয়ে বেশি (মাস কে ঊন ক্লুব)। অন্তর্নিহিত অর্থ বুঝতে অসুবিধে হয় না। ইউরোপের আর কোন ফুটবল দলের বেশে ঈদৃশ সংগ্রামী বার্তা নেই।

    দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ শেষ হয় ১৯৪৫ সালে। ১৯৪৯ সালে একটা দেশ ভেঙ্গে দুটো জার্মানি তৈরি হল। ধনতান্ত্রিক পশ্চিম জার্মানি, সাম্যবাদী পূর্ব জার্মানি। যুদ্ধ বাধানোর অপরাধে ১৯৫০ সালে উরুগুয়েতে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপে কোনো জার্মানিকেই যোগদানের অনুমতি দেয়া হয় নি (ইতিহাসে এই একবার মাত্র জার্মানি বিশ্ব কাপে খেলেনি। ফলে সব বিশ্ব কাপে খেলার রেকর্ড রয়ে গেছে ব্রাজিলের ঘরে)। সুযোগ পেয়েই পশ্চিম জার্মানি বিশ্বজয়ী হল ১৯৫৪ সালে, বার্নে।

    ১৯৪৮ সালের লন্ডন অলিম্পিকে জার্মানি অনাহুত – যুদ্ধ করার অপরাধে। ১৯৫২ সালের হেলসিঙ্কি অলিম্পিকে পূর্ব জার্মানিকে অনুমোদন দেয়া হয় নি তাদের অলিম্পিক কমিটি তখনো নথিভুক্ত হয় নি বলে। সেখানে গেলো পশ্চিম জার্মানি। ১৯৫৬ সালে মেলবোর্ন, ১৯৬০ সালে রোম এবং ১৯৬৪ সালে টোকিও অলিম্পিকে যে দলটি যোগ দেয় তার নাম সম্মিলিত জার্মান দল। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে চারশ মিটারে উড়ন্ত শিখ মিলখা সিংএর এক কদম আগে যিনি ছিলেন তাঁর নাম কার্ল কাউফম্যান। তিনি দৌড়েছিলেন সংযুক্ত জার্মান দলের হয়ে, পূব নয় পশ্চিম নয়। যদিও দেশ ভাগ হয়েছিল ১৯৪৯ সালে, ১৯৬৮ থেকে ১৯৮৮ মাত্র পাঁচটি অলিম্পিকে দুই জার্মানি আলাদা দেশ হিসেবে অলিম্পিকে যোগ দেয়।

    ফুটবলের ব্যাপারটা আবার অন্য রকম! ১৯৫০ থেকে ১৯৯০ পূর্ব জার্মানি খেলেছে স্বতন্ত্র দেশ হিসেবে। তারা একবার মাত্র বিশ্ব কাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে, ১৯৭৪ সালে। ভবিতব্য এমনি যে দুই জার্মানি সেবার একই গ্রুপ খেলে। দুই জার্মানি একবার মাত্র ফুটবলের মাঠে মুখোমুখি হয়।

    বাইশে জুন ১৯৭৪ হামবুর্গে পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সাম্যবাদের খেলায় পূর্ব জার্মানি জেতে ১-০ গোলে। এই পরাজয়ের ফলে পশ্চিম জার্মান কোচ হেলমুট শ্যন ঢেলে সাজাতে বাধ্য হলেন তাঁর গেম প্ল্যান। মিউনিকের ফাইনালে জার্মানি দ্বিতীয় বার ফুটবল বিশ্ব কাপ বিজয়ী হল জার্মানি ২ - হল্যান্ড ১।

    মারেক পোটোমা নামের একটি স্লোভাক ছেলে কাজ করত আমাদের ব্যাংকে। নানা গল্প করতে করতে হাঁটছি ব্রাতিস্লাভাতে। জিগ্যেস করেছিলাম চেকের সঙ্গে তোমাদের দেশ ভাগের কারণ কি? ভাষা ধর্ম সবই তো এক, তাহলে বিচ্ছেদ কেন। মারেক বলেছিল বিভিন্ন লোকের কাছে বিভিন্ন জবাব পাবে। আমার জবাব – আইসহকি! চেকোস্লোভাক জাতীয় দল চেক খেলোয়াড়ে ভর্তি আমাদের নিজের দেশের দল নাহলে স্লোভাক খেলোয়াড়দের কোন চান্স নেই !

    ইউগোস্লাভিয়া ভেঙ্গে সাতটা দেশ হবার আগে এমত অনুযোগ শোনা গেছে। বসনিয়া বা ক্রোয়েশিয়ার খেলোয়াড়দের বঞ্চিত করে সারবিয়ানরা দল ভরেছে বিশ্ব কাপে! ১৯৯০ নিজের দেশ গড়ে ওঠার বিশ বছরের ভেতরে ক্রোয়েশিয়া একবার সেমি ফাইনাল এবং একবার বিশ্ব কাপের ফাইনালে খেলেছে। বিগত ৫৪ বছরে ইংল্যান্ড একবার সেমি ফাইনালে খেলেছে ফাইনালে একবারও পৌঁছোয় নি। ১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়া যখন জার্মানিকে হারায় সে সময় তাদের মোদ্দা জনসংখ্যা তিরিশ লক্ষ, জার্মানিতে নথিবদ্ধ (রেজিস্টার্ড) খেলোয়াড়ের সংখ্যা তার চেয়ে বেশি।

    মাঠে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো শেষ হলেই গান শেষ হয় না। বিভিন্ন দেশের সমর্থকরা নানান সঙ্গীত পরিবেশন করতে থাকেন খেলোয়াড়দের উদ্বুদ্ধ করার জন্য। আইরিশ সমর্থকদের সমবেত কণ্ঠে ফিল্ডস অফ আথেনরাই (ব্রিটিশ অত্যাচারের প্রতিবাদী গান) উত্তর আয়ারল্যান্ডের সমর্থকদের গান সুইট ক্যারোলাইন (কোন কারণ খুঁজে পাই নি)। স্কটিশদের ‘ও ফ্লাওয়ার অফ স্কটল্যান্ড’ মর্মে পশিয়া যায়। ওয়েলশদের ‘আমাদের পিতৃ পুরুষের ভূমি (ওয়েলশ ভাষায়)’ মাতিয়ে তোলে সকলকে।

    জার্মানি বনাম ইংল্যান্ড ফুটবল খেলা সবচেয়ে ফাটাফাটি ব্যাপার বলে আমার একটা ভুল ধারনা ছিল। ইউরোপের ক্রীড়াঙ্গনে সেটা কিছুই নয় ।

    ফিনল্যান্ড বনাম সুইডেন সম্ভবত সবচেয়ে উত্তেজনা জাগায় আইস হকিতে (১৮১২ অবদি সুইডেন সে দেশ দখল করেছিল)। এর পরেই চেক বনাম স্লোভাক, রাশিয়া বনাম যে কোন পূর্ব ইউরোপীয় দেশ (কারণ সহজেই অনুমেয়)। লিথুয়ানিয়া বনাম রাশিয়া বাস্কেটবল ষ্টেডিয়ামকে উত্তপ্ত রাখে। বেলজিয়াম বনাম হল্যানডের ফুটবল খেলা প্রেসটিজের লড়াই, হাঙ্গেরি বনাম ইতালি সেই তালিকায় অনেক উচ্চ স্থানে থাকে। আবার সেই ইতিবৃত্ত! ক্রোয়েশিয়া বনাম সার্বিয়া, বসনিয়া বনাম ক্রোয়েশিয়া সাম্প্রতিক ইতিহাসের কারণে খানিকটা অগ্নিগর্ভ।

    তালিকা অন্তহীন।

    ইউরোপে জাতীয়তাবাদ জেগে ওঠে খেলার মাঠে। খেলা শেষ হলে বিয়ারের গ্লাসে তার ছায়া পড়ে না। সঙ্গত কারণেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন তাদের জাতীয় সঙ্গীতের সুযোগ্য সম্মান বেথোভেনকে দিয়েছে নবম সিম্ফনির শেষ হয় কন্ঠ সংগীতে যা আর কারো কোনো সিম্ফনিতে শোনা যায় না। জার্মান কবি শিলারের কয়েকটি ছত্র। কানে আসে

    আলে মেনশেন ওয়েরডেন ব্রুইডার (মানুষ মানুষের ভাই)

    খেলার ফলাফল যাই হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত সেই ভ্রাতৃত্বেরই জয়।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন