এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • যাঁদের কাহিনীগুলো সবার জানা উচিত

    Abhyu
    অন্যান্য | ১৪ জুলাই ২০১৬ | ১৬৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Abhyu | 78.117.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৬:৫৯717622
  • এই জাতীয় টই আগে ছিল কিনা মনে করতে পারছি না। মাঝে মাঝেই কিছু খবর পড়ি যেগুলো ভুলে যাওয়া চলে না। প্রতিকূল পরিস্থিতির বিরুদ্ধে মানুষের হার না মানা জেদের, লড়াইয়ের কিছু কাহিনী থাক।
  • অ্যাসিড-আক্রান্ত এক ভদ্রমহিলার | 208.137.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৭:০০717626
  • শুধু চামড়াটাই তো পুড়েছে, হাসছেন মনীষা
    http://www.anandabazar.com/state/acid-attack-victim-manisha-determined-to-rebuild-her-life-1.434407
    অ্যাসিড-আক্রান্ত এক ভদ্রমহিলার লড়াই।

    "সকালে ঘুম ভেঙে আয়নায় নিজের মুখটা চোখে পড়ে।

    বীভৎস পোড়া একটা মুখ। গলা-বুক-হাতের চামড়াগুলো গুটিয়ে যাওয়া। বাঁ চোখের জায়গায় একটা ঝাপসা গর্ত। এক মগ নাইট্রিক অ্যাসিডের ঝাঁঝ পুড়িয়ে দিয়েছে সব কিছু।

    ছোটবেলা থেকে একটাই চিন্তা ছিল ডানপিটে মেয়ের। পড়াশোনা করে একটা ভাল চাকরি। সব্জিওলা বাবার মুখে হাসি, ছোট ভাইয়ের পড়াশোনা, দিন-রাত এক করে ঘরের কাজ করে যাওয়া মায়ের একটু আরাম। পড়াশোনার পাশাপাশি তাই নার্সিং ট্রেনিং, কম্পিউটার কোর্স, বিউটিশিয়ান কোর্স, হাতের কাজেও তুখোড় হয়ে ওঠার লড়াই চলছিল জয়নগরের মনীষার। রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের মেয়ে তখনও ভাবতে পারেননি, এর চেয়েও বড় লড়াই অপেক্ষা করছে হাসপাতাল-থানা-আদালতে। কে-ই বা ভাবতে পারেন, পাড়ায় ছোট থেকে দেখা কয়েকটা মানুষ এক শীত-সন্ধেয় স্রেফ ব্যক্তিগত আক্রোশের বশে অ্যাসিড ছুড়ে যাবে মুখে!

    আয়নাটার সামনে দাঁড়িয়ে মনে হয় কত কথা!

    সুন্দরী, স্বাধীনচেতা, তড়বড় করে কথা বলা এক মেয়ে। আগেও তাকিয়ে তাকিয়ে দেখত অনেকে। এখনও দেখে— কারণটা শুধু বদলে গিয়েছে। অ্যাসিডের ঘটনার পর একটা মামলা হয়েছিল। যে মামলায় মঙ্গলবারই হাইকোর্ট রায় দিয়েছে, মনীষাকে তিন লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য। জামিন পাওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে পাঁচ জনকে ফের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যদিও মূল অভিযুক্ত সেলিম
    এখনও পলাতক।

    ‘ক্ষোভ’, ‘সুবিচার’, ক্ষতিপূরণ’, ‘নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন’— বাঁধাধরা শব্দগুলোর দিকে গল্পটার ঘুরে যাওয়ার কথা ছিল এর পরেই। সচরাচর তা-ই হয়। কিন্তু মনীষার কথা শুনলে ধাক্কা লাগে। খিলখিল করে হাসতে হাসতে তিনি বলছেন, ‘‘একটু চামড়াই তো পুড়েছে আমার। সে জন্য বেঁচে থাকার দরজা বন্ধ হয়ে যাবে? একটা ভাল চাকরি করে নিজের পায়ে দাঁড়াতে কি ঝকঝকে চামড়াই একমাত্র যোগ্যতা?’’

    তেইশ বছরের মেয়ে বলেই চলেছেন, ‘‘নিজের যোগ্যতায় একটা চাকরি পেয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই ওই তিন লাখ টাকা রোজগার করে ফেলতে পারি আমি। পারবও। কিন্তু যে যন্ত্রণার পথ পার করতে হল, সেই ক্ষতির তো কোনও পূরণ হয় না।’’ তখনই শুধু মনে হয়, পোড়ার দাগ মিলিয়ে না যাক, চোখটা যদি অন্তত সেরে যেত! বললেন, চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে ২১ দিন ভুল চিকিৎসা না হলে হয়তো বেঁচেও যেত চোখটা। এসএসকেএমে এখনও চিকিৎসা চলছে তাঁর।

    বাকিটা কিন্তু আগের মতোই আছে। একটু চামড়া পুড়ে যাওয়া বই তো নয়!

    আত্মবিশ্বাস, মানসিক কাঠিন্য কোন পর্যায়ে পৌঁছলে নিজেকে এতটাও বুঝিয়ে ফেলতে পারেন কেউ! অথচ জীবনের ঠাট্টা এমনই, বাইরের দুনিয়ায় এখনও তাঁকে নিয়ে গুজগুজ-ফুসফুস। সেই অভিশপ্ত সন্ধের পর থেকেই মনীষা বুঝতে শুরু করেছিলেন, অ্যাসিডে শুধু মুখ পোড়েনি, তাঁর চরিত্রটাকেও পুড়িয়ে দিয়েছে সমাজের একটা অংশ।

    হাসপাতালের বিছানায় তখন শুয়ে মনীষা। চোখ-মুখ জড়িয়ে ব্যান্ডেজ। কানে ঢুকছিল, তাঁর বেডের পাশে দাঁড়িয়েই কারা বলছে, ‘‘ভাল ঘরের মেয়েদের তো এমন হয় না!’’ এরা নাকি হাসপাতালে ‘দেখতে’ এসেছিল তাঁকে! এই সে দিনও ট্রেনে গোটা কাহিনি শুনে এক সহযাত্রী প্রশ্ন করেছেন— ‘‘শুধু অ্যাসিড? রেপ করেনি?’’ সমাজকর্মী ও নারী আন্দোলনে সামিল সুপর্ণা পালের নাগেরবাজারের বাড়িতে বসে ঘটনাটা বলতে বলতে আবার হেসে ফেলছিলেন মনীষা। যেন ভারী আমোদ পেয়েছেন।

    অতীতের আয়নায় ফিরে ফিরে আসে দিনগুলো।

    মনীষা বলে চলেন, ‘‘কোনও দিন স্বপ্নের রাজপুত্রের কল্পনায় নিজেকে ভাসাইনি। একটাই স্বপ্ন ছিল, বড় চাকরি করব। টিভি দেখে দেখে ইংরেজি আর হিন্দি বলতাম। নাচের স্টেপ তুলতাম। ‘স্মার্ট’ হওয়ার চেষ্টা করতাম।’’ ফিসফাস তাই আশপাশে চলতই। মেয়েটার এত বাড় বেড়েছে কেন? ঘর-সংসারের কাজ না শিখে সারা দিন টো টো করে এই কোর্স, সেই কোর্স। তার ওপর আবার বিএ পাশ! মনীষা আজ বোঝেন, যারা তাঁকে অ্যাসিড মেরেছিল আর যারা হাসপাতালে দাঁড়িয়ে তাঁর চরিত্র-চর্চা করেছিল— তাদের গা-জ্বালার জায়গাটায় খুব একটা ফারাক হয়তো নেই।

    ইদে বাড়ি গিয়ে দেখেছিলেন, বুক ফুলিয়ে ঘুরছে জামিনে মুক্ত অভিযুক্তরা। তখনই আরও এক বার দাঁতে দাঁত চেপে শক্ত হয়েছিল সঙ্কল্প। ‘ওদের’ সামনে গিয়েই হাসিমুখে দাঁড়াতে হবে। বুঝিয়ে দিতে হবে, কিছুই পোড়াতে পারেনি তোমাদের অ্যাসিড। পোড়াতে পারেনি আমার ছোট ছোট চাওয়া-পাওয়াগুলো। আজও জোরে গান চালিয়ে নাচেন মনীষা। আজও ইদের দিনে তাঁর কাছে সাজতে আসেন পাড়ার মেয়ে-বৌরা। বিউটিশিয়ান কোর্সের ভাল ছাত্রী ছিলেন তিনি।

    তবে এমনও অনেকে আছে, যারা তাঁর সঙ্গে সহজ হতে পারেনি আর। মনীষার সত্যিকারের কষ্ট হয়, যখন বাচ্চারা তাঁকে দেখে ভয় পায়। তখনই চোখের কোণটা একটু ভিজে ওঠে। কিন্তু ওঁর গল্প শুনে আনকোরা কেউ কেঁদে ফেললে মণীষাই তাঁকে মনে করিয়ে দেন, ‘‘এটা কোনও দুঃখী মেয়ের কথা নয়। সবাই নিজের লড়াই করে বাঁচে, আমিও বাঁচছি। খুশিতে বাঁচছি।’’

    কিন্তু সমাজের বাঁকা দৃষ্টিটা? তার থেকে লুকিয়ে রাখতে ইচ্ছে করে না নিজেকে? উত্তর আসে— ‘‘আমার এই পুড়ে যাওয়া মুখটাই আসলে সমাজের আয়না। এই মুখেই লুকিয়ে আছে আমার মতো অসংখ্য মেয়ের লড়াই।’’

    নিভে আসা বিকেলের রোদ্দুর তখন ঝিকমিক করছে মনীষার চোখেমুখে।"
  • আমি অচ্ছুত! | 208.137.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৭:০৬717628
  • আমি অচ্ছুত! আস্ত কুয়োই খুঁড়ে ফেললেন জেদি মেয়ে

    http://www.anandabazar.com/national/dalit-woman-in-up-digs-her-well-own-for-water-dgtl-1.433828

    "
    দলিত বলে গঞ্জনা, অপমান তাঁকেও সইতে হয়েছিল।

    আর, দশরথ মাজি ও বাপুরাও তাজেঁর মতো সেই অপমান, লাঞ্ছনা সইতে পারেননি কস্তুরীও। দলিত, তাই কেউ জল দিতে চাইত না বলে কস্তুরী পাতকুয়ো খুঁড়তে শুরু করে দিয়েছিলেন। প্রথম প্রথম সেই প্রচণ্ড পরিশ্রমের কাজটা কস্তুরীকে একাই করতে হত, দশরথ আর বাপুরাওয়ের মতো। পরে অবশ্য কস্তুরীর পাশে দাঁড়ায় আরও ৪০টি দলিত পরিবার।

    উত্তরপ্রদেশের দাধি গ্রামে এক দলিত পরিবারে জন্ম কস্তুরীর। দলিত হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই তাঁকে অনেক অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। অন্যান্য সমস্যার মধ্যে পাহাড়ি এই এলাকায় বাঁচার অন্যতম সমস্যা ছিল জলের অভাব। সেই গ্রামে একটি মাত্র জলের কল ছিল। কিন্তু সেই জলের কলটি কস্তুরীর মতো দলিতদের জন্য ছিল ব্রাত্য। এক গ্লাস জল পেতে রোজ লড়াই করতে হত। তা-ও রোজ মিলত না। উচ্চ বর্ণের মানুষের আচার-আচরণে দীর্ঘ দিন ধরেই কস্তুরীর মনে ক্ষোভ জমছিল। অপমানিত কস্তুরী ছেলেকে নিয়ে গ্রাম ছেড়ে থাকতে চলে যান কাছেপিঠের একটি জঙ্গলে। সেখানেই ঘর বেঁধে ছিলেন। সেখানে রোজ হয়ত অপমান সহ্য করতে হত না, কিন্তু সেখানেও জলের সমস্যা মেটেনি। জঙ্গলে পাহাড়ের গা চুঁইয়ে চুঁইয়ে যেটুকু জল পড়ত, তা দিয়ে একটা গ্লাস ভর্তি হতেই গোটা দিন কেটে যেত। টানা দু’দিন জল না খেয়ে কাটানোর যন্ত্রণা বেশ ভাল ভাবেই টের পেয়েছিলেন কস্তুরী।

    এর পরেই কস্তুরী সিদ্ধান্ত নেন পাতকুয়ো খুঁড়ে ফেলার। আস্ত একটা পাতকুয়ো খুঁড়ে ফেলার পরিশ্রম শরীরে সইবে কি না, তা অবশ্য তাঁর জানা ছিল না। জানুয়ারি মাসে কস্তুরী শুরু করেছিলেন পাতকুয়ো খোঁড়ার কাজ। টানা ৪ মাস কাজ করেছেন কস্তুরী, এক নাগাড়ে। গ্রাম এমনকী, পরিবারের অন্যদের কাছেও হাসির খোরাক হতে হয়েছে তাঁকে। বার বারই তাঁর মনে হয়েছে, এই হাড়খাটুনিটা হয়ত কাজেই লাগবে না। কিন্তু কস্তুরীর সামনে আর কোনও রাস্তাও খোলা ছিল না।

    কিন্তু, কস্তুরীর অদম্য জেদ দেখে ধীরে ধীরে এগিয়ে আসে গ্রামের আরও ৪০টি দলিত পরিবার। কস্তুরীর একা পথ চলা শেষ হয় এপ্রিলে। আরও ৪০টি পরিবার এপ্রিলে হাত মেলায় কস্তুরীর সঙ্গে। জুনেই ২৫ ফুট গভীর পাতকুয়ো খুঁড়ে ফেলেন তাঁরা। কিন্তু তখনও জল মেলেনি। ঠিক হয়, বৃষ্টির জল ধরে রাখা হবে ওই পাতকুয়োয়। শেষমেষ ২৫ ফুট নীচে একটি পাথর সরাতেই জল বেরিয়ে আসে! সেই সময় আনন্দে কেঁদে ফেলেছিলেন কস্তুরীও।

    বিহারের দলিত দশরথ মাজি লাগাতার ২২ বছর ধরে চেষ্টা করে পাথর কেটে রাস্তা বানিয়েছিলেন। একাই। সম্প্রতি নাগপুরের ওয়াসিম জেলার দলিত বাপুরাও তাজেঁ স্ত্রীর অপমান সইতে না পেরে একাই টানা ১৪ ঘণ্টা ধরে মাটি খুঁড়ে আট মাসে পাতকুয়ো জলে ভরিয়েছিলেন, একাই!"
  • কুয়ো খুঁড়ে ফেললেন দলিতযুবক | 208.137.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৭:০৬717627
  • স্ত্রীকে জল দেয়নি ওরা, একাই একটা কুয়ো খুঁড়ে ফেললেন দলিত যুবক
    http://www.anandabazar.com/national/wife-denied-water-dalit-digs-up-a-well-for-her-in-40-days-dgtl-1.381258
    "

    কতটা পথ পেরলে তবে পথিক বলা যায়।।।

    কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায়।।।

    আর কতটা ক্ষোভ জমলে বুকে টানা ১৪ ঘণ্টা মাটি খুঁড়ে ৪০ দিনে জলের একটা কুয়ো বানিয়ে ফেলা যায়?

    ক্ষোভ তো ছিলই বহু দিন ধরে। উচ্চবর্ণের আচার-আচরণে।

    সেই ক্ষোভটাই উস্‌কে দিয়েছিল মার্চের একটা ঘটনা। যখন তাঁর স্ত্রী গ্রামের অন্য প্রান্তে এক উচ্চবর্ণের মানুষের কুয়োয় জল তুলতে গিয়ে দারুণ ভাবে অপমানিত হয়েছিলেন। দূর দূর করে তাঁর স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। দলিত বলে। ওই কুয়ো থেকে জল তুললে উচ্চবর্ণের মানুষজনের ‘জাত যাবে’ বলে!

    কাজ সেরে বাড়িতে ফিরে স্ত্রীর মুখে সে কথা শুনেই মাথায় রক্ত উঠে গিয়েছিল বাপুরাও তাজেঁর। তর সয়নি তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে ছুটে গিয়েছিল বাজারে। কুয়ো খোঁড়ার যন্ত্রপাতি কিনতে। সেই সব যন্ত্রপাতি দিয়ে পরের দিন সকাল থেকেই কুয়ো খোঁড়া শুরু করেছিল দিন আনা, দিন খাওয়া শ্রমিক বাপুরাও। নাগপুরের ওয়াসিম জেলায় কলম্বেশ্বর গ্রামে। দিনে ৬ ঘণ্টা করে বাপুরাও মাটি খুঁড়তেন, সপ্তাহে ৭ দিনই। কিন্তু শুধুই তো কুয়ো খুঁড়লে চলবে না। কাজে না গেলে তো মজুরি মিলবে না। অথচ স্ত্রী, দুই শিশুর মুখে তো অন্ন তুলে দিতে হবে। তাই আট ঘণ্টার দিন মজুরির কাজেও বাপুরাও ফাঁকি দেননি এক দিনও। সেই কাজে যাওয়ার আগে, সকালে ঘুম থেকে উঠে চার ঘণ্টা করে মাটি খুঁড়তেন বাপুরাও। আবার কাজ সেরে বাড়ি ফিরে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দু’ঘণ্টা করে মাটি খুঁড়তেন তিনি, অক্লান্ত।

    কেউ পাশে দাঁড়াননি বাপুরাওয়ের। স্ত্রী, আত্মীয়-পরিজনরাও টিপ্পনি কেটেছেন। পাড়া-পড়শিরা, অন্য দলিতরাও মুচকি হেসেছেন তখন বাপুরাওকে দেখে। কারণ, ওই তল্লাটে কোনও জায়গায় জলের দেখা মেলেনি দীর্ঘ দিন। তিন-তিনটে কুয়ো বন্ধ হয়ে গিয়েছে জলের অভাবে। অচল হয়ে গিয়েছে একটা টিউবওয়েলও। সকলেই বলেছিলেন, ‘‘বাপুরাও, করছটা কী? এখানে কি কেউ জল পায়! তুমি কি পাগল হয়ে গিয়েছ?’’

    যেন সময়ের অপচয় করে চলেছেন বাপুরাও!

    কিন্তু কতটা অপচয়ের পর মানুষ চেনা যায়?

    ৪০ দিন। দিনে ১৪ ঘণ্টা হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে ৪০ দিনে শেষমেশ মাটির ১৫ ফুট তলায় প্রচুর জলের হদিশ পেয়ে গিয়েছেন বাপুরাও। বানিয়ে ফেলেছেন ৬ ফুট চওড়া কুয়ো। চাইছেন, আরও ৫ ফুট গভীরতায় খুঁড়তে। আর চাইছেন, কুয়োটাকে অন্তত ৮ ফুট চওড়া করতে। এখন পাড়া-পড়শিরা তাঁর কুয়ো থেকেই জল নিয়ে যায়। একেবারে ধন্যি ধন্যি পড়ে গিয়েছে বাপুরাওয়ের। তাঁর স্ত্রীও এখন সখেদে বলেন, ‘‘কেন যে ওই দিনগুলোয় ওকে অত গঞ্জনা দিয়েছি, এখন কষ্ট হয়!’’
    "
  • dc | 132.174.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৮:১০717629
  • বাপুরাও এর গল্পটা পৃথিবীর সেরা প্রেমকাহিনীর সংকলনে জায়গা পাওয়া উচিত। ঠিক লুথিয়েন আর বেরেন এর গল্পের পরেই।
  • PM | 116.78.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৯:৩৮717630
  • এই দলিত কুয়ো দুলোতে কি উচ্চ বর্ণের লোকেদেরো জল নিতে দেওয়া হয়। এই উদরতা দেখানো হলেই জাত পাতের বেড়া জাল ভাঙবে। আশ পাশের উচ্চ বর্নের মহিলারা বহুদুরের উচ্চ বর্নের কুয়োথেকে জল না নিয়ে পাশের নিম্ন বর্নের কুয়ো থেকে জল নেবেন---- পাঁচিল ভাংতে থাকবে ঃ)
  • PM | 116.78.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৯:৪১717631
  • একটা জিনিষ অদ্ভুত লাগলো, বাপুরাও যার অপমানে ক্ষেপে গিয়ে এমন এক অসাধ্য সাধন করলেন, সেই স্ত্রী কিন্তু লড়াই-এর দিনে সাথ দেন নি ঃ( বরং গঞ্জনা দিয়েছেন ঃ(
  • dc | 132.174.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ০৯:৪৪717632
  • হুঁ সেটা পড়ে আমারও দুঃখ লাগলো। ঃ( তাও মনে হয় পরের দিকে নিশ্চয়ই সাথ দিয়েছিলেন।
  • ranjan roy | 132.18.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ১৩:১৯717633
  • অভ্যুকে অনেক ধন্যবাদ, এই কাহিনীগুলো তুলে ধরার জন্যে আর সেলাম ঐ সব অসাধারণ সাধারণ মানুষজনকে।

    বাপুরাওয়ের স্ত্রী ওঁকে ভালবাসতেন বলেই গঞ্জনা দিতেন মনে হয়। কেন ঘরের লোকটি খামোকা ভূতের বেগার খাটবে? তাই পরে আফশোস-- ব্যক্তিগত মত।
  • সে | 198.155.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৬ ১৩:২৪717623
  • অ্যাসিড অ্যাটাক নিয়ে একটা আলাদা টই খোলা যায়। লড়াই ফড়াই ঠিক আছে। তবে লড়াইয়ের মহিমায় মূল অপরাধকে যেন লঘু করা না হয়।
    (ডিঃ - মূল অপরাধের গুরুত্ব কমেছে সে কথা কিন্তু একবারো বলিনি।)
  • Abhyu | 85.137.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০১৬ ২০:১৯717624
  • http://www.anandabazar.com/manabi/the-story-of-acid-attack-survivor-nasima-khatun-dgtl-1.450955#
    অ্যাসিডে পোড়া মুখ নিয়ে অন্ধ নসিমা মঞ্চে লড়ছেন, বিচার চাই

    "নিজের জীবন কী ভাবে দেখেন তিনি? নসিমা জানালেন, “১৫ বছর আগে আমি খুব ভাল ছিলাম। জীবনে খুশি ছিলাম। কিন্তু জাফর আমার জীবনের সব খুশি কেড়ে নেয়। পড়াশোনা শিখেও আমি কোনও কাজে আসতে পারলাম না। আমার জীবনে অন্ধকার নেমে আসে। বাড়িতে বসে থাকতাম, সারা দিন কাঁদতাম। আর চাইতাম জাফর আমার সঙ্গে যা করেছে, তা যেন আর কোনও মেয়ের সঙ্গে না হয়। আর সেই কারণেই নাটকে অভিনয় করতে রাজি হই আমি। প্রথমে যথন জানতে পারি আমার জীবন নিয়ে ওরা নাটক বানাতে চায় তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। মনে হয়েছিল, জীবন যেমন চলছে তেমনই চলুক। কিন্তু ধীরে ধীরে সাহস বাড়াতে থাকি নিজের। আল্লাপাক আমার সাহস বাড়ান। যাতে সমাজে এমন কোনও ঘটনা না ঘটে। আর কেউ যেন জাফর না হয়, কেউ যেন নসিমা না হয়, সেই জন্যই মঞ্চে নামি আমি। এখন এই নাটকের মধ্যে থেকেই নিজের জীবনের খুশি খুঁজে পাই। ১২ বছর আমি ঘরে বসে কেঁদেছি। কিন্তু এখন আমি আর কাঁদবো না। আর কোনও মেয়ে যেন না কাঁদে। তাই আমাকে সাহস বাড়াতে হবে। গোটা দুনিয়ার সামনে আমি এখন আমার জীবন কাহিনি তুলে ধরতে চাই। লোকে তো অনেক কিছুই বলবে। কিন্তু আমাকে নিজের সাহস বাড়াতে হবে। আমাকে এই পৃথিবীতে বাঁচতে হবে। কেঁদে নয়, মুখে হাসি নিয়েই বাঁচতে চাই আমি।’’ আর জাফর? শাস্তি দিতে চান না তাকে? ‘‘যদি কেউ কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন করে তাহলে তার দু’হাত, দু’পা কেটে দেওয়া উচিত। যাতে আর কেউ এমন কাজ করার সাহস না পায়। বার বার এরা শুধু তিন মাসের জেল খেটে ছাড়া পেয়ে যায়। তাই বার বার জাফর তৈরি হচ্ছে।’’ কথাগুলো বলতে বলতে আজও থরথর করে কাঁপছিলেন নসিমা।

    নাসিমা অভিনীত নাসিমারই জীবন কাহিনী নিয়ে তৈরি হিন্দি নাটক ‘শুভারম্ভ’ সম্প্রতি হয়ে গেল ইজেডসিসিতে। আগামী ২৪ অগস্ট আবার শো আছে গিরিশ মঞ্চে।"
  • Abhyu | 47.39.***.*** | ৩০ আগস্ট ২০২০ ০৪:৪১732584
  • https://www.anandabazar.com/calcutta/girl-affected-by-cerebral-palsy-returned-to-her-home-after-9-months-treatment-in-sskm-1.1196078

    ন’মাস ধরে হাসপাতালে, অবশেষে বাড়ির পথে তরুণী



    শিরদাঁড়া বেঁকে গিয়েছে। ধীরে ধীরে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে বাঁ দিকের ফুসফুস। দু’চোখের দৃষ্টিশক্তিও চলে গিয়েছে বছর পাঁচেক হল। এর মধ্যেই তাঁকে অক্সিজেন নিতে হয় গলার কাছে ফুটো করে লাগানো নল দিয়ে। হাত-পা নাড়ানো তো দূর, গায়ে মাছি বসলেও ওড়াতে পারেন না তিনি।

    এই অবস্থায় ন’মাস লড়াইয়ের পরে শুক্রবার সন্ধ্যায় এসএসকেএম হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট থেকে ছাড়া পেলেন বাঁশদ্রোণীর বাসিন্দা, জন্ম থেকেই সেরিব্রাল পলসিতে আক্রান্ত অভিষিক্তা ব্রহ্ম। এখন থেকে তাঁকে বাড়িতেই অক্সিজেনের সাহায্যে রাখতে বলেছেন চিকিৎসকেরা। ঘটনাচক্রে, শনিবারই ছিল তাঁর জন্মদিন। মেয়ের ১৮তম জন্মদিনে এ দিন অভিষিক্তার বাবা অরিন্দম ব্রহ্ম বললেন, “অভিষিক্তা এক সময়ে ৪৫ দিন কোমায় ছিল। সেখান থেকে লড়াই করে ফিরে এসেছে।এসএসকেএমের চিকিৎসকদের সাহায্যে সিসিইউ থেকেও ন’মাসের লড়াই শেষে ফিরল ও।”

    মেয়েকে নিয়ে তাঁর বাবা-মায়ের লড়াইয়ের কাহিনিও সহজ নয়। ২০০০ সালে অরিন্দমবাবু ও তাঁর স্ত্রী অনিন্দিতার বিয়ে হয়। অভিষিক্তার পরে তাঁদের এক ছেলেও হয়। ন’বছরের সেই ছেলে অরুণাদিত্যও ডিমেনশিয়ায় ভুগছে। একা স্ত্রীর উপরে দুই সন্তানের চাপ পড়ছে দেখে এক সময়ে চাকরি ছেড়ে দিতে হয় অরিন্দমবাবুকে। তাঁর কথায়, “চাকরি ছেড়ে ছোট একটা ব্যবসা শুরু করি। মনে হয়েছিল, নিজের মতো কাজ করলে পরিবারকে আর একটু বেশি সময় দেওয়া যাবে। কিন্তু লকডাউনে সেই ব্যবসাও বন্ধ হয়ে গেল। অনেক ভেবে তিন বন্ধু মিলে এখন আমরা পিপিই কিট, মাস্ক, স্যানিটাইজ়ার তৈরির ব্যবসা শুরু করেছি। আর চলছে দুই সন্তানকে নিয়ে লড়াই।”

    অরিন্দমবাবু জানান, অসুস্থ হলেই অভিষিক্তাকে বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা করাতে হত। কয়েক দিন পরে বাড়ি নিয়ে গেলেই ফের শুরু হত সমস্যা। বাড়িতে অক্সিজেনের ঘাটতি হওয়ায় প্রায়ই তাঁর শরীর নীলচে হয়ে যেত। ২০১৪ সালে এমনই সমস্যার পরে অভিষিক্তাকে তাঁরা ভেলোরে নিয়ে যান। সেখান থেকে ফেরার পরে আবার তাঁকে ভর্তি করাতে হয় বাইপাসের ওই হাসপাতালে। ওই সময়েই হঠাৎ চোখে ঝাপসা দেখতে শুরু করেন অভিষিক্তা। ৪৫ দিন কোমায় থাকার পরে ফেরেন ওই তরুণী।

    অরিন্দমবাবু বলেন, “মেয়েকে ফিরিয়ে দিলেও ওর দু’চোখের দৃষ্টি আর ফেরাতে পারেনি হাসপাতাল।” গত অক্টোবরে ফের অবস্থার অবনতি হলে অভিষিক্তাকে বাইপাসের ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। দু’মাস সেখানে ভর্তি থাকার পরে আনা হয় এসএসকেএমে।

    অনিন্দিতাদেবী জানান, সিসিইউ-এর পাঁচ নম্বর শয্যায় এক সময়ে ভেন্টিলেশনে রাখা হয় অভিষিক্তাকে। চিকিৎসকদের পাশাপাশি তাঁরা স্বামী-স্ত্রীও মেয়েকে সুস্থ করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন প্রতিদিন। তাঁর কথায়, “মেয়েকে আমরা কখনও পুরো ছেড়ে আসিনি। রোজ যেতাম। সকালে এক দফায় ওর বাবা খাইয়ে দিয়ে আসতেন। সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ওর বাবার সঙ্গে আমি যেতাম। খাওয়ানো, পিঠের পরিচর্যা— কিছুই বাকি রাখিনি। না-হলে এত দিন এক জায়গায় শুয়ে থাকা কোনও রোগীর পক্ষেই সম্ভব নয়।”

    অরিন্দমবাবুর দাবি, “হাসপাতালও যথেষ্ট করেছে। তবু আর ক’টা দিন মেয়েকে এসএসকেএমে রাখতে পারলে ভাল হত। আসলে বাড়িতে রাখা কতটা কঠিন, আমরা জানি। তবে লড়াই ছাড়ব না।” এসএসকেএমের সুপার রঘুনাথ মিশ্র বললেন, “অভিষিক্তার সেরিব্রাল পলসি আমরা সারাতে পারব না। তবে অন্য সব সমস্যার জন্য যা যা করণীয়, করা হয়েছে। হাসপাতাল আগামী দিনেও ওর পাশে থাকবে।”

    মেয়ের ১৮তম জন্মদিনে পরিকল্পনা কী স্বামী-স্ত্রী জানান, অভিষিক্তা বিরিয়ানি ভালবাসেন। কিন্তু এই অবস্থায় তাঁকে সে সব দেওয়া যাবে না। তাই তাঁর প্রিয় কেক, পায়েস আর লাড্ডুতেই কাজ সারতে চান তাঁরা। এরই মধ্যে চোখ ভিজে যায় বাবার। অরিন্দমবাবু বললেন, “মেয়ের জন্মের পর থেকেই শুনেছি, এটা নাকি লস্ট কেস! বহু চিকিৎসকও তা-ই বলেছেন। কিন্তু আমি আর ওর মা হাল ছাড়িনি। ছাড়বও না।”
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন