এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ফেমিনিজম না স্ববিরোধিতা ?

    bip
    অন্যান্য | ২৭ জুলাই ২০১৪ | ১৩০১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 202.156.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:৫৭645317
  • মহিলাদের শার্ট প্যান্টে কি বেশি কাপড় লাগে নাকি?

    ধুতি পান্জাবি ধরলে ছেলেদেরও নেহাত কম হয়্না।
  • cm | 127.247.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:১০645318
  • ফেসবুকে নীলাঞ্জন সায়েদের একটা পোস্ট টুকছি। একেবারে অপ্রাসঙ্গিক নয় মনে হল।

    “যৌনতা-জীবকুলের মধ্যে একমাত্র মানুষ ও ডলফিন যৌনতা কে ফুন হিসেবে উপভোগ করে।
    অথচ সেটা স্বীকার করতে মানুষ সংকোচ অনুভব করে।
    এই দ্বিচারিতা আমাদের সমাজে রয়েছে।
    যখনই উপভোগ ব্যাপার টা আসছে তখন সেক্স হয়ে উঠছে উপভোগের বস্তু বা সামগ্রী। আর বস্তু বা সামগ্রী কেনা বেচা হয়।
    এগুলো ভাবলে বাঙালী মূল্যবোধ আঘাত প্রাপ্ত হয়।
    কিন্তু বাস্তব তো বাস্তবই।আমাদের ভাল না লাগলেও সেটা কে না মেনে নিয়ে উপাই নেই।

    আমরা জানি যৌনতা বংশ বৃদ্ধি করে।আবার যৌনতা ভালবাসা জানানোর প্রকাশ।
    যৌনতাহীণ ভালবাসা বলে কিছু হয় না।সেটাও স্বীকার করতে আমাদের সংকোচ।
    সংকোচ ,সংস্কার আমাদের কে আষ্ট্রেপৃষ্ঠে বেঁধে রেখেছে।
    এক লেখক বলেছিলেন ,'ভালবাসা হীন যৌনতা পশুর তুল্য।'
    বাস্তব কিন্তু অন্য কথা বলছে।মিডিয়া,নেটের দৌলতে প্রচুর ভালবাসা হীন যৌনতার সংবাদ পাচ্ছি।যা আগের ধারণাগুলোকে ভেঙেচুরে তছনচ করে দিচ্ছে।
    অথচ আমাদের স্বীকার করতে সংকোচ বোধ হচ্ছে যৌনতাকে স্রেফ মজা বা ফান হিসেবে দেখাটাও আসলে স্বাভাবিক।কোন বিকৃতি নেই।
    যৌনতার একটা লক্ষ বংশ বৃদ্ধি করা ।আবার এটাও সত্য আমরা ভাল বাসি না বাসি,বংশ বৃদ্ধি করি না করি তার উপর যৌনতা নির্ভর করবে না।

    যৌনতা পুরোপুরি মন ও মস্তিষ্কের একটা সক্রিয় অবস্থা।
    অথচ এই কথাটা আমাদের কাছে পৌঁছাবার আগে অজস্র জটিলতায় মন পরিপূর্ণ হয়ে যায়।

    সমাজে সেক্স কে টবূ হিসেবে দেখা হয়।যৌনতা অশ্লীল এই ধারণা সমাজে গভীর ভাবে প্রোথিত।এই সমাজে একটি অপরিচিত ছেলে কোন মেয়েকে কথা বললে তাকে চরিত্রহীণ ভাবা হয়,অপমান করা হয়।আবার সেই মেয়ে একজন অপরিচিত পুরুষ কে গলায় মালা দিয়ে ফুলসজ্জার রাতে শারীরিক সম্পর্ক করে।এটা একটা সামাজিক হিপোক্রাসি।'সঙ্কোচ'এর জন্মদাতা সমাজই।

    সামাজিক রীতিনীতি যা প্রাচীন ধ্যানধারণার বিপরীত (ইলোরা ভাস্কর্য,কামসূত্রের শিক্ষা)।
    এই ভিক্টোরিয়ান মূল্যবোধ বা পিউরিটান মূল্যবোধ
    সত্য থেকে দূর ঠেলে দিয়েছে।
    যা ক্রমশঃ ধীরে ধীরে বিকৃতির আকার নিয়েছে।

    আমাদের সমাজে সেক্স কে চূড়ান্ত ইম্পর্ট্যান্স দেয়।
    যার ফলে আমরা শুদ্ধতা কে বড় বেশি মূল্য দিই।মানুষের তুল্য মূল্য বিচার করি শুদ্ধতাকে সামনে রেখে।
    আমি উদাহরণ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা কর

    ।।।।মৃণাল সেনের 'একদিন প্রতিদিন'য়ে মমতাশঙ্কর এক চাকুরিরতা মেয়ে।সে একদিন মধ্যরাত হয়ে গেল তবুও বাড়ি ফেরে না।
    তন্ন তন্ন করে খুঁজেও পাওয়া যায় না তাকে।পরের দিন সকাল বেলা যখন বাড়ি ফিরছে তখন সকলের মুখ গম্ভীর।কেউ কথা বলছে না।
    অথচ সবার খুশি হওয়ার কথা ছিল।
    আবার দেখুন রামায়ণে -সীতা কে রাবণ হরণ করে নিয়ে গেছে।শ্রী শ্রীরাম ভয়ানক যুদ্ধ করে রাবণের হাত থেকে উদ্ধার করেন সীতাকে।
    সীতা কে মুক্ত করার পর সকলের খুশী হওয়ার কথা ছিল।অথচ শ্রীশ্রী রামচন্দ্রের মনে হল সীতা কত টা শুদ্ধ আছেন তার জন্য একটা অগ্নিপরীক্ষার প্রয়োজন।
    এই পরম্পরা কিন্তু 'সমানে চলিতেছে।'রুচিরা বলে ধরুন আপনার একটি মেয়ে রয়েছে ।ধরা যাক সে হারিয়ে গেল।কেউ খুঁজে পাচ্ছে না।বাড়িতে পাড়াতে শোকের আবহ। রুচিরা সাত দিন পর পাওয়া গেল।
    মানুষের মনে প্রথমেই এই প্রশ্ন আসবে ,'সে অত দিন কোথায় কি করছিল?সে শুদ্ধ আছে তো?'

    যৌনতা সম্পর্কে মানুষের সংস্কার এমন গভীরে রয়েছে যে মানুষের সাধারণ বিবেক বুদ্ধি লোপ পেয়ে যায়।রুচিরা সম্পর্কে এই প্রশ্ন টা মাথায় আসছে না সে সুস্থ আছে তো?ফিরে এসেছে এই ঢের।
    তার বদলে ফিসফাস গুঞ্জন শুরু হয়ে যাবে।রুচিরা যখন রাস্তা দিয়ে যাবে তখন ট্যারা চোখে তাকানো হবে।টিটকারি টন্ট কাটা শুরু হয়ে যেতে পারে।
    এর ফলে রুচিরা মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
    একা থাকেন রিনি ইসলাম।মধ্যবয়স্কা।
    একাকীত্বে ভুগেন।মাঝে মাঝে পুরুষ সঙ্গীর অভাব অনুভব করেন।তাঁরও যৌনতা,ভালবাসা প্রয়োজন এটা কেউ বোঝে না।
    তাঁর মনে পড়ে তাঁর ফুপু(পিসি)র কথা।সেই ফুপু একবার মুখ ফুটে বলেছিলেন ,তিনি বিয়ে করবেন।অমনি তাঁকে নিয়ে টিটকিরি আরম্ভ হয়ে গেছিল।
    সম্পর্কে নাতি সেই ফুপুকে ধরে মেরেছিল।
    কি মর্মান্তিক ব্যাপার।
    নানা কারণে অনেক মানুষের বিয়ে করা হয়ে ওঠেনা।কিন্তু সমাজ তাদের যৌনতাবিহীন জীবন কাটাতে বাধ্য করে।
    তাদের জীবন হাহাকারে শেষ হয়।সমাজ সেটা অনুভব করতে চায়না।”
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:২২645319
  • আদ্যিকালের বদ্যিবুড়োর আমল থেকে ইনিয়ে বিনিয়ে এই এক গৎ। নিরুদ্দিষ্ট পুত্রেরা ফিরে এলে উৎসব শুরু হয়, সেই রিটার্ণ অব কি এক সন ছিল না প্রাচীন আদিপুস্তকে?
    কিন্তু নিরুদ্দিষ্টা কন্যারা? তারা ফিরতে পারে না। তাদের জন্য এমনিতেই জহর, আফিম, কুয়ো দুধে মুখ ডুবিয়ে মেরে বাবলাতলা ইত্যাদি কত কী সুব্যবস্থা, তার উপর আবার নিরুদ্দেশ হয়ে ফিয়ে ফেরৎ আসা?
    যতদিন পর্যন্ত ইকুয়াল ফুটিং এ না দাঁড়ানো যাবে, ততদিন পর্যন্ত সবকিছুই এই ইনানোবিনানো জিলিপির দোকান মাত্র।
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৭:৩৫645320
  • আর, এদের কুম্ভীরাশ্রু দ্যাখো! মহিলারা নাকি হাহাকার করে মরছেন। মরে যাই মরে যাই। বলি, অনেক পুরুষও তো চিরকুমার থাকেন, তেনারা কি খাই খাই মোডে লালবাতিতে ঘুরে বেড়ান? অর্থাৎ সব পুরুষই চূড়ান্ত দেহসুখপরায়ণ আর তাতেই সুখী? আর সব মহিলারাও তাই? কিন্তু সমাজের চাপে পারেন না আর হাহাকার করেন? এইরকম একমাত্রিক নাকি?
    আরে, নানা ধরণের মানুষের নানা ধরণের চাহিদা থাকতে পারে, সেইসব মোটেই মানতে দেবে না। কেউ দেহসুখ চাইতে পারেন, কেউ মোটেই না চাইতে পারেন, হয়তো তিনি অন্যরকম ভাবে সুখ পান সম্পূর্ণ অন্য ভাবে।
    তা না, সব ব্যাটাকেই খাই খাই মোডে আর সব বেটীকেই হাহাকার মোডে দিয়ে দিলে সুবিধে ব্যবসা চালাতে, ব্যস, চালা দুনিয়াভর লেলে পেয়ালা।
  • :) | 127.194.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০৮:২২645321
  • নীলঞ্জন সায়েদের লেখাটার উদ্দেশ্য বুঝতে পারছিলাম না শুরুতে। রুচিরা আর রিনি ইসলাম নাম দুটো পেয়ে স্বস্তি পেলাম। ফেসবুকে কে কখন কেন কোন পোস্ট করে সেটা বেশ প্রেডিক্টেবল।
  • bip | 81.244.***.*** | ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ১২:৪৬645322
  • এখানেও রাজনীতি কেনরে বাবা। দেখবি ত ভাল করে দেখ। এবার দেখছি বামপন্থী টপলেস বনাম দক্ষিন পন্থী টপলেস বেড়ল বলে
  • pi | 57.29.***.*** | ২০ মার্চ ২০১৮ ০০:০৯645323
  • এটাও। কীসব মণিমুক্তো ছিল!
  • S | 194.167.***.*** | ২০ মার্চ ২০১৮ ১০:৫৮645324
  • অন্য একটা টইতে কারা যেন আবার লিখেছে যে বাঙলায় কমেডি হয়্না।
  • Atoz | 161.14.***.*** | ২১ মার্চ ২০১৮ ০০:২৯645325
  • এত কমেডি থাকতেও কিছু হয় না, এই তো এক মহা ট্র্যাজেডি! ঃ-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন