এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রাণা আলম | 59.136.***.*** | ২৮ মে ২০১৩ ১৬:১৪609763
  • দেশের বাড়ি’র গপপো...

    আমার একটা দেশের বাড়ি আছে।শহর বহরমপুর থেকে ২০-২২ কিমি দূরে।গ্রামের নাম ছয়ঘরি।সেখানে আমার পিতৃকুলের বাস।আমার বড় আব্বা আর চাচাতো ভাই-এরা এখনও সেখানে থাকেন।আমরা বহরমপুরে থাকি,বছরে ছুটিছাটাতে গ্রামের বাড়ি যেতাম।দুই ঈদে আর গরমের ছুটিতে লম্বা সময় কাটতো।গ্রামে কারেন্ট ছিলনা।রাস্তার দুদিকের বাড়ি,সবই আমাদের জ্ঞাতি-গোষ্ঠী’র।আমার সমবয়সী একগাদা ভাই-বোন।সবাই মিলে নানারকম খেলা হত।তখনও আমার দাদা-দাদী বেঁচে ছিলেন,বিষয় সম্পত্তি কিছুই ভাগ হয়নি।আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে ভৈরব নদের শাখা বয়ে গেছে।তখন তাতে বর্ষা’র সময় পানি হত ভালো।শুনেছি,গ্রামে আগে নীল চাষ হত।নীলকর সায়েবের ভাঙ্গা বাংলো গ্রামে এখনও আছে।এই বড় খালে নাকি নীল নেওয়ার জন্য বজরা আসতো।দাদী’র মুখে এই গল্প শুনেছি।পাড়ার বড় ছেলেরা কলাগাছের ভেলা তৈরী করে তা পার হত।আমিও তাতে চেপেছি।ওপারে আমাদের বাগান ছিল।খুব বিশাল।বড় বড় সব গাছ।দিনের বেলাতেই আঁধার লেগে থাকতো।শেয়াল ঘুরতো।একা যেতে ভয় করতো।পানি একটু নামলে পাট ভেজানো হত।রাস্তার দুধারে বাঁশের উপর পাটের আঁশ মেলে দেওয়া হত শুকোবার জন্য।চাঁদনী রাতে,আমরা লুকোচুরি খেলতাম সেই রূপোলী তন্তুর আড়ালে।বড় অপার্থিব সে আলো।
    গ্রাম শেষে একটা সরু রাস্তা চলে গেছে টেঁকা রায়পুরের দিকে।তার দুদিকে চাষের জমি।তখন সাইকেলে হাফ প্যাডেল শিখেছি।সাইকেল চালিয়ে চলে যেতাম সেই রাস্তা ধরে।খানিক এগিয়ে গাঁয়ের হাই স্কুল পড়ে।স্কুলের বিরাট মাঠ,চারিদিক গাছ দিয়ে ঘেরা।তার একপাশের রাস্তা গেছে আদিবাসী পাড়ার দিকে।আরেকটা রাস্তা ভৈরব নদের দিকে।
    কখনও সখনও সাইকেল নিয়ে চলে যেতাম ভৈরব নদের দিকে।নদে বর্ষাকাল ছাড়া পানি খুব কম থাকতো।বালি’র উপর পানি বয়ে যেত।সূর্যের আলো পড়ে তা চিকচিক করতো।নদের উঁচু পাড়ে বাইশ সাইজ সাইকেলের হ্যান্ডেল ধরে একটা রোগা ছেলে নিচের দিকে তাকিয়ে থাকতো।নদের ওপারে আমার বড়-বিটিমা’র বাড়ি।এপার থেকেই কল্পনা করতাম,বড় বিটিমা এখন উঠোনে চুল শুকোচ্ছেন,মুখে পান।আমি যেমনি বাড়িতে ঢুকবো,সবাই ক্যামন অবাক হয়ে যাবে।কুঁয়োর পানিতে হাত পা ধুয়ে দাওয়াতে শীতলপাটিতে বসতে দিয়ে কাঁসার থালায় ভাদই ধানের মুড়ি আর নাড়ু দিয়ে যাবে।অপূর্ব তার স্বাদ।সূর্য যখন পাটে বসার উপক্রম করতো,তখন বাড়ি ফেরার কথা মাথায় আসতো।অনেকখানি রাস্তা একদম নির্জন।পাটের ক্ষেতে নাকি ছেলেধরারা বস্তা নিয়ে লুকিয়ে থাকে।সেই ভয়ে জোরে প্যাডেল করতাম।অনেকগুলো বাঁক পেরিয়ে যখন গ্রামের সীমানায় কোন বাড়িতে আলোর বিন্দু দেখতে পেতাম,স্বস্তি ফিরে আসতো।
    আবার কোনোদিন সাইকেল নিয়ে চলে যেতাম আদিবাসী পাড়া পেরিয়ে।খানিক এগিয়ে নীলকর সায়েবের বাংলো পড়তো।তারা চলে যাওয়ার পর তাদের নায়েব রাম অধিকারী’র পরিবার জমি জিরেতের দখল নেয়।রাম অধিকারী খুব অত্যাচারী ছিল।মাঘের রাতে নিজের বউ কে পুকুরে ফেলে দিয়ে বন্দুক হাতে সারারাত পাহারা দিয়েছিল,হুমকি দিয়েছিল যে বউ উপরে উঠলেই গুলি করবে।সেই পুকুর তখনও ছিল।তার ধারে দাঁড়িয়ে সেই শোনা গল্প মনে পড়তো।রাম অধিকারী সাঁওতাল প্রজাদের হাতে খুন হয়।তার কিছুদিন পরে তাদের পরিবার এখান থেকে চলে যায়।জমি-জমা ভাগে দেওয়া ছিল আর বাংলোটা পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল,তবে তা কেউ দখলে নেয় নি।আমি মাঝে মধ্যেই যেতাম।একদিন দেখি,বন্ধ বাড়ি’র দোতলার ঘরের জানালা থেকে আমার দিকে কে চেয়ে আছে।পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে কেউ আছে,কিন্তু তার মুখ বোঝা যাচ্ছেনা।ভয়ে প্রাণপণে সাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরি।আর কোনোদিন যাইনি ওদিকে।
    বড় আব্বা কম্যুনিস্ট পার্টি করার দরূণ,কংগ্রেস আমলে চাকরি খুইয়েছিলেন।তারপরে আর চাকরি’র চেষ্টা করেন নি।চাষবাস নিয়েই থাকতেন।আমাদের পানের বরজ ছিল,তার পাশে একটা পুকুর।আমাদের বড় বিলও ছিল শরিকানা,তবে তা অনেক দূরে,আমি চোখে দেখিনি।বড় আব্বা আমার হাত ধরে পানের বরজে নিয়ে যেতেন।দুপুরে একসাথে মাছ ধরতে বসতাম।প্রথম দিকে কিছুই উঠতোনা।যেদিন ছিপে প্রথম একটা পুঁচকি মাছ উঠলো,আমার থেকে আমার বড় আব্বা’র বেশি আনন্দ।সারা রাস্তা লোকজন কে শুনিয়ে ফিরলেন,রাণাবাবু আজ মাছ ধরেছেন।
    গরমের দুপুরে আম বাগানে যেতাম।আমাদের গোটা পাঁচেক বড় আমবাগান ছিল।এখন ভাগ হয়ে আব্বা কিছু বাঁচিয়ে রেখেছেন,গোটা তিনেক বাগানও তৈরী করেছেন,তবে তা আগের মত বড় হয়নি।মন্দিরতলায় যে বাগান ছিল,সেখানে মাচা ছিল।গাছের নিচে মাচায় শুয়ে দুপুর কাটতো।নিস্তব্ধ।মাঝে মধ্যে দু-একটা পাখির ডাক।নিচে আগাছার মধ্যে দিয়ে কোন ছোট জন্তু’র চলে যাওয়ার শব্দ।ক্যামন লাগতো তা বোঝাবার মত শব্দ আমার কাছে নেই।সন্ধেবেলা পাঁচ ব্যাটারির টর্চ,হ্যারিকেন,রুটি-তরকারি আর পানির জগ নিয়ে খোশবুর ভাই-এরা বাগান পাহারা দিতে আসতো।মাচার উপর মশারি টাঙ্গানো হত।লাঠি আর বল্লম থাকতো ওদের কাছে।বিশাল কালো চেহারার খোশবুর ভাই-এর কাছে জিনপরীদের কিসসা শুনতাম।
    বহরমপুরে গোরাবাজারে ওল্ড পুলিস লাইন রোডে যে বাড়িতে আমরা থাকতাম,তাতে উঠোনের বালাই ছিল না।দুটো ঘর,একচিলতে বারান্দা,আর সামনে রাস্তা।আমার মর্নিং স্কুল ছিল।আব্বা-মা দুজনেই চাকরি করেন,তারা বেরিয়ে যেতেন।গোটা দুপুর ওই বদ্ধ খুপরি-মার্কা ঘর বারান্দা করে কাটতো।
    যে পাখি সারাজীবন খাঁচাতে কাটাবে ঠিক করে রেখেছে,তাকে দুদিনের প্যারোলে আকাশে ছেড়ে দিলে যা হয়,আমারো গ্রামে গেলে তাই হত।আমাদের বাড়ি-লাগোয়া একটা বাগান আছে।সেখানে চরে বেড়াতাম।চাচাতো ভাইদের সাথে মাঠে যেতাম।অনেক অচেনা গাছের ফল চিবিয়েছি।পিঠালু গাছের ফল হত,লাল,ছোট্ট,চিবোলে মিষ্টি লাগতো।টিপ্পি খেলতাম।মাটিতে দাগ কেটে কিতকিত খেলা হত।
    ঈদের সময় তো খুব আনন্দ হত।সকাল সকাল চান করে পাঞ্জাবী পরে চোখে সূর্মা লাগিয়ে ঈদগাহে নামাজ পড়তে যেতাম।নামাজ শেষে সবাই মিলে কোলাকুলি হয়।আমার এই ব্যাপারটা খুব ভালো লাগে।ছোট-বড়,ধনী-গরীব,সবাই এখানে সমান।
    কোরবানী’র ঈদে নামাজটা তাড়াতাড়ি হত।তারপর কোরবানী’র পালা শুরু হত।যে পশুটিকে কোরবানী দেওয়া হবে তাকে চান করিয়ে নিয়ে যাওয়া হত।খুব কষ্ট হত প অবোধ প্রাণী’টির জন্য।এখন বুঝি,সব ধর্মই প্রাণের বলি চায়,নইলে তার দাম বজায় থাকেনা।
    এখন আমার গ্রামে কারেন্ট এসেছে।রাস্তা মোরামের হয়েছে।আমার দাদা-দাদি আর বেঁচে নেই।আমাদের বাড়ি’র বাগানেই দাদা-দাদী’র কবর হয়েছে।জমি-বাগান সব ভাগ হয়ে গেছে।জমি-জমা ভাগ নিয়ে শরিকদের মধ্যে খুব অশান্তি হয়েছে।কারুর সাথে সম্পর্ক আর স্বাভাবিক নেই। আমিও বড় হয়ে গেছি।যাদের সাথে খেলতাম,তারা সবাই এখন বড় হতে গেছে।কেউ আর ডাঙ্গুলি,টিপ্পি খেলেনা।সন্ধে হলেই চায়ের দোকানে বা বাড়িতে টিভিতে বাংলা বা হিন্দি সিনেমা দ্যাখে।সব পালটে গেছে।
    এখন যখন গ্রামের বাড়ি যাই,দাদা-দাদী’র কবরের সামনে চুপ করে বসে থাকি।চোখে এমনিই জল চলে আসে,ঝাপসা চোখে দেখতে পাই,আমাদের উঠোনে কাঠের আগুনে রান্না হচ্ছে,দাদী মা’কে বলছেন ‘বেগুনের সালুনটা তুলে রাখো’,কুপি’র আলোতে আব্বা কাগজটা দেখছেন।রসুল চাচা দিঘির মাছ নিয়ে এসেছে।আমার দীর্ঘকায় গৌরবর্ণ দাদামশাই কুঁয়োতলায় হাত পা ধুচ্ছেন,ওই অবস্থায় হাঁক দিলেন,
    ‘ছোট বৌ,রাণা সাইকেল নিয়ে বেরিয়েছিল।ফিরেছে?’
    আমি উত্তর দিতে চাইলাম, ‘দাদামশাই,এইতো আমি...’
    স্বর বেরোলোনা,চাপা বাস্পের ভারে গলাটা আটকে গেল।সন্ধে নেমেছে।ঝিঁঝি ডাকছে।বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।
    পিছনে পড়ে রইলো আমার দাদা-দাদী’র কবর আর আমার ছোটবেলা...
    আচ্ছা,সবকিছুই কি এভাবেই হারিয়ে যেতে হয়?
  • Ekak | 125.115.***.*** | ২৮ মে ২০১৩ ১৬:১৭609764
  • ভালো লাগলো ।আমার মামাবাড়ি ওই কাছেই ।মোর গ্রাম ।
  • শ্রী সদা | 132.176.***.*** | ২৮ মে ২০১৩ ১৬:১৯609765
  • খুব সুন্দর লেখা।
    আমার মামাবাড়ি ও বহরমপুরে।
  • কৃশানু | 213.147.***.*** | ২৮ মে ২০১৩ ২২:৩৭609766
  • বড় ভালো।
  • Lama | 127.194.***.*** | ২৮ মে ২০১৩ ২৩:০৪609767
  • এত সুন্দর লেখা। কি যে বলি!

    আমাদের মামাবাড়িগুলো কেমন পাস্ট টেন্স হয়ে গেল, হয়ে যাচ্ছে। আমরাও।
  • nina | 22.149.***.*** | ০৪ জুন ২০১৩ ২০:১৭609768
  • কি ভাল কি ভাল !!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন