কল্লোলদা আন্তরিক ভাবে মানুষকে কমেডি দিতে চান, এই জিনিসটা ছাড়া আর কিছুই স্পষ্ট নয়। ২০০৭ এর বৃহৎ পুঁজির দালাল স্বৈরতন্ত্রী দল সিপিএম তৎঅপরবর্তী বিভিন্ন ভোটে হারা ছাড়া কি এমন করলো যে ২০২১ এ তাকে সংগে নেবার জন্য ১৯৩৫ তথা ১৯৭৫ এর বিভিন্ন থিসিস মনে করতে হচ্ছে এটাই পরিষ্কার না। এই অ্যানালিসিসটাই এই লেখায় নেই।
তৃণমূলকে বৃহৎ লগ্নি পুঁজির বন্ধু অথবা দালাল ফ্যাসিবাদী শক্তি হিসেবে দেখে তাত্ত্বিক মূল্যায়ন কে বা কারা করেছে সেটার রেফারেন্স পেলে ভালো হত, তাইলে গোটা প্রবন্ধটাই ছায়ার সংগে কুস্তিতে পর্যবসিত হত না।
দেখুন সিপিএম এর কংগ্রেস ছাড়া কারো সংগে জোট করতে আগ্রহ নেই। লিবারেশন তৃণমূলের সংগে জোট সরকারী ভাবে কেন করে নি স্পষ্ট না। এমনকি ১৭ বাম দলের জোটের বাকি পনেরোটিকে নিয়ে বেরিয়ে গিয়ে সে জোট করে নি কেন তাও স্পষ্ট না। মিডিয়ার এবং উচ্চশিক্ষিত হিন্দু বাঙালির একটা সিগনিফিকান্ট অংশের বিজেপি ছাড়া কাউকে জেতানোর আগ্রহ নেই। তৃণমূলের (দলে যে অংশটি টিঁকে আছে) কারো সংগে কোন অ্যালায়েন্সে যাবার কোন আগ্রহ নেই। এবং থাকার কোন কারণ আছে কিনা এই মুহুর্তে স্পষ্ট ও না। এই পরিস্থিতিতে কি কি ন্যুনতম রাজনৈতিক কর্মসূচীর ভিত্তিতে তবু দলগুলি আলোচনা করতে পারত, তার ও কোন দিশা এই প্রবন্ধে নেই। তবু কতগুলি গোল গোল সম্ভাবনা নিয়ে কন্ডূয়ন।
ঘন ঘন এবং দলে দলে স্বৈরতন্ত্রী ঝোঁক ওয়ালা তৃণমূলী লোকেরা লগ্নি পুঁজি সমর্থিত ফ্যাসীবাদী দলের লোক হয়ে যাচ্ছে। যে কোনো মুহুর্তে আম্বানির রা লগ্নি পুঁজি থেকে সিন্ডিকেটে নেবে আসবে। :-)
আমি সামান্য মানুষ। দিশা দেখানো আমার কাজ নয়। সমাজ মাধ্যমে নানা জনে লেখে বিজেপি আর তৃণমূল একই রকম ফ্যাসিস্ট। কারা যেন কখনো জনসংঘের সাথে মিতালী করে নি। তাই এট্টু খুঁজে দেখছিলুম আরকি।
কল্লোলদা, বিনয় থেকে বিষয়ে এসো। তৃণমূল এর কোন দরকার আর আগ্রহ নেই সিপিএম এর সঙ্গে আলায়েন্স করার। সিপিএম কংগ্রেসের সঙ্গে আলায়েন্স করবে ঘোষণা করেছে। নতুনকিছুর এ নির্বাচনে অবকাশ কম। লিবারেশন আর অন্য পনেরোটা বাম পার্টি তৃণমূল য়ের সঙ্গে যাচ্ছে না কেন? কংগ্রেস তৃণমূল এর সঙ্গে ২০১১ তে থাকার পরেও পর পর দুবার আলায়েন্স করছে কেন, মানে সত্যিই আমি জানি না, তৃণমূল এর সঙ্গে গেলে যেখানে মন্ত্রীত্ব মোটামুটি পাকা সেখানে লিবারেশন, কংগ্রেস অন্য দলগুলো তৃণমূল এর সঙ্গে যাচ্ছে না কেন?
তৃণমূল এর পক্ষ থেকে, সিপিএম শুদ্ধ ছেড়ে দাও, সিপিএম ছাড়া সেক্যুলার ফ্রন্ট এর কোন উদ্যোগ হয়েছে? কেন খামোখা থিয়োরি ঘাঁটছো। মমতা এমনিই জিতবেন মনে করছেন, সি ভোটার সমীক্ষা, প্রশান্ত কিশোর তাই বলছেন। প্রশান্ত কিশোর তো লালু নীতিশকে এক ছাতার তলায় এনেছে একটা সময়, তার সাজেশন তো থাকতে পারত। থাকলে মমতা সেটা শুনতেন হয়তো। ঘটনা হল বিজেপি ততটা বড় মনে হচ্ছে হয়ত তত কিসু না, ঐ জন্য তৃণমূল আলাই খুঁজতে ডেসপারেট নয়। মানে হতেই পারে।
দাশগুপ্তরা সহজ নয়।
কে কার সাথে জোট করবে/করবেনা সেটা আমি ঠিক করার কেউ না। আমরা কেউই এসব প্রভাবিত করতে পারবো না। মমতা, বিমান, অধীর, দীপঙ্কর ফেসবুকে বা গুরুতে আমাদের লেখা পড়ে জ্ঞানবাতির আলো জ্বালবেন এমত দূরাশা আমার নাই।
আমি শুধু নানান সমাজমাধ্যমে ওঠা নানান কথাবার্তা নিয়ে ভাবছিলাম। কথাবার্তাগুলো অবশ্যই সামনের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার ভোট নিয়ে, জোট নিয়ে। কেউ কেউ বলছেন বিজেপিবিরোধী সব-দল জোট হোক। আমার নিজেরও সেই মত। আমি ছাগলের তৃতীয় বাচ্চা, তাই অসম্ভব স্বপ্ন দেখায় আসক্তি আছে। কেউ কেউ বলছেন, তৃণমূল আর বিজেপি একই রকম বিপদজনক ফ্যাসিস্ট। কেউ কেউ বলছেন, তৃণমূল আর বিজেপি দিজনের বিরুদ্ধেই লড়াই, তবে বেশী আক্রমন বিজেপিকে। জোটের বেলায় কেউ কেউ নানান কথার পিঠে বলছেন সিপিএম কখনো জনসঙ্ঘের সাথে হাত মেলায় নি। এসব যারা বলছেন তারা নিজেদের মার্ক্সবাদী বলেন। তাই এসবের চানবিন করতে এট্টু মার্ক্সীয় লেখা পত্তর ঘাঁটলাম। ফ্যাসিস্ট কারে কয়? ফ্যাসিবিরোধী জোট কিমত হয়? দুটি দ্বন্দ্বের সাথে একসাথে কম-বেশী করে লড়া যায় কিনা? সিপিএম কখনো জনসঙ্ঘের হাত ধরেছে কিনা? এসব খুঁজতে গিয়েই ১৯৩৫ থেকে ১৯৭৫, দিমিত্রভ থেকে মাও হয়ে হরকিষেন, সুন্দরাইয়া। এই আর কি?
কে বা কোন দল কি করবে সে নিয়ে আমার বা আমার মত সাধারণের কোন কথাই বলা উচিৎ না। তবু ঐ যে বললাম ছাগলের তৃতীয় বাচ্চারা অসম্ভবের স্বপ্ন দেখে। যদি ধরা যাক এই নির্বাচনে বাম বা বিজেপি বা তৃণমূল বা কংগ্রেস ক্ষমতায় আসে (কেউ তো একটা আসবেই) আমরা খুশী বা দুঃখিত হতে পারি মাত্র।
এই আর কি।
ওকে কল্লোলদা। আমি বিশ্বাস করি না তুমি সঠিক জায়গায় কিছু কথা বলে এলে সেটা লোকে গুরুত্ব দেবে না, তোমার এখনো হয়তো কিছু আ্যকসেস আছে, যেটা কোনদিন আমার ছিল না বা হবে ও না। এনি ওয়ে।