এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিরিয়া থেকে গৃহযুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ছে ইরাকে

    সৌভিক
    অন্যান্য | ০৭ জুলাই ২০১৪ | ৫৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সৌভিক | 24.99.***.*** | ০৭ জুলাই ২০১৪ ২১:৫৫648035
  • মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল আকার ধারণ করছে। সিরিয়ায় অনেকদিন ধরেই গৃহযুদ্ধ চলছিল। সম্প্রতি তা ছড়িয়ে পড়েছে ইরাকে। এই যুদ্ধকে শিয়া সুন্নি দ্বন্দ্ব হিসেবেই মূলত দেখা হচ্ছে। যে সংগঠনটি এই গৃহযুদ্ধে সিরিয়া এবং ইরাকে অধিষ্ঠিত সরকারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে পুরোভাগে রয়েছে তার সংক্ষিপ্ত নাম ‘আই এস আই এস’। পুরো কথাটি হল ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া/আল সাম। এরা মূলত সুন্নি মুসলিম মতবাদে বিশ্বাসী এক জঙ্গী গোষ্ঠী। সিরিয়া ও ইরাক - দু দেশেই এরা যে শাসকদের বিরুদ্ধে লড়ছে তারা শিয়া গোষ্ঠীর। প্রসঙ্গত মনে রাখার ইরাকে শিয়ারা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও সিরিয়াতে সুন্নিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ।
    শিয়া সুন্নি বিরোধের বহু শতাব্দী ব্যাপী ইতিহাস আছে এবং বিভিন্ন সময়ে তা নতুন নতুন প্রেক্ষাপটে আত্মপ্রকাশ করে। সাম্প্রতিক সময়ের গৃহযুদ্ধে মার্কিন আগ্রাসন, সুন্নি শাসক সাদ্দামের পতন, অতঃপর আমেরিকাপন্থী নয়া শিয়া শাসকের জমানার সূত্রপাত যেমন প্রভাব ফেলেছে, তেমনি আরব বসন্ত, বিশেষত সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ প্রত্যক্ষভাবে ইরাকের ঘটনাবলীকে প্রভাবিত করেছে।
    ২০০১ এ মার্কিন মুলুকে বিমান হানার পর তার একদা সোভিয়েত বিরোধী লড়াই এর সঙ্গী আল কায়দা ও তাদের আশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। প্রথম আক্রমণ হয় আফগানিস্থানে তালিবান শাসকদের ওপর। দু বছর পরেই রাসায়নিক অস্ত্র রাখার মিথ্যা অভিযোগে সে হামলা চালায় সাদ্দাম হোসেন এর শাসনাধীন ইরাকে। মধ্যপ্রাচ্যের অধিকাংশ বশংবদ শাসকদের মত সাদ্দাম আমেরিকার হুকুম তামিল করতে রাজি হচ্ছিলেন না। বিশেষত কেবলমাত্র ডলারেই তেলের বাণিজ্য করতে হবে এ ফতোয়ার বিরুদ্ধে যাওয়াই একদা মিত্র সাদ্দামের বিরুদ্ধে আমেরিকাকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করে। আফগানিস্থান বা ইরাক কোনও যুদ্ধই আমেরিকা সহজে জিততে পারে নি, বরং কোটি কোটি ডলার অর্থব্যয় করে শেষমেষ সে সেখান থেকে তার সেনা নিয়ে চলে আসতে বাধ্য হয়। তার বসানো এবং অনুগত পুতুল সরকারেরা দেশের বৃহৎ সংখ্যক মানুষের আস্থাশীল হয় নি এবং লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর পরও সেখানে রাজনৈতিক অস্থিরতা এখন পুরো মাত্রায় বিদ্যমান। দেশ দুটি আক্ষরিক অর্থেই বারুদের স্তুপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
    মার্কিন আগ্রাসন ছাড়া সাম্প্রতিক ইরাক পরিঘটনার পেছনে সুগভীর প্রভাব ফেলেছে আরব বসন্ত। ২০১১র শুরু থেকে ভূমধ্যসাগরীয় দেশগুলোতে বহু বছরের একনায়ক স্বৈরতন্ত্রী শাসকদের বিরুদ্ধে জনগণের সোচ্চার সক্রিয় প্রতিবাদের ঢেউ ওঠে। তিউনিশিয়া, মিশর, ইয়েমেন, জর্ডন, আলজেরিয়া ইত্যাদির মতো এর শরিক হয় সিরিয়াও।
    এখানেই পরিস্থিতি সবচেয়ে অস্থির, সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী, সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদী সংকটের জন্ম দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই সিরিয়াতে গৃহযুদ্ধ চলছে, যাতে কম করে তিরিশ হাজার মানুষ নিহত এবং দশ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের আঁচই ক্রমশ ছড়িয়েছে ইরাকে।
    ইরাকে গৃহযুদ্ধের প্রধান শক্তি ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া (আই এস আই এস) তার শক্তি সংহত করে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়ে। তাদের প্রধান নেতা আবু বকর আল বাগদাদি সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের মধ্য দিয়েই সংগঠনের নেতার আসনে চলে আসেন। অনেকগুলো শক্তি মিলিত হয়ে আই এস আই এস এর জন্ম হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মুজাহিদিন সুরা কাউন্সিল, ইসলামিক স্টেট অব ইরাক, আল কায়দা ইন ইরাক, জেইস আল তাইফা আল মানসুরা এবং বিভিন্ন সুন্নি মতাবলম্বী উপজাতি। সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে সে দেশে সুন্নি মতাবলম্বীদের অবস্থা ক্রমশ খারাপ হয়েছে। শিয়া শাসক বিরোধী লড়াইয়ে সুন্নি মতাবলম্বীদের মধ্যকার এই ক্ষোভকে আই এস আই এস ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছে।
    ইরাকে গৃহযুদ্ধের সূত্রপাত ২০১৩ র ডিসেম্বর মাস থেকে। ২০১৪ র জানুয়ারী মাসে আই এস আই এস মিলিশিয়া ফাল্লুজা আর রামাদি দখল করে নেয়। এর ফলে আনবার প্রদেশটির নিয়ন্ত্রণ তাদের হাতে চলে আসে। ইরাকি সেনাবাহিনীও আনবারে তাদের হামলা বাড়াতে শুরু করে। এই সময় ইরাকের প্রধানমন্ত্রী নৌরি আল মালিকি এক বিতর্কিত বক্তৃতায় পরিস্থিতিকে আরো জ্বলন্ত করে তোলেন। ৭ম শতকে সংঘটিত হুসেন এবং ওয়াজিদ এর মধ্যে লড়াইয়ের ধারাবাহিকতাতেই এই লড়াই হচ্ছে, একথা বলে তিনি দীর্ঘ লালিত শিয়া সুন্নি বিতর্ককে আরো উসকে দেন। এই বক্তৃতার আগে সুন্নিদের একাংশ আনবারের লড়াই এ ইরাকি সেনাকেই সমর্থন করছিল। কিন্তু এরপর তারা পুরোপুরি আই এস আই এস এর পক্ষে দাঁড়িয়ে যায়। প্রথমদিকে পশ্চিমদিকে আবদ্ধ থাকলেও ক্রমশ আই এস আই এস ইরাকের মধ্য ও উত্তর অংশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। জুনের প্রথম থেকেই আই এস আই এস তাদের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ঘটাতে থাকে। ৫ জুন তারা সামাররা শহর দখল করে নেয়। ৬ জুন তারা মুসৌল আক্রমণ করে। ইতোমধ্যেই আই এস আই এস এর সাথে কুর্দ স্বায়ত্ত শাসনাধীন অঞ্চল ও তার সেনাবাহিনীর লড়াই শুরু হয়ে যায়। ১১ জুন আই এস আই এস তেল সংশোধনাগারের শহর বাইজি আক্রমণ করে। সেদিনই তারা তিরকিত দখল করে নেয়। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য তিরকিত ছিল সাদ্দাম হুসেনের জন্মস্থান ও বিকাশের এলাকা। ১২ জুন তারা উধাইম নামক একটি ছোট শহরের দখল নিয়ে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের ৯০ কিমির মধ্যে চলে আসে।
    ১৩ জুন থেকে ইরাকি সেনাবাহিনী, কুর্দদের বাহিনী এবং ইরানের ‘রিভোলিউশনারি গার্ড’ রা মিলিতভাবে আই এস আই এস বিরুদ্ধে অস্ত্র শানাতে থাকে। বাগদাদ থেকে অতিরিক্ত সেনাবাহিনী এসে সামাররা পুনরুদ্ধার করে। সালাউদ্দিন প্রদেশ পুনরুদ্ধারের দাবিও তারা করেছে। ওইদিনই ইরাকের সর্বোচ্চ শিয়া ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি সিসতানি যুদ্ধের ডাক দিলে একদিনের মধ্যেই তৈরি হয় বিরাট মিলিশিয়া। ইরাকের সেনার পাশাপাশি তারাও আই এস আই এস এর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।
    আই এস আই এস এই সময় থেকে চোরাগোপ্তা অসংখ্য ছোটখাট হামলা ও অপহরণের রাস্তা গ্রহণ করে। মুসৌলের এক তুর্কি কোম্পানীতে কর্মরত চল্লিশজন ভারতীয় নাগরিককে তারা অপহরণ করে। অনেক ভারতীয় নার্সকেও অপহরণ করা হয়। ২৩ জুন আই এস আই এস বড় ধরণের সাফল্য পায়। ওইদিন তারা তাল আফার বিমানবন্দরের দখল নিয়ে নেয়। ২৯ জুন আই এস আই এস এর নাম পরিবর্তন করে শুধু ইসলামিক স্টেট বা আই এস করে নেয়। ঘোষনা করে নয়া খিলাফৎ এর। আবু বকর আল বাগদাদিকে খলিফা হিসেবে ঘোষণা করে তারা বিশ্বের সমস্ত মুসলিমের কাছে এর স্বীকৃতির জন্য বার্তা পাঠায়। তারা শুধু সিরিয়া বা ইরাকেই নয়, এক বিস্তৃত ভূখণ্ড জুড়ে তাদের শাসন কায়েম করতে চায়। সমগ্র মুসলিম সমাজ তাদের খিলাফৎ এর ঘোষিত লক্ষ্য হলেও আপাতত ইরাক, সিরিয়া ও তার সংলগ্ন অঞ্চলই তাদের নিশানার মধ্যে আছে, যার মধ্যে পড়ে সমগ্র লেভান্ট অঞ্চল অর্থাৎ জর্ডন, ইসরায়েল, প্যালেস্টাইন, লেবানন, দক্ষিণ তুর্কি এবং সাইপ্রাস।
    ইরাকের গৃহযুদ্ধ কোনদিকে গড়াবে তা বলা শক্ত। সিরিয়ার গৃহযুদ্ধের সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা এবং ইরাকের ঘটনার গতিপ্রকৃতি থেকে আশঙ্কা হয় এই রক্তক্ষয়ও দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে। বিশেষত আন্তর্জাতিক মহলও যখন ইরাক ও সিরিয়ার পরিস্থিতি নিয়ে কোনও ঐক্যমত্যে পৌঁছতে পারে নি। মুসলিম বিশ্ব গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে গেছে। সুন্নিপ্রধান সৌদি আরব, তুর্কি এবং কাতার বিদ্রোহীদের সমর্থন করেছে। অন্যদিকে ইরাণ এবং লেবাননের হিজবুল্লা গোষ্ঠী সরকারের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। সিরিয়ার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি আরব লিগ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাষ্ট্রসংঘ সিরিয়ার শাসকদের আক্রমণ করলেও চীন এবং রাশিয়া সিরিয়া সরকারের পক্ষেই দাঁড়িয়েছে। ইরাকের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মহল ইপ্সিত এবং দ্রুত কোনও শান্তির সমাধান হাজির করতে পারে কিনা, সেদিকেই সবাই তাকিয়ে আছেন।
  • দেব | 59.136.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৪ ০৯:২০648038
  • সে এখন আর কুমিরের কান্না কেঁদে কি লাভ আছে বলুন তো? লোকে তো শুরুতেই পই পই করে বারণ করেছিল -

    "......এই দেশগুলি থেকে স্বৈরতন্ত্র হটাতে গেলে, তা সে মিলোসেভিচ বা সাদ্দাম বা খোমেইনি বা যেই হোক না কেন, দেশগুলিতে স্বতস্ফূর্ত গণআন্দোলনকে সমর্থন না করাই একমাত্র উপায়। তা না করে গায়ের জোরে এদের ক্ষমতাচ্যূত করতে গেলে পরিস্থিতি আরো বেশী খারাপ হবে......"

    কথাটা যিনি বলেছিলেন তিনি বলেছিলেন ২০০২ সালে। আফগান যুদ্ধের প্রসঙ্গে। সেই "বেশী খারাপ পরিস্থিতি", এজ ওয়ার্নড, আজ এসে হাজির। এখন ন্যাকামো করে কি লাভ?

    এই রইল লিঙ্ক। ৫৪ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের মাথায় -

  • pi | 192.66.***.*** | ০২ আগস্ট ২০১৫ ০০:২৪648043
  • এখানেই থাক। রাতুলের একটা পোস্ট।

    'এখনও কিছু স্বপ্ন ‘শপিং মলে’র রাস্তা ভেঙ্গে হাঁটে, এখনও কিছু মগজ কারফিউ এড়িয়ে বা-দিকের বুক পকেটের নীচে বেলুন হয়ে ফাটে।তাই বোধহয় দেওয়ালের গায়ে কান পাতি আজও...
    শ্রীজাত, চাকরি-বিপ্লব, কামাল, ইয়াকুব, ফাঁসি এসব পেরিয়ে বিগত কয়েকদিন এ সুরুক এর হত্যাকাণ্ডের এর খবরটা খুব একটা আমাদের কাছে এসে পৌছয়নি। কোবানির কাছে তুর্কি সিরিয়ার সীমান্ত শহর সুরুকে ওরা খুন হয়েছে। ওরা মানে মুরাত, শেহরাত, দিলেক, সুলেমান, আরও অনেকে, ওরা SGDF নামের একটা লড়াকু ছাত্রছাত্রী সংগঠনের কর্মী ... স্পেনের ফ্রাঙ্কো বিরোধী লড়াই এর গল্প শুনেছিলাম, সাত সাগর পেরিয়ে ফ্যাসিস্ট ফ্রাঙ্কো এর বিরুদ্ধে লড়তে গিয়েছিল অনেক অরওয়েল, কবিতা আর তত্ত্ব লেখা বাকি রেখে স্পেনের মাটিতে শহীদ হয়েছিল অনেক কর্ডয়েল, অনেক দাভিদ গেস্ট। গল্প শুনেছি নরমান বেথুন আর কোটনিশের। ‘পিতামহ ভীষ্মেরা’ বলেন তখন সময়টা আলাদা ছিল। কিন্তু আজও এই ‘নোনাসময়ের’ বুকে দিলেক, মুরাত ওরা লড়তে গিয়েছিল, লড়তে গিয়েছিল নিজের দেশের গণ্ডি ছেড়ে কুর্দ সীমানায় ISIS এর বিরুদ্ধে। ওদের দেশে তুর্ক আর কুর্দ দের সম্পর্কটা বিষিয়ে যাচ্ছে ক্রমশ, এদেশের হিন্দু আর মুসলিম দের মতন। ওদেশের রাস্তা ঘাটে ফিসফিসানি শোনা যায়, কুর্দদের শায়েস্তা করতে তুর্কি সরকার তলায় তলায় মদত যোগায় ISIS কে। দিলেকরা সেই মদত ভাঙতে গিয়েছিল, ওরা কুর্দ ছেলেমেয়েদের সাথে কাধে কাধ রেখে মধ্যযুগীয় মৌলবাদি ISIS কে রুখতে গিয়েছিল। ঠিক যেভাবে ওরা গত বছর পথে নেমেছিল দেশের স্বৈরাচারী শাসক এরদোগান এর বিরুদ্ধে Gezi Park এর লড়াই এ।
    তুর্কি- কুর্দ বিভাজন এড়িয়ে সুলেমান, শেহরাত দের লড়াই নতুন খুসবু আনছিল কোবানি-সুরুক এ। সীমান্তের কাঁটাতার পেরিয়ে সুলেমান- শেহরাত দের লড়াই আবার নতুন ফুল ফোটাচ্ছিল কোবানির মরুভুমিতে। ISIS ভয় পেয়েছিল, তুর্কি সরকার ভয় পেয়েছিল নতুন এই সংহতিতে। তাই গভীর রাতে সুরুক শহর এ ওদের ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমারু এসেছিল.
    আঙ্কারা ইউনিভার্সিটি থেকে লড়তে আসা সাহসী মেয়ে শেহরাত শেষ কবিতায় লিখেছিল যুদ্ধ বিদ্ধস্ত বাচ্চাদের জন্য এক হাতে খেলনা আর আর এক হাতে বন্দুক নিয়ে ISIS ঘেরা কোবানি শহরে সবার আগে ঢুকবে ও। শেহরাত এর কোবানিতে আর ঢোকা হবে না, কিন্তু বিশ্বাস করুন ওর স্বপ্নটাকে নিয়ে আরও বহুদিন পথ হাটতে পারব আমি, আমরা, আমরা অনেকে...'
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই মতামত দিন