এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কালপুরুষ | 59.136.***.*** | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২৩:০৬618001
  • গণহত্যার তিন কিস্তি...

    কলকাতা,১৯৪৬
    ১৬ই আগস্ট,১৯৪৬,মুসলিম লীগের ডাকে ডিরেক্ট অ্যাকশন ডে পালন করার কথা বলা হয়।১৯৩৯ সাল থেকেই ভারতে বিভিন্ন স্থানে দাঙ্গা পরিস্থিতি শুরু হয়।১৯৪২ থেকে তা তীব্র আকার ধারণ করে।ওই দিন হরতাল ঘোষনা করা হয়।কগ্রেসি নেতা প্রফুল্ল চন্দ্র ঘোষ,১৪ই আগস্ট বালিগঞ্জে হিন্দুদের দোকানপাট খোলা রাখার আর্জি জানান জনসভা করে।ফলে উত্তেজনার আবহ তৈরী হয়।প্রসঙ্গত,একটা কথা বলে রাখি,কংগ্রেসি অনেক নেতাদের মধ্যে প্রবল ‘হিন্দু’ চেতনা ছিল এবং অনেক ক্ষেত্রেই তারা সেই বোধ দ্বারা পরিচালিত হতেন।
    ১৬ই আগস্ট কলকাতার রাস্তায় বিশাল সংখ্যক মুসলিমদের (সঠিক সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি আছে) মিছিল নামে,যার একটা অংশ সশস্ত্র ছিল।ওইদিন সকাল ১০টা থেকেই হিন্দু মহল্লাতে দোকানপাটের উপর আক্রমণের খবর লালবাজারে আসতে থাকে।সকাল ১১টা তে সুরাবর্দী এবং খাজা নিজামুদ্দিন উর্দুতে উত্তেজনামূলক বক্তব্য দেন।ফ্রেডরিক বারোজ, তৎকালীন বাংলার গভর্নর সম্ভবত এই উত্তেজনামূলক বক্তব্যের খবর পান নি।সুরাবর্দী প্রশাসন কে নিষ্ক্রিয় করে রাখেন।পুলিসের কাছে আক্রমণ প্রতিরোধ করার কোনো অর্ডার পৌঁছায়নি।দুপুরের মধ্যে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকায় মুসলিমদের আক্রমণ শুরু হয়ে যায়।চলে ব্যাপক লুটতরাজ।এই সময় পুলিস কাঠের পুতুলের মত বসেছিল।সেসময় কলকাতাতে হিন্দু ছিল ৬৪% আর মুসলিম ৩২%।প্রথমার্ধে আক্রান্ত হলেও খুব দ্রুত হিন্দুরা পালটা প্রত্যাঘাত শুরু করে।দুই সম্প্রদায়ের যে যেখানে যাকে পেত,কেটে ফেলে দিত।১৭ই আগস্ট,সৈয়দ আবদুল্লাহ ফারুকি আর এলান মিস্ত্রি’র নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র মুসলিম কেশোরাম কটন মিল আক্রমণ করে।পৈশাচিকভাবে ৭০০-৮০০ হিন্দু কর্মচারীকে খুন করা হয়,যার মধ্যে ৩০০ ওড়িয়া ছিলেন।
    এই গণহত্যার প্রাথমিক নিশানা ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষেরা এবং হত্যাকারীরা সুবিধে পেয়েছিল সুরাবর্দী’র নির্দেশে প্রশাসন নিস্ক্রিয় থাকায়।পরবর্তী পর্যায়ে যখন হিন্দুরা পালটা প্রত্যাঘাত শুরু করে,তখন সুরাবর্দী বাধ্য হয়ে ফ্রেডরিক বারোজ’কে আর্মি’র জন্য অনুরোধ করেন।ঠিক কতজন নিহত হয়েছিলেন,তার সঠিক সংখ্যা পাওয়া মুশকিল,তবে সংখ্যাটা ৭০০০-১০০০০ এর কম হবেনা এবং এর মধ্যে দুই সম্প্রিদায়েরই মানুষ ছিলেন।

    দিল্লী,১৯৪৭
    স্বাধীনতার ঠিক পরে দিল্লীতে মুসলিম-নিধন যজ্ঞ হয়েছিল।সৌজন্যে বল্লভ ভাই প্যাটেল।মৌলানা আবুল কালাম আজাদ তার ইন্ডিয়া উইনস ফ্রিডম বই এর চ্যাপ্টার ১৬,ডিভাইডেড ইন্ডিয়া,পেজ ২২৪-২৩৬,১৯৮৮ এডিশন, এ বিষয়ে বিস্তারিত লিখেছেন।যেসমস্ত কংগ্রেস নেতা দেশভাগের সমর্থক ছিলেন,বল্লভ ভাই প্যাটেল তাদের মধ্যে একজন।এমনটা নয়,যে,তিনি বিশ্বাস করতেন দেশভাগ সমাধানের উপায়,কিন্তু সম্ভবত লিয়াকত আলি খান আর মুসলিম লিগের প্রতি তীব্র বৈরাগ্যবশতঃ তিনি এই অবস্থানে পৌঁছেছিলেন।
    দেশভাগের ঠিক পরে পূর্ব পাঞ্জাবে হিন্দু আর শিখেরা মুসলিমদের উপর আক্রমণ শুরু করে।ঘর বাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়া,হত্যা সংঘটিত হতে শুরু করে।একইরকমভাবে,পশ্চিম পাঞ্জাবে মুসলিমরা হিন্দুদের উপর আক্রমণ করতে থাকে।দলে দলে শরণার্থী দিল্লীতে আশ্রয় নিতে থাকে।দিল্লীতে উত্তেজনা ছড়ায়।শিখ এবং হিন্দুরা মুসলিম বসতি আক্রমণ করতে থাকে।শুরু হয় নিধন যজ্ঞ।সেসময় দিল্লীতে উপস্থিত সেনাবাহিনী’র একাংশ যারা মূলত উত্তরভারতীয় তারাও গণহত্যায় মদত দিতে থাকে।দক্ষিণ ভারতীয় সেনারা গণহত্যা ঠেকাবার চেষ্টা করে গেছিল।প্রশসন মুখ থুবড়ে পড়েছিল।আর আশ্চর্য রকম নিরুত্তাপ ছিলেন বল্লভ ভাই প্যাটেল।নেহরু গান্ধিজী’র কাছে এই গণহত্যা নিয়ে অভিযোগ করেন।বল্লভ ভাই প্যাটেল জানান চিন্তার মত কিছুই ঘটেনি।এটা পরিষ্কার যে বল্লভ ভাই প্যাটেলের নির্দেশে প্রশাসন হাত গুটিয়ে বসেছিল।এরফলে নিরীহ মানুষগুলোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়।
    মাউন্টব্যাটেন পরিস্থিতি সামাল দিতে উল্লেখ্য ভূমিকা গ্রহণ করেম।অ্যাকশন কমিটি গঠিত হয়।একটি মিটিং এর পূর্বে বল্লভ ভাই প্যাটেলের নির্দেশে পুলিস মুসলিম মহল্লা গুলোতে তল্লাশি চালিয়ে তথাকথিত অস্ত্র উদ্ধার করে আনে।বল্লভ ভাই প্যাটেলের বক্তব্য ছিল যে মুসলিমরা এইসব অস্ত্র জমায়েত করে হিন্দু আর শিখ দের আক্রমণের প্ল্যান করেছিল।হিন্দু আর শিখেরা যদি আগেই আক্রমণ না করত,তাহলে তারাই আক্রান্ত হত।কমিটির সদস্যরা যখন উদ্ধার করা অস্ত্রাদি দেখতে গেলেন,তারা দেখলেন,রান্নার ছোট ও বড় ছুরি,পকেট ছুরি আর পুরোনো জলের লোহার পাইপ।সর্দার প্যাটেলের মতে এই অস্ত্রগুলো নিয়ে মুসলিমরা হিন্দু আর শিখেদের আক্রমণ করতে যাচ্ছিল।সমরবিশারদ মাউন্টব্যাটেন দু-একটা ছুরি হাতে তুলে দেখে মৃদু হেসে মন্তব্য করেন যে যারা মনে করে এই অস্ত্রাদি দিয়ে দিল্লী শহরটা দখল করা সম্ভব,তাদের সামরিক জ্ঞান অতি উন্নতমানের।

    গুজরাত,২০০২
    অনেককিছুর মত,গুজরাট গণহত্যা’কেও দাঙ্গা বলে চালানোর চেষ্টা বিজেপি নেতারা করে থাকেন,এটাকে গোধরা কান্ডের বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ হিসেবে দেখানো হয়।কিন্তু,গোধরা কান্ডের অনেক আগে থেকেই সঙ্ঘ নেতারা গণহত্যার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।হিন্দুত্বের মেরুকরণে নরেন্দ্র মোদী’র অভিষেক করা দরকার ছিল,আর তার জন্য বেজন্মা সংখ্যালঘুদের রক্তপান একটি অতি আবশ্যিক প্রক্রিয়া।সম্প্রতি ৫৪১ পাতার একটি রিপোর্ট গুজরাত দাঙ্গার তদন্তকারী দল সিট এর কাছে জমা পড়েছে,যেখানে সংগৃহীত আছে বিভিন্ন পুলিস কন্ট্রোল রুমে আসা ফিল্ড অফিসারেদের সতর্কবার্তা।সেসব সতর্কবার্তায় স্পষ্টভাবে গণহত্যা পূর্ববর্তী সময়ে গৈরিক নেতাদের গতিবিধি এবং গণহত্যাচলাকালীন বিভিন্ন জায়গার ভয়াবহ পরিস্থিতি সম্পর্কে পুলিস কন্ট্রোল রুমকে অবহিত করে যাওয়া হয়েছে।এটা পরিষ্কার যে খবর পাওয়া সত্বেও উপরমহলের নির্দেশে পুলিশ চুপ করে বসেছিল।এই রিপোর্ট সর্বভারতীয় মিডিয়ার কাছে পৌঁছেছে এবং তাদের সৌজন্যে তার কিছু অংশ এখানে তুলে দেবো।
    প্রথমেই বলে রাখি,গোধরা ট্র্যাজেডি না ঘটলেও গুজরাত গণহত্যা হত।গোধরা কান্ড দেশলাই কাঠির কাজ করেছিল।বারুদ কিন্তু আগে থেকেই যোগাড় করা হচ্ছিল।
    আমেদাবাদে দুটি কেন্দ্রীয় পুলিস কন্ট্রোলরুম ছিল ২০০২ সালে।তার একটি ছিল শহরের প্রাণকেন্দ্রে শাহীবাগে।নারোদা আর গুলবার্গ সোসাইটি,যেখানে ২৮শে ফেব্রুয়ারী ১৫০ জন মুসলিম আবাল-বৃদ্ধ বনিতা কে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়,তা সেই পুলিস কন্ট্রোলরুম থেকে ৬ কিমি ব্যসার্ধের মধ্যে অবস্থিত।
    দ্বিতীয়টি,মানে,রাজ্য পুলিস কন্ট্রোলরুম,গান্ধীনগরে পুলিস ভবনে অবস্থিত।নারোদা-গুলবার্গের ঘটনা ঘটার আগে রাজ্য পুলিস কন্ট্রোলরুমে আমেদাবাদে গৈরিক বাহিনীর সশস্ত্র জমায়েতের খবর ছিল।কিন্তু কোনো অদৃশ্য অঙ্গুলিহেলনে তারা চুপ থেকে রাজধর্ম পালন করছিলেন।
    আরেকটি তৃতীয় কন্ট্রোলরুম ছিল,যেটি আদতে স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’র হেড কোয়ার্টার,এবং তা অবস্থিত ছিল ওই পুলিস ভবনেই।২৭ তারিখ থেকেই গোটা রাজ্যের ফিল্ড পুলিস দের কাছ থেকে ভিএইচপি,বজরং দল,প্রমুখ উগ্র দক্ষিণ পন্থী দলের সশস্ত্র জমায়েত এবং গতিবিধি সংক্রান্ত অসংখ্য বার্তা আসতে থাকে।কিন্তু,কোনো অজ্ঞাত কারণে রাজ্য পুলিসের কর্তারা সতর্কবার্তা পাওয়া প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ন্যুনতম চেষ্টা করেন নি।সন্দেহ এখান থেকেই শুরু হয়।
    গোধরা ট্র্যাজেডি’র কয়েকঘন্টা পরেই গুজরাতে ভিএইচপি’র ইউনিটের তিন বর্ষীয়ান নেতা,জয়দীপ প্যাটেল,দিলীপ ত্রিবেদী আর কৌশিক প্যাটেল মিলে একটি স্টেটমেন্ট ইস্যু করেন,যাতে রাজ্যওয়াড়ি বন্ধের ডাক দেওয়া হয় এবং কিছু উত্তেজনাকর বাক্য বলা হয় যা সহজেই ‘মব’ কে ‘ভায়োলেন্ট’ করে তুলতে পারে।২৭ শে ফেব্রুয়ারি,রাত ৮টা ৩৮ মিনিটে একজন স্টেট লেভেল অফিসার এই স্টেটমেন্ট সংক্রান্ত সতর্কবার্তা স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর কাছে পাঠান(February 27, 2002.Time: 8:38 pm.State Intelligence Bureau Message No: Page No. 188 (Annexure III, File XVIII,D-160).
    এবং তা যথারীতি অগ্রাহ্য করা হয়।২৭ তারিখ বার্তা পেয়ে সতর্ক হলে নারোদা-গুলবার্গের নারকীয় হত্যাকান্ড নাও ঘটতে পারতো।আমার কাছে প্রত্যেকটি মেসেজের দিন তারিখ,সময়,প্রেরক ও প্রাপক,পেজ নাম্বার ,অ্যানেক্সচার,ফাইল আর ডকুমেন্ট নাম্বার আছে।সবকটি এখানে দিলে অতি দীর্ঘ হয়ে যাবে।মেসেজগুলি থেকে এটা পরিষ্কার যে গুজরাত প্রশাসনের কাছে প্রত্যেকটি হত্যাকান্ডের আগাম সতর্কবার্তা ছিল,তা সত্বেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।অসহায় মানুষগুলোকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে।যারা মেসেজ গুলো দেখতে চান,আমাকে ইনবক্সে মেসেজ করুন,আমি সোর্স লিঙ্ক দিয়ে দেবো।
    ২৭ এবং ২৮ তারিখে মুসলিমদের উপর অসংখ্য প্রানঘাতী হামলার পুলিসি বার্তা পেয়েও আমেদাবাদের পুলিস কমিশনার সিটের তদন্তকারী দলের জেরায় বলেন যে তিনি পরিস্থিতি কার্ফিউ জারি করার মত মনে করেন নি।
    মেসেজগুলি তুলে ধরছি,
    February 27, 2002
    Time: Not Known
    State Intelligence Bureau Message No: Page No. 345, Order No. 24 (Annexure III File XIX)
    Sender: D.O, Ahmedabad
    Recipient: Intelligence Office, Virangam (Ahmedabad)
    ৭৫ জন ভিএইচপি আর বজরংদল সমর্থক গোলওয়াড়া আর বীরাঙ্গাম চাল্লি’তে জমায়েত হয়েছে।পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত।
    February 27, 2002
    Time: 6:10 pm
    State Intelligence Bureau Message: No. 531 Page No. 19 (Annexure III, File XVIII (D-160)
    গোধরা থেকে বিকেল ৪.৩০ নাগাদ সবরমতী এক্সপ্রেস আমেদাবাদে এসে পৌঁছেছে।সশস্ত্র করসেবকরা খুনের বদলা খুন বলে শ্লোগান দিচ্ছে।
    February 27, 2002
    Time: 10:12 pm
    State Intelligence Bureau Fax Message: 311/02 Page No.: D-1/ HA/Jaher Sabha/Junagadh
    Sender: CID, Bhavnagar
    Recipient: IG, Gujarat & Intelligence Bureau, Gandhi Nagar
    ওই দিনেই রাত ১০টা ১২তে ভাবনগর থেকে সি আই ডি’র এক ইন্সপেকটর গান্ধীনগরে আইজি,গুজরাত স্টেট ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো’র কাছে বার্তা পাঠান যে জুনাগড়ে সাধু সমাজ এর প্রেসিডেন্ট গোপাল নন্দ এবং স্থানীয় ভিএইচপি নেতারা হিন্দুদের বদলা নেওয়ার ডাক দিচ্ছেন।সময় সন্ধে সাড়ে-সাতটা থেকে সাড়ে নটা’র মধ্যে।
    ২৭শে ফেব্রুয়ারি গণহত্যা শুরু হয়।
    February 27, 2002
    Time 17:45
    State Intelligence Bureau Fax Message No 273 File XIX Annexure III
    Sender: B M Mohit Anand Centre
    সবরমতী এক্সপ্রেস আনন্দ রেলস্টেশনে পৌঁছায়।সেখানে করসেবকরা স্টেশনে উপস্থিত চার মুসলিম কে কোপায়।আনন্দের বাসিন্দা আবদুল রশিদ,বয়স ৬৫,তার ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়।বাকিদের আনন্দ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
    February 27, 2002
    Time: 11:59 pm
    State Intelligence Bureau Fax Message: Com/HM/550/ Out No. 398
    Sender: ACP, Gandhinagar Region
    Recipient: IG, Gujarat & Intelligence Bureau, Gandhi Nagar
    গোটা রাজ্য থেকে উন্মত্ত করসেবকদের আক্রমণের খবর আসতে থাকে,মোদাসা’র ভেদগামে ৫০ জন করসেবক স্পেশাল বাসে করে গ্রামবাসীদের উত্তেজিত করে স্থানীয় মুসলিমদের উপর আক্রমণ শুরু করে।স্থানীয় পুলিস থানাগুলো তে বারবার সাহায্যের আর্তি জানিয়েও কোনো সাহায্য পাওয়া যায়নি।
    সিট এর রিপোর্টে ১৩৪ পাতায় পরিষ্কার বলা আছে যে শ্রী বিজয় বাড়েকা,. Under Secretary to Home Department জানিয়েছেন যে ভিএইচপি’র ডাকা ২৮ তারিখের গুজরাট বন্ধ আর ১ তারিখের ভারত বন্ধ শাসক বিজেপি সমর্থন করেছিল।
    February 28, 2002
    Time: 9am-10am
    State Intelligence Bureau Message No: 73/02 Page 365 (Annexure III File XXI (D-166)
    Sender: ACP (Intelligence) Surat

    সদর চক,ভাপি টাউন এ ভিএইচপি’র দিনেশ বেহারি,বজরং দলের আচার্য ব্রম্ভট,বিজেপি’র জহর দেশাই আর আরএসএস এর বিনোদ চৌধুরি উপস্থিত জনতাকে গোধরা কান্ডের বদলা নেবার জন্য প্ররোচিত করছেন।
    .
    .
    স্বরাষ্ট্র দপ্তরে ক্রমাগত সতর্কবার্তা পাঠানো সত্বেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।এদিকে গোধরা ট্র্যাজেডিতে নিহত করসেবকদের দেহ লোককে দেখিয়ে ভিএইচপি নেতারা যে ম্যাস হিস্টিরিয়া তৈরী করতে চেয়েছিলেন,তাতে পূর্ণ সফলতা পান।
    সোলা হাসপাতালে নিহত করসেবকদের দেহগুলো আনা হয়েছিল।সেখানে ধীরে ধীরে ৬০০০ উন্মত্ত জনতার ভিড় তৈরী হয়।বিপদবার্তা যায় পুলিস সদরে।অথচ পুলিস কর্তা পান্ডে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক দ্যাখেন।করসেবকদের দেহ সৎকার হওয়ার পর উন্মত্ত সশস্ত্র জনতা নারোদা-পাতিয়া,নারোদা গ্রাম আর গুলবার্গ সোসাইটি’র দিকে এগিয়ে যায়।পুলিসের কাছে এর খবর ছিল।
    পিসি আর এবং এস আই বি’র রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ ছিল যে গুলবার্গ সোসাইটি আর নারোদা আক্রান্ত হতে পারে।অথচ পুলিস কর্তা পান্ডে কার্ফিউ জারি করেন বেলা ১২.৫০ এ,ততক্ষণে ১০-১৫ হাজার সশস্ত্র মানুষের জমায়েত করে ফেলেছে করসেবকরা।কাজেই,কার্ফিউ কাগজেই থেকে গেছিল।বেলা ২টো থেকে ৬টার মধ্যে ১৫০ মানুষকে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারা হয়।ঘরবাড়ি লুট হয়।পান্ডে সন্ধের আগে সেখানে যাওয়ার সময় পান নি।
    ফিল্ড অফিসার রা মোট তিনটে বার্তা পাঠিয়েছিলেন।

    Date: 28.02.02
    Time: 12:15
    Sender: Police Inspector CJ Bharwad To: State SIB Control Room
    গুলবার্গ সোসাইটিতে মুসলিমরা বাস করে।
    ‘মব’ গুলবার্গ সোসাইটি ঘিরে জমা হচ্ছে।
    কড়া নজর রাখা দরকার।.
    Date: 28.02.02
    Time: 14:50
    Sender: Police Inspector CJ Bharwad To: State SIB Control Room
    ৩০০০ এর বেশি ‘মব’ জড় হয়ে গেছে।
    টেক ইমিডিয়েট অ্যাকশন।.
    Date: 28.02.02
    Time: 17:00
    Sender: Police Inspector CJ Bharwad To: State SIB Control Room
    সমস্ত দিক থেকে ‘মব’ সোসাইটিকে আক্রমণ করে এহসান জাফরি,নারী ও শিশুদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে।ঘরবাড়ি সব লুট করা হয়েছে।
    এহসান জাফরি প্রাক্তন সাংসদ।তার বাড়ি থেকে সাহায্য চেয়ে অনেকবার ফোন করা হয় পুলিস থানায়।কেউ জবাব দেয় নি।
    আমি মাত্র কয়েকটা মেসেজ তুলে ধরলাম।এটা স্পষ্ট যে গুজরাত গণহত্যায় প্রশাসনের সম্পূর্ণ সমর্থন ছিল।আক্রমণকারীরা ভুল করে কিছু হিন্দু বাড়ি আক্রমণ করে।প্রশাসন থেকে এরপর হিন্দু বাড়িগুলোতে গেরুয়া পতাকা লাগানো হয়,যাতে নরপিশাচরা শিকার চিনতে ভুল না করে।
    এত গেল,নিছক তথ্যপ্রমাণ।একটু দেখা যাক,হিন্দুত্বের ধ্বজাধারীরা কি করেছিল।
    বাচ্চা,কিশোরী,মহিলা কেউ ধর্ষণ থেকে বাঁচেনি।এদের জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার আগে গ্যাং রেপ করা হয়েছে।স্তন,যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়া হয়েছিল।প্রেগনান্ট নারীর পেট চিরে ভ্রুণ বের করে তরোয়ালে বিঁধে নেচেছে ধর্মান্ধরা।বাচ্চাদের গায়ে পেট্রল ঢেলে জ্যান্ত পোড়ানো হয়েছে।তিস্তা শেতলাবাদের রিপোর্ট অনুযায়ী ৩০০ এর বেশী মেয়েকে ধর্ষণ করে জ্যান্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে।মহিলাদের ধর্ষণ করার পর তাদের স্ত্রী অঙ্গে গেরুয়া পতাকা পুঁতে দেওয়া হয়েছে।রেণু খান্না’র লেখায় এর বিস্তারিত বিবরণ পাওয়া যায়।
    সরকারী পরিসংখ্যানে মুসলিম নিহত হয়েছে ৮০০ এর কাছাকাছি।সিদ্ধার্থ বরদারাজন,কল্পনা কান্নাবিরান,তিস্তা শেতলাবাদ,দ্য কন্সার্নড সিটিজেন্স ট্রাইবুনাল ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীদের হিসেবে নিহতের সংখ্যা ২০০০ এর বেশী।৩০০ এর বেশী এখনও নিখোঁজ।
    জামালনগরের মত কিছু জায়গাতে পালটা আক্রমণ ঘটেছিল।সরকারী হিসেবে হিন্দু মৃতের সংখ্যা ২৫৪।এর মধ্যে একটা অংশ মারা গেছে পুলিসের গুলিতে।কিছু মুসলিম পল্লী আক্রমণ করতে গিয়ে বাকিরা পালটা আক্রমণকারী মুসলিমদের হাতে।
    ১৯৪৬কলকাতা,১৯৪৭দিল্লী,২০০২গুজরাট...সব জায়গাতে কিছু কমন ফ্যাক্টর আছে।সব ক্ষেত্রেই প্রশাসন হত্যাকারীদের সমর্থন করে গেছে।সুরাবর্দী,বল্লভ ভাই প্যাটেল,নরেন্দ্র মোদী,এদের প্রত্যেকেরই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য এতগুলো মানুষ কে বলি হতে হয়েছে।
    আর একটা তথ্যও কমন,যারা মেরেছে আর যারা মরেছে,তারা প্রত্যেকেই সাধারণ মানুষ,কারুর পিতা,কারুর ভাই,কারুর সন্তান।
    গুজরাত নিয়ে বেশী কথা বলেছি।কারণ,এটা সাম্প্রতিক বিষয়।আমি গণহত্যা পরবর্তী গুজরাট নিজের চোখে দেখেছি।আমার এক সহপাঠিনী ছিল।গুজরাতি।নাম আসিয়া নাসরিন।গণহত্যার কিছুদিন আগে সে বাড়ি যায়।তার বারি চারোদিয়া চক।আর ফেরেনি। আমরা সহপাঠীরা তার খোঁজ করতে গুজরাটে যাই।সেখানে খবর পেলাম,আসিয়া’কে হিন্দুত্বের ধ্বজাধারী নরপিশাচরা গ্যাং রেপ করে মুখে অ্যাসিড ঢেলে জ্যান্ত পুড়িয়ে মেরেছে।
    আসিয়া আমার কেউ নয়।১৯৪৬ এর কলকাতাতে যারা খুন হয়েছিল,তারাও আমার কেউ নয়।এবং আমি মনে করিনা,এ নরমেধ যজ্ঞের প্রতিবাদ করার জন্য নিজের কাউকে হারাবার দরকার আছে।
    আজ যখন নরেন্দ্র মোদী’কে জননেতা হিসেবে তুলে ধরা হয়,আমার আসিয়া’র মুখ মনে পড়ে।সতেরো বছরের একটা ফুটফুটে মেয়ে,সায়েনটিস্ট হওয়ার স্বপ্ন দেখতো।
    তারপর বুনো একটা রাগ শিরায় শিরায় ছড়িয়ে পড়ে।
    আসিয়া,তোমার দিব্যি,এ দেশে সাম্প্রদায়িকতার শয়তান গুলোকে শেষ না করা অব্দি নিজেকে রেহাই দেবোনা।
    এগারো বছর ধরে সেই শপথ রক্ষা করার চেষ্টা করে যাচ্ছি।
    এ লড়াই-এ আপনাদের আহ্ববান রইলো।
  • | 24.97.***.*** | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২৩:২৩618006
  • আপনার নিকটি সার্থক।

    করতে তো চাই কতকিছুই। কিন্তু শেষমেষ কিছুই করা হয় না। আপনি/আপনারা করছেন..... আপনাদের সাফল্য কামনা করি।
  • siki | 132.177.***.*** | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩৫618007
  • আরও বেশি লিখুন।

    আপনার লেখাটা ছড়িয়ে দিতে চাই, যতটা পারি।
  • pi | 118.12.***.*** | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২৩:৩৬618008
  • সিকি , ফেবু গ্রুপেও আছে। শেয়ার করতে পারো।
  • h | 127.194.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৩ ১৮:৪০618009
  • এই ধরণের লেখা ভালো, ক্ষত দগদগে হয়ে থাকবে হয়তো স্বাভাবিক, তবে এই ধরণের ন্যুনতম শর্ত হল সোর্সিং। যেটা আমরা ১৯৪৬/১৯৪৭ এর বেলায় পাচ্ছি না। এটা কি ব্যক্তিগত রিসার্চ এর অভাব না মেটেরিয়াল এর অভাব ? এই প্রশ্ন লেখক কে?

    এবং এটা যদি সিরিজ হয়, এতে নোয়াখালি, ভাগলপুর, দিল্লী ৮৪, মীরাট, মুম্বাই, আসাম এর উপরে কাজ/নোট্স আশা করব।
  • h | 127.194.***.*** | ১৪ জুলাই ২০১৩ ১৮:৪১618010
  • দ্বিতীয় প্রশ্নবোধক টা শুধু ই দাঁড়ি হবে।
  • কালপুরুষ | 111.218.***.*** | ১৫ জুলাই ২০১৩ ০০:৪১618011
  • ১৯৪৬-৪৭ এর যা ডেটা পেয়েছি,তা পর্যাপ্ত ছিল না।বেশ কিছু ক্ষেত্রে আমাকে প্রাপ্ত তথ্যের সাথে যথাসম্ভব যুক্তিগ্রাহ্য অনুমান মিশিয়ে সিদ্ধান্তে আসতে হয়েছে।সরকারি তথ্যাগার ব্যবহার করতে পারিনি আর আমার দিক থেকেও কিছু ভুল হয়েছে।এরপর থেকে সতর্ক থাকবো।
  • h | 213.99.***.*** | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১১:০৭618012
  • ইয়েস, আমার ক্যাজুয়াল অবসারভেশন কে আদৌ পাত্তা দেওয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। যে কাজে নেমেছেন, সে মানে খুব কঠিন লড়াই।
  • h | 213.99.***.*** | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১১:০৮618013
  • সুরঞ্জন দাশ এর বই ৪৬-৪৭ এর জন্য রেফার করতে পারেন।
  • b | 135.2.***.*** | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১১:১৭618002
  • উৎস মানুষের পাবলিশ করা একটা বই ছিলো 'ইতিহাসের দিকে ফিরেঃ ছেচল্লিশের দাঙ্গা'। মোটামুটি পপুলার ইতিহাস বইয়ের মত।
  • h | 213.132.***.*** | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১১:৩৪618003
  • হ্যাঁ রাইট। এই বইটা আমি ও কিনেছি, গতবার বইমেলায় মাত্র। রিজনেবলি ভালো বই।
  • কালপুরুষ | 59.136.***.*** | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১২:২৩618004
  • সুরঞ্জন দাশ এর বই'টির কথা জানি।তবে উৎস মানুষের বইটির কথা জানা ছিল না।সংগ্রহ করব।অনেক ধন্যবাদ।আর আমার নিজের মনে হয়েছে প্রত্যেকটি বড় মাপের দাঙ্গা-গণহত্যা আদতে সুকৌশলী রাজনৈতিক ভাবনা প্রসূত।এর নির্দিষ্ট প্যাটার্ন আছে।আমার সীমিত সাধ্যে সেই প্যাটার্নের নকশা'টা মানুষের সামনে ফুটিয়ে তুলতে চাই।আপনাদের সহযোগিতা চাইছি।ভারতে ঘটে যাওয়া দাঙ্গা-গণহত্যা নিয়ে যদি কোনো বই,ডকুমেন্ট বা ইন্টারনেট লিঙ্ক জানা থাকে,আমাকে জানান।বই এর নাম লিখলে প্রকাশনী সংস্থার নামটা দেবেন।প্রত্যাশা রইলো।
  • h | 213.132.***.*** | ১৫ জুলাই ২০১৩ ১৩:০৩618005
  • যে কটা টপ অফ দ্য হেড মনে পড়লো ঃ
    ১- কম্ব্যাট কমিউনুলাজিম - এর আর্কাইভ।
    ২ - শাহিদ আমিন এর ভাগলপুর দাংগার উপরে প্রবন্ধ।
    ৩ - লিবারহান্স কমিশন রিপোর্ট ও সাবমিশন
    ৪ - শ্রীকৃষ্ণ কমিশন রিপোর্ট এবং সাবমিসন
    ৫। সুজাতা প্যাটেল এর সম্পাদিত বই বোম্বে সংক্রান্ত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন