এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • উচ্ছেদ - কিছু প্রশ্ন

    pi
    অন্যান্য | ১৪ এপ্রিল ২০১২ | ৬৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 128.23.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ০২:১৯544957
  • উচ্ছেদের প্রতিবাদে গ্রেপ্তার, গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আবারো গ্রেপ্তার,হামলা, বাক স্বাধীনতা রোধ .. ইস্যুর পরে ইস্যু জমে চাপা পড়ে যাচ্ছে 'উচ্ছেদ'।
    'উচ্ছেদ' নিয়ে কিছু বেসিক প্রশ্ন।

    শুধু পুনর্বাসনের প্রশ্ন নয়। উচ্ছেদ নিয়েই প্রশ্ন।
    উন্নয়নের বর্তমান প্যারাডাইমে এই উচ্ছেদ কি অনিবার্য নয় ?

    পুনর্বাসন হলেও তা সম্ভব, না হলে কেন নয় ইত্যাদি।

    অন্য নানা টইয়ে থেকে থেকেই এনিয়ে আলোচনা হচ্ছে, আবার অন্য আলোচনার ভীড়ে হারিয়ে যাচ্ছে। আগে কোন টইতে এনিয়ে কথা হচ্ছিল মনে করতে পারলাম না। পারলে কেউ সেটা একটু দিয়ে দেবেন।

    ফেসবুক গ্রুপে শুদ্ধসঙ্কÄদার একটা লেখা পড়লাম। দিলাম। আলোচনা চলুক।
  • pi | 128.23.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ০২:২২544968
  • গণতান্ত্রিক সংস্কার চাই দ্রুত - শুদ্ধসত্ব ঘোষ
    ----------------------------

    সমস্যা হল আমাদের কম্বিনেশন ক, খ আর গ দলে সীমাবদ্ধ। তার বাইরে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। সংসদীয় গণতন্ত্রের আমূল সংস্কার দরকার। এখন নির্বাচন ভিত্তিক রাজনীতি এতটাই খরচ সাপেক্ষ যে সেখানে যে কেউ চাইলেই অংশ নিতে পারবেন না। বহুস্তরীয় একটা ব্যবস্থা হয়ে উঠেছে এই রাজনীতি। মূল খেলা সেখানে পুঁজির। তার হাত ধরেই আসে প্রচার ও পেশীবল। এ দুটো ছাড়া এ খেলা জেতা যায় না। কিন্তু এ খেলায় আমাদের কি লাভ? একজন গেলে অন্যজন আসে। একই সিংহাসনে বসে, একই শাসনতন্ত্র চলতে থাকে। আজকে খুব সোজাসুজি ভাবার সময় এসেছে যে শুধু এখানে না, গোটা ভারতবর্ষেই কিভাবে হতে পারে এই সংস্কার! বড় দেরী হয়ে যাচ্ছে। শুধুমাত্র অসংসদীয় রাজনীতি এত বৈচিত্‌র্‌যপূর্ণ একটি দেশে অসফল হচ্ছে এবং হবেও। তাছাড়া তার লক্ষ যে একনায়কতন্ত্র তাকে সমর্থন করা যায় না।

    পুঁজির পৃষ্টপোষকতায় যে রাজনীতি চলে সে শুধুই পুঁজিওলাদের সমর্থন করবে এ বলাই বাহুল্য! কিছুদিন আগে ফিকি ধমকে জানিয়েছিল আমরি-র ধৃতদের অবিলম্বে জামিন দেওয়া দরকার। নইলে তাঁদের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ হচ্ছে এবং শিল্পের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। হক কথা! কাউকেই বিনা চার্জশীটে আটকে রাখা চলে না। যে কোনো মানুষ বিচারের রায়দান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরপরাধ। কিন্তু একই কথা প্রযোজ্য সকল গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষাকারী আন্দোলনকারীদের জন্যও। আজ যখন শ্রবণ টোডির জামিন হয়ে গিয়ে আমরি-কান্ডে যুক্ত সকলেই জেলের বাইরে ঠিক তখনই জেলে নোনাডাঙার উচ্ছেদের বিরুদ্ধে আন্দোলনকারীরা। কোথায় এখন ফিকি? কোথায় থাকে ফিকি যখন এই পশ্চিমবঙ্গের জেলেই পচতে থাকেন রাজনৈতিক বন্দীরা দীর্ঘ্যকাল বিনা বিচারে? কোথায় থাকে ফিকি যখন এই ভারতের তাবড় শিল্পপতিরা ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণের তালিকায় সবার আগে কোটি কোটি টাকা সমেত সসন্মানে বছরের পর বছর বিরাজ করেন? কোথায় থাকে এই ফিকি, যে কথায় কথায় নিদান দেয় সরকারের কল্যাণমূলক কাজ বন্ধ করে প্রায় শুধু তাদের দারোয়ান হওয়া উচিত এমত ভাব করে, যখন হাজার হাজার কোটি কালো টাকা দেশের বাইরে চলে যায় শিল্পপতিকূলের সৌজন্যে?

    নোনাডাঙার উচ্ছেদের প্রশ্নে একটি জটিল কথা উঠে আসছে। এত এত মানুষ শহর আসছেন গ্রাম থেকে কাজের জন্য। গ্রামে যথেষ্ট জীবিকার অভাব তাই আসছেন। সরকারের হাতে টাকা কই এভাবে তাঁদের সাহায্য করার? এটাও ঠিক কথা। ভারতবর্ষে যে লুটের আসর চলছে তাতে সরকারের হাতে টাকা থাকে না। টাকা লাগলে সরকারেরা জড়িয়ে পড়ে আরো ধারের বৃহ্‌ৎ চক্রে। তার জন্য এই শাসকেরাই দায়ী। কিন্তু সে কথা এখন আর বলে লাভ কি? তাতে তো টাকা আসবে না! নোনাডাঙার মতন হাজারো জায়গায় উচ্ছিন্ন মানুষদের জন্য সরকার কত কত ফ্ল্যাট বানাবে? সে টাকা কই? সুপ্রীম কোর্ট বলছেন রাত্রে মানুষকে পাকা জায়গায় শুতে দিতে হবে। পাশ হয়েছে খাদ্য বিল। শিক্ষার অধিকার বিল পাশ হয়েছে। সে সব খুব ভাল কথা। কিন্তু কাজে কবে লাগবে? লাগতে পারছে না, কারণ টাকা নেই সরকারের হাতে। সরকারের যুক্তি এটা। সকলেই সময় নিচ্ছেন। কিন্তু সেই সরকারের হাতে কি করে টাকা আসে বিলাসবহুল গাড়িতে মন্ত্রী-সান্ত্রী চড়ানোর? কি করে টাকা আসে রাষ্ট্রপতির অবসরকালীন বাসভবনের জন্য বিলাসবহুল ব্যবস্থা করার ব্রিটিশ আমলের দুটি বাংলো ভেঙ্গে? সেনাবাহিনীর জমিতে এ কাজ হচ্ছে। কি দরকার আছে যে দেশের মানুষ খেতে পায় না সে দেশের সরকারের বিদেশী অতিথিদের জন্য লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি টাকা খরচ করার দ্বিপ্রাহরিক না নৈশ ভোজের জন্য? কি দরকার হয় গরীবি সীমা ঠিক কত টাকায় বাঁধা যাবে কত তার বিচারের জন্য পাঁচ বা সাত তারা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত কামরায় আলোচনার নামে টাকা ওড়ানোর? কেন নানান আমলারা ঠান্ডাঘরে বসে গ্রামের উন্নতির পরিকল্পনা করেন যে পরিকল্পনায় যে গ্রামে পুকুর আছে সে গ্রামে আরো পুকুর কাটানোর টাকা যায়, আর যে গ্রামে নেই সেই গ্রামে বাবলা গাছ পোঁতার পরিকল্পনা হয় চাষীকে বলদ ধরিয়ে? দুটো টাকাই বছরের শেষে ফিরে যায় কাজে না লেগে। সরকার বলে উন্নয়ণ-উন্নয়ণ! এ সব ধোঁকার টাটি কবে বন্ধ হবে? কেন এলাকার মানুষ প্রত্যক্ষভাবে সামিল হবে না তার নিজের উন্নয়ণ পরিকল্পনায়? আর উন্নয়ণ মানে কি? সেটাও বা কবে ঠিকঠাক ব্যাখ্যাত হবে? যে দেশে প্রগাঢ় ক্ষুধা মানুষ মারে, অশিক্ষা তার চোখ-মুখ দুটৈ অকেজো করে রাখে সে দেশে কি করে করা যায় সে কাজ? আমলাতন্ত্র ও সাংসদদের জন্য বিপুল খরচ করার চেয়ে শিক্ষাবিস্তারের কাজ অনেক জরুরী না কি? তার উত্তর নেই। এই জায়গায় আলূ পরে খুব মাঝেসাঝে। পড়লেও দুদিনের মধ্যেই চলে যায় আলোচনার বাইরে।

    আর আছে বিপুল সামরিক ও আধা-সামরিক ব্যয়। মানুষের পেটের দানার থেকেও বন্দুকের দানা অনেক বেশী গুরুত্বপূর্ণ। তার খাতে চলে যায় অবিশ্বাস্য অঙ্কের অর্থ। তারও আবার বিপুল অঙ্কের অডিট করা যাবে না। জাতীয় নিরাপত্তা স্বার্থ বলে একটি মজার কবচে সে আবদ্ধ। কেন এখানে নির্দিষ্ট সময় অন্তর আমেরিকার মতন সমস্ত গোপন সরকারী দলিলকে ডি-ক্লাসিফায়েড করা হয় না? আমেরিকার অন্য বিষয়ে নকল করা যায় শুধু এ বিষয়ে নয়? কোন গোপন খেলা থাকে এখানে? গণতন্ত্রের ভিত্তি যে জনগণ কেন তার অধিকার থাকবে না সব জানার? আমি কিছু জানি না আর সব জানেন ক-বাবু এবং খ-বাবু, এমন কথা বলে আমাকে না জানানোর কারণ কি?

    গণতন্ত্র যতই দুর্বল হোক বা অসম্পূর্ণ হোক শাসনের পন্থা হিসেবে একমাত্র গ্রহণযোগ্য পন্থা। একনায়ক মহান হোক কি মন্দ সে একনায়কই। তার বুদ্ধি, বিবেচনা এবং প্রয়োগক্ষমতার উপর নির্ভর করে যে কোনো ব্যবস্থা চললেই সে ব্যবস্থা কোনো না কোনো সময়ে উন্মত্ত হতে বাধ্য। রাজা ফ্রেডারিক কিম্বা সুলতান বিন তুঘলক যিনিই মহান পরিকল্পনা নিন না কেন শেষমেশ তা জনগণের কাজে লাগে না। এবং খেয়াল রাখবেন একা একা কেউ একনায়ক হয় না। হয় তার সমর্থকদের সঙ্গে নিয়েই। কাজেই একজন একনায়ক বলে নয় একদলীয় একনায়কতন্ত্রও সমান ভাবেই স্বৈরতন্ত্রী!

    একটি স্থানের অধিবাসীদের সকলের একই ক্ষমতা হওয়াই একমাত্র কাম্য হওয়া উচিত। Firstamongtheequals টায় ক্রমশ amongtheequals টা ঝাপসা হয়ে আসছে। পুরোপুরু মুছে যাবার আগেই এ আলোচনা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে জনজীবনের স্তরেই আলোচিত হওয়া দরকার। না হলে আমাদের আরো দু:খের দিন আসছে। এলোমেলো লিখলাম কিছু। কিন্তু সর্ষেতে ভূত থাকলে অন্য জায়গায় ওঝা লাগিয়ে কি হবে? সর্ষের ভূত তাড়ানোর ব্যবস্থা চাই। গণতন্ত্রের সংস্কার চাই গণতন্ত্রের স্বার্থে, জনগণের স্বার্থে।
  • Arin | 119.224.***.*** | ১৪ এপ্রিল ২০১২ ০৩:২৫544971
  • অত্যন্ত সময়োচিত ও সুলিখিত প্রবন্ধ | এখানে দুটো বিষয় লিখতে চাই:

    এক, নিরন্ন, দরিদ্র, বেঘর, উতখাত হয়ে যাওয়া মানুষের পক্ষ, বা ব্‌য়্‌বসাগত কারণ না, মানবিক কারণে সরকার বিরোধী প্রতিবাদীদের পক্ষ কেন ফিকি নেবে না, তারা কেন ধনী ব্যবসাদারদের হয়ে স-ওয়াল করবে, এ প্রশ্নের উত্তর পাওয়া মনে হয় না খুব জটিল; আমার মনে হয় ভারতে এখনও বণিকসভা গুলো মনে করে বৃহত্তর সমাজের কাছে তাদের কন দায়বদ্ধতা নেই, এখনও ফ্রিডম্যানের শেখানো বুলির ( যে ব্‌য়্‌বসার একমাত্র লক্ষ্য শেয়ারহোল্ডারদের হাতে আরো পয়সা তুলে দেওয়া, ) বাইরে বেরিয়ে ভাবতে শেখেনি; সামগ্রিক ভাবে আমাদের দেশে দেখুন বণিক সভা বা বাণিজ্যিক সংগঠন গুলো থেকে সমাজের প্রকৃত উপকারে লাগে এমন অনুদান কিন্তু যথেষ্ট নয়, বরং খুবই কম । কাজেই, তাদের সামগ্রিক সভার যারা ওকালতি করে, তাদের যে দায় থাকবে না, বলাই বাহুল্য | আমাকে আপনাকে তারা বিচার করে কতটা আপনি তাদের ব্‌য়্‌বসায় কাজে লাগবেন তাই দিয়ে, আমার আপনার মানবিক মূল্যবোধ দিয়ে নয় | এই দৃষ্টিভংগির পরিবর্তন না হলে ফিকির মত সংগঠনের কাছ থেকে বিচারের আশা করা যাবে বলে মনে হয় না ।
    দুই, আমার কাছে সরকারের মানে অনেকটা এই রকম: আমি একা নিজে যে কাজ করে উঠতে পারি না, বা পারব না, আমরা সামগ্রিক ভাবে অনেকে মিলে করলেও করে উঠতে পারি; আমাদের সেই সামগ্রিক চেতনা ও আশা আকাঙ্কহার প্রতীক আমাদের সরকার | কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, আমাদের দেশ্‌গুলোতে সরকারের এই দিকটা আমরা দেখতেই পাই না, এখনো একটা নিজেরা নিজেদের মধ্যে কলোনি তৈরি করে থাকে, সাধারণ মানুষ একটা কলোনীর মত, তাদের ইচ্ছামত শোষণ/পেষণ/পীড়ণ করা চলে, প্রায় প্রতিবাদহীন শুষে নেওয়া
    ! এটার একটা বিহিত হ-ওয়া দরকার |

    কিন্তু করবে কে? সত্যিকারের মুক্ত সমাজ, যেখানে সরকার মানুষকে সমঝে চলে, সেখানে না হয় এক প্রকার করা যায়, কিন্তু যেখানে সাধারণ মানুষ প্রতিপদে সরকারের ভয়ে তটস্থ?

  • pi | 72.83.***.*** | ১৫ এপ্রিল ২০১২ ০৩:৪২544972
  • দারুণ লেখা। মমতার কাছে কিছু প্রশ্ন।

    http://bartamanpatrika.com/content/spl3.htm
  • পাই | 82.83.***.*** | ২০ মে ২০১২ ১০:৩৫544973
  • গণতান্ত্রিক সংস্কার নিয়ে আরেকটি লেখা, কিছু প্রশ্ন ঃ

    রাজনৈতিক দলের তহবিলে কর্পোরেট চাঁদা দেওয়া বন্ধ করো
    ------------------
    ১৩ মে সমস্ত রাজনৈতিক দল একযোগে দিল্লির পার্লামেন্টে বসে ভারতীয় পার্লামেন্টের ষাটতম বর্ষপূর্তি উদ্‌যাপন করল। তারা সকলেই নানা মত, নানা স্বরে মহান বহুত্ববাদী ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রশংসা করল। কিন্তু কেউই একবার এই গণতন্ত্রের কর্পোরেট-বন্দিদশার কথা উচ্চারণ করল না। কারণ সকলেই তো কর্পোরেট ব্যবসায়ীদের আশীর্বাদ-ধন্য!
    ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্মস’ নামে একটি সংগঠন ৩৬টি কর্পোরেট ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। এরা ২০০৯-১০ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে ১ কোটি বা তারও বেশি টাকা দিয়েছিল। তালিকায় কংগ্রেস, বিজেপি এবং জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস দলের নাম রয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়েছে আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর ‘জেনারেল ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট’। এরা কংগ্রেসকে ১৩।৯৫ কোটি এবং বিজেপিকে ১৬।৬ কোটি টাকা দিয়েছে।
    এই তালিকা থেকে পরিষ্কার যে এইসব দল কাদের টাকায় নির্বাচনে লড়ে। আমরা সাধারণ মানুষ তো শুধু ভোটটুকুই দিতে পারি। ভোটের আগে যত প্রতিশ্রুতিই দিক না কেন, ভোটে জিতে দলগুলো তাহলে কাদের মন রাখবে? আমাদের, না যারা কোটি কোটি টাকা দেয়, তাদের? তাই আমাদের বুঝতে অসুবিধা থাকে না, কেন আজ বাজার দর এত চড়া; কেন আজ ন্যূনতম মজুরি না দিয়েও ফলতা এসইজেডে মহিলাদের দিব্যি খাটিয়ে নেওয়া যায়।
    এই তালিকায় তিনটে দল আর ৩৬টা ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর নাম আছে। তার মানে এটা নয় যে অন্য দলগুলো ধোয়া তুলসিপাতা! ‘অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রাটিক রিফর্মস’ তথ্য জানার আইনে দলগুলোর কাছে পার্টি-ফান্ডে কর্পোরেট চাঁদার পরিমাণ জানতে চেয়েছিল। সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি, বিএসপি কেউই জানায়নি। কিন্তু টাকা সকলেই পেয়েছে। আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর ‘জেনারেল ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট’-এর হরিভক্তি জানিয়েছিলেন, ‘আমরা কেরালায় কমিউনিস্টদেরও ফান্ড দিয়েছিলাম, কারণ স্থানীয় ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টের ম্যানেজমেন্ট সেটা চেয়েছিল।’
    টাটাদের ইলেক্টোরাল ট্রাস্ট যখন গত লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসকে ২৭ লক্ষ টাকার চেক পাঠিয়েছিল, মমতা ব্যানার্জি তা ফেরত পাঠিয়েছিলেন। টাটার টাকাকে না হয় টাটা করা হল, কিন্তু অন্য রাঘব বোয়ালদের কে রোখে!
    এই তো আমাদের গণতন্ত্রের নমুনা! যদি একে শুদ্ধ করতে হয়, যদি সাধারণ মানুষের ভোটকে মূল্য দিতে হয়, তবে দলীয় তহবিলে কর্পোরেট চাঁদা নিষিদ্ধ করতে হবে এবং সমস্ত প্রার্থীর নির্বাচনের প্রচার সরকারি ব্যবস্থাপনায় করতে হবে। গণতন্ত্রের ধ্বজাধারী রাজনৈতিক দলগুলো কি এতে রাজি আছে?

    হ্ত্ত্পঃ//্ব।সোন্গ্বদ্মন্থন।োম/
  • কল্লোল | 129.226.***.*** | ২১ মে ২০১২ ১১:১৫544975
  • গণতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক কোন দলই রাজি হবে না। সামান্য লোকপাল, সংসদে নারী প্রতিনিধিত্ব নিয়েই সকলের যা ব্যাথা। এরা তো সাধারণ নির্বাচনে "ভোটদানে বিরত থাকিলাম" বোতামও দিতে রাজি নয়। এদের আশংকা (সেটা সত্যিও) তাহলে ঐ বোতামে এতো ভোট পড়বে যে, যারা জিতবে তারাও লজ্জা পাবে।
    আসলে নির্বাচনে সবরকম প্রচার বন্ধ হওয়া উচিত। সরকার থেকে প্রার্থীদের ব্যাক্তি ও দল পরিচয় ও তার/তাদের তাদের নির্বাচনী ইস্তেহার দিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিলেই যথেষ্ট।
    নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ফিরিয়ে আনার অধিকারও থাকা উচিৎ।
  • কল্লোল | 129.226.***.*** | ২১ মে ২০১২ ১১:১৮544976
  • হ্যাঁ, বাংলাদেশের মতো, নির্বাচনের তিনমাস আগে, সরকার ভেঙ্গে দিয়ে সর্বদলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গড়ে তার হাতে নির্বাচনের দায়িত্ব দেওয়া দরকার।
    এতেই যে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা হয়তো নয়, কিতু সমস্যা সমাধানের দিকে এক হলেও এগুনো যাবে।
  • maximin | 69.93.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৪:৫৬544977
  • ১) শুদ্ধসত্বর লেখাটা পড়েছিলাম, ফেসবুকে। ভালো লেগেছিল। আবারও ভালো লাগল।
    ২) 'নোনাডাঙার উচ্ছেদের প্রশ্নে একটি জটিল কথা উঠে আসছে। এত এত মানুষ শহর আসছেন গ্রাম থেকে কাজের জন্য। গ্রামে যথেষ্ট জীবিকার অভাব তাই আসছেন।'
    ৩) এরকমই একটি জটিল প্রশ্ন তুলেছিলাম অন্য টইতে -- অনশন তো চিরদিন চলবে না, থামতেই হবে তাকে। ধরা যাক সরকার পুনর্বাসনে রাজি হল। পুনর্বাসন এইখানেই দিতে হবে এমন দাবি করা যাবে না। উচ্ছেদ প্রতিরোধ আন্দোলনের অ্যাজেন্ডা তখন ঠিক কী হবে, সেটা কি ভাবা হয়েছে?
    ৩) সেই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে একটিমাত্র দাবীর কথাই মনে করতে পেরেছিলাম। যারা গ্রেপ্তার হয়েছেন তাদের ছেড়ে দিতে হবে। কিন্তু গ্রেপ্তার হলে ছেড়ে দেওয়া যায়না। জামিনে খালাস দেওয়া যায়। অর্থাত গ্রেপ্তার হলে সেটা ফেইট আকমপ্লি হয়ে যায়।
    ৪) অনেক ক্ষেত্রেই অমূলক অভিযোগে অ্যারেস্ট করা হয়। নোনাডাঙায় যারা গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তাদের মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তিনি নোনাডাঙায় গিয়ে প্রতিবাদ করেছিলেন অথচ ভদ্রলোক সেদিন নোনাডাঙা যানই নি। অর্থাত তাঁর আলিবাই ছিল। এরকম ক্ষেত্রেও কি ভদ্রলোক জামিনে ছাড়া পেয়ে বিচারাধীন থাকবেন? সকলের কাছে জামিনের টাকাও থাকে না।
    ৫) গণতান্ত্রিক সংস্কার দিয়ে এই সমস্যাগুলোর সমাধান হবে না। কারণ সত্যিকারের অপরাধও হয়। সব অপরাধী পার পেয়ে যাবেন সেটাও আমরা চাইনা।
    ৬) মূল প্রশ্নটা রয়ে গেল। আমরা কী চাই? কলকাতা শহরের উপকন্ঠে অগণিত অসঙ্গঠিত স্রমিকের আবাসস্থল নির্মান? যাতে করে বড়লোকরা তাদের বাড়িতে কাজের লোক পান, অল্প পয়সাতেই পান?
  • maximin | 69.93.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৪:৫৯544958
  • বানান ভুল -- *শ্রমিক
  • maximin | 69.93.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৫:১৮544959
  • সর্ষের মধ্যে ভূত নিয়ে শুদ্ধসত্ব অনেকগুলো পয়েন্টই বলেছেন। যেটা বাদ গেছে সেটা হল রিয়াল এস্টেট ব্যাবসা। বৃহত পুঁজির মালিকরা নির্বাচনী তহবিলে টাকা দেন। রিয়াল এস্টেট ব্যাবসায়ীরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করেন লোকাল স্তরে, নির্বাচনের পরে তাঁরা তাদের দাবীদাওয়া বুঝে পড়ে নেন। একদল (বৃহত পুঁজির মালিক ও তাদের সঙ্গঠন) যদি গণতন্ত্রকে সাবভার্ট করেন পুঁজিবাদের বৃহত স্বার্থে, অন্যদল (রিয়াল এস্টেট ব্যাবসায়ী) গণতন্ত্রকে সাবভার্ট করেন একেবারে ব্যক্তিগত ক্ষুদ্র স্বার্থে। স্বার্থ বলতে অর্থনৈতিক স্বার্থই বলছি।
  • Kaju | 131.242.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৭:৪৪544960
  • বাবারে মাথা ঘোরে !
  • কল্লোল | 125.242.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৮:২৩544961
  • ম্যামির কথাই আজ অনেকে বলার চেষ্টা করছেন, মানুষ কেন গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে। গ্রামেই কেন তাদের জীবিকার উপায় করা যচ্ছে না।
    জমির উপর চাপ বাড়ছে, বিশেষ করে পব-এর মতো প্রচন্ড জনসংখ্যার চাপ যেখানে আছে।
    সমবায় কৃষির কথা ভাবা যেতে পারে। কৃষির সাথে যুক্ত অন্য জীবিকা যেমন ফুড প্রসেসিং, গরু-ছাগল-শুয়োর-মুর্গী পালন। এগুলো সবই সমবায় প্রথায় করা যায়। সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে। মানুষকে বোঝাতে হবে।
    একই সাথে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রনের কাথাও ভাবতে হবে। অবশ্যই ইনফাস্ট্রাকচারের উন্নতি ঘটাতে হবে। ঠিকঠাক রাস্তা চাই, বিদ্যুত চাই প্রত্যেকটি গ্রামে, যাতে কলসেন্টারের কাজ, আউটসোর্সড ডেটা এন্ট্রির কাজ গ্রামেও যেতে পারে। সোলার পাওয়ারের ব্যবহার বাড়াতে হবে, গোবর গ্যাস বা বর্জ্য পদার্থ থেকে এনার্জি, সার তৈরীর কাজ হতে পারে।
    এই সব কিছুর জন্যই রাজনৈতিক ইচ্ছেটা খুব জরুরী। সেটা......
  • PT | 213.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৯:০৩544962
  • শুধু পঃ বঙ্গের কথা ভাবলেই হবে - ভারতবর্ষ বাদ? কি পরিমাণে মানুষ বিহার, উড়িষ্যা, উঃ প্রদেশ, উঃ পুর্ব ভারত থেকে এখানে বাঁচার জন্য আসছে? সমবায় নাহয় এখানে হল, কিন্তু অন্যসব প্রদেশের গ্রাম গুলোতে জীবিকার সন্ধান না পেয়ে দরিদ্র মানুষ যাতে পঃবঙ্গে এসে আশ্রয় না নেয় সেই ব্যাপারটা কে দেখবে?
  • পাই | 82.83.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৯:০৭544963
  • ম্যাক্সিদি অনেকগুলো দরকারি পয়েন তুলেছে। কৃষিতে অন্যরকম ভাবনাচিন্তারও দরকার আছে ।
  • maximin | 69.93.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৯:৪৩544964
  • 'মানুষ কেন গ্রাম ছেড়ে শহরে আসছে। গ্রামেই কেন তাদের জীবিকার উপায় করা যচ্ছে না' -- এটা আমি শুদ্ধসত্যকে কোট করে বলেছি।
  • ঢ্যাঁড়স | 220.2.***.*** | ২২ মে ২০১২ ১৯:৫২544965
  • সোনার বিহার তৈরী হয়েছে শুনছি, আর চিন্তা নাই সবাই এখন বিহার গেলেই পারে।
  • maximin | 69.93.***.*** | ২৩ মে ২০১২ ০০:৩৭544966
  • সত্য না, ওটা সত্ব হত।
  • maximin | 69.93.***.*** | ২৩ মে ২০১২ ০০:৫০544967
  • আমাদের কৃষিতে প্রোডাক্টিভিটি কম। বাড়ানোর অবকাশ আছে। তবে কৃষি কখনোই শিল্পস্থাপনের বিকল্প নয়। আর কলকারখানা যখন শুরু হয় তখন গ্রামের দিকেই হয়।
  • কল্লোল | 129.226.***.*** | ২৩ মে ২০১২ ১২:৪৩544969
  • পিটি ভায়া। কথা ছিলো (যদি মনে থাকে) বামফ্রন্ট রাজ্য চালিয়ে এমন দৃষ্টান্ত তৈরী করবে যে অন্যেরা তার অনুসরণ করবে। সেই সুযোগে অন্য রাজ্যগুলোতে সংগঠন বাড়বে (মনে পড়ে?)।
    তাহলে এতোদিনে রাজ্যে রাজ্যে বামফ্রন্ট ছড়িয়ে পড়তো।
  • Tim | 108.249.***.*** | ২৩ মে ২০১২ ১২:৫২544970
  • সোনার বিহার টা হেব্বি দিয়েছে। :-))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন