"এই দেশ কি আর সমীর দা’র না? ধর্ম যদি আপন হয় তবে কি ঘাসমাটি, নদীজঙ্গল, বসতবাটি পর হয়ে যায়? "
বড়ই কঠিন ধাঁধা ইশরাত!
এতো বছর ধরে পদ্মা আর গংগায় কতই না জলপানি বয়ে গেল, তবু কী মিমাংসা হলো এই দ্বন্দ্বের? এখনো দুইদেশে জাতের নামে বজ্জাতি, আর ধর্মের নামে অধর্ম।...
লক্ষীরাজ তেল, আমচুর, ময়ুরআয়না, কড়ুই বৃক্ষে শিখা-জুনাই, মাদাইন্যা বেলার স্নান, সবুজ সরিসৃপ, হযরতবাল মসজিদ চুরি, ননী কাকার গলা কাটা ছেলে, ঘরপোড়া ভস্মের সংগে মাংস পোড়া গন্ধ, কবরের ভিতর খোদার পারা, পানি আর জলের ফারাক, শিউলি তলা পুকুরপাড়, সোহাগীর ভরা সংসার, কলা ডগায় কাজল, সাউপাড়ার দেশান্তর ইত্যাদিতে কাহিনীটি খুব জীবন্ত। "ন হন্যেতে" জাত অতীত-বর্তমানের মিশেলে ট্রাজেডির বাঁধনও খুব পোক্ত, যেমন সিনেমায় "টাইটানিক"। রীতিমতো পাকা হাতের লেখা।
যদিও এই সাত সকালে বুকের ভিতর কাঁঁটা বিঁধে গেল, তবু বলবো আরও লিখুন।
গুরুচণ্ডা৯'তে স্বাগতম। শুভ
পুনশ্চঃ গুরুতে নিজের নাম বাংলা লিখলে দেখতে ভাল দেখবে, আর লেখায় প্রতি প্যারায় লাইন স্পেস থাকলে অনলাইন লেখায় চোখের আরাম হয়।
#
অনুপ্রশ্নঃ লেখাটি কুমিল্লার চাঁদপুর -ইইলিয়টগঞ্জ অঞ্চলের হলেও কথোপকথনে বোধহয় ময়মনসিনংহ, - ঢাকা অঞ্চলের প্রভাব? নাকি বুঝতে ভুল হলো?
গল্পটিকে সময় দিলেন। অনেক ধন্যবাদ জানবেন। এমনই তো হয়। কোথাকার জলপানি কোথায় গড়ায়। সমীর দা জানলই না! কুমিল্লার জুনাইও জানে না কলকাতা মহানগরীর কোথায় কোন অতলে হারিয়ে গেছে সমীর দা। এই তো জীবন!
কথোপকথন কুমিল্লার ভাষায় লেখা। কুমিল্লার সব এলাকার ভাষাও এক নয়। শব্দের ফারাক আছে। কোথাও নোয়াখালী আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টান আছে। চাঁদপুর আর কুমিল্লার ভাষাও এক নয়। 'এখানে' শব্দটিকে কুমিল্লায় বলে 'এইরো'। চাঁদপুরে 'এমিক্কা'। নোয়াখালীতে 'এমি'। কাছাকাছিই।
ময়মনসিংহের ভাষা বুঝি কিন্তু লিখতে বলতে অপারগ। করছুইন খাছুইন এই এতোটুকুই।
অনেক ধন্যবাদ বিপ্লব রহমান। ভালো থাকুন। সুরক্ষায় থাকুন।
"কথোপকথন কুমিল্লার ভাষায় লেখা। কুমিল্লার সব এলাকার ভাষাও এক নয়। শব্দের ফারাক আছে। কোথাও নোয়াখালী আর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার টান আছে। চাঁদপুর আর কুমিল্লার ভাষাও এক নয়। 'এখানে' শব্দটিকে কুমিল্লায় বলে 'এইরো'। চাঁদপুরে 'এমিক্কা'। নোয়াখালীতে 'এমি'। কাছাকাছিই। "
খাইছে! এইডা দেহি বিরাট দিকদারি ভাষা! লল :ডি
গুরুতে প্রচুর লিখুন
আপনার মন্তব্যে প্রাণিত হলাম। অনেক ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা জানাই।