এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বিষয়ঃ ছোট গল্প-- চশমা দিদির গল্প

    debanjan mahapatra লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ১৮ এপ্রিল ২০১৬ | ২৩২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • debanjan mahapatra | ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ১৫:০৮707234
  • চশমা দিদির গল্প
    1.
    ছোটবেলা থেকেই প্রচণ্ড দুরন্ত ছিলুম। মা-বাবা দূরের কথা, নিজে একবার কমিটমেন্ট করে দিলে নিজের কথাও শুনতুম না। বিভিন্ন লোকে বিভিন্ন রকম দুরন্ত হয়। আমার দুরন্তপনার সবটাই ছিল হাতে-পায়ে, আর উদ্দেশ্য কীভাবে মা'কে জ্বালানো যায়। এই কখনো হয়তো কিছু একটা খাচ্ছি, তারপর ঐ হাতটাই মায়ের প্রিয় শাড়ীতে মুছে বসে গেলুম 'একটি গ্রামের দৃশ্য' আঁকতে। তারপর ছোট ছোট রংপেনসিলগুলো, যেগুলো আর ব্যবহার করা যেতো না; সেগুলোর সদ্ব্যবহার হত বাড়ির দেওয়ালে কিংবা মেঝেতে। অপূর্ব সেই চিত্রকল্প দেখে কেউ হাজার হাজার বছর পরে বাহ বাহ করবে না, কে জানে। আমার দুরন্তপনা, মায়ের বকাঝকা, বাবার ঝকাঝকা আর তারপর মায়ের আদর- এই নিয়েই ছোটবেলার দিনগুলো কেটে যাচ্ছিলো যতক্ষণ পর্যন্ত না আমি ভয় পেলুম। মা কিংবা বাবাকে নয়। অচেনা-অজানা অন্য এক মানুষকে।
    আমরা থাকতাম উত্তর কলকাতার বনেদি এক পাড়ায়। দু'ধারে ঠাসাঠাসি বাক্সবাড়ির নীচ দিয়ে সরু-সাপটা গলি। এর বারান্দা ওর ঘাড়ে। রামবাবুর গিন্নির বারান্দায় শুকুতে দেওয়া শাড়ি হয়তো আদ্ধেকটা শ্যামবাবুর বারান্দায়, আবার মধুবাবুর বারান্দার জাঙ্গিয়া হয়তো এসে পড়েছে রামবাবুর বারান্দার এক কোণে। আমার বয়স তখন সাড়ে সাত কি আট হবে। রোজকার মতই বারান্দায় বসে চিল্লে চিল্লে গরু রচনা মুখস্থ করছি। হঠাৎ-ই শুনলাম নীচের রাস্তায় একটা কীসের হইহই-হল্লা।। যথাদুরন্ত আমি লাফ দিয়ে বারান্দার রেলিং-এ। আদ্ধেক শরীর বাইরে ঝুলছে। পা-দুটো রেলিংএর খাঁজে আটকে। হঠাৎ-ই শুনলাম একটা কন্ঠস্বর, "ঐ ছেলে, ভিতরে ঢুকে দাঁড়া"। আওয়াজটা শুনে চমকে গিয়ে ভিতরে নেমে দাঁড়ালুম। আমাকে হুকুম, পেলে দেখে নেবো- এই মনোভাব নিয়ে কন্ঠস্বরের উৎস খুঁজতে চারপাশে দেখতে দেখতে চোখ পড়লো উল্টোদিকের বারান্দায়। আর সেদিনই প্রথমবারের জন্য ভয় পেলাম।
    ওপারের বারান্দায় দাঁড়িয়ে রয়েছে একটা মেয়ে, রোগা কিন্তু বেশ লম্বা। হাতে একটা অষ্টম শ্রেণির রসায়ন বই ধরা। চুলগুলো মুখের চারপাশে এলোমেলো হয়ে রয়েছে, ঠোঁটের কোণে একটা হালকা হাসি। কিন্তু ভয় পেলাম চোখদুটো দেখে, থুড়ি চশমার মধ্যে আবদ্ধ চোখদুটো দেখে। কালো মোটা ফ্রেমের চশমা, ডাঁটিদুটোও বেশ চওড়া। আর সেই চশমার মধ্য দিয়ে বিস্ফারিত দৃষ্টিতে একজোড়া ঠান্ডা, কঠিন চোখ আমার দিকে চেয়ে রয়েছে। ঐরকম চোখ আমি আগে দেখিনি। এক পা এক পা করে পিছোতে পিছোতে দেখি পিছনে মা এসে দাঁড়িয়েছে। আমি ভয়ে মা কে জড়িয়ে ধরলুম।
    এরপর থেকে মা একটা দারুণ উপায় পেয়ে গেলো আমাকে দুরন্তপনা থেকে দূরে রাখার।
    এটা করিসনি, করলে চশমা-দিদির কাছে দিয়ে আসবো। ওটা করিসনি, এটা খেয়ে নে, এটা নিসনা, ওখানে যাসনা- সবেতেই একজন জুজু, চশমা দিদি।
    আর উল্টোদিকে মা বোধহয় কোনো আঁতাত করেছিল। আমার বারান্দায় যাওয়া আর চশমা-দিদির বারান্দায় আসা সমাপতিত হলেই চশমা-দিদি আমাকে জিজ্ঞেস করত, "কীরে পড়াশোনা করেছিস?" কিংবা " আবার বদমায়েশি করছিস?" এইসব প্রশ্ন। আমি কোনরকমে ভয়ে ভয়ে ঘাড় উপযুক্ত দিকে নেড়ে ছুট্টে ঘরে ঢুকে যেতুম। ঘর থেকে হিহিহিহি করে একটা হাসির শব্দ শুনতে পেতুম।
    চশমা দিদিকে ভয় পাওয়ার কারণ ছিলো। ঐরকম ভারী, তীক্ষ্ম একটা গলা যা থেকে একেকবারে একটা একটা শব্দবাণ নিক্ষিপ্ত হত আমার দিকে। আবার তার ওপর ঐ মোটা ফ্রেমের চশমাওলা দুটো জুলজুলে চোখ, যাতে সবসময়ই একটা রাগমেশানো শীতলতা লেগে থাকতো যা আর কোথাও দেখিনি। ভাবতুম, চশমা তো অনেকেই পরে, ঐরকম বড় বড় চোখে তো কেউ তাকায় না। সেজমাসি চশমা পরে, কী সুন্দর ফ্রেম ছাড়া। মুখটা যেন মমতা মাখানো। কিংবা স্কুলের রিয়া আন্টি চশমা পরে, কী সুন্দর মানায়। চশমা দিদির চশমাটা বড্ড বাজে।
    2.
    তখন বয়স বোধকরি তের হবে। সবে পাকতে শুরু করেছি। বন্ধুরাও সবসময় লাভ-প্রেম-ভালোবাসা নিয়ে গল্প করে। আমাদের মধ্যে অর্ক ছিলো এইসব বিষয়ে সবচেয়ে পাকা। ওর বড় দাদার থেকে সব জেনেশুনে এসে আমাদের কাছে বেশ রসিয়ে রসিয়ে বলতো। আমরাও কল্পসুখ করতাম বিভিন্ন জিনিস। সেবার সরস্বতী পুজোর আগের দিন বললো, "জানিস, কাল বাঙালির ভ্যালেনটাইনস ডে। কালকে প্রোপোজ করে।" আমরা বললাম, "তাই নাকি!"
    বললো, " ঠিক তাই। কাল পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে যাকে প্রোপোজ করে তার দিকে তাক করে ফুলটা ছুঁড়ে দিতে হয়।" আমি ভাবলাম বেশ বুদ্ধি তো। নীলার ওপর আজকে তাহলে ট্রাই করবো। আমাদের পাড়াতেই থাকে নীলা। আমার স্কুলেই পড়ে, ফার্স্ট হয়। প্রত্যেক বারই আমার থেকে এগিয়ে যায় কয়েক নম্বরের জন্য। সেই থেকেই একটা রেষারেষি, তা থেকেই যেন আমার ওকে কীরকম ভালো লাগে। যা ভাবা, তাই কাজ। সক্কাল সক্কাল উঠে মন্দিরে চলে গেলুম। মন্দিরটা মূলত কালি ঠাকুরের। তবে পাশে একটা বড় জায়গা করা আছে, সঙ্গে নাটমন্দির। সেখানেই সব পুজো হয়। গিয়ে দেখি, নীলা অনেক আগেই এসেছে, একেবারে সামনে গিয়ে বসেছে। পিছন থেকে নীলাকে খুব সুন্দর লাগছে। হলুদ শাড়ী, সাদা জুঁই ফুলের মালা লাগিয়েছে খোঁপাটায়। আমি ভাবলুম একবারে পিছনে গিয়ে দাঁড়াবো, ফুলটা তাক করে ছুঁড়ে দেবো। হঠাৎ-ই চোখ পড়লো নীলার পিছনের জনের ওপর। আর কেউ নয়, আমার যম: চশমা দিদি। দেখেই ভয়ে একটু কুঁচকে গেলুম, পিছনে দাঁড়ানোর চিন্তা মাথা থেকে উড়ে গেলো। এখন যদিও আগের মত ভয় পাই না, তবুও একটা না-জানা ভয় ছিলোই। আমার সমস্ত উত্তেজনা-উৎসাহ নিমেষে ফুরিয়ে গেলো। ভাবলুম এতদূর এসে পিছোলে চলবে না। নীলার খানিক পিছনে কোণাকুণি গিয়ে দাঁড়ালুম। ও লক্ষ্য না করলেও মনে হলো চশমার ফাঁক দিয়ে কেউ একটা আমাকে আপাদমস্তক দেখে নিলো। যথারীতি পুষ্পাঞ্জলি হল, এবার সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ফুলটা নীলার দিকে তাক করে দিলুম ছুঁড়ে। কিন্তু আমার বোধহয় ব্যাডলাকটাই খারাপ। হঠাৎ করে উঠে দাঁড়ালো চশমা-দিদি, আর আমার ছোঁড়া বেলপাতা সমেত সচন্দন গন্ধপুষ্প গিয়ে লাগলো চশমা দিদির পিঠে। আমি প্রায় আঁতকে উঠলাম, একটু দূরেই অর্করা দাঁড়িয়ে ফিকফিক করে হাসতে শুরু করে দিল। এদিকে চশমা দিদি কটমটে চোখ করে আমার দিকে এগিয়ে আসছে। আমি ভয়ে সিঁটিয়ে গেছি, দৌড়ে পালাবো তার উপায় নেই। পাদুটো যেন কেউ আঠা দিয়ে আটকে দিয়েছে। চশমা পরা চোখদুটো আমার আরও কাছে চলে এসেছে। আমি চেঁচিয়ে উঠলুম, " বিশ্বাস করো চশমা-দিদি, আমি ইচ্ছা করে.."। চশমাদিদি এসে খপাৎ করে হাতটা ধরল। টানতে টানতে নিয়ে গেল মন্দিরের এককোণে। দেখলুম নীলা পাশ দিয়ে মুচকি হেসে চলে গেল। যদিও সেসব ভাবার সময় নেই তখন, সামনে সাক্ষাৎ যম।
    "এই রাহুল, আমাকে সবার সামনে চশমা-দিদি বলবি না। বুঝলি?"
    আমি বেমক্কা ভাবে ঘাড় নাড়লাম। "শম্পাদি বলবি। ঠিকাছে?" আবার ঘাড় নাড়লাম। আমার হাতের বন্ধনটা মুক্ত হল। শম্পাদি হালকা হেসে চলে গেল। ততক্ষণে অর্করা এদিকে এসে গেছে। হাসতে হাসতে বলল, "কীরে কী বলছিলো?" আমি উত্তর দিলুম না। চশমা দিদির চোখে প্রথমবারের জন্য একটু উষ্ণতা দেখলুম। স্নেহময়ী দুটো চোখ, বিস্ফারিত কিন্তু যেন মায়াবী। চশমা দিদির চশমাটা অতটাও বাজে নয়।
    3.
    জীবনের আঠেরটা বছর কাটিয়ে ফেলেছি এক এক করে। প্রেম যদিও হয়নি। নীলা এখন অর্কর গার্লফ্রেন্ড। আমার সাথে ফেসবুকে যদিও কথাবার্তা হয় টুকটাক। কোনদিনও বলতে পারিনি ওকে। বোধহয় সত্যি প্রেম ছিল না। কে জানে। এদিকে আরেকটা ব্যাপার ঘটে গেছে। শম্পাদির সাথে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে গেছে। ফাঁকা সময় পেলেই বারান্দায় দাঁড়িয়ে গল্প হয় নানা বিষয় নিয়ে। কখনো পড়াশোনা, কখনো প্রেম, কখনো আবার রাজনীতি। সব বিষয়েই শম্পাদির বলা যায় অগাধ জ্ঞান। ঐ কালো মোটা ফ্রেমের চশমার পিছনে এতকিছু লুকিয়ে আছে হয়তো কোনোদিন জানতেই পারতুম না। সত্যিই তো। এরকম দিদি পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। চশমাটাকে আর একদমই বাজে মনে হয় না। মনে হয়, এটা শম্পাদির এক অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। শম্পাদি মানেই কালো ফ্রেমের চশমা, সঙ্গে একজোড়া বড় চোখ। এর বাইরে শম্পাদিকে ভাবা জাস্ট ইমপসিবল।
    "তবু আগুন, বেণীমাধব, আগুন জ্বলে কই?
    কেমন হবে আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই।"
    সেবার ছিল পাড়ার বিজয়া সম্মিলনী। শম্পাদির গলায় এই প্রথম আবৃত্তি শুনলুম। চশমার পিছনে ঐ চোখের আড়ালে এমন এক নষ্ট মেয়ের উপাখ্যান। হঠাৎ-ই নিজেকে দুর্বল মনে হতে লাগলো। শম্পাদি স্টেজ থেকে নেমে এগিয়ে আসছে এদিকে। প্রথম যেন চশমা ছাড়া শম্পাদিকে দেখলুম। লম্বা, নির্মেদ শরীরটা একটা সর্পিল গতিতে এগিয়ে আসছে আমার দিকে। আমার সদ্য যৌবনের অপাপবিদ্ধ মনে কীসের যেন দোলা লাগলো। শম্পাদিকে যেন রূপের কোন এক দেবী লাগছে। সিফনের শাড়িপাশে বাঁধা কোন এক রাজকুমারী। পক্ষীরাজ ঘোড়ায় চেপে কোন রাজকুমার ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে যেন।
    "রাহুল, অ্যাই রাহুল", শম্পাদির ডাকে ভ্যাবাচাকা খেয়ে বলে উঠলাম, "অ্যাঁ?"
    "কী ভাবছিস?", এবার তাকালাম ওর মুখের দিকে। চশমার মধ্যেও ঐ একজোড়া চোখ কত সুন্দর। একটা উষ্ণতার হল্কা যেন বেরিয়ে আসছে পলকে পলকে। আর ঐ ঠোঁটের কোণের হাসি আবার যেন নতুন করে চিনলুম। অপূর্ব কোন স্বপ্নদৃশ্য মনে হচ্ছিল।
    "তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে", নিজের অজান্তেই কথাগুলো বেরিয়ে এল মুখ দিয়ে। শম্পাদি খানিকটা হতভম্ব হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে রইলো। তারপর হঠাৎই , "ধ্যাৎ" বলে হেসে চলে গেল। আমি কতকটা বাকস্তব্ধ হয়ে বসে পড়লুম চেয়ারে।
    তারপর বেশ ক'দিন শম্পাদির সাথে কথা হয়নি। ওরা কোথায় যেন ঘুরতে গ্যাছে। আমারো ল্যাদ ল্যাদ পাচ্ছে খুব। কিন্তু মন থেকে কিছুতেই মুছে ফেলতে পারছি না ঐ লাইনদুটো: "আমিও যদি নষ্ট মেয়ে হই" । মাথা থেকে বাদ দিতে পারছিনা। হঠাৎ-ই মাথায় একটা ভাবনা এলো। আমি কি তবে শম্পাদির প্রেমে পড়লুম। তারপরই মনে হল না না হতেই পারেনা। ছ'বছরের বড় হয় আমার থেকে। কীসব ভাবছি। ধুস।
    4.
    তিনদিন পরে শম্পাদিরা ফিরল। বিকালে দেখি শম্পাদি বারান্দায় দাঁড়িয়ে। আমি বেশ হাসি হাসি মুখ করে জিজ্ঞেস করবো বলে বারান্দায় গেলুম, " কেমন ঘুরলে?" কিন্তু গিয়ে দেখি শম্পাদির মুখটা কীরকম একটা থমথমে। সেই হাসি হাসি ভাবটা নেই। ঢোঁক গিলে জিজ্ঞেস করলুম, "কী হয়েছে?" ভাবলেশহীন গলায় উত্তর এল, " আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। সামনের মাঘেই।"
    শুনে মাথাটা ঝিমঝিম করে উঠলো কেমন একটা। পায়ের তলার মেঝেটা যেন সুড়ুৎ করে সরে গেল। তাও অবলীলাক্রমে মুখ দিয়ে বেরিয়ে এলো, " এ তো দারুণ খবর!"
    তারপর থেকে আর শম্পাদির সাথে সেরকম কথা হয়নি এক-দু'দিন ছাড়া। দেখতে দেখতে চলে এল, মাঘ মাস। বিয়ের দিন। অনেক আনন্দ করবো করবো ভেবেও করা হলোনা। পরদিন যাওয়ার আগে শম্পাদি আমাকে জড়িয়ে ধরলো। "ভাই, খুব মিস করবো তোকে।"
    আমার চোখের কোণটা চিকচিক করে উঠলো। শম্পাদি আমার এত কাছে থেকেও যেন কত দূরে। বললুম, " একটা জিনিস দিবি?" শম্পাদির চোখে সম্মতির লক্ষণ দেখলুম। কাঁদো কাঁদো গলায় বললাম," তোর চশমাটা!"
    শম্পাদি আরও একবার আমাকে জড়িয়ে ধরলো।
  • sosen | 177.96.***.*** | ১৯ এপ্রিল ২০১৬ ০০:৪৭707235
  • বেশ গল্প
  • Prativa Sarker | ১৬ মে ২০১৬ ০৬:৪৯707236
  • একদম অপাপবিদ্ধ কৈশোরের গল্প। কত যে পালটে যায় সবকিছু ! এই মনটাই বিলকুল উবে যায় ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন