এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  সিনেমা

  • সিনেমা দেখা

    vikram
    সিনেমা | ২১ এপ্রিল ২০০৬ | ১২৮৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • vikram | 134.226.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০০৬ ০০:২২563111
  • এখানে হোক।

    সুমেরু তো খারাপ কিছু বলে নি। ঠিক বলেছে। আমার গত দু বছরে দেখা বেশিরভাগ ও বহু সিনেমায় হলে বসে। আমি এই অনুভূতি টা ধরতে পারছি। কিন্তু এটা মানছি না যে ডি ভি ডি টা অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ। এটাও মানছি না যে উহা মোড়ক।

    তবে অবশ্যই মানছি বহু অসাধারন সিনেমা টি ভি তে দেখলে ফিনিস। এবং বহু গায়ে কাঁটা দেওয়া কেস ফিনিস।

    তার্কভস্কি আমি যদি সবকটা প্রথমে হলে না দেখতাম , টি ভিতে দেখতাম তাহলে হয়তো জাস্ট উঠে যেতাম।
    আবার অযান্ত্রিকে ফিরি- সে দৃশ্য- সমস্ত পর্দা অন্ধকার জাস্ট একটা গাড়ির দুটো হেডলাইট টাইমের সাথে এ চোখে ও চোখ্‌ব ইন্টেন্সিটি চেনজ করে ডায়াগনালি পর্দার এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত গেলো। কি করে দেখবো ছোটো পর্দায়?

    আমকে সত্যি কথা বলতে বললে বলবো বোধ হয় দেখতে দেখতে একটু হলেও সেন্স তইরি হয়, যে শুভবুদ্ধি ডি ভি ডি দেখার সময়েও বজায় থাকে। সেন্স অফ ডিসার্নিং ঠিক থাকে।

    ধরো বুনুয়েলের দ্যাট অবস্কিউর অবজেক্ট অফ ডিজায়ার আমি ল্যাপটপে দেখেঘি্‌হ। কিন্তু অবশ্যই মনে হয়েছে আমি হারাইতেছি বড়ি স্ক্রীনে না দেখে।

    স্টকারের অস্বাভাবিক অ্যামস্ফিয়াঅর তো ছোটো স্ক্রীনে ধরাই পড়ে না।

    সব কেস স্পেসিফিক, কেস স্পেসিফিক।

    বিক্রম
  • r | 202.144.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০০৬ ১০:৫৫563112
  • তক্কোটা কিসের?

    বড়ো পর্দা বনাম ছোটো পর্দা? নাকি যে কোনো জায়গায় দেখা বনাম উচ্চতম প্রযুক্তিতে সাজানো গোছানো হলে বসে দেখা?

    বেশির ভাগ ছবি বড়ো পর্দার জন্য তৈরি হয়। কাজেই অবশ্যই বড়ো পর্দায় দেখলে পুরো স্বাদ পাওয়া যাবে। এ নিয়ে কিসের তর্ক?

    কিন্তু যখনই সিনেমা দেখার উপর অজস্র শর্ত চাপিয়ে বলা হচ্ছে যে এই সাত রকমের উপকরণ কষ্ট করে নিয়ে এসো, নইলে কিস্যু হবে না- সেইখানেই আপত্তি।

    সিনেমা বৈপ্লবিক ছিল কারণ মোটামুটি সহজে কম পয়সায় অসংখ্য লোক সিনেমা দেখতে পারেন। যে কারণে ঋত্বিক নাটক ছেড়ে সিনেমায় গিয়েছিলেন। কিন্তু এখন বলা হচ্ছে যে এর আসল রস মুষ্টিমেয়ের জন্য। ইহা উপভোগ করতে হলে ফুল-বেলপাতা-দুব্বো-চন্নামেত্তো জোগাড় করতে হবে, শিবলিঙ্গ স্থাপনা করতে হবে, সমোস্কিতো শিখতে হবে-কেন রে ভাই?

    অবশ্যই টার্গেট অডিয়েন্স থাকবে। সব শিল্পেই থাকে। কিন্তু একটা সিনেমার টার্গেট অডিয়েন্সের মাপ যদি হয় বিনয় মজুমদারের কবিতা পড়া লোকজন বা কুমার গন্ধর্বের ভক্তকুল বা যাদের বাড়িতে যোগেন চৌধুরির ছবি ঝোলে বা যারা কাঙাল মালসাট দেখেছেন, তাহলে এই মাধ্যমের প্রচন্ড শক্তির চূড়ান্ত অপব্যবহার হয়।
  • Paramita.Parolin | 84.203.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০০৬ ১৬:৩৯563113
  • বিক্রম ঠিক ই বলেছে। সব কেস স্পেসিফিক। আমি ও বুজছি সুমেরু ঐ কথা গুলো কোথে্‌থকে বলছেন।
    তবে ঐ থ্রেড টা আমার খুব কাজে লাগছিলো। ভালো সিনেমা দেখার সুযোগ খুব বেশি হই নি তাই খুব relegiously আমি লিস্টি করছিলাম। আমি ভালো সিনেমা ভালোবসি,আর হলে দেখার সুযোগ না পেলে বাড়িতে dvd দেখতে এত টুকুও লজ্জাবোধ করি না।না হয় ঠোঙ্গা টুকুই পেলুম , কিন্তু কিছু তো পেলুম। সম্পুর্ণ deprived তো করলুম না নিজে কে।
    কাজেই চলুক ,আমি লোভীর মতো বসে আছি ভালো সিনেমা এর খবর পাবার জন্ন্যে।
  • Ishan | 192.128.***.*** | ০৪ মে ২০০৬ ২৩:০৬563114
  • হাতে খানিক সময় আছে। অতএব এই থ্রেডে দুপয়সা দেওয়া যাক।

    এই নিয়ে কোনো তক্কো নেই, যে বড়োপর্দায় যা দেখা যায় ছোটো পর্দায় তার ভগ্নাংশই আসে। যেভাবে কম্পিউটার স্পিকারে গান শুনলে বাস আর ড্রামের আওয়াজ অর্ধেক হাওয়া হয়ে গিয়ে পড়ে থাকে শুধু পরচুলা। ডলবি ডিজিট্যাল যে এক প্রেক্ষাঘর ভর্তি মায়া তৈরি করে, তার ধারে-কাছে কি আসতে পারে পাড়ার মোড়ে চোঙা ফোঁকা গানের দল?

    কিন্তু এর একটা অন্য দিক আছে। যখন সৃষ্টির যুক্তি হিসেবে বলা হয়, যে, সত্তর মিলিমিটারে ছবি কতো শার্প আসে, স্পষ্ট দেখা যায় লোকেশন, আলোছায়া -- এমন ছবিতেই কিশোরী মানায় ভালো, ফ্রকে মুখ গুঁজে কাঁদে চুল এলোমেলো, -- কোনো হ্যান্ডিক্যাম কি কখনও এই ছবিকে ধরতে পারবে? কোনোদিন? তখন, এই বাক্যের মধ্যেই আমি ক্ষমতার গন্ধ পাই। ডিক্টেটারের বুটের আওয়াজ শুনতে পাই। মেরি আঁতোনেতের কন্ঠস্বর শুনতে পাই, যে, মালগুলো রুটির জন্যে হাহাকার করে কেন, কেক কেন খায়না?

    মানে, আমরা, ছাগলের যেসব তৃতীয় ছানারা জীবনে সত্তর মিলিমিটার ক্যামেরা ধরে দেখবনা, যাদের নাগাল মেরেকেটে হ্যান্ডিক্যাম পর্যন্ত, এই মহান শিল্পমাধ্যমটি চিরকালই তাদের ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাবে। ক্ষমতার অলিন্দে রচিত হবে মহাকাব্য, এবং বৃত্তের বাইরের লোকজন সেসব জাস্ট চেটে চেটে খেতে পারে, তার বেশি কিছু না। বাই চান্স শুদ্রের কানে বেদ পৌঁছে গেলে ঢেলে দেওয়া হবে গরম সীসা।

    এটি একটি পলিটিক্যাল ভাষ্য। সুমেরু লেয়ার-টেয়ারের কথা বাদ দিতে বলেছেন। আদতে তৈরি করতে বলেছেন একটি চিত্রভাষা -- ল্যাঙ্গুয়েজ বা মেটা ল্যাঙ্গুয়েজ। যখনই আপনি ব্যবহার করছেন ভাষা, তখনই তার মধ্যে ঢুকে যাচ্ছে কমিউনিকেশন, ঢুকে যাচ্ছে রাজনীতি। আপনি, এই দু-হাজার ছয় সালের ফিল্ম মেকার, কয়েক দশক আগে ভেঙে গেছে সোভিয়েত ইউনিয়ন, এবং আপনি তৈরি করতে চাইছেন এমন একটি চিত্রভাষা, যার পরতে পরতে রাজনীতি ... আপনার কন্ঠস্বর একটি কনটেক্সটে ষোড়শ লুইয়ের সুন্দরীর পত্নীর মতো লাগছে কেন, এই প্রশ্ন তো আপনাকে অ্যাড্রেস করতেই হবে। কারণ রাজনীতিকে বাদ দিলে শিল্প নিজেই একটি ঠোঙা ব্যতীত আর কিছু না।

    ** আপনি বলে বললাম বটে, কিন্তু কথা/প্রশ্নগুলো সুমেরুকে না। সক্কলকেই। আমাকেও।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন