এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনন্ত বিজয় দাশকেও ওরা মেরে দিল

    bip
    অন্যান্য | ১২ মে ২০১৫ | ২৫৫৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • দেব | 133.63.***.*** | ১৫ মে ২০১৫ ১৩:১১677205
  • অনন্ত বিজয়ের লেখা প্রথম পড়েছিলাম কয়েক বছর আগে, মুক্তমনায়। "ইসকনের জৈববিবর্তন পাঠ" - বলে একটা লেখা। ভাল লেগেছিল।

    বিপ্লব পালের মতন চিন্তাধারার লোকেদের এপ্রোচটার সঙ্গে সহমত নই। বাংলাদেশের আসল সমস্যা ধর্ম নয়, সীমাহীন দুর্নীতি ও অপশাসন। ধর্ম তাতে আরেকটা লেয়ার যোগ করে।

    আওয়ামী লিগের নিজস্ব লেজিটিমেসীই নেই বাংলাদেশে। কোদ্দিয়ে দেবে সাপোর্ট? এই নিয়েও কোনদিন বিপ্লব পালের মাথাব্যাথা দেখিনি। মিস করে থাকতে পারি অবশ্য।
  • bip | 79.138.***.*** | ১৬ মে ২০১৫ ১০:৫৫677206
  • অভিজিতের মৃত্যুর পরে গর্জে উঠেছিল হাজারো কন্ঠ-প্রত্যাশা ছিল রাষ্ট্র এবং শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা মিলে কোনঠাসা করে দেবে ধর্মীয় সন্ত্রাসবাদিদের। ওয়াশিকার রহমান বাবুর খুনের পর বাংলাদেশের রাজপুত্র জানালেন, তিনি আসলেই ভোটপুত্র। নাস্তিকেদের খুনীরা যেহেতু গুরুত্বপূর্ন ভোটব্যাঙ্ক, রাষ্ট্র নাস্তিক খুনের ক্ষেত্রে নীরব দর্শক থাকবে। সেইদিনই উৎসাহিত সন্ত্রাসবাদিরা খুন করলো অনন্তবিজয় দাশকে।

    সেই সব গর্জে ওঠা প্রতিবাদি কন্ঠে আজ সুর বদল। ভীতু ইঁদুরের মতন গর্তে ঢুকে গেছে। সবাই আমাকে বলছেন -অভিজিত বা অনন্তরা কিন্তু বড্ড র‍্যাডিক্যাল ছিল! কি দরকার ছিল ইসলামিক ধর্মানুভূতিতে আঘাত করার ? ধর্মানুভূতিতে আঘাত করে তোমরা ( মুক্তমনারা ) কি উপকার করছ মুসলিম সমাজের?

    প্রশ্নটি যৌত্বিক । উত্তর আরো সোজা। ধর্মানুভূতি যে সমাজে প্রবল-বস্তবাদি উন্নয়নের রাজনীতি সেখানে অসম্ভব। পশ্চিম বঙ্গের রাজনীতিই ধরুন। যে পার্টি যত ইসলামিক মৌলবাদের হেগো পোঁদ চাটতে পারবে, মুসলিম ভোটের জোরে তারাই ক্ষমতাই আসবে। চিটফান্ডের জেরে পশ্চিম বঙ্গে সংসারের পর সংসার ছারখার হয়ে গেল-অথচ যে পার্টির চৌর্য্যবৃত্তির জন্য আজ রাজ্যবাসীর এই সব্বোনাশ, তারা মুসলিম ভোট এবং গুন্ডাদের কৃপায় মসনদে বহাল তবিয়তে। হ্যা, কারন সেই ধর্মানুভূতি। বিজেপির বাড়ন্ত-কারন সেই ধর্মানুভুতি। অভিজিত বা আমি বা মুক্তমনার কোন সদস্য বস্তুবাদি প্রাপ্তির আশায় এসব লিখি নি। বরং প্রান হাতে নিয়েই সত্য কথাগুলো আমরা লিখেছি।

    এই কণ্ঠ বদলে আমি বিস্মিত নই । এল্যান ব্লুম লিখছেন বুর্জোয়াদের সঠিক সংজ্ঞা জান ? বুর্জোয়া হচ্ছে সেই লোক যে মৃত্যুভয়ে সর্বদা এত ভীত সব সময় "কায়দা করে" নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত [
    Nietzsche, Nihilism and the Philosophy of the Future-পেজ ৬৯ ] ।
    সুতরাং যখন এটা পরিস্কার রাষ্ট্রযন্ত্র এবং সাধারন মুসলিমরা নাস্তিক খুনের পক্ষে, পরিস্কার দেখতে পাচ্ছি-ফেসবুকের অধিকাংশ নাস্তিক প্যান্ট ভিজিয়ে ফেলেছে। আফটার অল এই খুনীদের নেটওয়ার্ক সর্বত্র। অসংখ্য টেটর সেল। এরা সবাই আত্মঘাতী জঙ্গী। ওপরতলার নির্দেশ এলেই কোতল করতে নেমে যাবে।

    মুশকিল হচ্ছে সেই ভয়ের কথা বলতে পারছে না -এখন শুরু করেছে অভিজিত রায়, বাবু, অনন্তের চিন্তাধারা নাকি র‍্যাডিক্যাল ছিল!! এগুলো ডাঁহা মিথ্যে কথা। অভিজিত রায় কোন বিকল্প রাজনীতি বা সমাজের কথা লিখে যায় নি। অনন্ত বিজ্ঞান নিয়েই লেখালেখি করত। এরা বন্দুক হাতে কাউকে মারতে বলেছে? বলেছে জীবন , রাষ্ট্র বা সমাজের উদ্দেশ্য এই হওয়া উচিত? যেমনটা কমিনিউস্ট বা ধর্মীয় র‍্যাডিক্যালরা বলে? এরা শুধু ধর্মের নামে ধাপ্পাবাজি গুলো চোখ খুলে দেখিয়েছে।

    ধর্মের ধাপ্পাবাজি, কুসংস্কার তুলে দেখানো-বিজ্ঞানের চর্চা কবে থেকে র‍্যাডিক্যাল চিন্তাধারা হল ??

    ন্যা-এগুলো মোটেও র‍্যাডিক্যাল না । র‍্যাশানাল চিন্তাধারা। আর আসল সত্যটা হল, বুর্জোয়াদের আসল ভীত রূপটা এখন বেয়াব্রু। সরি এতগুলো মহৎ প্রানের দুবার মৃত্যু আমি হজম করতে পারবো না ।

    ভয় অবশ্যই সবার আছে। কিন্ত ধার্মিক উগ্রপন্থীরা যদি মৃত্যুভয় জয় করে থাকে, আর নাস্তিকরা যদি মৃত্যুভয়ে সর্বদা ভীত থাকে, তাহলে ত বলতেই হবে, যে দর্শন মৃত্যুভয় দূর করেছে -সেই দর্শন অনেক বেশী শক্তিশালী! তা সে দর্শনে যতই জল থাকুক না কেন! আফটার অল লাইফ একটা এক্সিডেন্ট ।জীবনের কোন পরম উদ্দেশ্য নেই । একজন প্রকৃত এথিইস্ট মৃত্যুভয়ে ভীত হতে পারে না -কারন যে জীবনের কোন উদ্দেশ্য নেই -সেই জীবন থাকা বা না থাকার মধ্যে তাহলে পার্থক্যটা কি? পার্থক্য খুব সামান্য। যেটুকু সময় বাঁচছি, সেইটুকু সময় জীবনটাকে কোন মহৎ উদ্দেশ্যে কাজে লাগাতে পারছি কি না ।

    ইতিহাসের শিক্ষা এটাই- যে দর্শন যুক্তিতে বা বুদ্ধিতে বা মানবতায় সেরা -- সেই দর্শন সামাজিক বিবর্তনে নির্বাচিত নাও হতে পারে । যে দর্শনের মিলিটারী ক্ষমতা বেশী, রিপ্রোডাক্টিভ ফিটনেস বেশী, সেই দর্শন বিবর্তনের নিয়মে জয়ী হয়। যুক্তিবাদি বিজ্ঞানমুখী দর্শনের পেছনে কোন মিলিটান্সি বা মিলিটারী ফোর্স না থাকলে, বিজ্ঞান মুখী সমাজ আসবে না । ইউরোপ বা আমেরিকাতে বিজ্ঞানমুখী সমাজ বিবর্তিত হয়েছে এর মূল কারন এই সমাজগুলি কলোনী দখলের জন্য উন্নত মিলিটারী এবং যন্ত্রশিল্পের ওপর নির্ভর ছিল এক সময়। সুতরাং আজকের যে ধর্মীয় উগ্রবাদি তৈরী হয়েছে, তাদের ডান্ডা না মারা পর্যন্ত আটকানো যাবে না । যুক্তি, লেখা, ফেসবুক স্টাটাসে কিছু হবে না । প্রশ্ন হচ্ছে বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে ? উত্তর লুকিয়ে আছে সেই মার্কেটে। মার্কেট যদি দেখে, উগ্রপন্থার জন্য সে বাংলাদেশে বাণিজ্য করতে পারছে না -এবং শেখ হাসিনা উগ্রপন্থী দমনে ব্যর্থ, আব্দেল সিসির মতন মিলিটারী শাসক বসিয়ে, মার্কেট নিজের প্রয়োজনে উগ্রপন্থী ক্লীন করবে।

    মার্কেট নিজের প্রয়োজনে এই উগ্রপন্থীদের তৈরী করেছে-নিজের প্রয়োজনেই সে তাদের ধ্বংস করবে। এটাই নির্মম বাস্তব। আমরা শুধুই কুর্ম অবতার।
  • Atoz | 161.14.***.*** | ১৭ মে ২০১৫ ০১:০১677207
  • এই তো, মার্কেট এসে গ্যাছে।
    ইয়া আ আ আ হু।
    ঃ-)
  • ranjan roy | 192.69.***.*** | ১৭ মে ২০১৫ ০১:০৭677208
  • হে ভগবান!
    সেই সর্বশক্তিমান মার্কেট! আরে আগে আম্রিকার ইকনমিকে উদ্ধার করুক! মানবমনের গুঢ় প্রকোষ্ঠে যে অন্ধকার বাসা বেঁধে আছে যার ফলশ্রুতিতে "Thou shall not kill", বা মা মা হিংসী আদিযুগ থেকে উচ্চারিত হলেও হননযজ্ঞ চলছেই চলছে-- তার থেকে মানুষকে উদ্ধার করবে মার্কেট! মোগল-পাঠান হদ্দ হল ফার্সি পড়ে তাঁতি!
  • ranjan roy | 192.69.***.*** | ১৭ মে ২০১৫ ০১:০৯677209
  • তবে বিপদার একটা কথা খাঁটি।
    আমাদের আরও মরবার জন্যে তৈরি থাকতে হবে।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন