এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • অভিবাসন, অনুপ্রবেশ, মানবাধিকার

    r
    অন্যান্য | ১৬ মার্চ ২০০৬ | ৪৪১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dam | 202.54.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ১৮:৩৭497452
  • হ্যাঁ। এই বিষয়ে আমার কিছু বক্তব্য আছে। কিন্তু তার আগে একটা কথা - অনুপ্রবেশ একটা সমস্যা। তা অনুপ্রবেশকারীদের মানবাধিকার যেমন রক্ষিত হওয়া উচিৎ, একইভাবে অধিবাসী (যারা হয়ত ৩০-৪০ বছর আগে অনুপ্রবেশকরীই ছিল) দের মানবাধিকারও রক্ষিত হওয়া উচিৎ - এটা মান তো?
  • r | 202.144.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ১৮:৪৭497455
  • অনুপ্রবেশ:

    রাষ্ট্র অনুপ্রবেশকারীদের কি ভাবে দেখবে? মানবাধিকারের মতানুসারে এই অনুপ্রবেশকারীরা নিজেদের দেশে নিপীড়িত, অত্যাচারিত। অতএব এদের অপরাধী বলে চিহ্নিত করা অনৈতিক। মেনে নেওয়া গেল। কিন্তু এর সাথে সাথে এও মানতে বাধ্য হলাম যে নাগরিকত্বের সংজ্ঞা পালটানো দরকার। অর্থাৎ রাষ্ট্রকে নাগরিকত্ব নির্ণয়ের দায়িত্ব থেকে মুক্তি দিলাম। রাষ্ট্র বলে আপাতত: যে ব্যাপারটা চলছে তার বনিয়াদ একটু ঢিলে হল। অথচ রাষ্ট্র এইবার যদি বলে- ঠিক আছে, আমি যখন জানি না কে নাগরিক হতে পারে বা কে হতে পারে না, তখন সবার ন্যূনতম জীবনধারণের দায়িত্ব থেকেও আমি সরে গেলাম। এইবার আমরা হাঁ হাঁ করে উঠব। অর্থাৎ, অনুপ্রবেশকারীদের শাস্তিদানের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হাত থেকে কেড়ে নেওয়ার সাথে সাথে তাদের জীবনধারণের দায়িত্ব রাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হল। এবার যারা অনুপ্রবেশকারী নন তারা? তাদের বাড়া ভাতে যদি ছাই পড়ে? কারণ অর্থনৈতিক সম্পদেরও একটা সুনির্দিষ্ট সীমা আছে। তাহলে আমরা কোথায় গিয়ে দাঁড়াচ্ছি? তবে বলে নেওয়া দরকার যারা অনুপ্রবেশ নিয়ে হল্লাগুল্লা করেন তাদের উদ্দেশ্য অতীব বদ। কারণ তাদের কাছে ধর্মভেদে কেউ অনুপ্রবেশকারী, আর কেউ আশ্রয়প্রার্থী। কিন্তু বদ লোকে কিছু বলছে বলেই সমস্যা নেই তা তো নয়।

    অভিবাসন:
    অভিবাসনের ফল বিভিন্ন সংস্কৃতির সহাবস্থান। অনেক ক্ষেত্রে সেই সহাবস্থান হিংসার চেহারা নেয়। অতি সম্প্রতি যা ফ্রান্সে দেখেছি। অনেক দেশ অভিবাসীদের আত্তীকরণের নীতি গ্রহণ করে। অনেক ধর্মনিরপেক্ষ, গণতান্ত্রিক দেশ। ফ্রান্স, তুরস্ক ইত্যাদি। আমরা যথারীতি বিরোধিতা করি কারণ আত্তীকরণ বকলমে এক ভাষা, এক রাষ্ট্র, এক জাতি। ধর্ম বলা হয় না কারণ পশ্চিমে ওটা ফ্যাশনেব্‌ল নয়। এইবার সমস্যা একটু ছোটো মাত্রায় দেখি। ধরা যাক আর কিছু বছর পরে কলকাতার পঁচিশ শতাংশ বিহার থেকে আসা, দশ উত্তরপ্রদেশ থেকে, আরও পঁচিশ রাজস্থান, গোটা দশ উড়িষ্যা ইত্যাদি। ধরা যাক বাঙালী পড়ে আছেন কুড়ি থেকে পঁচিশ শতাংশ। তখন কি আমরা বাঙালীত্বে আত্তীকরণের কথা বলব? নাকি বলব বিবিধের মাঝে দেখ মিলন মহান?
  • DamaruDhakkaapaTakaananda | 128.24.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ১৯:৩৫497456
  • জীও বেটা।
  • Babaji | 213.173.***.*** | ১৬ মার্চ ২০০৬ ২১:১৬497457
  • অনুপ্রবেশকারীদের অভিবাসীতে উন্নীত হবার প্রসেসে অনেক গোঁজামিল চলে। সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল রাষ্ট্রের তথা নিজের দলের স্বার্থে অনুপ্রবেশকারীদের শ্রেণী নির্ধারণ করে থাকে।
    অনুপ্রবেশকারী তার নিজের নিজের দেশে কতটা নিপীড়িত সেই নিয়েও সন্দেহ আছে। কারণ অধিকাংশ সময়েই অসহায় নি:সম্বল অত্যাচারিত উদ্বাস্তু মানুষের হাতে বিমানমাশুল আর আনুষঙ্গিক অন্তত কয়েকমাস প্রাথমিকভাবে নিজদায়িত্বে পশ্চিমের উন্নত দেশগুলোয় থাকার মত আর্থিক সংস্থান থাকে না। কিন্তু পাশের দেশ হলে উদ্বাস্তু সেখানে পায়ে হেঁটে পৌঁছতে পারে। যেমন ঘটছে সুদানে। দারফুরের নি:সম্বল এক পরিবারের হাতে কিন্তু ফ্রান্স বা নেদারল্যান্ডসে উড়ে গিয়ে বসবাস করবার সংস্থান নেই। কিন্তু আলজিরিয়ার কোনো পরিবারের সে আর্থিক সংস্থান আছে। এখানে ধর্ম গৌণ। আজ থেকে ২০-৩০-৪০ বছর আগে ফ্রান্সে দরকার ছিলো নীচু কাজ করে দেবার লোকেদের। ঝাড়ুদারের কাজ বাসন মাজার কাজ মেথরের কাজ চাকরের কাজ , কম পয়সায়। তখন এরা ঢুকে গেছে। তারপর মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়েছে। নাগরিকত্ব অর্জন করেছে। আজ তাদের শিক্ষিত সন্তানের পাওনা একটা উঁচু কাজ। কিন্তু রাষ্ট্রশক্তির সেখানেই আপত্তি। প্রতিদিন প্রচুর "বৈধ"/"অবৈধ" অভিবাসীর অনুপ্রবেশ ঘটছে পশ্চিমের দেশগুলোয়। তাদের কেউ কেউ পাচ্ছে নাগরিকত্বের আশ্বাস, কেউ কেউ পাচ্ছে না। এদের মধ্যে কে "বৈধ" কে "অবৈধ" তা ঠিক করে রাষ্ট্র। তাদের নিজেদের মাপকাঠি দিয়ে। যারা নাগরিকত্বের আশ্বাস পেয়ে গেল তাদের জন্যে ঐ দেশের মাটি বরাবরের জন্যে পাকা হয়ে গেল এমন ভাবাও ঠিক নয়। আর যারা অবৈধ, তারাও হেসে খেলে কিছু বছর কাটিয়ে ভালো সঞ্চয় নিয়ে নিজভূমে ফিরে যাবে।
  • dam | 61.246.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১০:২০497458
  • শুধু নিপীড়িত বা অত্যাচারিত হয়েই কেউ নিজের বাড়ীঘর, শেকড়বাকড় ছেড়ে অনুপ্রবেশ করতে যায় না। প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবদ্ধতা, মাথাপিছু চাষযোগ্য জমির অপ্রাচুর্য্যও বাধ্য করে এক বিরাট জনগোষ্ঠীকে অপেক্ষাকৃত সমৃদ্ধিশালী রাষ্ট্রে অনুপ্রবেশকারী হতে। উদাহরণস্বরুপ বাংলাদেশের কথাই ধরা যাক। অত্যাচারিত হয়ে অথবা অত্যাচারিত হবার ভয়ে, যেমন হিন্দুরা এসেছে ও আসছে তেমনই স্রেফ পেটের দায়ে বহু মুসলমানও এসেছে এবং আসছে। দ্রুত জনসংখ্যা বৃদ্ধি টান ধরিয়েছে প্রাকৃতিক সম্পদে। অনেক ক্ষেত্রে মাথাপিছু চাষযোগ্য জমির পরিমাণ এতই কমে গেছে যে তা একটা গোটা পরিবারের জীবনধারণ প্রায় অসম্ভ। ভারী শিল্প বলতে তেমন কিছু নেই --- যার ওপরে ভরসা করে থাকতে পারে , তাই বহু বাংলাদেশী নাগরিক পাড়ি জমায় ভারতের উত্তরপূর্ব অঞ্চলে, যেখানে প্রাকৃতিক সম্পদ এখনও প্রচুর। কিন্তু ক্রমাগত অনুপ্রবেশের ফলে তাতেও টান ধরছে। ফলে বাড়ছে অসহিষ্ণুতা ও অশান্তি।

    দেশভাগের পর থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত যাঁরা এসেছেন, তাঁদের প্রতি in geneal একটা সহানুভুতির ভাব আছে। এঁরা অনেকেই ইতিমধ্যে নাগরিকত্ব পেয়েছেন এবং এদেশেও মোটামুটি রকম সুপ্রতিষ্ঠিত। কিন্তু অনুপ্রবেশের ধারাটি অব্যাহত থাকায় পরবর্তীদের প্রতি আর সেই সহানুভুতির ভাব নেই। হয়ত থাকা সম্ভবও নয়। ধরা যাক ক এসেছেন ১৯৭১ এ। তিনি এসে রিকশা চালাতেন এবং এখন তিনি একটি রিকশার মালিক। এবারে খ সদ্য এসেছেন। তিনি বেঁচে থাকার তাগিদে ৫ কিমি যেতে ৩ টাকা ভাড়া নিচ্ছেন। ফলে আমি গিয়ে 'খ'য়ের রিকশাতেই চড়বো। এরকমই আরো অনেকেই তাই করবে। ফলে 'ক' ক্রমশই বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবেন। তিনি আমার ওপরে প্রকাশ্যে রাগ করতে পারেন না,কারণ একে তো খদ্দের লক্ষ্মী। দ্বিতীয়ত তিনিও মনে মনে মানেন যে খদ্দের যেখানে সস্তা পাবে সেখানেই যাবে। স্বাভাবিকভাবেই 'ক' চাইবেন 'খ' কে এখান থেকে তাড়িয়ে দিতে।

    আবার যে আমি ৩ টাকায় ৫ কিমি যেতে পেরে 'খ'এর রিকশায় চড়ি, সেই আমিই যদি দেখি কোন এক 'জ' এসে আমার তুলনায় বাৎসরিক ৩-৪ লাখ কম টাকায় আমার কাজ করে দিচ্ছে, আমি প্রচন্ড ক্ষেপে যাব এবং প্রমাণ করতে চেষ্টা করব 'জ' এর দেশে পড়াশোনার মান অত্যন্ত নীচু। অথবা 'ভুমিপুত্র'র দাবী তুলব -- ইত্যাদি।

    এবারে 'ক', 'খ', 'জ' এবং আমার , প্রত্যেকেরই মানবাধিকার রক্ষিত হওয়া প্রয়োজন। সেই সীমারেখাটা কিভাবে টানা সম্ভব? আমিও মনে মনে স্বীকার করছি যে 'খ' বা 'জ' এর জায়গায় থাকলে আমিও অপেক্ষাকৃত সমৃদ্ধ দেশে অনুপ্রবেশ করতাম, কিন্তু আমার বা 'ক' এর সমস্যাটাও তো বাস্তব।

    তাহলে?

    # ব্যাপারটা ছড়িয়ে যাবে বলে আমি আইনশৃঙ্খলার ইস্যুগুলো আপাতত আনলাম না।
  • m | 24.166.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১০:৩৬497459
  • আমেরিকাতে সাধারণভাবে সমস্ত নিচের তলার কাজ গুলো করে থাকে মেক্সিকো থেকে আসা লোকজন। আমেরিকার সরকার নিজেদের দরকারে এই অভিবাসন মেনে নিয়েছে।একটা টিভি প্রোগ্রামে দেখাচ্ছিলো,একজন শ্রমিক,গরুর চামড়া প্রসেসিংএর কারখানায় কাজ করে ,তার মাসে রোজগার ১৮০০ডলার।বাড়ি তে ছটা বাচ্চা,বাবাএবংস্ত্রী তার সেই রোজগারের উপর নির্ভর্শীল।নিজের দেশে সে বছরে একবার যায়।পুরো পরিবার নিয়ে সে আমেরিকায় আসতে চায়।মেক্সিকো সিটি তে এসে তারা ভিসার জন্যে আবেদন করে। তার সামান্য রোজগারে এত বড় পরিবারের প্রতিপালন সম্ভব হবে না জেনে তার দুটো বাচ্চা কে অন্য একজন স্পন্সর করে।বাবার আবেদন নাকচ হয়।লোকটি তার বড় মেয়েকে বাবার সঙ্গে দেশে রেখে বাকি পরিবার নিয়ে আমেরিকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়।এই খানেই প্রতিবেদন শেষ।ধরেই নেওয়া যায়,এর ছেলে মেয়েরা লেখা পড়া তেমন শিখবে না,প্রাথমিক স্কুলের গন্ডী পেরোবে না,বা পেরোলেও বেশি দূর এগোবে না।এদের জন্যে নাগরিকত্ব সুলভ বলে এরা আমেরিকান হিসেবে সেই লো-এন্ড জব গুলো ই করে যাবে,যা এদের বাবা-দাদা রা করে এসেছে।আমার প্রশ্ন এরা কি ভাবে সাধারণ জনস্রোতে মিশে যাবে? প্রতিবেদনে আরো দেখিয়েছিলো,রোজ ওখানকার আমেরিকান দূতাবাসে লোকের ভীড় উপচে পড়ে,এবং লোকে দালাল ধরে অবৈধ উপায়ে,যে ভাবে হোক চলে আসতে চায়।

    এইবার মজার ব্যাপার হলো,এখান কার (ক্যানসাসের) প্রিস্কুলে ভর্তির সময় ইংরেজি ভাষী আমেরিকান ছড়া আর সব বাচ্চা কে ইংরেজির সামান্য পরীক্ষা দিতে হয়।এই নিয়ম সাদা চামড়ার ইউরোপীন বাচ্চাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।এত দিন স্কুলে ভর্তির পর হিস্প্যানিক,পূর্ব ইউরোপীয়,এবং,এশিয়ান(মূলত চীনে-জাপানি)দের আলাদা করে ক্লাশ শুরুর আগে এক ঘন্টা ইংরেজি পড়ানো হত।এখন এখানকার স্কুল ডিস্ট্রিক্ট নাকি এদের জন্যে আলাদা স্কুল করার জন্যে জোরদার চেষ্টা চালাবে ঠিক করেছে। আফগানিস্থানে বসবাসকারি হিন্দুদের বাড়ির বাইরে নাকি রাষ্টের নিয়মে হলুদ কাপড় ঝুলিয়ে রাখতে হয়,এখানে আলাদা স্কুলের ভাবনা কি আসলে ছোট মাত্রায় অভিবাসী বা অনুপ্রবেশ কারীদের কে মূল জনজীবন থেকে আলাদা করে রাখার নামান্তর নয়?
  • r | 202.144.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১০:৪২497460
  • প্রশ্নমালা:

    ১) ক আইনী নাগরিক। কাজেই রাষ্ট্রের দায়িত্ব তার মানবাধিকার সুরক্ষার। খ বা জ- যারা নন, তাদের মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব কার?

    ২)যদি অর্থনৈতিক অনুন্নয়ন অনুপ্রবেশের কারণ হয়, তবে অনুপ্রবেশের ভুক্তভোগী রাষ্ট্র কি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নের আংশিক দায়িত্ব নেবে? কিন্তু ন্যূনতম অধিকার ছাড়া কেউ দায়িত্ব নেবেই বা কেন? অথচ সেই অধিকার কি রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে সংকুচিত করবে না?
  • m | 24.166.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১০:৫১497461
  • ১,মানব কল্যানকামী রাষ্ট্র হলে খ-জ কেও রাষ্ট্র কিছু মাত্রায় হলেও সহায়তা দেবে।প্রশ্ন এইরকম কোনো রাষ্ট্র কি আছে?

  • dam | 202.54.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১২:৩০497462
  • যদি ভুক্তভোগী রাষ্ট্র, অনুন্নত রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেয়ও --- সেতো আর অমনি অমনি হবে না, করদাতাদের পকেট কেটেই দায়িত্ব নিতে হবে। তা করদাতার সেইটা মানবে?

    আর একটা কথা। প্রতিবেশীর ছেলের অসুখের সময় একটু ডাক্তার টাক্তার ডাকলেই মনে করি আমাকে বেশ ভাল ভাল বলবে। এক আধবার ভুলে গেলেই অকৃতজ্ঞ বলে গাল দেই। তা রাষ্ট্র তো আর একটু বেশী চাইবেই। নয়?
  • dri | 66.8.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১৩:২৫497453
  • যাঁরা সাধারনভাবে অনুপ্রবেশকারীদের পক্ষে কথা বলেন তাঁদের একটা perspective আছে। মানুষের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাস অনুপ্রবেশের ইতিহাস। একটা জায়গায় অর্থনৈতিক উন্নতি হলে দূরদূরান্ত থেকে মানুষ আসত কাজের খোঁজে। ইওরোপে বড় বড় গীর্জা বানানোর সময় বহুদূর থেকে ম্যাসন, পেইন্টাররা আসতেন। স্পেনের রাজসভায় গিয়ে সেই বিখ্যাত গ্রীক পেইন্টারের নামই তো হয়ে গেল এল গ্রেকো (স্পনিশে, দ্য গ্রীক), ওনার খটমট গ্রীক নামে আর কেউ ডাকেই না। আর সেইভাবে দেখতে গেলে রবার্ট ক্লাইভের ভারতে এসে গেঁড়ে বসাটা কি অনুপ্রবেশ বা ইল্লিগাল ইমিগ্রেশন নয়? USA তে তো প্রায় সবাই অনুপ্রবেশকারী। পাঁচ হাজার বছর ধরে একটা সিস্টেম চলার পর গত একশ দেড়শ বছরে লাইন টেনে দেশ আঁকা হয়েছে, পাসপোর্ট ভিসা হয়েছে, মানুষের চলাফেরার মাঝে দেয়াল তোলা হয়েছে। এতে করে যারা পিছিয়ে পড়েছে, তাদের অবস্থার উন্নতির সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। কলোনিস্টরা তো অনুপ্রবেশের সুযোগ নিয়ে গুছিয়ে লাভ করে নিয়েছে। এবার তাদের আডভান্টেজটা ধরে রাখার জন্য অন্যদের সামনে নানারকম দেয়াল তুলেছে। এই যুক্তি মূলত মানবিক। আইন প্রয়োগ করলে এটা টিকবে না।

    তবে ভারতে অনুপ্রবেশ আর একটা ধনী দেশে অনুপ্রবেশকে এক মাপকাঠিতে দেখা ঠিক নয়। ধনী দেশগুলিতে কর্মীর অভাব, ভারতে কর্মের অভাব। পাঁচ মাইল রিকশা টেনে উপার্জিত পাঁচ টাকাতে প্রতিযোগিতা শুরু হলে সত্যিই মুশকিল। কতগুলো স্টেপস নেওয়া উচিত। বর্ডার আরো টাইট করার চেষ্টা করা উচিত। যাতে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা যথাসম্ভব কম রাখা যায়। দুই, আমি র-বাবুর সাথে একমত, ভারতের উচিত বাংলাদেশে ইনভেস্ট করা। ভারতের কোম্পানী বা ব্যাংক এটা করতে পারে। তাতে ভারতের ও রোজগার হবে, আবার বাংলাদেশেও কর্মসংস্থান হবে। এরপর যদি কিছু অনুপ্রবেশ হয়, তবে অনুপ্রবেশকারীদের মানবাধিকার যতটা সম্ভব রক্ষা করা উচিত, আইন বাঁচিয়ে।

    এরপর দুদেশেরই অবস্থার উন্নতি হলে -- যেটা বছর কুড়ি বাদে হয়তো হবেও -- অন্যরকম ব্যবস্থার কথা ভাবা যাবে।
  • dri | 66.8.***.*** | ১৭ মার্চ ২০০৬ ১৩:৩৭497454
  • না করদাতার পয়সায় বাংলাদেশের উন্নতি চলবে না। কোম্পানী বা ব্যাংক লাভের কথা ভেবেও যদি ইনভেস্ট করে তবেও বাংলাদেশের লাভ। কাজের সুযোগ তৈরী হবে। সেই কোম্পানীর লাভে ট্যাক্স বসিয়ে ভারত সরকার ও কিছু উপার্জন করতে পারে।

    এরপরের প্রশ্ন হতে পারে কোন সেক্টরে কোনো ভারতীয় কোম্পানী বাংলাদেশে ইনভেস্ট করে লাভ করতে পারে, কাজ তৈরি করতে পারে, এবং বাংলাদেশ সরকার ও তাতে রাজি হবে। নো আইডিয়া। ম্যকেঞ্জিতে কাজ করেন কেউ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন