এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • গবেষনাতে ছাঁট- ভারতের সব্বোনাশ করেদিল মুদি সরকার

    bip
    অন্যান্য | ২৯ অক্টোবর ২০১৫ | ৮১৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ | 81.244.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৫ ০৭:২১686192
  • মোদি এবং তার সুযোগ্য সেনারা কি ভাবেন জনগণকে যা খুশী খাওয়ানো যায় মিডিয়া ক্যাম্পেইন দিয়ে? লোকে কিছু বুঝবে না?

    মোদির এই উত্থানের পেছনে, লোকজনের "আশার" ভূমিকা ছিল সর্বাধিক। যে দেশে কিছুই হয় না- সব না এর দেশে যদি লোকটা কিছু করতে পারে! এবার ত দেখা যাচ্ছে উনি করার থেকে দেশের ক্ষতি করে দিলেন বেশী!

    শিক্ষা এবং গবেষনা হচ্ছে একটা জাতির মেরুদন্ড। শুনলাম মোদির পেয়াদারা ঘোষনা করেছেন এবার থেকে রিসার্চের টাকা ল্যাবেটরীগুলিকে নিজেদেরই জোগার করতে হবে! সি এস আই আর কে দেওয়া অনুদানের পরিমান অর্ধেক করা হচ্ছে! যাদের নেট নেই, তারা ফেলোশিপ পাবে না!

    প্রথম কথা হচ্ছে এগুলো আমেরিকাতে সম্ভব কারন এখানে প্রতিটা ফেডারেল এজেন্সি তাদের বাজেটের ৩% গবেষনা এবং নতুন প্রজেক্টের জন্য ছোট কোম্পানী গুলিকে দিতে বাধ্য। এটাকে এস বি আই আর গ্রান্ট বলে যা আমেরিকার অনেক গবেষককে বাঁচিয়ে রেখেছে। এখানেও প্রাইভেট রিসার্চ গ্র্যান্ট খুব কম- অধ্যাপকদের নানান ফেডারেল এজেন্সি থেকেই গ্র্যান্ট আনতে হয়। ভারতে ত এসব কিছুই নেই প্রায়। তাহলে অধ্যাপকরা নিজেদের গ্র্যান্ট পাবে কোত্থেকে? অধিকাংশই রিসার্চ বন্ধ করে দেবে। কারন ভারতে আমেরিকার মতন অধ্যাপকদের বাজে পারফর্মান্সের জন্য তাড়ানো হয় না। তারা ফালতু কষ্ট করে গ্র্যান্ট আনতে যাবেই বা কেন? মাঝ খান থেকে ভারতের গবেষনার বারোটা বাজবে।

    ফালতু পেপার পাবলিকেশনের জন্য গবেশনা বন্ধ করে একাউন্টাবিলিটি আনা উচিত। এটা একদম ঠিক কথা। ভারতে ১৫০ টা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অথচ ভারতের কৃষকদের জন্য তাদের বলার মতন কোন প্রোডাক্ট নেই-এই সব প্রশ্ন উঠুক। গবেষনাতে একাউন্টিবিলিটী বাড়ুক। যেসব অধ্যাপকরা শুধু পাবলিকেশনের জন্য গবেষনা করে, তাদের গ্র্যান্ট কেড়ে নেওয়া হৌক। গবেষনার টাকা ভারতের গরীব লোকেদের জন্য, ভারতের সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হৌক। এগুলোতে আপত্তি নেই। এটাই হওয়া উচিত। কিন্ত গবেষনার টাকা কমালে, গোটা জাতির সর্বনাশ হবে। কারন স্কিলড ম্যানপাওয়ার না তৈরী হলে, নতুন প্রযুক্তিতে শিক্ষিত ম্যানপাওয়ার না থাকলে- কোন বহুজাতিক আসবে ?

    ভারত কেন আমেরিকাতেও শিল্প সংস্থাগুলি বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনাতে তেমন কিছু ইনভেস্ট করবে না। এর অনেক কারন আছে। কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলি নতুন কিছু তৈরী করলে, শিল্প সংস্থাগুলি সেটিকে প্রোডাক্টাইজ করতে পারে। তাতে বিশ্ববিদ্যালয় লাভ করতে পারে। আমাদের এখানে জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবছর প্রায় ৮০০০ কোটি টাকার লাইসেন্স বেচেছে। কিন্ত এই একই বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষনার জন্য সরকারি ফান্ডিং এর ওপর নির্ভরশীল বেশী।

    রিসার্চ একাউন্টিবিলিটির যে মডেলটি উন্নত বিশ্বে প্রমানিত-সেটি হচ্ছে সরকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে টাকা দেবে। তবে হ্যা, সেই গ্র্যান্ট গুলিও কম্পিটিশনের মাধ্যমেই পেতে হবে। তার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি প্রযুক্তি বা জ্ঞান তৈরী করবে, যা ইন্ডাস্ট্রি কিনবে। তার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় টাকা পাবে এবং কোন গবেষনা কত বেশী মার্কেটে গেছে, কত বেশী লোকের উপকারে এসেছে, সেটার ইতিহাস দেখে সরকার সফল গবেষক এবং গবেষনাগারগুলিকে আরো বেশী গ্রান্ট দেবে।

    বেসিক্যালি মোদি সরকারের সব থেকে বড় সমস্যা হচ্ছে চিন্তা ভাবনা করার লোক একদম নেই। সব দিকে ছড়াচ্ছে। ভারতের আরো ক্ষতি হচ্ছে এবং হবে। উনার উচিৎ পার্টির লোকগুলোকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বাড় করে পেশাদার লোকেদের এনে স্ট্রাটেজি তৈরী করা। কংগ্রেস কিন্ত সেটাই করত। পার্টির লোকদের শুধু রাস্তায় নামাত-আর দেশ চালানোর জন্য মনমোহনের মতন লোকেদের পেশাদার জগত থেকে আনা হত। আমার ত মনে হয়, সেই মডেলটা তাও চলছিল। বর্তমানে পার্টির লোকেদের দিয়ে কাজ চালাতে গিয়ে, মোদি যে উদ্দাম ছড়াচ্ছেন, তা নিয়ে আমার কোন সন্দেহ নেই।
  • ranjan roy | 229.64.***.*** | ২৯ অক্টোবর ২০১৫ ০৮:৪৫686193
  • এটা খাঁটি কথা। বিপ ও ঈশানের সঙ্গে একমত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন