এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Monorama Biswas | 71.167.***.*** | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ০৬:৫৮527439
  • হে ইশ্বর! তুমি আমাকে মেয়ে করে পাঠালে কেন? আর মেয়ে করলেই যদি, আমাকে পুরুষ বিদ্বেষীই বা করলে কেন? আমি তো পুরুষকে ভালোবাসতে চাই। মেয়েদের প্রতি পুরুষের আচরণ দেখে তো আর ভালোবাসতে ইচ্ছে করে না।
    আমার জ্ঞান গরিমা অতি অল্প, তা ছাড়া পড়াশোনা করার সুয়োগও তেমন পাইনি। ¬¬¬¬¬¬¬¬ডাক্তারি পড়া, আর পড়া শেষে টাকা ইনকামের ধান্ধায় সময় কাটাই। পড়াশোনা করে জ্ঞান অর্জনের সময় কই? তবে বয়স বাড়ার সাথে-সাথে কিছুটা জ্ঞান অর্জিত হয়েছে, সেটুকুর ভিত্তিতে বলছি-
    দেবতাদের রাজা বাসব। কোনো রূপসী রমণী দেখলেই হল। ছলে-বলে-কৌশলে তাকে শয্যা সঙ্গিনী করবেনই। প্রাচীনকালে (সত্য যুগ) অহল্যা নামের একজন ঋষি-পত্নী ছিলেন। উনি দেবরাজের নজরে পড়লেন। একদিন ঋষি (গৌতম মুনি) বাসায় ছিলেন না, সেই সুযোগে দেবরাজ বাসব অহল্যার স্বামীর বেশে অর্থাৎ গৌতম মুনি সেজে অহল্যার কাছে এসে তাঁকে কাছে ডাকলেন। অত:পর নিজের কাজ হাসিল করে পলায়ন করলেন। সঙ্গে-সঙ্গে ঋষি আশ্রমে ফিরে বুঝতে পারলেন সব। বউয়ের প্রতি ক্রোধান্বিত হলেন। বউ যতই অনুনয়-বিনয় করে বলেন, ‘তুমিই তো আমাকে কাছে ডাকলে’, ততই ঋষি রেগে যান। এক পর্যায়ে বউকে অভিশাপ দিয়ে পাথর বানিয়ে দিলেন (কলি যুগ হলে নির্ঘাত পাথর ছুঁড়ে মেরে ফেলা হত)। এক যুগ পরে (দ্বাপর) রাম-লক্ষ্মণের পদধূলি পেয়ে অহল্যা উদ্ধার হয়ে স্বর্গে গেলেন। তাতে কী? উনি কি আর স্বামীর কাছ থেকে সম্মান পেয়েছেন, স্বামীকে ফিরে পেয়েছেন? স্বামী তো এক যুগ আগে স্বর্গে গিয়ে উর্বশীদের নিয়ে বিহারে মত্ত (পুণ্যবান পুরুষেরা স্বর্গে গেলে নাকি অনেক উর্বশী পায়, যারা নাকি চিরযৌবনা)।
    আমার প্রশ্ন হল অহল্যার কী দোষ ছিল? তাঁকে কেন পাথর হয়ে এক যুগ পড়ে থাকতে হল? দেবতাদের রাজা ইন্দ্রের কি বড় ধরনের সাজা হয়েছিল? প্রথমে ইন্দ্রের গায়ে অনেক স্ত্রী-যোনি দেখা দেয়, পরে দেবতাদের অনুরোধে যোনিগুলো চক্ষু হয়ে যায়, সে জন্যই ইন্দ্রকে সহস্র লোচন বলা হয়। এত বড় অন্যায় যে করে তিনি দেবতাদের রাজা হন কী করে? আশা করি, বিজ্ঞ পুরুষেরা আমার এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন। ইন্দ্র ছিলেন পরদারগামী। তিনি আরও অনেক মেয়ের সর্বনাশ করেছেন। সেগুলো উল্লেখ করলাম না।
    এবার আসি ত্রেতা যুগে— ঋষি জগদগ্নি, তাঁর পত্নী রেণুকা। ওনাদের পাঁচটি ছেলে। একদিন রেণুকা নদীতে জল আনতে গেছেন। গিয়ে দেখেন রাজা চিত্ররথ তাঁর বউদের নিয়ে জলকেলি করছেন। উনি দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে তা দেখলেন। জল নিয়ে গৃহে ফিরতে বেশ দেরি হয়ে গেল। গৃহে ফিরতে-ফিরতে রেণুকা মনে-মনে একজন যুবক স্বামীর কল্পনা করছিলেন। ঋষি জগদগ্নি যোগবলে সব বুঝে ফেললেন। উনি ভীষণ রেগে গেলেন। ছেলেদের হুকুম দিলেন মাকে কুঠার দিয়ে কেটে ফেলতে। অন্য ছেলেরা রাজি না হলেও সবচেয়ে ছোট ছেলে পরশুরাম মাকে কুঠার দিয়ে কেটে টুকরো-টুকরো করে ফেলেন। মাতৃহত্যার অপরাধে কুঠার আর হাত থেকে ছাড়াতে পারেননি। সেটা অন্য কাহিনী। মাকে হত্যার অপরাধে ছেলের কেন পাপ হল, ছেলের বাবা কেন নির্দোষ থেকে গেলেন?
    একজন বিবাহিতা স্ত্রী কল্পনায়ও একজন পর-পুরুষের কথা ভাবতে পারবে না। তা তার স্বামী পাষণ্ড হোক, কিংবা নপুংসকই হোক (আমি ছোটকালে একজন রাজপুত্রের কল্পনা করতাম, যে আমাকে পুষ্পরথে করে তার রাজ্যে নিয়ে যাবে। আর এখন কল্পনা করি কোনো রাজাধিরাজ আমার জন্য একটা নীলপদ্ম এনে আমার পদতলে নিবেদন করবে)।
    যে পঞ্চসতীর নাম করলে পুণ্য হয়, সেই পঞ্চসতীর কষ্ট কতটুকু ছিল কেউ কি তা পরিমাপ করে দেখেছে? এই পঞ্চসতীর সবাই কিন্তু একাধিক পুরুষের সাথে ঘুমিয়েছেন, তবে সেচ্ছায় নয়। যেমন অহল্যা, যার কথা আগেই বলেছি। কুন্তি, পঞ্চসতীর একজন। তাঁর স্বামীর সন্তান জন্ম দেওয়ার ক্ষমতা ছিল না, তাই অন্য পুরুষের সাহায্য নিতে হয়েছিল। পর-পর তিনজন পরপুরুষের সাহায্য নিয়ে তিনটি ছেলে জন্ম দেওয়ার পর যখন স্বামী আবারও অনুরোধ করলেন আরেকটি সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য, তখনই কিন্তু কুন্তি বেঁকে বসলেন। কুন্তি কিন্তু স্বেচ্ছায় অন্য পুরুষের সাথে ঘুমাননি। কুন্তির কষ্টে আমার বুক ফেটে যায়।
    দ্রৌপদী স্বয়ংবর সভায় মালা দিলেন অর্জুনকে, অথচ বিয়ে করতে হল অর্জুনের সব ভাইকে। দ্রৌপদী কিন্তু ভালোবাসতেন অর্জুনকেই বেশি, কিন্তু সে ভালোবাসা হয়ে গেল অপরাধ। একমন নিয়ে কি পাঁচ জনকে সমান ভালোবাসা যায়? অর্জুন কিন্তু দ্রৌপদীকে সবার চেয়ে বেশি ভালোবাসেননি। এমন-কী দ্রৌপদীর সাথে বাসর হওয়ার আগেই উনি আরও তিনটি বিয়ে করে বসলেন। অর্জুনকে বেশি ভালোবাসার অপরাধে দ্রৌপদীর পতন হল, উনি সশরীরে স্বর্গে যেতে পারলেন না। এখানে দ্রৌপদীর দোষ কী? ওনার কষ্ট কিন্তু পঞ্চস্বামীর কেউই উপলব্ধি করেননি। কারণ, সবারই বউ ছিল।
    মন্দোদরী, পঞ্চসতীর একজন। স্বামীর পতনের পর দেবর বিভীষণ সিংহাসনে বসলেন, তাঁকে তখন দেবরের সাথে ঘুমাতে হত। কেউ কি স্বামীর শত্রুর সাথে বিছানায় যেতে চায়? তাঁকে বাধ্য করা হয়েছে।
    তারারও একই অবস্থা, স্বামীর মৃত্যুর পর দেবরের সাথে বিয়ে হয়েছে তাঁর। দেবর সুগ্রীবের নজরে পড়ে তাঁরই বড় ভাইয়ের বউ তারা। রামের সহায়তায় বালীকে মেরে সিংহাসনে বসেন সুগ্রীব, সঙ্গে-সঙ্গে বড় ভাইয়ের বউকেও দখল করে নেন। দেবর তো তাঁরই স্বামীর শত্রু ছিল। এই শত্রুর সাথেই তাঁকে ঘুমাতে হয়েছে। মন্দোদরী আর তারার কষ্ট আমি উপলব্ধি করতে পারি। এঁদেরকে প্রতিরাতে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারা হয়েছে।
    সীতা, যিনি ত্রুটিবিহীন রমণী। তাঁর অবতার স্বামী রাম কতটাই না অবিচার বা অসম্মান করেছেন! রাবণের কাছ থেকে উদ্ধারের পর অগ্নিপরীক্ষার মাধ্যমে তাঁর সতীত্বের প্রমাণ দিতে হল। পুরুষেরা কি কখনো কৌমার্যের পরীক্ষা দিয়েছে? রাবণ যদি তাঁর সতীত্ব হরণ করেও থাকেন, সেটা কি সীতার দোষ? এখানেই শেষ নয়, সতীত্ব প্রমাণের পরও কিন্তু সীতার শেষ রক্ষা হয়নি। রাজা হওয়ার পর রাম তাঁর গর্ভবতী স্ত্রীকে বনবাসে পাঠান। কারণ, প্রজারা কানাঘুষা করতে থাকে, সীতার সতীত্ব নিয়ে তারা কটাক্ষ করতে থাকে। সীতার অসম্মানের কিন্তু এটাই চুড়ান্ত নয়। উনি বনবাসে থাকাকালীন দুটো জমজ সন্তানের জন্ম দিলেন। পরে সীতাকে দুটো নাবালক ছেলে সমেত বন থেকে ফিরিয়ে আনা হল। আবার সেই সতীত্ব নিয়ে প্রশ্ন। সীতা এবার রাগে-দু:খে আত্মহত্যাই করে বসলেন। মরার আগে তিনি ধরণীর কাছে এই বলে কান্নাকাটি করলেন যে, তার (ধরণী) বুকে আশ্রয় ছাড়া তাঁর আর যাওয়ার জায়গা নেই।
    এখনও মেয়েদেরকে এই বলে আশীর্বাদ করা হয় যে, ‘সীতার মতো পতিব্রতা হও’, মানে সীতার মতো নিপীড়িত হও। রাম সীতার প্রতি যে চরম অবিচার করেছেন, যে অসম্মান করেছেন যার জুড়ি মেলা ভার। উনি কীভাবে ভগবানের অবতার হিসেবে পূজিত হন আমি ভেবে পাই না।
    এসব ঘটনা থেকে আমার উপলব্ধি— এঁদের প্রতি যথেষ্ট অবিচার করা হয়েছে, এঁরা অনেক কষ্ট পেয়েছেন। কিন্তু সমাজ এঁদের সম্মান দিল সতী বলে। সমাজ কিন্তু কখনৈ প্রতিবাদ করেনি যে এটা অন্যায়।
    আম্রপালী, রূপে-গুণে তাঁর জুড়ি মেলা ভার। অনেক পুরুষই তাঁকে বিয়ে করতে চায়। সমাজপতি হুকুম দিলেন আম্রপালীকে কেউ বিয়ে করতে পারবে না, সবাই মানে সমাজের উঁচুস্তরের পুরুষেরা যাতে তাঁকে ভোগ করতে পারে সেই হুকুম দিলেন। আম্রপালীর পালক পিতার সাধ্য কী সমাজপতির বিরুদ্ধে যায়? উনি কষ্টে বুক চাপড়াতে লাগলেন, আম্রপালী মূক হয়ে গেলেন। সেই সময় কিন্তু আম্রপালী আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। আম্রপালী হয়ে গেলেন জনপদকল্যাণী। ঐ সময় মানে গৌতম বুদ্ধের সময় অনেক উচ্চ মুল্য দিয়ে আম্রপালীর কাছে যেতে হত। আমরা আম্রপালীর কী ব্যাখ্যা পাই? এটা নাকি আম্রপালীর পূর্ব জনমের পাপের ফল।
    খনার জিহ্বা কাটার ঘটনা আমরা সবাই জানি। পুত্রবধূর পাণ্ডিত্য রাজা বরাহ কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি। উনি পুত্র মিহিরকে হুকুম দিলেন খনার জিহ্বা কেটে ফেলার। খনা কিন্তু আমাদের বাংলাদেশেরই মেয়ে ছিলেন।
    এবার আসি শিক্ষিত মেয়ের পরিণতির ঘটনায়। আমি সবসময়ই বলার চেষ্টা করি যে, আমাদের সমাজ মেয়েদের পাণ্ডিত্য পছন্দ করে না। অনেক পণ্ডিত-শিক্ষিত মেয়েকে অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। আমি গ্রামে দেখেছি— মেয়ে বড় হলেই তাকে আর স্কুলে পাঠাতে চাইত না মা-বাবা। কারণ স্কুলে গেলে মানে ঘরের বাইরে বের হলে সে মেয়ের ধর্ষিতা হওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে।
    হাইপেসিয়া (Hypatia), যিনি গণিতশাস্ত্রে অনেক পণ্ডিত ছিলেন। ৩৭০ খ্রিস্টাব্দে মিসরে জন্ম তাঁর। যেমন রূপ তেমন তাঁর ব্যক্তিত্ব। তাঁর ব্যক্তিত্ব, তাঁর পাণ্ডিত্যই তাঁর মৃত্যুর কারণ হয়েছিল। গণিতশাস্ত্রে তাঁর অনেক অবদান। নিজের যোগ্যতা বলে ঐ সময় তিনি আলেক্সান্দ্রিয়ায় একটা স্কুলের প্রধান হন। এতটাই নির্ভীক ছিলেন যে সেই সময় নিজেই নিজের গাড়ি চালাতেন। রাজনৈতিক কারণে ৪১৫ খ্রিস্টাব্দে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে প্রতিপক্ষের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন তিনি। তাঁর প্রজ্ঞা, শিক্ষা এবং বিজ্ঞান বিষয়ে তাঁর জ্ঞানের গভীরতার জন্যই তাঁর দেহটাকে টুকরো-টুকরো করে কেটে ফেলে প্রতিপক্ষের লোকজন। আমি মেয়েদের অনুরোধ করব এই বিদুষী মহিলার (Hypatia) জীবনী পড়ার জন্য।
    জোয়ান অব আর্ককেও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়ন তখনকার ধর্মীয় সমাজপতিরা মেনে নিতে পারেননি। এটা তো বেশি দিন আগের ঘটনা না। আমি জানি যে, জিতেছে জোয়ান অফ আর্ক, কৃষকের কন্যা, সে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রান্সের মানুষদের জড়ো করে অনেক যুদ্ধে ফ্রান্সকে জয়ী করে। ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে ধরা পড়ার পর তাকে ডাইনি আখ্যা দিয়ে ধর্ম যাজকেরা পুড়িয়ে মারার আদেশ দেন। তাকে মিথ্যা বলতে বলা হয়েছিল, সে মৃত্যুকে বেছে নিয়েছিল। এমন নির্মম লোমহর্ষক হত্যাকাণ্ড কেবল পিশাচদের পক্ষেই সম্ভব।
    ধর্মীয় উপাখ্যান বা ইতিহাস দেখলে অনেক উদাহরণ দেখা যাবে- সমাজে মেয়েদের স্থান কত উঁচুতে বা নিচুতে। এখনও সমাজে দেখি— মেয়েরা অনেক কষ্ট করে চলেছে, পুরুষদের অনেক অত্যাচার সহ্য করছে, মেয়েরা মুখ বুজে নীরব থাকছে। এরাই ভালো মেয়ে, সমাজ বলছে এরা কত ভালো। কেউ প্রতিবাদ করলেই সমাজ তার প্রতি খড়্‌গহস্ত। অনেক মেয়ে আত্মহত্যা করে প্রতিবাদ করে। তবু সমাজ চুপ থাকে। কেউ-কেউ ঘর ছেড়ে বের হলেই সে মেয়ে খারাপ মেয়ে বলে পরিগণিত হয়।
  • Bishu | 60.5.***.*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৪২527440
  • তখন নারী ছিল কপালের মাঝে টিপ পরা। এখন নারী টিপ পরে প্লাক করা ভ্রুর মাঝে।
  • jhumjhumi | 117.194.***.*** | ১৩ জানুয়ারি ২০১২ ১৬:৪৫527441
  • ভ্রু প্লাক করার কথা আসছে কোত্থেকে?
    আর সেকাল বলুন আর একাল, মেয়েদের অবস্থান বদলায়নি। আজও কোনো মেয়ে লাঞ্ছিত হলে দোষটা তারই হয়,লাঞ্ছনাকারীরা বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ায়।
  • rimi | 168.26.***.*** | ১৪ মার্চ ২০১২ ২২:৫৭527442
  • এইমাত্র এক লেখিকার সঙ্গে দেখা করে এলাম। ফিরে এসে লেখিকার ব্লগে এই লেখাটা পেলাম:
    http://chookooloonks.com/blog/the-parent-trap-and-other-musings

    কারেন, মানে ব্লগটির, এবং একটি বইএর লেখিকা, নিজে একজন বহুবছর কর্পোরেট আমেরিকার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে ইনি ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, কয়েক বছর চাকরি করার পরে ল পড়েন, এবং ১৫-১৬ বছর ল প্র্যাকটিস করেন, কোর্টে নয়, আইটি সেক্টরে। তারপরে কর্পোরেট জীবনে হাঁফ ধরে যাওয়ায় ইনি ফটোগ্রাফার হন, এবং সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন, যেটা আজ হু হা বিক্রি হল। বিরাট লাইন পড়েছিল, আমি যখন পৌঁছলাম, তখন সব কপি শেষ। বইটির নাম The beauty of being different। তখনো বহু লোক লাইনে দাঁড়িয়েছিল বইটা কেনার জন্যে।

    এই লেখাটা এখানে দিলাম শুধুই শেয়ার করার জন্যে, তর্ক করার জন্যে নয়।
  • rimi | 168.26.***.*** | ১৪ মার্চ ২০১২ ২৩:০১527443
  • ভালো কথা, যদি কেউ ব্লগটি পড়ো, তাহলে নিচের কমেন্টগুলো ও অবশ্যই পড়ো। :-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন