ডিফল্ট 'যেমন খুশি'টা আমার দাবী ছিল। কারণ আমার মনে হয় এখন অধিকাংশই ফোন থেকে লেখে। এবং গুরুর বহুদিনের ব্যবহারকারীরা বাদে ফোন থেকে একজন নতুন ব্যবহারকারী এসে গুরু লেআউট শিখে নিয়ে লিখবে না। সে ফোনের নিজস্ব বাংলা লেআউট ব্যবহার করবে। এতদিন অব্দি গুগল লেআউট ডিফল্ট ছিল এবং সেটা অ্যান্ড্রয়েডের রিদমিক কীবোর্ডের সাথে ভাল টিউন করত। কিন্তু গুগল লেআউট গন্ডগোল করতে শুরু করার পরে দুটো অপশন ছিল, এক- গুরুর পুরোনো বা নতুন কোনো একটা লেআউটকে ডিফল্ট রাখা, দুই- 'যেমন খুশি'কে ডিফল্ট রাখা। আমি 'যেমন খুশি' কে পুশ করেছি। এটা জেনেই যে গুরুর নিয়মিত ইউজারদের একটু অসুবিধে হবে শুরুতে, লেআউট বদলে নিতে। কিন্তু আমার মেন রীজনিংটা হল গুরুর নিয়মিত ব্যবহারকারীরা অ্যাডভান্সড ইউজার। তারা ঠিক ফিগার আউট করে নেবে। কিন্তু নতুন লোকজন সেটা পারবে না।
তবে আমি ভেবেছিলাম অল্প খোলা মতামত দিন এর বাক্সটার মধ্যে সরাসরি ক্লিক করে ওখানেই লেখা যাবে। যেমন ফেসবুক বা মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে লোকে লেখে। কিন্তু পরে যেটা বুঝলাম, এই টু-স্টেজ প্রসেস, মানে প্রথমে একবার ক্লিক করলে আর একটা নতুন বাক্স খুলবে, তখন আবার তার মধ্যে দ্বিতীয়বার ক্লিক করে তবে লেখা যাবে - এটা মনে হয় এভয়েড করার উপায় নেই। এটা আগে বুঝিনি। বুঝলে হয়ত মতামত দিন-টা বাটন থেকে খোলা বাক্স করতে সাজেস্ট করতাম না।
গুগল লেআউটের জন্যই তো ঐ মতামত দিনের বাক্স খুলছিল না। গুগল বোধহয় ওটা এখন আর ওন করে না, সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছে - এরকম শুনেছিলাম।
আর যেমন খুশিতে কী সমস্যা সেটারও লিস্ট আসুক। এটা ঠিক করা জরুরি।
লোকের মতামত দেওয়া ব্যাপারটাকে সীমলেস করতে হবে। এখন সবাই ফেবু হোয়া মেসেঞ্জারে দিনরাত লিখে অভ্যস্ত। সেসব জায়গায় যেভাবে লেখে, তার চেয়ে বিশাল বিজাতীয় কোনো এক্সপিরিয়েন্স হলে লোকে লিখবে না। গুগল লেআউট যদি নিজেদের মত করে সাজিয়ে গুছিয়ে নেওয়া যায় আর এটা গ্যারান্টী করা যায় যে ওরকম বাক্স খুলছে না টাইপ সমস্যা হবে না, তাহলে গুগল লেআউটটাও ডিফল্ট করা যায়।