এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • শান্তনু কুমার দাশ | 11.39.***.*** | ২২ জুন ২০১৬ ২১:১৯707902
  • হা- অন্ন ভেনিজুয়েলা
    _____________________

    ভেনিজুয়েলাতে চলছে মারাত্মক খাদ্য সংকট । কেউ একবেলা খেয়ে কাটাচ্ছেন । কেউ একদিন খেয়ে পরের দিন সম্পূর্ণ অনাহার। অবস্থা সহ্যের সীমা অতিক্রম করতেই শুরু হয়েছে লুঠপাট । যে যেখানে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন হাতিয়ে নিচ্ছেন নিজের বা নিজের পরিবারের জন্য । একই সাথে চলছে বিক্ষিপ্ত দাঙ্গা । সেসব হাজার খানেক পুলিশ দিয়ে দমন করা হচ্ছে কড়া হাতে । খাদ্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হচ্ছে টাকা নিয়ে যাওয়ার ভ্যানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে । অথচ এই দেশেরই খনিজ তেলের ভান্ডার আরব দেশ গুলির থেকেও বড় । মাথাপিছু আয় স্বাভাবিক ভাবেই ঈর্ষনীয় । জাতিপুঞ্জের হিসাবে শেষ কয়েক বছরে অপুষ্টির হার কমে গিয়েছিল লক্ষণীয় ভাবে । দেশের কমিউনিস্ট সরকারের তত্বাবধানে 'মেরকাল' খাদ্য বন্টন নেটওয়ার্ক ভালই চলছিল ।হঠাৎ হলটা কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই অবস্থার সূত্রপাত সেই ২০০৪ সালে । ওই সময় থেকেই শুরু হয় ব্যাপক হারে কৃষিজমি অধিগ্রহণ । যার বেশীরভাগ অংশ আজও ফাঁকাই পড়ে আছে । দেশে খাদ্য উৎপাদন হয়না বললেই চলে । খাদ্য কেন, উৎপাদন হয়না প্রায় কিছুই । এতদিন দেশটা বিপজ্জনকভাবে আমদানি নির্ভর অর্থনীতি চালিয়ে গেছে ।আমদানি করেই দেশের মানুষের খাদ্য বস্ত্র থেকে আরো হাজারটা জিনিষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে ।এই অত্যধিক আত্মবিশ্বাসের কারন অপরিমেয় তেলের ভান্ডার । খাদ্য, জল,বিদ্যুৎ সবই রেশনিং হচ্ছিল । কিন্তু কিছুদিন আগেও কিছু খুচরো ব্যাবসায়ীরা খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছিলেন । বাজার চলতি দামে । তারপর খাদ্য বন্টনের সমস্ত দায়িত্ব রাষ্ট্র নিয়ে নেয় । রাষ্ট্রচালিত ভান্ডার গুলি থেকে মানুষ খাদ্য সামগ্রী নিতেন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে । অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে খাদ্য নিতে গিয়ে লাইনে পাঁচ ছয় ঘন্টা অপেক্ষা করে থাকতে হয় । এর সাথেই শুরু হয় সস্তায় পাওয়া খাদ্য সামগ্রীর কলম্বিয়াতে ব্যাপক হারে স্মাগলিং । এইভাবে কিছু লোক দুপয়সা কামাতে আরম্ভ করেন । অবস্থার মোকাবিলায় করা হয় বায়োমেট্রিক কার্ড । কিন্তু তাও পরীক্ষা নিরীক্ষার স্তর থেকে এগোতে পারেনি বেশীদূর । চটজলদি সমাধান হিসেবে বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ স্ক্যান করে খাদ্য বিতরন চলতে থাকে কোনোভাবে । তাতেও বিপত্তি । স্ক্যানার খারাপ হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়াতে হয় লাইনে । ইতিমধ্যে যে কয়েকজন চাষী তাঁদের উৎপাদন বেসরকারি স্টোরগুলোকে বিক্রি করে দুপয়সা লাভ করতেন ২০১৪ থেকে তাঁদের উৎপাদন সরকারি দামে রাষ্ট্রকেই বিক্রি করতে বাধ্য করা হয় । যার অনিবার্য ফলশ্রুতি হল তাঁরা চাষবাসে উৎসাহ হারিয়ে ফেললেন । যাই হোক এই পরিস্থিতির জন্য মাদুরো বিরোধীদের চক্রান্তের তত্ত্ব তুলে ধরছেন । বলছেন দেশের এলিটিস্ট রা অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালাচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধে । তারই ফলাফল এই খাদ্য সংকট । দোষ দিচ্ছেন সি.আই.এ কেও । তবে দেশে সম্পদের অভাব, উৎপাদন ঘাটতি কী ভয়ানক অবস্থা তৈরি করতে পারে ভেনিজুয়েলা তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ ।
  • শান্তনু কুমার দাশ | 11.39.***.*** | ২২ জুন ২০১৬ ২১:১৯707901
  • হা- অন্ন ভেনিজুয়েলা
    _____________________

    ভেনিজুয়েলাতে চলছে মারাত্মক খাদ্য সংকট । কেউ একবেলা খেয়ে কাটাচ্ছেন । কেউ একদিন খেয়ে পরের দিন সম্পূর্ণ অনাহার। অবস্থা সহ্যের সীমা অতিক্রম করতেই শুরু হয়েছে লুঠপাট । যে যেখানে খাদ্য সামগ্রী পাচ্ছেন হাতিয়ে নিচ্ছেন নিজের বা নিজের পরিবারের জন্য । একই সাথে চলছে বিক্ষিপ্ত দাঙ্গা । সেসব হাজার খানেক পুলিশ দিয়ে দমন করা হচ্ছে কড়া হাতে । খাদ্য সামগ্রী স্থানান্তর করা হচ্ছে টাকা নিয়ে যাওয়ার ভ্যানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে । অথচ এই দেশেরই খনিজ তেলের ভান্ডার আরব দেশ গুলির থেকেও বড় । মাথাপিছু আয় স্বাভাবিক ভাবেই ঈর্ষনীয় । জাতিপুঞ্জের হিসাবে শেষ কয়েক বছরে অপুষ্টির হার কমে গিয়েছিল লক্ষণীয় ভাবে । দেশের কমিউনিস্ট সরকারের তত্বাবধানে 'মেরকাল' খাদ্য বন্টন নেটওয়ার্ক ভালই চলছিল ।হঠাৎ হলটা কী? বিশেষজ্ঞরা বলছেন এই অবস্থার সূত্রপাত সেই ২০০৪ সালে । ওই সময় থেকেই শুরু হয় ব্যাপক হারে কৃষিজমি অধিগ্রহণ । যার বেশীরভাগ অংশ আজও ফাঁকাই পড়ে আছে । দেশে খাদ্য উৎপাদন হয়না বললেই চলে । খাদ্য কেন, উৎপাদন হয়না প্রায় কিছুই । এতদিন দেশটা বিপজ্জনকভাবে আমদানি নির্ভর অর্থনীতি চালিয়ে গেছে ।আমদানি করেই দেশের মানুষের খাদ্য বস্ত্র থেকে আরো হাজারটা জিনিষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হয়েছে ।এই অত্যধিক আত্মবিশ্বাসের কারন অপরিমেয় তেলের ভান্ডার । খাদ্য, জল,বিদ্যুৎ সবই রেশনিং হচ্ছিল । কিন্তু কিছুদিন আগেও কিছু খুচরো ব্যাবসায়ীরা খাদ্য সামগ্রী বিক্রি করছিলেন । বাজার চলতি দামে । তারপর খাদ্য বন্টনের সমস্ত দায়িত্ব রাষ্ট্র নিয়ে নেয় । রাষ্ট্রচালিত ভান্ডার গুলি থেকে মানুষ খাদ্য সামগ্রী নিতেন লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে । অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে খাদ্য নিতে গিয়ে লাইনে পাঁচ ছয় ঘন্টা অপেক্ষা করে থাকতে হয় । এর সাথেই শুরু হয় সস্তায় পাওয়া খাদ্য সামগ্রীর কলম্বিয়াতে ব্যাপক হারে স্মাগলিং । এইভাবে কিছু লোক দুপয়সা কামাতে আরম্ভ করেন । অবস্থার মোকাবিলায় করা হয় বায়োমেট্রিক কার্ড । কিন্তু তাও পরীক্ষা নিরীক্ষার স্তর থেকে এগোতে পারেনি বেশীদূর । চটজলদি সমাধান হিসেবে বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ স্ক্যান করে খাদ্য বিতরন চলতে থাকে কোনোভাবে । তাতেও বিপত্তি । স্ক্যানার খারাপ হলেই ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়াতে হয় লাইনে । ইতিমধ্যে যে কয়েকজন চাষী তাঁদের উৎপাদন বেসরকারি স্টোরগুলোকে বিক্রি করে দুপয়সা লাভ করতেন ২০১৪ থেকে তাঁদের উৎপাদন সরকারি দামে রাষ্ট্রকেই বিক্রি করতে বাধ্য করা হয় । যার অনিবার্য ফলশ্রুতি হল তাঁরা চাষবাসে উৎসাহ হারিয়ে ফেললেন । যাই হোক এই পরিস্থিতির জন্য মাদুরো বিরোধীদের চক্রান্তের তত্ত্ব তুলে ধরছেন । বলছেন দেশের এলিটিস্ট রা অর্থনৈতিক যুদ্ধ চালাচ্ছেন তাঁর বিরুদ্ধে । তারই ফলাফল এই খাদ্য সংকট । দোষ দিচ্ছেন সি.আই.এ কেও । তবে দেশে সম্পদের অভাব, উৎপাদন ঘাটতি কী ভয়ানক অবস্থা তৈরি করতে পারে ভেনিজুয়েলা তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ ।
  • sm | 53.25.***.*** | ২২ জুন ২০১৬ ২২:১৪707903
  • ভারত আর চীন তো বিনা পয়সা যে আগামী কয়েক বছর খাদ্য,বস্ত্র, মেডিসিন সাপ্লাই করতে পারে।
    পরে ঐ মূল্যের তেল শোধ বোধ করে নিয়ে নিলেই হলো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন