"বাংলা ক্যালেন্ডার সূর্যের গতিকেও যথাযথ হিসাবে রেখেছিলো।" -- এই জায়গাটা একটু বোঝাবেন কাইন্ডলি?
সূর্যের গতি মহাবিষুব থেকে ক্রমাগত উত্তরায়ণের দিকে অর্থাৎ কর্কটক্রান্তিরেখার দিকে চলে। বাংলা ক্যালেন্ডারের আদি সূত্রপাত এই উত্তরায়ণের সময়। অর্থাৎ যতক্ষণ সূর্যের উত্তরায়ণ হবে বছর এগোবে, আষাঢ় মাসের শেষে সূর্য কর্কটক্রান্তিরেখার ওপর লম্বভাবে কিরণ দেবে। তখন উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল। এর তিনমাস পর আশ্বিন তথা গার্সি সংক্রান্তিতে সূর্য আবার নিরক্ষরেখার ওপর আলো দেবে। একে জলবিষুব বলে। এভাবে পৃথিবীর প্রদক্ষিণ ও সাড়ে ৬৬ ডিগ্রি হেলে থাকার ফলে নিরক্ষীয় অঞ্চলে সূর্যের যে গতি, সেই গতির সাথে তাল মিলিয়ে বাংলা ক্যালেন্ডারের ঋতু পরিবর্তন হওয়ার কথা।
""বাংলাদেশে ক্যালেণ্ডারকে বাঁচানোর নামে যা করা হয়েছে, তাতে ক্যালেন্ডারের মূল প্রাণটিই নষ্ট হয়ে গেছে।"
একে আর শুধরে নেওয়ার উপায় নাই। তাতে অবশ্যই উৎসব বা নিত্যকর্মে ভাটা পড়েনি, কালে কালে ইংরেজি ক্যালেন্ডারের কদরই বেড়েছে! কলিকাল...
ক্যালেন্ডারটি কোনোভাবেই ইংরেজি নয়। রোমান বা গ্রেগরিয়ান বলা আমি পছন্দ করি। বরং ইংরেজরা এই শুদ্ধ ক্যালেন্ডার অনেক পরে গ্রহণ করে। ফলে নিউটনের জন্মদিন ৪ঠা জানুয়ারি না ২৫শে বৈশাখ এই দ্বন্দ্ব চিরকালীন। সে আরেক গল্প।
দুঃখিত, ২৫শে ডিসেম্বর লিখতে গিয়ে বৈশাখ লিখেছি। লিখন প্রমাদ।
প্রচুর তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটা বারে বারে পড়তে সময় লাগলো নিঃসন্দেহে৷ ইতিহাসের দিকটা আমি অবশ্যই এতকিছু জানতাম না। শুধুই বার্ষিক গতির ভিত্তিতে বলছিলাম। ওখানে একটি বিষয় না বুঝে মন্তব্যও করেছি।