এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • হুমায়ুন আহমেদ

    পাই
    অন্যান্য | ২০ জুলাই ২০১২ | ২৯০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 82.83.***.*** | ২৮ জুলাই ২০১২ ২০:৫০566586
  • মশিউল আলমের লেখা নিয়ে দু'একটা কথা বলার ছিল। পরে লিখবো।
  • শ্রী সদা | 127.194.***.*** | ২৮ জুলাই ২০১২ ২২:২৩566587
  • " হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন সহজাত ক্ষমতাসম্পন্ন একজন tale-teller" - একদম ঠিক। এই কারণেই ওনার একদম ট্র্যাশ লেখাও পড়তে শুরু করে আর ছাড়তে পারি না।
    মনে আছে, যেদিন উনি মারা গেলেন, সেদিন দুপুরে অফিসে বসে "নিষাদ" গল্পটা নেটে পড়ছিলাম। আমার কলেজপড়ুয়া বোন ও হুমায়ুনের লেখার খুব ভক্ত। আমি সাধারণতঃ নেটে ভালো কিছু পড়লে ওকে ফরোয়ার্ড করে দিই। তো, সেদিন রাতের দিকে বাড়ি ঢুকেছি, বোনকে জিজ্ঞেস করলাম - লিঙ্কটা পাঠিয়েছি দেখেছিস ? ও খুব আস্তে আস্তে বললো , হুমায়ুন আহমেদ মারা গেছেন একটু আগে, নেট এ দেখলাম। প্রথমে আমার বিশ্বাস হয়নি। অসুস্থ ছিলেন সেটা জানতাম, কিন্তু ফর গ্রান্টেড ধরে নিয়েছিলাম যে সুস্থ হয়ে আবার ফিরে আসবেন, নতুন লেখালিখি শুরু করবেন আবার ঃ(
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ২৯ জুলাই ২০১২ ১৭:৩৬566588
  • বাঘা হে,

    তা তো ঠিকই। প্রত্যেকের বুঝ নিজের নিজের। ছফা-আজাদ বুঝ নিজের বুঝটিকে ঝালাই করণে। না মানলে সোয়াবে কমতি নাই। কটু হলেও [অন্য-পাঠ] কিন্তু ফেলনা না। এমনকি মশিউল আলম। ক্রস বাইট।

    ছফার ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের পটভূমিতে লেখা "ওঙ্কার" উপন্যাসের মাপের লেখা মনে হয় এখনো লেখা হয় নাই। এরে সাহিত্যসমেত আমলে নেওয়া কী যায়? আজাদ কথন বিস্তর; সেটা না হয় আরেকদিন।

    ফারুক মতে, মহাকাল দাঁত বসানো শুরু করছে। কতটুকু হুময়ূন খায়, কতটুকু রাখে-- দেখা যাক। আমারো তাই মত। আপনারে ধইন্যা।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ২৯ জুলাই ২০১২ ১৮:০৪566589
  • মুনকাসির ফুয়াদের বিপরীত পাঠ।। হুমায়ূন নামা : সাহিত্যের বিচার ও বিবেক, শিল্প ও জীবন এবং ক্ষত।।
    _______________________________________
    http://unmochon.net/node/1694
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ৩০ জুলাই ২০১২ ১৮:৫৭566590
  • বিশিষ্ট বিজ্ঞান লেখক অভিজিৎ রায়ের ফেবু নোট:
    ______________________________
    প্রয়াত সুলেখক নাইকন ক্যামেরা ভাল পাইতেন, হুঞ্ছি শুধু পৃথিবীতে না মঙ্গল গ্রহে গিয়াও :) । আমিও নাইকন ভালু পাই। তয় আমি ভালু পাইলেও শফিউল জয় পোলাডা হারামি, সে ভালু পায় না।

    শফিউল জয় অবিশ্বাসের দর্শন বইটার চমৎকার একটা রিভিউ করেছে, বের হয়েছে বইয়ের জগৎ এর এবারের সংখ্যায় (নবম সংকলন)। প্রাসঙ্গিক কিছু লাইন -

    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    হুমায়ূন আহমেদ তাঁর আরেকটি লেখায় মঙ্গলগ্রহে ক্যামেরা পাওয়ার উদাহরণ টেনে ঈশ্বরের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে একটা অবৈজ্ঞানিক লেখা লিখেছিলেন,

    "...যদি মঙ্গল গ্রহে হাঁটতে হাঁটতে একটা ডিজিটাল নাইকন ক্যামেরা পেয়ে যান, তাহলে তাঁকে বলতেই হবে এই ক্যামেরা আপনা-আপনি হয় নি। এর একজন সৃষ্টিকর্তা আছে।" [হুমায়ূন আহমেদ, মহেশের মহাযাত্রা, কালের কণ্ঠ, ১৭ জুন ২০১১]

    এই ডিজাইন আর্গুমেন্টের বিপক্ষ যুক্তি অনেক আগেই অবিশ্বাসের দর্শন বইতে দেয়া আছে দ্বিতীয় অধ্যায়ে। লেখকেরা জানিয়েছেন, উইলিয়াম প্যালে ১৮০২ সালে প্রকাশ করেন ‘Natural Theology, or Evidence of Existence and Attributes of the Deity, Collected from the Appearances of Nature’ নামের বইটি। ধর্ম ও দর্শনের এই বিখ্যাত বইয়ে প্যালে রাস্তার ধারে একটি ঘড়ি এবং পাথর পড়ে থাকার উদাহরণ হাজির করেছিলেন ...

    নিঃসন্দেহে ঘড়ির (কিংবা ধরা যাক হুমায়ূন আহমেদের ক্যামেরার কথাই) গঠন পাথরের মতো সরল নয়। একটি ঘড়ি দেখলে বোঝা যায় - ঘড়ির ভিতরের বিভিন্ন ছোট ছোট অংশগুলো কোনো এক কারিগর এমনভাবে তৈরি করেছেন যেন সেগুলো সঠিকভাবে সমন্বিত হয়ে কাঁটাগুলোকে ডায়ালের চারপাশে মাপমতো ঘুরিয়ে ঠিকঠাক মতো সময়ের হিসেব রাখতে পারে। কাজেই পথে ঘড়ি কুড়িয়ে পেলে যে কেউ ভাবতে বাধ্য যে ওখানে আপনাআপনি ঘড়ির জন্ম হয়নি বরং এর পেছনে একজন কারিগর রয়েছেন যিনি অতি যত্ন করে একটি উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ঘড়িটি তৈরি করেছেন। ধর্মবেত্তা উইলিয়াম প্যালে যেখানে ঘড়ির কথা বলেছিলেন, হুমায়ূন আহমেদ একই ধরনের যুক্তির অবতারণা করেছেন মঙ্গল গ্রহে ‘হাঁটতে হাঁটতে’ একটা ডিজিটাল ‘নাইকন ক্যামেরা’ পাওয়ার কথা উল্লেখ করে। বলাবাহুল্য, আমরা জানি এই জনপ্রিয় ভাববাদী যুক্তিগুলো খণ্ডিত হয়েছে অন্তত কয়েক দশক আগেই। বস্তুত ডারউইনের বিবর্তন তত্ত্ব আসার পর প্যালের ডিজাইন-তত্ত্বের অপমৃত্যুই ঘটেছে বলা যায়। যেমন, জীবজগতে চোখ বা এ ধরনের জটিল প্রত্যঙ্গের উদ্ভব ও বিবর্তনের পেছনে ডারউইন প্রস্তাব করেছিলেন প্রাকৃতিক নির্বাচন নামক বস্তুবাদী প্রক্রিয়ার, যে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাখ লাখ বছর ধরে ধাপে ধাপে গড়ে ওঠা পরিবর্তনের ফলে চোখের মতো অত্যন্ত জটিল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গড়ে ওঠা সম্ভব। একাধিক ধাপে ঘটা এ প্রক্রিয়াটির নাম ক্রমবর্ধমান নির্বাচন (Cumulative selection)। একাধিক ধাপের এই ক্রমবর্ধমান নির্বাচনের মাধ্যমে যে ধাপে ধাপে জটিল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ উদ্ভূত হতে পারে তা ইতোমধ্যেই বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। বইয়ের লেখকেরা অজস্র রেফারেন্সের মাধ্যমে বিষয়টি পাঠকদের জন্য পরিষ্কার করেছেন। ডারউইনের অনেক আগে জন্মানো প্যালেকে না হয় ক্ষমা করা যায় বিবর্তন তত্ত্ব না জানা থাকার অজুহাতে - ১৮০২ সালের একটি লেখায় ঝোপঝাড়ে পড়ে থাকা ঘড়ির মধ্যে ঈশ্বর আবিষ্কার করতে, কিন্তু এর দুশ বছর পরে যখন বিবর্তন একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যাপার, যখন স্টিফেন হকিং-এর মতো পদার্থবিদেরা ঈশ্বরের অনুকল্প ছাড়াই মহাবিশ্বের উৎপত্তি ব্যাখ্যা করতে পারছেন (এ প্রসঙ্গে স্টিফেন হকিং এবং লিওনার্ড ম্লোডিনোর লেখা The Grand Design বইটি পড়া যেতে পারে), এই আধুনিক সময়ের বাসিন্দা হয়েও হুমায়ূন আহমেদ এখনো মঙ্গল গ্রহে ক্যামেরার দোহাই দিয়ে ঈশ্বরকে খুঁজে বেড়াচ্ছেন, এটি দেখেই বরং অবাক হতে হয়; রবিঠাকুরের ভাষায় - ‘বড় বিস্ময় লাগে হেরি তোমারে’! ...
    ~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

    চমৎকার রিভিউটির জন্য অনেক ধন্যবাদ জয়। আগ্রহী পাঠকদের বাজার থেকে বইয়ের জগৎ-এর সাম্প্রতিক সংখ্যাটি সংগ্রহের অনুরোধ রইল।
  • ora | 121.93.***.*** | ৩১ জুলাই ২০১২ ০৯:২২566591
  • হ্ত্ত্পঃ//১১৫।২৪৮।২১৭।৯/অকল্বেল/দইল্য/স্ব।হ্ত্ম্ল
  • কল্লোল | 230.226.***.*** | ৩১ জুলাই ২০১২ ১১:৩৫566593
  • বিপ্লবের Date:28 Jul 2012 -- 12:58 PM পোস্ট, শাওন ও অন্যান্যদের গান নিয়ে। হুমায়ুন আহমেদের এন্তেকালের দৌলতে শাওনের গান শোনা হলো। আনুশার গান আগেই শুনেছি। কৃষ্ণকলির গান শুনি নাই। শাওন ও আনুশের গলা বেশ দাগ কাটে, পরিবেশন আমার ভালো লাগে না।
    এঁরা একটা আলাদা জঁর। এঁরা বাংলা লোকগান গেয়ে থাকেন পাশ্চাত্য যন্ত্রানুষঙ্গে। আরেক দলও আছেন যারা পাশ্চাত্য যন্ত্রানুষঙ্গে নিজেদের তৈরী গান গয়ে থাকেন, বাণী বাংলা সুফি ধর্মি (বাউল, ফকিরি, মারিফতী ইত্যাদি), সুরের জন্য হাত পাতেন বিভিন্ন বাংলা লোকসুরের আঙ্গিনায়।
    এঁরা কেউই বাউল বা ফকির জীবন যাপন করেন না। তাই এঁদের গানে প্রকৃত বাউল/ফকিরি/মারিফতী আন্দাজ পাওয়া যাবেও না। এঁরা প্রচলিত লোক্গানে বা নিজেদের গানে নিজেকে প্রকাশ করে থাকেন মাত্র।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ৩১ জুলাই ২০১২ ১৮:১৪566594
  • ["এঁরা একটা আলাদা জঁর। এঁরা বাংলা লোকগান গেয়ে থাকেন পাশ্চাত্য যন্ত্রানুষঙ্গে। আরেক দলও আছেন যারা পাশ্চাত্য যন্ত্রানুষঙ্গে নিজেদের তৈরী গান গয়ে থাকেন, বাণী বাংলা সুফি ধর্মি (বাউল, ফকিরি, মারিফতী ইত্যাদি), সুরের জন্য হাত পাতেন বিভিন্ন বাংলা লোকসুরের আঙ্গিনায়।
    এঁরা কেউই বাউল বা ফকির জীবন যাপন করেন না। তাই এঁদের গানে প্রকৃত বাউল/ফকিরি/মারিফতী আন্দাজ পাওয়া যাবেও না। এঁরা প্রচলিত লোক্গানে বা নিজেদের গানে নিজেকে প্রকাশ করে থাকেন মাত্র।"]

    কল্লোল বাবু'র গানের পর্যবেক্ষণটি মোক্ষম। তার মন্তব্যের এই অংশে এ ক ম ত।

    অফটপিকে বলি, তার নিজের করা গানও কিছুদিন আগে শ্যাজা/সামরান দি'র মোবাইলে শুনলাম। সাপলুডু ডটকম থেকেও কিছু গান শুনেছি। আমার ভালো লেগেছে। অভিনন্দন রইলো।

    http://www.shapludu.com/1418/12/album.php
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ৩১ জুলাই ২০১২ ১৮:১৮566481
  • "সাহিত্যে তিনি (হুমায়ূন আহমেদ) বিজ্ঞান ধর্ষণ করেছেন নিয়মিত। সাহিত্যে সেটা করা বোধহয় জায়েজ। উপন্যাস কিংবা গল্পে পিএইচডি করা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকের কিংবা অন্য কারও মুখ দিয়ে বিজ্ঞানের রূপে অনর্গলে বয়ান করে গিয়েছেন কুসংস্কার। আমরা সহজ শব্দ এবং সরল বাক্য বিলাসী পাঠকেরা উপন্যাসে একটুখানি বিজ্ঞানের স্বাদ পেয়ে গপাগপ করে গিলে ফেলেছি সেটা কারণ সত্যিকারের বিজ্ঞান বই পড়াটা খুব বেদনাদায়ক। "

    রায়হান আবীরের বিপরীত পাঠ:: মঙ্গলের বুকে পড়ে থাকা সেই নাইকন ক্যামেরাটি

    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=27782
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.***.*** | ৩১ জুলাই ২০১২ ১৮:৩৬566482
  • ora-র দেওয়া লিংকের সুতো ধরে "সকালবেলা"র একদম শেষে হুমায়ূন বিষয়ক খবরটি দেখলাম। তবে আমাকে আকৃষ্ট করেছে এর প্রথম পাতার ডানদিকের মাও নেত্রীদ্বয়ের সচিত্র সংবাদ। এতে মরচে পড়া দোনালা বন্দুকসহ ভীত চোখের সাঁওতাল দুই নারীর ছবির পাশাপাশি মমতা-বন্দনা সমেত সংবাদটি খুব সরস। বাঁধিয়ে রাখার মতো খবর বটে! (কলিকাল ইমো)
  • aranya | 154.16.***.*** | ৩১ জুলাই ২০১২ ২০:৪৩566483
  • বিপ্লবের লিংক থেকে, রায়হান আবীরের ব্লগ-টা পড়তে গিয়ে নিচের লাইনগুলো দেখলাম -

    ' যে বিরক্তের সূচনা হয়েছিলো “জোছনা এবং জননীর গল্প” উপন্যাস পড়ে। রাজাকার, আলবদর, আলশামসদের করা রক্তপাত শুকিয়ে গেছে, সেই সাথে শুকিয়ে গেছে আমাদের স্মৃতিও। আমরা আজ আবার মৌলবাদীদের সমর্থন করি কিংবা না করলেও তাদের চিন্তা-চেতনা ধারণ করি। আমাদের হুমায়ুন আহমেদরাও আমাদেরই মতো। তারাও জোছনা ও জননীর ঋণ শোধ করেন আমাদের রি-রাইটেবল মস্তিষ্কে “তিনারাও” ভালো কথাটি লিখে দেবার প্রচেষ্টা করে। '

    'জোছনা ও জননীর গল্প' ( ' জোছনা এবং জননীর গল্প' নয়) আমি পড়েছি। 'তিনারা' মানে রাজাকার, আলবদর, আলশামস-রা ভাল - এটা প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা কোথাও চোখে পড়ে নি। হু আ এবং তার ভাই জাফর ইকবাল বরাবর মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষেই লিখেছেন। হু আ তার লেখায় রাজাকারদের গ্লোরিফাই করেছেন - এই ভাষ্যটা আমার অবিশ্বাস্য লাগছে।
  • bile | 121.93.***.*** | ০১ আগস্ট ২০১২ ১৫:০৬566484
  • হুমায়ুন আহমেদ কে নিয়ে যে এত চর্চা হচ্ছে এটা বেশ ভালো ব্যাপার।সাধারনত সাহিত্যিকদের মৃত্যু সংবাদ ছোট্ট করে থাকে।৩৬৫ দিন কাগজে তো খবরটা একপাতা জুড়ে ছিলো।এতে বোঝা যায় জনপ্রিয়তার মূল্য আছে।
    আমি যাদুবাস্তবতা বলতে অবশ্যই ওয়ান হানড্রেড ইয়ারস অফ সলিটিউড এ ব্যবহৃত মার্কেসের ইনফাইনাইট রুম কিংবা রুম অফ এক্সিসটেন্স।
    সেদিক থেকে দেখলে ঐ কনসেপ্ট বা আত্মার কথা বলা(গল্পটা নাম বোধহয় "দ্বিতীয় মৃত্যু") বাংলায় পাঠক বুঝবে না বা কঠিন ভূতের গল্প মনে করবে।এমন ধরনা আছে।কিন্তু হলুদ প্রজাপতী ওড়ার মত যাদুর আমদানী বাংলায় তো হয়েছে।সে রুমালের বেড়াল হয়ে যাওয়াই বা কম কিসের।এখন প্রশ্ন হল কে কতোটা সাফল্যের সঙ্গে ব্যবহার করেছেন।সেই দিক থেকে হুমায়ুন আহমেদকে এগিয়ে রেখেছিলান।আর অন্যদিকে কামুর প্লেগ এর মত উপন্যাস এর উদাহরণ টানতে চাইনি।কিন্তু আউটসাইডারের প্রভাব ছিলো বইকি।
    এই সব বলার মধ্যে আমি সুনীল,শীর্ষেন্দুর সাথে হুমায়ুন আহমেদের কোনও তুলনা টানতে যাইনি।আমার বলার উদ্দেশ্য ছিলো হুমায়ুন আহমেদ তো নিজের মত জনপ্রিয় সাহিত্য প্রোডাকশন করে গেলেন কিন্তু জনপ্রিয় সাহিত্য এই বাংলায় একটা সংবাদ্পত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হতে গিয়ে জলে গেল।
    জনগন কী পড়বে সেটা অন্য কেউ বলে দিলে যা হয়।
  • আবুল খায়ের | 123.***.*** | ০১ আগস্ট ২০১২ ১৯:৪৬566485
  • হুমায়ূন রচনা কেন বর্জনীয়?

    সদ্য প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে প্রচারমাধ্যমগুলোর হৈ চৈ কিছুটা থিতিয়ে এলেও এখনো তার অবশেষ বা জের বিভিন্ন রূপে বিদ্যমান। একজন লেখকের মৃত্যু নিয়ে প্রচারমাধ্যমের এই অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের ব্যাখ্যা একটিই- তা হচ্ছে প্রচারমাধ্যমগুলোর হাতে তেমন কোনো প্রসঙ্গ নেই। যেমনটা থাকলে একটা কাণ্ড-মাণ্ড ঘটানো যায়। তার মৃত্যু নিয়ে যতো আহাজারি দেখা গেলো তাকে গ্রাম্যতা ছাড়া আর কিইবা বলা যেতে পারে। অথচ তার লেখা নিয়ে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আলোচনা-সমালোচনা দৃশ্যমান নয়!

    হুমায়ূন আহমেদের উদ্ভট পরিহাসবোধ পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে ঠিকই সেইসাথে এবংবিধ পাঠকদের মনোজগতটিও উন্মোচিত করেছে! জনপ্রিয়তা সকল সময় রুচিমার্গের যথাযথ প্রতিফলক নয়! তার অধিকাংশ রচনায় জ্ঞাত বা অজ্ঞাতসারে তিনি শ্রেণীসমন্বয় সাধন করেছেন। যেমনটা দীর্ঘকাল ধরে করে আসছে, 'বাবা কেন চাকর', 'স্বামী কেন আসামী' ইত্যাকার শিরোনামে ঢাকার চলচ্চিত্রগুলো। চলচ্চিত্রের কাহিনীগুলো তৈরী হয়ে প্রদর্শিত হচ্ছে শ্রমজীবী খেটে-খাওয়া জনসাধারণের চিত্ত-বিনোদনে তাদের বেদনা প্রশমনের জন্য। যেথায় ধনাঢ্যের আদরের দুলালীর সাথে প্রেম-বিয়ে হচ্ছে গ্রামের কোনো দরিদ্র যুবকের। যে চরিত্রটিকে হয়তো তৈরী করে উপস্থাপন করা হচ্ছে প্রায় শ্রমজীবী মানুষের সমপর্যায়ের অঙ্গীভূত করে। অপরদিকে ঢাকার সাহিত্য তথা হুমায়ূন আহমেদের লেখাপত্রে উচ্চবংশীয় খামখেয়ালী ভাবালুতায় পরিপূর্ণ কোনো চরিত্রকে সুকৌশলে নিম্নশ্রেণীর চাকর-বাকরদের সমতুল্য করে উপস্থাপনের ধাবাবাহিক প্রবণতা রয়েছে। লেখকের উদ্ভট চরিত্র-চিত্রণের এই প্রবণতাটি নাগরিক মধ্যবিত্তের চিত্তকে শুধু বিমোহিতই করে নি বরং বাস্তবতা থেকে কল্পিত এক মনোজগতে পলায়নপর মধ্যবিত্তের যে নপুংশকতা সক্রিয়ভাবে বিদ্যমান সেটিকে ধারণ করেছে, লালন করেছে সর্বোপরি এই ইতর মানসিকতাকেই মহিমান্বিত করেছে। বাস্তবতার উদ্ভট এবং বৈর-বিপরীত এবংবিধ উপস্থাপন লেখক কর্তৃক উপস্থাপিত হয়েছে সুকৌশলে। উপরোক্ত কৌশলের কাছে সম্পূর্ণ আত্মসমর্পণ করে ঘটমান প্রাত্যহিকতা থেকে বেদনা প্রশমনে পাঠক তার লেখায় এক ধরনের প্রশান্তি লাভ করে। হুমায়ূন আহমেদের লেখা পাঠে, পাঠকের পয়সা প্রায় পুরোটাই উশুল হয় এবং কাহিনীগুলো থেকে শিক্ষালাভে কোনো বাড়তি পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না বলে পাঠক পরম পরিতৃপ্তির সাথে অবসর সময়টা অতিবাহিত করে। কোনোরূপ নূতন বেদনায় মনোজগত আক্রান্ত হয় না, বরং লেখা পাঠের পূর্বে যেসব অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে তার দিনগত পাপক্ষয় চলছিল এক্ষণে তা থেকে খানিকটা আরাম অনুভব পাঠককে বাড়তি তৃপ্তি প্রদান করে। প্রায় প্রতিটি লেখায় এবংবিধ বাস্তবতা বিবর্জিত উদ্ভট প্রতিফলনকে পাঠকের নিকট গ্রহণযোগ্য করতে লেখক আশ্রয় নেন লঘু অথচ খুবই নোংরা এবং নিম্নরুচির পরিহাস ছলের। জীবনে ঘটমান সকল কিছুকে শুধু লঘু হাস্যাস্পদ ভাবে উপস্থাপন করেই হুমায়ূন ক্ষান্ত হন নি। ঐতিহ্যিক পরম্পরায় প্রাপ্ত সামাজিক মূল্যবোধগুলো নিয়ে নাবালকের মতো কিছু নিরীক্ষাও তিনি চালিয়েছেন যা কোমলমনের জন্য মোটেই শুভ নয়। এসব নিরীক্ষায় শিশু-কিশোর মনের পাঠকের মনোজগতকে তিনি হাস্যচ্ছলে সংক্রমিত করে তাদেরকে নিক্ষেপ করেছেন পরিহাসের চোরাবালিতে। এটি অপরাধ! সংক্ষেপে বলি, আধুনিক কালের শুধু নয়, কোনকালের লেখকের জন্যই এমনতরো কুকর্মটি কাঙ্ক্ষিত নয়। বস্তুত পাঠক বিশেষত অল্পবয়সী কোমলমতি পাঠকদের জন্য -যারা কেবল ভালো-মন্দ নির্বাচন করা শিখছে তাদের জন্য- লেখকের এই উদ্ভট, সস্তা এবং নোংরা-নিকৃষ্ট ও চটুল দৃষ্টিভঙ্গী থেকে উৎসারিত অপকর্ম ঘৃণ্য এবং সেইহেতু নিন্দনীয় ও পরিত্যাজ্য শুধু নয় বর্জনীয়ও বটে!
  • শঙ্খ | 169.53.***.*** | ০১ আগস্ট ২০১২ ২২:০৫566486
  • বড় বেশি জেনারালাইজেশন। অনেকটাই গাত্রজ্বালা মেটানোর মত লাগল। হুমায়ূন আহমেদের গল্পে বরং 'হ্যাপি এন্ডিং' তুলনামূলক ভাবে অনেক কম। এক্ষুণি মনে আসছে কুটু মিঁয়া, এপিটাফ, কোথাও কেউ নেই। বাকের ভাই কে কি ইচ্ছে করেই ভুলে গেলেন? মধ্যবিত্তের অসহায়তা আর পলায়নকর মনোবৃত্তিকে এক সারিতে ঐ ভাবে রাখা যায়? আর সব গল্পে মেসেজ/শিক্ষা এই সবই বা থাকতে হবে কেন? তার জন্য ঈশপ/সুসমাচার এইসব পড়লেই হয়।

    রইলো শ্রেণি সমন্বয়? কেন বাংলাদেশে এমনটা হয়না? ধনীর দুলালীর সঙ্গে গরীবের বিয়ে? এই তো কিছুদিন আগেই কলকাতায় রিজওয়ানুর ঘটনা ঘটে গেল। পরিনতি যাই হোক না কেন, এরকম ঘটনা ঘটে তো?

    শিশুমনের অশুভ নিরীক্ষাগুলো ঠিক মাথায় ঢুকলো না। দু একটা উদাহরণ পেলে ভালো হত।

    শঙ্খ
  • riddhi | 118.218.***.*** | ০১ আগস্ট ২০১২ ২২:২৬566488
  • হুঃআঃ র এই মন্তব্য গুলো বিজ্ঞান কে ধর্ষন মনে হলে তো রবীন্দ্রনাথ থেকে তলোস্তোয় সবার লেখা বিজ্ঞানের মা ঠকুর্মাকে ধর্ষন মনে হবে। আর আবুল খায়েরের পোস্ট টা কেউ পড়েনি এখনো? এ তো নির্মলতম আনন্দ!
  • Sibu | 84.125.***.*** | ০১ আগস্ট ২০১২ ২২:৩৯566489
  • হুমায়ুনকে অপোসংস্কিতি বলেছে!
  • কুলদা রায় | 77.243.***.*** | ০২ আগস্ট ২০১২ ১০:২১566490
  • হুমায়ুনকে নানাভাবে দেখা যায়। তাকে দেখুন--
    'সাহিত্যের দেয়াল-দেয়ালের সাহিত্য: ফ্রম হুমায়ূন আহমেদ টু আনোয়ার শাহাদাত'
    http://www.sachalayatan.com/porimanob/৪৪৬১১
    একটু দিলাম। বাকীটুকু পড়ে নিতে পারেন লিঙ্ক থেকে--
    ----------------------------------------
    হুমায়ূন আহমেদ দেয়াল নামে একটি উপন্যাস লিখেছেন। উপন্যাসটি ছাপা করবে অন্যপ্রকাশ প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান। তারা হুমায়ূন আহমেদের বই প্রকাশ করে থাকে। হুমায়ূন আহমেদ এই প্রকাশনা সংস্থার মালিককে সহোদরের মত দেখেন। এই সব প্রকাশকগণ হুমায়ূন আহমেদের পিছনে টাকার বস্তা নিয়ে ছোটেন। তাদেরকে বই লিখে দেন। তাঁর একটি বই পেলে আঙুল ফুলে কলাগাছ হওয়া যায়। হুমায়ূন আহমেদ অকুণ্ঠচিত্তে স্বীকারও করেন, তিনি টাকার জন্যই লেখেন। বই আকারে ছাপা হওয়ার আগে দৈনিক প্রথম আলো পত্রিকার সাময়িকী পাতায় প্রকাশ করা হয়েছে দেওয়াল উপন্যাসের দুটি চুম্বক পর্ব। প্রিন্ট মিডিয়া এবং অন্তর্জাল মিডিয়ার কল্যাণে ও হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয়তার কারণে এই দুপর্বটি বহু পাঠকের গোচরে এসেছে। একটি রচনা বই আকারে বের হওয়ার আগে দুটি বিশেষ পর্ব প্রকাশ করার ঘটনাটি এদেশে অভূতপূর্ব। বানিজ্যিক মুভি ট্রেলারের সঙ্গে বেশ মিল আছে।

    একাত্তরের আগে হুমায়ুন আহমেদ-------------------------------------
    হুমায়ূন আহমেদ জ্যোৎস্না ও জননী গল্প উপন্যাসের ভুমিকায় লিখেছেন—মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হয় আমার বয়স তখন তেইশ। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।...গল্প-উপন্যাসে আদর্শ ভালো ছাত্রের কিছু চিত্র আঁকা হয়। আমি ছিলাম সে রকম একজন। ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের অতি উত্তেজনাময় সময়ে অতি উত্তজনামুক্ত এক তরুণ যুবক।...বাইরে যখন ভয়াবহ আন্দোলন চলছে, আমি তখন দরোজা বন্ধ করে গান শুনছি—কেন পান্থ এ চঞ্চলতা?

    একাত্তর : পিরোজপুর—স্বরূপকাঠি—শর্ষিণার মুরীদ---------------------------------------------
    হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদকে একাত্তরে পিরোজপুরে বলেশ্বর নদীর পাড়ে পাকবাহিনী গুলি করে হত্যা করেছিল। সে সময়ে তাঁর আম্মা ছেলেমেয়েকে নিয়ে পিরোজপুর জেলার কলাখালি ইউনিয়নের কলাখালি গ্রামে লুকিয়ে ছিলেন। যারা আশ্রয় দিয়েছিলেন, তারা তাদেরকে রাখতে ভয় পেয়েছিলেন। সেখান থেকে পান্তাডুবি, বেতকা, চাঁদকাঠি পার হয়ে চলে গিয়েছিলেন গুয়ারেখা ইউনিয়নে। সেটা পিরোজপুরের স্বরূপকাঠি উপজেলায়। এক সেনাশাসক এরশাদ স্বরূপকাঠি উপজেলার নামটি বদলে দিয়েছেন। বদলি নাম হয়েছে নেছারাবাদ। শর্ষিণার পীর সাহেবের নাম এই নেছারাউদ্দিন। তিনি একাত্তরের ঘাতক বাহিনীর সহযোগী ছিলেন। তার বাড়ির ঘাট, নেছারিয়া মাদ্রাসা ছিল রাজাকার-পাকআর্মিদের ক্যান্টনমেন্ট। শর্ষিণা থেকে ক মাইল পূবে সঙ্গীতকাঠি, মুসলিমপাড়া, মাহমুদকাঠি পার হলেই কুড়িয়ানার পেয়ারাবাগান শুরু। এইখান থেকে পেয়ারাবাগান চলে গেছে ঝালকাঠি পর্যন্ত। এই পেয়ারাবাগানে নারকীয় হত্যাকাণ্ড করেছিল পাকবাহিনী। শর্ষীণার পীরবাহিনী সর্বতোভাবে এই হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কাতেল। ঘটনাচক্রে গুয়ারেখার আশ্রয়দাতা হুমায়ূন আহমেদ ও জাফর ইকবালকে তাদের বাড়িতে রাখতে সাহস করেননি। হুমায়ূন আহমেদ লিখেছেন—জীবন বাঁচানোর জন্য শর্ষীণার মাদ্রাসায় ছাত্র হিসেবেও ভর্তি হয়েছেন। তিনি মাথায় করে পাক বাহিনীর ভারী গুলির বাক্স বয়েছেন।

    স্বরূপকাঠীর গুয়ারেখার যে এলাকাটিতে হুমায়ূন আহমেদরা আশ্রয় নিয়েছিলেন--সেই গ্রামের পূর্বদিকের গ্রাম বাতটনাতলায় মুক্তিযুদ্ধের আগে থেকেই মুক্তিবাহিনী গড়ে উঠেছিল। তারা সেখানে এবং স্বরূপকাঠিতে পাকবাহিনী আর তাদের দোসরদের সঙ্গে মরণপণ যুদ্ধ করেছিল। এমন কি স্বরূপকাঠির পেয়ারাবাগান এলাকা আটঘর কুড়িয়ানায় দুর্ধর্ষ নারী মুক্তিযোদ্ধারা বাহিনীও ছিল। সেটা একটা ইতিহাস। এই ইতিহাস নিয়ে তথ্যপূর্ণ বই লিখেছেন কুড়িয়ানার শিক্ষক ও মুক্তিযোদ্ধা ব্রজেন্দ্রনাথ মল্লিক। বইটির নাম রক্তাক্ত রূপসী বাংলা। এই ইতিহাসটিকে একটু বদলে দেওয়ার চেষ্টা দেখা যায় কোনো কোনো চিনাপন্থীর রচনায়। চীনাপন্থীদের অধিকাংশই একাত্তরে পাকবাহিনীকে সমর্থন করেছিল। কিন্তু তাদেরই একটি অংশ সিরাজ সিকদারের পূর্ব বাংলার সর্বহারার পার্টি ঝালকাঠির একটি ছোটো অংশে কিছুদিন যুদ্ধ করেছিল পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে। এমন কি তারা মুক্তিবাহিনীর বিরুদ্ধেও যুদ্ধ করেছিল। পরে সেখান থেকে তারা চলে যায় আরও দক্ষিণে। এইটুকু। দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে যে আওয়ামী মন্ত্রীর বিরুদ্ধে সেই মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের কন্যা রুবাইয়াত হোসেন পরিচালিত সিনেমা মেহেরজানে এইরকম একটি লাইন বলার কোসেস আছে যে পেয়ারাবাগানে চিনাপন্থীরা বিস্তৃত এলাকা জুড়ে তুমুল যুদ্ধ করেছিল। কিন্তু ইতিহাস বলে পেয়ারা বাগান এলাকার মূল মুক্তিযোদ্ধারা ছিলেন শেখ মুজিবের অনুসারী। এটাই ইতিহাস। একাত্তরে একটা সময় পর্যন্ত এই ইতিহাসের কাছেই ছিলেন হুমায়ূন আহমেদ।

    হুমায়ূন আহমেদের বাবা ফয়জুর রহমান আহমেদ পিরোজপুরের ডিএসপি ছিলেন। তিনি সাহিত্য করতেন, সঙ্গীত ভালোবাসতেন, স্বাধীনতার ঘোষণা শুনে উল্লাশ করেছিলেন, তিনি জ্যোৎস্নাপ্রিয় ছিলেন। তাঁকে যখন হত্যা করা হয়, তখন পিরোজপুর শহরে ডিসির বাংলোর পাশে জেলা স্কুলে পাকবাহিনীর ক্যাম্প ছিল। সে সময়ে বালিপাড়ার সাউথখালির দেল্লা রাজাকার বর্তমানে যুদ্ধাপরাধীর দায়ে বিচারাধীন রাজাকার মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পাকবাহিনীর সহযোগী হিসেবে বেশ সক্রিয় ছিল। পাড়েরহাট বাজার, টগরা, লক্ষ্মীদিয়া, লাহুড়ী এইসব গ্রামে তার নেতৃত্ত্বে নির্মমভাবে বাঙালিদেরকে হত্যা করা হয়েছে। সে সময়ে ভাগিরথী নামে কদমতলা ইউনিয়নের ভোরা গ্রামের এক গ্রাম্যবধুকে মুক্তিযোদ্ধাদের তথ্য সরবারহ করার অপরাধে দিনের আলোতে মোটর সাইকেলের পিছনে দড়ি দিয়ে বেঁধে সারা শহরে ৫ মাইল ঘুরিয়ে টেনে হিচড়ে মেরে ফেলেছিল। ভোরা গ্রামটি হুমায়ূন আহমেদের ভগ্নিপতির বাড়ি চিলা গ্রামের খুব কাছেই। এই ভাগিরথীর কাহিনীটি হুমায়ূনের বইতে নেই। এই পাড়েরহাটের ঘটনা তাঁর জ্যোৎস্না ও জননীর গল্পে উপন্যাসে আসেনি। এই বইটিকে তিনি মনে করেন মুক্তিযুদ্ধের শ্রেষ্ঠ কাজ। লেখক সব কিছু লেখেন না। লিখবেন না। কিন্তু সত্যকে লিখবেন। সত্য কি? সত্য হল ঘটনা। এইসব সত্য একাত্তরে ঘটেছিল।
  • ডিডি | 120.234.***.*** | ০২ আগস্ট ২০১২ ১১:৩৪566492
  • কুলদা যে !
    অনেকদিন হলো দেখছি কিছু লিখছেন টিখছেন না ? সেই যে রাইটার্স ক্র্যাম্প না কি বলে - সেরম কিছু ?
  • কথা | 131.24.***.*** | ০২ আগস্ট ২০১২ ১২:১৪566493
  • উৎসর্গ...... হুমায়ূন আহমেদ।

    কতকটা তাঁরই লেখনীর ছোঁয়া পেল ‘অনির্বাণ’-এর গল্প। আর একমুখ ভর্তি সরল হাসির প্রতিশ্রুতি নিয়েই তার আজকের ‘ইনভেস্টমেন্ট’।

    kothatobolarjonyei.blogspot.in/2012/08/investment.html
  • কুলদা রায় | 77.243.***.*** | ০২ আগস্ট ২০১২ ১৮:৪৭566494
  • না ডিডি, রাইটার'স ক্র্যাম্প'স নয়। আপনাদের উপর রাগ হয়েছিল। দ্বিতীয়ত ঈশ্বরের কাছে ক্লাশ করছি এখন। সে কারনেও এখন একটু বিজি।
  • Sibu | 84.125.***.*** | ০২ আগস্ট ২০১২ ২২:৫১566495
  • কুলদাবাবু,

    এর মধ্যে একটা অনুষ্ঠানে ফরহাদ মাজহারের সাথে আলাপ হল। বাউল-তত্ত্ব, সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার আর মার্কসবাদকে মেলানো নিয়ে উনি অনেকগুলো কথা বললেন। তখনই ভাবলাম আপনাকে জিজ্ঞেস করার কথা।

    পারলে কিছু বলুন।
  • কুলদা রায় | 77.243.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১২ ১০:২৯566496
  • এটা নিয়ে কী বলার আছে। তাঁর বাউল-তত্ব হল--
    ১. বাউলরা সবাই ছিল প্রচণ্ড ধার্মিক। লালন ছিলেন গোঁড়া সাম্প্রদায়িক।
    ২. সাসটেইনেবল এগ্রিকালচার--হল মাসানবু ফুফুওকার এক খড়ে বিপ্লব তত্ত্বটি নিজের নামে চালানো। উন্মুক্ত অবস্থায় বীজের জার্ম-প্লাজম সেন্টার গড়ার নামে ভেল্কি দেখানোর চেস্টা করা। এনজিও গড়ে ট্যাকা কামানো।
    ৩. কার্ল মার্ক্স সাহেব আফগানিস্তানে বিজি আছেন এখন।

    ফরহাদের নতুন শিষ্যের কারণে গুরুচণ্ডালী ফেসবুক গ্রুপ ত্যাগ করেছিলাম। প্রয়োজনে এই সাইট ত্যাগ করতে প্রুস্তুত আছি।
  • Sibu | 118.23.***.*** | ০৫ আগস্ট ২০১২ ২০:৪৪566497
  • কুলদা বাবু, আপনি মিছে রাগ করছেন। আমি ফারহাদ মাজহার সম্পর্কে বিশেষ কিছুই জানি না (শুধু এবাদতনামার দু-একটা কবিতা পড়া বাদে)। আলোচনায় ওনার পোষাক ও কথাবার্তা ইন্টারেস্টিং (পড়ুন কন্ট্রোভার্সিয়াল) লেগেছিল, গুরুতে আপনার লেখা ভাল লাগে, এবং আপনি বাংলাদেশী। তাই আপনাকে জিজ্ঞেস করা। আমার সত্যিই কোন প্রি-ফর্মড মতামত নেই। খেয়াল করলে দেখবেন আমি আগস্ট ২, ১০ঃ৫১পিএমের পোস্টটি নিউট্রাল ল্যাংগুয়েজে লেখার চেষ্টা করেছি।

    আমি গুরুর ফেসবুক গ্রুপে নেই। কোন কারনে নয়, মেম্বারশিপ চাওয়া হয়ে ওঠে নি। তাই আপনার সাথে ফরহাদ-বাবুর মতভেদের ব্যাপারটা জানতাম না। আমার জন্য আপনি গুরু ছাড়লে আমি খুব দুঃখ পাব।
  • কুলদা রায় | 77.243.***.*** | ০৬ আগস্ট ২০১২ ০০:২৫566498
  • Sibu
    আপনার উদ্দেশ্য করে লিখিনি। ভুল বুঝবেন না। যাঁর জন্য ছেড়ে দিয়েছিলাম অন্য আরেক জনের কারণে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে প্রতিক্রিয়া দিন