এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অনেক সাহসে সর্ষে

    de
    অন্যান্য | ২০ জুন ২০১২ | ১২১৪৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এমেম | 127.194.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:২৯559110
  • শেষ থেকে শুরু করলাম। খুব খুব ইন্টারেস্টিং করে লিখছেন দেবযানী।
  • de | 24.96.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩০559112
  • লে থেকে সো মোরিরি যাবার রাস্তার চারিপাশ-





    সো মোরিরি -

    দূর থেকে



    আরো সো মোরিরি






    স্টার্ট্স্পুক সো



    সো কার


  • de | 24.96.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৩২559113
  • অনেক থ্যাংকু এমেম ঃ)
  • de | 24.96.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:২৬559114
  • অজানা অশ্বারোহী








    সার্চু ক্যাম্প- ভোরবেলা



    কেলংয়ের পথে






    সুরজ তাল





    >
    jispaa

    <

    >

    kela`m

    <



  • সিকি | ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ১৪:৪৫559115
  • ;-)

    এই পার্টটা আমার বাকি রয়ে গেছে। দে জিতে গেল। ;-)
  • pi | 24.139.***.*** | ১৩ এপ্রিল ২০১৪ ১৬:০৭559116
  • সাত নং ছবিটাতে মনে হচ্ছে ভেড়ার পালের পাশে অনন্ত জেব্রা ঃ)
  • de | 24.97.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ১৩:৪৮559117
  • সিকি যে কি কয়! সিকি হলো লে এক্ষপার্ট - গুরুদেব মানুষ - বেড়াতে গিয়ে যে পদে পদে কতো কাজে লেগেছে তোমার সাজেসান -
  • pipi | 139.74.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ২২:৩৫559118
  • দে-দি, দারুণ হচ্ছে। থেমো না, আট্টু হাত চালিয়েঃ-) ছবি গুলো এত সুন্দর দেখলেই যাবার জন্য মন ছটফট করে। কিন্তু ওয়াশরুমের যা গপ্প পড়ছি তাতে লে-লাদাখ আমার দ্বারা অন্তত কোনদিনই যাওয়া হবে না সে ব্যাপারে আঠারো আনা নিশ্চিত।
  • সিকি | ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:১৪559119
  • আরে দিব্বি হবে। চৌহানের বৌমেয়ে ঐ অবস্থায় ঘুরে এল, আর তুই পিপি হয়ে পারবি না?
  • pipi | 139.74.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫৩559121
  • না সত্যি পারব না। হটরহটর করে আধা ইউরোপ ব্যাকপ্যাকিং কত্তে পাত্তুম না যদি ভাল বাত্থুম না থাকত। উহা আমার অ্যাকিলিস হীলঃ-)
  • aranya | 154.16.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০০:৫৯559122
  • লাদাখ যেতে চাই
  • aranya | 154.16.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০০559123
  • দারুণ ছবি, দারুণ বর্ণনা
  • ঈশান | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:০৯559124
  • ও মা, লাদাখে তো দেখি কিছুই নাই। ওখানে বেড়াতে গিয়ে কী লাভ?
  • Ekak | 24.96.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:২৩559125
  • আরে চারপাশ পাহাড়ে ফাহার দিয়ে ঢাকা বলে দেকতে পাচ্ছনা । পাহাড়ি জায়গার ওই মুশকিল ।
  • aranya | 154.16.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৩:৩৫559126
  • পোচুর বাড়ি ঘর, দোকান বাজার - এই সব দেকতে পাচ্চে না বলে দুঃখু করচে ঈশেন - মনে লয় :-)
  • jhiki | 233.255.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৭:১৯559127
  • দে, দারুণ লেখা, দারুণ ছবি। মানসভ্রমণ সেরে নিলাম। বাস্তবে তো আর যাওয়া হবে না, গেলে নিশ্চিতভাবে হাই অল্টিচুড সিকনেস হবে ঃ(
  • san | 113.245.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৯:১৩559128
  • কবে যাব , কবে যাব !
  • সিকি | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৯:২৭559129
  • এই বছর বাইক চালানো শিখে নে। পরের বছর যাবো। এখন থেকে বসকে বলে রাখ যে ২০১৫ জুন মাসে তিন সপ্তার ছুটি নিবি।
  • san | 113.245.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১৪ ০৯:৩৯559130
  • আমরা তো এইবারই যাব ঠিক করে রেখেছিলাম। হল নি ঃ-(((
  • de | 24.97.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১৪ ২০:২৭559132
  • যাঁরা পড়ছেন/পড়ছো সবাইকে ধন্যবাদ।

    পিপি, হাত চালাতেই চাইছি, কিন্তু উইকেন্ড ছাড়া কিছুতেই সময় হয় না ঃ((

    মামুর জন্য লে র মানুষজন আর বাজারহাটের ছবি দেবো খ'ন - লেখাটা শেষ হবার পরে - তখন মামুর চিনসুরার থেকে লে ভালো লাগলেও লাগতে পারে! ঃ)
  • de | 24.97.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৩২559133
  • খানিকদূর হেঁটে উঠেই খাবারের জায়গা পাওয়া গেলো। গত কয়েকদিন ধরে আমিষের দেখা পাইনি - এখানে দেখলাম মাছ, চিকেন সবই পাওয়া যাচ্ছে। কেলংয়ে থাকার জায়্গা তুলনামূলক্ভাবে কম। মাত্র কয়েকটাই হোটেল দেখলাম। কিন্তু জায়গাটা সত্যি অপূর্ব। লে র একটানা রুক্ষ - শুষ্ক প্রকৃতির একেবারে কনট্রাস্ট! চোখেও বড় আরাম হচ্ছিলো। যেদিকে চোখ যায় আকাশছোঁয়া সবুজ পাহাড়, ঝর্না, লেক। আমি ঠিক করে ফেললাম, বাবা-মাকে নিয়ে এই অব্দি একবার আসবো। পুরো লে অব্দি ওঁদের শরীরে কুলোবে না, কিন্তু এই অব্দি আসাই যায়। মানালীর দিকে আরো একটু এগোলে লাহুল - স্পিতি ও একটা সুন্দর ঘোরার জায়গা।খাবারের দোকানটার নীচের তলায় দেখলাম, ছোট-ছোট ঘরে কম্বল, বালিশ, ম্যাট্রেস সব রাখা আছে। জিগাতে বল্লো বাইক-বাহিনীর জন্য রাখা আছে। ইন ফ্যাক্ট- এই অব্দি আসতে গিয়ে, যতো ছোট জনপদে চায়ের দোকান টাইপের কিছু আছে, প্রায় সর্বত্রই রাতের আশ্রয় হিসেবে এই কম্বল-বালিশ ইত্যাদী রাখা আছে। সুতরাং ভবিষ্যতের গুরু বাইকার্সদের কোন অসুবিধে হওয়ার কথা নয়। হিমাচল অব্দি মহিলারাও যথেষ্ট নিরাপদ। লোক্যাল লোকেদের অ্যাটিটিউড, ব্যবহার, তাকানো সব কিছু দেখেই এটা মনে হোলো। মানালী হয়ে যতো মান্ডি-চন্ডিগড়ের দিকে এগোতে থাকবে চোখের দৃষ্টি, মুখের ভাষা, ব্যবহার সবই বদলে যেতে থাকে। যতো সমতলের দিকে এগোতে থাকি, চোখের ভাষাতে, ব্যবহারে, এমনকি ড্রাইভারের বয়ানে সর্বত্রই আমাদের দুজনকে দেখে এই "বাঃ বেশ সাহস" (মানালী অব্দি) থেকে "কি আস্পর্দা" -- এই ট্রানজিশনটা বেশ বোঝা যেতে থাকে!

    খাবারের অর্ডার দিয়ে দিলাম - প্লেন চিকেনের ঝোল-ভাত আর স্যালাড। বেশী পেট ভরে কখনোই খাওয়া উচিত না লম্বা জার্নির রাস্তায়। খাবারের অর্ডার দিয়ে সামনের পাহাড়ের ওপরে তাকিয়ে দেখতে থাকি। ওপরের আপেল বাগানে, বাচ্চা পিঠে বেঁধে মায়েরা কাজ করছে। একপাশে একটা ছোট বাড়ী, পাহাড়ের গায়ে - একজন মহিলা রাস্তা অব্দি পৌঁছনোর জন্য বোধহয় স্টেপ বানাচ্ছেন।নীচে পাথর সাজানো আছে। কোদাল হাতে একটু মাটি কুপিয়ে সেট করে নীচে নেমে আসছেন পাথরের স্ল্যাব গুলো নিতে। যতোবার করে আসছেন, চোখাচোখি হয়ে যাচ্ছে আর মিষ্টি করে হাসছেন।এইসব দেখতে দেখতে খাওয়া-দাওয়া সেরে আমরা আবার পাহাড় বেয়ে নীচে নামলাম। গাড়ী সারানোর দোকানে গিয়ে দেখি জিগমেত খেতে গেছে আর গাড়ি সারানো চলছে। মালিক কেলংয়েরই বাসিন্দা। কাছের গ্রামেই থাকেন - সবাই জানে। সারানোর মতো গাড়ি টাড়ি না এলে দোকান খোলা রেখেই বাড়ি চলে যান। এই অঞ্চলে গাড়ি সারানোর ব্যাপারে ওঁর খুব সুনাম। খারাপ গাড়ি এলে তাই ওনার ডাক পড়বেই। আমরাও তো লাগেজ পত্তর গাড়িতে ছেড়েই দিব্বি চলে গেছিলাম - এখানকার ওটাই দস্তুর। চুরি-ছ্যাঁচড়ামি মোটেই নেই। লোকে খেটে খায়। আমরা আরো একটুক্ষণ চারিদিকে ঘোরাঘুরি করতে করতেই গাড়ি সারানো হয়ে গেলো। জিগমেতও এসে গেছে। আমার মাথায় ইদিকে আজকের ওয়েদার প্রেডিকশন ঘুরছিলো। এই অঞ্চলে আজকে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেইমতো এতোক্ষণ রোদ্দুর থাকলেও এখন বেশ মেঘলা হয়ে এসেছে। গাড়ি নিয়ে গাড়িওয়ালাকে টা টা করে বেরোতে না বেরোতেই ড্রিজলিং শুরু হয়ে গেলো। বেশ কালো মেঘে চারিপাশ ঢেকে গেলো। একেবারেই অন্যরকম একটা সৌন্দর্য্য। এদিককার রাস্তাগুলোতে মাঝে মাঝেই রাস্তা তৈরী হওয়ার সময়ে কিছুক্ষণের জন্য একদিকের যান চলাচল বন্ধ রেখে কাজ করা হয়। খানিকক্ষণ যেতে না যেতেই তেমন এক রাস্তা সারাইয়ের খপ্পরে আমরা! সারে সারে গাড়ি দাঁড়িয়ে গেছে। আমাদের গাড়িও তার পিছনে দাঁড় করিয়ে রেখে জিগমেত গপ্পো করতে গেলো দেশোয়ালী ভাইদের সাথে। বাইরে তখন ধুলোর ঝড় উঠেছে। বেশ ভালো ঝড় - সঙ্গে পাথরের ছোটখাটো টুকরোও উড়ে এসে পড়ছে উইন্ডস্ক্রীনে আর গাড়ির মাথায়। টকাশ-টকাশ করে আওয়াজ হচ্ছে। আমাদের গাড়িটাও বেশ খাদের ধারেই দাঁড় করানো। ঝড়ের তীব্রতায় সে মাঝে মাঝেই বেশ নড়েচড়ে উঠছে। একটু ভয় ভয়ও করছে - উড়িয়ে নিয়ে ফেলবে না তো নীচে। গাড়ির পিছনদিকে অনেক দূরে তাকিয়ে জিগমেতকে দেখা যাচ্ছে - বেশ হেসে হেসে গপ্পো করছে একদল ছেলের সাথে। যাক্, এ পোলায় হাসতেও পারে! আর ওরা যখন বাইরেই দাঁড়িয়ে গপ্পো করছে, তখন নিশ্চয়ই ভয়ের কিছু নেই। সুতরাং বাইরে তাকিয়ে দেখতে থাকি চারপাশের ঝর্না, লেক, ঝিরঝিরে বৃষ্টিমাখা আবহাওয়াকে। আর দিন কয়েকের মধ্যেই তো এদের রিপ্লেস করবে শপিং মল, জ্যাম-প্যাকড রোড, আপিসের ল্যাব, কিউবিকল। দম বন্ধ করা শহর! মাঝে মাঝে ডিনামাইটের আওয়াজ আসছে। রাস্তা বানানোর জন্য পাহাড় ফাটানোর কাজ চলছে।এমনি করে কতক্ষণ গেলো ঠিক খেয়াল নেই - খানিক পরে ঝড় থামলো, রাস্তা খুলে গেলো আর গাড়িও ধীরে ধীরে রওনা হলো লাহুল-স্পিতির দিকে। রাস্তার বাঁদিকের পাহাড়ের স্টেপে স্টেপে কতোরকমের নাম না জানা ফুলের গাছ, আপেলের গাছ - অন্যদিকে আকাশছোঁয়া পাহাড় আর তাদের গা বেয়ে নেমে আসছে ঝর্না। আরো ঘন্টাখানেক যাওয়ার পর স্পিতি বা কিন্নর যাবার রাস্তা দেখা গেলো। আমরা অবশ্য এ পথে যাবো না। এখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে জিগমেত চা খেতে গেলো। আমাদের আর লিকুইড ইন্টেক করা ঠিক হবে না - মানালী পৌঁছতে আর কতোক্ষণ লাগবে বলা তো যায় না! কেলং হলো লাহুল-স্পিতি ডিস্ট্রিক্টের সদর দপ্তর। স্পিতি ছাড়িয়ে আসার পরেও কোনরকম একটা পাস দরকার হয়। সম্ভবত এই গাড়ি যে ফের লাদাখে ফেরত যাবে তার জন্যই। চায়ের দোকানে এক সর্দারজি বসে আছেন, কালো পোশাক, সাদা দাড়ি-গোঁফে ঢাকা মুখ - দাড়ি পেট ছাড়িয়ে নীচে নেমে গেছে। মুখে পুরো দার্শনিকের হাসি। আমরা যতক্ষণ ওখানে দাঁড়িয়ে রইলাম, উনি একটুও নড়লেন না। পিঠ টানটান রেখে পুউরো মূর্তির মতো বসে রইলেন!

    ২০০২ সালে আমরা একবার মানালীতে এসেছিলাম। প্রায় দশ-এগারো বছর আগে। মেয়ে তখন দু বছরের। তখন রোটাং পাস আসার প্ল্যান হচ্ছিলো। কিন্তু কোন কারণে রাস্তা বন্ধ ছিলো বলে সেই যাওয়াটা ক্যানসেল করতে হয়েছিলো। বেশ দুঃখও হয়েছিলো সে বার। আজ এতোদিন পরে রোটাংয়ের রাস্তায় এসে সেই সব মনে পড়ে গেলো। অবশ্য পুরো লে থেকে মানালীর রাস্তাই বেশ খারাপ। কিছু কিছু স্ট্রেচ ভালো থাকলেও, বেশীর ভাগই পাথুরে অথবা কাদায় ভর্তি। রোটাংয়ের রাস্তায় এমনিতেই খুব কুয়াশা হয়। তারপরে আজকে আবার বৃষ্টির দিন। কুয়াশা আর কাদায় ভরা রাস্তা দিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি এগোচ্ছে। রোটাং পৌঁছে অবশ্য গাড়ি থেকে নামতেও ইচ্ছে হচ্ছিলো না। পুঁচকে পুঁচকে কাদামাখা বরফের প্যাচে গুচ্ছ গুচ্ছ ট্যুরিস্টের হুড়োহুড়ি। চারিদিকে সুসুর গন্ধে ভরে আছে। নির্ঘাৎ ওয়াশরুম নেই! গাড়ির দিকে পিছন করেই কয়েকজন বঙ্গসন্তান সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে গেছেন - আবার গপ্পোও চলছে।! এদিকে গাড়ি থামিয়ে জিগমেত চলে গেছে চা খেতে আর বৃষ্টি পড়ছে বলে আমরা গাড়ি থেকে বেরোতেও পারছি না! মোটকথা এতো পাস পেরিয়ে এই রোটাংয়ে এসে ভালো লাগলো না। রাস্তাটা অবশ্য খুবই সুন্দর। কুয়াশায় ঢাকা আঁকাবাঁকা পাহাড়ী রাস্তা। রোটাং পেরিয়ে যতোই নামতে থাকছি, ট্যুরিস্টের সংখ্যা খুব বেড়ে যাচ্ছে। ঝর্না ইত্যাদীতে জলে ঝাঁপাঝাঁপি, নায়ক নায়িকার বলিউডি পোজে ছবি তোলার ছড়াছড়ি!
    রোটাংয়ের একটু পরেই বিয়াস শুরু হয়ে যায়। পাথরের ওপরে কুলকুল করে বয়ে চলা বিয়াস আর দুধারের সবুজ জমিতে ফুটে ওঠা ক্যালেনডুলার ফুল! এতো প্রিয় নদীটাকে মানালী আর তার চারপাশের ট্যুরিজম যে কিভাবে প্রতিদিন নষ্ট করে চলেছে! এক দশকেরও পরে মানালী ফিরে এসে আমি হতাশই হলাম। এতো সুন্দর একটা শৈলনিবাস একটা পুরোদস্তুর শহরে পরিণত হয়েছে। ব্যাংয়ের ছাতার মতো নদীর দুধারে যেখানে পেরেছে হোটেল গজিয়ে উঠেছে। মানালীর আরেকটা কেদারনাথের মতো ট্রাজেডিতে পরিণত হওয়া শুধুই সময়ের অপেক্ষা! মানালীতে আমাদের হোটেলের নাম সিলমগ গার্ডেন। ম্যাল পেরিয়ে ব্রিজের বাঁ দিকে বাজারের মধ্যে। ম্যাল পেরিয়ে আসছি - ট্রাভেলারের একটা পুরো সাদা গাড়ি, যেটাকে কেলং পেরনোর পড়ে মাঝে মাঝেই দেখছিলাম, প্রায় চোদ্দ-পনেরো জন যেতে পারে --দেখলাম দুদিকে পুরো চিত্রিত হয়ে রয়েছে! ম্যা গো! যাকে সাফ করতে হবে তার কি দশা হবে! অনেক খুঁজে আমাদের হোটেলের সামনে পৌঁছনো গেলো। ভেতরে গিয়ে বুকিং কনফার্ম করে নিলাম। এবার জিগমেতকে বিদায় দেওয়ার পালা। মালপত্র সব নামিয়ে যাবার পর ওর পওনাগন্ডা মিটিয়ে দিলাম। থ্যাংকিউ সো মাচ - শুনে একটু সংকুচিতই যেন হয়ে গেলো পাহাড়ী মানুষটি। "ফিরসে লে আইয়েগা, ম্যাম" - বলে বিদায় নিয়ে গেলো জিগমেত। এতোখানি রাস্তার জার্নির সাময়িক অবসান হলো। স্বল্পভাষী জিগমেত, তার হাসিখুশী বন্ধু দোরজে -- মনে রয়ে যাবে!

    এখানেই অবশ্য শেষ করবো না - চন্ডিগড় অব্দি এই গপ্পো চলবে, একটু ধীর গতিতে হয়তো, তাও চলবে!
  • de | 24.97.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৪৯559134
  • লাহুল স্পিতির রাস্তায় --






    লেন্সে জল পড়ে ফটোদুটো একটু খারাপ হয়ে গেছে --


    <
    >

    jharnaa-
    <
  • সিকি | ২০ এপ্রিল ২০১৪ ২০:৫৪559135
  • জিও। দে গুরুর একমাত্র, যে দু দুবার লে জয় করে এল।

    শেষ অবধি লেখো। আর সঙ্গে দরকারি টিপস, যা পরে আমাদের কাজে আসতে পারে।
  • de | 24.97.***.*** | ২০ এপ্রিল ২০১৪ ২৩:৩৮559136
  • থ্যাংকু, সিকি!

    কয়েকটা ফটো এলোনা





    রোটাং





    মানালির পথে



  • oishik | 127.218.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০১৪ ১৮:১৫559137
  • দে দি আশায় বাঁচে চাষা
  • sosen | 111.22.***.*** | ২১ এপ্রিল ২০১৪ ১৯:৩৫559138
  • এদিকে আমি বেড়াতে গেলে লেখার মতো কিস্যু খুঁজে পাইনে। এই লেখাটা কোনো কিশোর পত্রিকায় পাঠাও, দে-দি। খুব ভালো ডিটেইল, নলিনী দাশের লেখার মতো--একখানা গোয়েন্দা থাকলেই রহস্য এসে যেতো
  • শাকিল | 172.69.***.*** | ১১ মে ২০২০ ২২:৫৬731345
  • লামা (LAMA) মানে খুব সম্ভবত lease against medical advise, we give DAMA (Discharge against medical advise)

  • b | 162.158.***.*** | ১২ মে ২০২০ ১৯:৩৯731360
  • আর কি কখনো কবে
    সর্ষে লেখা হবে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন