এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • দাওয়াত

    π লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০১৬ | ২৩৬৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • π | ০৭ জুলাই ২০১৬ ২০:৪০717797
  • হিন্দুস্তান টাইমসে নিচের খবরটায় হঠাৎ চোখ পড়ে গেল। এর মধ্যেও এসব পড়ে ভাল লাগে। আমার মনে পড়ে গেল, এক বছর আগের ঈদের কথা। কাজিরাঙ্গার কাছে ফিল্ডের কাজে ছিলাম। যে বাড়ি ভাড়া নিয়ে আমরা থাকতাম, তার নিচে এক দোকান, যেখান থেকে টুকটাক এক দুটো জিনিস কিনতাম, ওই স্বল্প আলাপেই তাঁদের বাড়ি দাওয়ার এসে গেল। পুরো অপরিচিত বাড়ি, কিন্তু লোকজনের সাথে একটু আলাপে আর অপরিচিত মনেই হয়নি ! সে কী আদর আপ্যায়ন, আর কী আন্তরিকতা ! খ্যাঁটনের গপ্পো আর নাই বা করলাম, মনে করে আজ আর এই মুড়ি চিবোনো সন্ধেরে নিজেকে দুক্ষু দিতে চাইনা, কিন্তু গল্পগুলো মনে করে যে কী ভাল লাগছে। ওই দোকানীর বাবা আবার দেখি বাঙালি, আদতে। সব অসমিয়ার মধ্যে আমাকে বাঙালি পেয়ে তো গল্পের ঝাঁপি খুলে বসলেন, মনের সুখ করে, বাংলায় ঃ)। সেই কোন ছোটবেলায় ভাগ্যান্বেষণে ট্রেনে উঠে বসেছিলেন, তারপর অনেক স্টেশনে ঠেকে শেষ্মেশ আসাম। কাঠের কাজ শিখেছিলেন ওখানে। প্রেমে পড়ে গেছিলেন এক অসমিয়াতনয়ার। সেই থেকে নতুন করে শিকড় ওখানেই গজিয়ে গেল, ছেলে মেয়ে ভরপুর সংসার নিয়ে। কিন্তু পুরোনো শিকড় টানে তো বটেই। কোন অপারেশনের সুবাদে নিজের পুরানো গাঁয়ে, কিছুদিন আগে অনেকদিনের জন্য কাটিয়ে আসেন। বাঁকুড়া বা বর্ধমানের দিকে কোন গ্রাম। গ্রামের কথা আসতেই একেবারে উচ্ছসিত হয়ে গ্রামের কত গপ্পোগাছা ! ছোটবেলার গ্রামের কথা বলছিলেন, পাড়ায় পাঁচালি হলে, সিন্নি হলেও কেমন নেমন্তন্ন থাকত, কী কী প্রসাদ খেতেন। আর তারপরই গলাটা বদলে গেল। এবারে গিয়ে আর সেসব কিছুই দেখেন নি। হিন্দু পাড়া প্রতিবেশীদের সাথে কেমন এক শীতল সম্পর্ক, ওঁদের মত মুসলিম পরিবারগুলোর। শুধু শীতলই না, বৈরিতার ও । এইসব মর্মে প্রচার টচারও চলতে শুনে এসেছেন। গল্পের সুর তাল কেটে গেছিল, বুঝতে পারছিলাম। খালি একটাই কথা বললেন। জোর করে এসব না ঢোকালে এমনটা কিন্তু হতে পারেনা। কারণ স্বাভাবিক ভাবে আমরা তো একেবারে বন্ধু বন্ধুই ছিল। হিন্দু মুসলিম এসব তো আমাদের বন্ধুত্বের মধ্যে কোনদিন আসেই না। এখন গজাল মেরে ঢোকানো হচ্ছে।
    খাওয়া দাওয়ার ব্যস্ত হয়ে গিয়ে, তারপর একসাথে ছবি তোলায়, আর এনিয়ে কথা হয়নি।
    আমার সাথে আর কোনদিন যোগাযোগ হয়নি। ভুলেও গেছিলাম হয়ত। মনে পড়লো অনেক দিন বাদে।
    ভদ্রলোক ধর্মপ্রাণ মুসলিম ই মনে হয়েছে। মানে রোজা টোজা রাখেন, নামাজ পড়েন।
    এখন মনে হ্ছে, এইসব ঘটনার পরে ওঁকেও অনেক গাল শুনতে হচ্ছে । এমনিতেও হয়না , এমন না। আসাম টাসামে তো আরোই। মুসলিম যখন, আর মুসলিম মানেই হয় জংগী হয় অথবা সন্ত্রাসের জন্য কোন না কোনভাবে দায়ী, গাল তো শুনতে হবেই। ক’দিন ধরে তো এসবই শুনে চলেছি। এসব না বললেই আবার বাম সিকুলার বলে গাল খেতে হয়। ফেবুতে শুনে শুনে অতিষ্ঠ হয়ে গেলাম।

    যাজ্ঞে, আপনাদের ঈদের দাওয়াতের গপ্পো হোক। কার কার এলাকায় এরকম কিছু হয়, কে কে মুসলিম বন্ধুদের দাওয়াতে গেলেন , লিখুন না একটু। দাওয়াতের খানা পিনা নিয়েই হোক নাহয়।

    In Gyan Khand-3, behind the Indirapuram mosque, over 350 families who reside in this area and belong to different communities will be celebrating the festival together.
    “Each year, on the day of Eid, the Muslim community in the locality organises a grand celebration which is open to all residents, irrespective of their religion and faith. The celebration is held at the locality’s central park, behind the Indirapuram mosque. A large tent is erected here with seating arrangements for 500 people. Cultural activities are organised on Eid,” said Salahuddin, president of Gyan Khand residents’ welfare association (RWA).
    Various food items are served here during the celebrations that are attended not only by Muslims but also Hindus, Sikhs, Jains and Christians who reside in the locality.
    Keeping in mind the religious sentiments of all, no non-vegetarian dish is served at the celebrations. Moreover, since Eid-ul-Fitr is marked by sweet dishes, all residents are served kheer, sevaiyan and other sweets along with snacks such as pakoras and aloo puri,” said Manzer Hussain, a resident of the locality.
    Residents said the practice has been going on for four years now.
    “Celebrating all festivals in our locality not only helps maintain the brotherhood but also teaches us something new about the other’s culture. Not just Eid, but other festivals such as Holi and Christmas are also celebrated together here,” said Uday Singh, vice president of Gyan Khand RWA....

    http://www.hindustantimes.com/noida/noida-gyan-khand-residents-of-all-faiths-join-eid-celebrations/story-P3JeQqV8laJAPfEvvcneBJ.html
  • :) | 132.177.***.*** | ০৭ জুলাই ২০১৬ ২১:১২717798
  • এই জ্ঞান খণ্ড ইন্দিরাপুরম মোটামুটি আমার পাড়া। মসজিদটা আমি চিনি।

    এই একটা জিনিস এখানে দেখেছি - সময়ে সময়ে বিভিন্ন পালাপার্বণে যখন এখানে রাস্তার ধারে ধারে ভাণ্ডারা লাগে, ধর্মনির্বিশেষে সব্বাই খায়। আমিও কয়েকবার খেয়েছি। হিন্দুদের ভাণ্ডারা, শিখদের ভাণ্ডারা। মোটা মোটা আটার লুচি আর নুন-কম আলুর ঝোল। সাথে সুজির হালুয়া। শিখদের স্পেশালিটি হচ্ছে বড় বড় গ্লাসে করে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা সরবৎ। গতবছর সেই প্রথম দিন জম্মু পৌঁছনোর রাস্তায় শিখেদের সরবৎ খেতে খেতেই তো পৌঁছেছিলাম।
  • Robu | 11.39.***.*** | ০৭ জুলাই ২০১৬ ২১:৩২717799
  • আমার পাড়ায় মন্দির মসজিদ মোড়। পাশেই গুরুদোয়ারা।
    বাসে করে ফিরবার সময় মাঝে মাঝেই দেখি হিন্দু মহিলারা পরপার তিনটেতেই পেন্নাম ঠুকতে ঠুকতে আসছেন ঃ-)
  • sm | 53.25.***.*** | ০৭ জুলাই ২০১৬ ২২:২৮717800
  • লন্ডনে থাকা কালীন গুরুদ্বোয়ারার ফ্রি লাঞ্চ আর ডিনার কত দিন খেয়েছি আর পয়সা বাঁচিয়েছি।
    একটা ঘটনার কথা মনে আছে।একদিন আমার এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে অনেক দূর থেকে লন্ডন এ ইস্ট হ্যামে গেছি। ভোর বেলায় বেড়িয়েছি; বেলা গড়িয়ে দুপুর হয়ে গেছে। তা, সে বেটাকে মোবাইল ও পাচ্ছি না আর ঠিকানা টাও ঠিক মনে করতে পারছি না।পেটে খিদেয় যেন আগুন জ্বলছে।
    রাস্তায় একজন পাঞ্জাবি ভদ্রলোক কে দেখে, আবছা করে বন্ধুর পাতা জিগালাম।ভদ্রলোক দেখি ঠিক ধরে ফেললো ও আমার বন্ধুর বাড়ির নম্বর ও বলে দিলো।ইন ফ্যাক্ট উনি ই বাড়ির মালিক।
    হাত জোর করে বললেন,বন্ধুর সঙ্গে দেখা করার আগে যদি ওনার ওখানে একটু খেয়ে যাই;কারণ আজ ওদের বৈশাখী উৎসব।
    বিনা বাক্যব্যায়ে বসে পড়লাম।দেখি প্যান্ডেল করে চেয়ার টেবিল পেতে বিশাল খাওয়ার আয়োজন! পোলাও, তড়কা ডাল, পনির, সবজি , বুন্দিয়া,আরো হরেক রকমের মিষ্টি।খেয়ে দেয়ে বিরাট তৃপ্তি পেলাম।
    আমার জীবনের বেশ মনে রাখার দিন।
  • পাই | 57.29.***.*** | ২৬ জুন ২০১৭ ১৭:৪০717802
  • তুললাম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন