এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • বেড়ানোর ছড়ানোর স্মৃতি

    Samik
    অন্যান্য | ২৩ আগস্ট ২০১০ | ৭৮৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 69.236.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৪৪462315
  • তবু ভাল। নিধান তো কান্‌হা-তে, একই বাঘের ল্যাজ, পা, কান দেখতে পেয়েছিল একই দিনে বিভিন্ন জায়গায়, কিন্তু পুরো বাঘ-টাকে দেখতে পায় নি।

    যাক, কাবলি-দা কিসে ভয় পায় জানা গেল - বাঘ টাঘ নয়, সোঁদরবনের ৫০০০ বছরের ইতিহাসে।
  • kd | 59.93.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৪৫462316
  • আমার মেজোমাসিমার ছেলে আর 'বুড়ো' আর ছোটোমামার ছেলে 'বুবুলু' - দু'জনেই বন-জঙ্গল, জন্তু-জানোয়ার খুব ভালোবাসে। বুবুলু তো কেরিয়ারই করে ফেলেছে - কান্‌হাতে কয়েক বছর ছিলো - ওর অ্যালবামে কোনো মানুষের ছবি নেই, শুধু কান্‌হার বাঘের ছবি - প্রত্যেকটার নানারকম পোজে। আমার মার সঙ্গে দেখা করতে এলেই মা বলতো, ""বাপের পয়সা ধ্বংস করে ও'সব ইঁদুর বেড়ালের পায়ের ছাপের ছবি না তুলে একটা সত্যিকারের চাকরি কর্‌, লেখাপড়া তো শিখেছিস। কোনো ভদ্দর্লোকের মেয়ে তোকে বিয়ে করবে না, তারপর একদিন কোন এক জংলি মাগীকে নিয়ে এসে বলবি, আশীর্বাদ করো, আমার বৌ''। তা বুবুলু এখন দিল্লিতে, ফরেনারদের হিমালয়ে নিয়ে গিয়ে পশুপাখি দেখায় - ভালোই রোজগার, একটি সুন্দর মিস্টি পাঞ্জাবী মেয়েকে বিয়েও করেছে।

    তা যা বলছিলুম। বুড়ো (সামসুমের নেবার) কলকাতায় এক জঙ্গলে (এ'টাই ওর কাজের জায়গার সঠিক ডেস্ক্রিপশন) কাজ করে - সেখানে নাকি বছরে দু'বার ছ'মাস করে ছুটি। আর ও নানান জঙ্গলে গিয়ে পাখির ছবি তোলে। ওর দুক্কু, সুন্দরবনে অনেকবার গিয়েও কখনও ওখানে বাঘ দেখতে পায়নি। ওর বউ মুনমুন সঙ্গে যেতে পারে না, সংসার, শ্বশুর, শাশুড়ি, ছেলে সামলায়। তো একবার, বুড়ো ডুয়ার্স না কোথায় গেছে, পাড়ার বউরা সব সুন্দরবনে যাওয়ার প্ল্যান করলো - মাসিমা ঠেলেঠুলে বউকে ওদের সঙ্গে পাঠালো। আর ও ওই একবারই গিয়ে বাঘ দেখলো। দেখলো শুধু নয়, ওদের নৌকো থেকে ফুট-কুড়ি দূর দিয়ে সাঁতরে গিয়ে ডাঙায় উঠে দৌড়ে ঢুকে গেলো - মানে একটুখানির জন্যে নয়, পাঁচ মিনিটেরও বেশী, অত কাছ থেকে। মুনমুন যখন আমায় এই গপ্পোটা বলছে, দেখলুম বুড়োর চোখটা জলে ভরে গেছে। শুনলুম, এটা শোনার পর ও নাকি বউএর সঙ্গে মাসখানেক কথা বলেনি, এমনকি রোজ বাড়ি থেকে বেরুনোর সময় যে ঠাকুরের ছবিতে পেন্নাম করে, তাও করে নি।
  • kd | 59.93.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৪৭462317
  • প্রথম লাইনে একটা 'আর' বেশী। আরও এর'ম আছে বোধহয়।
  • lcm | 69.236.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৪৯462318
  • কান্‌হা-তে আমি বাঘ দেখেছিলাম, হাতির পিঠ থেকে। একটা ইয়া বড়ো বুনো শুয়োর মেরে হাফ খেয়ে বাকি হাফ পাহাড়া দিতে দিতে জিরোচ্ছিল বাঘ-টা। হাতি-টা বাঘ টার ফুট ১৫ দুরে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইল খানিকক্ষণ। আমরা যাকে বলে স্টান্‌ড্‌ - এরকম জঙ্গলের মধ্যে বাঘ, আর কি জেল্লা তার স্কিনে। চোখ ঠিকরে যায়।
  • Sibu | 173.153.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১২:৫৩462319
  • ধুস্‌, পুরো বাঘ কখনো দেখা যায় নাকি? বাঘ সামনে দাঁড়ালেও তো উল্টো পিঠ দেখা যায় না। তাই তো আমার সব সময় সন্দেহ থেকে গেল বাঘের এক পিঠে ডোরা না দু পিঠেই।
  • siki | 155.136.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:০৫462320
  • আমি বাঘ দেখেছি। চারপাশ দেখেছি। দুদিকেই ডোরা আছে।

    চিড়িয়াখানায়।
  • Sibu | 173.153.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:০৮462321
  • সে তো চিড়িয়াখানার বাঘ। জঙ্গলে কি ওদের দুদিকে ডোরা থাকে? না চিড়িয়াখানায় ভাল ভাল খেয়ে, বিশ্রাম নিয়ে দুদিকে ডোরা হয়?
  • kd | 59.93.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৩৯462322
  • আমি সেই ছোট্টোবেলা থেকে বাঘ দেখছি - ক্যালেন্ডারে। দাদু বেঙ্গল পেপার মিলের দিল্লির এজেন্ট না কী ছিলো।
  • lcm | 69.236.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৩:৫৯462323
  • এবার বুঝলাম, কাগুজে বাঘ দেখে দেখেই কাবলিদার কাগুজে গুরুর প্রতি আসক্তি।
  • Sags | 114.143.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৩৩462325
  • সুন্দরবন গেছিলাম ছোটোবেলায়। সজনেখালি তে খাঁচার মধ্যে ২ টো বাঘ দেখলাম। আর দেখলাম কুমিড়, হরিন, বাঘের পায়ের ছাপ (সবাই তাই বললো), ঘন জঙ্গল। কোন একটা টাওয়ারে গিয়ে দেখলাম এক সাদা চামড়া (মানে লোক) দাঁড়িয়ে আছে। আমরাও চারিদিক খুব খুঁটিয়ে দেখে বাঘ না পেয়ে লঞ্চে ফেরত। কে একটা বললেন যে উনি নাকি বিগত দুদিন ধরে বাঘের ওয়েট করছেন। শুনে হেব্বি লাগলো, ভাবলাম যে বড় হয়ে এরকম একটা কাজ করে ফেলতে হবে। পরে অবশ্য জানতে পাড়লাম যে ওটা দু-ঘন্টা হবে।
  • Bratin | 122.248.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৪:৫৬462326
  • ২০১০ র জানু তে কাজিরাঙ্গা গিয়েছিলম। অসংখ্য গন্ডার দেখেছি। তবে বেতলায় ক পিস হাতি আর হরিণ ছাড়া আর কিছু দেখি নি। এবারে যাচ্ছি গীর অরণ্যে।
    সিংহ দেখতে পাওয়া যাবে বলে সবাই ভয় দেখাচ্ছে। দেখা যাক।

    কাবলি দা যাতা হচ্ছে লেখা টা। যাকে বলে জমে ক্ষীর।
  • siki | 155.136.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:২৪462327
  • সিংহ দেখতে অত দূরে যাচ্ছো কেন? ভুবনেশ্বরের নন্দনকাননে লায়ন সাফারি আছে। গাড়িতে বসে খোলা সিংহ দেখতে পাবে।
  • Bratin | 122.248.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৫:৪০462328
  • না না সাথে দ্বারকা আর সোমনথের মন্দির ও দেখবো !!
  • kd | 59.93.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ১৮:১৬462329
  • কুমিড়? দুক্কু পেওনা, আর কেউও কখনো দ্যাকেনি।
    আমি অবিস্যি ইচ্ছে না থাকলেও 'কুমীর' দেখেছি প্রচুর, এমনকি অপ্রত্যাশিত জায়গাতেও (মানে আমার এক বন্ধুর ব্যাকইয়ার্ডে, মেজাজে রোদ পোয়াচ্ছিলো) - আরাম করে রোদে বসে একটু জিন-টনিক খাবো, তা মাথায় উঠেছিলো।

    একবার ইয়েলোস্টোনে আমি আমার পাঁচ বছরের ছেলের হাত ধরে আসছি, দেখলুম সামনে বেশ কিছু লোক আমাদের দিকে খুব আগ্রহের সঙ্গে দেখছে। তাড়াতাড়ি আমি আমার ও ছেলের জিপার চেক করে নিয়ে ভাবছি কেনো - হঠাৎ একজন বলে উঠলো - বেয়ার্‌স! পেছনে তাকিয়ে দেখি এক ভালুকমাতা দু'টি ছানা নিয়ে আমাদের পেছন পেছন আসছে। ছেলে দেখে খুব এক্সাইটেড, 'পেট' করবে বলে - কোনো মতে ওকে সামলে একই স্পিডে ওই পাব্লিকদের কাছে চলে এলুম - ভালুকত্রয়ী পাশের মাঠে নেমে গেলো।

    আর জীবনের বেশীরভাগ গ্রামে থাকায় হরিণ, হেজহগ, সজারু(কদাচিৎ), স্কাঙ্ক, র‌্যাকুন আর 'পশামের অত্যাচার সইতে হয়েছে। এমনকি একবার তিন-চার গ্যালন টোম্যাটো-পিউরি লাগলো জিনজিনের (ব্ল্যাক-ল্যাব) গা থেকে স্কাঙ্ক-স্প্রের দুর্গন্ধ তাড়াতে (দোষ স্কাঙ্কের নয়, জিনজিনই তাড়া করেছিলো ওকে)।
  • Sags | 114.143.***.*** | ০৭ জানুয়ারি ২০১১ ২০:২৯462330
  • বানান ভুল নিয়ে আওয়াজ দিলে কিন্তু খেলবো না। কি করবো বলুন, এইখানে তো আর স্পেল চেক নেই। আর এই বানান ভুল ধরাটা বাঙ্গালীর বোধয় প্রিয় খেলা। কে জানে এই পোস্টে আবার কতগুলো ভুল বেরবে, লিস্টি বানালে হয়।
  • pi | 69.88.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২১:২৪462331
  • ভেবেছিলুম ফিনিক্সে আছি। চোখ টোখ কচলে ভালো করে দেখি লস অ্যাঞ্জেলস !
  • kd | 59.93.***.*** | ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১১ ২২:৩৯462332
  • কেন? ভুল প্লেনে উঠে পড়েছো? সারারাত ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখলে তাই হয়। (অবিস্যি জেগে জেগে দেখলেও হ'তে পারে)। :)
  • pi | 132.163.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ১৫:২৪462333
  • বলেইছিলাম, আমার পায়ের তলায় সর্ষে পড়লেই সেটা ছ্যারছ্যারিয়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যায়। তাই সর্ষের টইতে লিখতে শুরু করেছিলুম বটে, কিন্তু ভাবলাম, বেড়ানোর ভাল ভাল টইগুলো নষ্ট করে কী হবে। এখানেই লিখি বরম।
    -------------------------------------

    এটা নিয়ে এত পড়েছি। এত ছবি দেখেছি। ভেবেছিলাম, অবাক হবার আর তেমন কিছুই নেই। আমার নিজের দিক থেকে, সত্যি বলতে কি, খুব বেশি এক্সাইটমেন্ট ছিল না। মা,মাসিকে দেখাবো, ওরা দেখলে ভারি অবাক হয়ে যাবে, এইটা বরং ছিল। আগে থেকে ওদের তেমন কিছু বলিওনি। ঐ ,চলোনা, পাহাড়ে বেড়াতে যাচ্ছি। ওরা গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে বিশেষ কিছু শোনেওনি। বরং জানে, আমেরিকা মানেই নায়াগ্রা। ঐ তীর্থক্ষেত্র দর্শন না করলে দেশে ফিরে সবাই ছ্যাছ্যাক্কার করবে। তো, একটু গুনগুনাচ্ছিলো, নায়াগ্রা না গিয়ে এই পাহাড়ে চল্লি কেন ? পাহাড় তো দেশে আমরা কতই দেখেছি। আমি সেন্টু দিলুম, আহা , আমাদের সাথে যাচ্ছো, সেটাই তো আসল। তো, তাতেও দেখি এই এখানকার এখনকার ওয়েদারের মত মিইয়েই আছে। তখন শুরু করলাম উইকি থেকে পড়ানো, গুগল ইমেজ থেকে দেখানো। আর করতে করতেই মনে হল, আরে, সর্ষেদানা থাকতে বাজারী মাস্টার্ড পাউডার ক্যানো ! তো, পায়ের তলায় সর্ষে সুতোয় হুচের গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন নিয়ে লেখা খুলে মা, মাসিকে পড়তে তো দিয়ে এলাম, শুরু করে মুগ্‌ধ হবে হবে এমন একটা স্টেজে রেখে ল্যাবে চলে এলুম। ওমা, রাতে গিয়ে শুনি, কী কাণ্ড ! কী কাণ্ড ?
    না, নেটফ্লিক্সের সিনেমা, কালার্স চ্যানেলের বালিকা বধূ, বন্ধন, আবাপ, আর গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়নের রূপমাধুরী,একেক খিড়কি দিয়ে একেকজনকে দেখতে দেখতে তাঁরা তো সুখে কালাতিপাত করতেছিলেন। তারপর কোথা হইতে কী হইল। মধ্যাহ্নভোজন ও মাধ্যাহ্নিক নিদ্রাকর্ষণের ব্রেক কে বাদ কম্পুর তালা আর খুলিল না। চাবি টিপে টিপে হয়রান। পাসওয়ার্ড ভুল লিখছে ভেবে চিচিং কে মুলো , পটল, ঝিঙে সব লিখলো। কিন্তু হায়,ল্যাপীগুহার দ্বার ফাঁক তো আর হয়না !

    হুম্ম। যা ভেবেছিলাম তাই।
    বলি একটা ফোন করতে হয়েছিলটা কি! বিকেলে যখন ফোন করলুম, তখনো তো কিছু বলবেন মা জননিগণ ! তো, বলবে কি, তারা নাকি ভয়েই সারা। কম্পু ভোগে পাঠিয়েছে ভেবে। ক্যাপস লক অনের মেসেজ ভেসে আসতে দেখে আরো ঘাবড়ে গেছে।

    যাগ্গে, সেসব তো হল। কিন্তু গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন ? সে দূর অস্ত।
    সবে লাস ভেগাস সেরে ডেথ ভ্যালিতে গেছে। লেখিকা। মায়েরাও।
    কিন্তু এখন আর সময় কই ?

    তা সময় আর পাবে কোদ্দিয়ে ?
    সব তো এখন আমাকে বকতেই ব্যস্ত।
    -এত দেরিতে ফিরেছিস। এখন কখন খাবি, কখন ঘুমাবি আর কখনই বা ব্যাগ গুছাবি ? প্রথমটা করে ফেলব ফেলব ভেবে একবার ল্যাপীটার দিকে যেই হাত বাড়িয়েছি তো মশামেসো, মেসোর মা আর মেসোর মাসির সম্মিলিত স্বর,
    -এখন একদম নয়।
    -কখন খাবি, কখন ঘুমাবি আর কখনই বা ব্যাগ গুছাবি ?
    আরে বন্ধুকে ফ্লাইটের বৃত্তান্তই তো জানানো হয়নি। সেটা তো আরো দরকার , নাকি?
    অতএব ল্যাপি। অতএব নেট।
    এবং, একবারও কি গুরু খুলবো না? আর খুল্লে কি একটু ।।।

    আবার সেই ধ্বনিসম্মেলন।
    -কখন খাবি, কখন ঘুমাবি আর কখনই বা ব্যাগ গুছাবি ?

    উফ্‌হ !
    প্রথমটা করেই ফেল্লাম।
    দ্বিতীয়টা করতে হবে ভাবতে গিয়েই তৃতীয়টা করে ফেল্লাম আর সেটা করতে করতে দ্বিতীয়টাও করে চল্লাম। আর তা করতে গিয়ে আরো অনেক কিছুই করে চল্লাম। যেমন দৌড়তে দৌড়তে কোনোমতে মেট্রো ধরা, মেট্রোতে চেপে চেপেই গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়ন পৌঁছে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু পাশের ল্যাবের ঐ খিটখিটে মার্জারনয়না মার্জরী বুড়ি, যে কিনা সাদা চামড়া না হলে কথাই কয়না, সেও এই গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়নে কেন ? আর গ্র্যাণ্ড ক্যানিয়নে এসেও সলিটেয়ার খেলে চলেছে কেন ?
    সেই হুঁকোমুখো ডাইনি ডাইনি মুখ। টিয়াপাখি নাকটা যেন একটু বেশি বেঁকে গেছে। সেই বিদঘুটে রকমের সমস্ত ম্যাচিং ম্যাচিং ড্রেস। গোলাপি টপ, গোলাপি স্কার্ট, গোলাপি হাইবুট, গোলাপি নেলপালিশ , আর গোলাপি হ্যাটের নিচে বেরিয়ে থাকা ইস্তিরি করা ধোপদুরস্ত সাদা চুল।
    কী হাওয়া রে বাবা ! আমার মাফলার উড়ে ক্যানিয়নে পড়ো পড়ো হল। বেশ হত, বুড়ির হ্যাটটা উড়ে চলে গেলে। অথচ সে ব্যাটাকে দ্যাখো, নড়েও না, চড়েও না। এমনকি থোকা চুলগুলোও ওড়ে না !
    আরো যে কীসব কীসব করলাম আর কিচ্ছু মনে নেই। তবে মনে নেই মানে করিনি এমন মনে করারও মানে নেই। তবে এইটা ভারি স্পষ্ট মনে আছে,ক্যামেরার চার্জারটা ফেলে এসেছি, আর সেটা নিতে ফ্লাইট ধরার বাস থেকে নেমে দৌড়তে দৌড়তে বাড়ি চলে আসছি। রাস্তাটা ডায়গোনালি ক্রস করছি। কেন ডায়গোনালি ক্রস ?এলিমেন্টারি বৎস। পীথাগোরাস, পীথাগোরাস। রাস্তাঘাটে চলার সময়, বিশেষ ক’রে মাঠঘোট থাকলে আমি যথাসম্ভব এই কর্ণ বরাবর চলে কম দূরত্ব অতিক্রম করার ফর্মুলা মেনে টাইম ম্যানেজমেন্ট করে থাকি কিনা। কিন্তু দুঃস্বপ্নের এই সিনটা শুরু হবার পর টেনশনের চোটে আর ঘুমিয়ে থাকা গেলনা। এখন এসব ক্ষেত্রে, বই ও সিনেমা অনুযায়ী ঘুম থেকে ঘেমে নেয়ে উঠে বসার কথা।তো, যে আমি গরমকালেও মাথায় গলায় মাফলার জড়িয়ে ঘুমোই, ঘাম যে তার হবেনা, সে তো স্বাভাবিক, কিন্তু তাই বলে কি তার জেনু টেনশন হতে নেই ? টেনশনের কারণ যখন জেনু।
    কী কারণ ?
  • pi | 132.163.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ২২:১১462334
  • সেই যে সেবার ডেনভারের ফ্লাইট ধরার পথে আধা রাস্তা গিয়ে হ্যান্ড ব্যাগ আনিনি আবিষ্কার করলাম, তারপর তো একাধিক গাড়িরাস্তা ডায়গোনালি ক্রস করে ( মশামেসো ও সিগন্যালের রক্তচক্ষু উপেক্ষা ক’রে)আসা যাওয়ার পরেও তো ফ্লাইট ধরার টাইম ম্যানেজ করা যায় নাই ! তো, এনিয়ে টেনশন হবেনা ? তার ওপর দেখেছি, চার্জার ফেলে এসেছি।

    কী বলছেন? চার্জার ফেলে আসা আবার কেমন ক’রে টেনশনের জেনু কারণ হয়? আরে, হয় হয়। জানা না থাকলে এখন জানুন। চার্জার ফেলে আসা মানে ব্যাটারিও ফেলে আসা, আর তা ফেলে আসা মানে তো সুটকেস হারানোও বটে। সেই যে সেবার কনফারেন্সে গিয়ে ফেরতবেলায় দেখলুম ব্যাটারি মরো মরো, এদিকে যাবার আগে, সে মিনিট দশেকের জন্য হলেও ওই ভয়ঙ্কর সুন্দর অতলান্তিকের সাথে ক্যামেরার চক্ষুর শেষবারের মত মিলন হবেনা, তাও কি হয় ! তাই জিনিসপত্র ব্যাগে ডাম্প করার দশ মিনিটই সহি,চার্জ দিতে বসিয়ে দিলুম।এবং নিজের টাই্ম ম্যানেজমেন্টের মুগ্ধতায় মজে থাকা আমি চেক আউট করে মালপত্তর সব টেনে টেনে বাইরে এনে বাসে ওঠার আগে শেষবারের মত হোটেল ঘরের বহিরঙ্গের ছবি তুলতে গিয়ে আবিষ্কার করলুম,তাঁরা এখনও হোটেলের ঘরের অন্দরে চার্জড হচ্ছেন। ঐ গন্ধমাদন স্যুটকেস নিয়ে আবার ঐ ঘরে যাবার প্রশ্নই মাথায় আসেনি, নাকি দেশের ক্যাম্পাসে এমনি স্যুটকেস ছেড়ে যাওয়াতে অভ্যস্ত আমার মনে সুসভ্য বিদেশে সেটি ছেড়ে যাওয়া নিয়ে কোন দ্বিধাই আমার মনে জাগেনি, সে প্রশ্ন পরে অনেকে আমাকে করেছে বটে। কিন্তু তার উত্তর পেলেও কি চার্জার নিয়ে ফিরে আসা আমার সামনে গায়েব স্যুটকেসটি আর ফিরে আসবে? নিজেকে অবশ্য স্বান্ত্বনা দিয়েছি এবং আমাকে ক্যাল্যানে ক্যালাস অভিধায় বিশেষিত করা জনতাকে নিরস্ত করার চেষ্টা করেছি সেই অগতির শেষ গতি, যা হয় মঙ্গলের জন্যই হয় থিয়োরীর শরণাপন্ন হয়ে। বলেছি যে, আমি উপস্থিত থাকলে চোরবাবাজী আমাকে চাকু মেরেই ওটি ছিনিয়ে নিতেন বা এমনি ঘটনা না ঘটলে আম্রিগার থানা দর্শনের বিচিত্র অভিজ্ঞতাও হত না, কপালে দুটো পেরাইভেট টিকটিকিও জুটতো না (তাদের সাথে কোনদিন যোগাযোগ না করতে পারি, তাতে কী), থানা্র বুকা পুলুশসাহেবদেরকে হারিয়ে যাওয়া শাড়ি, সালোয়ার, নিমকি, চানাচুর, হজমি বুঝিয়ে বুঝিয়ে, স্যাম্পুল ছবি, তাদের ডলারে সম্ভাব্য দাম সহ সাত পাতা রিপোর্টের মত কালেক্টিবল আইটেমও তৈরি হতনা (পরে যে রিপোর্টের কপিটা হারিয়ে সেই স্যুটকেস হারানোর চেয়েও বেশি আফশোস হয়েছিল) কি ব্রাউনের বড়বাবুর সেই সব বাঁধানোযোগ্য ডায়লগ শোনার সৌভাগ্যও হত না, যেমন, চোর তো ম্যাডাম আমাদের অনেক আগেই বেরিয়ে গেছে, আমরা এখন ধরতে বেরোলে ধরার চান্স তো খুব কম,বা আপনার চুরিটা খুব ভুল সিজনে হয়েছে ম্যাডাম, এখন দু’দিন বাদেই এখানে মেয়েদের গলফ চ্যাম্পিয়নশিপ, আমরা তো তাই নিয়েই ব্যস্ত থাকবো, তো চোর ধরব কেমনে !(এর আগে ভুল সিজন নিয়ে এর থেকে বেটার ডায়লগ এক জায়গাতেই শুনেছিলাম, পাড়ার দোকানের বিপুলদা আমার জন্মদিনের কার্ড কিনতে যাওয়া বন্ধুকে বলেছিল, ওসব কার্ড এখন হবেনা, এখন তো ক্রিসমাসের সিজন, জন্মদিনের সিজন তো নহে হে বোনটি।)
    কিন্তু এত করেও, ইনিশিয়াল গোল যা ছিল তা পূরণ হয় নাই, না তো নিজে স্বান্ত্বনা পেয়েছি, না অন্যদের আমাকে কোথা শোনানো থেকে নিরস্ত করতে পেরেছি। কিন্ত এত করে শিবের গীত গেয়ে আমার জিরোয়থ গোল কি দিতে পারলুম অর্থাৎ টেনশনটা কী কেন, সেটা বোঝাতে পারলুম ?
    যে টেনশনের চোটে মার্জরীবুড়ির স্বপ্ন ছেড়ে হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে অন্ধকারে হাতড়ে হাতড়ে খুঁজে চার্জিং থেকে ব্যাটারি খুলে ততোধিক হাতড়ে হাতড়ে খোঁজা হ্যান্ডব্যাগের ভিতর ক্যামেরাতে ঢোকালাম।
    এবং তারপর লম্ফর আলোটা জ্বালতেই মনে হল চাদ্দিক হলুদ !
    এক ঘর ছড়ানোছিটানো জামাকাপড়। কাকে নি, কাকে না নি ?
    আরে, ওয়েদার কেমন থাকবে তাইতো জানিনা !
    সেটা জানাটাতো আগে দরকার, নাকি ?
    অতএব ল্যাপি। অতএব নেট।
    এবং, একবারও কি গুরু খুলবো না? আর খুল্লে কি একটু ।।।

    ঘুম ভেঙ্গে গেল মায়ের ফোনে। কল ব্যাক করলুম। এমন নয় যে, কাল , পরশু, তরশু ফোন করেনি, করেছে, সে ফোন করেছে, খুব ভাল করেছে, কিন্তু এমনও নয় যে, কাল, পরশু, তরশু এই একই কথাগুলো বলেনি। কিন্তু তাই বলে আবার বলা যাবেনা, এমন কথাও তো বলা যাবেনা, আর বললেই বা শুনছে কে। অতএব শুনে যেতে হল, ফোন যেন হাতছাড়া না করি, টিকিট যেন ব্যাগছাড়া না করি, ব্যাগ যেন কাছছাড়া না করি ইত্যাদি ইত্যাদি। বললেই বা শুনছে কে যে, এই কথাগুলো কি মা সেবারেও বস্টনে বলেনি, আর তাতে কি আর টিকিট হারিয়ে ফেলা রোখা গেল, নাকি ফিলাডেলফিয়ায় বলেনি যে তাতে আমার ক্যাবে ফোন ফেলে আসা আটকানো গেল নাকি ব্রাউনে বলেনি যে তাতে আমার স্যুটকেস।।। নাঃ, এসব শোনার পাত্রী আমার মা নয়, অতএব আমাকেই শুনে যেতে হল।এবং শোনা শেষ হবার পর দেখলাম, সময়ও শেষ। আশু গন্তব্যঃ ল্যাব। তাড়াতাড়ি ফিরে এসে গোছানো শেষ করে নেবখন।
  • গান্ধী | 213.***.*** | ১৪ ডিসেম্বর ২০১২ ২২:৩১462336
  • তাপ্পর ??
  • pi | 118.22.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৩৪462337
  • আম্বোলি। দমদিকে এটার গপ্পো বলব বলেছিলুম, কিন্তু তারপর জায়গাটার নামই ভুলে যাওয়াতে লজ্জায় আর জিগাতেও পারিনি, লিখিওনি। যাগ্গে, দমদি ক'দিন আগে মনে করালো। জায়গার নাম মনে থাকতে থাকতে লিখে রেখে যাই।

    সেবার হল কী, মুম্বইয়ে আমরা আর আমাদের বন্ধু দম্পতি , আর ওদিকে লুরুতে আমাদের ব্যাচেলর বন্ধু, ছুটিতে আমরা লুরু যাবো না কি সে মুম্বই চলে আসবে, এই নিয়ে অশেষ টানাপোড়েনের রফা করলুম যে লুরু মুম্বইয়ের মাঝের কোন স্থানে দেখা করা যাক। এবার মাঝামাঝি কোন স্থান যখন ঠিক হয়েছে, তখন মাঝামাঝিই হতে হবে, নইলে আর কীসের রফা ! স্কেল পেন্সিল দিয়ে মেপেজুখে খান কতক স্থান শর্টলিস্টেড হয়েছিল, কী কী সেসব আর অত মনে নেই, সেগুলো নানাবিধ কারণে রিজেক্টেড হয়েছিল, নাকি আম্বোলি তার বেটার রিভ্যুর জন্য সিলেক্টেড হয়েছিল, সেও মনে নাই। না না,মনে পড়েছে, ঘোরতর গরম হবার কারণেই বেশিরভাগ জায়গা বাতিল হয়েছিল আর শৈলশহর বলে আম্বোলি টিঁকে গেছিল, এরকম কিছু।
    যাহোক, ঘটনা হল, আমরা আম্বোলিই যাচ্ছিলাম। আর বৃহস্পতিবার রাত্তিরেই বেরোতে যাচ্ছিলাম। এর মধ্যে আমার ডিপার্টেমেন্ট একখানি ফ্যাকড়া বাঁধিয়ে বসলো। শুক্কুরবারে কী একটা ছুটি থাকলেও ( যদ্দুর মনে পড়ে রেস্ট্রিক্টেড হলিডে ছিল) সেদিনের সেমিনারখানি বাতিল করলো না। বন্ধুর আপিসেও তথৈবচ দশা। অতএব ঠিক হল, আমরা শুক্কুরবার রাত্রে বেরোব। আর আম্বোলিই তো, গোয়া তো আর নয়, যে দেড় দুদিনে কিছু ঘোরা যাবেনা ! কিন্তু ঠিক আর কই হল ! লুরুর বন্ধু বল্লো, এ ভয়ানক বেঠিক । তার যখন শুক্কুরবার ছুটিই আর এমনকি সে বেস্পোতিবার হাপ ছুটিরও বন্দোবস্ত করে ফেলেছে, সে আর ঐ নির্ঘণ্ট থেকে নড়বে চড়বে না। আমাদের দলে ভেড়ানোর অনেক চেষ্টা করেছিল, দুই বন্ধুকে নানা তরল প্রলোভন দেখানোর চেষ্টা সহ। কিন্তু সত্যিই যাবার উপায় ছিল না। তো, আর কী ! আমরা শুক্কুরবারের দাদর টু আম্বোলি বাসযাত্রার টিকিট কেটে ফেল্লুম । আম্বোলিতে ঘর বুক করে ফেল্লুম, আর বন্ধু আমাদের চেয়ে একদিন বেশিই আম্বোলির শোভা পর্যবেক্ষণ করবেন, এবং একাকী, এমতিই স্থির হল। স্থির বলতে, এসব কিছুই আমরা দু'জন মানে আমি আর লুরুর ঐ বন্ধু মিলে স্থির করছিলাম। বাকিরা ব্যোম্ভোলে হয়ে আমাদেরকে সব প্ল্যান পরিকল্পনা আউটসোর্স করে নিশ্চিত ছিলেন ! কিন্তু স্থির আর থাকা গেল কই ! সেই বৃহস্পতিবার হাজির হতেই সন্ধে হতে না হতেই শুনি ফোনের পরে ফোন । আমাদের মুম্বইয়ের বন্ধুর বাড়ি। তখন প্রি-সেলফোন জমানা। আমাকে ল্যাবে ফোন করে পায়নি। আমি বেস্পতিবার রাত্তিরে ওদের বাড়ি ফোন করে বেড়ানো নিয়ে ফাইনাল কথা বলতে গিয়ে শুনি এই কাণ্ড। বাবু আম্বোলি গিয়ে ফোন করেছেন, , আম্বোলিতে তার এই একরাত্তিরই কাফি, আর একটি দিন ও নয়। হুকুম করেছেন, প্ল্যান বদলাও। অভি। ইসিবখত। ওখানে নাকি একটি টিলা ছাড়া আর কিচ্ছুটি দেখার নেই আর তার জন্যে তিনদিন ব্যয় করার চেয়ে বড় অপচয় আর কিছুই নাকি হতে পারেনা। কিন্তু বল্লেই তো আর হয়না ! ইহা অবশ্যই ইল্লি নহে। আমাদের বাসের টিকিট কাটা, ঘর রীতিমতম বুক করা, আর এদিকে ঘাড়ের উপর একগাদা কাজ। শনিবারে ল্যাব কামাই দেবার প্রি খেসারত দিয়ে যেতে হচ্ছে। এদিকে আবার কিছু ঠিক করা মানে তো এই শর্মাই। অম্বোলিস্থিত লুরুর বন্ধুর কাছেও নেট নাই। আমি নিদান হাঁকলুম। এ যাত্রায় আম্বোলি বিনে উপায় নাই। এছাড়াও আমার স্থির বিশ্বাস ছিল, আমার সন্ধানী চক্ষু আম্বোলিতে বিয়ণ্ড টিলা কিছু খুঁজে পাবেই। এছাড়াও আমরা গম্ভীরমুখে পরস্পরকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলুম যে, আম্বোলি তো ছিল নেহাত একটি উপলক্ষ্য মাত্র। প্রাইমারি এইম তো বন্ধুমিলন। খুব জমেগা রঙ্গ , যব হম তুম আউর .... আম্বোলি অউর নো অম্বোলি।
    তো, বেরিয়ে পড়লুম। না না, বাসে করে নয়। গোটাগুটি দুইটি ঘণ্টা আমাদের রাস্তায় অপেক্ষা করানোর পর যে বাসখানি এলেন, তিনি নাকি আমাদের, না, আম্বোলি না, আম্বোলির জন্য উদ্দিষ্ট আরেকখানি বাস অব্দি নিয়ে যাবেন। আরো নানা ফ্যাক্ড়া ফিকির জুটেছিল যেগুলো আপাতত স্কিপ করে স্ট্রেইট আম্বোলি। না, স্ট্রেইট আম্বোলি তো যাওয়া যাবেনা। বাসে সায়ন্তবাডি তে নেমে সেখান থেকে কী করে জানি যেতে হয়। পৌঁছোনোর কথা ছিল ভোর পাঁচটা নাগাদ। শুরুয়াত দেখে যেমন আশা করেছিলাম, তেমনই হল, সাড়ে সাতটা নাগাদ সাওয়ন্তবাড়ি পৌঁছবে শুনলাম। পৌঁছোলোও। ঘুম ঘুম চোখে বাস থেকে নেমে ইতিউতি অটোর পানেই চাইছি বোধহয়, হঠাত দেখি টুপি পরা পিঠে ব্যাগ কে জানি দূর থেকে ছুটতে ছুটতে আসছে। বই সহ হাত নাড়তে নাড়তে। আরে! এই টুপি, এই কাঁধে ব্যাগ .. চেনা চেনা লাগে না ?
    ভাবতে ভাবতেই সামনে উপস্থিত, হ্যাঁ, লুরুর বন্ধুবরই। তারপর হ্যা হ্যা করে হাঁপাতে হাঁপাতে জানালেন, তিনি নাকি আর রিস্ক নিতে পারেননি। আমরা কোনোরকমে একবার আম্বোলিতে গেস্টহাইসের ঘরে ঢুকে পড়লে নাকি আর কোনোভাবে কোন প্ল্যান নড়চড় করা যেতই না ( সেতো যেতই না), তাই গোড়াতেই নাকি সে প্ল্যানকে কাটতে হবে। সাওয়ান্তবাড়ি থেকেই আমাদের ফেরানোর ( বা অন্যত্র গমনের) বন্দোবস্ত করতে হবে।
    এদিকে তিনি জানেন না আমরা এক্স্যাকটলি ক'টায় পৌঁছাবো। তাই তিনি নাকি সেই রাত তিনটে থেকে সাওঅন্তবাড়ির রাস্তায় একটি পাথরের উপর বসে প্রতীক্ষমান। সাথী হ্যাপ।

    এরপর আর কী ! বেলা বাড়লে সাওয়ন্তবাড়ির দোকান পত্তরে গিয়ে এদিক ওদিক সম্বন্ধে খোঁজখবর করে ঘণ্টা দুয়েক আরো কোন সিদ্ধান্ত নিতে না পেরে বা বলা ভাল খান সাতেক পসিবিলিটি নিয়ে কাটাকুটি খেলার পর , অবশেষে একটি টাটা সুমো ভাড়া এবং তারপর ..... দিল চাহতা হ্যায় !

    তখন মে মাসের চাঁদিফাটা গরম, গোয়ায় কোন বুকিং নাই, ব্যাগময় পাহাড়ের ঠাণ্ডার মত জামাকাপড়, হাতে মাত্তর দেড়টি দিন... সেসব অবশ্য অন্য গপ্পো !!
  • pi | 118.22.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৩৬462338
  • যাগ্গে। এত শিবের গীত গাওয়া এটা বলার জন্যেই যে, আমি আম্বোলি সম্বন্ধে কিছু বলতে অপারগ। কিন্তু তার জন্য আমার কুন দোষ নাই ধর্মাবতার।
  • | 24.97.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৪৭462339
  • অ্যাই মরেচে! আমিও বাসের টিকিসই বুক করলাম। বাস এমনি ঝোলাবে নাকি?
    মালসেজঘাট বোধহয় ওখান থেকে কাছেই। হোথায় যেতে পারতে।
  • siki | 131.243.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৩ ০৯:৫৮462340
  • বাপ্পো!
  • nina | 22.149.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৩ ২১:৫৪462341
  • পাই
    পিলিজ তুই একটা তোর ভ্রমণ কাহিনী-ইস্পেশাল লেখ----
  • siki | 69.164.***.*** | ১৩ আগস্ট ২০১৩ ২২:০৪462342
  • আমারো অমনি একটা ছড়ানোর সেমি স্মৃতি আছে। বেশি না, এই গেল ডিসেম্বরের। কিন্তু এখন লিখতে ইচ্ছে করছে না। ইয়া ইয়া হাই উটছে।
  • pi | 24.139.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ০৬:৪৫462343
  • name: সিংগল k mail: country:

    IP Address : 212.142.118.183 (*) Date:28 Nov 2017 -- 12:02 AM

    অমিতাভবাবুর একটা জিনিস খুঁজে দিতে গুরুতে ঢুকে দেখি আপনারা সুন্দরবনকে আর ট্যুর এজেন্সীকে সম্প্রতি বেজায় গালাগালি করেছেন। ট্যুর অপারেটর সম্পর্কে আপনাদের বক্তব্যের সঙ্গে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট সহমত। ব্যাটারা বিদেশী ট্যুরিস্টদের যা ঘোল খাওয়ায় আর গলা কাটে তা দেখে আমার এত খারাপ লাগে যে কি বলব। ট্যুর অপারেটর মাত্রেই মিথ্যে কথার ঝাঁপি। আপনি যাবার আগে যা চাইবেন ওরা কল্পতরুর মত তাতেই রাজি থাকবে, তারপরে একবার তার পাল্লায় পড়ে গেলে তারপর ঐ শঙ্খদার মত অবস্থা। আমি ভারতবর্ষে আমার দেশী বিদেশী বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন সবাইকেই ট্যুর অপারেটরদের এড়িয়ে চলতে বলি। বলি বটে কিন্তু এটাও বুঝি যে আমার উপদেশটা হয়ত ঠিক নয়, কারন সংসারী মানুষের পরিবার নিয়ে ঘড়ির কাঁটা মেপে আনন্দ করতে বেরোনো এক জিনিস আর আমার চলাফেরা আর এক জিনিস, আমারটাকে আর যাই বলা যাক ঠিক "বেড়ানো" বলা যায় না। গুরুর বিখ্যাত পর্যটকরা যখন ট্যুর অপারেটরদের নিয়ে টুঁ শব্দটি করছেন না, তখন আমার বোধহয় মুখ না খোলাই ভাল।
    ট্যুর অপারেটরদের বজ্জাতি সম্পর্কে আপনাদের সঙ্গে একমত হলেও, সোঁদরবন ভ্রমনের ব্যাপারে শঙ্খদার এক্সপিরিয়েন্সের ব্যাপারে সামান্য দ্বিমত রয়েছে। সুন্দরবনে তো ঘড়ি ধরে সবকিছু চলে না। চলে সূর্য্য চাঁদের অবস্থান আর পৃথিবীর আহ্নিক গতির ওপর। সোজা কথায় জোয়ার ভাঁটার ওপর। জোয়ার ভাঁটা তো রোজ এক সময়ে হয় না। চাঁদের কলার সঙ্গে সঙ্গে তার সময়ও রোজ পাল্টে যায়। তাই আপনি যখনই চাইবেন তখনই, যেখানে চাইবেন সেখানেই, সুন্দরবনের মধ্যে যেতে পারবেন এমনটা নয়। (এক হেলিক্প্টার ছাড়া)
    সুন্দরবন মানে হল লক্ষ লক্ষ খালের আর দ্বীপের সমাহার, যে খালগুলো জোয়ারে নেভিগেবল থাকে কিন্তু ভাঁটায় এক ফোঁটাও জল থাকে না, থাকে শুধু কোমর অব্দি কাদা। ছোট নৌকো হোক বা ভুটভুটি বা বড় লঞ্চ, সেথায় নৌকো চালানো যে কি জিনিস তা যাঁরা বিন্দুমাত্র সিম্যানশিপ এর অআকখ জানেন তাঁরাই বুঝবেন। আপনি আমি বুঝব না। আমার বাল্যবন্ধু ক্যাপ্টেন শ্রীকান্ত আমার সঙ্গে প্রথম সোঁদরবন যায়। তখন সে সবে ফার্স্ট অফিসার থেকে ক্যাপ্টেন হয়েছে। প্রথমদিন রাতেই শুতে যাবার আগে সে বলেছিল 'এ কি দেখালি রে আমায়, এ তো নাইটমেয়ার! আমি তো কাজে ফিরে রাতে ঘুমোতে পারব না।' শ্রীকান্তের আর দোষ কি, সে ব্যাটা কলকাতা থেকে আমাদের সঙ্গে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে বোম্বেতে টি.এস. রাজেন্দ্রতে নেভিগেশনের পাঠ নিয়েছিল, তারপর মার্চেন্ট নেভিতে সেকেন্ড অফিসার হিসেবে চাকরী নিয়ে মহা আরামে কয়েকশোবার পৃথিবী চক্কর লাগিয়ে ক্যাপ্টেন হবার পর সোঁদরবনের নেভিগেশন আর সিম্যানশিপের ওপর ঐ বিখ্যাত উক্তিটি করেছিল। ওকে আমি আমার লগি ঠেলার গুরু রাধামাঝি র সঙ্গে আলাপ করে দিয়েছিলাম, মনে আছে, সে ব্যাটা আসার আগে রাধামাঝির পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে এসেছিল। এ তো গেল এক অর্বাচীন ক্যাপ্টেনের কথা, কিন্তু প্রবাদপ্রতিম ক্যাপ্টেন গজদারের বাড়ি হল আমার বাড়ি ছেড়ে দুটো বাড়ি পরে তৃতীয় বাড়িটা। সোঁদরবনের নৌচালনায় আমার ইন্টারেস্ট দেখে ভদ্রলোক মাঝে মাঝেই (মানে আমার সঙ্গে দেখা হলেই) ওনার এক্সপিরিয়েন্সের ঝাঁপি খুলে বসতেন। ওনার কথাতেই আমি প্রথম রিয়েলাইজ করি যে সুন্দরবনের মাঝিমাল্লারা হেলায় যে কাজটা দুবেলা করেন, সেটা কত কঠিন, এমনকি ক্যাপ্টেন গজদারের মত লিজেন্ডারী ক্যাপ্টেনের কাছে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অসম্ভবও।
    শঙ্খদাদের গ্রুপের লোকজন সোঁদরবনের খালবিলের মতিগতির কতটা খবর রাখেন জানিনা, তাই ওঁরা নেতিধোপানী যেতে চেয়েছিলেন, এবং ওঁদের বোটের সারেং প্রথমে যেতে চায় নি, পরে বদমায়েশী করে ধীরে ধীরে গিয়ে ওঁদের হ্যারাস করেছে এটা মেনে নিতে গেলে আমাকে আনেকগুলো প্যারামিটার যাচাই করতে হবে। তবে শঙ্খদার কথা শুনে এটাই মনে হয়েছে যে বোটের সারেং কিছু ধোয়া তুলসীপাতা নয়, সে খেপে গিয়েই ওঁদের হ্যারাস করেছে। কথা কাটাকাটিও কিছুটা হয়েছিল নিশ্চয়ই। সেই দিনকার পঞ্জিকাটা না পেলে শঙ্খদাদের ঐ দিন ঐ সময় ঐখানে যাবার দাবী কতটা যুক্তিযুক্ত ছিল তা নিয়েও আমার কমেন্ট করা উচিত না।
    দীঘাপুরী বেড়াবার জন্য ভালো, গোয়াআন্দামান বেড়াবার জন্য আরো ভালো। বালিতাইল্যান্ড আরো আরো ভালো। কিন্তু সোঁদরবন!! আমি বলব পরিবার নিয়ে বা স্রেফ মদ গিলতে না যাওয়াই ভাল। ওতে তেমন ভাল লাগার কথা নয়। বড়জোর বকখালী বা সজনেখালী চলতে পারে। তবে যাঁরা বাইক নিয়ে কাশ্মীর টু কন্যাকুমারী করে বেড়ান বা হিমালয়ে হিমবাহের ওপোরে চাদর ট্রেক করে থাকেন তাঁরা যদি কাঁধে ঝোলাব্যাগ আর পায়ে রবাটের স্যান্ডেল গলিয়ে মাঙ্কিটুপি পরে শীতকালে সাধারন মানুষের মত শীতকালে সোঁদরবনের পথে পথে বেরিয়ে পড়েন, তবে নতুন অ্যাডভেঞ্চার গ্যারান্টিড। জানোয়ার দেখতে পাবেন কিনা জানি না তবে মানুষ পাবেন ঢের, কেউ চোরাশিকারী কেউ বা চোরাকারবারী কেউ নিতান্ত নিরামিষ হলে মত্সব্যবসায়ী। প্রত্যেকেই আপনার মন ভরিয়ে দেবে। আমার কথায় পেত্যয় না হলে অচিন্ত্যদাকে জিজ্ঞেস করতে পারেন।

    হ্যাঁ সোঁদরবনের আর একটা ফাইভ স্টার মার্গ আছে বটে, সেটা কাব্লীদার সুন্দরবন ভ্রমনের সাত আট বছরের পুরোনো টইতে বিস্তারিত পাবেন। অসাধারন এবং নিঁখুত বর্ণনা-
    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?font=unicode&portl
    etId=8&porletPage=2&contentType=content&uri=content1282564787376&conte
    ntPageNum=1

    এখন এম ভি পরমহংস বোধহয় http://vivadacruises.com/sundarban.html এরা অপারেট করে। সে রাজ্য সরকার তো আর নেই।
  • PM | 55.124.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ১৪:৫৫462344
  • বাঘ দেখতে গেলে যেতে হবে বান্ধবগড় --99.99 % চান্স যে আপনি বাঘ দেখতে পাবেন। এখাধিক পেলেও অবাক হবেন না। ৩০ বর্গ কিমি জঙ্গলে ৩৩ টা বাঘ !!! নেহাত কুত্তা রাশি না হলে বাঘ দেখার মার নেই ওখানে। আমি তিন দিন তিন চারবার বার চেস্স্টা করবো বলে প্ল্যান করেছিছিলাম। প্রথম দিন নেট প্র্যাকটিসে গিয়েই জোড়া বাঘ--পরে আরেকটা। দিন বেঁচে যাওয়ায় ওখান থেকে সে দিন ই কানহা পলায়ন।

    এখান থেকে সাতনা-- তাপ্পর খাজুরাহো হয়ে সিধে বান্ধব্গড় আর কানহা।

    আমাদের বান্ধবগড় পৌছতে অনেক রাত হয়ে্ছিলো , খাজুরাহো থেকে গাড়ী করে যাচ্ছিলাম। রাতের অন্ধকারে গাড়ী করে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া সাত্যি গা ছমছমে .... রাস্তায় হরিন এর দল ও এসে পড়েছিলো দুবার। সে এক অভিজ্ঞ্তা বটে।

    খাজুরাহো থেকে বান্ধব্গড়ের পথে মাইহার পড়েছিলো। ঐখানে উৎসাহের আতিসয্যে দেরী হয়ে গেছিলো।

    করবেট জাতীয় পর্ক এও বাঘ দেখা যায় শুনেছি----অনেক অন্য পশু পাখী দেখলেও বাঘ দেখি নি। কিন্তু ওটাই আমার দেখা সেরা জঙ্গল।

    ও হ্যা , সুন্দরবনে আমিও কিস্স্যু দেখতে পাই নি। কিন্তু বিশাল নদী, অজস্র খাল বিল , ভালই লেগে্ছিলো। সুন্দরবনে যেতে গেলে বাঘ দেখবো এই চিন্তা না নিয়ে গেলে ভালো লাগবে গ্যারেন্টিড
  • avi | 57.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ১৫:২৮462345
  • হুঁ, অনেকদিন ধরেই সন্দ ছিল আমি লাখে একজনের প্রতিনিধি। বান্ধবগড়ে দুটো সাফারিতে স্রেফ তার পায়ের ছাপ দেখে আর কানহায় তার বিষ্ঠা দেখে ফিরতে হয়েছিল। অথচ সুন্দরবনে প্রথমবারেই বাঘের লেজ।
  • I | 57.15.***.*** | ২৮ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:১৮462347
  • বান্ধবগড়ের সে সুদিন আর নেই। বরং করবেট গিয়ে রাশি রাশি বাঘ দেখে এসেছি।কানহাতেও মুন্নাকে দেখেছি।
    তাচ্চে আপনারা তাড়োবা যান।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে মতামত দিন