হ্যাঁ মানে যে প্রেম এ আপনার নিজের চিরাচরিত আচরণের এর বাইরে আপনি নিজেকে পাল্টে ফেলেছেন।কিন্তু কোনো চাহিদা ছাড়াই!
কিন্তু অদ্ভূত ব্যাপার হলো এখানে আপনি কাউকে প্রেম নিবেদন করতে পারবেন না, না দেখতে পাবেন তাকে না বলতে পারবেন আপনার মনের কথা।না তাকে স্পর্শ করতে পারবেন।
শুধু মাত্র আপনার অতীত এর স্মৃতি আপনার জমাপুঁজি,পুরোনো কিছু গোচ্ছিত ছবি একমাত্র সম্বল আপনার। আপনি সেই স্মৃতির ওপর ভরসা করে নিজের হৃদয়ে আগুন জেলে রেখেছেন।অতৃপ্ত আশায়।
আজ গল্প বলছি এই রকমই এক ব্যার্থ কিন্তু দামাল প্রেম এর। যেখানে প্রেম থেকে শুরু হয়ে পরিণত হয়েছে ব্যার্থ এক তরোফা ভালোবাসায়।
গল্পটা বলতে গেলে যেতে হবে বেশ কয়েক বছর পিছনে। সুমের আর মিয়া আলাদা আলাদা শহরে থাকে। সুমের বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যায় মিয়ার শহরে। সেখানে সুমের এর কিছু বন্ধুরা থাকতো সেই বন্ধুরা আবার মিয়ার ও কমন বন্ধু। হঠাত করেই তাদের আলাপ হয়। যাকে বলে লাভ এট ফার্স্ট সাইট। দুজন এই প্রেম এ পরে দুজন এর।
সময়ের সাথে প্রেম পড়িনত হয় ভালোবাসায়, যেখানে ভালোবাসার পাশাপাশি চলতে থাকে অদম্য প্যাশন। দুজন দুজন এর এতটাই পরিপূরক হয়ে ওঠে যেখানে তাদের মধ্যে অন্য কেউ ঢোকার কথা চিন্তা করতে পারে না।
আলাদা দুই শহরে তারা থাকলেও হৃদয় এর গভীরতা এতটাই ছিল যে দুই শহরের হাজার মাইল ট্রাভেল করাটা তাদের জন্য কোনো সমস্যা ছিল না। বেশ ভালো কাটছিল তাদের কিন্তু বিপদ হয়ে দাঁড়ালো তাদের এই দুরত্ব আর তার মাঝে এসে দাঁড়ানো দ্বিতীয় এক মহিলা।
মেহুল আসে সুমের এর জীবনে, যেখানে সেই সময় দুরত্বের কারণে দুটো মানুষ নিজেদের ভালোবাসার পরীক্ষা দিতে কাট গোড়ায় ওঠে ঠিক সেই সময় মেহুল সুমের এর জীবনে আসে এক ঝড়ো হাওয়ার মতোন। ভাদ্র মাসে ভরা দুপুরে সূর্যের আলোর ভিতরে হঠাত কালো মেঘ এসে এক পশলা বৃষ্টি ঘটালে যে রকম টি ঘটে ঠিক সেই রকম।এ বৃষ্টি সুখের নয় আসন্ন বড় ঝড়ের।সুমের আঁচ করতে পারলেও আটকানোর ক্ষমতা হচ্ছিল না।
ওদের মনের গাছের কৃষ্ণচূড়া আর রাধা চূড়া ফুল গুলো ঝড়ে ছিন্ন ভিন্ন হয়ে পড়ে যায়।সুমের এগিয়ে যায় মেহুল এর সাথে।
কিন্তু অল্প কিছু দিনের মধ্যেই সে বুঝতে পারে সে কি হারিয়ে ফেলেছে,মিয়া সুমের কে শিখিয়েছিল ভালো বাসতে, বিশ্বাস করতে যে কোনো বিপদে কারোর পাশে দাঁড়াতে, সর্বোপরি হাসতে।
মেহুল এসে সেই সুমের কে তৈরি করলো বদ্ধ উন্মাদে,তার বিশ্বাস এর সীরদারাকে ভেঙে গুরিএ দিয়ে গেলো।তিন মাস এই ভাবে কাটার পর
সুমের চেষ্টা করেছিলো মিয়ার কাছে ফেরার, কিন্তু ততদিনে অনেক দেরি হয়ে গেছে মিয়া অন্য একটি সম্পর্কে মুভ অন করে গেছে।
সুমের এর চোখের সামনে দিয়ে চলে গেলো তার মিয়া। তার পর থেকে শুরু হল এক অদ্ভূত অভিনয়
এর ভালো থাকার।সেটা যেভাবে হোক।
মিয়া কোনো দিন জানতেও পারল না আর আজ ও সুমের মিয়ার জন্য ওয়েট করে আছে। কিছু কথা সত্যি বোঝানো যায় না, আর না বলা যায়,
মিয়া ভালো আছে, সুখে ঘর করছে এখন।ওর ভালোবাসার মানুষ ওকে খুব ভালোবাসে। সুমের সেটা তেই হ্যাপি।
সুমের আজ ও ততোটাই ভালো বাসে মিয়া কে। কিন্তু দূর থেকে, সে মনে মনে এটাও বিশ্বাস করে যে মিয়া তার উপর যতোই অভিমান করুক সেও সুমের কে আজ ও ততোটাই ভালোবাসে।
কিন্তু ওই যে সব ভালোবাসার যে শেষে মিল হতেই হবে এই রকম কোনও মানে নেই। কিছু মানুষ থাকে ই এক তরোফা ভালো বাসার জন্য।জ্বল জ্বল করে থেকে যাক সুমের আর মিয়ার না হওয়া ভালোবাসা।