এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • খাদ্যসুরক্ষা বিল...একটি গণতান্ত্রিক প্রহসন

    কালপুরুষ
    অন্যান্য | ১১ জুলাই ২০১৩ | ৫৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালপুরুষ | 111.217.***.*** | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৮:৩৭618106
  • খাদ্য সুরক্ষা বিল...একটি গণতান্ত্রিক প্রহসন
    (“If you want to feed a man for a day, give him fish. But if you want to feed him for lifetime, teach him how to catch fish”
    - একটি পুরোনো চীনা প্রবাদ।দেভিন্দার সিং এর প্রবন্ধ থেকে সংগৃহীত।)

    বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকার খুব ঢক্কানিনাদের সাথে পেশ করছে খাদ্য সুরক্ষা বিল,যার পোশাকী নাম পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম বা পিডিএস।বিলের সারাংশ গুগলে সার্চ দিলেই পাওয়া যাবে,তাই সেটা উল্লেখ না করে মূল বক্তব্যে আসছি।প্রাথমিক ভাবে ৬৭% মানুষ এই বিলের আওতায় আসবেন,যার জন্য খরচ হবে ১,২৫০০০ কোটি টাকা।মাথা পিছু ৫ কেজি করে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে যথাক্রমে ৩/২/১ টাকা কেজি দরে।
    প্রশ্নে আসি,
    খাদ্য সুরক্ষা বিল(এই নামটাই ব্যবহার করছি), কিন্তু সংবিধানে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃত নয়,কাজেই কতটা প্রতিশ্রুতি পালিত হবে,তা নিয়ে সংশয় আছে।রেগা প্রকল্প এরও কিছু সাংবিধানিক প্রতিশ্রুতি ছিল,তা বাস্তবে কতটা পূরণ হয়েছে,তা সবাই জানেন।
    গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স অনুযায়ী আমাদের দেশের স্থান ৬৬তম,১০৫টি দেশের মধ্যে।তাতে অবশ্য মুকেশ আম্বানীর বাইশতলা বাড়ি হওয়া আটকায় না।প্ল্যানিং কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী শহরে ২৮.৬৫ টাকা আর গ্রামে ২২.৪২ টাকা দৈনন্দিন রোজগার হল পভার্টি লাইনের সীমারেখা।গ্রামের কথা বাদই দিলাম।মেট্রো সিটিগুলোর মধ্যে কলকাতা খুব শস্তা শহর।খোদ কলকাতাতেই কি আজকাল তিরিশ টাকায় দুবেলা পেট ভরে সবজি ভাত খাওয়া যায়?এই পোড়া দেশে ৪২০ মিলিয়ন মানুষ একবেলা খেতে পায়না,বিশ্বের প্রতি চতুর্থ অপুষ্টিতে ভোগা মানুষটি হলেন ভারতীয়,আর মন্টেক সিং এর অফিসের বাথরুম তৈরী হয় কোটি টাকা খরচ করে।রাষ্ট্রপতি বিদেশ ভ্রমণে কোটি কোটি টাকা খরচা করেন।আর এরপরেও লোকে মাওবাদীদের সন্ত্রাসবাদী বলে।যাকগে,মোদ্দা কথাটা হচ্ছে যে গরীব দের জন্য এই প্রকল্প,তাদের নির্বাচনেই তো বড় গলদ থেকে যাচ্ছে।তাহলে এই প্রকল্পের সাফল্যের সম্ভবনা কতটা?
    তেন্ডুলকর কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে গরীবের সংখ্যা ৩৭.২% ,যে শুয়োরেরা এই রিপোর্ট বানিয়েছে,তাদের স্ট্যাচু বানিয়ে শুয়োরের খোঁয়াড়,থুড়ি পার্লামেন্টে সাজিয়ে রাখা উচিত।আমাদের এই সরকারি এজেন্সিগুলো হিসেবে এত কারচুপি করে যে জালিয়াত সুদীপ্ত সেন এদের কাছে নেহাত শিশু বলে মনে হবে।উত্তরাখন্ডে সাম্প্রতিক বিপর্যয়ের পর ধরা পড়ছে যে সরাকারী রিপোর্টে এনভাইরনমেন্টাল ইমপ্যাকট এর হিসেব কত কম করে দেখানো হয়েছিল,যথেচ্ছ নির্মানের ক্ষেত্রে।এই গরীব নির্বাচনের ক্ষেত্রেও একই জালিয়াতি চলছে।
    বিপিএল এর সংখ্যা কম দেখানোর জন্য সরকারী হিসেবপত্রে প্রয়োজনীয় ক্যালরি’র পরিমাণ দিনকে দিন কমেছে।একটা সাল ভিত্তিক তালিকা দিচ্ছি-
    ১৯৭৭-৭৮= ২১৭০ ক্যালরি
    ১৯৮৩= ২০৬০ ক্যালরি
    ১৯৯৩-৯৪= ১৯৮০ ক্যালরি
    ২০০৪-০৫= ১৮২০ ক্যালরি
    বর্তমান সেন্সাসের হিসেবটা আমার কাছে নেই।যদিও তাতে কিছু আকাশ-পাতাল হেরফের হবে বলে মনে হয়না।হিসেব মত একজন খেটে খাওয়া মানুষের দৈনিক প্রয়োজনীয় ক্যালরি’র পরিমান অন্ততপক্ষে ২৪০০ ক্যালরি। আর এই দৈনিক আয়ের সীমারেখা বেঁধে দেওয়ার জন্য গ্রামাঞ্চলে এক বিশাল সংখ্যক মানুষ বিপিএল সুবিধা থেকে বঞ্চিত (‘Identification of BPL Households in Rural Poor’, Dr N C Saxena Committee report, page 4-7).
    ২০০৪-০৫ সালের NSSO সার্ভে অনুসারে ২৮.৩% মানুষ গ্রামাঞ্চলে পভার্টি লাইনের নীচে বাস করছেন।কিন্তু যদি সরকারী হিসেবের বাইরে প্রয়োজনীয় ক্যালরি’র(২১০০-২৪০০) হিসেবে ধরি,তাহলে এই পরিসংখ্যান গিয়ে দাঁড়াবে ৭৯.৮% এ,যারা জীবনযাপন ও পুষ্টি’র ন্যুনতম চাহিদা থেকে বঞ্চিত।অর্জুন সেনগুপ্ত, উৎসা পট্টনায়েক আর National Nutritional Monitoring Bureau হিসেবে ৭৫-৭৮% মানুষ সঠিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত।
    এতক্ষণ ধরে এই পভার্টি লাইন নিয়ে বকে যাওয়ার কারন হল,যাদের জন্য এই খাদ্য সুরক্ষা বিল,তাদের সংখ্যাতে যদি এত গরমিল থাকে,তাহলে আদতে এই প্রকল্পে কাদের উপকার হবে?
    আরেকটা হিসেবে আসি,এই প্রয়োজনীয় খাদ্যশস্য আসবে কৃষিক্ষেত্র থেকে এ বিষয়ে নিশ্চয় সকলে নিশ্চিত আছেন।ভারতে মাথাপিছু খাদ্যশস্য উৎপাদন এর হার দিনকে দিন কমছে।সবুজ বিপ্লবের ফলে কৃষিক্ষেত্রে হাইব্রিড বীজ লাগানো শুরু হয়।অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহারের ফলে জমি তার স্বাভাবিক উর্বরতা হারাচ্ছে।ভারতের কৃষিক্ষেত্রে এই মুহুর্তে দুটি সমস্যা-
    ১) ভারতের কৃষিকাজ সম্পূর্ণ রূপে রাসায়নিক সারের উপর নির্ভরশীল।বিকল্প ব্যবস্থা এখনো সেই অর্থে প্রতিষ্ঠিত নয়।ভারত সরকার এরমধ্যেই ইউরিয়া ছাড়া অন্যান্য সারের উপর দামের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়াতে সারের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ।সরকার বিশ্বব্যাঙ্কের চাপে যদি কৃষক্ষেত্র থেকে ভর্তুকি পুরো তুলে নেয় তাহলে একধাপে প্রায় ২০% উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে।
    ২)বর্তমানে বায়ো-ফুয়েল এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রয়োজনে চাষ হচ্ছে,যাতে স্বাভাবিক খাদ্যশস্য উৎপাদন মার খাচ্ছে।কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্দেশ্য সরকারের কাজকর্মে দেখা যাচ্ছেনা।
    আমাদের উন্নত কৃষি নীতির জন্য কৃষিকাজ এখনও আনস্কিলড লেবার বলে মার্কা মারা হয়ে আছে,যার ফলে শিল্পক্ষেত্রের তুলনায় এখানে ভর্তুকি’র পরিমাণ অনেক কম।গত একদশকে উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়া এবং ফসলের উপযুক্ত দাম না পেয়ে ঋণের দায়ে হাজারে হাজারে কৃষক আত্মহত্যা করেছেন।সরকার মানতেই চাইছেনা এ সত্য।
    যদি এই হাল চলতে থাকে,তাহলে কৃষকেরা দ্রুত কৃষিতে উৎসাহ হারাবে।শিল্পের প্রয়োজনে চুক্তি চাষের পরিমাণ বাড়বে।স্বাভাবিক খাদ্যশস্যের যোগানটাই যদি সুনিশ্চিত না করা যায়,তাহলে ভব্যিষতে মানুষের মুখে সরকারি উন্নয়নের ফিরিস্তি’র তাড়া কাগজ ছাড়া আর কিছু তুলে দেওয়া সম্ভব হবেনা...
    আরও কিছু বেয়াড়া প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।আমাদের ঘাটতি বাজেটের দেশে এই বাড়তি ১,২৫০০০ কোটি টাকা আসবে কোত্থেকে?সহজ হিসেব টা হল যে অন্যান্য ক্ষেত্রে ভর্তুকি কমিয়ে দিতে হবে।তাতে দ্রব্যমূল্য বাড়বে।নিম্ন-মধ্যবিত্ত আর যারা বিপিএল তালিকার ঠিক উপরে বাস করছেন,সেই প্রান্তিক মানুষদের দুর্ভোগ আসতে চলেছে।
    এদের হিসেবমত মাথাপিছু খাদ্যশস্য দেওয়া হবে মাসে ৫ কেজি।কিন্তু সঠিক পুষ্টির জন্য দরকার অন্তত ১৩-১৪ কেজি।কাজেই,কতটা পুষ্টি হবে তা খোদায় মালুম।
    এই কোরাপ্টেড প্রশাসনে কতটা সঠিক বিলি বন্টন হবে,তাও বিরাট বড় প্রশ্ন।
    এই বিলে মাতৃসুরক্ষা,শিশু সুরক্ষা সমেত যতগুলো কল্পলোকের গল্পকথা আওড়ানো হয়েছে,তার জন্য আদৌ উপযুক্ত পরিকাঠামো কি আমাদের আছে?
    ভালো কথা,উত্তরবঙ্গের চা-বাগান গুলোতে গেছিলাম।দেখে এলাম মানুষ কিভাবে না খেতে পেয়ে ধুঁকতে ধুঁকতে মরছে।যদিও প্রশাসন বলছে বেজন্মাগুলো নাকি ক্ষিদেতে নয়,অপুষ্টিতে মারা যাচ্ছে।ঠিকই তো,এত গাদাগুচ্ছের বিল ঠান্ডা ঘরে বসে পয়দা করলেন আমাদের নেতারা,আর শালা জনগণ কোন সাহসে ক্ষিদেতে মরতে পারে?
    এখানে সবাই পেট ভরে খেয়ে পান চিবোতে চিবোতে ফ্যানের তলায় ভাতঘুম দিতে যায়।সুতরাং গুজবে কান দেবেন না।
    আফটার অল,ইন্ডিয়া শাইনিং বস...

    কৃতজ্ঞতা স্বীকারঃ অর্থনীতিবিদ Jean Dreze,INFOCHANGE INDIA ARTICLES,DEVINDAR SING
  • h | 213.132.***.*** | ১১ জুলাই ২০১৩ ১৯:১১618107
  • আমি পার্সোনালি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এই লেখকের কাছে। থ্যাংক ইউ।
  • | 24.97.***.*** | ১১ জুলাই ২০১৩ ২১:৫৫618108
  • হুঁ
    কৃষিক্ষেত্রের সমস্যাগুলো নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত লিখবেন।
  • কৃশানু | 213.147.***.*** | ১১ জুলাই ২০১৩ ২২:০৮618109
  • খুব ভালো লেখা।
    '২)বর্তমানে বায়ো-ফুয়েল এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রয়োজনে চাষ হচ্ছে,যাতে স্বাভাবিক খাদ্যশস্য উৎপাদন মার খাচ্ছে।কিন্তু এটা নিয়ন্ত্রণ করার কোনো উদ্দেশ্য সরকারের কাজকর্মে দেখা যাচ্ছেনা।'
    - বায়ো ফুয়েল এর জন্য কৃষি-জমি আমাদের দেশে নেওয়া হচ্ছে? আর ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রয়োজনে চাষ মানে?
  • aranya | 154.16.***.*** | ১১ জুলাই ২০১৩ ২৩:৫৭618110
  • ভাল লাগল
  • কালপুরুষ | 111.2.***.*** | ১৩ জুলাই ২০১৩ ০০:২৬618111
  • জ্যাট্রোফা গাছের তেল কে বিকল্প জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করার চেষ্টা হচ্ছে ভারতে।প্রায় ছ-সাতটি রাজ্য এ উদ্যোগে সামিল।২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ন্যাশনাল বায়ো-ফুয়েল পলিসি ঘোষিত হয়।বছরখানেক আগে অব্দি প্রায় ৯৮ মিলিয়ন একর জমি বায়ো-ফুয়েল চাষের জন্য বাছা হয়েছিল।এটা পুরোপুরি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রকল্প নয়।রিলায়েন্স ইডাস্ট্রিজ,উইলিয়ামসন মেগর আর হিন্দুস্থান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড এর সাথে জড়িত আছে।
    গুজরাট,পাঞ্জাব,হরিয়ানা,মহারাষ্ট্রে আখ,তুলো,গম চাষ হয় বাইরে রপ্তানী’র জন্য।গুণমান বজায় রাখার জন্য আলাদা কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়।চাষীদের সাথে অনেকসময় রপ্তানীকারী কোম্পানি’র ডিল বা চুক্তি থাকে।এটাকেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল এগ্রিকালচার বলেছি।
    আপাত দৃষ্টিতে এই দুই উদ্যোগে কোনো ভুল নেই।কিন্তু আদতে আমাদের দেশের অর্থনীতি নিয়ন্ত্রণ করেন মুকেশ আম্বানী।তার রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি’র হাতে বায়ো-ফুয়েল উৎপাদনের ভার গেলে দেশের কত উপকার হবে তা জানাই আছে।ভুলে যাবেন না,শুধু মাত্র মুকেশ আম্বানীর লাভ করানোর জন্য প্রাকৃতিক গ্যাসের দামের হেরফের করা হয়েছিল।
    ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাষে জমির সাধারণ ঊর্বরতা নষ্ট হয়।চাষীদের লাভ হয়,কিন্তু তার সাথে স্বাভাবিক খাদ্য উৎপাদন ব্যহত হয়।চাষীদের দোষ নেই,কারণ ফড়েদের দাপটে আর সরকারী নিয়ন্ত্রণের অভাবে তারা সাধারণ চাষের দাম পান না।কাজেই এ প্রবনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।
    আশা করি,বোঝাতে পেরেছি।প্রশ্ন থাকলে জানাবেন।সাধ্যমত উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন