এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আলু বেগুন চাল রেফ্রিজারেটর : কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সিস্টেম ফিরিয়ে আনলে কেমন হয় ?

    একক
    অন্যান্য | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ | ৫৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • একক | 53.224.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৩:৫৪723704
  • ধরা যাক এক কেজি চাল দিয়ে আমি পাঁচটা মাঝারি সাইজের বেগুন পেলুম ।
    এরপর একটা বেগুন দিয়ে দুটো মাঝারি আলু ও দুটি টমেটো ।

    চারটে টমেটো দিয়ে আবার পঞ্চাশ গ্রাম আদা পাওয়া যাচ্ছে ।
    বাড়ির পুরোনো বেতের মোড়া দিলে পাওয়া যাচ্ছে ১২ কেজি সোনা মসুরি চাল ।

    এইভাবে ক্রমাগত চালিয়ে যাওয়ায় অসুবিধে / সুবিধের দিকগুলো আমরা একটু পুনঃ পর্যালোচনা করবো ।

    পুনঃ পর্যালোচনা বলার কারন , ইকোনমির বই খুললে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ সিস্টেম অব বার্টারের অসুবিধে নিয়ে এমনিতেই বেশ কয়েক পাতা লেখা থাকে । সেগুলো আমরা জানি । কিন্তু মাঝখানে অনেকটা সময় চলে গেছে । মার্কেট টুলস এন্ড লজিস্টিকস অন্যভাবে প্লে করছে । সেজায়গায় দাঁড়িয়ে আংশিকভাবে বার্টার চালানো সম্ভব কিনা দেখার দরকার আছে ।

    অসুবিধে কী কী :

    ১) দুটো লোকের একই চাহিদা হতে পারে । দুজনেই ধরুন চাল বেচে মুরগি কিনতে চাইছে । এরকম দুজনের দেখা হলে বাহারী সমস্যা । কারন যতক্ষণ না তৃতীয় ব্যক্তি পাওয়া যাচ্ছে যার চাল দরকার এবং মুরগি বেচতে চায় , ততক্ষন সিস্টেমটা এগোতে পারবে না ।

    ২) কোনো স্ট্যান্ডার্ড ইউনিট নেই বার্টারের । কাজেই আপনার একটি বেতের মোড়া যে আদৌ ১২ কেজি চালের সমতুল্য এটা সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব ।

    ৩) কোনো প্রোডাক্ট কে ছোট অংশে ভেঙে মাপা যায়না । আপনি নিশ্চই এক কেজি চাল দিয়ে একটা বেঁচে থাকা মুরগির ঠ্যাং দুটোর মালিক হতে পারেন না ।

    ৪) হাই ভ্যালু প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে বিশাল সমস্যা । যেমন ধরুন একটা ফ্রিজ বেচবেন । এখন একটা ফ্রিজের বদলে কেও যদি একশো বেতের মোড়া ধরিয়ে দেয় কী করবেন তখন ?

    তো , এখানে আমরা ভেবে দেখবো যে কীভাবে এটা সম্ভব হতে পারে , একটা অপ্টিমাল মডেল দাঁড় করানো যায় কিনা ।

    ধরা যাক আমি মাঝখানে একটা ভার্চুয়াল সিস্টেম রাখছি যে সর্বদা হিসেবে করে চলেছে যে সেই সময়ে সেই ভয়গোলিক অবস্থানে সেখানকার এভেইলেবিলিটির উপর নির্ভর করে প্রতিটা প্রোডাক্ট এর সম্ভাব্য বার্টার কী হতে পারে ?

    এরকম : ধরা যাক , ঘন্টচচ্চড়ি সিটি কাউন্সিলে ঠিক এই সময়ে আজকের দিনে :

    এক কেজি সোনা মসুরি চাল == পাঁচটা কুলি বেগুন মাঝারি
    একটা মাঝারি কুলি বেগুন == ওয়ান ফিফ্থ সোনা মাসুরি চাল এর এক কেজির প্যাকেট ।

    এবার এখানে আরও চাল ঢুকলো । কিন্তু বেগুন ঢুকলো না । এরপর কিছু ক্রেতা দেড় কেজি চালের বিনিময়ে পাঁচটা কুলি বেগুন এক্সচেঞ্জ করতে রাজি হলো । সঙ্গে সঙ্গে সিস্টেমে রেকর্ডেড হলো । চাল ও কুলি বেগুনের এই মুহূর্তের বার্টার রেট স্ক্রীন শো করছে ।

    এইভাবে ব্যাপারটা ভাববো । পরে আবার লিখছি । আপনারাও ভাবুন :)

    অনেক সমস্যা সমাধান করতে হবে , যেমন আপনি একটা খাট কিনবেন কিন্তু গ্রামে খাট এর ডিনমিনেশন পাচ্ছেন দুটি ছাগল | আপনার ছাগল দরকার নেই | সেক্ষেত্রে কী হবে ? সেইখানেই আসবে মাঝের ওই ভার্চুয়াল সিস্টেমটা যে ওই ছাগলকে এমন কাওকে পাচার করবে যার ছাগল দরকার । দেখা যাক কদ্দুর দাঁড়ায় ব্যাপার টা ।
  • পুঁটি | 69.178.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৪:৪২723715
  • ওকে।আমি একককে চারটি পুরোনো বেতের মোড়া পাঠাচ্চি।একক, ৩ কেজি সোনা মুগডাল,৩ কেজিমসুরি, চাল ও পোস্ত(ঘন্টচচ্চড়ি সিটি কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী পাঠাক।
  • Marx | 52.106.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৫:৫৩723720
  • ওকে আমি তিন ভল্যুমে দাস কাপিটাল পাঠাচ্ছি। একক শুক্কুরবারের মধ্যে ২টো কবিতা আর নৈপাল এ লিখুক।
  • b | 135.2.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:০৬723721
  • ছাগল পছন্দ না। পাঁটা হলে জমত।
  • de | 69.185.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৬:২০723722
  • ঘন্টচচ্চড়ি সিটি কাউন্সিলে একটা ওয়েব পেজ আর একটা ভ্যালু ইকুইভ্যালেন্স কমিটি থাকলেই মিটে যাবে। কার কার কি দরকার আর তার জন্য সে কি এক্সচেঞ্জে দিচ্চে, সেটা ওয়েব পেজে দিয়ে দেবে। সেখানেই সকলের লিস্টি থাকবে - তাপ্পর কমিটি বসে ঠিক্করে দিক - অথবা গ্রাহকেরা নিজেরাই ডিসাইড করুক, কোন গ্রাহকের যদি মনে হয় যে এক্সচেঞ্জে যা পাবা যাচ্চে তার ভ্যালু ইকুইভ্যালেন্ট নয়, তাইলে কমিটির কাছে দরবার করুক।

    এবার যদি বলেন শাইনিং নয়, ওয়েব পেজ কি করে হবে - তাহলে গ্রামের চন্ডীমন্ডপে একটা বড়ো ব্ল্যাকবোর্ড টানান, আর গ্রাহকেরা সেখেনে এসে লিখবে -
  • Arpan | 101.214.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৯:৪৩723723
  • মাইনে দেবার বেলায় দোকান থেকে এক লরি স্ক্র্যাপ হয়ে যাওয়া মেশিন ধরিয়ে দিলেই ষোলকলা পূর্ণ হবে।
  • Arpan | 101.214.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ১৯:৪৪723724
  • মানে পেচুনে আগুন দেবার কাজটা সম্পূর্ণ হবে। ঃ)
  • একক | 53.224.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২০:৫৬723725
  • জনতা একটা জায়গা স্কিপ করে যাচ্ছেন ।

    মাঝে একটা ভার্চুয়াল ইব্যলুএশোন সিস্টেম আছে সেটা খেয়াল করুন । তারা সর্বদাই শেয়ার এক্সচেঞ্জ এর মত একটা পয়েন্ট এর বেসিসে হিসেব করে যাচ্ছে । আপনার মাইনে হয়ত একশো পয়েন্ট । এবার আপনি দু পয়েন্ট ভাঙিয়ে চাল কিনতে গিয়ে দেখলেন আগের মাসে দু পয়েন্টে দু কিলো চাল পাওয়া যাচ্ছিল এখন দেড় কিলো । এরকম তো এমনিতেও হয় ।

    এটা প্রাগৈতিহাসিক বার্টার না । মাঝে একটা সিস্টেম রেখে বার্টার । শুধু কোনো টাকাপয়সা নেই । আর নেট অযর্থ অফ সিটি কাউন্সিল এর সঙ্গে কোনো রিসার্ভ কীভাবে রিলেট করবে সেইটা একটু ভাবতে হবে ।
  • একক | 53.224.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২১:০২723726
  • বলা ভালো ফিসিকাল স্টেবল টাকা নেই । নইলে ভার্চুয়াল তো থাকছেই এবং সেটার ভ্যালু প্রতি মুহুর্তে পাল্টাচ্ছে ।
  • ছোটোলোক | 198.155.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২২:৩৯723705
  • এই ভার্চুয়াল জিনিসগুলো করবার আগে কটা জিনিস।
    ১। এই ভার্চুয়াল পয়েন্টগুলো কোথায় রাখা থাকবে? সেগুলো বুঝবার এবং ব্যবহার করবার জন্য টেক স্যাভি হবার দরকার আছে কি?
    ২। অশিক্ষিত/নিরক্ষরেরা কী করবে? তারা এই ভার্চুয়াল সিস্টেম শিখে নিতে কত সময় নেবে? আদৌ শিখতে পারবে কি?
    ৩। অন্ধদের জন্য কী ব্যবস্থা?
    ৪। বৃদ্ধদের জন্য কী ব্যবস্থা - যাদের পক্ষে নতুন করে কিছু শিখবার ক্ষমতা নেই?
    ৫। চিকিৎসা যেহেতু ফ্রি নয়, শিক্ষা যেহেতু ফ্রি নয়, সেই খাতে অসুস্থ/আহত মানুষ, শিক্ষার্থীরা- এরা ঐ ভার্চুয়াল মানি কীভাবে ব্যবহার করবে?
    ৬। আদালতের খরচ, ফাইন, জামিনের মূল্য কীভাবে দেওয়া যাবে?
    ৭।ট্রান্সপোর্টের খরচ। যারা বাসে ট্রামে চলাফেরা করে, তারা কী করবে? গাড়িওলাদের ধরছি না। অটোও ধরছি না।
    ৮।ইলেক্ট্রিসিটির বিল, টেলিফোনের বিল, এগুলোর জন্য কীরকম বার্টার সিস্টেম?
    ৯। শুধু খাবার দাবার নাহয় বার্টারে হলো, বাড়ি/ফ্ল্যাট কিনতে গেলে?
    ১০। বিদেশি মুদ্রা কী করা হবে? নাকি গোটা দুনিয়াকে আগে বার্টার সিস্টেমে কনভার্টিত করবার করা হচ্ছে?
  • ছোটোলোক | 198.155.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২২:৫১723706
  • নীললোহিতের দিকশূন্যপুরে এরকম বার্টার সিস্টেমে খাবার দাবার কাপড় চোপড় কেনার গল্প ছিল। তাও তারা পুরো বার্টার সিস্টেমে বাঁচছিল না। আলুর ফলন বেশি হওয়ায় শহরে গিয়ে (বার্টার সিস্টেমের বাইরে গিয়ে) আলু বেচে টাকা নিয়ে, সেই টাকা দিয়ে ফর্দমাফিক অন্যান্য জিনিস পত্র কিনত। টাকাহীন দিকশূন্যপুরের রোম্যান্টিসিজম এমনিতে গল্প হিসেবে পড়তে ভালই লাগে, কিন্তু বাস্তবে সেটা চালু করতে অনেক অসুবিধা - বিশেষ করে যাদের ঘরে শিশু আছে, বৃদ্ধ, পঙ্গু, অসুস্থ মানুষ আছে, তাদের জন্য সহজ নয়। সঞ্চয়ের কনসেপ্ট পাল্টে যায়।
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:০২723707
  • একটা বাস্তব উদাহরণ ভাবলেই পুরোটা বুঝতে পারবেন । এইযে সারা পৃথিবীতে এতো লোক লোক সোনা -রূপ কেনে বেচে এরা কী সবাই সিদিনের সেই খানের ঠিকঠাক দাম জেনে কেনে ? না । মোটামুটি একটা দাম চলে সেটাই ভরসা করে । এখানেও একজন লোক মুখের কথায় ভরসা করে পয়েন্ট চেক না করেই চাল দিয়ে মুরগি কিনতে পারে । তাকে কেও আটকাতে যাচ্ছে না ।

    যেটা হচ্ছে , সেটা হলো যারা স্মার্টফোন রাখছে তারা পয়েন্ট বুঝে বার্টার করার সুযোগ পাচ্ছে । এই চয়েস টার প্রভাব আছে মার্কেট এ । ক্রেতা -বিক্রেতা দুপক্ষেই । এইভাবেই অনবরত অনলাইনে সবকিছুর ডায়নামিক এক্সচেঞ্জ সেট হচ্ছে । বাকিরা মুখের হিসেবে চালাক ।

    আদালত ইত্যাদি যা যা বললেন সব ক্ষেত্রেই ভ্যালুয়েশন অথরিটি জাস্ট চেক করে দেবে যে সেই দিন সেইখানে সমান এক্সচেঞ্জ ভ্যালু দিচ্ছি কি না । আদিবাসী সমাজে কোথাও ফাইন হয় দুটো ছাগল দিয়ে কোথাও খানিকটা মোষের মাংস । সেখানে কী হয় ? একচুয়ালি একটা ডায়নামিক এক্সচেঞ্জ ভ্যালু লোকের মুখে মুখে ফেরে । সেটাকেই ডিজিটাল সিস্টেমে আনা হচ্ছে । লোকে সেই সিস্টেম ফলো করতে বাধ্য নয় । কিন্তু যখনি আমি যার সঙ্গে ট্রান্সাকশন করছি সে গভট পার্টি হোক বা প্রাইভেট সে বলছে যে সিস্টেম মেনে চলবে অমনি অনলাইন ভ্যালুয়েশন চেক করে নেওয়া হচ্ছে । এর বেশি কোনো জটিলতা নেই । দুজনেই যদি চেক করতে না চায় , না করুক ।

    না , গোটা দুনিয়াকে কিছু কনভার্ট করতে চাওয়া হচ্ছে না । এমনকি সব প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রেও এটা প্রথমেই এপ্লাই করতে গিয়ে লাভ নেই । প্রথমে সবচে সহজে এটা এপ্লাই করা যায় , সেকেন্ড হ্যান্ড আসবাবপত্রের ক্ষেত্রে । কোনো সেক্সঃন্ড হ্যান্ড প্রাইস নয় । আমি ব্যাঙ্গালোর ছাড়ার সময় বার্টার করে দিলুম সব , পরিবর্তে চেন্নাই এর কেও আমাকে কিছু সোফা-খাট এসব দিলো । চেন্নাইতে সেটল করে গেলুম সেগুলো নিয়ে । এইরকম । হুট্ করে পরীক্ষা না করে সব জায়গায় এপ্লাই এর প্রশ্নই ওঠেনা ।
  • ছোটোলোক | 198.155.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:০৩723708
  • দ আজকে তুঘলকের টইতে খুচরো টাকার বদলে একলেয়ার্স দেবার প্রসঙ্গ তোলায় মনে পড়ল এরকম আমিও পেয়েছি কয়েকবার কোলকাতায়। কিন্তু একলেয়ার্সের একটা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। ওগুলো যদি সময় থাকতে থাকতে খেয়ে নেওয়া না হয়, তবে গরমে গলে যাবে, পোকা হতে পারে, এবং ক্রমে মূল্যহীন হয়ে যাবে, সারকুলেশনে থাকলেও।
  • ছোটোলোক | 198.155.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:০৭723709
  • "লোকে সেই সিস্টেম ফলো করতে বাধ্য নয়"। এটা কী বললে? আজ লোকে বাধ্য হয়েছে মোদির সিস্টেম ফলো করতে। অন্য কোনো অপশন তাদের কাছে নেই। বুদ্ধিমান স্মার্ট কর্মক্ষম লোকেদের পক্ষে অ্যাডজাস্ট করতে কম সময় লাগবে। কিন্তু যারা এই সেটের বাইরে? তারা কী করবে?
  • ছোটোলোক | 198.155.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:১১723710
  • চেন্নাই-ব্যাঙালোরের ফার্নিচার এক্সচেঞ্জ ব্যাপারে দুটো জিনিস মনে পড়ল।
    ১। হাওলা
    ২। ভারত-পাকিস্তান দেশভাগের সময় রিফিউজিদের রিয়েল এস্টেট ট্রান্সফার/সেটলমেন্ট
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:১৮723711
  • কি মুশকিল । স্টেট্ সিস্টেম আর মানি এইদুটো একসঙ্গে জুড়ে থাকে । বারটার সিস্টেম উইথ ডিজিটাল ইন্টেলিজেন্স একচুয়ালি এন্টি স্টেট্ । মানি একুমুলেট করে সারপ্লাস প্রোডাকশনের রাস্তা কে আটকে রাখে । কাজেই এটা মোদী মডেল দিয়ে বোঝার জিনিস নয় । লোকে মোদীর সিস্টেম ফল করতে বাধ্য হয়েছেঃ কারণ মানি সিস্টেম দিয়ে বাঁধা থাকা অভ্যেস হয়ে গেছে । বারটার এর ঠিক উল্টো জগৎ । চাল দিন ডাল নিন করে চলছে দুজন এক্সচেঞ্জার এর মধ্যে সেই মুহূর্তে যা এক্সচেঞ্জ ভ্যালু ফিক্স হচ্ছে তাই দিয়ে । স্টেট্ ইস নো হওয়ার :) কাওকে আটকে রাখার চেষ্টা নয় ।

    কিন্তু চাল-দলের বাইরেও প্রচুর ট্রান্সাকশন কাছে হাই ভ্যালু যেগুলো আপনি বললেন সেইটার জন্যে স্মার্টফোন । হাসপাতাল স্মার্টফোন দেখিয়ে বলছে অমুক অপারেশন করতে এতো এক্সচেঞ্জ পয়েন্ট ট্রান্সফার করুন যদি আপনার পয়েন্ট থাকে , আর আপনি যদি স্মার্টফোন ইউসার না হন তাহলে এই ভ্যালু ট্রান্সফার করুন , হয়তো একটা খাট আর একটা আলমারি দিয়ে দিলেন । এবার হাসপাতাল খাট -আলমারি কিনলো না । ওই মাঝের সিস্টেম টা ওর এগেইনস্ট এ পয়েন্ট দিলো । হাসপাতাল পয়েন্ট বুঝে নিলো । এবার এই পয়েন্ট দিয়ে যাত্রা আবার ডাক্তারদের মেইন দেবে , এপারেটাস কিনবে ।

    পুরো ব্যাপারটার একটা চরম নেগেটিভ সাইড আছে । তা হলো এইভাবে কোনো বিগ কর্পোরেশন হওয়া সম্ভব না । বিগ প্রোডাকশন হওয়া সম্ভব না । সব কিছুই একটা লেভেলে গিয়ে নিজেদের মধ্যেই ইউটিলিটির বেসিসে ঘুরতে থাকবে । এই নেগেটিভ সাইড টা মাথায় রেখেই বলা হচ্ছে ।
  • Ekak | 53.224.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:২১723712
  • "ভারত-পাকিস্তান দেশভাগের সময় রিফিউজিদের রিয়েল এস্টেট ট্রান্সফার/সেটলমেন্ট"

    এটা দারুন পয়েন্ট । এটা নিয়েই ভাবছি ইদানিং :) এরকম একটি সিস্টেম করা যায় কিনা যার মাধ্যমে শহরে শহরে ট্রান্সফার হওয়া চাকরিজীবীরা সেটেলমেন্ট করতে পারবে । নো মানি সিস্টেম ।

    একচুয়ালি মানিলেস ওয়ার্ল্ড অর্ডার নিয়ে প্রচুর চিন্তা হচ্ছে ইদানিং । ডিজিটাল ইন্টেলিজেন্স কে সামনে রেখে । তবে সেসব বড্ডো বেশি ফিউচারিস্টিক মডেল । আমি খুব সাধারণ , ফিসিবল কিছু হয় কিনা বুঝতে চাইছিলুম ।
  • ছোটোলোক | 198.155.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:২৪723713
  • মাঝখানের সিস্টেমটা দালাল বা পোর্টাল বা ইবে। সেতো বহুকাল ধরেই চলছে।

    কিন্তু ভেতরে যে ছোটো ছোটো বার্টার সিস্টেমের কথা লিখলে, সেগুলো শর্ট সার্কিটের মত। যেই এগুলো বেশি বেশি করে চলতে শুরু করবে, তখন ঐ ইকোনমির কিছু অতিরিক্ত অবদান সমাজে পড়বে। ক্রাইম।
  • ছোটোলোক | 198.155.***.*** | ২৪ নভেম্বর ২০১৬ ২৩:২৬723714
  • অনেক পয়েন্ট আছে সারাদিন ভেবেছি, কিন্তু এখন লিখব না। লিখলেই দেখব আনন্দবাজার ছেপে দেবে দুদিনের মধ্যেই।
  • aka | 79.73.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৫:৪৮723716
  • মাঝে ছোট করে চাকাটা আবিষ্কার করে নেবেন। গ্র্যাভিটির সময় এলে কইবেন আপেল গাছের তলায় গিয়ে বসে পড়ব।
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৬:৪৪723717
  • আগুনের ব্যাপারটা একটু সামলে। ঃ-)
  • sch | 55.25.***.*** | ২৫ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:২২723718
  • এই জন্যেই জুকু অনেক দিন আগে ফার্ম্ভিল খেলা প্রাকটিস করিয়েছিল
  • Bhagidaar | 106.2.***.*** | ২৬ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০৭723719
  • এই নিউটন সম্পর্কে একটা কার্টুন দেখলামঃ নিউটন রোজ হাগু করল, গ্র্যাভিটির কথা মাথায় এলোনা তো! আপেল পড়ার জন্য অপেক্ষা করতে হল!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন