এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে - সাতকোশিয়ার ডাকে

    Sectumsempra
    অন্যান্য | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ | ১৮৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সিকি | 135.19.***.*** | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:১৯628381
  • আবার নতুন নাম? সেপ্টোসেমিয়া লাগছে। :-)
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:২১628392
  • নামে কিবা করে
    ছিপিয়েমকে যে নামেই ডাকো, তিনোদের ঝাড়ে।
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১৭:৪৮628400
  • নতুন প্রোপোজাল লেখার ঠেলায় সর্ষে লেখা শুরুই করতে পারলুম না। কাল দেখি, শুরু করবো। আপাতত কয়েকটা ছবি -

    সাতকোশিয়া গর্জ -









    পাখি -



    রেড স্কুইরেল -

  • Blank | 180.153.***.*** | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১৭:৫০628401
  • কালার গুলোতে রেড কাস্ট একটু বেশী। কুমীর পাও নি?
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১৮:১৭628402
  • রেড একটু বেশি দিলে মনে হল ভালো লাগছে। নইলে সায়ন তো আছেই;-)

    কুমীর দুটো দেখেছি জলের মধ্যে যাচ্ছে, কিন্তু এমন জায়গায় ছিলুম ওপরদিকে যে ছবিটা ঠিক আসতো না।
  • ম্যামি | 69.93.***.*** | ২৮ জানুয়ারি ২০১৪ ১৮:৩৯628403
  • প্রথম ছবিটা দারুন। দেখামাত্র যেতে ইচ্ছে করে।
  • aranya | 78.38.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:০৬628404
  • বড়ই সৌন্দর্য
    রেড স্কুইরেল দেখে ভাল লাগল, আগে দেখি নি ক্খনো
  • lcm | 118.9.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:০৮628406
  • বাহ! খাসা জায়গা তো। ছবিগুলোও...
  • Bhagidaar | 218.107.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:০৮628405
  • ওটা স্কুইরেল না মাঙ্কি?
  • aranya | 78.38.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১০:১৩628382
  • স্কুইরেল মনে লয়
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১১:০০628383
  • স্কুইরেল। ব্ল্যাঙ্কি বল্ল জায়ান্ট মালাবার স্কুইরেল। পম্পাসর গেট পেরনোর সময় একটা বুকলেট দেয়, সেখানে রেড স্কুইরেল লেখা আছে।
  • + | 213.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:১৯628384
  • অজ্জিদ্দা, পাখি কি কি দেখলেন? আমরা প্রচুর পাখি পেয়েছিলাম, কয়েকটার অস্পষ্ট ছবিও আছে।
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:২৩628385
  • আমরা দেরী করে পৌঁছেছিলাম, তখন প্রায় সাড়ে সাতটা। বেশি পাখি দেখিনি - মোস্টলি গাল-এর কোনো স্পিসিজ হবে, আমি তো পাখি চিনি না - ওই যে ছবিটা আছে ওটাই বেশি। আর কয়েকটা পাফিন দেখেছি, কিন্তু সেগুলো বড়ই বেয়াদপ, ছবি তুলতে দেয়নি - পালিয়ে গেলো।
  • + | 213.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৪২628386
  • পাফিন পাওয়া যায়নি ছবিতে। আর কান্ধইরা বা লবঙ্গিতে ?? বা ছোটকেইতেই ??? এই পাখিটা আমরা ৪-৫ বার দেখতে পেয়েছিলাম, বাংলায় বোধহয় মোহনচুড়া বলে
  • + | 213.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৪৩628387
  • যাই হোক, এসব বলে ঘেঁটে লাভ নেই। আগে লেখা-ছবি শেষ হউক
  • blank | 122.79.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১২:৪৭628388
  • এটা তো হুপি। আর ওটা মালাবার জায়েন্ট ই। ঐ দিকে খুব কমন।
  • + | 213.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:০৭628389
  • হুপিকেই মোহনচুড়া বলে, গুগলকাকুও তাই বলছে। আগে দেখিনি।
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:৪০628390
  • কন্ধইরা/লবঙ্গিতে টিয়া আর ফিঙে ছাড়া কিছু দেখিনি, ছোটকেইতেও মোস্টলি তাই। হাঁড়িচাঁচা তো আমাদের বাগানেই আসে, ফিঙেও। তবে ছোটকেইতে আমি একটা পাখি দেখেছি, কিন্তু ছবি তুলতে পারিনি - সেটার ঠোঁট দেখে তো ধনেশ মনে হল। কিন্তু ওইদিকে ধনেশ আছে বলে তো জানতুম না।
  • Ekak | 24.99.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:৫৫628391
  • খাশা ছবি !
    এবার এট্টু সময় করে লেখাটাও লিখে ফেলুন :)
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৪:৫৭628393
  • তাহলে শুরু করা যাক।

    সাতকোশিয়ার কথা প্রথম শুনি (মানে পড়ি) Team-BHP-এর একটা ব্লগে বছর চারেক আগে। তখন কলকাতা থেকে চিলিকা যাওয়ার প্ল্যান করছিলাম। সেই সময় থেকেই ব্লগের টাইটেলে "ওড়িশার অজানা জঙ্গল" কথাটা মাথায় গেঁথে গেছিলো - কখনো ওখানে যেতে হবে এটাও ভাবা হয়ে গেছিলো। আসলে প্ল্যান করেছিলাম গত বছর পুজোর সময় যাবো বলে - আর সেটাও কিন্তু আনন্দমেলায় মিতিনমাসীর গপ্পোটা বেরনোর আগেই - কিন্তু যাওয়া হয়নি। তাই ফের প্ল্যান করলাম - Team-BHP-র ব্লগ আর গান্ধীর কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়ে।

    আমি যে গাড়ি নিয়েই যাবো সেটা ঠিকই ছিলো। সাথে আপিসের আরেকজন (তার ফ্যামিলি শুদ্ধু) জুটে গেলো - কিন্তু সে অদ্দূর চালিয়ে যেতে পারবে না, আবার ভোর তিনটেতেও বেরোতে পারবে না - যেটা আমার সাথে বড় গাড়ি ভাড়া নিয়ে গেলে করতে হবে (গিভেন যে বড় গাড়িটাও আমাকে চালাতে দেওয়া হবে ড্রাইভারের সাথে সেটিং করে)। কাজেই ঠিক হল যে সে আগেরদিন বেরিয়ে যাবে, কটকে রাত্তিরে থাকবে - তাকে নিয়ে যাবে আমার গাড়ি এখন যে চালায় সে। আমি ২৩ তারিখ ভোরে বেরোব, রাস্তায় ওদের ধরে নেবো।

    বুকিং করলাম অঙ্গুলে ডিএফও সাতকোশিয়ার ইমেল আইডিতে মেল করে তারিখ টারিখ বলে। ওরা মেলের উত্তরে একটা প্রভিশনাল বুকিং করে জানায় সাত দিনের মধ্যে টাকা ওদের ঠিকানায় ড্রাফট করে পাঠাতে হবে - সেটা পেয়ে গেলে ওরা বুকিং-এর কনফার্মেশন পাঠায়। তাতেও অবশ্য শেষ নয়। যাওয়ার সময় অঙ্গুল থেকে আপনাকে নিজের আইডি দেখিয়ে বুকিং-এর কাগজপত্র তুলে নিতে হবে - সেসব ছাড়া পম্পাসর গেট পেরিয়ে আপনাকে যেতে দেবে না।

    এদিকে ২৩শে জানুয়ারী উড়িষ্যায় সব বন্ধ - নেতাজীর জন্মদিন বলে। ডিএফও-র আপিসও বন্ধ। অথচ আমরা পৌঁছব ওইদিনই। ডিএফও অফিসে মীনাক্ষী বলে একটি মেয়ে কাজ করে - সেই এই সব বুকিং ইত্যাদি দেখে - তাকে ফোন করে অনুরোধ করায় সে ব্ব্যবস্থা করতে রাজী হল - সে সেদিন পিকনিকে যাবে, কিন্তু ওর বাড়িতে কারো কাছে সমস্ত কাগজ রেখে যাবে - বাড়ির ঠিকানা, ফোন নম্বর সব জানিয়ে দিলো - যাতে আমরা অঙ্গুলে গিয়ে সমস্ত কাগজপত্র কালেক্ট করে নিতে পারি।
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৫:৫২628394
  • ২২ তারিখ আপিস থেকে তাড়াতাড়ি বাড়ি গিয়ে গোছানো এক ঝক্কির কাজ। তার আগে জঙ্গলে যাওয়া হবে বলে ছেলেমেয়ের কিছু জামাকাপড় কেনা, কারণ জঙ্গলে কিছু do's and don'ts আছে - যেমন রঙীন ঝকঝকে জামাকাপড় না পরাই ভালো। তার ওপর এখন আবার সঙ্গে চারটে ক্যামেরা যায় - জনাপিছু একটা করে, তার জন্যে আড়াইখানা ব্যাগ। এবারে ব্ল্যাঙ্কির কাছ থেকে ক্যাননের ১০০-৪০০মিমি লেন্সটা ধার নিয়েছিলুম - আমার ক্যামেরার ব্যাগের ওজন এক ধাক্কায় কিলো দুই বেড়ে গেসলো। জামাকাপড় গোছানো, চারটে ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জ, ট্যাব চার্জ ইত্যাদি করতে গোটা সন্ধ্যে কাবার। তারপর জানা গেলো যে ঋকের ৩৫টা অঙ্ক বাকি (প্রতি সপ্তাহে করতে হয়) - সে বল্ল খাতা নিয়ে যাবে। বারণ করলাম, কারণ ছোটকেইতে ইলেক্ট্রিসিটি নেই, সোলার পাওয়ারে চলে, ছোট ছোট আলো, আর সারাদিন ঘুরে থোড়ি অঙ্ক করবে - ও নিয়ে যাওয়াই সার।

    এর মধ্যে আপিসের যে জন আগের দিন গেছে, তাকে বিকেলে একবার ফোন করেছিলাম - মীনাক্ষীর সাথে ফাইনালি কী কথা হল জানার জন্যে। সাড়ে দশটায় বেরিয়ে বিকেল চারটের সময় সে তখনো দাঁতনের কাছে। রাত্তিরে সে ফোন করে জানালো যে আলো কম ছিলো বলে তারা বালেশ্বরেই থেকে গেছে, পরের দিন সকালে অঙ্গুলের দিকে যাবে। সে সব শুনে আরো চাপ খেয়ে গেলাম - রাস্তা কী তাহলেই একেবারেই ভাঙা নাকি?

    যাই হোক, গোছগাছ সেরে ঘুমোতে ঘুমোতে রাত্তির সাড়ে দশটা, ওদিকে বেরনোর প্ল্যান ভোর তিনটের সময়। দুটোর সময় উঠে চান করে বাকি সকলকে ঠেলে তুলে রেডি করিয়ে, সব ব্যাগ আর বস্তা গাড়িতে তুলে বেরোতে বেরোতে প্রায় সাড়ে তিনটে - তাও, নর্মালি আমাদের যা দেরি হয় তারচেয়ে ঢের আগে। এত তাড়াতাড়ি বেরনোর কারণ হল বিকেলের মধ্যে অঙ্গুলে পৌঁছনোর চাপ, কারণ অঙ্গুল থেকে আরো প্রায় ষাট কিলোমিটার দূরে ছোটকেই। মাঝে পম্পাসর গেট - সে বন্ধ হয়ে যায় ছটার সময়। বিকেলের আলো থাকতে থাকতে ছোটকেই না পৌঁছলে অন্ধকারে জঙ্গলে গাড়ি চালানো অসুবিধার। গুগুল ম্যাপ এবং জিপিএস - দুয়েরই হিসেবে আমাদের বাড়ি থেকে অঙ্গুল প্রায় ৫৩০ কিমি, মাঝে খড়গপুরের আগে থেকে বালেশ্বর অবধি এনএইচ ৬০ একদিক বন্ধ করে কাজ হচ্ছে - প্রায় বারো ঘন্টা তো লাগবেই ৬০০ কিমি যেতে। মাঝে খাওয়াদাওয়া, বায়ো-ব্রেক ইত্যাদি তো আছেই। আর সেই কোলীগের কথামত রাস্তা হলে আরো কঠিন অবস্থা।

    আমার প্ল্যান হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এনএইচ ৬০-র খারাপ স্ট্রেচটা পেরিয়ে যাওয়া, নইলে লরির ভিড়ে আটকে যেতে হবে। তারপর এনএইচ ৫, কটকের একটু আগে অবধি। সেখান থেকে ঢেঙ্কানল রোড ধরে ভূষণ, নালকো হয়ে অঙ্গুল।

    পাক্কা সাড়ে তিনটের সময় রওনা দিয়ে কোলাঘাট পৌঁছলাম প্রায় পাঁচটা নাগাদ। মাঝে সাঁতরাগাছির আগে ব্রীজে পেল্লায় জ্যাম - কারণ একটা লরি খারাপ হয়ে রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে। শের-এ-পঞ্জাব থেকে আলু পরোটা প্যাক করিয়ে ফের দৌড়। গাড়িতে তখন পীট সীগার চলছে - কে জানতো ভদ্রলোক তিন দিনের মধ্যেই চলে যাবেন। ঋক/ঋতি পিছনের সীটে অঘোর ঘুমে, সুমনা সামনে - ড্রাইভারকে কম্পানি দেওয়ার জন্যে।

    অত ভোরে রাস্তায় প্র্যাক্টিক্যালি কোনো গাড়ি নেই। এনএইচ ৬ ছেড়ে এনএইচ ৬০ ধরলাম তখন সাড়ে ছটা হবে বড়জোর। আটটার একটু পরে পশ্চিমবংলা বর্ডার পেরিয়ে উড়িষ্যা - জলেশ্বর - সেখান থেকে আরো প্রায় ৫০কিমি দূরে বালেশ্বর - সেখানে এনএইচ ৬০ মিশে যায় এনএইচ ৫-এর সাথে। বালেশ্বর ছাড়িয়ে এনএইচ ৫-এর প্রথম টোলবুথে দাঁড়িয়ে চা খেতে খেতে আপিসের কোলীগকে ফোন করে জানলাম যে তারা সবে বালেশ্বর থেকে বেরিয়ে এনএইচ ৫-এ উঠেছে - অর্থাৎ, আমরা তাদের পিছনে ফেলে চলে এসেছি।
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:৪৫628395
  • প্রবলেমটা হল এনএইচ ৪২ (মানে ঢেঙ্কানল রোড) ধরবো কোথা থেকে? জিপিএস অনুযায়ী পানিকৈলি থেকে এনএইচ ২১৫ ধরে অঙ্গুল যাওয়া যায় - কিন্তু Team-BHP ব্লগে সেইটা বারণ করেছে - কারণ সুকিন্দা খনি এলাকায় ট্রাকের উৎপাত। ইদিকে এনএইচ ৫-এ এই সব রাস্তার ডিরেকশন বিশেষ নেই। জিপিএসে ওয়েপয়েন্ট হিসেবে চৌদ্বার সেট করে রেখেছিলুম - কারণ ম্যাপ অনুযায়ী এনএইচ ৪২ চৌদ্বারের ওপর দিয়েই যায়। কিন্তু পানিকৈলি পার হওয়ার অল্প পর থেকেই জিপিএস খালি এনএইচ ৫ ছেড়ে পাশের ছোট রাস্তা ধরতে বলে - যেগুলো দেখে আদৌ ভরসা হয় না - সরু লোকাল রাস্তা, বাজার এলাকা সব। অগত্যা সব জিপিএসের বাপ ভরসা - মানে এলাকার লোকজন - মুশকিল হল তারা এনএইচ বিশেষ বোঝে না, জায়গার নাম বল্লে বুঝে যায়। জনা দুইকে জিগিয়ে বোঝা গেলো যে চন্ডীখোল বাজারের পরেই মঙ্গুলি বলে আরেকটি মোড় আসবে, সেখান থেকে ডানদিকে ঢেঙ্কানল রোড - টুওয়ার্ডস অঙ্গুল।

    তা সেই রাস্তা তো পাওয়া গেলো। চৌদ্বার বাজার পেরিয়ে একটা দোকানে দাঁড়ালুম আপিস কোলীগের জন্যে - তারপর একসাথেই যাবো, কারণ মীনাক্ষীর নম্বর/ঠিকানা সবই ওর কাছে। চা খেলুম, স্বল্প ধোঁয়ায় এনার্জিও ফিরে পেলুম। তারপর ফের রওনা। ওই রুটে ট্রাকের বেশ ভিড় - কারণ পথে দুটো বড় কারখানা পড়ে - ভূষণ স্টীল প্ল্যান্ট এবং নালকো। এবং সেই ট্রাকগুলো বেয়ারা রকমের চালাফেরা করে, অ্যাক্সিডেন্টও করে। একটা সিরিয়াস অ্যাক্সিডেন্ট চোখেও পড়লো - দুটো লরি পুরো মুখোমুখি ধাকা, দুটোরই কেবিনের আর কিছু নেই, সম্ভবতঃ কেউ বেঁচেও নেই, বা থাকলেও খুবই খারাপ অবস্থা - অ্যাম্বুলেন্স ছুটোছুটি করছে।

    এই রাস্তাটা কিছু জায়গায় ভাঙাচোড়া - বিশেষ করে ভূষণের কাছে। একে ফ্লাইওভারের কাজ হচ্ছে, তায় পেল্লায় সমস্ত লরি গিয়ে আর কিছু বাকি নেই। সেসব পেরিয়ে অঙ্গুল পৌঁছতে প্রায় একটা-সওয়া একটা। এইবার মীনাক্ষীর বাড়িতে ফোন করে ডিরেকশন নিয়েও বাড়ি আর খুঁজে পাওয়া যায় না। একবার এগিয়ে গেলাম, একবার পিছিয়ে গেলাম - অন্ততঃ আধা ঘন্টা ঘুরে লোকজনকে জিগ্গেস করে বাড়ি পাওয়া গেলো, কাগজপত্রও। আপিস কোলীগ তাপ্পর তার বউ-বাচ্চাকে নিয়ে রেস্তোরাঁর খোঁজে বেরোল (ওরা আয়েস করে না বসে খেতে পারে না) - আমরা রওনা দিলুম, কারণ ওই সন্ধ্যের মধ্যে ঢুকতে হবে।

    অঙ্গুল ছাড়িয়ে আরো দশ কিলোমিটার গিয়ে বড়কেড়া থেকে বাঁদিকে চলে যাচ্ছে সাতকোশিয়ার রাস্তা। এখান থেকেই অল্প অল্প জঙ্গল শুরু। বিশ কিলোমিটার পর পম্পাসর গেট - আর সেই গেট পেরোলেই সামনে ঘন জঙ্গল, আর তার মধ্যে দিয়ে সরু কালো পিচ ঢালা রাস্তা এঁকে বেঁকে চলে গেছে। আলো তখনই কমতে শুরু করেছে। ইতিউতি কয়েকটা পোস্টার - "এলিফ্যান্ট ক্রসিং", "ওয়াইল্ড অ্যানিম্যালস ক্রসিং" ইত্যাদি। এই পথে চলার সময় গাড়ির কাঁচ নামিয়ে দিন, আস্তে চলুন আর গাড়ির মিউজিক সিস্টেম বন্ধ করে কান পাতুন বাইরে। জঙ্গলের গাছগুলোর ফাঁকে হাওয়ার ফিস্‌ফিসানি কানে আসবে, সরসর পাতা নড়ার আওয়াজ, আর পাখির ডাক - সেসব চিনি না বলে বুঝে উঠতে পারিনি কে ডাকছে আর কেন, কিন্তু শুনেছি মন দিয়ে। এমনকি ঋক আর ঋতিও তাদের পেরেনিয়াল ঝগড়া আর মারামারি বন্ধ করে গোলগোল চোখ করে জঙ্গল দেখছিলো আর কান পেতে শুনছিলো কত রকমের আওয়াজ।

    ==============================================

    এই অবধি প্রধাণতঃ রাস্তা নিয়ে লেখা - কোথায় কীভাবে যাবেন ইত্যাদি - কেউ যদি যেতে চান গাড়ি নিয়ে সেই জন্যে দিয়ে রাখলাম। এর পর ছোটকেই থেকে শুরু হবে জঙ্গলের কথা। কাল।
  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৭:৩৩628396
  • ঋকের তোলা খান দুই ছবি দিয়ে যাই -



  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ২৯ জানুয়ারি ২০১৪ ১৮:১০628397
  • সুমনার ছবি -







  • Sectumsempra | 125.112.***.*** | ৩০ জানুয়ারি ২০১৪ ১৬:২৬628398
  • আরো দু একটা ছবি -



  • DB | 125.187.***.*** | ৩১ জানুয়ারি ২০১৪ ০৮:০৫628399
  • ছবিগুলো কোয়েকোট বেশ ভালো লাগল । জয়গট সম্পর্কে আরো জানার আগ্রহ রইল
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন