থেটিসকে অ্যাকিলিস
সুজিত বসু
জলকন্যা মা আমাকে মোহগ্রস্ত করে রেখে অদ্ভুত এ সীমা
বৃত্তের আকারে তুমি এঁকেছো,তবুও আজ অতৃপ্তিতে ঘোরে
অদৃশ্য ছায়ার দল,আমি এ বর্মের দুর্গ দুর্ভেদ্য যদিও
করেছি তবুও যেন স্বস্তি নেই, আমায় এ অদ্ভুত সমরে
একচক্ষু সতর্কতা দিয়ে ফেলে চলে গেলে, শোনো কিননরী মা
সারাক্ষণ ভয়ে ভীরু মন্থর শামুক আমি,আলোক রশ্মিও
দু:সহ তীরের মতো, অজস্র প্যারিস বসে রোদ্দুর বৃষ্টির
দুর্বিনীত তীর হাতে, কঠিন ধাতব যদি পবিত্র জলের
স্পরশের সাহায্যে করো নিজের ছেলেকে ,তবে কেন ছদ্মবেশে
শত্রুকে সুযোগ দিলে ! অজেয়তা নষ্ট করে দিলে
অভিশপ্ত এ বাীরের, ঘাসে জমে থাকা কিছু মায়াবী শিশির
দুর্বল গোড়ালি ভেদ করে আনে পরাজয়,আমাকে নি:শেষে
পাথর করেছো যদি,তবে কেন ফেলে রাখো উদার নিখিলে
প্রাকৃতিক দুর্বলতা, প্রলোভনে নষ্ট কেন করো যে আমার
রুক্ষতার মোহাবেশ, বহুকাল ধরে আমি সযত্নে বর্মের
আশ্রয়ে নিমগ্ন আছি সহায় সম্বলহীন, আজ
রুদ্ধদ্বার
উন্মোচনে ভয় হয়, ছায়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে, ছেদহীন রণে
বড়ো পরিশ্রান্ত আমি , উষনীষ পড়েছে খসে , শরীরে রক্তের
অবিরল ধারা স্রোত , প্রার্থনার সুর বাজে স্বেচ্ছাচারী মনে
মুক্তি দিক ধনুরধর, অস্তিত্ব ঘুচিয়ে ফিরি তোমার জঠরে।