সকালে উঠে একটা আরশোলার সাথে দেখা -
গুন্ গুন্ করে গান ভাঁজছে - মনে খুব স্ফূর্তি - হঠাৎ একটু থমকে দাঁড়ালো - সকালের আধো ঘুমে, আধো জাগরণের আমেজ - একটু আড়মোড়া ভাঙলো - চোখ দুটো দেখে মনে হলো পুরোটা খুলতে পারে না - অনেকটা টোসিস্ - রোগগ্রস্ত - এর মতো
আমাকে গলা খাকারি দিয়ে উইশ করলো খাঁটি হিন্দি তে : शुभ प्रभात
ভব্যতা'র স্বার্থে বললুম সুপ্রভাত -
আরশোলা মুখ ভেংচে উঠলো , বললো : ধ্যাৎ ! থামুন তো মশাই, আপনাদের এই মুশকিল বাংলায় কথা বলেন, বাংলায় সব ভাবেন, বাংলায় সব করেন - আবার মাঝেই মাঝেই ইংরিজিতে বুকনি মারেন, নিজেদের ভাবেন ইন্টেলেকচুয়াল - ইন্টেলেক্ট তো চোয়ালে এসে গোত্তা খেয়ে খাবি খাচ্ছে - আর বেশি চাপে পড়লে, পেট চালাতে গোলগোল হিন্দি বলেন - সুপ্রভাত কথা'টা - কেমন যেন shoe shoe গন্ধ - অভ্যাস চেঞ্জ করুন, না'হলে টিকতে পারবেন না আগামী দিনে - দেখছেন না আমি কেমন বাংলা ভুলে হিন্দি তে ফ্লুয়েন্ট হয়ে উঠেছি -
এবার জাতীয় সংগীত হিন্দি তে গাইতে হবে - প্রাকটিস করুন - করুন
আমি ভাবলুম মনে মনে - 'সত্য দ্রষ্টা আরশোলা' -
আরশোলার তখন বুকের ছাতি ৫৬" - আত্ম গর্বে - সে বুঝেছে আমার কাছে যুৎসই যুক্তি নেই - আমি খাবি খাচ্ছি "বাঙালী চোবাচ্চায়" -
আরশোলা টা টা করে চলে গেলো -
একটুকরো শুকনো পাউরুটি তে কামড় লাগালাম - চিবোতে গিয়ে থমকে গেলুম - আরে কি আপদ; আমি বাঙালি - আবার মনে মনে "পাউরুটি" খাচ্ছি - কোথায় "পাও" (হিন্দি পাউরুটি) - খাবো না হলে তো দুদিন পরে 'ক্যা' 'ক্যা' করে দূর হতে হবে "চুলোর দোরে" -
আসলে আরশোলা নিজে যখন ওরে তখন নিজেকে পাখি-ই ভাবে, কিন্তু দর্শক জানে আরশোলা উড়ছে, পাখি নয় -
জুতোর বাক্সে বসবাস করে 'সু-প্রভাতে shoe এর' গন্ধ পায় - !!
আর সেই আরশোলার গড ফাদাররা - ভোট মার্কেট ক্যাপচার করতে 'একহাত-চিরনায়ক দাড়ি' আর 'নেতা-টুপি' কে সামনে রেখে - খাবলে ধরে প্রাদেশিক প্রকটতা বিস্তারের ছক বুনতে পারে - !!
©Dated Mumbai 14-12-2020
© reserved_Sap_14122020_Mumbai, Maharashtra
খাসা লিখেছো !