এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শিক্ষা, শিক্ষক ও ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের শিক্ষা নীতি 

    Lipikaa Ghosh লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ অক্টোবর ২০২০ | ১৭৬২ বার পঠিত | রেটিং ৩ (২ জন)


  • সেপ্টেম্বর মাসের পাঁচ তারিখ শিক্ষক দিবস কেন পালন করা হয় একথা আজ সকলেই জানা। সেই ১৯৬২ খ্রিঃ থেকে এই দিনটি ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে তাঁরই নির্দেশে “শিক্ষক দিবস” হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। আমরা সবাই জানি, ৫ই সেপ্টেম্বর ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে ১৮৮৮ খ্রিঃ এর ৫ই সেপ্টম্বর গরিব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম সর্বপল্লী বীরাস্বামী, মাতা সর্বপল্লী সীতাম্মা। অত্যন্ত মেধাবি ছাত্র হওয়ার কারনে ছোট থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা মূলক বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। অভাব অনটনের মধ্যে বড় হওয়া রাধাকৃষ্ণন দূর সম্পর্কের এক দাদার কাছ থেকে একটি দর্শনের বই পান। এরপর দর্শনের উপর উনার আগ্রহ জন্মায়। সর্বদা প্রথম হওয়া ছাত্র দর্শন নিয়ে পড়াশোনা শুরু করেন। মাদ্রাজের খ্রিস্টান কলেজ থেকে দর্শনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন (১৯০৫ খ্রিঃ)। পরে “বেদান্ত দর্শনের বিমূর্ত পূর্বকল্পনা” নিয়ে গবেষনা মূলক প্রবন্ধ লেখেন। এই প্রবন্ধটি লিখে অলফ্রেড জর্জ হগের সুনজরে পরেন। মাত্র ষোল বছর বয়সে শিবাকামু দেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র কুড়ি বছর বয়সে তিনি কলেজে অধ্যাপনা শুরু করেন (১৯১৮ খ্রি) মাদ্রাজ প্রেসিডেন্সি কলেজে। তিনি কর্ম জীবনে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পত্র পত্রিকায় লেখা লেখিও গ্রন্থ রচনাও করেন।

    তাঁর রচিত প্রথম গ্রন্থ “The philosophy of Rabindra Nath Tegor(1917)”। পরের গ্রন্থ “The Reign of Religion Contemporary Philosophy"টি প্রকাশিত হয় ১৯২০ খ্রিঃ। চেন্নাই প্রেসিডেন্সি কলেজে, কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাইসোর সহ দেশ বিদেশের বহু বিশ্ব বিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন। অন্ধ্র বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যন্সেলর পদে যোগ দেন। তিনি প্রথম থেকেই ছাত্র ছাত্রীদের খুব প্রিয় শিক্ষক হয়ে উঠেছিলেন। তিনি দেশ বিদেশের বহু সম্মানে ভূষিত হন। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের থেকেও আমন্ত্রণ পান ও অধ্যাপনা করেন (১৯৩৬-১৯৫২)। ১৯৩৯ খ্রিঃ-এ ব্রিটিশ আকাডেমির “ফেলো” হিসাবে নির্বাচিত হন, ১৯৪৬ খ্রিঃ ইউনেস্কোর ভারতীয় দূত হিসেবে সদস্য পদ লাভ করেন এবং ১৯৪৯ খ্রিঃ-এ সোভিয়েত ইউনিয়নের ভারতীয় দূত হন। স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি পদে ১৯৫২ খ্রিঃ-এ নির্বাচিত হন। দীর্ঘ দশ বছর এই পদে থাকার পরে ১৯৬২ খ্রিঃ-এ দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ খ্রিঃ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি পদে কর্মরত থাকেন। ১৯৭৫ খ্রিঃ ১৭ই এপ্রিল তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ১৯৩১ খ্রিঃ এ ব্রিটিশ “নাইটহুড” সম্মান পান, ১৯৫৪ খ্রিঃ এ “ভারতরত্ন” সম্মান পান।

    তিনি মোট এগার বার শান্তি নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হন। এমন মহান ব্যক্তি, শিক্ষক, দার্শনিক রাষ্ট্রপতি পদে যোগ দেবার পরে তাঁর ছাত্র ও বন্ধুরা ৫ই সেপ্টেম্বর তাঁর জন্মদিন পালন করতে চাইলে তিনি এই জন্মদিনটি অন্য ভাবে পালন করতে বলেন। বলেন দেশের সমস্ত শিক্ষকের উদ্দেশ্যে সম্মান প্রদর্শনে দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হোক। তিনি বলেন - “Instead of celebrating my birthday it would be my proud privilege if September 5 is obsurved as teacher’s day.” সেই দিন থেকে (৫ই সেপ্টেম্বর ১৯৬২ খ্রিঃ) প্রতি বছর আজকের দিনটিকে শিক্ষক দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে। পন্ডিত জহর লাল নেহেরু তার তাঁর সম্পর্কে বলেছেন, "He has served his Country in many capacities. But above all he was a great teacher from whom all of us have learnt much and will continue to learn.It is a India's peculiar privilege to have a great philisopher,great educationist and a great humanist as her President."

    উপরাষ্ট্রপতি ও রাষ্টপতির মত গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেও তিনি সবার আগে ছিলেন শিক্ষক। তাঁর ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে বরাবর খুব ভালো সম্পর্ক ছিল তাঁর । শিক্ষার্থী ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ভাবনা ছিল তাঁর জীবনের সবচেয়ে বড় ব্রত। ১৯৪৮ খ্রিঃ তাঁর সভাপতিত্বে একটি শিক্ষা কমিশন গঠিত হয় (Indian Universities Commission.1948), এই কমিশন রাধাকৃষ্ণন কমিশন নামে বেশি পরিচিত। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সাধারণ মানুষের মধ্যে উচ্চ শিক্ষার প্রবল চাহিদা দেখা দেয়। এই কারনে অনেক বেশি বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রয়োজন হয়ে পরেছিল। কিন্তু দেশে তখন মোট ২১ টি বিশ্ব বিদ্যালয় ছিল। দেশের উচ্চশিক্ষার ক্রম বর্ধমান চাহিদা মেটাতে তা যথেষ্ট ছিল না। জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নের কথা চিন্তা করে বিজ্ঞান, কারিগরী বিদ্যা ও অন্যান্য পেশাগত ক্ষেত্রে উপযুক্ত দক্ষ কারিগর গড়ে তোলা দরকার বলে রাধাকৃষ্ণন মনে করলেন। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা পরিবর্তিত হওয়ায় দেশের উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে পাঠ্যক্রমের সুনর্বিণ্যাসও জরুরি মনে করেন। উচ্চ শিক্ষাকে গনতান্ত্রিক পদ্ধতিতে গণতান্ত্রিক চেতনা বিকাশের পদ্ধতি বলে কমিশন মনে করল। তাই তিনি সাধারন শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গে বৃত্তি শিক্ষার পরিচালনার ওপর গুরুত্ব দিতে চাইলেন । কমিশনের পক্ষ থেকে সুপারিশ করা হল শিক্ষার পাঠ্যক্রম এমনভাবে রচনা করতে হবে যাতে শিক্ষার মধ্যে দিয়ে ব্যক্তিত্বের স্ফুরনের সঙ্গে সঙ্গে বৃত্তিগত আগ্রহ ও তৃপ্তি লাভ করে। কৃষি কলেজ, আইন কলেজ, চিকিত্সা বিদ্যা কলেজ প্রভৃতির পাঠ্যক্রমের পুনর্বিন্যাস করার কথা বলা হয়। এই কমিশন ধর্মীয় শিক্ষার ক্ষেত্রে সুচিন্তিত অভিমত ব্যক্ত করেছে। ভারতবর্ষের মত দেশে ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া শিক্ষা সম্পূর্ণ হতে পারে না। এজন্য এই কমিশনের সুপারিশ ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের দৈনন্দিন কাজ শুরু করার আগে ছাত্রদের কিছুক্ষণ নীরবে ধ্যান করে চিত্তকে সংযত করে নিতে হবে। সংবিধানের ধর্মনিরপক্ষেতা নীতি বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের যাতে আধ্যাত্মিক জীবন ও নৈতিক জীবনের বিকাশ হয় সেই ধরনের পাঠ্যক্রমের তৈরী করতে হবে।

    ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে তিনটি ভাষা শিক্ষার কথা বলা হয়েছে - আঞ্চলিক ভাষা,সর্বভারতীয় ভাষা ও ইংরাজী ভাষা। সুপারিশ করা হয় যে উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার মাধ্যম আঞ্চলিক ভাষা অথবা সর্বভারতীয় ভাষা হতে পারে। কমিশন যখন ভাষা সম্পর্কে এই সুপারিশ করেন তখন ভারতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দীর কথা তাঁদের মাথায় ছিল। নারী শিক্ষা উন্নতির কথা ভেবে পাঠ্যক্রমের মধ্যে গার্হস্থ্য অর্থনীতি, পরিবার পরিচালনা ইত্যাদি বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে বলা হয়। গ্রামের মানুষেরা যাতে শিক্ষার সর্বনিম্ন স্তর থেকে বিশ্ব বিদ্যালয় পর্যন্ত শিক্ষা গ্রামে বসেই করতে পারে সেই উদ্দেশ্যে গ্রামীন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরীক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ ছিল গ্রেস মার্ক তুলে দেবার সুপারিশ এবং শ্রেণী কাজের জন্য সম্পূর্ণ নম্বরের এক তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ করতে বলে বলা হয়। বিশ্ব বিদ্যালয় পরিচালনা সম্পর্কে গণতান্ত্রিক রীতি প্রবর্তনের কথা বলা হয় কমিশনের প্রতিবেদনে। কমিশন প্রশাসনিক ব্যাপারে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সৌহার্দ্য পূর্ন সম্পর্কের ওপর গুরত্ব দিয়েছে। এছাড়া একটি প্রশাসনিক কাঠামো ও একটি আর্থ-প্রশাসনিক কাঠামোকে সুপরিচালনার জন্য একটি কেন্দ্রীয় গ্রান্ট কমিশনের কথা বলা হয়,যার কার্যকারী রূপ হল বর্তমানের বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এছাড়াও ছাত্রদের শারীরিক বিকাশের উদ্দেশ্যে শারীর শিক্ষার ব্যবস্থা করতে বলা হয়। শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধি ও পদোন্নতির জন্যও সুপারিশ করা হয়। আর সুপারিশ করা হয় মহিলাদের জন্য সমকর্মে সমবেতনের অধিকারের।

    ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের নেতৃত্বে ৭৪৭ পাতার প্রতিবেদন কমিশনের পক্ষ থেকে পেশ করা হয় (১৯৪৯ খ্রিঃ)। অত্যন্ত মেধাবী, বাগ্মি, অধ্যাপক, রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ ডঃসর্ব্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন মনে করতেন প্রকৃত শিক্ষক তাঁরাই, যাঁরা সকলকে ভাবতে সাহায্য করেন। তিনি মনে করতেন, একজন প্রকৃত শিক্ষাবিদ তিনি যিনি সকলের সঙ্গে মিলে যেতে পারেন কিন্তু তাঁর সঙ্গে সকলের মিল খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তাঁর মতে বই হবে এমন যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে যোগ স্হান করতে পারে। সুখ সম্পর্কে তিনি বলেছেন জীবনে সুখ ও খুশি পেতে হলে জ্ঞান বিজ্ঞানের পথে হাঁটতে হবে। ঈশ্বর হলেন, যিনি সকল আত্মার ঊর্ধে রয়েছেন ঈশ্বর। তিনিই সর্বোচ্চ চেতনা। তাঁর মতে যিনি মনে করেন তাঁর সকল জ্ঞান আহরণ করা হয়ে গেছে তখন সেই ব্যক্তির জ্ঞান আহরণের ইচ্ছা চলে যায়। তখনই সে ব্যক্তিও স্তব্ধ হয়ে যায়।

    শুধু তাঁর শিক্ষার্থীদের নন তিনি আমাদের সকলের শিক্ষক। এই মহান শিক্ষকের জন্মদিনে তাঁর আদর্শকে পাথেয় করে এগিয়ে যাওয়ার এবং দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শপথ নিলে তাঁর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নতুন অনুপ্রেরণায় উজ্জীবিত হয়ে সংঘবদ্ধ হওয়ার দিন আজ। 



    তথ্যসূত্র -
    1) Inspiratoinal Ouotes by Dr. Sarvapally Radhakrisnan on Education - The Indian Express, 3rd September 2020.
    2) History of Education in India - Dr. Jayanta mete.
    3) Anandabazar patrika - online Edison 5th september 2017.
    4) kolkata 14×7 Bengali news portal.
     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anaranya Sen | ২৮ অক্টোবর ২০২০ ১৯:৫২99282
  • রাধাকৃষ্ণন নিজে তাঁর ছাত্র যদুুুুুনাথ সিংহের গবেষণাপত্র থেকে চুরি করে বই লেখেন। এটি নথিবদ্ধ সত্য। তিনি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম কুম্ভীলক অধ্যাপক। এইনিয়ে মামলা চলেছিল দীর্ঘদিন। তাঁকে শ্রদ্ধা করার কোন কারণ নেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন