এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ফেসবুক গুরু থেকে | 212.156.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ১৮:২৪585523
  • চন্ডালের শূদ্র হয়ে ওঠার নেপথ্য কাহিনী।
    চন্ডাল একটি বল-বীর্য সমন্বিত অর্থ দ্যোতক শব্দ। চন্ডের সঙ্গে জাতি সূচক আল প্রত্যয় যুক্ত হলে চন্ডাল হয়। এমনি ভাবে লাঙ্গল,জোঙ্গাল,জঙ্গল,ডাঙ্গাল,বোহাল,খেড়ওয়াল,সাঁওতাল,বঙ্গাল প্রভৃতি আদি অস্ট্রাল শব্দগুলির ব্যুৎপত্তিগত বিশ্লেষণ করলেই চণ্ডাল শব্দের গুনগত এবং অর্থগত অভিব্যক্তিটি যথার্থ প্রতিভাত হয়ে উঠবে। ঋকের অনেকগুলি শ্লোকের রচয়িতা বিশ্বামিত্র ছিলেন চণ্ডাল। গুহক চণ্ডাল,রাজা হরিশ্চন্দ্রের কাহিনী অনন্যতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। জাতক কাহিনীতে বোধিসত্ত্বকে সততার প্রতীক হিসেবে চণ্ডাল বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে বহুবার। কার্যসিদ্ধির জন্য সুদাস,মনু,অগ্নী,বরুন প্রভৃতি দাস বা অসুর নেতাদের ও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হতো বৈদিক সাহিত্যে। অর্থাৎ রক্ষস (পরবর্তী কালে রাক্ষস বলা হয়েছে), অসুর,নাগ,চণ্ডাল শব্দগুলি কোন ভাবেই ঋণাত্মক নয় বরং গুণবাচক এবং ধ্বনাত্মক।

    অন্যদিকে নমঃশূদ্র শব্দটি একেবারেই অর্বাচিন বৃটিশ আমলের আরোপিত হীনাত্মক শব্দ। প্রাচীন কোন শাস্ত্রেই এই জাতির কোন উল্লেখ নেই।

    ১৯১১ সালের সেন্সাসে বাঙলার জাতিগুলির মধ্যে নাম পরিবর্তনের একটা হিড়িক তৈরি করা হয়েছিল। ছোটজাতগুলোকে হিন্দুভুত করার জন্য বাংলার তৎকালীন দিকগজ পণ্ডিতদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মত। "জাতির উন্নয়ন" নামক গাল ভরা নামকরণের আড়ালে তারা বিজ্ঞাপন জারি করেছিলেন। প্রায় চল্লিশজন নামকরা মহা পণ্ডিত এই বিজ্ঞাপনে সই করে লিখে ছিলেন, "The caste called Namasudra is Brahmin by origin beging descended from the great Beahmin, Kashypa and not "Chandal'। শুধু চন্ডাল নয় এই হিড়িকে সামিল হয়েছিল বাংলা, বিহার ও আসামের তথাকথিত ছোটজাতেরা। আবেদন পত্রের ওজন ছিল দেড় মন। চন্ডালেরা চেয়েছিল নমঃ ব্রাহ্মণ নাম, কোচরা চেয়েছিল ক্ষত্রিয়, বৈদ্যরা চেয়েছিল ব্রাহ্মন, কাপালিরা চেয়েছিল বৈশ্যকাপালি , বাগদিরা চেয়েছিল ব্যগ্রক্ষত্রিয়,হাঁড়িরা চেয়েছিল ক্ষত্রিয়, সুবর্ণ বিনিকেরা চেয়েছিল বৈশ্য আর পোদরা চেয়েছিল পৌণ্ড্রক্ষত্রিয়। বিহারের ভূমিহারেরা হল ব্রাহ্মণ। কায়স্থরা প্রথমে শূদ্র পরে ক্ষত্রিয়। দুসাদেরা দাবি করেছিল ক্ষত্রিয়ত্বের।

    এর আসল কারন ছিল আইন সভায় সংখ্যা অনুপাতে প্রতিনিধিত্ব করা। বিংশ শতকের শেষ দশকে আগাখাঁ ভাইয়েরা যখন সঠিক ভাবে লোক গণনার জন্য সরকারকে চাপ দিচ্ছিলেন, এবং বার বার প্রমান দাখিল করছিলেন যে, হাড়ি, ডোম, চন্ডাল, সাঁওতালরা কেউই হিন্দু নয়। সংখ্যা অনুপাতে মুসলমানেরাই অনেক বেশী তাই আইন সভায় তাদের বেশী প্রতিনিধি পাওয়া উচিৎ। তখন প্রোমাদ গুনেছিলেন ভূদেবতারা। স্বর্গ বুঝি যায় যায়। সংখ্যা ভারি না হলে বিপদ। যুগযুগ ধরে ঘৃণিত ছোটজাতগুলি মুসলমান শক্তির সাথে পূর্বের মতো হাত মেলালে খাইবার বোলান গিরি পথ দিয়ে ফিরে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। সুতরাং জাতির উন্নয়ন চাই। বিবেকান্দ উদাত্ত কন্ঠে বাহ্মন দের উদ্দেশ্যে আহ্বান করলেন, "এখনো সময় আছে, তুমি কোটিমাত্র বস্ত্রাবৃত হইয়া বল ব্রাহ্মণ ভারতবাসী, মূর্খ ভারতবাসী, চন্ডাল ভারতবাসী, মুচি, মেথর তোমার রক্ত তোমার ভাই।"
    ১৮৭৫ সাল পর্যন্ত যাদের ছায়া পর্যন্ত ব্রাহ্মণদের দূষিত করত দুই দশকের মধ্যে তারা হয়ে গেল, তোমার রক্ত, তোমার ভাই!

    আসামের চিফ কমিশনার ১৮৮৫ সালের ৮ই আগস্ট কাছাড় জেলার ডেপুটি কমিশনারকে চিঠি দিয়ে জানালেন যে, চন্ডালদের নমশূদ্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আর কোন আপত্তি নেই। তারপর ওই চল্লিশজন ভূদেবতা জানান যে নমশূদ্ররা চন্ডাল নয়, তারা ব্রাহ্মন দেবতার সন্তান । পূজনীয় এবং নমস্য।
    ১৮৮৭ তে খুলনার কমিশনার সাহেবের সভায় সচিয়াদহ নিবাসী উমাচরন বিশ্বাস 'শক্তিসঙ্গম তন্ত্র'নামে একখানি শাস্ত্রের প্রাণতোষী নামক অধ্যায়ে "হর-পার্বতী সংবাদে" নম জাতির উল্লেখ আছে বলে লিখিত অংশ পড়ে শোনান এবং দাবী করেন যে তারা নমস মুনির সন্তান। নমস শুদ্র কন্যা বিবাহ করেন। তাই এই জাতি নমঃশূদ্র নামে পরিচিত । পিতৃ সূত্রে তারা বাহ্মন।
    যাইহোক 'জাতির উন্নয়ন'নামে তৎকালীন ছোটজাতগুলির মধ্যে হিন্দু করণের হিড়িক পড়ে যায়। ব্রাহ্মনের আইন সভায় যাওয়ার প্রতিনিধি সংখ্যা বাড়ে। কিন্তু জাতিগুলি সিডিউল্ড তালিকা ভুক্ত হয়ে ব্রাহ্মনের স্থায়ী দাসে পরিণত হয়ে যায়। ১৯১১ সালের সেন্সাসে স্বাধীন বোধি চিত্ত সম্পন্ন একটি প্রাগ বৈদিক জাতি শুদ্রত্বে উন্নীত হয়।
    (রেফারেন্স বইগুলির তালিকা দিলে সূতোটি লম্বা হয়ে যাবে। তাই দিলাম না।)
    --(লিখেছেন নাগরাজ চন্ডাল )
  • ফেসবুক গুরু থেকে | 212.156.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ১৮:২৭585534
  • বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে নমশূদ্রের সামাজিক অবস্থান ছিল খুবই নিচের দিকে। এরা একসময় ‘চন্ডাল’ নামে অভিহিত হত এবং প্রাচীন শাস্ত্রমতে চন্ডালরা অস্পৃশ্য বলে পরিগণিত হত । ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতাব্দীর পুরাণে বাংলার চন্ডালদের অন্ত্যজ এবং সংকরজাতি বলে বর্ণনা করা হয়েছে,.।

    সংখ্যার দিক থেকে নমশূদ্ররা ছিল পূর্ববঙ্গের সবচেয়ে বড় হিন্দু জাতি, আর সমগ্র বঙ্গ প্রদেশে তাদের স্থান ছিল দ্বিতীয় (৯.৮ শতাংশ)। প্রধানত, পূর্বাঞ্চলের ছ’টি জেলায়, বাখরগঞ্জ, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, যশোর আর খুলনা ছিল মুখ্য নমশূদ্র বসতি; ১৯০১ সালে নমশূদ্র জনসংখ্যার (১,৮৫২,৩৭১) ৭৫ শতাংশই বাস করত এই ক’টি জেলায়। আর এই ভৌগোলিক অঞ্চলের মধ্যে আবার সবচেয়ে বেশি লোক বাস করত উত্তর-পশ্চিম বা খরগঞ্জ ও দক্ষিণ ফরিদপুরের জলা জায়গায় আর তার সংলগ্ন যশোর জেলার নড়াইল ও মাগুড়া মহকুমায় এবং খুলনা জেলার সদর ও বাগেরহাট মহকুমায়। সারা বাংলার নমশূদ্র জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেকই বাস করত এই নির্দিষ্ট অঞ্চলটিতে,৩ তাই সঙ্গত কারণেই এটিকে আমরা নমশূদ্র-প্রধান বসতি অঞ্চল বলে চিহ্নিত করতে পারি। এই বিশেষ ভৌগোলিক অবস্থান, যার প্রধান কারণ সম্ভবত ছিল তাদের কৌম ইতিহাস৪, সম্প্রদায় হিসেবে তাদের শক্তির অন্যতম প্রধান উৎস ছিল। ১৯৪৭-এর দেশবিভাগের ফলে এই অঞ্চলটি পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হলে, এদের সংখ্যা লখ্যনিয় ভাবে কমতে থাকে অর্থাৎ দেশ ত্যাগ। কিন্তু কেন?, শূদ্ররাও ছিল অস্পৃশ্য কিন্তু তখন সঙ্খ্যাগুরু মুসলিমরা ও ত শূদ্র থেকেই ধর্মান্তরিত মুসলিম আগে ছিল বুদ্ধ। তাহলে কেন দেশ ত্যাগ, দেশ ভাগ?,সমস্যা টা কোথায়?।
    --(লিখেছেন হায়দার মুন )
  • ফেসবুক গুরু থেকে | 212.156.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ১৮:৩০585536
  • Kallol Mukherjee Eii proshnota aami ageo kichu bektike korechi.Caste hindu kono eksamay nomosudra ba muslimder tachchilo koreche.1947 theke 1952 r moddhe ba ekru pore 1964 e tader singhobhag i ei dike chhole eseche kintu nomosudrorao keno bangladeshe thakte parlo na?

    Wednesday at 06:41 · Like..

    সমীরন মণ্ডল কারন টা হলো মুসলিম দের অত্যাচারে মাত্রা সইতে না পেরে।আর এখনও তো অত্যাচার চলছে।

    Wednesday at 06:59 via mobile · Like..

    Haider Moon সেটাই আমার প্রশ্ন। তথাকথিত নিম্নবর্ণের হিন্দুরাই ত দলে দলে মুসলিম হয়েছিল বর্ণ হিন্দুদের অত্যাচার থেকে বাঁচার জন্য। তাহলে কি মৌলবাদী মুসলিমদের অত্যাচার নিম্নবর্ণের হিন্দুদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করেছিল নাকি ইসলাম ধর্মের নামে নুতন সৃষ্ট দেশ পাকিস্তানে তারা নিরাপদ বোধ করেনি?। উল্লেখ্য সে সময়ে নিম্ন বর্ণের হিন্দু এবং মুসলমান সমার্থক ছিল। নুতন মুসলিমরা তাদের সদ্য ত্যাগ করা নিম্ন বর্ণের ভাইদের খেদিয়ে দিল?।শুধু ধর্মের জন্য?। তারাই বা এত বিপুল সংখ্যা গরিস্ট হয়েও কেন চলে গেল?। ভারত থেকে ত তেমন বিপুল ভাবে মুসমান রা আসেনি। পাকিস্তান ধর্মের নামে সৃষ্ট একটি দেশ,সেটি ব্যারথ্য। বাংলাদেশের ভাগ্যে কি আছে?

    Wednesday at 07:01 · Like..

    Kallol Mukherjee Bharot thekeo onek muslim purbo ba poschim pakistane giyeche.Tader singhobhag swechhai .Up Bihar O poschim banglarr jara uchcho sikkhito muslim tara kintu nijeder ichhatei pakistane geche.Punjab e exchange of population hoyeche.Kichu sonkhok desh tyag koreche swadhinotar samay riot er jonno. Shara bharotborsher khetre bolbona kintu pschimbonger muslimra shei bhabe desh tyag koreni taar karon hinduder shohonshilota.1947 r pore shei bhabe kokhonoi banglarr muslimder upor ottachar hoyeche bole mone hoi na.Aar ekta byapar dekhar moto je dokkhin bharote Hindu prodhan onchole kintu kokhonoi riot ba oi jatiyo kichu hoi ni .Dokkhin Bharoter muslimra kintu dokkhin bharotei roye geche.

    Wednesday at 07:10 · Like..

    Haider Moon সে ত থিক আছে। সমস্যা টা এদিকে । মুসলমানদের আলাদা জাতি বানানো এবং তাদের জন্য আলাদা রাষ্ট্র বানানোটাই ত তাহলে মূল সমস্যা। এখন কি সময় এসেছে এটি মেনে নেয়ার যে ১৯৪৭ এ ধর্মের নামে যে পাকিস্তানের পত্তন করা হয়েছিল তা ছিল ভুল এবং এর বলি হয়েছে নিরীহ মানুষ?। আবার এও সত্য যে এ অঞ্চলের মানুষ ও চেয়েছিল মুসলিমদের জন্য আলাদা দেশ ,গণভোটে রায় ও দিয়েছিল। রায়টি ভুল ছিল?

    Wednesday at 07:15 · Like · 1..

    সমীরন মণ্ডল তোমাদের শিয়া সুন্নী যেমন এখন আদায় কাচকলা তেমনী আগেও বর্নভেদও ছিল আদা-কাচকলা।কিন্তু বর্তমানে সেটা আর দেখা যায় আবার তেমনি ভারতীয় মুসলিমরা ভালোভাবে জানে আমরা যদি শান্তভাবে এখানে থাকি তো ভাল আর যদি ভারতরে পাকিস্তান বা বাংলাদেশ ভাবে তো ঠাঙানী খাবে।কিন্তূ যারা একটু ভেবে ফেলে বাড়াবাড়ি করে আমি চাই তারা ঠাঙানী খাক।আর বাংলাদেশের মুক্তী যুদ্থের চেতনা ঠিকঠাক কাজ করলে এরকম হত না।

    Wednesday at 07:30 via mobile · Like..

    Sarojini Sahoo My intention is never to divert the topic. But I want to specify one point here. I’m neither a supporter of Hindus, nor of any other religions. In case of believing any God, I may be a follower of Spinoza. But I think there should be collateral for everyone’s own belief.
    In consequence with Shahbagh protests, Bengali Hindus have faced vicious attacks by Jamaat-Shibir activists in Bangladesh.I can't understand why Jammat groups target Hindus? Hindus aren't oppressing them as a religious, political group.
    But I find astonished when neither leftists, nor democrats of my Bangladeshi friends raised their voices against such a small, fanatical fringe element’s activities.
    Awami League is trying to show the people how pro-Muslim it is in its attributes. Blasphemy has been introduced from back door.
    As I know majority of people in Bangladesh are tolerant and they never care for such fundamental communalism.

    Wednesday at 07:36 · Like..

    Rajarshee Das hmm converted muslimra tader purbo purusher itihash vule gache

    Wednesday at 08:06 · Like..

    Haider Moon মন্ডল বাবু@ শিয়া সুন্নি সমস্যা টা বাংলাদেশে কখনো ছিল না,এখন ও নেই,এটি পাকিস্তানে সাম্প্রতিক কালে সামরিক সরকার ও মার্কিনী রা উস্কেছে।আর ঠেঙানি জাতীয় শব্দ যদি ব্যবহার করেন তাহলে ভীতির উদ্রেক করে। সরোজিনী@ আপনার বিশ্লেষণ ঠিকি আছে, সাধারন মানুষ সঙ্খ্যালঘু দের ওপর অত্যাচার সমর্থন করে না আবার তেমনভাবে তাদের পাশেও দাঁড়ায় না এটি বাস্তবতা। আমি মূল সমস্যা টি চিহ্নিত করতে চাচ্ছি।

    Wednesday at 08:13 · Like..

    Tamal Nag আমি যতদূর দেখি যারা কনভার্টেড হয় তারা হিন্দুদের উপর বেশী অত্যাচার করে। আমার এক পরিচিত পরিবারে একজন কনভার্টেড হওয়ায় পর তার ভয়ে অর্ধেক পরিবার ভারতে পালিয়েছে, এক ভাই ও বোন কনভার্টেড হয়েছে। ব্যাপারটা কালাপাহারের মত মনে হয়। অনেক জায়গায় ফ্যামিলি ধরে হয়েছে।যারা হয় নি এবং দূর্বল তাদেয় ভারতে চলে যেতে হচ্ছে।কিছুদিন আগে একটা মেয়ের এটা হয়েছে।শুনলাম তাঁর মা বাবাও নাকি চলে যাবে।এখানে মুখ দেখানো সম্ভব না।

    Wednesday at 08:16 via mobile · Like..

    Rajarshee Das ha kala pahar o converted chilo

    Wednesday at 08:17 · Like..

    Tamal Nag আমি সেই জন্যই উদাহরণ টানলাম।

    Wednesday at 08:18 via mobile · Like..

    Haider Moon কিন্তু হিন্দুরা যখন বুদ্ধ হয়েছিল তখন ত কনভারটেড বুদ্ধ দের ওপর ই অত্যাচার হয়েছিল । তাদের আবার সনাতন ধর্মে ফেরত ও আনা হয়েছিল।

    Wednesday at 08:19 · Like..

    Rajarshee Das hmm tao hoyechilo..tobe islamic regime ta khub brutal chilo

    Wednesday at 08:20 · Like..

    Tamal Nag এটা সংখ্যার ব্যাপার।তখন হিন্দুরা সংখ্যায় বেশী ছিলো। ভারতে যেমন এখন আছে।যদিও ভারতে মনে শিক্ষিতরা এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না।

    Wednesday at 08:23 via mobile · Like..

    Haider Moon islam always brutal..was and now

    Wednesday at 08:23 · Like..

    Tamal Nag এখানে কেও কনভার্ট হলে এলাকা ধরে মানুষ তার পক্ষে যায় এবং তার পরিবারের পেছনে লাগে।হয় চলে যাও নয কনভার্টেড হও।বহু কাহিনী দেখলাম।

    Wednesday at 08:25 via mobile · Like..

    Haider Moon ইসলামে সাম্যের বানী ছিল, সত্যি হোক বা না হোক, প্রচারক রা সাম্যের কথা বলত। আমির ফকির এক কাতারে নামাজ ওপড়ত বা পড়ে। এটাই কি অনেক কিছু?,নিম্নবরনের সনাতন ধরমিরা ত মন্দিরে ধুক্তে পারত না। আত্মসম্মান?

    Wednesday at 08:26 · Like..

    Kallol Mukherjee Sunte kharap lagte pare aamar dharona co existence ba religious tolerance shobdota muslimder moddhekom jodi kono jaigai muslimra majority community hoi.Jotodin na porjonto amader dhormoi shresto ei chhinta theke mukto hote parche ei songhat jari thakbe.

    Wednesday at 08:42 · Edited · Like · 4..

    Haider Moon কল্লোল@ একমত।

    Wednesday at 08:41 · Like..

    Saradindu Uddipan চণ্ডাল একটি প্রাচীন নরগোষ্ঠী। ভারতবর্ষের সর্বত্র বিরাজমান এই নরগোষ্ঠীর শৌর্য-বীর্য প্রাগার্য ভারতের একটি উজ্জ্বলতম অধ্যায়। প্রাচীন পালি ও সংস্কৃত সাহিত্যে চণ্ডাল নরগোষ্ঠীর উল্লেখ আছে। মূলতঃ এই নরগোষ্ঠী প্রোটো-অস্ট্রাল নরগোষ্ঠীর একটি বলিষ্ঠ অংশ। বিবর্তনের ধারায় যে জনগোষ্ঠী পামির, তাকলামাকান হয়ে সমগ্র এশিয়া,আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত জনবিস্তার করতে সক্ষম হয়েছিল।
    অসুরভাষী এই জনগোষ্ঠীই প্রাচীণ নগর সভ্যতার আদি প্রবর্তক,ধারক,বাহক ও প্রতিপালক। জ্ঞান,বিজ্ঞান,ব্যবসা,বানিজ্য,শিল্পনীতি ও অর্থনীতির যথার্থ প্রয়োগের সমন্বয়ে ভাবিকালের সম্ভাব্য সভ্যতার সোপান প্রস্তুত করতে পরেছিল এই প্রজ্ঞাবানেরা।

    Wednesday at 10:07 · Like · 4..

    Saradindu Uddipan স্মৃতি শাস্ত্র রচনার কালেই আক্রশ বশতঃ চণ্ডাল জাতিকে পঙক্তিচ্যুত করা হয়েছিল এবং রাজ দণ্ডকে ব্যবহার করে টেনে নামানো হয়েছিল সর্ব নিম্ন স্তরে । এই প্রসঙ্গে শ্রীকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা সাহিত্যের প্রসঙ্গে আলোচনাটি প্রনিধান যোগ্য। "বৈদিক কাল ও বৈদিক সাহিত্য সম্পর্কেও আমরা সেই কাথা বলতে পারি। এই সুদীর্ঘ সময় ছিল ধ্বংসের যুগ,
    অনুকরণের কাল। প্রাচীন দেশীয় শব্দ, লিপি, ভাষা আত্মসাৎ করার অন্ধকার যুগ। অর্থাৎ মূলত এদেশের ভাষা ও শব্দ সম্ভার, সাহিত্যরচনার রীতি এবং লেখকদের আশ্রয় করেই বিজয়ী আর্যরা নিজেদের প্রয়োজন সিদ্ধিমূলক বৈদিক রচনা করে নিয়েছিল। বেদ বা বৈদিক সাহিত্য তাই মূলতঃ ঔপনিবেশিক সংবিধান। ...............
    এ সাহিত্য তাই উপনিবেশবাদের মূল সুর, ঘৃণা এবং জাত বিদ্বেষ, শোষণ ও পীড়নের কাহিনী কথায় ভরা।
    ........চূড়ান্ত বর্ণ -বিদ্বেষ চলেছে, ঈশ্বরের নামে ও ঈশ্বরের দোহাই দিয়ে"।

    Wednesday at 10:12 · Like · 3..

    Saradindu Uddipan অসুর ভাষী জনগোষ্ঠীর প্রচেষ্টা ও অবদানের ফলে প্রাচীণ কলেই গড়ে উঠেছিল একটি সম্মিলিত রাষ্ট্রপুঞ্জ। সমকালীন সভ্যতার সর্ব উচ্চ শিখরে বিকশিত হয়েছিল তার অনুশাসন এবং পারস্পরিক আদান প্রদান ও সহাবস্থানের নীতি। মেহেরগড়,হড়প্পা,মহেঞ্জোদড়, ধলাভিরা,লোথাল প্রভৃতি অসুর সভ্যতার অবিচ্ছেদ্দ অংশ হলেও শিল্প,সংস্কৃতি, ধম্ম ও দর্শনে একটি সম্পূর্ণ সতন্ত্রতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। অসুরদের সঞ্চিত সম্পদের লোভেই আর্যভাষী বর্বরেরা আক্রমণ সংগঠিত করেছে যুগে যুগে। ধবংস করে দিয়েছে সভ্যতার স্মারক। নৃশংসতার কৃপাণেই সূচীত হয়েছে আর্যায়ন। অসুর সাম্রাজ্যের অন্যতম বলিষ্ঠ জাতি চণ্ডালেরাই এই আর্যায়নের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তু্লতে সক্ষম হয়েছিল এবং নিজেদের স্বকীয়তা ও স্বধম্ম অক্ষুন্ন রেখে পুনরায় নবকলেবরে প্রতিষ্ঠিত করেছিল বিস্মৃত প্রাগার্যজনের বেদাতীত জ্ঞান।

    Wednesday at 10:17 · Like · 2..

    Kallol Mukherjee aajker juger poriprekkhite aalochona korle bhalo hoi mane post 1947.Kobe allauddin khiljee eshe padminike boleche tule niye jabe,kobe mahmud of ghazni eshe somnath er mondir bhengeche shei niye chholte thakle mushkil. Aajkel dine jegulo prasongik shei niye alochona kara uchit ebong itihas theke sikkha neoya uchit

    Wednesday at 10:17 · Edited · Like..

    Saradindu Uddipan Thik.

    Wednesday at 10:18 · Like..

    Saradindu Uddipan ১৮২৭ সালের পর হরি চাঁদ ঠাকুরের চন্ডাল বিদ্রোহ নিয়ে খানিকটা আলোচনা না করলে ইতিহাসের ধারাবাহিকতা থাকেনা। তাই চন্ডাল বিদ্রোহের খানিকটা প্রেক্ষাপট উল্লেখ করা দরকার।

    Wednesday at 10:27 · Like · 1..

    Moumita Ghosh হিন্দু ধর্মে শ্রেণী বিভাগ এতো কমপ্লিকেটেড যে আমার মাথায়ে কিছু ঢকে না, তবুও যতটুকু বুঝেছি তার থেকে বলি, বাঙালি হিন্দুদের ভিতর দুটো শ্রেণী ছিল- ব্রাহ্মণ আর শূদ্র। পরবর্তী কালে শূদ্র থেকে দুটো শ্রেণী বার হয় সৎ আর অসৎ শূদ্র। সৎ শূদ্র থেকে বার হয় কায়েস্থ শ্রেণী। বৈদ্যরা এখন নিজেদের ব্রাহ্মণের সমপর্যায় ফেললেও এই কায়েস্থ শ্রেণী ব্রাহ্মণদের প্রচন্ড তোষামোদ করে চলত আর অসৎ শূদ্র বা চণ্ডালদের বাঁশ মারতে কিছু কম ছিল না। ব্রাহ্মণরা ধর্ম দিয়ে মারলে কায়েস্থরা ভাত আর জল দিয়ে অসৎ শূদ্রদের মেরেছে।

    মুসলমানদের ভিতর জাতপাত না থাকলেও ভারতীয় মুসলমানদের ভিতর উচ্চবংশ নিম্নবংশের প্রভাব ছিল যথেষ্ট। এই বংশ নির্ভর করত অর্থ আর ক্ষমতার উপর। উচ্চবংশীয় বা বাদশাহরা নিজেদের কন্যার বিয়ে যারতার সাথে দিতেন না। রাজশাহীর হিন্দু রাজারা, পণ্ডিত, কৃষ্ণ নারায়ণ, তানসেন, চন্দ্র নারায়ন কিভাবে মুসলমান হয়ছিল তার ইতিহাস দেখলেই বোঝা যায়। বাদশাহর নীচে থাকা কর্মচারী বা আমলারা ছিল ঠিক কায়েস্থদের মতন, উচ্চবংশীয়দের তোষামোদ করে চলে শ্রেণী। অসৎ হিন্দু থেকে যারা ইসলাম নিয়েছিলেন তাদের এঁরা নিজেদের সমপর্যায়ে কখনই ভাবেনি। তারপর ছিল হিন্দি আর উর্দু ভাষার ব্যাপার। যারা উচ্চবংশীয় তারা উর্দু বোলত। দেশ ভাগের পর ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দি ভাষার মুসলমানরা যারা এই পার থেকে পাকিস্থানে যায় তারা কিন্তু বিশেষ মর্যাদা পায় নি। সিয়া সুন্নির প্রবলেম না থাকলেও এই বংশ আর হিন্দি/উর্দু ব্যাপারটা বেশ প্রবল ছিল। বাংলাদেশ প্রথমবস্থায়ে পাকিস্থানের নীতি ছিল। চণ্ডাল বা অসৎ শূদ্রদের সাথে শুধুমাত্র অসৎ শূদ্রদের থেকে মুসলমান হওয়া লোকদের ভাব ছিল। কিন্তু পরবর্তী কালে অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো হবার সাথে সাথে অসৎ শূদ্রদের থেকে মুসলমান হওয়া শ্রেণী নিজেদের উচ্চবংশী মুসলমান ভাবতে থেকে, শূদ্রদের থেকে তাদের দূরত্ব তৈরি হয়।

    মৌলবাদ ছিল আরও একটা বড় কারণ। অনেকে বলে থেকে হিন্দু থেকে কনভার্ট হওয়া মুসলমান নিজেদের সাচ্চা মুসলমান প্রমান করবার জন্য অসৎ শূদ্রদের উপর অত্যাচারের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। মুসলমানরা অসৎ শূদ্রদের হিন্দুই মনে করে থাকে। হিন্দুদের সাথে ভালো ব্যাবহার করলে যদি তাদের ইমান নিয়ে প্রশ্ন করা হয়, তার ভয়ে।

    Wednesday at 10:57 · Like · 4..

    Kallol Mukherjee bhalo lekha .onek tai thik bole mone holo. bakita janina bole comment korlam na .Tobe "ব্রাহ্মণরা ধর্ম দিয়ে মারলে কায়েস্থরা ভাত আর জল দিয়ে অসৎ শূদ্রদের মেরেছে"রাজশাহীর হিন্দু রাজারা, পণ্ডিত, কৃষ্ণ নারায়ণ, তানসেন, চন্দ্র নারায়ন কিভাবে মুসলমান হয়ছিল তার ইতিহাস দেখলেই বোঝা যায়। বাদশাহর নীচে থাকা কর্মচারী বা আমলারা ছিল ঠিক কায়েস্থদের মতন, উচ্চবংশীয়দের তোষামোদ করে চলে শ্রেণী। অসৎ হিন্দু থেকে যারা ইসলাম নিয়েছিলেন তাদের এঁরা নিজেদের সমপর্যায়ে কখনই ভাবেনি।"ekdom correct analysis

    Wednesday at 11:02 · Like · 1..

    Nagraj Chandal Besh bhalo alochana. Eta continue kara darkar.

    Wednesday at 12:22 · Like..

    Nagraj Chandal Samay abhabe jog dite parlam na. Rate chesta karbo.

    Wednesday at 12:23 · Like..

    Biplob Rahman শাহবাগ আন্দোলনের কারণে তথ্য সাংবাদিকতার পেশগত ব্যস্ততা বেড়েছে। এ কারণে গুচ'র এই গ্রুপে নিয়মিত নই। হঠাৎ করেই আলাচনাটিতে চোখ আটকে গেল। বেশ সমৃদ্ধ হচ্ছি। চেষ্টা করবো, অনিয়মিতভাবে হলেও আলোচনাটি অনুসরণ করতে। এই ভূমিকাটুকুর পরে মৌমিতা ঘোষের সঙ্গে শর্টহ্যান্ডে কয়েকটি পয়েন্ট যোগ করে বলি:

    ০১. মুঘল সাম্রাজ্যের সময় থেকেই পূর্ব বাংলায় দলে দলে ইসলাম প্রচারকরা এসেছেন। মুঘল সম্রাটদের বাদশাহরা মুসলিম হওয়ায় তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্টপোষকতা পেয়েছিলেন। ধর্ম প্রচারকরা বেশীর ভাগই ইরান থেকে আসেন। তখন জমিদার ও জাতপাতের নির্মম শিকার ছিলেন নিম্নবর্গের হিন্দুরা। এদের একটি অংশ অত্যাচারের কবল থেকে বাঁচতে মুঘল সাম্রাজ্যের আগে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

    মুঘল আমলে ইসলাম ধর্ম প্রচারকদের সঙ্গে হিন্দু জমিদারদের যুদ্ধের কথাও জানা যায়। সিলেটে হযরত শাহজালালের সঙ্গে সে সময়ের জমিদার রাজা গৌরগবিন্দের ধর্মযুদ্ধ হয়েছে। জনশ্রুতি আছে, রাজা গৌরগবিন্দ এ যুদ্ধে পরাজিত হন এবং সিলেট অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম সম্প্রসারিত হয়। এছাড়া বৃহত্তর সিলেটে হযরত শাহ পরানের নামও ভক্তিভরে উচ্চারিত হয়। এসব ধর্ম প্রচারকরা বেশীর ভাগই ছিলেন সুফি সাধক।

    বৃহত্তর চট্টগ্রামে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন খাজা মইনুদ্দিন চিশতি [দিল্লীতে তার আজমীর শরীফ]। খুলনা অঞ্চলকে কেন্দ্র করে ধর্ম প্রচার করেন হয়রত খান জাহান আলী। তাদের নির্মিত মসজিদ [যা সবই মূল্যবান পুরাকীর্তি] গুলোর শিলালিপি সবই সবই ফারসি ও আরবি ভাষার। কারণ এই দুই ভাষাই তখন মুঘল রাজ দরবারের আনুষ্ঠানিক ভাষা ছিল। ...

    ০২. ইংরেজ আমলে এ অঞ্চলে সমানভাবে ইসলাম ধর্মের প্রসার ঘটে। সে সময় মিশনারী আগমনের সূত্রে জাত-পাত ও অভাবের অত্যাচার থেকে বাঁচতে নিম্ন বর্ণের হিন্দুরা বেশকিছু অঞ্চলে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করেন। এই ধর্মান্তরিতর পেছনে মিশনারীদের স্কুল ও হাসপাতাল সেবাদান একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষ করে পশ্চাদপদ অঞ্চলে আদিবাসী জনগোষ্ঠি জীবনের তাগিদেই খ্রিষ্টান ধর্ম নেন [এটি বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে]।

    হিন্দু ধর্ম থেকে মুসলিম ধর্মে ব্যপক হারে ধর্মান্তরিত হলেও জাতপাত প্রথা মুঘল আমল থেকে শুরু করে ইংরেজ আমলেও পুরোপুরি উঠে যায়নি। এর রূপান্তরিত রূপ ছিল উচ্চ বংশ-নিম্ন বংশ [মৌমিতা ঘোষ যেমন বলছেন]। মুঘল আমলের সুফী ধর্ম প্রচারকদের সূত্রে মুসলিম ধর্মে পীর, মুরশিদ, মুরীদ, আশেকার, মাজার, ওরশ, সিন্নি, জিকির, মিলাদ, কাঙালি ভোজ ইত্যাদি প্রথাও চালু হয় [ যা এখনো বহাল, মূল ইসলাম ধর্মে এসবের উল্লেখ নেই]। কাজী ইমদাদুল হকের বিশাল উপন্যাস "আব্দুল্লাহ"তে ব্রিটিশ আমলের মুসলিম পীরানি প্রথা, বংশ গৌরব, কুসংস্কার ইত্যাদি সবিস্তারে উল্লেখ রয়েছে। সে সময় উচ্চ বংশের মুসলিমরা আরবী, ফারসি ও উর্দূকে প্রাধান্য দিতেন। পীর-ফকিরদের একটি বড় অংশই ছিলেন উর্দূভাষী।
    [more]

    Wednesday at 20:14 · Edited · Like · 3..

    Biplob Rahman ০৩. দেশ বিভাগের পর হিন্দুস্তান-পাকিস্তান হলে সাধারণ শিক্ষিত মুসলিম বাঙালিদের একটি বড় অংশ "হিন্দুয়ানি" সংস্কৃতি মুছে ফেলতে উর্দূর ব্যপক প্রচারের পাশাপাশি "পবিত্র জ্ঞানে" বেশকিছু পাকিস্তানী রীতিনীতি চালু করেন। এরমধ্যে শেরওয়ানি, কিস্তিটুপি, লুঙ্গি, সালোয়ার-কুর্তা, চুরিদার পায়জামা-পাঞ্জাবি, "মা-বাবা-কাকা-জ্যাঠা-জল" এর বদলে "আম্মা-আব্বা-চাচা-চাচি-পানি" প্রধান্য পায়। অবশ্য এসব রীতি ও প্রথার প্রচলন আগে থেকেই ছিল। আহমদ ছফার "বাঙালি মুসলামানের মন" বইয়ে এর বিশ্লেষণ-পর্যবেক্ষণ চমৎকার। ...

    লক্ষ্যনীয়, হিন্দু থেকে খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণকারী বাঙালি এবং প্রকৃত পূজা থেকে খ্রিষ্টান বা বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণকারী আদিবাসী কিন্তু ধর্মীয় রীতিনীতি বাদে "মূল বাঙালি বা আদিবাসী সংস্কৃতি" ঠিকই ধরেছেন [পুনর্বার: "মূল বাঙালি বা আদিবাসী সংস্কৃতি"]। কিন্তু নানান দেশ, শাসক, ধর্ম প্রচারক ও রাজনীতির খপ্পরে মুসলমান বাঙালির সংস্কৃতির বারোটা বেজে গেছে। ছোট্ট একটি উদাহরণে আজ শেষ করছি।

    যেমন, প্রাচীন বাঙলায় বিয়ের সময় মেয়ে-বউরা গান গেয়ে বিয়ে বাড়ি জমিয়ে রাখতেন। গ্রামের বাড়ির উঠোনে কাদা করে এতে নাচানাচিও হতো। কিন্তু মুসলিম ধর্মের আবির্ভাবে পর্দা প্রথা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এইসব "বেশরয়তি" নাচগান বন্ধ হয়। এখন যে কোনো মুসলিম বিয়ে মানে পুরোপুরি ধর্মীয় আবহ ও খানাপিনাতেই সমাপ্তি। নানান ফতোয়ায় ক্রমেই সংকুচিত বাঙালি মুসলমান। সৈয়দ ওয়ালি উল্লাহ যেমন বলেন, "শষ্যের চেয়ে টুপি বেশী। ধর্মের চেয়ে ধর্মের আগাছা বেশী।"

    __
    ভুলভাল বলে থাকলে গুনিজনরা শুধরে দেবেন। আপনাদের আলোচনা চলুক।
    [end] Moumita Ghosh Saradindu Uddipan

    Wednesday at 20:18 · Like · 4..

    Rajarshee Das Saradindu Uddipan da thik bolechen bharotio sovvotaye chandal gosthir obodan onek

    Wednesday at 20:21 via mobile · Like · 2..

    Kaushik Banerjee samridhho holam

    Wednesday at 20:21 · Like..

    ভার্চুয়াল স্বপ্ন joy sree ram........... ei haidar babu sukousole hindutto ke vag korte chaiche..

    Wednesday at 22:42 · Like..

    Kaushik Banerjee HINDURA CHIROKAL E NANAN BICHITRO DHARMO BISWAS,DARSHON,O BOHUTWOBADER AK RAMDHONU....ISLAMER ITIHASEO BOICHITRER BIJ MAJHEMAJHEI FUTE BERIEYECHE...SEI HADISER JUG THEKE...KINTU BARBR BIVINNO RUPE KATTORPONTHI ISLAM ESE SEI BIBORTONER PATH RUDHHO KORE DIYECHE...

    Wednesday at 22:52 · Like · 1..

    Rajarshee Das Hindu manei toh gorami mukto baichitro jono gosthi ke bojhai..jara er poroponthi tara hindu noi

    Wednesday at 23:05 via mobile · Like · 1..

    Kaushik Banerjee Rajarshee Das - MAJA HOCHHE , EI GORAMI TAKEO HAJAM KORE FELAR MOTO OUDARJO GATO 1500 BACHORER ITIHASE SANATON BHARATIYO SAMAJ DEKHIYECHE....

    Wednesday at 23:08 · Like · 2..

    Rajarshee Das Ta thik Kaushik Banerjee da.. Sob kichukei grohon kore felar ek odvut akankha... Tobe sudhu islam er khetrei kichuta biporit obosthan dekha jai

    Wednesday at 23:14 via mobile · Like..

    Haider Moon এ আলোচনার সূত্রপাত করার আমার উদ্দেশ্য ছিল আসলে আমাদের একেবারে মুলে যাওয়ার চেষ্টা , মুঘলরা ত সেইদিনের বহিরাগত যা আমরা সবাই জানি। মুল আদিবাসিরা কিভাবে বহিরাগতদের অধীন হয়ে নিজেদের ইতিহাস অইতিহ্য হারিয়ে তাদের অধীনে নিম্ন স্তরের মানুষ হয়ে গেল তা বুঝা এবং আমরা যে ইতিহাস পড়ি তা বহিরাগতদের ইতিহাস,যা নিয়ে আমরা গর্ব করি তা মুঘল, আরয(বহিরাগত হিসেবে) দের ইতিহাস। যদিও এটিও মাথায় রেখেছি যে শত ধারার মিলন ই আমাদের ইতিহাস ,সুতরাং এ আলচনাকে যেন আবার রেসিস্ট আলোচনা না বলা হয়। এ আলোচনা শেকর সন্ধানের আলোচনা। নিজেকে না চিনলে মুক্তি আছে?।

    Wednesday at 23:15 · Like · 2..

    Rajarshee Das Amra sobai kintu bohira goto

    Wednesday at 23:16 via mobile · Like · 1..

    Kaushik Banerjee Rajarshee Das ISLAM KEO NIJER MOTO KORE NIJER BISHAL SORIRE TENE NIYECHILO PRAY BHARATIYO SAMAJ...AR SE BYAPARTA CHOLCHILO 1000 BACHOR DHORE...CHOLTO...HOYTO AKHON JAKE AMRA HINDU SOVYOTA BOLCHI TARTHEKE EKTU ONYORAKOM KONO DHARONE ISLAM KE SANGE NIYEI TIKE THAKTO HINDUTWO.....KINTU BAD SADHLO EUROPEO RA BISHESHATO COLONIAL BRITISH RA...NIJEDER SWARTHE

    Wednesday at 23:19 · Like · 1..

    Kaushik Banerjee Haider Moon--- APNI NISCHINTE BOLUN...KANONA ETATO AMRA JANI AMADER OVIGYOTA THEKE JE RACISTRA RACE NIYE ALOCHONA KORTE MOTEI UTSAHO PAINA...KIMBA MOULOBADIRA MULE JETE CHAINA MOTEI...:0

    Wednesday at 23:21 · Like..

    Haider Moon বহিরাগত এবং স্থানিয়দের মিলনের শঙ্কর ঈ আমরা সে জানি। কিন্তু একেবারে স্থানিয় যারা বহিরাগতদের অত্যাচারে পালিয়ে গিয়েছিল জঙ্গলে তারাই কি এখন গাড়,খাসিয়া, এবং অনেক কম বহিরাগতদের সাথে রক্তের মিশ্রন হয়েছিল তারাই কি দক্ষিণ ভারতিয়রা,তামিল,মালায়াম,আসমিয়া...আমাদ্রর পূর্ব পুরুষরা ওদের খেদিয়েছিল?। ওরা পালিয়েছিল মালএশিয়া,সিঙ্গাপুর,এমন কি সাগর পাড়ি দিয়ে সে সূদুর ওয়েস্ট ইন্ডিজে। ওরাই কি আসল আদি কিছুটা?।

    Wednesday at 23:22 · Like..

    Kaushik Banerjee ETA SOTYI BOLE MONE HOYNA...PALIYE KEU SAGOR PARI DAYNI...BHARAT BHUMI CHERE....WEST INDIES BA INDONESIA JAVA SUMATRAY JABAR ITIHAS ALADA

    Wednesday at 23:24 · Like..

    Kaushik Banerjee ORA LUKIYE PORECHILO KHUB SAMVABATO...BONOCHARI HOYE ...JANGOLE...DURGOM PAHARE...BADABONE,BWADIPE

    Wednesday at 23:25 · Like..

    Haider Moon আমরা জানি যে আমরা বাঙ্গালিরা সঙ্কর জাতি , আমাদের আদিবাসীদের মধ্যে রয়েছে মূলত অস্ট্রিক – দ্রাবিড় , আলাপীয় আর্য এবং মঙ্গোল রক্ত। কিন্তু একেবারে যদি মূল আদিবাসীদের কথা বলা হয় তবে তা হোল অস্ট্রিক এবং দ্রাবিড় । অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসীদের সাথে মিল ছিল বলে প্রাচ্য-ভারতের জন গোষ্ঠীর এক অংশকে আদি অস্ট্রাল এবং নৃতাত্ত্বিক পরিভাষায় অস্ট্রিক নামে ডাকা হয়। দক্ষিণ ভারতের জন গোষ্ঠী দ্রাবিড় নামে অভিহিত। মূলত অস্ট্রিক – দ্রাবিড় রা ভূমধ্যসাগরীয় জনগোষ্ঠী র জ্ঞাতি। সেখান থেকেই তারা জলপথ বা উপকূলীয় স্থলপথে ভারতে প্রবেশ করে। এরপর দাক্ষিণাত্যতে আর বাংলায় বসবাস শুরু করে। এখানে তারা এসেছে বিভিন্ন সময়ে । আবার হিমালয় মালভূমি অঞ্চল থেকে এবং লুসাই পর্বত বেয়ে এসেছে মঙ্গোল রা। অস্ট্রিক দ্রাবিড়ের পরে যারা এসেছে তারা আলপাইনি বা আলাপাইনি আরযভাষী ,এরা এসেছিল মূলত সমুদ্রপথে। নিগ্রো বা নিগ্রেটো রা যারা এসেছিল তাদের সংখ্যা নগণ্য। অতএব এই শঙ্করের মাঝেও কোন কোন গোষ্ঠীর মানুষ মনন উৎকর্ষের ফলে প্রাধান্য লাভ করে। দুর্বল অস্ট্রিক – দ্রাবিড় রা অনেক কাল ছিল অরণ্যে। নৃতাত্ত্বিকদের মতে আলাপাইনি আর্যভাষী বহিরাগত গোষ্ঠীই বাংলা – বিহার – উড়িষ্যা তে উন্নত মনন ও হাতিয়ার প্রয়োগে প্রাধান্য লাভ করে। পরবর্তীতে বিবর্তনের ধারায় আদি আস্ট্রিক ও দ্রাবিড়দের দাস ও প্রয়োজনীয় সামগ্রীর যোগানদাতায় পরিণত করে। পরে এই বহিরাগত আরযরাই সমাজে পেশা অনুসারে ব্রাহ্মণ ,বৈদ্য , ও কায়স্থ রূপে পরিচিত হয়। আর অস্ট্রিক – দ্রাবিড় বর্গের মানুষরা নিজেদের মাঝে রক্তের মিশ্রনের পরও অস্পৃশ্য প্রাণী হয়ে থাকল এদের মাঝে যারা আরয দের সেবাদাসে পরিণত হোল তারা হয়ে গেল নাপিত,ধোপা,কর্মকার,মুচি,মেথর,চড়াল,ডোম, অর্থাৎ অস্পৃশ্য। এর মাঝে জৈন, বৌদ্ধ , ইসলাম কোন ধর্মই এদের সমাজ-ভুক্ত করতে পারেনি। কোন ধর্মই সনাতন ধর্মের যার আরেক নাম হিন্দু ধর্ম তাঁর লৌহ বর্ম ভেদ করতে পারেনি। এর মাঝে এই নির্যাতিত মানুষরা সনাতন ধর্ম থেকে বৌদ্ধ ধর্মে দীক্ষিত হয়েছে কিন্তু তাদের জাতে গ্রহণ করা হয়নি আবার তারা সনাতন ধর্মে ফিরেছে সে যে কারনেই হোক। এরপর ইসলাম আসল ,দরবেশদের প্রচারের কথায় কাজে মুগ্ধ হয়ে পেশা বদলের উপায় না থাকা সত্ত্বেও উচ্চ বর্ণের হিন্দু – বৌদ্ধের ঘৃণা ,পীড়ন মুক্তির লক্ষ্যে কিছু না জেনে বুঝেই আরবের ধর্ম গ্রহণ করে। ইসলাম প্রচারকারীরা এ অঞ্চলের মানুষে বঞ্চনার কথা বুঝতে পেরে দীক্ষিত পুরুষ মাত্রেরই আরবি শেখ পদবীতে ভূষিত করে। এরপরের ইতিহাস ত সহজ ইতিহাস, এলো তুর্কি, এলো মুঘল তখন শেখ এর চেয়ে আবার খান এর কদর বাড়ল পনের শতক থেকে মুসলমানরা খান উপাধি নিতে থাকে। পরবর্তীতে যারা ধনী হয়ে গেল তাদের মধ্যে যারা শেখ তারা নিজেদের আরব এর বংশ এবং যারা খান তারা তুর্কি মঙ্গলদের বংশ বলে পরিচয় দিতে থাকলো। এ তরিকা আজও আছে। এর মাঝে চরম অস্পৃশ্য রা ইসলাম কবুল করে জোতদার, তালুকদার, শিকদার হয়েছে। আরবি-ফরাসি শিখে কেউ কেউ ব্রাহ্মণদের বিকল্প হিসেবে ,ইমাম,কাজি,দেওয়ান,নায়েব শিক্ষক হয়েছে। এখানে লক্ষণীয় যে খুব কম হলেও সেই অস্ট্রিচ দ্রাবিড় এর কিছু অংশ কিছুটা হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পেরেছিল আরযদের সেবাদাস হবার কল্যাণে যা কিনা সনাতন ধর্মের অধীনে ছিল অকল্পনীয় এবং এক্ষেত্রে স্থানীয় দের সংগ্রাম ছিল খুবই কঠিন।

    Wednesday at 23:32 · Like · 1..

    Haider Moon সনাতন ধর্ম ত আদি স্থানিয়দের ও ধর্ম। বহিরাগতদের ধরমও তাই, মিলেছে শিব আর মনসার পূজাও , এদিকে হয়েছে দূরগা । এসব ঠিক ঈ আছে। সমস্যা নেই। কিন্তু বহিরাগত রা ত তাদের সনাতন ধর্মের নামে স্থানিয়দের নিম্ন শ্রেনী করে দিল। অস্পৃশ্য করে দিল। এটি কোন ভাবে না কোন ভাবে এখনও আছে।

    Wednesday at 23:41 · Like..

    Haider Moon উদ্দিপন দাদার আলোচনায় অনেক কিছু শিখছি। চণ্ডালদের ইতিহাস কেউ লিখে না। কারন চণ্ডালদের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে ইতিহাস লিখতে গেলে?, যেমনটি ক্ষমা চেয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসি ইন্ডিয়ান্দের কাছে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অনেক বার।

    Wednesday at 23:45 · Like · 2..

    Haider Moon বাঙ্গালী হিন্দু কে আলাদা করা খুব কঠিন কিছু না। বাঙ্গালী চিরকাল বিজাতি শাসিত বাঙ্গালীর প্রশাসনও ছিল উত্তর ভারতের। বাঙ্গালীর যে গৌরব আমরা করি তাঁর কোনটাই বাঙ্গালীর না। যেসব শিলালিপির কথা বলা হয় তা বাঙ্গালীর না। এগুলো বহিরাগতদের ইতিহাস । যারা বাঙ্গালী সেই আসল জনগোষ্ঠী অর্থাৎ হাড়ি, ডোম, চণ্ডাল,বাগদি যারা শূদ্র অস্পৃশ্য তাদের কথা বাঙ্গালীর বা বাংলাদেশের ইতিহাসে কোথাও লেখা হয়নি। বাঙ্গালীর ইতিহাস লিখা হয়েছে অবাঙ্গালির কীর্তি কথা দিয়ে,যারা কিনা বহিরাগত। যারা সত্যিকারের বাঙ্গালী তাদের কিছু অংশ বহিরাগতদের সেবাদাস হয়ে কিছুটা উচ্চবর্ণ হয়েছে, মাথা তুলবার চেষ্টা করেছে। আজকে দাস, কালকে চৌধুরী বা মজুমদার,এরপরে দাস-গুপ্ত, সেন গুপ্ত হয়ে জাতে ওঠার চেষ্টা এখনো আছে। এক সময় এ দেশে শতকরা পঁচানব্বই ভাগ মানুষ বৌদ্ধ ছিল। সেসময় তাদের কোন জাতিভেদ ছিল না। তারপর আবার যখন ব্রাম্মনবাদের পুনরজাগরন হোল আবার নতুন করে বর্ণ বিন্যাস করা হয়েছে যা কিনা কৃত্রিম যার প্রমাণ আছে বল্লালচরিতে,কুলজিতে । আমাদের সঙ্কোচ ত্যাগ করে আমাদের পূর্বপুরুষের পরিচয় জানতে হবে।

    Wednesday at 23:48 · Like..

    Haider Moon আমাদের বুঝতে হবে বাংলাভাষী ভূখণ্ডে সেকালে আঞ্চলিক-ভাবে জীবন গড়ে উঠেছিল যা সর্ব বঙ্গীয় ছিল না এমনকি সামন্ত যুগেও না । ধর্মের ক্ষেত্রে হিন্দু আমলে সারা বাংলায় একক দেবতার পুজো হয়নি। কোথাও মনসার , কোথাও চণ্ডীর , কোথাও শিবের ,কোথাও বিষ্ণুর পূজা হয়েছে। সমাজের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মূল গ্রামে বাস অধিকারই ছিল না, ছিল না পুরো ভাত রেঁধে খাবার, তারা উচ্ছিষ্ট খাবে এটাই ছিল নিয়ম, যে নিয়ম বেধে দিয়েছিল উচ্চবর্ণের মানুষেরা। এমনকি ১৯৪০ এর আগ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পায়ে জুতা পড়ার অধিকারও ছিল না।

    Wednesday at 23:50 · Like..

    Rajarshee Das Accha bouddho theke abar hindu hobar itihas ta ki?

    Wednesday at 23:52 via mobile · Like..

    Haider Moon আমাদের সভ্যতাকে মনে করা হয় প্রায় দশ হাজার বছরের পুরনো সেসময় আমরা কতটুকু সভ্য ছিলাম সেটা বড় কথা নয়, কথা হোল আমরা ছিলাম,কেমন ছিলাম সে প্রশ্ন আসলে বলতে হয় সামন্ত যুগেও বাংলা ভাষা ভাষী অঞ্চল কখনো এক ছিল না। এই অঞ্চলের মানুষের মাঝে কোন একক চেতনা বা জাতীয় চেতনাও ছিল না। তখন এই ভূভাগ বিভক্ত ছিল ছোট ছোট রাজ্যে তাদের কতকগুলোর নাম জানা যায় আবার কতক-গুলো সম্পর্কে কিছুই জানা যায় না। ষোলশ ছেষট্টি সালের আগ পর্যন্ত আজকের বাংলা ভাষাভাষী অঞ্চল আসলে একক শাসকেরই অধীনে ছিল না। মুঘলরা ষোলশ ছেষট্টি সালে চট্টগ্রাম জয় করলে বাংলা একক শাসকের অধীনে আসে। কাজেই মুঘল আমলের আগে বিশেষ করে ইংরেজ আমলের আগে উনিশ-শতকের আগে বাংলাদেশ বা বাংলা ভাষী অঞ্চল কখনই এক ছিল না,ঐক্যবদ্ধ ছিল না ।আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্য বিগত দুই হাজার বছরের মধ্যে ধরলে এবং অশোক সহ ধরলে তেইশস বছরের মধ্যে আমরা বাঙ্গালী গোত্রের বাঙ্গালী একজন মাত্র স্বদেশী রাজার নাম পাই,তার নাম শশাঙ্ক । তাও আবার ভিন্নমত আছে। শশাঙ্ক মুর্শিদাবাদ – কর্ণসুবর্ণে রাজত্ব করতেন, কেউ কেউ বলেন তিনি আসাম থেকে এসেছিলেন। এই শশাঙ্ক ছাড়া আর কোন নাম পাওয়া যায় না। এরপর অনেক পরে যার নাম পাওয়া যায় তাঁর নাম দিব্যক । দিব্যক, রুদ্রক আর ভীম নামে তিন পুরুষ। এই ত, আর কোন বাঙ্গালী শাসক পাই না। আর হুসেন শাহ্‌র নাম শোনা যায় কিন্তু হুসেন শাহ সৈয়দ হলে বাঙ্গালী হন না , সে যুগে ত প্রশ্নই উঠে না। এছাড়া বাকি থাকে রাজা গণেশ যাকে বাঙ্গালী বলে স্বীকার করলেও করা যায় আবার না করলেও ক্ষতি নেই। কারণ গণেশ যদি ব্রাহ্মণ হন তাহলে বাঙ্গালী হতেই পারেন না। ব্রাহ্মণ রা বহিরাগত। এই গণেশের ছেলে জালালুদ্দিন বা মহেন্দ্র এবং তাঁর ছেলে পুলেরা বার তের বছর রাজত্ব করেন। এ ছাড়া বাঙ্গালী কখনো উনিশশ সাতচল্লিশ এর আগে রাজত্ব করেনি তাও আবার প্রশ্ন সাপেক্ষ উনিশস একাত্তরের আগ পর্যন্ত। আমাদের বুঝতে হবে ইতিহাসের চেতনা দিয়ে যদি আমরা উদ্বুদ্ধ হতে চাই তাহলে আমাদের মানতে হবে আমরা দু হাজার বছর ধরে নির্জিত এক জাতি।আমরা দুই হাজার বছর ধরে নির্জিত হয়েছি বিজাতি,বিভাসি দের দ্বারা । আমাদের আসল সগোত্রীয় জাতি আজও নিরন্ন,নিপীড়িত,বঞ্চিত।আমাদের বুঝতে হবে আমরা আসলে হাড়ি, ডোম,মুচি,মেথর,সাঁওতাল,,খাসিয়া দের ই উত্তরসূরি বা বংশ। যারা বহিরাগতদের অত্যাচারে বনে জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছিল তারাই আজ সাঁওতাল,খাসিয়া,গার নামে অভিহিত যারা আসলে আসল বাঙ্গালী আমাদের আসল পূর্বপুরুষ। অস্ট্রিক – মঙ্গোল দের যে সংস্কৃতি সেটাই বাঙ্গালীর রক্তের সংস্কৃতি যেখান থেকে এসেছে সংখ্যা, যোগ,দেহতত্ত, এগুলো মঙ্গলদের দান আর নারী দেবতা ও জন্মান্তর অস্ট্রিক দের দান। এসব বাঙ্গালীদের মাঝ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। বাঙ্গালী বৌদ্ধ, ব্রাহ্মণ্য , ইসলাম প্রভৃতি ধর্ম গ্রহণ করেছে ঠিকই কিন্তু সংখ্যা,যোগ,তন্ত্রের প্রভাব ছাড়তে পারেনি।

    Wednesday at 23:54 · Like · 2..

    Haider Moon আমাদের আসল সগোত্রীয় জাতি আজও নিরন্ন,নিপীড়িত,বঞ্চিত।আমাদের বুঝতে হবে আমরা আসলে হাড়ি, ডোম,মুচি,মেথর,সাঁওতাল,,খাসিয়া দের ই উত্তরসূরি বা বংশ। যারা বহিরাগতদের অত্যাচারে বনে জঙ্গলে পালিয়ে গিয়েছিল তারাই আজ সাঁওতাল,খাসিয়া,গার নামে অভিহিত যারা আসলে আসল বাঙ্গালী আমাদের আসল পূর্বপুরুষ। অস্ট্রিক – মঙ্গোল দের যে সংস্কৃতি সেটাই বাঙ্গালীর রক্তের সংস্কৃতি যেখান থেকে এসেছে সংখ্যা, যোগ,দেহতত্ত, এগুলো মঙ্গলদের দান আর নারী দেবতা ও জন্মান্তর অস্ট্রিক দের দান। এসব বাঙ্গালীদের মাঝ থেকে মুছে ফেলা যাবে না। বাঙ্গালী বৌদ্ধ, ব্রাহ্মণ্য , ইসলাম প্রভৃতি ধর্ম গ্রহণ করেছে ঠিকই কিন্তু সংখ্যা,যোগ,তন্ত্রের প্রভাব ছাড়তে পারেনি।---- অথচ সগোত্রীয় দের আমরা অছ্যুত করে রেখেছি?

    Wednesday at 23:57 · Like · 3..

    Kallol Mukherjee Haider Moon"এমনকি ১৯৪০ এর আগ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের পায়ে জুতা পড়ার অধিকারও ছিল না।" ei tottho ta kothai pelen ?

    Yesterday at 08:17 · Like..

    Rajarshee Das kichu jaigai brahmon der otyachar orokomi chilo

    Yesterday at 08:35 · Like..

    Kallol Mukherjee Onek tottho jante parlam.Ektai proshno aamar sheta hochhe 1947 theke 1952 moddhe jara caste hindu tarato odhikangshoi edike chhole eseche.Ekhon bangladesh hindura jara aachen taara odhikangshoi caste hindu non.Konodino muslimder ottachar koreche bole shunini .Ta 1947 er pore ba bangaldesh shristi hobar poreo keno eder upor ottachar hochhe.Bangladeshe godhra nellie hoi na kintu bochor bochor dhore je manoshik ottacharta hoi tate sankhaloghura baddho hoi desh tyag korte bhite mati tyag kore edike chhole aste .Je ee sarkar thakuk thuto jogonnath.Ei lokgulo ki dosh koreche bolun to ?http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-21/news/338355

    Yesterday at 09:30 · Edited · Like..

    Rupankar Sarkar একটা কথা বলি, অনেক আপত্তি উঠতে পারে, তবু বলি। 'শুদ্র' আর 'নমঃশুদ্র' এক নয়। নমঃশুদ্র হচ্ছে ব্রাহ্মণ। পিরালি,অগ্রদানী ও মরাপোড়া ব্রাহ্মণরা ( যারা ভারতে ওবিসি, বা আদার ব্যাকোয়ার্ড ক্লাস বলে চিহ্নিত) ব্রাহ্মণদের মধ্যে শুদ্রস্থানীয়, তাই তারা নমঃশুদ্র, মানে শুদ্র হয়েও অপরের প্রণম্য।

    Yesterday at 09:39 · Like · 3..

    Rajarshee Das somriddho holam rupankar sir.. jantam na eta

    Yesterday at 09:39 · Like · 1..

    শ্রী শ্রী স্ফীতোদরানন্দ মহাপ্রভু নমঃশুদ্র টা আগে জানতাম না, দুটোকেই এক জানতাম

    Yesterday at 10:16 · Like · 1..

    Nagraj Chandal Rupankar Sarkar বাবু ইতিহাসটা না জানা থাকলে এরকম বুজরুকি আরো কয়েক পুরুষের মাথা চিবিয়ে খাবে । মনে রাখতে হবে এদেশে বামুনদের তৈরি ভগবানদের জন্মের বহু আগে থেকে ধম্ম ছিল। এবং সে ধম্ম মানব ধম্ম। ওরা যখন বনে জঙ্গলে ঘাস পাতা চিবিয়ে খায়, যাযাবরের মত ঘুরে বেড়ায়, তখন এদেশের সপ্ত ডিঙ্গা মধুকরে সাত সমুদ্দুর পেরিয়ে পৃথিবীর সমস্ত বন্দরে বন্দরে মাধুকরী করে বেড়ায় এই চন্ডাল জাতি । এখনো পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এই ইতিহাস। কুয়োর ব্যাঙেদের সাথে সমাজ বিজ্ঞান, ইতিহাস বা নর তাত্ত্বিক গবেষণার কোন যোগ নেই। আছে ধাপ্পা আর মিথ্যা। চন্ডাল জাতি প্রাগাযর্‍্ ভারতের এক মহান জাতি। মূলনিবাসী বহুজন সমাজের শৌর্যের প্রতীক।

    Yesterday at 15:02 · Like · 1..

    Nagraj Chandal অসুর (যারা সুরা পান করে না)চন্ডালদের প্রাগায র্‍ এই সভ্যতাগুলি দেখুনঃ
    ১)ক্যাটাল হউক(85000-9000 BC)
    ২)মেহেরগড় (7000 BC)
    ৩)আশিরিয়া/অসুরা/মেসোপটেমিয়া(6000 BC)
    ৪)ফনেশিয়া/আবেস্তা (5500-6000 BC)
    ৫)ইজিপ্ট (4500-5000 BC)
    ৬)ইন্দাস (2500-4500 BC)
    ৭)চায়না (1500-2000 BC)

    Yesterday at 15:09 · Like..

    Nagraj Chandal Pandu Rajar Dhibi, Champagarh, Chandraketugarh, Mahasthangarh, Gangaridai were the Agriculture based civilization of Assuras in Bengal.
    The incidental discovery of Neolithic celts from the lower levels of Chalcolithic culture at PANDU RAJAR DHIBI, Bharatpur and Tamluk should be viewed in the context of agriculture based Chalcolithic economy. This region known as Western plain extends up to Plateau fringe in the west to Ganga/Bhagirathi in the east and Ganga/Padma in the north to Bay of Bengal in the south. This region mainly drained by Ajoy/Damodar/Kasai/Rupnarayan and Mayuraksi rivers has witnessed the emergence of first settled agricultural communities of Bengal around 1500 BC.
    এবং এ সমস্ত সভ্যতাই ছিল প্রাগার্জ অসুর চনডাল জনের সভ্যতা।

    Yesterday at 15:23 · Like..

    Nagraj Chandal Rajarshee bhai, Ballal Charit name ekta darun bai achhe. Ballal Sener griha sikkhaker lekha. Parle anekta jante parbe kibhabe Ballal tar KAULINYA PRATHA chalu kare chhilen. Ki bhabe Dhbngsa kare deoya hayachhilo BUDDHA VIHAR guli. Ei CHANDAL JATI tader priya bhumi chhere paliye jete baddha hayechhilo Jaljangal ghera nimna bange.

    Yesterday at 15:33 · Like · 1..

    Kallol Mukherjee upore jegulo likhechen shegulo shombondhe jani.mehergarh er byapare onek tottho share o korechi.Tobe je dristikon diye aapnara itihas take upasthapon korte chhan shei bhabe abar aami dekhina ba ebong chhaina loke dekhuk. mehergarher pichhone je chhilo,indus er pechhone je chhilo ba pandu rajar dhipir pechone je chhilo shobai ei upomahadesheri chhilo.Bharoter itihas porar samay kokhono shudror itihas brahmoner itihas kayasther itihas bole kichu pai ni aar chaibo na keu itihasta shei bhabe poruk.chad sodakor brahmon chhilo na chondal chhilo sheta kokhono bhabini

    Yesterday at 15:35 · Edited · Like..

    Nagraj Chandal আজ ওপার বাংলার চণ্ডালরাই স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করেছে। লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস। চন্ডালদের জন্যই বাংলা ভাষা একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। তার রাষ্ট্র নায়ক মুজিবর রহমান গোপালগঞ্জের একজন চন্ডাল।
    আমার পূর্ব পুরুষের সাথে এখনো তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে।

    Yesterday at 15:42 · Like..

    Kallol Mukherjee Khub bhalo katha .Kintu jeta bujhte parina sheta holo apanader purbo purushder ba ekhono aapanader attiyoder bangladesher ekoda chandal ra maar dhor kore tariye dilo keno ba dicchhe keno ?

    19 hours ago · Edited · Like..

    Nagraj Chandal Setai e to hayechhe Kallol babu. Ebang ekhano Pragarya jander swikar na kare Mythology ke Itihas banano hacchhe. Kintu Gabesana Theme thakeni.

    Yesterday at 15:49 · Like..

    Nagraj Chandal Seta bodh hay Hindutwa swikar kare nebar akrosh theke. 1911 sal parjyanta kintu erakam jati danga Opare chhilo na. 1880 sal theke Chandalera sikkha andolan suru kare. 1907 sal nagad MAHATMA GURUCHANDER netritye Chandalera prtham chakri pete suru kare. Er par rajnaitik bhabe tara bhagidari andolan suru karle HINDU MAHASANGHA sampradaik bibhajaner niti ney. Ebang sampradaik sangharsher madhya diye Hinduder prati Musalmander akrosh bariye tole.

    Yesterday at 15:58 · Like..

    Kallol Mukherjee chandal/shudro ba mulnibashi prachin bharote tader kirti erokom ekta thread din dekhben shokole porche.Ei thread tar bishoy bostu ki ekbar dekhun .Aapnar boktobber sathe kono mil nei.Ekhane proshno kora hoyeche jei proshnota aami ageo koyekbar korechi je shudrora dhormantorito hoini taderke keno mara hoyeche ba hochhe bangladeshe .Ebong marche kara jara nijerai chandal theke dhormantorito.Alochonata shedike na kore aapni shudro jatir itihas shonate laglen .Amra jani, itihasher boite porechi.kokhonoto aamra bolina je boidyo amrtya sen nobel pelen,brahmmo robindranath nobel pelen ba muslim nazrul bangaldesher jatiyo kobi tai mulnibashi otish dipankar tibbote giyechhilen shunle kane kemon jani lage

    Yesterday at 15:58 · Like..

    Kallol Mukherjee "Ebang sampradaik sangharsher madhya diye Hinduder prati Musalmander akrosh bariye tole." Shudrorai 1947 e pakistanke support korechhilo shona jai.Ta tarpor ki holo je jogen mandalke chhole aaste hoi epare ,apnader aattio swojonke ottachari borno hinduder deshe eshe aashroy nite hoi?Shetai to jante chhaichi.Ei bonga thakur nagar barasat shobaito aar 1947 aasheni.Dhire dhire eseche ba aasche .Er karonta ki? Onek ke aabar shuni jonmo opare,boyesho beshi noi kintu ekhane sc/st quota i sarkari chhakri o korche.Keu keu abar opekkhai kobe certificate ta jogar hoi.Amar purbopurushra noi ottachari chhilo,manush ke manush mone korto na kintu aapnader ei mulnibashidr hate erokom opodosto hoye edike chhole ashar karon ki ?Hotat kore tara aapnader upor khipto holo keno ?

    Yesterday at 16:10 · Edited · Like..

    Rupankar Sarkar Nagraj Chandal: Rupankar Sarkar বাবু "ইতিহাসটা না জানা থাকলে এরকম বুজরুকি আরো কয়েক পুরুষের মাথা চিবিয়ে খাবে " - আপনার উক্তিটি পরিষ্কার করুন। ইতিহাস কে জানেনা এবং কে বুজরুকি করছে? বুঝিনি।

    Yesterday at 16:13 · Like..

    Nagraj Chandal Saradindu Uddipan dadar lekha uparer angsata bhalo kare parun. Tarpar bojhar chesta karun CHANDALRA prag Arya jan. Edesher Mulnivashi. Tara Vedatit gganer adhikari. 1911 saler age Chandalera Chaturvarna mene ney ni.

    Yesterday at 16:18 · Like..

    Moumita Ghosh নমঃশূদ্রা তপশীলী বা সিডিউল কাস্ট। ব্রিটিশ আমলে নমঃশূদ্রাদের তালিকাভুক্ত করা হয়। আমি যতদূর জানি, নমঃশূদ্র শূদ্রদের সাব-কাস্ট।
    বাংলায়ে কাস্ট সিস্টেম মাথা থেকে লেজ অবধি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বা ক্ষমতা দখলের সব চাইতে সুকৌশল নীতি।
    ‘সেন’ আমলের আগে তেমন কিছুই ছিল না, ছিল পেশা বা বৃত্তি ভিত্তিক শ্রেণী বিভাজন। মেগাস্থিনিস থেকে জানা যায় সমাজে সাত টা শ্রেণী ছিল- শিক্ষক, সৈনিক, কৃষক, ব্যাবসায়ি ইত্যাদি মিলিয়ে সাত’টা। ব্রাহ্মণ, বৈশ্য, ক্ষত্রিয়, শূদ্র এগুলি ছিল সম্পূর্ণ পেশা ভিত্তিক বিভাজন। শ্রম ভিত্তিক পেশা যাদের ছিল, তারা শূদ্র। বাংলায়ে শূদ্রদের সংখ্যা সব থেকে বেশী। অর্থবান শূদ্র পুরুষদের সাথে ব্রাহ্মণ কন্যাদের বিয়ে হতে কোন বাধা ছিল না।
    সেন আমলে বর্ণাশ্রম প্রচণ্ড পরিমাণে স্থাপন হয়। বাংলায়ে বর্ণাশ্রম দুটি ভাগ ব্রাহ্মণ আর শূদ্র। শূদ্রদের প্রধান দুটো ভাগ- সৎ আর অসৎ শূদ্র। সৎ শূদ্র থেকে এসছে বৈদ্য, কায়েস্থ, নবশাক (গোয়ালা, মালাকার, কুমোর, পান চাষি, ময়রা, নাপিত ইত্যাদি)। এরপর সব পেশা ভিত্তিক লোকেরা অচ্ছুৎ জাতিতে পরিণত হয়, ম্যাথর, ডোম, চণ্ডাল ইত্যাদি। মৃতদেহ যারা সৎকার করতেন তারা বাংলায়ে এক সময় সম্মানীয় শ্রেণী ছিলেন, সেন আমল থেকে তারা অচ্ছুতে পরিণত হন। ডোম, চণ্ডাল নমঃশূদ্রা শ্রেণী (ব্রিটিশ আমলে)। আদি চণ্ডাল আর বর্তমান চণ্ডাল শ্রেণীর আলাদা। প্রাচীন বাসিন্দারা চণ্ডাল, পরবর্তী কালে দাহ কাজে যুক্ত শ্রেণী চণ্ডাল বর্ণাশ্রমের জুগে চণ্ডাল শুধুমাত্র যারা সৎকারের কাজে যুক্ত তারা নন, মনুস্মৃতির দশম অধ্যায়ে জানা যায় প্রতিলোম বিবাহের শাস্তি হিশাবে জন্মনেওয়া সন্তানও চণ্ডাল। চণ্ডালের মা ব্রাহ্মণ (কন্যা)। এরাও নমঃশূদ্র শ্রেণী। নমঃ বা নমস্কার’এর ব্যাবহার ভিন্ন। একদিকে ঈশ্বর উপাসনা বা গুরুজনদের আশীর্বাদ নেওয়ার জন্য যেমন নমস্কার বলা হয়, অপর দিকে কাউকে অভ্যর্থনা বা well come করবার ক্ষেত্রেও ব্যাবহার হয়। চণ্ডালদের নমস্কার জানিয়ে নমঃশূদ্র করে শূদ্র শ্রেণীতে ফেলা হয় (বোধহয়)।
    বর্ণাশ্রমে অসৎ শূদ্র বা জল অনাচারী অচ্ছুৎ শূদ্রদের যে জাত পাওয়া যায় তার ভিতর আছে- নমঃশূদ্রা, ধোপা, মালী, সূত্রধর, ভুঁই, পাটনী, কৈবরত ইত্যাদি। ব্রাহ্মণরা এদের বাড়ি পুজো করেন না।
    ব্রাহ্মণদের ভিতর দুটি ভাগ- শ্রোত্রিয় আর বর্ণ ব্রাহ্মণ। বর্ণ ব্রাহ্মণ শ্রেণী সৎ শূদ্রদের কাছেও অচ্ছুৎ। এরা অসৎ শূদ্রদের পুজোর কাজ করতেন। এদের ভিতরেও ভাগ আছে- নমঃশূদ্রের ব্রাহ্মণ, ধোপার ব্রাহ্মণ, মালীর ব্রাহ্মণ ইত্যাদি। শ্রোত্রিয় ব্রাহ্মণ বঙ্কিম চন্দ্র কৈবরতের ব্রাহ্মণদের (গুড়ু) হেয় করে ‘মুচি রাম গুড়ুর জীবন চরিত’ লেখেন।

    আলোচনাটা যে টপিক নিয়ে শুরু হয়ছিল তা এখন আর নেই। ঘেঁটে পুরো ‘ঘ’।

    Yesterday at 16:52 · Like · 1..

    Rupankar Sarkar নমঃশুদ্ররা ব্রাহ্মণ, ওবিসি ব্রাহ্মণ।

    Yesterday at 16:56 · Like..

    শ্রী শ্রী স্ফীতোদরানন্দ মহাপ্রভু একটি নমঃশূদ্র ব্রাহ্মণের উদাহরন( পদবী) দিন।

    Yesterday at 16:59 · Like..

    Moumita Ghosh http://www.anagrasarkalyan.gov.in/htm/sc_list.html

    Yesterday at 17:03 · Like..

    Rupankar Sarkar শ্রী শ্রী স্ফীতোদরানন্দ মহাপ্রভু ঃ শুনেছি ভৌমিক হয়। আমি যে কজন কে চিনি সবাই চক্রবর্তী। ওটা উপাধি, পদবী নয়।

    Yesterday at 17:08 · Like..

    শ্রী শ্রী স্ফীতোদরানন্দ মহাপ্রভু এক্কেবারেই অজানা ছিল। ভৌমিক,মৈত্র,অধিকারী,আচারয্য, এই সব ব্রাহ্মণ শুনেছিলাম একটু কমাদরের বামুন,কিন্তু এরাই যে নমঃশূদ্র সেটা জানতাম না।নমঃশূদ্র বলতে তপশীলি জাতিভুক্তদেরই বুঝতাম।আমার বিশ্বাস ৯৫% মানুষই এটা জানেন না।

    চক্রবর্তী উপাধিধারীরা কিন্তু দিব্য পূজা অর্চনা চালিয়ে যাচ্ছে

    Yesterday at 17:15 · Like · 1..

    Rupankar Sarkar Moumita Ghosh: আপনি যে লিঙ্কটা দিলেন, ওটা সম্ভবতঃ সরকারি সাইট। বেশ কিছুদিন ধরেই তো শুদ্রদের নমঃশুদ্র বলা হচ্ছে। অতএব এ থেকে সিদ্ধান্ত টানা তো মুশকিল। শুদ্রদের ছোট বা বড় করার আমার বিন্দুমাত্র অভিপ্রায় নেই। আমি কেবল শব্দের উৎপত্তি নিয়ে বললাম। লিঙ্ক দিতে অক্ষম, আমার পড়াশোনা নেটে নয়। লোকেশ্বর বসু এবং ডাঃ অতুল শুরের বই পড়ে দেখতে পারেন। শুদ্র শব্দের আগে নমঃ বসার কোনও যুক্তি কি পাচ্ছেন? আসলে যেমন আমরা ঝাড়ুদারদের জমাদার বলে আসছি, সেই রকম। জমাদার হচ্ছে মেনিয়াল জবের মাথায় যাঁরা থাকেন, তাঁরা। এবার সবাইকে জমাদার বললে তাঁরা খুশি হন, বাসের ড্রাইভাররা দরজায় 'পাইলট' লিখে রাখেন -তেমনি।

    Yesterday at 17:18 · Edited · Like..

    Moumita Ghosh লোকেশ্বর বসু 'আমাদের পদবীর ইতিহাস' বইটিতে ৪ নং পেজে আছে। বর্তমানে তপশীলী বা SC নমঃশুদ্র।
    SC বা তপশীলী কোন বর্ণ না পিছিয়ে পড়া অন্নুত শ্রেণী। বর্ণাশ্রমের ফলে ডোম চণ্ডালরা পিছিয়ে যায়, ব্রিটিশ আমলে এদের নমঃশুদ্র নাম দিয়ে SC তে যোগ করা হয়।

    21 hours ago · Edited · Like..

    Moumita Ghosh নম না মনস্কার আমি এমনি বলেছিলাম। ব্রাকেডে বোধহয় শব্দটা আমি দিয়েছি।

    Yesterday at 17:26 · Like..

    Rupankar Sarkar আমি রেফারেন্স দেখে জানাব, সময় লাগবে, কিন্তু জানাব।

    Yesterday at 17:27 · Like..

    Haider Moon নাগরাজ চন্ডাল @ এ বিষয়ে যদি একটি পূরনাংগ লেখা দেন খুব ভাল হয়, পাই না তেমন একটা।

    Yesterday at 17:32 · Like · 2..

    Haider Moon কল্লল বাবু@ ১৯৪০ এর পূর্বে পায়ে জুতা পরা অন্যায় ছিল।।এটি খুব এ কমন ছিল, আমাদের বিখ্যাত পল্লীগীতি গায়ক আব্বাস উদ্দিন এর লেখায় আমি পেয়েছি এ ছাড়াও এপারে এটি খুব কমন একটি বিষয় ছিল,বিশেস করে জমিদারদের (হিন্দু মুসলিম উভয়) বাড়ির সামনে দিয়ে পায়ে স্যান্ডেল জুতা পরে যাওয়া অপরাধ ছিল।

    Yesterday at 17:35 · Like · 1..

    Haider Moon আজ ওপার বাংলার চণ্ডালরাই স্বাধীন বাংলাদেশ তৈরি করেছে। লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে সৃষ্টি করেছে আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস। চন্ডালদের জন্যই বাংলা ভাষা একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। তার রাষ্ট্র নায়ক মুজিবর রহমান গোপালগঞ্জের একজন চন্ডাল।
    আমার পূর্ব পুরুষের সাথে এখনো তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মীয়তার সম্পর্ক আছে।@নাগ রাজ চন্দাল... যদিও মুজিবের পূরবপুরুসের মাঝে আরবের রক্ত আছে যা তার জন্ম ইতিহাসে পাওয়া যায়,তবে তা সামান্য এবং সাভাবিক হাজার মিশ্রনের এক মিশ্রন, নবাব,আর এলিট বহিরাগতদের মাঝে সবচেয়ে কম মিশ্রনের একেবারে কাদা মাটির কাছের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ মুজিব,উপমহাদেশের প্রকৃত চণ্ডাল এটি বলা যায় কিনা জানি না , তবে সবচেয়ে কাছাকাছি বটেই কারন তিনি সারাজীবন তাই বলে গেছেন।

    Yesterday at 17:47 · Like · 1..

    Saradindu Uddipan আমিও নাগরাজকে এ বিষয়ে একটা পুরো লেখা পোষ্ট করার জন্য অনুরোধ করছি। জানি ও ব্যস্ত মানুষ। তবুও চাইছি।

    22 hours ago · Like · 2..

    Rupankar Sarkar Moumita Ghosh: মৌমিতা দেবী, আপনি লোকেশ্বর বসুর যে বইয়ের যে পৃষ্ঠার উল্লেখ করলেন, তাতে এই কথা লেখা আছে..." জাতিবিন্যাসের ক্ষেত্রেও আমাদের অজ্ঞতা গভীর। তর্কে বিতর্কে আলাপ আলোচনায় আমরা, অস্পৃশ্য, অন্তজ, নমঃশুদ্র, হরিজন, অ-জলচল, এবং তপশীলী শব্দগুলিকে এমনভাবেই প্রয়োগ করি যেন এগুলি পরস্পরের সমার্থক।"...এই থেকে কি আপনার মনে হয়, যে লোকেশ্বরবাবু সে কথা বলেছেন? এখন প্রশ্ন হ'ল, নেটের লিঙ্ক হলে নির্দিষ্ট বাক্য বা শব্দ লিখে সার্চ মারলেই পাওয়া যায়। বই থেকে বের করতে অনেক গুলি বই বিস্তর ঘাঁটতে হবে। তবু চেষ্টায় আছি তথ্যটি খুঁজে বের করার। লোকেশ্বরবাবুর বইটি খুঁজতেই এতক্ষণ গেল।

    22 hours ago · Like · 1..

    Moumita Ghosh আপনি যে লেখাটা দিলেন সেটা বইয়ের ৩ নং পেজ আর Pdf applicationএর ৯ নং পেজ। এর পরের পেজ মানে বইয়ের ৪ নং (ইংরেজি 4 no) দেখুন।

    22 hours ago · Like · 2..

    Rupankar Sarkar আমার সামনে বইটি খোলাই আছে। আমি যা উদ্ধৃত করলাম, তা ৪ নং পৃষ্ঠার প্রথম লাইন। এই বইটি ১৯৮২ সালে কেনা। পরের কোনও এডিশনে পাতার সংখ্যার হেরফের হলে তা আমার গোচরে নেই, তাই দুঃখিত।

    21 hours ago · Like..

    Moumita Ghosh আমার কাছে ১১ নং মুদ্রণ, ২০০৯ সালে প্রকাশিত। চুরি করা বই সফট পেপার। আপনি চাইলে আপনাকে ম্যাসেজ করতে পারি।

    21 hours ago · Like..

    Rajarshee Das Accha e sonkranto kono pdf pawa jabe

    21 hours ago via mobile · Like..

    Rupankar Sarkar 'মেসেজ' - করতে পারেন, কিন্তু করে লাভ কী? একই কথা লেখা আছে তো। খালি পাতা আলাদা।

    21 hours ago · Like..

    Moumita Ghosh ওহ পাতার নং হেরফের। নমশূদ্র যে SC সেটা লেখা আছে। আমি ভেবেছি পুরোন বইতে ওটা লেখা নেই।

    21 hours ago · Like · 1..

    Rupankar Sarkar যা আপনার বইতে আছে, তা আমার বইতেও আছে। ..."বর্তমানে তপশীলযুক্ত জাতির তালিকায় আছে......মেথর, নমঃশুদ্র, চন্ডাল...প্রভৃতি। তাতেও তো আমার কোনও আপত্তি নেই। যে কোনও পঞ্চায়েত বা ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসে গেলেই সেই তালিকা দেখা যাবে। সে তো বিলক্ষণ জানি। আমার কথা ছিল নমঃশুদ্ররা আসলে কী। লোকেশর বসু এবং ডাঃ অতুল শুরের বিভিন্ন বই পড়লে জানতে পারবেন যাঁদের আমরা যা বলে চিনি, অনেকেই তা নন, শুধু নমঃশুদ্রের কথাই তো বললাম, এরকম আরও অনেক আছে। বইও অনেক আছে, আগ্রহ থাকলে ক'দিনের মধ্যেই তালিকা দিতে পারি।

    21 hours ago · Like..

    Nagraj Chandal ওহ! দারুন সব তথ্যের ভজঘট ভেজাল চলছে। যাই হোক কিছু লেখার অবশ্যই চেষ্টা করবো হায়দার ভাই। এখানে মৌমিতার বিশ্লেষণ অনেকটাই খাঁটি।

    21 hours ago · Like..

    Moumita Ghosh আমি যতদূর জানি নমঃশুদ্র কোন বর্ণ বা বৃত্তি ভিত্তিক শ্রেণী নয়, পিছিয়ে পরা জাতি, অর্থনৈতিক অনুন্নত জাতি। বর্ণাশ্রমের ফলে বহু অর্থবান শূদ্র শ্রেণী (বর্ণ না, পেশা ভিত্তিক) সামাজিক বয়কটের ফলে পিছিয়ে যায়। ডোম চণ্ডাল এঁদের অংশ।
    আপনি যে ব্রাহ্মণদের কথা বলছেন তারা বর্ণ ব্রাহ্মণ।

    21 hours ago · Like · 1..

    Rupankar Sarkar নমঃশুদ্র যে চন্ডাল নয়, অন্য জাতি, তা ওই বইতেই আছে। যে পৃষ্ঠা নিয়ে ৩/৪ মতান্তর হচ্ছিল, তাতেই নমঃশুদ্র ও চন্ডালকে আলাদা করে উল্লেখ করা আছে। এবং এরা যে সমার্থক নয়, তাও স্পষ্ট করা আছে। কিন্তু অগ্রদানী, মরাপোড়া ইত্যাদি ওবিসি নিয়ে আমার বক্তব্যের স্বপক্ষে 'প্রমাণ' যোগাড় করে পেশ না করা পর্যন্ত আর মন্তব্য করতে অক্ষম।

    21 hours ago · Like..

    Pronab Mondal তাহলে কেন দেশ ত্যাগ, দেশ ভাগ?,সমস্যা টা কোথায়?। >>>> খুব সুন্দর প্রশ্ন,খুব দামি প্রশ্ন > Haider Moon... আসল সমস্যাটা হচ্ছে বাঙ্গালীর আত্মপরিচয়হীনতায়(আমি মনে করি)।
    তবে আরো দুটি কথা বলি - ব্রাহ্মণ প্রতিবেশী শূদ্রকে ঘৃণা করতে পারে,তবে তার ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা সাধারণত ভাবে না,যে আশঙ্কাটা মুসলমানদের কাছ থেকে ছিল(প্রধানত পাকিস্তানী ও রাজাকার-মৌলবাদী মুসলমানদের দিক থেকে),তাই নমঃশূদ্ররা হয়তো দেশত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তবে বাংলাদেশে নমঃশূদ্র ও মুসলমানদের মধ্যে যে ভালো সম্পর্ক বিদ্যমান নেই তা বলা যাবে না,এখনো বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণে নমঃশূদ্র রয়েছে।এবং বাংলাদেশের অনেক জায়গাতেই তারা পাশাপাশি বাস করছে।তবে এটা স্বীকার করতেই হবে যে,এদেশের মুসলমানরা যেমন মাথা উঁচু করে চলে,ওদেশে নমঃশূদ্ররা ততটা পারে না।এটা জ্বলন্ত বাস্তব।আর এই জ্বলন্ত বাস্তবের কারণ হল কাফেরদের প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজের ইসলামী মানসিকতা।...এটা কেবল বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই সত্য নয়।যে সব দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠা পেয়েছে সেসব দেশেই এমন হয়েছে,সব দেশেই ইসলাম সে সব দেশের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ধ্বংস করেছে,আর দেশীয় সংস্কৃতির ধারক-বাহকদের করেছে দেশ থেকে বিতাড়িত,নইলে অত্যাচারিত। রাহুল সাংকৃত্যায়নের লেখা "ইরান" বলে একটা বই পড়েছিলাম।সেখানেও দেখি,ইসলামের আগ্রাসনে কিভাবে গৌরবময় পারসিক সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ধ্বংস হয়েছে।কিন্তু বাংলাদেশ কিছু উজ্জ্বল ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে(ভাষা আন্দোলন,মুক্তি আন্দোলন),ফলে বাংলাদেশে ধর্মীয় মৌলবাদী সংস্কৃতি আর দেশীয় সংস্কৃতির একটা লড়াই আমরা দেখতে পাচ্ছি।বদরুদ্দিন উমর তাঁর "পূর্ববাংলার সংস্কৃতির সংকট" গ্রন্থে সুন্দরভাবে এর বর্ণনা দিয়েছেন।

    20 hours ago · Like · 1..

    Haider Moon প্রনব বাবু@ আপনার সাথে একমত। তবে আমার প্রশ্ন নিজের ধর্ম ত্যাগ করেই বা কেন অছ্যুত রা দলে দলে ইসলাম গ্রহন করল। কি দরকার ছিল?। ধর্মের কোন মহান বানীর জন্য ধর্মান্তর খুব সীমিত আকারে হয়ে থাকে। ধর্ম টিকে ও থাকে কব্জির জোরে। একারনে বুদ্ধ ধর্ম এখানে টেকেনি। কিন্তু আমার প্রশ্ন জোর করে ত ধর্মান্তরিত করা যায় না স্পেনে মুসলিম রা পারেনি। ভারতে কি এমন হোল যে দলে দলে ইসলাম গ্রহন করল?। মুঘল রা ধর্ম প্রচারে খুব একটা মনযোগী ছিল না তাদের উদ্দেশ্য ছিল শাসন। বরং তারা অভিজাত হিন্দু নারীদের বিবাহ করেছে এবং তাদের দরবারে ঠাই দিয়েছিল।

    20 hours ago · Like · 1..

    Kallol Mukherjee "তবে আমার প্রশ্ন নিজের ধর্ম ত্যাগ করেই বা কেন অছ্যুত রা দলে দলে ইসলাম গ্রহন করল। কি দরকার ছিল?।" hindu dhormer caste system to ekta boro karon.Islam dhormer moddhe jeta chhilo naOnek khetre aabar dekha jai je rajar dhormoi projar dhormo.Tate onek kichu sujog subidhao paoya jai.Kichu khetre je forced conversion hoi ni tao bola jabe na.

    19 hours ago · Like · 1..

    Pronab Mondal বাংলায় জবরদস্তি ধর্মান্তকরণ হয়েছে,এখানে ইসলামের প্রসারে বখতিয়ার খলজিদের অবদান কম নয়।ন্যাড়া মাথা বৌদ্ধরা দলে দলে ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়ায় এদেশের মুসলিমরা "নেড়ে" নামে পরিচিতি লাভ করে।তবে মধ্যযুগে ইসলামে ধর্মান্তকরণ ইসলামের মাহাত্ম্যে না যতটা হয়েছে,তার থেকেও বেশি হয়েছে অস্পৃশ্যতার কারণে।ইসলামে ধর্মান্তরিত হলেই অস্পৃশ্যতার অসুবিধা থেকে যেমন মুক্তিলাভ করা যাবে তেমনি পাওয়া যাবে রাজানুগ্রহ।তবে এদেশীয় ধর্মান্তরিত মুসলিমেরা রাজানুগ্রহ মোটেই পায়নি,কারণ এখানকার শাসক মুসলিম(রাজা) ছিলেন সাধারণত পারসী,আরবী,তুর্কী ইত্যাদি বহিরাগতরা।এরা এইসব নিচুজাতের ধর্মান্তরিত মুসলিমদের কখনোই সম্মানের চোখে দেখেনি,বরং এদের প্রতি একরকম ঘৃণার ভাবই ছিল।তাই আহমদ শরীফও তাঁর " বাংলা,বাঙ্গালী ও বাঙ্গালীত্ব" গ্রন্থে প্রশ্ন তুলেছেন - বুঝলাম দুশো বছরের ব্রিটিশ শাসনের কারণে এদেশের মুসলিমরা পিছিয়ে পড়েছে,কিন্তু পাঁচশ বছরের ইসলামী শাসনে এরা কতটা উন্নতি করেছিল ? উত্তর হল - কিছুই নয়।কারণ,এইসব ধর্মান্তরিত মুসলিম ধর্মান্তরিত হয়েও এরা পারসী-তুর্কী-আরবী মুসলিম শাসকদের(আশরফ) কাছে আসলে ছিল নীচুজাত(আতরাফ),তাই অবহেলিত।
    তবুও বাংলার অস্পৃশ্যরা ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়ে অন্তত অশপৃশ্যতা থেকে মুক্তি পেয়েছিল।আর এই ধর্মান্তরণের মাধ্যমে এরা মোটেই এখনকার মত মুসলিমে পরিণত হয়নি।এরা আসলে নামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল(বিশেষত সুফীদের দৌলতে),কিন্তু আদপে এরা পুজোসহ বিভিন্ন হিন্দুয়ানি উতসব,পরব ইত্যাদি পালন করত।রামায়ন,মহাভারত,গীতাও বাড়িতে রাখত। বাংলার মুসলমানরা প্রকৃত মুসলমান হয়ে ওঠে প্রকৃতভাবে ফরাজী ও ওয়াহাবী আন্দোলনের মধ্য দিয়ে।তার আগে এরা আসলে মুসলিম নামের হিন্দুই ছিল।

    19 hours ago · Like..

    Haider Moon প্রনব বাবু@ আপনার সাথে অনেকটা একমত। তবে বখতিয়ার খিলজিরা জিজিয়া কর আরোপ করে অত্যাচার করেছিল ঠিকই, তার চেয়েও বড় কথা ওই নিম্ন বা অছ্যুতা থেকে মুক্তি পাওয়া,পায়নি কিছুটা তাও নয়। আমরা এসব স্বীকার করি কিন্তু মানি না,এখনও ঠিকে ঝি আছে,মেথর,কামার,কুমার,ধীবর রা অছ্যুত ই ত নাকি?। আমরা ঘোষণা দেই না রাস্ট্রিয় ভাবে এ অন্যায়,মানা যায় না। ভারত বর্ষের পশ্চ্যাদপদতার মূল কারন এটিই। আমরা মানি না। কেন মানি না?

    19 hours ago · Like · 1..

    Pronab Mondal আমরা ঘোষণা দেই না রাস্ট্রিয় ভাবে এ অন্যায়,মানা যায় না। ভারত বর্ষের পশ্চ্যাদপদতার মূল কারন এটিই। আমরা মানি না। কেন মানি না? >>>> মানলে অনেকের লাভের গুড় পিঁপড়েয় খেয়ে যাবে।

    19 hours ago · Like..

    Haider Moon এই ভুলের কারনেই আজ এই অবস্থা মন্ডল বাবু। মানলে বরং আদতে লাভ ই ছিল। ১৯৬২ সাল অব্দি যে পেনেসিল্ভেনিয়া ইউনিভার্সিটিতে কালদের প্রবেশাধিকার ই ছিল না সেই ইউনিভারসিটি তে ওবামা প্রথম মেয়াদে মেক্কেইনের সাথে প্রথম প্রেসিদেন্টসিয়াল ডিবেট করেছিলেন। আমাদের বর্ণ প্রথাটা ওদের সাদা কাল সমস্যার মতই । কিন্তু মুক্তি চাইলে মানতে হবে, সবার মুক্তির চিন্তা না করলে নিজের মুক্তি কোথায়। ভারত বর্ষ ত এখনও দাসত্ব ই করছে।

    18 hours ago · Like..

    Biplob Rahman ১৯৭১ এর প্রশ্নে হায়দার মুনের সঙ্গে বেশ খানিকটা দ্বি ম ত। ০১. ১৯৭১ এর যুদ্ধটি নিছক "স্বাধীনতার যুদ্ধ" ছিল না; এটি ছিল পূর্ববাংলায় বসবাসকারী সব ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণীর তথা আপামর সাধারণ মানুষের "মুক্তিযুদ্ধ" [পাকিস্তানি উপ-উপনিবেশ, সব ধরণের শোষণ ও বৈষম্য থেকে মুক্তির-যুদ্ধ]-- যা "বাংলাদেশ" নামক দেশ স্বাধীন করাতেই শেষ হয়ে যায়নি।
    ০২. একই কারণে মুক্তিযুদ্ধটি বাঙালির একক লড়াইও ছিলো না, বরং এটি ছিলো বাঙালি-আদিবাসীর যৌথ লড়াই, যদিও এর নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদটি প্রধান্য পায় [যার আগ্রাসী রূপ দেখি, ১৯৭২ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে-- "তোরা সবাই বাঙালি হইয়া যা" এবং "এদেশে কোনো আদিবাসী নাই/উপজাতীরা সকলেই বহিরাগত"]।
    ০৩. মুক্তিযুদ্ধটি নানান বিভ্রান্তিসহ শেখ মুজিবের নেতৃত্বে শুরু হয়েছিল ঠিকই, কিন্তু স্বাধীন বাংলা শেখ মুজিব বা আওয়ামী লীগের একক কৃতীত্ব সয়; দয়ার দানও নয় [দ্রষ্টব্য -০১]। তাই শেখ মুজিবের কোষ্ঠি বিচার চলতি থ্রেডে অপ্রসঙ্গ। নিছক মুজিব বন্দনায় ১৯৭২-৭৫ মুজিব দুঃশাসকে ভাব-বুদ্বুদে ভাসিয়ে দেওয়ারও যুক্তি দেখি না।
    --পুরো বিষয়টিই বিস্তারিত আলোচনার দাবি রাখে। এরচয়ে বেশী বিতর্ক থ্রেড ছাপিয়ে অন্য প্রসঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখি।
    জয় বাংলা!
    Haider Moon

    52 minutes ago · Edited · Like..

    Biplob Rahman কেউ একজন আদিবাসীদের কাছে মিশ্র জাতি বাঙালির ঋণের কথা বলছিলেন। এ বিষয়ে আমাদের ছোট্ট ব্লগ সাইট, আদিবাসী বাংলা ব্লগে একটি সমৃদ্ধ নোট আছে। সেখান থেকে ["প্রাচিন বাংলার নিষাদ’রা অস্ট্রিক-দ্রাবিড় এবং কিরাতরা মংগোল! কোল, ভিল, মুন্ডা, সাওতাল, কোরোয়া, জুয়াং, কোরবু প্রায়-বিশুধ্ব অস্ট্রিক এবং এরা বাংগালির সবচেয়ে ঘনিষ্ট জ্ঞ্বাতি। মুন্ডা বা মুন্ডারি ভাষাই আদি অস্ট্রিক ভাষার বিবর্তিত রূপ!অস্ট্রেলিয়ার আদি-আধিবাসিদের সাথে মিল থেকেই অস্ট্রিক নামের উদ্ভব!দ্রাবিড়েরা কোথাও, কোথাও ভেড্ডিড নামেও পরিচিত!মংগোলয়েড’রা ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে লেপচা, ভুটিয়া, চাকমা, গারো,হাজং, মুরং, মেচ, খাসিয়া, মঘ, ত্রিপুরা, মিজো, মর্মা বিভিন্ন নামে পরিচিত!শিব-বিষ্ণূ-ব্রক্ষা, মুর্তিপুজা, জন্মান্তরবাদ, অবতারবাদ, নবিবাদ,গুরুবাদ, কায়াসাধন, মন্ত্রশক্তি, যাদুবিশ্বাস, শবরোতসব, নবান্ন, পৌষপার্বন, বৈশাখি, চড়ক, গাজন, শুভাশুভের প্রতিক চাল, খই, কলা, নারকেল,পান-সুপারি, হলুদ, দুর্বা, দই, মাছ, ঘট, আলপনা, শঙ্খধ্বনি, উলুধ্বনি, শুকনা গোবরের জ্বালানি, মনষা, বাসুলি, শিতলা, ঠাকুর, জাঙ্গুলি ইত্যকার লোকায়ত দেবতা, তিথি, নক্ষত্র, লগ্ন এসেছে অস্ট্রিক, দ্রাবিড়, মংগোলয়েড জনগোষ্ঠি থেকেই!

    শুধু বাংগালির নয়, ভারতিয় সমস্ত জনগোষ্ঠির প্রতিকের শিকড় লুকানো আদিবাসিদের জাপিত সংস্কৃতির পরতে, পরতে!আরন্যক কোল, সাওতাল, ওরাও,রাজবংশি, গারো, হাজং, খাসিয়া, মনিপুরি, লুসাই, নাগা, মিজো, খুমি, কুকি,কোচ যেসব নিয়ম, নিতি মেনে চলে তাই ভারতিয় বিভিন্ন মুলধারাতে রুপান্তরিত হয়েছে প্রথাসিধ্ব আচারে! তুক-তাক-দারু-টোনা, ঝাড়-ফুক, বান-উচাটন, মাদুলি,কবচ, বশিকরন সবই জনজিবনে মিশে গেছে বিভিন্ন নামে! কেউ বলে ধুপকাঠি, কেউ বলে আগরবাতি! কেউ বলে মাদুলি, কেউ বলে তাবিজ! হাজার বছর ধরে চলে আসা নিত্যনৈমিত্তিকতায় আমরা যেসব প্রতিক আস্ট্রিক, দ্রাবিড় ও মংগোলিয়দের থেকে নিয়ে আত্মস্থ করেছি"]
    http://w4study.com/?p=2126

    53 minutes ago · Edited · Like · 1
  • h | 203.67.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ২০:১৮585537
  • বিপ্লব রহমান ঃ 'মুঘল সাম্রাজ্য' জিনিসটা কে যদি ষোড়শ শতকের জিনিস ধরি, তার অনেক আগে পূর্ব বংগে এবং আসামে মুসলমান পর্যটক/প্রচারক/পীর রা আসছেন বলে আমি রিচার্ড ইটন এর বইয়ে রেফারেন্স পেয়েছি। ফ্রন্টিয়ার্স অফ ইসলাম। ঐ বই কামাখ্যার তান্ত্রিক টেক্স্ট ফার্সী অনুবাদের উল্লেখ করছে। অতএব মুঘল সাম্রাজ্যের সময় এর আগে থেকে বলে অন্তত এভিডেন্স পাওয়া যাচ্ছে।
  • b | 135.2.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ২০:২৭585539
  • কামাখ্যা তন্ত্রের ফার্সী অনুবাদের তারিখ কি?
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ২০:৪৫585540
  • # h,

    আপনি ঠিক বলেছেন। ফেবুর আলাপ-চারিতা চটজলদি। প্রায় ভাট সমান। একে রেফারেন্স জ্ঞানে না নেওয়ায়ই ভালো। :)

    তবু সংশোধন ও সংযোজনের জন্য ধন্যবাদ। আলোচনা চলুক।

    ____

    যিনি এই টইটি খুলেছেন, তাকেও সাধুবাদ।
  • ফাজিল | 127.194.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ২২:১৬585541
  • বঙ্গবন্ধুকে ডিরেক্টলি খলনায়ক বলাটা বোধহয় ঠিক না। বাকশাল সম্পর্কে মুক্তিযুদ্ধ গবেষক অমি রহমান পিয়াল এর একটা লেখা পড়লে ব্যাপারটা অনেকটা স্পষ্ট হয়।
    http://www.amarblog.com/omipial/posts/101959
  • ফাজিল | 127.194.***.*** | ২২ মার্চ ২০১৩ ২২:৩৫585542
  • "শূদ্ররাও ছিল অস্পৃশ্য কিন্তু তখন সঙ্খ্যাগুরু মুসলিমরা ও ত শূদ্র থেকেই ধর্মান্তরিত মুসলিম"

    একটা কারণ হতে পারে "উচ্চপর্যায়ের" ইসলামিক টাইটেল কিনতে না পারা। সেসময়ে টাইটেল বিক্রি শুরু হয়েছিলো। আমার পরিচিত ব্যক্তিই আছেন যাঁর সাথে আমার ঊর্ধ্বতন কোনও এক পুরুষের রিলেশান আছে। কিন্তু বর্তমানে তিনি সৈয়দ বংশীয়। নবীজির বংশ। ধর্মকে প্রামাণ্য ধরে এগনো যেকোনো সমাজের স্বাভাবিক নিয়ম হল জাতিভেদ তৈরি হয়ে যাওয়া। Pronab Mondal বাবুও পারসী/তুর্কি ওরিজিনের মুসলিমদের এলিট হিসাবে গণ্য হওয়া নিয়ে ভালো তথ্য দিয়েছেন। তাহলে এটা বোঝাই যায় যে ধর্মান্তরিত শূদ্রদের ক্ষেত্রে কেবল মালিকানা বদল ঘটেছিলো।

    আরেকটা কারণ তো খুবই স্পষ্ট। যেকোনও মানুষ ধর্মান্তরিত হলে পূর্বের ধর্মের প্রতি কিছু বিদ্বেষ কাজ করে। ধর্মান্তরিত মুসলিমদের সাধারণ মুসলিমদের চেয়ে বেশিই হিন্দুবিদ্বেষ থাকার কথা। আর শেষতক নম:শূদ্ররা কিন্তু হিন্দুই।
  • প্রণব মন্ডল | 120.227.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১৯:৪৩585525
  • > নাগরাজ চন্ডাল>স্ট্যাটাসটা তথ্যবহুল ও যথার্থ।সম্ভবত মধ্যভারতের চান্দেল্ল বংশ(রাজবংশ) প্রমাণ করে এদেশে চান্দেল্ল বলে একটা প্রাচীন উপজাতি গোষ্ঠী ছিল এবং সম্ভবত এই চান্দেল্ল শব্দ থেকে চন্ডাল শব্দটি এসেছে।নমশূদ্র একটা কৃত্রিমভাবে তৈরি বানানো শব্দ,এবং এ শব্দের মধ্যে মর্যাদাসূচক কিছু নেই,বরং এটা হীনতা(শূদ্রতা)সূচক।তার চেয়ে চন্ডাল(চান্দেল্ল) পরিচয়টি ছিল গৌরবের। ... ব্রাহ্মণ্যবাদী(জাতপাতবাদী)দের প্রচেষ্টায় চান্দেল্ল রাজবংশ অস্পৃশ্য চন্ডাল বংশে বা নমশূদ্রবংশে পরিণত হল।এটা নিশ্চিত অর্থে জাতপাতবাদীদের মহান কৃতিত্ব। এরকম কৃতিত্ব আপনিও দেখান না ... আমি ভাবছি এরকম কিছু করা যায় কিনা,যেমন ধরুন,বাথরুমের মেঝেতে এদের নামধাম বা এদের গৌরবজনক জাতপরিচায়ক শব্দ বা শাস্ত্রের নামধাম লিখে রাখা যেতে পারে,কিংবা এরা বাড়িতে এলে(যদি এদের শরীরে ও মনে জাতপাতচিহ্নিত কিছু আছে বুঝতে পারেন,তাহলে গঙ্গাজল ছেটানোর মত কিছু করা যেতে পারে,ব্যস মিটে গেল,আপনি কেন নিজেকে বার বার নীচুজাত পরিচয় দিয়ে হীনমন্নতায় ভুগবেন ? মাথা থেকে কিছু বের করুন।কথায় আছে না,আক্রমণই প্রতিরোধের উত্তম উপায়)। এই আধুনিক যুগেও জাতপাতের যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় মাঝে মাঝে তাতে মেজাজটা গরম হয়ে যায়।এখনো জাতপাত যাদের কাছে অমূল্যরতন তাদেরকে অমূল্য করে দিন না। ... এসব নিয়ে কথা বলতেও এখন আর ভাল লাগে না,কেমন যেন গা গুলায়,বমি বমি পায় ... ঘেন্নায় পিত্তি বিষাক্ত হয়ে যায় ...
  • প্রণব মন্ডল | 120.227.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১৯:৪৩585524
  • > নাগরাজ চন্ডাল>স্ট্যাটাসটা তথ্যবহুল ও যথার্থ।সম্ভবত মধ্যভারতের চান্দেল্ল বংশ(রাজবংশ) প্রমাণ করে এদেশে চান্দেল্ল বলে একটা প্রাচীন উপজাতি গোষ্ঠী ছিল এবং সম্ভবত এই চান্দেল্ল শব্দ থেকে চন্ডাল শব্দটি এসেছে।নমশূদ্র একটা কৃত্রিমভাবে তৈরি বানানো শব্দ,এবং এ শব্দের মধ্যে মর্যাদাসূচক কিছু নেই,বরং এটা হীনতা(শূদ্রতা)সূচক।তার চেয়ে চন্ডাল(চান্দেল্ল) পরিচয়টি ছিল গৌরবের। ... ব্রাহ্মণ্যবাদী(জাতপাতবাদী)দের প্রচেষ্টায় চান্দেল্ল রাজবংশ অস্পৃশ্য চন্ডাল বংশে বা নমশূদ্রবংশে পরিণত হল।এটা নিশ্চিত অর্থে জাতপাতবাদীদের মহান কৃতিত্ব। এরকম কৃতিত্ব আপনিও দেখান না ... আমি ভাবছি এরকম কিছু করা যায় কিনা,যেমন ধরুন,বাথরুমের মেঝেতে এদের নামধাম বা এদের গৌরবজনক জাতপরিচায়ক শব্দ বা শাস্ত্রের নামধাম লিখে রাখা যেতে পারে,কিংবা এরা বাড়িতে এলে(যদি এদের শরীরে ও মনে জাতপাতচিহ্নিত কিছু আছে বুঝতে পারেন,তাহলে গঙ্গাজল ছেটানোর মত কিছু করা যেতে পারে,ব্যস মিটে গেল,আপনি কেন নিজেকে বার বার নীচুজাত পরিচয় দিয়ে হীনমন্নতায় ভুগবেন ? মাথা থেকে কিছু বের করুন।কথায় আছে না,আক্রমণই প্রতিরোধের উত্তম উপায়)। এই আধুনিক যুগেও জাতপাতের যেসব অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় মাঝে মাঝে তাতে মেজাজটা গরম হয়ে যায়।এখনো জাতপাত যাদের কাছে অমূল্যরতন তাদেরকে অমূল্য করে দিন না। ... এসব নিয়ে কথা বলতেও এখন আর ভাল লাগে না,কেমন যেন গা গুলায়,বমি বমি পায় ... ঘেন্নায় পিত্তি বিষাক্ত হয়ে যায় ...
  • h | 102.64.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ১৯:৫৭585526
  • b ত্রয়োদশ শতাব্দী র মাঝামাঝি। ইটন এর বইটায় এই অনুবাদটির রেফারেন্স আছে। আর ইন্টারাকশনের অন্যান্য রেফারেন্স আছে আরো আগে থেকে প্রায় দ্বাদশ শতাব্দী, ১২০৪। ইন ফ্যাক্ট ইটন বইয়ের নামে এই বছর টা ব্যবহার করেছেন।
  • ফাজিল | 127.194.***.*** | ২৩ মার্চ ২০১৩ ২০:২০585527
  • চণ্ডাল শব্দটি একটি অর্থে বর্ণসংকর বোঝায়। "শূদ্রের ঔরসে ব্রাহ্মণীর গর্ভজাত সন্তান।"[1] ব্যুৎপত্তিগত বিশ্লেষণ হল "চন‍্ড‍্ + আলঙ‌‌‌‌‌্‍" সুতরাং সর্বপ্রথমে এটা এই অর্থেই ব্যবহৃত হত বলে ধরে নেওয়া যায়।

    নমশূদ্রদের একসময় চণ্ডাল নামে অভিহিত করা হত। হিন্দু সমাজে অনেক নীচে এদের স্থান থাকলেও বাংলা প্রদেশে এদের অস্পৃশ্য বলে গণ্য করা হত না। হিন্দু ফতোয়াবাজরাও এদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের এবং একাসনে খাওয়ার বিরোধীতা করলেও অস্পৃশ্য হিসাবে গণ্য করেননি।[2]

    প্রবলেম হল, উচ্চবর্ণের মানুষজন কাজে না হলেও মনে অস্পৃশ্যতা লালন করতেন। সুতরাং বঞ্চনা ছিল প্রবল।[3]

    হিপোক্রেসি হল হিন্দুধর্মের মজ্জাগত। ইতিহাসের প্রতিটি উপাদানে এ জিনিস দেখা যায়। এই হিপোক্রেসির স্পষ্ট উদাহরণ এটাই। ধর্ম অস্পৃশ্যতা সাপোর্ট করেনা, কিন্তু সামাজিক উন্নতির জন্য সেটা করতে বাধা নেই। এর ফলে জাতপাতের পূজারীদের আরও লাভ হয়। অস্পৃশ্যতার চূড়ান্ত অবমাননা বাংলায় না থাকায় বাংলার নিপীড়িত শ্রেণির আন্দোলন শুরু হতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়।

    অবশ্য এই হিপোক্রেসির জোরেই সনাতন টিকে আছে, কিন্তু বিশাল প্যাগান ধর্ম বিলুপ্ত। সেই প্রবাদ আছে - "অতিকায় ডাইনোসরও লোপ পাইয়াছে, কিন্তু তেলাপোকা আজও বর্তমান।"

    রেফারেন্স
    1. সরল বাঙ্গালা অভিধান
    2. http://bangalnama.wordpress.com/2009/08/31/unnayan-bivajan-jati-namasudra-andolon/
    3. Do
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ২৪ মার্চ ২০১৩ ১৯:০৬585528
  • বঙ্গবন্ধুকে ডিরেক্টলি খলনায়ক কোন ইয়ে বলেছে? এত্তো বড়ো সাহস!! [কান দিয়ে ধোঁয়া বের হওয়ার ইমো] :ডি

    ইতিহাসের অমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্বর [বিসিসি'র জরীপে শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি] সাধারণ থেকে নেতা, নেতা থেকে নায়ক, নায়ক থেকে মহানয়ক এবং খলনায়কে উত্থান [নাকি পতন] অমি রহমান পিয়ালের এক লিংক পোস্টেই জানা যাবে?

    ভাইরে মাফও চাই। দোয়াও চাই। ;)

    তবে টইয়ের এই লিংকটাও খ্রাপ না। ভাড়ি ভাড়ি নোটপত্রের পাশাপাশি বিনোদনও প্রচুর। এক টিকিটে দুটি ছবি। :পি

    _________________________________________

    বিষয় : শেখ মুজিবের উপর খ্যাপা কেনো চিনাপন্থীরা?
    বিভাগ : অন্যান্য
    শুরু করেছেন :কুলদা রায়
    IP Address : 34.90.91.2 (*) Date:23 Nov 2012 -- 04:05 AM

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?portletId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1353623714627#writehere
  • pi | 78.48.***.*** | ২৫ মার্চ ২০১৩ ১৮:১৪585529
  • Nagraj Chandal: Pronab Mondal babu, mananiya AK Biswas mahasay CHANDEL khanda theke CHANDAL sabder utpattir katha balechhen. Amio ei tatter sathe ekmat. Karan "AL" sabdata clan hisebei besi byabahar deklhte pai. Ekti ethnic grouper bar bar nam paribartan hayechhe seta amra bartaman SAOTAL jati ke dekhle bujhte pari. Era ek samaye chhilo KHEROAL. Takhan era kher anchale bash karto. Pare SAOT (Yay naye disam CHAMPA- Banglay CHAMPA GAR) anchale bash karar samay nam hay SAOTAL. Sutarang prag Vaidik CHANDIL ba CHANDAL theke CHANDAL eta ami jani
  • b | 135.2.***.*** | ২৫ মার্চ ২০১৩ ২০:০২585530
  • বিপ্লববাবু, ঐ টই-টি নিজের জায়গাতেই থাকুক না কেন!
  • রাজীব | 113.19.***.*** | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ২৩:২৫585531
  • ১৫১০ সালে আনন্দ ভট্ট রচিত ও ১৯০৪ সালে এশিয়াটিক সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া কর্তৃক প্রকাশিত “বল্লাল চরিত” নামক বইয়ে হিন্দু সমাজে পদবী প্রচলন সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরা হয়েছে (তথ্যসূত্রঃ সমাজদর্পণ ১৫ বর্ষ, সংখ্যা ১২; জুন ১৯৯৯)। উক্ত গ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে, গৌড়ের বৈদ্য বংশীয় রাজা বল্লাল সেন(১১৫৮-১১৭৯ সাল) নিজ সহধর্মিণী থাকা অবস্থায় অধিক বয়সে পদ্মিনী নাম্নী এক সুন্দরী ডোম নর্তকীকে বিয়ে করেন। এতে দেশজুড়ে রাজার সুনাম বিনষ্ট হয় এবং এ কুকীর্তি নিয়ে প্রজারা সমালোচনা শুরু করে দেন। রাজা এই কলঙ্ক থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সকল সম্প্রদায়ের প্রজাদের এক সম্মিলিত ভোজ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কিন্তু, সকল সম্প্রদায়ের লোকেরা উপস্থিত থাকলেও নমশূদ্র বিপ্রগণ এই ভোজ অনুষ্ঠানে যোগদানে বিরত থাকেন, অথাৎ রাজার এই কুকীর্তিকে সমর্থন করে তারা ভোজ সভায় অংশ নেয় নি। রাজা তাদের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হন এবং নমশূদ্র লোকদের চাকরীচূত করেন। শুধু তাই নয়, রাজা তাদের চণ্ডাল বলে গালাগাল করে নগর বন্দর থেকে উৎখাত করে দেন। অন্যদিকে ভোজ সভায় অংশগ্রহণকারী সম্প্রদায়ভুক্তরা রাজার সকল কর্মকাণ্ডকে সমর্থন দিয়ে রাজার অনুগ্রহ লাভ করতে যত্নবান হন। রাজাও এসব সম্প্রদায়কে সাহায্য করেন এবং অনেক সম্প্রদায়কে কৌলীন্য বা টাইটেল দান করেন।

    এভাবেই, বল্লালসেন পদবী বৈষম্য সৃষ্টি করে হিন্দু সমাজে বিষাক্তবীজ বপন করেছিলো যা বর্ণভেদকে আরও শক্তিশালী করে। বল্লালসেনের পরবর্তী বংশ ধর লক্ষনসেনের ভূমিকাও ছিল লজ্জাকর। এই বর্ণভেদ আজও আমাদেরকে দুর্বল করে রেখেছে। সেন রাজারা বাঙালি ছিল না। তবুও, পদবী বৈষম্য সৃষ্টি করে বাঙ্গালীদের শাসন করাই ছিল তাদের মূল উদ্দেশ্য।

    পরবর্তীতে মানুষের সৃষ্ট এ জাত ও পদবী বৈষম্য একজন মানুষের সাথে অন্য মানুষের মধ্য দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। এতে হিন্দু সমাজের হয়েছে অপূরণীয় ক্ষতি। ধর্মান্তরিত হয়েছে অসংখ্য নিম্নশ্রেণী ও বর্ণের হিন্দুরা। অথচ, ভগবান শ্রী কৃষ্ণ গীতার ১৮ অধ্যায়ের ৪১ নং শ্লোকে স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন যে, “মানুষের স্বভাব জাত গুণ অনুসারে ব্রাহ্মন, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্রদের কর্ম সমূহ বিভক্ত করা হয়েছে।” অথ্যাৎ, স্বভাবজাত গুণ অনুসারে কর্ম সমূহ বিভক্ত করা হয়েছে, জন্ম অনুসারে মানুষকে বিভক্ত করা হয় নি।

    রাস্তায় যেমন সকল যানবাহন একই গতিতে চলতে পারে না, তেমনি সমাজের সকল মানুষও সম আর্থিক সচ্ছলতায় চলতে পারে না। তাই সমাজের কেউ ডাক্তার, কেউ প্রকৌশলী, কেউ শিক্ষক, কেউ দারোয়ান, কেউ বা সুইপার। নিজের যোগ্যতার উৎকর্ষ সাধন করতে পারলে একজন কর্মকর্তা যেমন পদন্নোতি পান, তেমনি আমরা নিজ নিজ বর্ণ পরিবর্তন না করেও স্ব স্ব বর্ণে দক্ষতা অর্জন করে উচ্চাসনে বসতে পারি। কোন বর্ণ উঁচু আর কোন বর্ণ নিচু ভগবান শ্রী কৃষ্ণ গীতায় তা কোথায় উল্লেখ করে নি।

    "সুতরাং, একজন মানুষ জন্মসূত্রে নয়; বরং, তার কর্মগুণে স্বীকৃতি লাভ করুক এটাই আজ সকলের প্রত্যাশা।"
  • dd | 132.167.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৪১585532
  • "গৌড়ের বৈদ্য বংশীয় রাজা বল্লাল সেন"। বৈদ্য বংশীয়?
    মাই ঘড। এরম তো কখনো শুনি নি। আদতে ছিলো কর্ণাটকের বাসিন্দা।দু তিন পুরুষ আগে। আর তখন কি বৈদ্য একটা আলাদা এনটিটি ছিলো? as a cast?

    ঠিক মনে পরছে না।
  • b | 135.2.***.*** | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০৮:৪২585533
  • নিজের যোগ্যতার উৎকর্ষ সাধন করলেই কি একজন সুইপার ডাক্তারের সমান মাইনেপত্র পাবেন?
  • Ananda Kumar Biswas | 68.97.***.*** | ১৩ মার্চ ২০১৭ ২২:৫৬585535
  • I have read all of these. I request you to read the history of Bengal. Then you understand the history of So called Namosudra. Actually they are dravidian alponoid mixed race who founded the Indus valley civilization. I call them Dharitrisuta. Please read the book on hindu culture by Khitimohon sen, FJ.Monahan's Early history of Bengal, Bangla o Banglir Biborton By Atul sur, Bangalir itihas -Adi Parbo by Nihar Ranjon Roy, The Blue mutiny by Blair K Cling, Caste protest and identity in colonial India -The history of Namosudra from 1872 to1947 by Shekher Bandapaddaya, Sunnaya Purana by Ramai Pundit, Caste Trade and Tribes in Eastern Bengal by James Wise, Discovery of Bangladesh by Dr Akber Ali Khan, Brihat Bango by Dr Dinesh Chandra sen, Namosudra by A .K Biswas, , Bangladesh (Reflection on the Water) by James Novak,. Caste in Ancient India by Dr Irfan Habib.If you read these books , you will understand the origin of the Namosudra better.
    Sincerely,
    Ananda Kumar Biswas
    MA in Governance and Development
    (BRAC University),
    LL.B.(Hons), LL.M. (DU)
    Dhaka, Bangladesh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন