এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  রাজনীতি

  • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা

    বকলমে
    আলোচনা | রাজনীতি | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ | ৬৬৯৭ বার পঠিত
  •  
    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫১
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ১ 
       
      ইসরায়েল সমর্থনে লন্ডনে আর ম্যানচেস্টারে দুটি মিছিল করেছে সংঘের লোকজন। বেশ বড়ো বড়ো এইদুটো মিছিলের (দুটোতেই ১০০ ২০০ লোক হয়েছিল) মোটামুটি সব লোকজন ৫০ উর্ধ। ওদের ভীষণ আক্ষেপ যে ওদের ছেলেমেয়েরা সবাই ট্রাফালগার স্কোয়ারে "জিওনবাদ নিপাত যাক, মুক্ত করো গাজা" মিছিলে যোগদান করেছে।


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ০৯:৫৮
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ২ 
       
      আমরিকী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন টেলিফোনে কথা বলছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বিনয়ামিন নিতান্যহুর সঙ্গে। নিতান্যহুর ভয় গাজাতে বোমা ফেলবার সময়ে পাচ্ছে ইরান লেবানন থেকে রকেট আর মিসাইল ছোড়ে। জো বাইডেন অভয় দিয়ে বললেন, "চিন্তা করবেননা, যত পারুন বোমা মারুন আমরা আপনাদের পাশে আছি।" প্রেসিডেন্ট ফোনটা রাখতেই তার কাছে আরেকটি ফোন। এবার ইরাক থেকে। ইরাকের আম্রিকি রাষ্ট্রদূত জানাচ্ছেন, "মিস্টার প্রেসিডেন্ট বড় সমস্যা। ইরানীরা ইস্রায়েল নয় আমাদের ইরাকি ঘাঁটিতে মিসাইল দিয়ে হামলা করছে বারবার।"


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২:০২
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৩ 
       
      কয়েকদিন আগে গাজার একটি খ্রীষ্টান হাসপাতাল আর প্রায় ৮০০ বছর পুরোনো একটি চার্চে ইসরায়েলের তরফ থেকে বোমা বর্ষণ করাতে বেশ কয়েকশো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সমস্যা হচ্ছে যে ইসরায়েলের সরকার (এর সঙ্গে আম্রিকার জো বাইডেন, ভারতের জামাই ঋষি সুনক, ফ্রান্সের মাক্রু) ইতিমধ্যেই এর জন্য হামাসকে দায়ী করে ফেলেছেন কিন্তু টুইটারে আমাদের সঙ্ঘের বীরেরা (এর সঙ্গে তাদের জিওনবাদী বন্ধুরা) অলরেডি ইসরায়েলকে এর ক্রেডিট দিয়ে বলছেন, "কি রে গাজার ইঁদুর ছুঁচোরা আর আমাদের জ্বালাতে আসবি? দেখলি তো বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা আর ইস্রায়েল ছুঁলে ৫০০০ ঘা"। তাহলে কে মেরেছে এদের?


    • guru |২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:৪৮
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৪

      বর্তমান ইসরায়েল প্যালেস্টাইন সংঘর্ষে সবচেয়ে চাপে ​​​​​​​বোধহয় ​​​​​​​আরব ​​​​​​​ও ​​​​​​​মুসলীম ​​​​​​​আমেরিকানরা। এরা 9/11 এর ​​​​​​​ঘরপোড়া ​​​​​​​গোরু, তাই ​​​​​​​বেশ ​​​​​​​ভয়ে ​​​​​​​ভয়েই ​​​​​​​কাটান। গাজার খবর সামনে আসামাত্র একটি ৬ বছরের মুসলিম আমেরিকান শিশুর তার প্রতিবেশী এক শ্বেতাঙ্গ বৃদ্ধের হাতে ছুরিকাঘাতে মৃত্যুর  ঘটনা সামনে আসে। বর্তমান ইসরায়েল প্যালেস্টাইন ​​​​​​​সংঘর্ষের ​​​​​​​সময়ে ​​​​​​​তাই আপাতত ​​​​​​​এরা ​​​​​​​ভীষণভাবে ​​​​​​​নিজেদের ​​​​​​​কোনঠাসা ​​​​​​​ও ​​​​​​​একঘরে ​​​​​​​হিসেবে ​​​​​​​অনুভব ​​​​​​​করছেন। 2020 সালে ​​​​​​​এরা ​​​​​​​সবাই ​​​​​​​মিলে ​​​​​​​বাইডেনকে ​​​​​​​জিতিয়েছেন ​​​​​​​ট্রাম্পের ​​​​​​​বিরুদ্ধে ​​​​​​​অনেক ​​​​​​আশা ​​​​​​​নিয়ে যে 9/11 এর ​​​​​​​পরের ​​​​​​​ইসলামোফোবিয়া ​​​​​​​যা ​​​​​​​কিনা ​​​​​​​ট্রাম্পের ​​​​​​​আমলে ​​​​​​​ভয়াবহ ​​​​​​​রূপ ​​​​​​​ধারণ ​​​​​​​করেছিল ​​​​​​​সেটি ​​​​​​​কিছুটা ​​​​​​​কমবে ​​​​​​​ও ​​​​​​​প্যালেস্টাইন ​​​​​​​সুবিচার ​​​​​​​পাবে ​​​​​​​সে ​​​​​​​সবই ​​​​​​​এখন ​​​​​​​"আশার ​​​​​​​ছলনে ​​​​​​​ভুলি"। এখন কথা ​​​​​​​হলো ​​​​​​​এরা ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দেবেন ​​​​​​​কাকে ?? ট্রাম্প ​​​​​​​বা ​​​​​​​অন্য ​​​​​​​রিপাবলিকান ​​​​​​​প্রার্থীদের ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দিলে ​​​​​​​কোনোই ​​​​​​​লাভ ​​​​​​​নেই ​​​​​​​যেহেতু ​​​​​​​তাতে ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​স্বার্থসিদ্ধি ​​​​​​​হবেনা ​​​​​​​কিন্তু ​​​​​​​আবার ​​​​​​​বাইডেনকে ​​​​​​​ভোট ​​​​​​​দিলেও ​​​​​​​আশাভঙ্গ ​​​​​​​হোবে। তাহোলে ​​​​​​​তাদের ​​​​​​​উপায় ​​​​​​​কি ?


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১৯:৪৭
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৫ 
       
      মুসলিম আমেরিকানদের ডাইলেমার কথা আগের মিনি কড়চা তে লিখেছি। ঘটনা হচ্ছে আমেরিকাতে যেসব মুসলিম আমেরিকানরা থাকতে আসেন তারা নিজেদের দেশেই যথেষ্ট অত্যাচারিত এবং একপ্রকার বাধ্য হন শরণার্থী হিসেবে আমেরিকাতে আশ্রয় নিতে। প্যালেস্টাইন থেকে আশা এরকমই একটি পরিবারের ৬ বছরের ছেলে ওয়াদিয়া আল-ফাওয়ামে। গত অক্টোবরের প্রথম দিকে এই ইস্রায়েল প্যালেস্টাইন বর্তমান সংঘর্ষ শুরু হবার পরেই ছেলেটি ও তার মাকে বাড়িতে একা পেয়ে তাদের উপরে চড়াও হয় বাড়িওলা ৭১ বছর বয়স্ক জোসেফ জুবা। এই জুবা ভদ্রলোকের মুখে একমাত্র চিৎকার ছিল, "আমার দেশ ছেড়ে চলে যা টেরোরিস্টরা"। প্রায় ২৬ বার ছুরির আঘাতের পরে যখন ছেলেটিকে তার মা (যিনি নিজেও আহত হয়েছিলেন) কোনো রকমে উদ্ধার করেন ছেলেটির মুখে একটাই কথা ছিল, "মা আমার জন্য ভেবোনা আমি ঠিক আছি"। এটাই ছিল ছেলেটির শেষ কথা।
       
      পুলিশ আপাতত ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত করছে। ছেলেটির মা আপাতত প্রাণহানির আশংকার বাইরে কিন্তু মানসিকভাবে ডিপ্রেশনে।


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৯
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৬ 
       
      গাজাতে বর্তমান ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে মুসলিম আমেরিকানদের ভোটের প্রসঙ্গটি আস্তে আস্তে আমেরিকান প্রচারমাধ্যমে সামনে আসছে। দুটি প্রদেশ মিশিগান ও পেনসিলভানিয়াতে গতবার বাইডেন ট্রাম্পকে একচুলের ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনা হচ্ছে সমগ্র আমেরিকাতে মুসলিমদের ডেমোগ্রাফিক পার্সেন্টেজ মাত্র ১ পার্সেন্টের মতো কিন্তু এদুটো প্রদেশে সংখ্যাটা কিছু বেশী যেকারণে ২০২৪ এর ভোটে অন্ততঃ এদুটো প্রদেশে বাইডেনকে মুসলিম ভোট পুরোটাই নিজের পক্ষে টানার দরকার। এর কারণ নির্বাচনী পাটিগণিত।
       
      পেনসিলভানিয়ার নির্বাচনে ২০১৬ সালে ট্রাম্প যেতেন ৪১ হাজার ভোটে আর 2020 সালে বাইডেন জেতেন প্রায় ৮১০০০ ভোটে। এই স্টেটটির রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটার এর সংখ্যা প্রায় ১ লক্ষ্য ৮০ হাজার অর্থাৎ যে ব্যক্তি এই ভোট বেশি পাবেন তিনি জিতবেন এই সুইং স্টেট। এই সুইং স্টেট অন্তত ২০ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
       
      একই ভাবে মিশিগানে গতবার বাইডেন ট্রাম্পকে মাত্র দেড়লক্ষের ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছিলেন। মিশিগানে রেজিস্টার্ড মুসলিম ভোটার এর সংখ্যা প্রায় ২  লক্ষ্য ৪০ হাজার অর্থাৎ এখানেও বাইডেনের ট্রাম্পকে হারাতে প্রায় পুরো মুসলিম ভোট হাতে দরকার। এই সুইং স্টেট অন্তত ১৬ টি ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট আছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে।
       
      এখন দেখা যাক গাজাতে বর্তমান ঘটনাবলীর পরিপ্রেক্ষিতে এবং ট্রাম্প ও বাইডেন উভয়েরই ইসরায়েলকে অকুন্ঠ সমর্থনের পরে মুসলিম আমেরিকানরা কাকে ভোট দেন !  


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৩২
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৭ 
       
      ইউক্রেইন্ ও গাজার যুদ্ধের ব্যাপারে পশ্চিমা শক্তিদের মনোভাবের মধ্যে একটি তুলনা।
       
      পশ্চিমারা রাশিয়ার ইউক্রেইন্ আগ্রাসন  নিয়ে : ইউক্রেইন্ এর ব্যাপারে রাশিয়ানরা আগ্রাসনকারী ওরা ইউক্রেইন্ এর বিদ্যুৎ জ্বল বন্ধ করেছে বুচাতে অসংখ্য নিরপরাধ নারী ও শিশুকে হত্যা করেছে।
       
      পশ্চিমারা গাজার ইসরায়েলি হামলাতে ব্যাপারে : ইসরায়েল এর অধিকার আছে যা খুশি করবার। প্যালেস্টিনিয়ানরা দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছেনা কেন? আমরা ইসরাইলের পাশে আছি ছিলাম থাকবো।
       
      এখন পশ্চিমা মিডিয়াতে ইসরায়েল নিয়ে বেফাঁস কিছু বললেই চাকরি যাবার সম্ভাবনা !!!


    • guru | ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৫৩
    • প্যালেস্টাইন মিনি কড়চা ৮ 
       
      আমি ব্যক্তিগত ভাবে গত প্রায় ২৩ বছর ধরেই চেষ্টা করে যাচ্ছি এই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা নিয়ে পড়াশোনা করার ও পুরো ব্যাপারটি নিয়ে বিস্তারিত জানবার। তবে সত্যি কথা বলতেকি এবারের মতো এতো আলোড়ন এদেশে এই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যা নিয়ে আমি আগে দেখিনি কখনোই।টুইটার দেখলে মনে হবে যে এদেশে এখন বিশ্বকাপ ক্রিকেট চলছে তাকেও ছাড়িয়ে গেছে ইসরায়েল প্যালেস্টাইন সমস্যা। আমার নিজের একজন সহকর্মী আমাকে সেদিন বললেন "কাটার বাচ্চা আর কতদিন থাকবি এদেশে " যখন আমি তাকে বলেছিলাম যে দেখুন ইস্রায়েল আর মোসাদ না থাকলে হামাসের নামই কেউ জানতোনা। হামাসকে মোসাদ সৃষ্টি করেছিল আরাফাতকে সাইজ করতে। এই প্রথম দেখছি এতো সুদূর বিদেশের একটি এতো জটিল বহুমাত্রিক সমস্যা এইভাবে এদেশেও মেরুকরণ তৈরী করছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৬ জুন ২০২৫ ১৮:৩৩745090
  • গঠন করো কোন সমস্যা নাই!  সমস্যা খালি জায়নবাদে! হিন্দুত্ববাদে! মুসলিমবাদে কোন সমস্যা নাই!  ওআইসি করছো না? মুসলিম বিশ্ব, ইসলামী বিশ্ব, ইসলামের ইতিহাস, মুসলিম ইতিহাস আমাদের স্কুলে পড়ায় তো! তোমাগো পিছনে আছে হিন্দু বামগুলো! খ্রিস্টান বামগুলো! ইসলামিফ্যাসিবাদ চালাও কোন সমস্যা নাই। কেউ কিছু বলবে না। পৃথিবীটা অমুসলিম সেক্যুলার থাকবে আর তোমরা খালি মুসলমান হবা! সারা মধ্যপ্রাচ্যে এর ওর পিছনে কাটি দিবে আর বিপদে পড়লে মজলুম সাজবা! শিয়া সুন্নি লাগালাগি করবা, কাফের ইয়াজিদিদের কচুকাটা করবো, আর তোমাগো উপর বোমা ফেললে তোমাদের বাম ভগ্নিপতিরা বলবে তেলের লোভে নিস্পাপ মজলুমদের উপর জুলুম হচ্ছে। সমস্যা হচ্ছে, বাম লিবারেলরা দ্রুত সংখ্যালঘু হয়ে পড়ছে। একচোখা বক পাখির দৃষ্টিতে তাদের বিশ্ব রাজনীতি সমর্থকদের তাদের প্রতি হতাশ করছে। ফলে অমুসলিম লিবারেলরাও নিজেদের ভবিষ্যত চিন্তা করে ডানপন্থী হয়ে উঠছে। তোমরা যত ধর্মের জোট করবা, নিজ দেশে শরীয়া চালাবে, মেয়েদের নির্যাতন করবা তত চ্যালেঞ্জে পড়বা। সারা দুনিয়ার এয়ারপোর্টে মুসলিম পাসপোর্ট দেখলেই মানুষের মধ্যে যে সন্দেহ আনে তার রাজনীতি বুঝতে চাইলে ভাবো, নিজে নিজে ভাবো। চমেস্কি পড়লে নিজেদের আত্মসমালোচনা কোনদিন আসবে না!

    ©সুষুপ্ত পাঠক
  • MP | 2409:4060:2d4c:956d:43e3:c579:7f4f:***:*** | ১৭ জুন ২০২৫ ১২:২৪745091
  • @ প্রবীরজিৎ , ইরানে শুভ শক্তি জাগ্রত মানেটা কি ? শাহের আমলে মেয়েরা ঘরেই থাকতো এখনই ইরানে মেয়েরা শিক্ষা পাচ্ছে কলেজে যাচ্ছে এটাই কি সুষুপ্ত পাঠকদের অপছন্দ ! ইরাক লিবিয়াতে কোন ভালো কাজটা করেছে জায়নবাদ ! নিজের দেশের ভালো চাইতে গেলেই মৌলবাদী তো মৌলবাদীই সই !! শাহের আমলে ইরানের তেলের পুরো লাভটা ঘরে তুলতো আম্রিকা এখন ইরানের মানুষ সেই লাভের অনেকটাই পাচ্ছে তাই মেয়েদের স্কুল কলেজ হচ্ছে এটাই কি সুষুপ্ত পাঠকদের অপছন্দ !!                                           দ্বিতীয়তঃ ইস্রাঈলের নিজেদের দেশে কতজন মেয়ে স্বাধীন ?? কয়েকটা আশেখেনাজি পরিবার সব ওখানে !!! ইসরাইলি অনেকেই এই যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী তাহলে তাদেরও তো ইরানী রকেটে উল্লসিত হবার উচিত তাই না ! আমরা ইসরাইলের মানুষের জায়নবাদের হাত থেকে মুক্তির জন্য কি ইরানকে সমর্থন করতে পারি নিশ্চয় !!!                                                                           
  • MP | 2409:4060:2d4c:956d:43e3:c579:7f4f:***:*** | ১৭ জুন ২০২৫ ১২:৫৩745092
  •                                  প্যালেস্টাইন কড়চা ৫১ ২০২৫ , ইহুদী মানেই জায়নবাদী নয় l 
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৭ জুন ২০২৫ ২০:২১745100
  • শাহের আমলে বোরখা পরা বাধ্যতামূলক ছিল? 
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৭ জুন ২০২৫ ২০:২৩745101
  • এটা নিয়ে পয়েন্টে উত্তর দিন
    এই ফরাসীরা পৃথিবীতে ইসলামী ফ্যাসিবাদের ভূতকে কেমন করে নামিয়ে এনেছিল সে ইতিহাস বলবো। পৃথিবীতে বামপন্থীরা কতটা অদূরদর্শি ও আপদ সেসব না জানলে আগামী পৃথিবীতে আমাদের সমস্যা হবে। তাই ইতিহাস জানতে হয় আগামীর জন্যই।

    কট্টর শিয়া মোল্লা আয়াতুল্লাহ খোমিনি ১৯৬৪ সালে তুরস্কে চলে যান। রেজা শাহ তখন ইরানে। রেজা শাহকে তারা পশ্চিমাদের দালাল। পদলেহী, স্বৈরাচার বলতো। তার পতন না হলে ইরানীদের চলছিল না। ইরানের সেই সময়ের সামাজিক পরিস্থিতি এ প্রসঙ্গে তাই জেনে নেয়া যাক।

    রেজা শাহের সময় ১৯২৮ সালে ইরানী নারীদের বিদেশে একাকী পড়ার সুযোগ দেয়া হয়। ১৯৩৫ সালে তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম নারীদের পড়ার সুযোগ চালু হয়। ১৯৪৪ সালে বাধ্যতামূলক নারী প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। নারীদের শিক্ষকতা, নার্সিং, ডাক্তারি, বিজ্ঞানী, সাংবাদিকতা, খেলোয়াড় হওয়ার অধিকার দেয়া হয়। ১৯৩৬ সালের ৮ জানুয়ারি নারীদের  হিজাব চাদর পরিধানের যে বাধ্যতামূলক ইসলামী কালচার ছিল তা অধ্যাদেশ জারি করে বাতিল করা হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারী ও শিক্ষকদের মধ্যে কোন রকম পর্দার আড়াল বাতিল করা হয়।

    রেজা শাহের এই সংস্কার ধর্মান্ধ ইরানীদের ক্ষুব্ধ করে তোলে। তারা সরকারের নীতির বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিদ্রোহ করে। ফলে সরকারীভাবে কোথাও কোথাও দমনমূলক কার্যক্রম ঘটে। রেজা শাহ চেয়েছিলেন তুরস্কের মত লিবারেল ইরানী সমাজ গড়ে উঠুক। শাহের মন্ত্রী সভায় নারী মন্ত্রী ছিলেন। নারী বিচারক, আইনজীবী নিয়োগ দেয়া হয়। এসবই শাহের জন্য কাল হয়ে উঠে। আমরা এরপর দেখবো বিশ্ব নারীবাদের আইকন সিমোন ডি বোভোয়ার খোমিনিকে কিভাবে নির্লজ্জের মত সমর্থন করে বিশেষ ভূমিকা রাখেন। ইরানের নারীদের ১৪০০ বছরের অন্ধকারে নিমজ্জিত হওয়ার পিছনে ছিল তার বুদ্ধিভিত্তিক অবদান!

    খোমিনি তুরস্ক থেকে এরপর চলে যান ইরাকে। সেখান থেকে কলকাঠি নাড়তে থাকেন। কিন্তু ইরাকে সাদ্দাম হোসেন এই শিয়া মোল্লাকে এমন দৌড় দেওয়ান যে সে ইরাক ছেড়ে পালায়। এরপর খোমিনি কুয়েতে আশ্রয় নিতে চাইলে কুয়েত তাকে ফিরিয়ে দেয়। ফরাসি বামপন্থী বুদ্ধিজীবীরা খোমিনিকে ফ্র্যান্সে রাজনৈতিক আশ্রয়ের বুদ্ধি দিলে তিনি সেই কাজ করেন এবং সফল হন।

    এবার ফরাসি বামপন্থী বুদ্ধিজীবী ও তাদের মিডিয়ার ভূমিকা জানবো কিভাবে খোমিনির ইসলামিক বিপ্লবের তারা মিডিয়া পার্টনার হয়েছিল।

    ফরাসি জাতীয় গণমাধ্যম ও বিবিসি খোমিনির একান্তই মিডিয়া পার্টনার হয়ে উঠে। খোমিনি বক্তব্যের টেপ রেকর্ড, তার সংবাদ সম্মেলন প্রচারে বিরাট ভূমিকা রাখে তারা। পশ্চিমা লিবারেল মিডিয়া খোমিনিকে একজন ‘সান্ট’ ‘অসাধারণ আধ্যাত্মিক নেতা’ হিসেবে প্রচার করে। পুরো ইসলামী বিপ্লব খোমিনি ফ্র্যান্স থেকে পরিচালনা করেন যা এইসব মিডিয়া ও বুদ্ধিজীবীরা তার পক্ষে জনমত সৃষ্টি করে তোলেন। খোমিনিকে অহিংস গান্ধিবাদী হিসেবে কিছু মিডিয়া তুলে ধরে। এবার কিছু বিখ্যাত সম্মানিত বুদ্ধিজীবীদের কথা জানাই। যারা তাদের অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়েছিলেনই নয়, খোমিনির রক্তাক্ত দাঁত নখ বেরিয়ে পড়ার পরও তার সমালোচনা করেননি।

    বিখ্যাত মার্কসবাদী বুদ্ধিজীবী জাঁ পল সাত্র ‘কমিটি ফর দ্য ডিফেন্স অফ ইরানিয়ান পলিটিক্যাল প্রিজনার্স’ এর সভাপতি ছিলেন। তিনি বলে বেড়াতেন খোমিনির বিপ্লব ন্যায় সঙ্গত এবং তাদের সমর্থন করা উচিত। এদিকে সিমোন ডি বোভোয়ার ইরানের মত ইসলামি কালচারের দেশে নারীদের যে মু্ক্তি ঘটেছিল তাকে উপেক্ষা করে মোল্লার খোমিনির বিপ্লবে পূর্ণ সমর্থন জানান। পরবর্তীকালে খোমিনি ইরানী নারী নিধন ও নিপীড়ন শুরু করলেও তিনি নিরব থাকেন। আরেক বিশ্বখ্যাত মার্কসবাদী মিশেল ফুকো খোমিনিকে  “saint” বা “old saint in exile in Paris” বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি পরে তেহরান সফর করেন বিপ্লবের পর এবং ইসলামী বিপ্লবকে পশ্চিমা পুঁজিবাদ ও উপনিবেশবাদ থেকে “মনুষ্য মুক্তির আন্দোলন” হিসেবে উপস্থাপন করে দৃঢ়ভাবে খোমিনিকে সমর্থন জানায়।

    রেজা শাহের পতন ঘটে তখনই যখন তারই সংস্কারে মুক্তি পাওয়া আধুনিক শিক্ষিত নারী পুরুষ তার বিরুদ্ধে চলে যায়। যেসব ইরানী নারী আধুনিক পোশাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত, গাড়ি চালাতো, তারা রেজা শাহের পতনের পর গাড়ি নিয়ে বাইরে এসে হর্ণ বাজিয়ে সেলিব্রেট করেছিল। ১৯৭৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ইয়ার-ফ্রান্স চার্টার বিমানে খোমিনি তেহরানে ফিরে আসেন। ইরানকে ইসলামিক রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। ধাপে ধাপে খোমিনি তার দাঁত-নখগুলো বের করেন। এরমধ্যে Cultural Revolution (১৯৮০–১৯৮২) ছিল ভয়াবহ। বিশ্ববাদী, লিবারেল, বামপন্থী, সেক্যুলারদের বিরুদ্ধে এই Cultural Revolution ঘোষণা করা হয়। ১৯৮১ সালের জুন থেকে ১৯৮২ সালের মার্চ পর্যন্ত বামপন্থী নেতাকর্মীদের প্রহসনের বিচারের নামে নির্বিচারে খোমিনি হত্যা করে। এরা ছিল খোমিনি বিপ্লবের সহযোগী। তেহরানের দর্শনের শিক্ষকদেরও খোমিনি সন্দেহের চোখে দেখতো। ফলে তাদের লাশ পড়ে থাকত রাস্তায়। শতাধিক বাম বুদ্ধিজীবী যারা ইসলামী বিপ্লবের মিত্র ছিল তাদেরকে খোমিনি ‘আল্লাহর শত্রু’ ও ‘পৃথিবীতে নষ্টামী ছড়ানো’ অভিযোগে ফাঁসি দিয়েছিল। রেজা শাহের মন্ত্রীসভার নারী সদস্যদের ‘অবাধ্যতার’ অভিযোগে ফাঁসি দেয়া হয়। সিমোন ডি বোভোয়ার বিষয়টি উপভোগ করেছিলেন কিনা যাচাই করা যায়নি!

    বিংশ শতাব্দীতে বামদের বুদ্ধিভিত্তিক একটি সফল বিপ্লবের নজির হচ্ছে ইরানের ইসলামিক রেভ্যুলেশন। এখন দেখাই সেই বিপ্লবের ফল কি হয়েছিল। ১৯৭৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে নারীদের ফ্যামিলি প্রটেকশন ল বাতিল করা হয়। মার্চে নারী বিচারকদের অপসার করা হয়। কারণ ইসলামে নারী নেতৃত্ব হারাম। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৩ নারী শিক্ষা, কর্মসংস্থান, আইনী অধিকার, বিয়ে, তালাকের অধিকার রদ করা হয়। উচ্চশিক্ষা সীমিত করা হয়। মেয়েদের ঘরে রাখা হয়। হিজাব না পারলে, মাথা ঢাকা না থাকলে ৭৪টি লাঠির বাড়ি নির্ধারন করা হয়। সেই সময় থেকেই ইরানের নারীরা "Down with Khomeini", "We didn’t have a revolution to go backwards" বলে নিজেদের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে আসছে। যে অধিকার তারা একদিন আপসে রাষ্ট্রীয়ভাবে পেয়েছিল আজ সেটাই আদায় করতে তাদের জেলে পঁচে মরতে হচ্ছে। প্রতিবাদ করলেই তাদেরকে বলা হয় পশ্চিমাদের চর, মোসাদের এজেন্ট...।

    এই হচ্ছে ইতিহাস গতকাল ইসরায়েলের আক্রমন করার আগ পর্যন্ত। খোমিনির পতন যখন দৃশ্যমান মনে হচ্ছে ঠিক সেই একই চেহারায়, একই ভূমিকায় বামদের আমরা দেখতে পাচ্ছি। এরা রাজনৈতিক বদমাশ ছাড়া আর কিছু না। এদের নির্মূল হয়নি বলেই আজকে ডানপন্থী উত্থান লেগেছে ইসলামী ফ্যাসিজম উত্খাত করতে।

    ©সুষুপ্ত পাঠক
  • MP | 2401:4900:3f03:180d:5885:26f8:8e57:***:*** | ১৮ জুন ২০২৫ ০৭:৩২745106
  • https://newleftreview.org/sidecar/posts/nuclear-options.                                                   সুষুপ্ত পাঠকেরা ইরানের বাস্তব নিয়ে কিছুই জানেননা , যাই হোক উপরের লেখাটা পড়ে দেখুন l                                                                     "The declared Israeli aim of destroying the nuclear reactors has not been accomplished and Netanyahu’s boast that he will bring about regime change has produced the opposite effect. Hijabless women have been demonstrating in the streets, chanting ‘Get an atom bomb’. One of them told a reporter: ‘In parliament, they’re discussing closing down the Hormuz Straits. No need to discuss. Just close them down.’ "
  • MP | 2401:4900:3f03:180d:5885:26f8:8e57:***:*** | ১৮ জুন ২০২৫ ০৭:৩৬745107
  • @ প্রবীরজিৎ , ধরুন খামেনেই কালকেই শহীদ হয়ে গেলেন ইসরাইলী বা আম্রিকান রকেটে মিসাইলে l এরপরে যদি কোনো সেক্যুলার ইরানী শাসক ধরুন কোন হিজাবহীন মহিলা শাসক তিনি গদীতে বসেই নিউক্লিয়ার বোমা বানাবার কথা বলেন তখন আপনারা সেটা মেনে নেবেন তো ? প্রশ্ন হচ্ছে যে যদি ইস্রাঈলের ১০০ টা পরমাণু বোমা থাকে তাহোলে ইরানের অন্ততঃ ১০ টা পরমাণু বোমা কেন থাকবেনা ? 
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৮ জুন ২০২৫ ০৮:০২745108
  • পরমাণু বোমা কারুর ই বানানোর অধিকার থাকা উচিত নয়। যারা বানিয়ে ফেলেছে তাদের গুলো নষ্ট করা উচিত। সেগুলো করবে কে? ইরান ইরাক কে ওই ছুতোয় আক্রমণ করার তীব্র নিন্দা করি। সাদাম কে মিথ্যা কারণে খুন করা হয়েছে। 
     
    সবার আগে পাকিস্তানকে নিরস্ত্র করা উচিত। এরা টেররিস্ট চালান দেয়। সমস্যা হল এরা আমেরিকার পোষা কুত্তা। শুনেছি পাকিস্তানের দেড়শ পরমাণু বোমা আছে তার বেশির ভাগ মার্কিনিরা ওখানে রেখেছে। ভারত ওখানে মিসাইল আক্রমণ করাতে ট্রাম্প তড়িঘড়ি যুদ্ধ থামাল। 
     
    ইরান ইসরাইল যুদ্ধ বন্ধ হোক। দু পক্ষের শুভ বুদ্ধি জাগ্রত হোক। 
  • MP | 2401:4900:3f03:180d:5885:26f8:8e57:***:*** | ১৮ জুন ২০২৫ ০৮:২০745109
  • @ প্রবীরজিৎ , মূল সমস্যা ইসরাইলী জায়নবাদ l ওরাই পশ্চিম এশিয়াতে কখনোই শান্তি চায়নি l দেখুন পশ্চিম এশিয়ার মূল সমস্যা হচ্ছে যে শুধু ইস্রাঈল পরমাণু বোমা রেখেছে অন্য কেউই নয় এবং ইসরাইল অন্য কারুর হাতে পরমাণু বোমা দেখতেও চায়না l এটাই মূল সমস্যা l এখন সমাধান কি ? ইরান তুর্কী মিশর সৌদী সবাইকেই পরমাণু বোমার কথা ভাবতে হবে l তাহলে একটা শক্তির ব্যালান্স আসবে পশ্চিম এশিয়াতে যুদ্ধটুদ্ধও হয়তো কম হবে l ইরানে কোন সেক্যুলার সরকার এলেও তাদের এরকমই ভাবতে হবে l সত্য বলতে কি এখন তেহরানের রাস্তায় হিজাববিহীন মেয়েরাই সেটাই চাইছেন l সত্যি বলতে কী , মোল্লাদের উপরে এখন সেক্যুলার ইরানীরাই বেশী করে করে পরমাণু বোমা চাইছেন l মোল্লাদের চাপ দিচ্ছেন ওরা প্রবল্ভাবে l 
  • MP | 2401:4900:731a:d7ea:6a37:f0b5:b3dd:***:*** | ১৮ জুন ২০২৫ ২২:২৪745113
  • https://x.com/Kanthan2030/status/1935309798884434070?t=2MCCEa54VxWX1Oakrpcf6w&s=19.        প্যালেস্টাইন কড়চা ২০২৫ ৫২ , সুষুপ্ত পাঠক আর প্রবীরজিৎদের আসল রহস্য ফাঁস হলো l এরা মাসের প্রাপ্তি ২০০০ ডলার পায় ইস্রাঈলের থেকে l 
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৯ জুন ২০২৫ ০৬:১৭745116
  • ওরে ছাগু তুই তো জামাতি বাংলাদেশি। কে তোকে ফিন্যান্স করে? কোন সুস্থ আলোচনায় না গিয়ে ব্যক্তি আক্রমণ করিস। সব দেশই প্রচারে টাকা ঢালে। সেটা তোর মত এক বগগা লোকেরা পায়। তোর মত জামাতি র সঙ্গে আর কোন কথা নয়। এখানে একাই প্রলাপ বকে যা।
  • MP | 2401:4900:733a:c749:3721:2eaf:187e:***:*** | ১৯ জুন ২০২৫ ০৮:০০745117
  • আপনি যা খুশী বলতেই পারেন l জবাব দেবার থাকলে তো দেবেন l 
  • MP | 2401:4900:733a:c749:3721:2eaf:187e:***:*** | ১৯ জুন ২০২৫ ০৮:০২745118
  • প্যালেস্টাইন কড়চা ২০২৫ ৫৩  ,                            ইস্রাঈল ইরানের এই যুদ্ধের পিছনের আসল কারণ l
  • MP | 2401:4900:733a:c749:3721:2eaf:187e:***:*** | ১৯ জুন ২০২৫ ১০:০৬745124
  • প্যালেস্টাইন কড়চা ২০২৫ ৫৪ ,                             ইরানের যুদ্ধের গোড়ার কথা                                 ১৯৯৬ সাল , ওয়াশিংটনের একটি থিঙ্ক ট্যাংক PNAC মতান্তরে the institute for advanced strategic and political studies একটা রিপোর্ট পাবলিশ করে যেটির মূল উদ্যেশ্য ছিলো ২০০০ সালের ও তার পরবর্তীকালের আম্রিকি মিলিটারী ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের জন্যে একটা রূপরেখা তৈরী করা l সেই রিপোর্টেই মূলতঃ সাতটি মুসলিম দেশের নাম বলে এদেরকে ভবিষ্যতের রিজিম চেঞ্জ টার্গেট হিসাবে প্রস্তুত করা হয়ে l এদেশগুলো হচ্ছে , ইরাক সিরিয়া লিবিয়া সুদান সোমালিয়া লেবানন এবং ইরান l এই প্রত্যেকটা দেশকেই এর পরের তিরিশ বছরে বিভিন্নভাবে টার্গেট করে আম্রিকি মিলিটারী ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স l কখনো সরাসরি আগ্রাসন , কখনো গৃহযুদ্ধ , কখনো অন্তর্বিপ্লব , কখনো নিষেধাজ্ঞা এভাবেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এই দেশগুলো l এই রিপোর্টটি "ক্লিন ব্রেক" বলেও ডাকা হয় l যারা লিখেছিলেন তাদের মধ্যে ছিলেন পল wolfowitz, রিচার্ড পার্ল ইত্যাদি যারা এর পরে পরিচিত হবেন "নিওকন" নামে l এরা প্রায় সবাই জায়নবাদী বলাই বাহুল্য l ২০০৩ সালে আম্রিকার  ইরাক আগ্রাসনের মধ্যে দিয়েই এই প্রকল্প শুরু হয় .                                                                                                আরেকটা কথা , এই নিওকনরা ইস্রাঈলের জন্যও পরিকল্পনা করেছিলেন l ইসরাঈলে সূচনা থেকে মোটামুটি নব্বই দশকের শুরুতে ওই রিপোর্টটি লেখা পর্যন্ত একধরণের সমাজতন্ত্র ছিলো যেটি প্যালেস্টাইনের প্রতি কিছুটা নরমপন্থী আর আপসকামী ছিলো l প্যালেস্টাইনের সঙ্গে একটা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানেরও পক্ষপাতী ছিলেন সেসময়কার শিমন পেরেজ বা ইজহাক রাবিনের মত লেবার পার্টির নেতারা l ১৯৯৪ সালে অসলো চুক্তির জন্যে শান্তির নোবেল পেয়েছেন শিমন রাবিন এবং প্যালেস্টাইনের নেতা আরাফাত l  এদের প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কট্টরপন্থী উগ্র জায়নবাদীরা যাদের লিকুদ পার্টিও বলা হয়ে থাকে l এই লিকুদ পার্টি প্যালেস্টাইন তথা সমগ্র পশ্চিম এশিয়াতে মিলিটারী পাওয়ার দেখিয়ে সাম্রাজ্যবিস্তারে আগ্রহী l রতনে রতন চেনে কাজেই এদেরই সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলেন "ক্লিন ব্রেক" রিপোর্টএর লেখক নিওকনেরা l তাদের পরিকল্পনা রূপায়ণে প্রধান হাতিয়ার হলেন লিকুদ পার্টির এক নেতা যার স্বপ্ন প্যালেস্টাইনের সংগে অসলো চুক্তি ও "টু স্টেট্ সল্যুশন " কে দুরমুশ করা এবং একই সাথে ইস্রাঈলের সমাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রকেও কবরে পাঠানো l এই লিকুদ নেতাই হলেন আমাদের অতি পরিচিত বর্তমান ইস্রাঈলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু l ইনি সত্তর আশির দশকে যৌবনের অনেকটা সময়ই কাটিয়েছিলেন ওয়াশিংটনের ক্ষমতার অলিন্দে অলিন্দে এইসব থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলিতে l তখন তার নাম ছিলো বেন নাটাই l কাজেই তাকেই যে বেছে নেবেন নিওকনেরা নিজেদের কাজ গোছাতে তাতে আর আশ্চর্য্য কি !!!                                                                                                     নেতানিয়াহুর সঙ্গে এই নিওকন আঁতাতের ফল ইসরাইলী রাজনীতিতে আসে বেশ চটজলদি যখন অসলো চুক্তির পরে পরেই এক জায়নবাদী কট্টরপন্থী ইহুদীর গুলিতে নিহত হলেন ইসরাইলের নোবেলবিজয়ী প্রধানমন্ত্রী ইজহাক রাবিন l এর পরেই নেতানিয়াহুর প্রধানমন্ত্রী হওয়া এবং গত তিরিশ বছরের বেশীর ভাগ সময়টাই এই নেতানিয়াহুই ইস্রাঈলের প্রধানমন্ত্রির গদি সামলেছেন l বলাই বাহুল্য , খুব সফলভাবেই ইসরাইলী সমাজ ও অর্থনীতি থেকে লেবার পার্টির শান্তিকামী  সমাজতন্ত্রকে মুছে ফেলেছেন নেতানিয়াহু l আর পশ্চিম এশিয়ার গত তিরিশ অশান্তি আর যুদ্ধের ইতিহাস তো সবারই জানা l                  
  • সনাতন | 72.52.***.*** | ১৯ জুন ২০২৫ ১০:৫৮745125
  • অবশেষে সূত্র মারফত জানা গেলো। প্রবীরচাড্ডি মাসোহারা পায় ২০০০ ডলার। আর ছাগুটি পায় ২২০০ ডলার। এই মধুর লোভে এরা লাথ খেয়েও পড়ে থাকে।  
     
     
  • MP | 2409:4060:2e17:2627:2595:ac69:2112:***:*** | ২৫ জুন ২০২৫ ২২:২২745155
  • https://x.com/SMohyeddin/status/1937327514554405277?t=QMViWnMN30VIRBt2AC8_gg&s=19.        প্যালেস্টাইন কড়চা ২০২৫ ৫৫  ,                             ইরানের সবচেয়ে বড় আর্ট গ্যালারি যেখানে ব্রিটিশ শিল্পী বেকনের সবচেয়ে বড় কালেকশন ছিলো , উড়িয়ে দিলো ইস্রাঈল l 
  • MP | 2401:4900:3141:a82f:5b72:c143:d2be:***:*** | ৩০ জুন ২০২৫ ১১:২৭745184
  • https://www.jpost.com/israel-news/article-859440.                                       প্যালেস্টাইন কড়চা ২০২৫ ৫৬  ,                                  উলট পুরান ঘটলো প্যালেস্টাইনে l জায়নবাদী মৌলবাদীরা প্যালেস্টিনিয়ানদের জমি দখল করতে না পেরে পুড়িয়ে দিলো ইসরাইলী সেনা চৌকী l 
  • MP | 2401:4900:3141:a82f:5b72:c143:d2be:***:*** | ৩০ জুন ২০২৫ ১৮:৫৭745186
  • প্যালেস্টাইন কড়চা ২০২৫ ৫৭  ,                            প্যালেস্টাইনের জেনোসাইডের প্রতিবাদ করবার জন্য ইসরাইলী পার্লামেন্ট নেসেট থেকে বহিস্কার করা হলো আরব এমপি আইমান ওডেকে l https://www.timesofisrael.com/liveblog-june-30-2025/
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন