।। স্বৈরাচারী।।
প্রেসিডেন্টের চীৎকার আমি জিতেছি, কলম্বাস আমাদেরই।
গনতন্ত্রী রা ঘাড় নেড়ে বলল ঠিক্ ঠিক্ ঠিক্; আমরাই জিতব, শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে গুনে যাব ভোট; কে জিতল আর হারল তাতে কি আসে যায়।
স্বৈরাচার জিতছে, মনুষ্যত্ব হারছে সারা পৃথিবীতে, ভগবান মানুষ বানাতে বানাতে ক্লান্ত, তাই হা'ক্লান্ত ভগবানের স্টুডিওতে এখন শুধুই অসুর তৈরি হয় মানুষের আদলে;
যে অসুরগুলো সমস্ত ভগবানের বানানো অসমাপ্ত মানুষগুলোর টুঁটি চেপে ধরবে আর উচ্চকিত গলায় চেঁচিয়ে বলবে, তফাত যাও তফাত যাও - এটা আমাদের পৃথিবী; এই পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে যাব আমরা হিংসার, অসূয়ার আর স্বার্থপরতার।।
এক লোলচর্ম পক্ককেশ বৃদ্ধা গনতন্ত্রী দাদিমা রূপকথার গল্প শোনাবে ঐ শিশুপালদের; এই তেপান্তরের মাঠেও চাঁদের হাসির বাঁধ ভাঙ্গা জ্যোস্না চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ত ভালবাসা হয়ে, বিশ্বাস করতো স্বৈরাচারী গনতন্ত্রী কে, ধনকুবের সাহায্যের দয়ালু আজানুলম্বিত হাত বাড়িয়ে দিত গরীব সাথীর দিকে, মনুষ্যত্ব নির্ভরতার ছোঁয়াছুঁয়ি খেলতো বঞ্চিত দরিদ্রদের সাথে।।
আজ আবারও সেই অচিনপুরের রূপকথাদের ফিরিয়ে আনার দিন, রিপাবলিক দূরদর্শন নয় চাই মনুষ্যত্ব দর্শন।।
সমরজিৎ জানা