এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • বেবী সাউয়ের 'পিতৃপরিচয়' নিয়ে

    পাঠক
    বইপত্তর | ০৭ মার্চ ২০২০ | ১০৩২ বার পঠিত
  • প্রকাশিত - বইমেলা ২০২০
    মূল্য - ২০ টাকা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শানু সাহা লিখলেন | 162.158.***.*** | ০৭ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৬729868
  • "আপনার লেখা *পিতৃপরিচয়* পড়লাম।
    কিভাবে লিখলেন এ লেখা?
    খুব কাছের মানুষ সম্পর্কে লেখা সবচেয়ে কঠিন ও আড়ষ্ঠতার কেননা খুব কাছ থেকে তো সবটা দেখা যায় না এবং এসব লেখার প্রধান অন্তরায় হল স্নেহ,ভালোবাসা বা সহানুভূতির ঠুলি;যা শেষ পর্যন্ত কিছু স্টক আবেগের কুচি লিখিয়ে নেয় মাত্র।তবে আপনার এ লেখার ক্ষেত্রে তা একেবারেই হয়নি ।পড়তে পড়তে অনুভব করছিলাম বাবার সঙ্গে আপনার নৈকট্য ও দূরত্ব।কেন দূরত্ব?একটা দূরত্বের পর্যবেক্ষণ না থাকলে বাবাকে নিয়ে বলা যায় না--"বাবা আর আমি,আমি আর বাবা/দু'জনকে দু'জনে এড়িয়ে চলি.../যেন দুটো শত্রুজাত দেশ..."এ দূরত্ব অবশ্যই তাদের দু'জনের মানসিক হাইফেন নয়--এ দূরত্ব তৈরিই কবির সচেতন পর্যবেক্ষণের নৈকট্যমোচন রিলিফ।
    চৌদ্দটি কবিতায় আপনি বাবাদের খন্ড জীবনের সর্বজনীন প্রস্তাবনা আঁকলেন।এটি বাবাদের সংবিধান।
    প্রতিটি কবিতা ধরে ধরে বলার মত।
    "কপালের ভাঁজে জমে আমাদের পাওয়া,না- পাওয়া,চাওয়া,না-চাওয়া.... জমানো ভাঁজগুলো পেতে দিতেন খোলা রোদে....বেলা পড়লে সেইসব শুকনো ভাঁজ/আমরা মুচমুচে পাপড় ভেবে/জলযোগ সারতাম...
    বইয়ের প্রথম কবিতাতেই লেপ্টে রয়েছে লড়াইয়ের রোদ পোড়া ঘামের নামকিন কিভাবে দিনান্তে আমাদের মুখের হা বোজায়-তার অনবদ্য ডিটেইল।
    কখনো বাবা নীলকন্ঠ,কখনো বাবা নির্লিপ্ত,শান্ত
    এবং অসহায়।লক্ষণীয় বাবার অসহায়তা এতটাই নিভৃত ও একাকী সে জন্যই তৃতীয় কবিতার শেষ পংক্তি "এবং অসহায়"-একলাই সবার থেকে একটু দূরত্ব রেখে অসহায়ত্ব সেলিব্রেট করছে অন্তহীন ভাবে।আপনাকে কুর্নিশ।
    ষষ্ঠ কবিতায় কবি শুরু করছেন এইভাবে,"বাবা অঙ্কে তুখোড় ছিলেন...
    ..................................
    তারপর এ কবিতাতেই তিনি বলছেন
    "আমার বেচারা বাবা,আমাদের অঙ্ক শেখাতে বসতেন...
    দেখতাম,এক দিকভ্রান্ত মানুষ দুই প্লাস দুই মেলাতে গিয়ে
    একটা আকাশ,একটা নদী এবং মাছের ছবি এঁকে ফেলেছে,অজান্তে..."
    বেবির শুরু করা 'বাবা অঙ্কে তুখোড় ছিলেন'-ধীরে ধীরে বাবাদের সত্যি দিকভ্রান্ত করে দেয়।তবু বাবারা মিলিয়ে দেন আকাশ,নদী,মাছেদের বাস্তুতন্ত্রিক সমতা ও বেঁচে থাকবার সারভাইভাল স্ট্র্যাটেজি।
    সাত নম্বর কবিতাটিতে ধরা আছে অভিনেতা বাবার নিয়তি ছকের চক্করে পড়ে পুতুল বনে যাওয়ার বিষাদ বৃত্তান্ত।
    আট নং কবিতাটি পড়ে বট গাছের কথা মনে হয়েছে কেবল।সকলকে ছায়া দিতে দিতে কখন যে ভীষণ একা হয়ে যায় নিজেও জানে না।আমরা আশ্রয়ের লোভে,প্রশ্রয়ের সংরাগে বটকে ব্যবহার করি।বট এসব জানে--বাবারাও জানে।জেনেও আগলে রাখে।
    নয় সংখ্যক কবিতাটি গান্ধীসুলভ আত্মশুদ্ধি ও অহিংস চিন্তন বাবার আত্মত্যাগের গল্প।
    দশ সংখ্যক কবিতাটি বাবা-মেয়ের সম্পর্কে মেয়ের মা হয়ে ওঠবার চিরন্তন বিশুদ্ধ বাঙালি আবেগের ইস্তেহার।
    এই কবিতাটিতে 'বাবা'-শব্দটি সরাসরি না আসায় ব্যক্তিটির প্রতি টান আরও একাত্ম হয়েছে।
    এগারো নং কবিতাটিতে মায়ের ঔজ্জ্বল্যর পাশে বাবাকে ফ্যাকাশে ও ভিখারিরও ভিখারি মনে হওয়ার মধ্যে অন্ধকারের আলোবাসা প্রচ্ছন্ন থাকে।কবি তা লুকিয়ে রাখেন পাঠকের আবিষ্কারের তাড়নায়।
    বারো সংখ্যক কবিতা পড়ে চুপ করে যেতে হয়।আমি অজান্তেই কেঁদে ফেলি কবিতাটি পড়ে।তবু বারবার পড়েছি কাঁদবার লোভে,কাঁদবার আনন্দে।
    তেরো সংখ্যক কবিতায়ও 'বাবা'-শব্দটি নেই।তবু এই পুরুষ পাখিটির মুখে অহংয়ের ফাঁক বয়ে বেড়ানোর ধকল চিহ্ন খোদাই থাকে সন্তানের শরীরে--এটুকুই সমস্ত শৈল্পিক ভাস্কর্যের জাদুকাঠি।
    এ বইয়ের শেষ কবিতাটি(১৪)যেন একটি বৃত্ত পূরণ করল।প্রথম কবিতাটিতে বাবার খুব ভোরে ওঠা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পথে যেতে যেতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েও বর্ম হয়ে সকলকে আগলে রেখে যেভাবে দলহীন ভারতের স্বপ্নকে লালন করে তাতে করে জিতে যায় সময় ও সৃষ্টি--জিতে যায় পরিশ্রম ও বিষন্নতার সাধক বাবা ও তার নিভে যাওয়া অনুজ্জ্বল হাসি।

    আপনার এই পিতৃপরিচয় পড়ে অধমও একটি অক্ষম খসড়া তৈরির চেষ্টা করল।

    মায়ের আঁচল-চুলের গন্ধ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আতর।মায়ের আঁচল খাওয়া শেষে হাত মোছার রুমাল,গুমরে কাঁদবার আড়াল,অসময়ের আর্থিক(আঁচল থেকে খুচরো চুরি করতে পারার আনন্দ)সম্বল....আঁচলে বাধা খুচরো,কাগজের টাকা...ওরা জল মেখে নেয় অযত্নে।তারপর রোদের সাথে হাগ করে কেজো হওয়ায় তাগিদে।

    মায়ের আলুথালু কান্না,হাসি,জাপটে ধরে সোহাগ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফ্রেম।

    মায়ের গান শোনবার ঝোঁক,মানুষের প্রতি উদারতা বিস্ময়কর রকমের বিস্ময়।

    বাবার ডাকনাম বাবা।বাবা হেঁটে গেলে মনে হয় আমি হেঁটে যাচ্ছি।চুলে পাক ধরছে আমার।বাবা শিশু হচ্ছে,আমি বৃদ্ধ।আমার কোলে আমার শিশু বাবা।হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।বাবা,অনেক বিষয়ে সাপোর্ট করে না,মা করে।
    খুদার কসম জান আমি ভালোবেসেছি তোমায়।

    বহুবছর একসাথে।এতদিন একসাথে থাকা যায়?যায়,বোধহয়।
    বড্ড খিট্-মিট্ করো আজকাল।আজ একটু বৃষ্টি পড়ুক।একই সময়ে বাবা খেলা দেখার জন্য আর মা রেডিওতে লোকগীতি শোনবার জন্য চিৎকার করুক।
    কিছু চড়ুই ভালোবাসার প্রশ্রয় নিয়ে উড়তে উড়তে এ দৃশ্য আকাশে লিখে রাখুক।

    ভালো থাকবেন।
    শানু।"
  • শানু সাহা লিখলেন | 162.158.***.*** | ০৭ মার্চ ২০২০ ১৯:৫৬729869
  • "আপনার লেখা *পিতৃপরিচয়* পড়লাম।
    কিভাবে লিখলেন এ লেখা?
    খুব কাছের মানুষ সম্পর্কে লেখা সবচেয়ে কঠিন ও আড়ষ্ঠতার কেননা খুব কাছ থেকে তো সবটা দেখা যায় না এবং এসব লেখার প্রধান অন্তরায় হল স্নেহ,ভালোবাসা বা সহানুভূতির ঠুলি;যা শেষ পর্যন্ত কিছু স্টক আবেগের কুচি লিখিয়ে নেয় মাত্র।তবে আপনার এ লেখার ক্ষেত্রে তা একেবারেই হয়নি ।পড়তে পড়তে অনুভব করছিলাম বাবার সঙ্গে আপনার নৈকট্য ও দূরত্ব।কেন দূরত্ব?একটা দূরত্বের পর্যবেক্ষণ না থাকলে বাবাকে নিয়ে বলা যায় না--"বাবা আর আমি,আমি আর বাবা/দু'জনকে দু'জনে এড়িয়ে চলি.../যেন দুটো শত্রুজাত দেশ..."এ দূরত্ব অবশ্যই তাদের দু'জনের মানসিক হাইফেন নয়--এ দূরত্ব তৈরিই কবির সচেতন পর্যবেক্ষণের নৈকট্যমোচন রিলিফ।
    চৌদ্দটি কবিতায় আপনি বাবাদের খন্ড জীবনের সর্বজনীন প্রস্তাবনা আঁকলেন।এটি বাবাদের সংবিধান।
    প্রতিটি কবিতা ধরে ধরে বলার মত।
    "কপালের ভাঁজে জমে আমাদের পাওয়া,না- পাওয়া,চাওয়া,না-চাওয়া.... জমানো ভাঁজগুলো পেতে দিতেন খোলা রোদে....বেলা পড়লে সেইসব শুকনো ভাঁজ/আমরা মুচমুচে পাপড় ভেবে/জলযোগ সারতাম...
    বইয়ের প্রথম কবিতাতেই লেপ্টে রয়েছে লড়াইয়ের রোদ পোড়া ঘামের নামকিন কিভাবে দিনান্তে আমাদের মুখের হা বোজায়-তার অনবদ্য ডিটেইল।
    কখনো বাবা নীলকন্ঠ,কখনো বাবা নির্লিপ্ত,শান্ত
    এবং অসহায়।লক্ষণীয় বাবার অসহায়তা এতটাই নিভৃত ও একাকী সে জন্যই তৃতীয় কবিতার শেষ পংক্তি "এবং অসহায়"-একলাই সবার থেকে একটু দূরত্ব রেখে অসহায়ত্ব সেলিব্রেট করছে অন্তহীন ভাবে।আপনাকে কুর্নিশ।
    ষষ্ঠ কবিতায় কবি শুরু করছেন এইভাবে,"বাবা অঙ্কে তুখোড় ছিলেন...
    ..................................
    তারপর এ কবিতাতেই তিনি বলছেন
    "আমার বেচারা বাবা,আমাদের অঙ্ক শেখাতে বসতেন...
    দেখতাম,এক দিকভ্রান্ত মানুষ দুই প্লাস দুই মেলাতে গিয়ে
    একটা আকাশ,একটা নদী এবং মাছের ছবি এঁকে ফেলেছে,অজান্তে..."
    বেবির শুরু করা 'বাবা অঙ্কে তুখোড় ছিলেন'-ধীরে ধীরে বাবাদের সত্যি দিকভ্রান্ত করে দেয়।তবু বাবারা মিলিয়ে দেন আকাশ,নদী,মাছেদের বাস্তুতন্ত্রিক সমতা ও বেঁচে থাকবার সারভাইভাল স্ট্র্যাটেজি।
    সাত নম্বর কবিতাটিতে ধরা আছে অভিনেতা বাবার নিয়তি ছকের চক্করে পড়ে পুতুল বনে যাওয়ার বিষাদ বৃত্তান্ত।
    আট নং কবিতাটি পড়ে বট গাছের কথা মনে হয়েছে কেবল।সকলকে ছায়া দিতে দিতে কখন যে ভীষণ একা হয়ে যায় নিজেও জানে না।আমরা আশ্রয়ের লোভে,প্রশ্রয়ের সংরাগে বটকে ব্যবহার করি।বট এসব জানে--বাবারাও জানে।জেনেও আগলে রাখে।
    নয় সংখ্যক কবিতাটি গান্ধীসুলভ আত্মশুদ্ধি ও অহিংস চিন্তন বাবার আত্মত্যাগের গল্প।
    দশ সংখ্যক কবিতাটি বাবা-মেয়ের সম্পর্কে মেয়ের মা হয়ে ওঠবার চিরন্তন বিশুদ্ধ বাঙালি আবেগের ইস্তেহার।
    এই কবিতাটিতে 'বাবা'-শব্দটি সরাসরি না আসায় ব্যক্তিটির প্রতি টান আরও একাত্ম হয়েছে।
    এগারো নং কবিতাটিতে মায়ের ঔজ্জ্বল্যর পাশে বাবাকে ফ্যাকাশে ও ভিখারিরও ভিখারি মনে হওয়ার মধ্যে অন্ধকারের আলোবাসা প্রচ্ছন্ন থাকে।কবি তা লুকিয়ে রাখেন পাঠকের আবিষ্কারের তাড়নায়।
    বারো সংখ্যক কবিতা পড়ে চুপ করে যেতে হয়।আমি অজান্তেই কেঁদে ফেলি কবিতাটি পড়ে।তবু বারবার পড়েছি কাঁদবার লোভে,কাঁদবার আনন্দে।
    তেরো সংখ্যক কবিতায়ও 'বাবা'-শব্দটি নেই।তবু এই পুরুষ পাখিটির মুখে অহংয়ের ফাঁক বয়ে বেড়ানোর ধকল চিহ্ন খোদাই থাকে সন্তানের শরীরে--এটুকুই সমস্ত শৈল্পিক ভাস্কর্যের জাদুকাঠি।
    এ বইয়ের শেষ কবিতাটি(১৪)যেন একটি বৃত্ত পূরণ করল।প্রথম কবিতাটিতে বাবার খুব ভোরে ওঠা থেকে শুরু করে বিভিন্ন পথে যেতে যেতে দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েও বর্ম হয়ে সকলকে আগলে রেখে যেভাবে দলহীন ভারতের স্বপ্নকে লালন করে তাতে করে জিতে যায় সময় ও সৃষ্টি--জিতে যায় পরিশ্রম ও বিষন্নতার সাধক বাবা ও তার নিভে যাওয়া অনুজ্জ্বল হাসি।

    আপনার এই পিতৃপরিচয় পড়ে অধমও একটি অক্ষম খসড়া তৈরির চেষ্টা করল।

    মায়ের আঁচল-চুলের গন্ধ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ আতর।মায়ের আঁচল খাওয়া শেষে হাত মোছার রুমাল,গুমরে কাঁদবার আড়াল,অসময়ের আর্থিক(আঁচল থেকে খুচরো চুরি করতে পারার আনন্দ)সম্বল....আঁচলে বাধা খুচরো,কাগজের টাকা...ওরা জল মেখে নেয় অযত্নে।তারপর রোদের সাথে হাগ করে কেজো হওয়ায় তাগিদে।

    মায়ের আলুথালু কান্না,হাসি,জাপটে ধরে সোহাগ পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ফ্রেম।

    মায়ের গান শোনবার ঝোঁক,মানুষের প্রতি উদারতা বিস্ময়কর রকমের বিস্ময়।

    বাবার ডাকনাম বাবা।বাবা হেঁটে গেলে মনে হয় আমি হেঁটে যাচ্ছি।চুলে পাক ধরছে আমার।বাবা শিশু হচ্ছে,আমি বৃদ্ধ।আমার কোলে আমার শিশু বাবা।হাত ধরে এগিয়ে যাচ্ছি আমরা।বাবা,অনেক বিষয়ে সাপোর্ট করে না,মা করে।
    খুদার কসম জান আমি ভালোবেসেছি তোমায়।

    বহুবছর একসাথে।এতদিন একসাথে থাকা যায়?যায়,বোধহয়।
    বড্ড খিট্-মিট্ করো আজকাল।আজ একটু বৃষ্টি পড়ুক।একই সময়ে বাবা খেলা দেখার জন্য আর মা রেডিওতে লোকগীতি শোনবার জন্য চিৎকার করুক।
    কিছু চড়ুই ভালোবাসার প্রশ্রয় নিয়ে উড়তে উড়তে এ দৃশ্য আকাশে লিখে রাখুক।

    ভালো থাকবেন।
    শানু।"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন