এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  বইপত্তর

  • অলিন্দ

    indo
    বইপত্তর | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ | ৯৭১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Indrani | 69.12.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০১:০০499661
  • দোল পূর্ণিমার নিশি নির্ম্মল আকাশ /ধীরে ধীরে বহিতেছে মলয় বাতাস - - - - -

    এর থেকে ভালো উপলক্ষ্য আর কী হতে পারে আমাদের লক্ষ্য , পাঠাগার প্রকল্প ('রামধনু') ও সেই সংক্রান্ত বই 'অলিন্দ'কে আলোকিত করেছে যে ওয়েবসাইট , সেই guruchandali.com কে ধন্যবাদ জানানোর জন্য !

    এই ওয়েবসাইটের কর্ণধার , কলাকুশলীবৃন্দ , এখানকার নিয়মিত ও অনিয়মিত সদস্যসকল ও বিশেষ করে সেই অংশগ্রহণকারী জন যাঁরা নিজেদের কর্মব্যস্ত জীবনের থেকে উপড়ে নেওয়া সময় দিয়েছেন 'অলিন্দ'কে , 'রামধনু'কে , তাঁদের সকলকে অকৃত্রিম ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই -

    রামধনুর পক্ষ থেকে -বেগুনী
  • indo | 59.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৮:২৭499640
  • অলিন্দ নিয়ে বিশেষ ই®¾ট্রা দেওয়ার নেই। এ পাড়ার প্রায় সবাই বোধ হয় অ্যাদ্দিনে পড়ে ফেলেছে। আমি এই সেদিন হাতে পেলাম। শামুকের স্পিডে পড়ছি। ''নিবন্ধ'' সবে শেষ হল।
    যাঁরা জানেন না, তাদের জন্য :
    বাংলালাইভে লেখেন ও পড়েন,এমন আটজন(প্রশান্তকে ধরলে নয়) মিলে ''রামধনু'' তৈরী করেন; উদ্দেশ্য নিষ্ঠা নামে একটি NGOকে কিছুটা সাহায্য করা। বারুইপুরে বাচ্চাদের একটা লাইব্রেরি তৈরীর জন্য fund raising
    তো, এইজন্য একটি বই বের করা, যার নাম অলিন্দ। এতে নামী সাহিত্যিক,বাংলালাইভের অনামী লেখকেরা আর যাদের জন্য লাইব্রেরী, সেই বাচ্চারা লিখেছে। ঠিকঠাক সাহিত্যসঙ্কলন বলা মুশকিল, যদিও রামধনুর তরফ থেকে সেরকম ই®¾ট্রা দেওয়া হয়েছে।

  • santanu | 218.14.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৮:৩৩499651
  • প্রচ্ছদ খুব ভালো, সুনীলের লেখাটা পুরোনো, শাঁওলির লেখাটা বাজে, চেনাশোনা লেখক লেখিকাদের মধ্যে কয়েকজনের লেখা বাদ দিলে, বাকিরা এপাড়া ও পাড়ায় ঢের ভালো লেখেন। জানিনা economically কতোটা সফল তবে প্রচেষ্টা হিসাবে অসাধারন।
  • indo | 59.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৮:৫৫499662
  • বইয়ের শুরু নবনীতা দেবসেনের ''দুকথা'' দিয়ে; এইধরণের লেখা যেমন হয়, বিশেষ কিছু বলবার নেই। প্রশান্ত রামধনুর গোড়ার দিককার কথা লিখেছেন, বেশ ঝরঝরে বাংলা। এরপরে আইভিদির ই®¾ট্রা-ধরে ধরে প্রায় প্রত্যেকটা লেখা নিয়ে; এটার কি খুব দরকার ছিল? যারা পড়বে ,তারা তো নিজেরাই বুঝে নেবে।

    জয়া মিত্র গুয়াহাটি বইমেলা নিয়ে দায়সারা লিখেছেন, টুকটাক ক্লিশে কথায় ভরা। শাঁওলি মিত্র কহতব্য না। পরিমল সেনগুপ্ত সারদামণিকে নিয়ে ভক্তিগদগদ লেখা লিখেছেন,তাও গল্পের টানে তরতরিয়ে পড়ে ফেলা যায়। আজিজ রসুলের ''ভাষা'' নিয়ে লেখা বেশ কপিপেস্টগন্ধী ; তাছাড়া এইধরণের ব্যাপক একটা বিষয় নিয়ে অল্প কথায় লেখালিখি সারার একটা পোটেনশিয়াল বিপদ তো সবসময়ে থেকেই যায়।
  • indo | 59.93.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৯:০৯499664
  • বেশ ভালো লাগলো ইয়েহুদা য়ামিখাইয়ের লেখালিখি ও জীবন নিয়ে সুজয়কুমার ধাড়ার লেখা। সুন্দর ভাষা, বেশ খেটে লেখা। তেমন ভালো ফ্রিডা কালোর ওপরে প্রগতিদির লেখা। কৃষ্ণকলি লিখেছে বাংলা লোকগান নিয়ে,যত্নে লেখা- কিন্তু সেই বড় ক্যানভাসের সমস্যা। বরং কোন একটা বিশেষ জঁরের গান নিয়ে বড় করে লিখলে পারত; কেমন সবকিছুই ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেল মনে হল।
    অরিজিতের আঁখো দেখি দাখাউ সুন্দর,ঝরঝরে। গোপাল দাস একটি আখাম্বা ইঁট নামিয়েছেন উদার কৃষিনীতির ওপরে।
  • tan | 131.95.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২১:৩৮499665
  • ইন্দোদা,অলিন্দ বুড়ী ছোঁয়া করে দেখেছিলাম,তাড়াতাড়ির মধ্যে এখানে ওখানে ঠুকরে ঠাকরে দেখে চলে এসেছি।বহু কিছু মিস হয়ে গেছে।:-(((
    বিস্তৃত আলোচনা দাও।খুব ভালো করে,ডিটেলে।
    আসি।

  • Arijit | 82.39.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২২:০০499666
  • একটা একটা করে পড়ছি। সুনীলের লেখাটা আগে কোথাও পড়েছি - এটা মনে হয় ভদ্রলোকের একটা রোগে দাঁড়িয়েছে। বেশ কিছু দিন আগে (বছর তিনেক কি চারেক) বাংলালাইভে গপ্পো দিয়েছিলেন "এক কম্বলের নীচে" - হুবহু একই গপ্পো সেই বছরই দেখেছিলুম ওয়াশিংটন ডিসির সংস্কৃতি (বাঙালী সংগঠন)-এর পত্রিকায়...

    বৈজয়ন্তর লেখা পড়ে মনে হল সত্যি ঘটনা - কেন বলতে পারবো না।

    মামুরটা পড়লুম - টিপিক্যাল, নাম না থাকলেও চেনা যেত। এবং ভালো:-)

    অঙ্গনা দত্ত পড়তে শুরু করেছি।

    তীত্থ ব্যাপক দিয়েছে:-) চুর-চুর...

    তবে সব মিলিয়ে বেশ কিছু টাইপো আছে, লিখলুম "ইডিশ" - হয়ে গেলো "সুইডিশ", জার্মান কাগজটার নাম ভুল, আর তারপরে "লিখলো"-টা হিব্রু...আর একটা হুবহু সুকুমার রায় খুঁজে পেলুম।

    হাতে এখন তিস্তাপারের বৃত্তান্ত, বিষাদবৃক্ষ, অলিন্দ, হাজার চুরাশীর মা, আর মহাস্থবির জাতক - শেষের দুটো রিভিশনের জন্যে:-)
  • samik | 221.134.***.*** | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২৩:৫২499667
  • সুকুমার রায় একটা নয়, তিনখানা টোকা আছে। তিনটে বাচ্চা মেয়ে, সম্ভবত বোন টোন হবে, তারাই তিনজনে তিনটে কবিতা টুকে দিয়েছে।

    সুনীলের লেখাটা i-পত্রিকায় বেরিয়েছিল। ওপাড়ায় আর্কাইভে পাবে।
  • su | 61.2.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০০:০৭499668
  • ইন্ডো,

    প্রচ্ছদ আমার একেবারেই পছন্দ হয়নি। লেখাপত্তর দুইখান।

    কৃষ্ণকলির লেখা মনে হল কোন অতিরিক্ত বিষয়ের পরীক্ষার আগে যোগাড় করা নোটস :)
  • tan | 131.95.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০০:১৭499669
  • সু, প্রচ্ছদ দেখে আমার কান্না পেলো :-((
  • indo | 59.93.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০৮:৪৬499641
  • প্রচ্ছদ আমারো ভালো লাগেনি;কিন্তু চুপচাপ ছিলাম,খুব একটা ছবিটবি দেখিনা কিনা !
  • deepten | 202.122.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০৯:২৭499642
  • অলিন্দ সত্যি সত্যি কোনো সাহিত্য সংকলন নয়, এটা একটা সাহিত্য প্রয়াস।খুব অ্যামেচার প্রয়াস। তাই বহুল প্রচারিত ছড়াও বেনামে ঢুকে যায়।
    আমার মনে হয় অলিন্দকে সমালোচনার বাইরে রাখাই ভালো, কিছু লোকের দিবারাত্রের পরিশ্রমের ফসল। একটা চেষ্টা মাত্র। মূল উদ্দেশ্য কিন্তু পত্রিকা প্রকাশের উর্দ্ধে।
    তাছাড়া বেশী কিছু নয়।
    এর বেশী আশা করাটাও অনুচিৎ।
  • r | 85.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১১:২০499643
  • আমারও তাই মনে হয়। তবে বন্ধুবান্ধবেরা যা লিখেছেন তা নিয়ে কথাবার্তা বলা যায়।
  • Somnath | 210.212.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১১:৫৬499644
  • কালকেই লিখব ভেবেছিলাম, দেরি হয়ে গেল, তবু, দীপ্তেন্দা লিখেও দিয়েছে অলরেডি -

    জবাফুলের গন্ধ কেন রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, বেল, যুঁই এর মতো নয়, বা রূপ কেন গোলাপ, অপরাজিতা পদ্মের মতো নয়, এই আলোচনা চলে না, কারণ জবা ফুল পূজোয় লাগে। তবু, এমনকি জবাফুলও কারো কারো খুবই পছন্দের, তার আপাতবোধ্য কোন কারণ নেই, হয়তো।

    যেটা করা যায়, এই থ্রেডটা থেকে, সম্ভব হলে, কিছু প্রোমোশনাল অ্যাকটিভিটি - বা, হয়তো, সংশ্লিষ্ট সদস্যদের এই প্রয়াসের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার, কাজ করার স্মৃতি, অভিজ্ঞতা শেয়ার করা, ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ।

    কিছু গৃহবধূ, ছাত্র-ছাত্রী, আপিসের চাকুরীরত নওজোয়ান থেকে প্রৌঢ়রা যেভাবে জিনিসটা নামিয়েছে অবশেষে, সত্যি প্রশংসার। আমরা যারা টাইপ করেছি বড় চিঠি, তারাই জানি কি পরিশ্রম বাংলায় ঐ গোদা বইটার (৩/৪ তো নির্ঘাৎ, অন্তত ফ্রেশ টাইপ করা) লেখাগুলো নিজে বসে বাংলিশে টাইপ করা, আর শেষে প্রেস যদি বলে দেয় এ ফরম্যাট চলবে না, সেগুলোকে স্রেফ প্রিন্ট আউট নিয়ে প্রেসে ধরিয়ে দেওয়া, আর প্রেসের কাজের ফল -অগুনতি টাইপো (জীবনে প্রথমবার প্রুফ দেখতে গিয়ে) দুবার করে কারেকশন করা -- নামী লেখকদের দোরে দোরে ঘুরে লেখা চাওয়া, তাঁরা যা দেবেন চোখ বুজে ছাপতে বাধ্য হওয়া, এমনকি তাঁরা পূর্ব প্রকাশিত লেখাও নতুন বলে ধরিয়ে দিলে অসহায় হয়ে পড়া - আমরা যেটা করতে পারি, কিছু লিখে ফেলা কাগজে, কম্পুতে, কোনো ভাবেই হয়তো সেই সদিচ্ছা, পরিশ্রমের আশেপাশেও যেতে না পেরে, কখনো কখনো কিছু রক্তপাত ঘটায়, গোপনে কোথাও।
  • indo | 59.93.***.*** | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৩:৩২499645
  • দীপ্তেন্দাদের সঙ্গে একমত আমিও; সত্যি বলতে সোমনাথ যেরকমটা বলেছে, এখান থেকে যদি কিছু প্রোমোশনাল অ্যাক্টিভিটি বাড়ানো যায়, সেটা মাথায় ছিল এই থ্রেড শুরু করার সময়। জাস্ট একটা ধরতাই। এখন ,সেটা কোনো একটাভাবে তো শুরু করতে হবে, আমি বুক রিভিউর মত করে তুলেছিলাম।
  • Arijit | 82.39.***.*** | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২২:৪৪499646
  • পরিচিতদের লেখাগুলো নিয়েই আলোচনার কথা ভাবলুম - প্রচেষ্টার সমালোচনা নয়...
  • indo | 59.93.***.*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৪:০২499647
  • বন্ধুজনের লেখালিখি নিয়ে কিঞ্চিত বক্কাবাজি হোক তবে।
    ইন্দ্রাণীদির(মৈত্র) 'হানুকা উৎসব' বেশ ভালো লাগলো,আর অর্জুনের 'মহাকাল বাবা'।
    আর এক ইন্দ্রাণীদিতে(দত্ত) মুগ্‌ধ হলাম। 'জীবনগানে' অবশ্য পড়বেন বন্ধুরা। তবে গল্পের নামটা অন্য কিছু হতে পারতো না?

    সৈকতের লেখা ভালো লাগে নি। ওর সেরা ফর্মের ধারেকাছেও না। বৈজয়ন্তদার লেখাতে কিছু তাড়াহুড়ো রয়ে গেছে মনে হল।
    এখনো বেশ কিছু লেখা পড়া হয়ে ওঠেনি। পরে লিখছি।

  • tan | 131.95.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০০:৫০499648
  • "অলিন্দ" সম্পর্কে আমার একটি জিজ্ঞাস্য ছিলো।
    এটি কি একটি সংকলনই থাকবে নাকি পরে দ্বিতীয় তৃতীয় ইত্যাদি করে আরো বেরোবার স্কোপ আছে?
    যদি সেরকম কোনো প্ল্যান থাকে তাহলে প্রথম সংকলনের ভুলত্রুটিগুলি পরে শুধরে নেয়া যায়। আর পরবর্তী পর্বগুলিতে বড়ো লেখক বা প্রবাসী লেখক বেশী না নিয়ে যেসব ছেলেমেয়েদের জন্য লাইব্রেরী হচ্ছে তাদের লেখা বেশী থাকলে ভালো হয়।তাদেরকে ভালো করে বুঝিয়ে দেয়াও বোধহয় শিক্ষক শিক্ষিকাদের একটা দায়িত্ব যে লেখা হতে হবে ওরিজিনাল,কোথাও থেকে নেয়া নয়।
    একটি কথা,একঝলকে যা দেখেছিলাম তাতে মনে হয়েছিলো কিছু কিশোর কিশোরী কিন্তু বেশ আন্তরিক লেখা দিয়েছে,নিজের আঁখো দেখা মন খোলা কাহিনি। এদের অনেকের মধ্যেই প্রতিশ্রুতি আছে বলে মনে হয়। সংকলনের ধারাবাহিকতা এদের সুপ্ত প্রতিভার স্ফুরনে কাজে লাগলেই বোধহয় সবচেয়ে ভালো।
    সবই ব্যক্তিগত মত অবশ্যই।
  • tan | 131.95.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ০০:৫৯499649
  • সম্প্রতি একটি বাংলা সাইটে রামধনু নিয়ে একটা ইন্টারভিউ পড়লাম।
    সবচেয়ে চোখে যা লাগলো তা হলো একটি প্রায়ান্ধকার ক্লাসরুমে গাদাগাদি করে মাটিতে বসে আছে বহু শিশু,দেয়ালে ঠেস দিয়ে রাখা একটি আধভাঙা ব্ল্যাকবোর্ডে লিখে লিখে তাদের পড়াচ্ছে ক্লাস সেভেনের একটি কিশোরী।
    এখন লাইব্রেরী হবে সে খুব ভালো কথা,কিন্তু ক্লাসরুমগুলোও কি একটু ভালো করে দেয়া যায় না? অন্তত আরো কটা জানালা? বসবার মাদুর চাটাই? ব্ল্যাকবোর্ড স্ট্যান্ড?
    লাইব্রেরীটা যেটা হবে সেটার অবস্থাই বা কিরকম হবে? শিশুরা কি সেখানে বসে বই পড়বে নাকি শুধু ওখান থেকে বই চেক আউট করবে?
    আমার পক্ষে এসব জানতে চাওয়া প্রায় অনুচিত,কারণ আমি রামধনুর সদস্য নই,অন্য কোনোভাবেও এই প্রোজেক্টে যুক্ত নই শুধু একখান লেখা অলিন্দে দেয়া ছাড়া,সেটা না থাকলেও অলিন্দের ক্ষতি কিছু হতো না।
    নেহাৎ অনেকদিন ধরে বাংলা সাইট পড়ি,অনেক কিছু চোখে পড়ে,প্রশ্নগুলো মনে এসে পড়ে,তাই বলেই ফেল্লাম। উত্তর না পাওয়া গেলেও কিছু ক্ষতি না অবশ্য।

  • indo | 59.93.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৮:৫৭499650
  • তীর্থ যথারীতি ব্যাপক ফর্মে। আগুন একটা ফাটাফাটি শুরু করেছিল। রেশমী তো বেশ লেখে !
    বাকিরা প্রায় প্রত্যেকেই গল্পটা বলতে পারে কম-বেশী; কিন্তু গল্পগুলো নতুন লাগল না। একটু আলাদা চেষ্টা সর্বাণী আর শমীকের।
    রমেশ চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ভালো লাগলো অচেনা বিষয়ের জন্য।
    ভবানীপ্রসাদ মজুমদারের ছড়াগুলো মুচমুচে; কোথাও কোথাও ছন্দ একটু কাঁচা রয়ে গেছে।
    যাদের কবিতা ভালো লাগলো:
    মন্দাক্রান্তা সেন, যশোধরা রায়চৌধুরী,মহুয়া মল্লিক রায়, আর্যনীল মুখোপাধ্যায়, অরণ্য,রোহন কুদ্দুস, সব্যসাচী সান্যাল।
  • indo | 59.93.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৯:১৮499652
  • খুন হয়ে যাই আবুল বাশারের লেখাটি পড়ে। আবুল বাশারে আমার চিরাচরিত পক্ষপাত,লুকোব কেন? ভালো লাগবে যদি জানি বাশার এটি অলিন্দর জন্যই বিশেষ করে লিখেছেন। উড়ো খৈ জানলে দু:খ হবে।
    শস্যপ্রয়াস এই লেখার নাম; একজন পাগল, একজন ডাক্তার, একজন মেয়ে যার বুকে নীল জড়ুল থাকে, একজন মেয়ে যার বুকে নীল জরুল নেই। কৃষক কবি। বাদাবনের বিষন্ন কাদা। বিধবা পল্লী। কামট যার পা কেটে নেয়, বাংলা ভাষা কি সমুদ্রে তলিয়ে যাবে একদিন? ঝুপ ঝুপ করে পাড় যদি ভাঙতে থাকে,গড়ান সম্প্রদায় ঘেমে ওঠে সাতটা বারোর লক্ষ্মীকান্তপুরে, আমাদের কি ভাষার সততা ছাড়া উপায় আছে কোনো? সুর্মা জরুল ভুলে থাকার উপায় আছে? থাকে?
  • damayantee | 202.54.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ১৯:২২499653
  • হ্যাঁ সত্যিই বিশেষ করে লিখেছেন। সময় নিয়ে, সমস্ত কথা শুনে, ভেবে তবে লিখেছেন।
  • indo | 59.93.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২০:০১499654
  • উদ্ধৃত করলে বরং ভালো দেখায়।
    'যাদের স্বামীকে সুন্দরবনের বাঘে খায়, তারা বিধবাপল্লীতে থাকে। বিদ্যাসাগর মশাই সেই পল্লী দেখেন নাই। সেই সব বিধবার মাথায় পোকা হয়। একটা ফনফনে যুবতী বিধবা আমার এই আঙুল কামড়ে দিলে আমার জ্বর হয়; সেই জ্বর হলে গা পুড়ে যায়।ঠোঁট শুকিয়ে যায়। মাথার ব্যামো ধরে; বুকের মধ্যে দক্ষিণ রায় আঁচরায়; আঙুল মরে যায়। তবু শস্যপ্রয়াস জারি থাকে। কবিতা জারি থাকে। এই হচ্ছে সমাচার।
    .... -হ্যা, একজন কবি কি করে শস্যপ্রয়াস করেন?
    - তাহলে শোনো, আঙুলের নখ দিয়ে আঁচড় টেনে টেনে বিনোদদা বর্ণবোধ শিখেছিলেন, মানে তাঁর বর্ণবোধ জন্মে। তাঁর কোনো শেলেট ছিল না।থাকলেও ভেঙে গিয়েছিল। বিনোদদা ভেবেছিলেন, ঘরের দেওয়াল অন্তত ভেঙে পড়বে না। তাই উনি দেওয়ালে লিখতেন। মাটির দেওয়াল।কিন্তু মাটির দেওয়াল মাটির শেলেটের চেয়ে ভঙুর। হল কি,দেওয়াল একদিন নদীর জলে গলে ভেঙে পড়ল। বিনোদদা দেখলেন , সামনে সাদা ফাঁকা শুন্যতা এবং চর। নদী কলকল করে ছুটছে। এটা ছিল মেদিনীপুরের নদী।ঝড়ঝঞ্জায় সব মুচড়ে ভেঙে নদীর গরাসে গেল।কিন্তু বিনোদদার বর্ণবোধ ঘুচল না। তিনি তারপর পালিয়ে চলে এলেন রাঙাবেলিয়া। তখন দুই পিঠের নদী দূরে ছিল। উনি ক্ষেতমজুরী করতেন আর লিখতেন। যেমন লেখক আব্দুল জব্বার ঘরামীর কাজ করেন, নিজের বাড়ির চাল নিজেই বাঁধতে পারেন। দখনে জীবনের নির্মম রুক্ষতা এবং সুন্দরী-গরান-হেতালের কাদাটে বিষন্নতা আমরা বুঝব না। সুন্দরবন মোটেও সুন্দর না। বিষণ্ন, ঘোর বিষণ্ন। মৌলেরা বনে মধু আনতে গেলে তাদের বাঘে খায়। বিধবাপল্লীতে গেলে দেখবে , মেয়েরা কি বিষণ্ন। তাদের সঙ্গে থাকলে তুমি মাথার ব্যামোতে ভুগবে। এক ডাক্তার ঐ সব মানুষের মনের রোগ সারাতে গিয়ে দেখলেন, একটা বাচ্চার পা নেই একখানা। জলে নামলে হাঙর খায় পা। বাপটা হাউ হাউ করে কাঁদে। তুমি দেখেছ, সেই সব মানুষ?
    .... পানের মধ্যে খেজুরের আঁটি চিবোতে চিবোতে নন্দিনী বলল, আপনার কবিতায় বাস্তবটা তাহলে মিথ্যা? মানে, বাস্তব কি তাহলে, কল্পনাই বা কি?
    -এখানে আমরা বড়ো বড়ো বেগুন করেছি, প্রকান্ড ব্যাপার। বেগুনটা দ্যাখো, এই বেগুন কৃষিমেলায় পুরস্কার পেয়েছে, মিঠে কুমড়োর সাইজ। এই বেগুন কল্পনার মত দেখতে। এটা আমি নিজের হাতে ফলিয়েছি। দ্বীপ যদি ডুবে যায়, তাহলেও বেগুনের গল্পটা থাকবে। বেগুন ফলিয়ে আমার যে আনন্দ হল বা কল্পনা উস্কে উঠলো, সেটা আমি কবিতায় লিখলাম। দুটি নদী যখন এই দুবিঘা জমি বাঘের মত খাবে, তখনো কাব্যটা মুদ্রিত থাকছে, এই আর কি! এই যেমন তুমি জীবনে যতবার শখ করে পান খাবে, ততবার খেজুর আঁটির কথা মনে পড়বে। চা খেলেই মনে পড়বে শুকনো পেঁপে পাতার ঝাঁঝ। এবং পাতি জর্দার গন্ধ। দার্জিলিং পাতার ফ্লেভারে তোমার যে মধ্যবিত্ত সুগন্ধ জড়ানো সুস্বাদু জীবন ছিল, রাঙাবেলিয়া তা কিন্তু আস্ত রাখল না। ব্যাপারটা এই রকম যে, শিকাগো শহরের হে-মার্কেটটাই রাতারাতি ডুবে সমুদ্রের মধ্যে ঢুকে গেল। জানো তো, সত্যি সত্যিই একরাতে হে মার্কেট তলিয়ে গেছে। ওখানে কোনো এক ১লা মে, শ্রমিকরা ৮ ঘন্টা কাজ, ৮ ঘন্টা ঘুম, ৮ ঘন্টা বিশ্রাম-বিনোদনের জন্য আন্দোলন করে জিতেছিল। ......'

    ঘাসের সবুজে কার রক্ত লেগেছিল। আমার ব্রত চক্রবর্তী মনে পড়ে বেশ।
  • indo | 59.93.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২০:৩০499655
  • বন্ধুরা, অলিন্দ কিনুন গো। যে যতগুলো পারেন। কিছু করুন , কিছু তো করুন।

    রোজরোজ লোচ্চামি আর হারামীপনা করতে করতে হারামীই হয়ে গিয়ে থাকতে পারি। পোকা তবু এক্কেবারে ছেড়ে চলে যায়নি। কুরকুর করে। সুবাতাস আসবে, ভাবে।
    সুপবন এরকমে আসে না, তাও জানলাম। মেটাগপ্পো শোনানোর ঠাকুমা নেই কোন। খুচখাচ কিছু তো হয়। একটা বাচ্চা মেয়ে বই পড়তে পেলে ভালো হয়।
    চুতিয়া হয়ে গেলেও একধরণের ধর্মবোধ আছে, নইলে এ পাতায় আসবো কেন? দু-এক ছটাক লিখবো কেন? দীপঙ্করদা ধর্মবোধ শব্দটিই বলে। আমার ভালো লাগে। দশ হাজার লাইন কবিতা না লিখে আমি যদি একখানা চারাগাছ পুঁততে পারতাম-বীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এইরকম লিখেছিল না?
    যাঁরা যাঁরা কাজটি করলেন, তাঁদের সক্কলকে গড় করি। কাজটি বড়ো করুন।
  • su | 61.2.***.*** | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৬ ২২:১৪499656
  • ইন্ডো,

    তোমার লেখা দেখে বেশ কিছু কথা লিখতে ইচ্ছে করছে। যদিও সব কথা এই থ্রেডে লেখা উচিৎ নয়, লিখতে ইচ্ছে করছে তাই লিখছি। লেখালিখির এই নাড়াঘাটা সময়ে আবুল বাশার কি করে আমাদের প্রিয় লেখক হয়ে ওঠেন তা ভেবেছ। আমারও এত অদ্ভূত লাগে। আমি অন্তত ওনার কাছ থেকে বেশ জোর পাই। যেটা উচ্চারণ করার সেটাই করব, বিশুদ্ধবাদীরা বলবে পলিটিক্যালি কারেক্ট, ঝোলা ব্যাগরা বলবে, কি মধুর চলন, আমরা হাসব।

    শষ্যপ্রয়াস যে উনি লিখেছেন, আমি পড়তে পেয়েছি ও অনেকে পেয়েছে এতেই এই ছেলেটা মহাখুশী।

    আর একটা লেখা নিয়ে যে তুমি এক লাইনের মন্তব্য করেছ, সেটা নিয়ে একটু বিস্তারে বলার ছিল। সর্বানীর লেখাটা হয়ত বেশ ছকা, কিন্তু লেখা হিসেবে বেশ মোটা নম্বর পায়। ও যেভাবে শব্দ দিয়ে অনুভূতি সাজিয়েছে, বিশেষণ না দিয়ে বাক্যমালা তৈরী করেছে, এটা বেশ ভালো চেষ্টা ।এই progressionটা আমাদের classical music এ আছে। এবং মনের ভাব একই বাক্যের ভেতর ভেঙে বুঝিয়ে একটা অন্য গঠন দিয়েছে। এটা মনে হয় খুব কনসাস হয়ে করা নয়। মজাটা প্রায় পুরো গল্পটা জুড়েই আছে।

    উদা-(ও যেভাবে শব্দ দিয়ে অনুভূতি সাজিয়েছে)

    ১) মেঝেটা বেশ ঠান্ডা , স্পর্শটা যেন শিরশির করে সারা শরীরে একটা ভালোলাগার আমেজ ছড়িয়ে দেয়।

    ২) ট্রাফিক আলোর সবুজ সংকেত পেয়ে অটোটা হটাৎ গতি বাড়িয়ে দিলে সেই ধাক্কায় সুকন্যার ভাবনায় ছেদ পড়ল।

    ৩) ছায়া লম্বা হতে হতে হঠাৎ যেন দৌড়ে এসে ধরে ফেলে

    অনেক আছে...

    উদা- (মনের ভাব একই বাক্যের ভেতর ভেঙে বুঝিয়েছে )

    ১) কল খুলেই জলে হাত দিতেই প্রায় ছিটকে ওঠে সে, এখনো এত গরম

    ২) ওর গলার মধ্যিখান অবধি দেখতে পায় সে, কি টুকটুকে লাল

    আরো যা প্রাপ্তি , ইমেজ তৈরী করা...

    মা পাখির শিশু পাখিকে খাইয়ে দেওয়া, পিঁপড়ে ধরে যাওয়া, " অনেক অনেকক্ষণ স্নান করে সে, শাওয়ারের নীচে দাঁড়িয়ে প্রতিটি জলকণা দিয়ে সমস্ত ক্লান্তি, সব অবসাদ ধুয়ে মুছে নিশে:ষ না হয়ে যাওয়া ওবধি"।

    আমার কর্ত্তাতি ...

    তোমরা খুঁজে বার কর, এটা আসলে লিঙ্গ নির্মাণের (প্রতিষ্ঠার) গল্প।

    আর পাখিটা শকুন নেওয়ার মধ্যে যে রাজনীতি আছে, সেটার ডায়লেক্টিক বিস্তার ভাষা বিণ্যাসের কোথায় ঘটেছে, বলতে পারো ?
  • sumeru | 61.2.***.*** | ০১ মার্চ ২০০৬ ০০:৫৪499657
  • রামধনু,

    তোমার বইতে একটা দারুন জিনিস আবিস্কার করলাম। সংকলনটিতে ৪০২ ও ৪০৩ পৃষ্ঠা আছে।

    কিশলয় চিহ্নিত এই অংশে একটি গল্প ছাপা হয়েছে। আকারে দেখতে গেলে খুব ছোট্ট, কিন্তু এর পেছনে আমি যে বেশ অনেককিছু দেখতে পাচ্ছি। আচ্ছা গল্পটা সবাইকেই বলা যাক।

    তা বলে রামধনু ভেবে বোসনা আমি পম্পার গল্পটা বলব। আমি আমার গল্পই বলব।

    রেললাইনের পাশে একটা ছোট ঘর ছিল। রেললাইন কি অমন finite , যেমন একটা গাছ একটা আম একটা ছেলে? তুমি যদি আব্বাস কায়রোস্তামি, ফোটোগ্রাফার কায়রোস্তামির কোন কাজ দেখে থাকো তাহলে জানো বিশ্বের সমস্ত রেললাইন যদি আমরা ঘুরে আসি নিমেষে, একটি বাড়ি ই খুঁজে পাবো। একটা বটগাছ। তার পাশেই শ্মশান। কিছু কি বোঝা যাচ্ছে? দুটো সারফেস। একটা দিয়ে কামরার পর কামরা যাচ্ছে বিভিন্ন স্বাদ গন্ধের স্মৃতিযুক্ত মানুষদের নিয়ে, আইনষ্টাইন তার পাশে রাখলেন একটা বাড়ি, সে বাড়ি ও যে বাড়ি নয়, সে হরপ্পা সভ্যতা, সে আমরা পরে বুঝব। আর শ্মশান- ঘরহীন, স্বাদহীন, গন্ধহীন একযাত্রার আয়োজন বা সারফেস। এই আমি যে এতখানি ভ্যানতারা করলাম পম্পা এটা লিখেছে বারোটা শব্দে, তিনটে পূর্ণচ্ছেদ, ছাপার অক্ষরে এক লাইন।

    সেই ঘরে ভুত থাকত। প্রতিটা ঘরেই এমন ভুত বাস করে। পম্পা কি স্মৃতির কথা লিখছে? তোমার আগের আগের আগের বছর ও মূহুর্তগুলি যেমন থমকে আছে ঘরের দেওয়ালে আসবাবে স্মৃতিতে, যেভাবে বিল্ডিং হেরিটেজ হয়। বেশ তো। একটা ঘর ছিল স্মৃতি ছিল স্তরীভূত, যেমন কয়লা হয়, এক একটি স্তরকে এক এক নামে ডাকি, এমনতো মেঘেদেরও ডাকি আমরা। সুতরাং ঐ ঘরটিতে ছিল বিভিন্ন নামের পরত। এরপর ধাপে ধাপে লেখা হবে সভ্যতার অগ্রগতির কথা। ক্ষমতা বন্টন, আলো ও শব্দের ব্যবহার যুক্ত হবে তাদের চিন্তায়। 'তখন সবাই বলল, এটাও তো একটা চিন্তার বিষয়'। সমাজে মানুষের ভূমিকা, অর্থনীতির সাথে তার সম্পর্ক, সিস্টেম ও তার সন্মন্ধ। শ্রেণীবিণ্যাস ও সম্যক দর্শনচর্চা এ যাবত লেখাপত্তরে খুব বেশি দেখিনা। গল্পটা মন দিয়ে পড়, ভারী মন দিয়ে পড়, যদি ইচ্ছে হয় শব্দ ধরে ধরে পড়, এ গল্প আসলে কোন গল্পই নয় যেন একটা বটগাছ। 'রেললাইনের পাশে একটা ছোট ঘর ছিল। একটা বটগাছ। তার পাশেই শ্মশান'।

    কিছু নোটস।

    ১। দর্শনচর্চা-

    ক)
    - আমি মরতে চাই।
    - কেন তুমি মরতে চাও।

    একজন মানুষ ও তার অতীতের কথোপকথন।

    খ)
    - বন্ধু? কে তোমার বন্ধু?
    - আমার বন্ধু হল ভুত।

    ২। ফ্রয়েড...

    লোকটা বলল, আমার নাম রাণু।

    ৩। মহাকাল বা গ্রেট মাদারকে আরেকটি সারফেসে যুক্ত করা হল এবং সবকিছুই যে ক্ষণস্থায়ী সেইটা প্রমাণের জন্য তামাম দুনিয়ায় পাতা রেললাইনের পাশে লক্ষ্য কর কি অবলীলায় মানুষ প্যান্ডেল বেঁধে চলেছে, ক্ষণস্থায়ী উৎসব ক্ষণস্থায়ী মিলন ক্ষণস্থায়ী জনকোলাহল।

    ৪। বাংলা ভাষা।

    ক) 'মানুষ ভুতেদের থেকে ভয় পায়, তাহলে কী হবে?'

    অতীত যদি মানুষকে ভয় দেখায় তাহলে সত্যি কি হবে?

    খ) 'তুমি কি করে আলো, প্যান্ডেল, মাইক ভাড়া করবে সেটা তোমার কাজ।'

    বস্তুত এটি একটি ভাবনা। আসলে ভাবনাটাই কাজ।

    গ) 'এই বলে রাণু বাড়ি ফিরছে এমন সময় রাণু শুনতে পেল, ঠাকুরমশাই মারা গেছে। তখন রাণু নাচতে নাচতে ভুতেদের খবর দিল যে ঠাকুরমশাই মারা গেছে। তখন সব পুজোর আয়োজন করতে লাগল। পুজোয় সবকিছু হয়ে যেতে ঠাকুরমশাইকে সবাই নিয়ে যেতে এলেন। ঠাকুরঘরটা আলোয় আলোয় ভরিয়ে তুলছে'।

    দেখ অত সহজে জীবিত ও মৃতের ব্যবধানটুকু ভেঙে দিচ্ছে ভাষা এবং এই ঠাকুরঘরটি নিয়ে আমি বেশ ধন্দে আছি। ঠাকুরমশাইয়ের মারা যাওয়াটা কি চমৎকার শ্রেণীবৈষম্য ভেঙে ঢুকে পড়ছে অতীতের ডিকশনারীতে।

    ঘ) 'সপ্তাখানেক আগে গ্রামের প্রধান নরেনবাবু মারা গেছেন। তিনি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক। তিনি বলছেন, ভুতেরা মানুষের যত খুশি ক্ষতি করতে পারে। কিন্তু ভুতেরা তার কথায় কান না দিয়ে সবাই বলল, আমরা ভাল করে যাব'।

    বিদ্যুৎগতিতে লেখক ভ্রমণ করছেন অতীত বর্তমান ও ভবিষ্যত। রেললাইন, বটগাছ ও শ্মশান। লক্ষ্য কর সারফেসগুলি কি অসামান্যভাবে ক্রিয়া করে চলেছে ভাষার গঠনে। লক্ষ্য কর, গভীরভাবে লক্ষ্য কর। একদিন তুমিও পবে সেই গল্পটির সন্ধান। তোমারও গল্প হবে। রেললাইনের পাশে একটা ছোট ঘর ছিল। একটা বটগাছ। তার পাশেই শ্মশান।

    এই গল্পটার নামও ভীষণ অদ্ভুত। আমি আর এখানে বলছিনা। লেখক সম্ভবত এই মুহুর্তে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে। ধন্যবাদ সেইসব স্নেহশীল সম্পাদক বন্ধুদের যারা এই লেখাটি, আমার গল্পটি তৈরি করার সুযোগ দিয়েছেন, অন্তত সম্পাদনা করার নামে সিমেন্টের পলেস্তারা বসিয়ে মহেঞ্জোদারোর সাজানো ইঁটের স্নানাধারটি ঢেকে দেননি।

    ভাল থেকো রামধনু।

    সুমেরু
  • damayantee | 59.144.***.*** | ০১ মার্চ ২০০৬ ১০:১১499658
  • তনু,

    বারুইপুরের বাচ্চাদের জন্য আগ্রহ দেখিয়েছ, প্রশ্ন করেছ, খুব ভাল খুব সদর্থক উদ্যোগ তোমার। আমাদের সাধ্যমত আমরা কিছু ভেবেছি ও করতে উদ্যোগী হয়েছি। সেটাই শ্রেষ্ঠ পথ এমন দাবী আমরা করি না। একসাথে একের বেশী কাজ করাও আমাদের সাধ্যের বাইরে। তাই আপাতত আমাদের লক্ষ্য শুধুই লাইব্রেরী। বসে বই পড়বে বাচ্চারা, না বাড়ী নিয়ে যাবে, কটা করে বই নেবে, এ সবই স্থির করবেন তাঁরা, যাঁরা ওখানে কাজ করছেন, অর্থাৎ "নিষ্ঠা"র সদস্যরা।

    ছবি প্রসঙ্গে:
    ছবিতে আলোর কম বেশী হতে পারে বা দিনের কোন সময়ে ছবি তোলা হয়েছে তার ওপর নির্ভর করে আলোর ব্যাপারটা । কাজেই ছবি দেখে illumination বোঝা যায় কি ? আর properly luminous ক্লাশরুম আমাদের দেশে কটা স্কুলে আছে? প্রায়ান্ধকার হতে পারে গোধুলি বেলায় , তবে ওটা ক্লাশরুম নয় । এই বাচ্চারা সবাই গ্রামের স্কুলে পড়ে । কিন্তু পারিবারিক অসুবিধে ইত্যাদির জন্য স্কুলে খুবই অনিয়মিত । মাঝে মাঝেই স্কুলে অনুপস্থিতির দরুণ পড়া বুঝতে পারেনা ধারাবাহিকতার অভাবে , ফলে ক্লাশে মন বসেনা , ভালো লাগেনা। এদের অধিকাংশই প্রথম প্রজন্মের শিক্ষার্থী, তাই ক্লাশের পড়া না বুঝলে বাড়িতে দেখানোর কেউ নেই। "নিষ্ঠা" গ্রামে গ্রামে গড়ে তুলেছেন বালক বালিকা বাহিনী, কিশোর কিশোরী বাহিনী। এরা আরও অনেক কাজের সঙ্গে গ্রামের বাচ্চাদের পড়াশুনোর খোঁজ রাখে । কেউ একটানা বেশি দিন স্কুলে না এলে, কারণ অনুসন্ধানে বেড়িয়ে পড়ে , অন্য প্রদেশে শ্রমিক হিসেবে যেতে বাধ্য হল কিনা বা বালিকারা ট্র্যাফিকিংএর শিকার হল কিনা তার খোঁজ নেয় সার্থক ভাবে। এদের পক্ষে পড়াশুনো চালানো প্রচন্ড কঠিন এক কাজ । তাই এই বিভিন্ন বাহিনীর ছেলে মেয়েরা নিজেদের পড়ার সঙ্গে সঙ্গে এদের পড়ায় সাহায্য করার দায়িত্ব তুলে নিয়েছে স্বেচ্ছায় নিজেদের কাঁধে । স্কুলের পর , ছুটির দিন এদের " ক্লাশ ' বসে । ঐ ছবি এমনই এক অপরাহ্ন বেলায় তোলা , নিষ্ঠার একটা সেন্টারে । এই সব বাচ্চারা অন্য অভিভাবকদেরও বুঝিয়ে দেয় প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা । এই প্রচেষ্টায় স্কুল-ছুটের সংখ্যা ধীরে ধীরে কমে আসছে। গ্রামের ইউথ ক্লাবের সদস্যদের আগে কোন ওয়ার্কশপ করিয়ে ট্রেনিং দেওয়া হয়। ট্রেনিং দেন বিভিন্ন স্কুলের অভিজ্ঞ শিক্ষক , যেমন 'লা-মার্টস'-এর অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক , 'লোরেটো হাউস'-এর শিক্ষিকা বা স্থানীয় স্কুলের শিক্ষক। এই ট্রেনিং প্রাপ্তরা কিশোর বা বালক বাহিনীর বাচ্চাদের শিখিয়ে 'এডুকেশান ভলান্টিয়ার' বানান। তারা তখন সম বয়সীদের পড়ায় । সমবয়সীরা পড়ালে খুব ভালো ফল পাওয়া যায়, কারণ তারা সমস্যাগুলো বোঝে ভালো।

    তবে এসব কাজই "নিষ্ঠা" করেন , আমাদের রামধনু পরিবারের এখানে কোন ভুমিকা নেই। আমরা শুধু ঐ বাচ্চাদের সংস্পর্শে এসে এই লাইব্রেরী উপহার দিতে চাই। "নিষ্ঠা" যে বিপুল কর্মযজ্ঞ চালাচ্ছেন সেখানে কটা জানলা করে দেবার ধৃষ্টতা আমাদের অন্তত: নেই। তাছাড়া ওটা একটা লম্বা ছাউনি, এক দিকে দেওয়াল , অন্যদিকে খোলা মাঠ, অর্থাৎ পুরোটাই জানলা , অনেক কিছুর অভাব থাকলেও আলোর অভাব অন্তত নেই। একটা ছবি দেখে আলটপকা মন্তব্য করে কি কোন সমস্যার সমাধান হয়? আমাদের রামধনু পরিবারের যারা গিয়েছেন কেউ ব্ল্যাক বোর্ড স্ট্যান্ডের অভাবে কিছু আটকে আছে বলে দেখেননি। এই কোচিংক্লাশে বিজ্ঞানের ছোটখাট পরীক্ষা করার যন্ত্র পাতিও আছে, যা শহরের নামী দামী কোচিংসেন্টারেও নেই।

    আমাদের অলিন্দ আরেক দিকে সফল। এই বইএর মাধ্যমে অনেক বন্ধুরাই নিষ্ঠার কথা জেনে উৎসাহিত হয়ে নানাভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। নিষ্ঠা উপকৃত হলেই আমাদের সার্থকতা। অলিন্দ পড়েই এগিয়ে এসেছেন ঐ বাংলা সাইট, ঐ শিশু শিক্ষক দের ছবি দেখে , তাদের প্রয়াস জেনে অনেকের ঐ ছবি মনে হয়েছে আলোর ঝর্ণা, কেউ বা সেখানে অন্ধকার দেখেছেন । সবার দৃষ্টি যে এক হতে পারেনা তা নিষ্ঠার বাচ্চারাও জানে। গ্রামেও ওদের প্রচুর নেতিবাছক সমালোচনার বিরুদ্ধে লড়তে হয় কিনা।

    এই উদ্যোগ সমাপ্ত হলে অর্থাৎ অধিকাংশ বই বিক্রী হয়ে লাইব্রেরী তৈরী হলে তবেই আসবে দ্বিতীয় বইয়ের প্রশ্ন। তা যেমন হতে পারে অলিন্দ'র দ্বিতীয় সংস্করণ তেমনই হতে পারে সম্পূর্ণ নতুন একটি বই। আমাদের রামধনু পরিবারের ভবিষ্যত কর্মপন্থা আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে ঠিক করবো। বই প্রকাশের প্রধান উদ্দেশ্য ফান্ড রেইসিং। কি রকম লেখা দিলে বই জনপ্রিয় হবে সে সম্বন্ধে কিছু অভিজ্ঞতা আমরা লাভ করলাম , করেছি। মাঠে না নেমে , নিরাপদ দুরত্বে থেকে পরামর্শ দিয়ে গেলে এই অভিজ্ঞতা হত না।

    আরো কি কি করা যেতে পারে, সে সম্বন্ধে তোমার পরিকল্পনা, হোক না তা নিছকই স্বপ্ন---- জানাও না "নিষ্ঠা"কে। ওঁরা খুশীই হবেন। কি ভাবে কি করা যেতে পারে, funding এর জন্য কি করা যায়---- সমস্ত টা সুন্দর করে ছকে ফেলে নিষ্ঠাকে জানাও। নিষ্ঠার সাইট

    শুভেচ্ছান্তে
    দময়ন্তী
    (রামধনুর পক্ষ থেকে)
  • tanu | 131.95.***.*** | ০১ মার্চ ২০০৬ ১৯:৫২499659
  • লেখার কথা ছিলো না,তবু মনে হলো লিখলে ভুল বোঝাবুঝিটা দূর হতে পারে।

    আমি আগের চিঠিতে কোনোভাবেই কাউকে আঘাত করা বা মহৎ একটি প্রচেষ্টার সমালোচনা করার জন্য লিখিনি।নিরাপদ দূরত্বে থেকে উপদেশও দেবার জন্য নয়।বস্তুত সেরকম কোনো অধিকার কখনোই আমার থাকতে পারে না।
    নেহাৎ কতগুলো প্রশ্ন ছিলো,রামধনুর প্রধান উদ্যোক্তার সাক্ষাৎকারটিও খুব নাড়া দিয়েছিলো(ওনার সাক্ষাৎকার এই প্রথম আমার দেখা,আগে কোথাও দেখিনি,হয়তো প্রকাশিত হয়েছে,আমি দেখতে পাইনি),তাই প্রশ্নগুলো করা। এতে কোনোভাবেই কোনো সমালোচনার নামগন্ধ ছিলো না।যে কটি ছবি ঐ সাক্ষাৎকারের সঙ্গে ছিলো তাছাড়া এর সঙ্গে চাক্ষুষ পরিচয়ও নেই আমার। তাই হয়তো বুঝতে ভুল হয়েছে।
    অনেক কিছুই জানতে পারলাম,ভবিষ্যতে হয়তো আরো অনেক কিছুই জানতে পারবো।শুভ প্রচেষ্টা দিন দিন সবকিছু শ্রীময় করে তুলুক এই প্রার্থনা।
    অজান্তে কাউকে কোনোভাবে আহত করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী।
    আর... হয়তো আরো উত্তর প্রত্যুত্তর আসতে পারে,কিন্তু আমি নীরব হলাম।আমার যা বক্তব্য,তা শেষ হয়ে গেছে।
    সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিদায়।
  • vikram | 147.2.***.*** | ০১ মার্চ ২০০৬ ২১:১২499660
  • তনু একটা দাবি করেছে। তার উত্তর পেয়েছে। তাতে সে খুশি বা অখুশি বা কোনোটাই নয়। যে উত্তর দিয়েছে তার ও ঐ।
    এইসবের মধ্যে এমোশান কোথায় আসছে?

    তবে ব্যক্তিগত মেলে/ফোনে কিছু হয়ে থাকলে ভুল জায়গায় নাক গলিয়েছি।

    বিক্রম
  • raamdhanu | 202.128.***.*** | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০০৬ ১৬:১১499663
  • গত বছর মহালয়ায় আত্মপ্রকাশ করেছিল "অলিন্দ"। তারও আগে প্রায় এক বছরের জেস্টেশন।
    আমাদের রামধনু পরিবারের সবার ঝুলি ভরে আছে টুকরো টুকরো নানা অভিজ্ঞতায়। বন্ধুদের আগ্রহ, হিতৈষীদের শুভেচ্ছা, বহু শ্রদ্ধেয় গুণীজনের উপদেশ, আশীর্বাদ নিয়ে দিনের আলো দেখল অলিন্দ। এই এক বছরে অনেকর হাতে পৌঁছে গেছে।
    পাশাপাশি এবার নিষ্ঠার সঙ্গে লাইব্রেরি তৈরির উদ্যোগ নেওয়াও শুরু হয়ে গেছে। প্রাথমিক পরিকল্পনা, ডিজাইন , হিসেব পত্র ইত্যাদি। বর্ষার পরই হয়তো নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে যাবে।
    বাকি অলিন্দ-ও নিশ্চয় সবার সহযোগিতায় বিক্রি হয়ে জাবে এই আশা রাখি।

    আসন্ন শারোদৎসবে সবার সব আশা ফলবতী হোক।
    রামধনুর তরফে সবাইকে শুভ কামনা ।

    রামধনু।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন