এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বাঙালীস্থানেই কেন চিটফান্ডের এত উপদ্রব?

    বিপ্লব
    অন্যান্য | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ | ৫৫৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব | 78.33.***.*** | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ০৭:৫৯600781
  • বাঙালীই কেন চিটফান্ডের ফাঁদে?
    এত দিস্তা খরচ হচ্ছে, অথচ সব থেকে গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নটা কেও তুলছে না। বা বাঙালীর বিদ্যাবুদ্ধি এত দ্রুত নীচে নেমেছে, সব থেকে গুরুত্বপূর্ন বিশ্লেষণ বা আত্মসমীক্ষা এখনো আমরা করি নি।

    এই প্রশ্ন সবার আগে তোলা উচিত কেন বাংলাতে চিটফান্ড এবং চিটার -এই দুইগোত্রের সব থেকে বড় বেশি রমরমা?

    খুব সহজ উত্তর হচ্ছে বাঙ্গালির ব্যাবসায় অনীহা। গুজরাতে মাথা পিছু আয় বাঙালীর আড়াইগুন। সেখানে চিটফান্ডের উৎপাত কেও শোনেনি। তাহলে বাঙালীর মধ্যেই এই সংক্রামক ব্যধিটি কেন? বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে-বাঙালীর ব্যবসা বিমুখতাই এর মূল এবং মুখ্য কারন।

    সহজলভ্য এজেন্ট। পশ্চিম বঙ্গে শিল্প নেই। কোনদিন হবেও না। সিপিএম এবং তৃণমূল উভয় পার্টি শিল্পবিরোধি পপুলিস্ট এজেন্ডাতে বিশ্বাস করে। ফলে এত বেকার আর কোথাও নেই। এতে এজেন্ট পেতে খুব সুবিধা।
    বাঙালীদের অধিকাংশর ব্যবসা নিয়ে নুন্যতম ধারনা নেই। ফলে ৩০% এজেন্ট কমিশন দিয়ে যে ২০% রিটার্ন দেওয়া যায় না, সেটা বোঝার মতন সামান্য ব্যবসায়িক বুদ্ধিও অধিকাংশ বাঙালীর নেই। কেও টাকা ফেরত পাচ্ছে শুনেই যুক্তিতিরোহিত হয়ে লাফাবে।
    গুজরাট বা অন্য যেকোন রাজ্যে লোকে, কিছু টাকা যেমন জমায়, কিছু টাকাতে জমি সোনা বাড়ি ইত্যাদি এসেট ও করে। খুব গরীবলোক ও জমিয়ে কিছু কিছু না কিছু এসেট করে। চীটফান্ড আসার আগে এইসব বাঙালীর মধ্যেও ছিল। কিন্ত বাঙালী এত অলস-এসেট করাতে যে খাটনি আছে, সেটুকুও করতে তারা নারাজ।
    পাঞ্জাবী বন্ধুদের মধ্যে চিট ফান্ড দেখিনি। সেখানে টাকা করার সহজ উপায় হচ্ছে বন্ধু বা আত্মীয়র ব্যবসাতে চড়াসুদে টাকা লাগানো। বাঙালীদের মধ্যে কেও ব্যাবসা করে না। আর করলেও তাকে কেও বিশ্বাস করে না। ফলে বন্ধু বা আত্মীয়র ব্যবসায় টাকা লাগিয়ে, টাকা করার উপায়-যেটাকে কমিউনিটি ফান্ডিং বলে, সেই সুযোগ বাঙালীদের মধ্যে নেই। সাধারনত এইভাবেই সব থেকে সহজ এবং বেশি রিটার্ন পাওয়া যায়। এই সুযোগটাই বাঙালী কমিউনিটির মধ্যে নেই। ফলে চিটিংবাজির রমরমা।
    কম সুদ? ব্যাঙ্কের সুদ আমেরিকাতে ১ থেকে ২%।ি

    এখানে আমরা সবাই লগ্নি করতে বাধ্য যেহেতু সুদ কিছু নেই। রিয়াল এস্টেট বা বাড়ি সব থেকে নিরাপদ লগ্নীর জায়গা। এই ২০০৮ সালের হাউসিং ক্রাশের পরেও। কিন্ত সাধারণত লগ্নি করা উচিৎ এসেট এবং ক্যাশ বিজেনেস মিলিয়ে। সেটা না হলে বন্ড মার্কেট খোলা আছে।

    আমার অভিজ্ঞতা হচ্ছে বাড়তি পুজিকে আরো বাড়ানোর সেরা উপায় বাড়ি এবং জমি। হতেই পারে হত দরিদ্র বিনিয়োগকারীরা সেটাও পারে না। কিন্ত আমিত দেখছি খুব গরীবদের ও আমানতের পরিমান ১০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ ?
    সেই টাকায় রিক্স বা ভ্যান কিনে ভাড়া দিলেও সারদার থেকে বেশি রিটার্ন পেত। সেইটুকু ব্যাবসায়িক বুদ্ধিও এদের নেই। নীচু থেকে উঁচু বাঙালীর মধ্যে এক রোগ-অলসভাবে বসে থেকে টাকা কামানোর ধান্দা।

    আমি বারবার লিখেছি, বাঙালীর দুর্দশার জন্য সিপিএম বা তৃণমূল না, বাঙালী নিজেই দায়ী। যেমন জাতি, তেমন তার পার্টি। এমন ব্যাবসা বিমুখ জাতি যদ্দিন পারবে, তদ্দিন রবীন্দ্রনাথের দাড়ির উকুন হয়ে আঁতেল সাজবে। হয় লোকে তার পকেট কাটবে, বা সে লোকের পকেট কাটবে।
  • rivu | 78.232.***.*** | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ১৩:৫৬600782
  • রবীন্দ্রনাথের দাড়ির উকুন হয়ে আঁতেল সাজা ছাড়াও বাঙালি জাতির একটা প্রিয় পাসটাইম দেখতে পাচ্ছি। নিজের জাতিকে দিস্তে দিস্তে খিস্তি মেরে ভাবা আমি কি যুগন্ধর।
  • বিপ্লব | 78.33.***.*** | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ২২:৩০600783
  • ামি সিউর সুদীপ্ত সেনের কোম্পানীতে যারা অভিযোগ করেছিল, বাজে খরচ বেশি হচ্ছে, তাদের ও কেও কেও এই কথা বলেছিল। এই জন্য আমি বাঙালীকে দাদুর দাঁড়ির উকুন বলে মনে করি।
  • siki | 132.177.***.*** | ৩০ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:১০600784
  • স্যার, জিনিসটা দাড়ি, দাঁড়ি নয়। দাঁড়ি মানে পূর্ণচ্ছেদ। ফুলিস্টপ।
  • dukhe | 127.194.***.*** | ০১ মে ২০১৩ ১২:৫৯600785
  • পরের টই - বাঙালীর কেন চন্দ্রবিন্দুতে অ্যালার্জি।
    ওতে প্রমাণ হবে এটা আসলে চন্দ্রবিন্দুর ভৌতিক অনুষঙ্গের জন্য এবং সিদ্ধান্ত হবে বাঙালী বেজায় ভীতু, সাহেবদের মত আনুনাসিক অ্যাকসেন্ট পেটরোগা এই কাপুরুষদের জন্য নয়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন