এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পর্বে পর্বে কবিতা - তৃতীয় পর্ব

    pi
    অন্যান্য | ১৭ ডিসেম্বর ২০১১ | ৬৫৩৯৮ বার পঠিত | রেটিং ৪.৭ (৩ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ২৯ জুলাই ২০২১ ১৩:১৩734786
  • দেশ​​​​​​​​​


    (১)


    এই শান্ত সকালবেলা; 


    যখন নিঃশব্দ বারিষ ঝরছে একেলা ,


    নীরবে ঝরে পড়ছে আমার দেশ 


    আমার দেশের বুকের পরে; 


    তখন ,এলে তুমি----


    নীরব অখন্ড আলাপ বেয়ে ,


    সব ধুনোগন্ধী ধূপছায়া অলঙ্কার ছেড়ে ,


    সারা গগন জুড়ে শ্যামল ছায়া ছেয়ে


    ওগো প্রিয় আমার|


    (২)


    তবে আনো ফুলডোর,


    ষড়জ থেকে গান্ধার ,গান্ধার থেকে মধ্যম


    আবার ঋষভে ফিরে ,ছুঁয়ে আলতো শৈশব


    পূর্ণ বিকাশ হোক তব,


    কৃন্তন কর বন্ধনডোর।


    আগল খোল ,আগল খোল


    ওহে অনির্বাণ অনিকেত!


    ঢালো তব অশ্রুত সুররেতঃ।


    (৩)


    এ দেশ পঞ্চম বেয়ে উঠেছে নিষাদে


    আবার কেন ফিরে যেতে চায় ,হায়?


    মরি ,এ কেন যেতে চায় কোমল -নিষাদ পানে-


    হ্যাঁচকা মেরে তুলি তারসপ্তকে এক বিশাল টানে ।


    এবার উঠি ষড়জ বেয়ে কোমলগান্ধারে


    ঋষভে নিয়ে যতি-বিশ্রাম ,


    যাত্রা শুরু তব পদপানে অবিরাম।


    (৪)


    আঘাত'পরে আঘাত আসে যায়


    দুরন্ত প্রত্যয় তবু জেগে রয়।


    সুরধারা ঝরে ভুল সুরের ঠিকানায়;


    মেঘ আঁচলে বীণাপাণির অবাধ প্রশ্রয়।


    তানপুরোর ওপর চুপ করে এসে বসে


    গাংফড়িঙের ছোট্ট ছানা,ধূমল,ঘোলাটে


    কাচের মতো ডানা মেলে ,চুপচাপ


    দেখে বৃষ্টি,ওড়ে ঝিরিঝিরি হাহাকারে।


    (৫)


    ঘোর হয়ে আসে আকাশ।


    ঘন হয় রং জলরঙের বাটিতে


    টিপটিপে রঙের ফোঁটায় দিগন্ত ফুটে ওঠে


    দম নিয়ে আবার ছাড়ি শ্বাস;


    ঠিক তক্ষুনি---


    জাদু ঘটে যায় অলখ নিভৃতে


    তানে তানে লাগে প্রাণে প্রাণে ঝঙ্কার


    ষড়জ-শৃঙ্খল ছাড়িয়ে মধ্যম পেরিয়ে


    উড়াল দেওয়া ডানা থিতু হয়ে


    আশ্রয় খুঁজে পায় পঞ্চমে।


    অশ্রুমুক্তো গেঁথে সাজিয়ে তুলি 


    তোমার ঘনশ্যাম উত্তরীয়--


    রোদের হাসিতে তোমার পূর্ণ মহিমা 


    ফুটে ওঠে জমকালো হয়ে ।


    পূর্ণতা পাও তুমি ,আমার দেশ-


    আমার দেশ ,খাম্বাজ সাজ 


    ছেড়ে এসেছ আপন রাজত্বে


    নমি চরণে রাজাধিরাজ।


    (৬)


    এবার তবে বিদায়ের পালা।


    সিংহাসনে বসেছ এখন


    তবে মিলন হোক এবার 


    পলে পলে ,তিলে তিলে অনুখন।


    সকল প্রদীপ জ্বেলেছি তব তরে


    সকল দিন্য ,গর্ব করেছি দূর।


    বন্দনাগানে ঢালো তবে সুর ।


    নাথ আমার ,গাগরি ভরে দাও 


    ভরে দাও ,ভরে দাও ...ভরে দাও,


    অতলস্পর্শী, গগনচুম্বী সব সুরে সুরে।

  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ১০:০৫734963
  • বৃষ্টি শেষের হাওয়া 
    তখন বৃষ্টি হচ্ছিল,
    এখন শান্ত চরাচর।
    মেঘমুক্ত নয় যদিও অখিল
    আকাশ,তবু পল্লবমর্মর
    রিনিরিনি বৃষ্টিতে গেছে থেমে।
    সিক্ত বাতাসে ভরা বেলি-জুঁই-চামেলি 
    মল্লিকাবন ভেজা আর্দ্র গন্ধে।
    ছায়াঘেরা বাগানে বেড়াল এক চোখ মেলি 
    ভাঙছে আড়মোড়া আপন অলস ছন্দে।
     
    কত ফড়িং উড়ছে এতোল-বেতোল বাতাসে
    ডানা ঝাপটায় ঝিরিঝিরি ঝিরিঝিরি; 
    নামিয়ে রেখেছে ডানা দমকা হাওয়ার শ্বাসে
    বাদলা হাওয়া ব‌ইছে শিরশিরে।
    নীল, সবুজ ,ধূসর ,লাল -কত রঙের মেলা 
    পলকাটা জালিজালি মসৃণ দেহের মেলা 
    উঠছে আর নামছে, উঠছে আর নামছে
    বর্ষাকাব্যে ফড়িংডানার ফিনফিনে সিলসিলা।
     
    মুশায়েরা বসেছে ব্যা‌ঙেদের , ডাকপাখির ডাকে
    কান ঝালাপালা -হয়তো বা এখন 
    মিটেছে তৃষ্ণা-তাই এত বেরিয়েছে গলা? 
    একপশলা বর্ষণে ধুয়ে গেছে ময়লা রাতারাতি ,
    গাছেরা তাই আনন্দেতে করছে মাতামাতি।
    আবার কখন নামবে বৃষ্টি ,ভাসবে পথ -জানি না ,
    শুধু শুনতে পাই--এবার বাজল বীণা।
     
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১:১৯735010
  • বেহাগ
     
    রাতের বেলায় ছাদে দোলনায় গিয়ে বসি 
    হাওয়া দেয় মৃদুমন্দ দোলা ধীরে ধীরে 
    কাঁপে তিরতিরে নীর যৌবনসরসী।
     
    তানপুরো ধরে রাখি,ধরেই থাকি
    বড়োই ভয় করে বুকের মাঝারে
    আঁজলা আঁজলা সুর কন্ঠে নিয়ে মাখি।
     
    বেজে ওঠে সুরবাহার অশ্রুত ছন্দে
    তারায় তারায় সুর যায় ছড়িয়ে 
    হাওয়ায় দোলা লাগে আনন্দের।
     
    রাত বাড়ে, ছাত জুড়ে ,জোনাকিরা সব
    সাজায় আলো, আঁধার যায় চুঁইয়ে; 
    তানে দেয় ঝঙ্কার ঝিরঝিরে ঝিল্লীরব।
     
    ফিরি পা'য়ে পা'য়ে ,তীব্র--কোমল সুরে
    মধ্যমে লাগে কড়ি জ্যোৎস্নার আল্পনা
    চূর্ণ কুন্তলে বেহাগ সোহাগ দেয় ভরে।
     
    এ সুর বন্ধ হলে, শুধুই কাকের কলরব
    তাই এ সুরে থামব না, থামব না ---
    আলোরাত কাটিয়ে আনব ভোরের ভৈরব।
     
     
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ০৬ অক্টোবর ২০২১ ০৯:৫১735016
  • বিহানবেলা 
     
    ভাদর-এর বাদলমেলা গেছে আকাশ পারে ,
    এসেছে আশ্বিনের শান্ত উৎসবের বেলা।
    সোনালি রোদ্দুর-আলোর অলঙ্কার পরে
    করছে আকাশ মেঘের সনে খেলা।
    পথ সাজানো সীতাহার রোদ্দুর দিয়ে
    মুঠো মুঠো ছড়ানো সোনা-রূপো জরি
    পনিহারিন মেঘ ফিরছে মধুবাতাস বেয়ে
    চড়া রোদে, গাছেদের মুখ শুকিয়ে কড়ি।
     
    পথ চলেছে ধানক্ষেত ছাড়িয়ে,দূরে নদীর জল ,
    শূন্য বুকে দাঁড় বাইছে রোদ্দুর জ্বলজ্বলে; 
    পাল মেলেছে নৈঃশব্দ্য অনন্ত অম্বরে
    সামনে পথ ছায়ায় আলোয় ঢাকা।
     
    কাশের বনে ঢেউ উঠেছে ফেনিল উচ্ছাসে
    সারঙের সুর বাজছে ঘুরঘুরে ঘুঘুর শ্বাসে
    পথ চলেছে চলনবিলের পদ্মবন-পাশে
    আগমনী সুর সাজছে তুরীয় বাতাসে।
     
    দীর্ঘ পথ ছাড়িয়ে চলি , পথিক, বহুদূর
    ডাক আসে শাঁখের সুরে কোন অচিনপুর-
    পানে; ধীরে ধীরে বেলা আসে ঢলে-
    ইমনকল্যাণ মধ্যম বেয়ে রোদ্দুর পড়ে গলে।
    মেঘে মেঘে গোলাপি-কমলা-হলদে ঘুঙ্ঘট জড়ানো
    সন্ধ্যা নামে গমকে গমকে , মীড়ে মীড়ে গড়ানো।
     
    মোহর তিল সন্ধ্যাতারাখানি উঠেছে অস্ত আকাশে
    পৌঁছেছি নদীর ধারে,পা ছড়িয়ে বসি সবুজ ঘাসে--
    তারায় তারায় সাজানো আকাশ নীরবতার ছল
    অনেক কথা বলছে নদী ছলছল ছলছল...
     
     
     
  • ফরিদা | ২০ অক্টোবর ২০২১ ২১:৪৬735057
  • কুঁড়িগুলি দেখি প্রতিটি সকালে

    অল্প স্বল্প বাড়ে,  শুকিয়েও যায় কেউ

    জল কম-বেশি, সার মাটি কীটনাশকের হেরফের

    হয়ে গেলে বুঝতে পারি না। 

     

    পাখি দেখে চুপ থাকি, ধীরে ধীরে কাছে আসে

    নাগালের মধ্যে রাখা দানা খেতে শেখে

    এইভাবে বহু অভ্যাসে কেউ এসে হাতেও বসলে

    দেখি ফুলগুলো আচমকা সব ফুটে গেছে। 

     

    কাছে গিয়ে আশা নিয়ে বলেছি সে-কথা।

    মৃদুস্বরে বলেছে সে — আজও শিখলে না?

    সামান্য কাকতাড়ুয়ার কাজও তোমার হবে না। 

  • ফরিদা | ১৮ নভেম্বর ২০২১ ১০:৫০735131
  • যে কথা নৈঃশব্দ্য  বিয়োয় নি

    আমি তাকে অর্থহীন বলি

    তাই সে স্থলে জলে অন্তরীক্ষে 

    বিজ্ঞাপিত হয়েছে।

     

    তাই, দেহাতীত হ'তে চেয়ে যে সৌন্দর্যগুলি

    ফুলের অবয়ব ছেড়ে, পাখির ঠোঁট ছেড়ে

    নারকেল পাতার ফাঁক দিয়ে আসা জ্যোৎস্না ছেড়ে

    চলে গেছে জীবনের অন্য সংজ্ঞার খোঁজে —

    তার পিছু নেব ভাবি, ইত্যবসরে।  

     

    এক একটি কুকুর কে দেখে মনে হয় — এ,

    বেড়ালের মতো মিউ মিউ করলে বেশ হ'ত

    যেভাবে পাকানো দড়ি ফোঁস করে ওঠে —

    বলে গেছে পূর্বজরা।

     

    অন্য স্বরে বলার কথা ভাবি, যেভাবে

    রাতের রেলগাড়ি পেরোয় 

    ভরা জোৎস্নায় মরা নদীর বালিধারা।

    ঘুমের মধ্যে সর্বস্ব খুইয়ে ডুকরে ওঠে

    মাঝবয়েসী সংসার-মাঝি।

     

    ভাবি, সব ছেড়ে দিয়ে শুধু নৈঃশব্দ্য লিখি। 


      

    বক্তব্য রাখাকালীন চোখ খোলা থাকলেও

    দেখা যায় না অনেক সময়েই।

    কানও বন্ধ থাকে অনেকাংশ।

    ফলতঃ সে কথা ঠিক কীভাবে কোথায় পৌঁছল

    আমরা জানিনি ঠিকঠাক।

     

    মশার মতো কেউ তাকে হাত নেড়ে তাড়িয়েছে

    একজন সে মশার পিছু নিয়ে মারবে বলে উদ্যত

    কারও খুব ঘুম এল বুঝি,

    ফেরার পথে আটা আনতে হবে — 

    আচমকা মনে পড়ে অন্যজন কিছুটা বিড়ম্বিত।

  • প্রত্যয় ভুক্ত | ০৩ ডিসেম্বর ২০২১ ২০:২৬735147
  • রাগ রস বরষে ২
     
    ভীমপলশ্রী
     
    যখন দুপুর গড়িয়ে এসে বিকেলের কাছে থামে ,
    দেয়ালের উপর টিকটিকিটা ডেকে ওঠে জোরে ,
    সারঙের তেহাই এসে ফাঁক বোজায় সমে ,
    ভীমপলশ্রী বেজে ওঠে আলসেমি রোদ্দুরে।
     
    লালধুলোর মাঠ পেরিয়ে ,টিলা আর পাহাড়
    ছাড়িয়ে,ঝিরঝিরে জলে পা ধুয়ে ,
    ছড়িয়ে পড়ে সুর অনন্ত আকাশে; 
    কার ছায়া বাতাসে যায় ছুঁয়ে।
     
    অশ্রুত সুর সুশ্রুত-হাত বোলায় ক্ষতের পরে ,
    আঁধার বেলা নামে অরণ্যে কোমল গান্ধারে ,
    মধ্যম-পঞ্চমে ঝুমঝুমে সুর যায় ভরে ভরে ,
    থমকে দাঁড়ায় ঝর্না পাহাড়-সোপান ধারে।
     
    তীব্ৰ বিষাদ বিষ ছড়ায় কোমল ঘাতক নিষাদ ,
    শরক্ষেপে চন্দ্রাহত কুরঙ্গিনী - আঁখি--
    পনিহারিন মেঘের দল,রাজস্থানি ঘুঙ্ঘট, সুছাঁদ ,
    চলেছে নূপুরে নূপুরে নীরব তাল রাখি।
     
    বকুলদিনের বেলা পুরোয়, ঢলে পড়ে ছায়া ,
    ধীরে ধীরে থামে বোল,স্তব্ধ তবলা-বাঁয়া 
    অভিসারী প্রিয় গেছে চলে আপন মন্দির-পানে
    কত লাজভয়ে ফিরিয়েছি তারে,কেউ না জানে।
     
    এখন দীর্ঘছায়া,বিরহ দীর্ঘায়িত,নামে নিবিড় আঁধার,
    সময় হয়েছে শূন্য মঞ্চে দু-চার ফোঁটা কাঁদার।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ০৫ জানুয়ারি ২০২২ ০০:৩৪735327
  • শীতরাতে
     
    বড় একা হয়ে যাচ্ছি দিন দিন,
    এই ক্লান্ত পৌষ রাতের মাঠচরা
    দানা-কুড়োনো ভীতু ইঁদুরের মতো
    জ্যোৎস্না রাতে ঠুকরে বেড়াই বেদনা
    কত হিমক্লীন্ন ব্যথা,পুরোনো হৃদয়ক্ষত।
     
    কুয়াশা ঢাকা চরাচরে ভেসে আসে তীক্ষ্ণ
    কুকুরের কান্না; শহরের রাস্তা ,অলিগলি
    বেয়ে, রূপোলি দুঃখের চরণচক্র জুড়ে,
    কামড় বসায় নিঃশব্দ ঘাতক শীত ঘাড়ে,
    চেটে খায় কামার্ত যত ঘা আর তাজা রক্ত।
     
    একাকিত্ব চেপে বসে- স্বৈরিণী ক্রেসিডা 
    হয়ে ইচ্ছে করে আয়নার মতো বুক ভাঙি
    বিশ্বস্ত খোজা চাকরের মতো যতো প্রেমিকের,
    তবু হায়,ভাঙার মতো হৃদয় জোটেনা কোথাও
    তাই,ফাটা পায়ে কাঁচ-বেঁধা আলতা পরা হয় না।
     
    একাকিনী বসে থাকি ,জোছনাভেজা বিষণ্ণ রজনী,
    প্রমিত, তুমি কখনোই আসবে না,এখন জানি।
    তবু ,ইচ্ছা করে মাঝে মাঝে, জহর আংটিতে যত,
    সব বিষ ঢেলে দিই ,অধর-জিভ ছুঁয়ে, চুমি অবিরত।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৫ জানুয়ারি ২০২২ ১৯:১২735386
  • মধুযামিনী
     
    এখনো চোখের পাতায় মেঘ জমে।স্মৃতিনীর।
    সারেঙ্গিতে তখন নিষাদ বেয়ে গান্ধার,আলতো মীড়,
    আলতামিরা রঙের অনুভূতি,ক্যান্ডি ফ্লস দুঃখ-
    বিচ্ছেদবেদনা;মৃত্যুপরোয়ানা ভালোই তো লেখো।
     
    স্মৃতি বড় বেদনার,স্মৃতি বড় বেদনার,অলোকপর্ণা-
    লম্বাটে মুখ,দীঘি দীঘি চোখ ঘেরা অন্ধকারের ঝর্না,
    ভুলে গেছিলাম;বহুদিন পরে দেখা হল ,তখন তুমি
    কোনার্কের দেয়ালে দাঁড়িয়ে,নিশ্চুপ বেলাভূমি।
     
    রক্তসন্ধ্যা নামছে ধীরে ধীরে,কাচের গ্লাসে গ্লাসে রাঙা
    মারকিউরোক্রোম,মেশানো রয়েছে মিহি তীক্ষ্ণ কাঁচভাঙা,
    বুকে গিয়ে চিরবে ক্ষত,পুরনো যত কারুবাসনার সারি-
    অনেক ব্যথা;লুকোনো ছিল,আজকে করবে বাড়াবাড়ি।
     
    হোকগে ছাই,পারিনা আর অত,চেপে থাকা বুকের পাথর
    সরিয়ে রেখে ,কখনো কখনো তো ভালোই লাগে বেশ-
    কাঁদতে কাঁদতে বুঝি যখন, শেষ রাতের নরম আতর
    গন্ধে,নিবিড় শোকে আনন্দে ,মিশছে তোমার আশ্লেষ।
  • ফরিদা | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৩:২০735748
  • ধর, আজ ইস্কুলে পড়া পারে নি যে, 
    বেঁটে বলে খ্যাপায় অন্যরা
    রাগে হতাশায় তুতলিয়ে ফেলে সে...

    ধর, আজ সারাদিন গিয়েছে তাগাদায়
    মেয়ের বিয়ের আর সাতদিন বাকি
    টাকার যোগাড় ছাড়া বাড়ি যাবে কোনমুখে?

    এ চাকরিটাও হ'ল না,
    অপেক্ষার মানে নেই আর কোনও 
    বাবা যাকে খুঁজে পেয়েছেন, 
    তাকে নিয়ে সুখী হও। 
    ভালোবাসা জেনো…

    সবারই সন্ধ্যা আসে কখনও না কখনও
    তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে লোকে, অপমান, মার
    শাঁখ বাজে তখনই কি? উপশম গানে —
    "একটি পারুল বোন, আমি তোমার…"
  • ফরিদা | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৩১735775
  • হামনে দেখি হ্যায়

    কিছুই বলেনি কেউ,  কথা ছিল চুপ থাকবার
    বসন্তে কৃষ্ণচূড়াটি তবু রঙিন আঁচল ছড়িয়েছে
    ক্ষয়াটে দোকান ঘিরে। নিত্য প্রয়োজনী সম্ভার
    খাওয়া পরা স্বল্পে মিটিয়ে শখে সে রেডিও শুনেছে।

    রাস্তা চওড়া হবে — মাপজোক নেয় কিছু লোক
    কৃষ্ণচূড়াটি উঁকি মেরে দেখে কিছু জানা যায় কি না
    "কিস্যু হবে না, দেখো" — চেনাশোনা সাবেক গ্রাহক
    তবুও শঙ্কা থাকে। এ বয়েসে আর কিছু জুটবে না। 

    তবু ক্রমে যন্ত্ররা আসে, আরও লোক, কথাবার্তাও
    এরা নাকি বড় গাছ তুলে নিয়ে অন্য কোথাও বসাবে।
    "এতদিনে হিল্লে হ'ল, জমির দাম বাড়বে লিখে নিও" 
    তোমার তো কপাল খুলল, এ দোকান এবার পাকা হবে 

    একদিন শেষ রাত আসে। সে দিন রেডিও থরোথরো —
    "সির্ফ এহসাস হ্যায় ইয়ে রূহ সে মেহেসুস করো.."
  • শ্ব | 1.39.***.*** | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৪৩735776
  • ধ্বে : 
    ~~~~

    এই জানলার পাশ দিয়ে বহে  যাওয়া 
    রেল, তার ট্রেনের আওয়াজ,  
    সমুদ্রের ঢেউ হয়ে আছ্রাচ্ছে আমার 
    চ্যানেলে ; 

    পাল্টাতেই পারি কিন্তু পাশের ঘরের 
    খামে গোটা গোটা লেখা ঃ সেই ত চলেই যাবি,
    কেন কেন,  কিসে বা কী হয়।  
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২২:৫৯735777
  • কিন্নরজন্ম
     
    সেই কত,কত্তো জন্ম আগে, কথা দিয়েছিলে-
    একদিন,অনেক অনেক চাঁদ পেরিয়ে-
    দুজনে বসব পাশাপাশি, বাঁশিলইয়ের কূলে,
    কত সূর্য,কত তারা ,কত রক্ত হারিয়ে।
     
    কথা ছিল,দুজনে বসব পাশাপাশি,
    কেউ থাকবে না চারিধারে,নির্জন মালভূমি
    আকাশে-বাতাসে ভাসবে লুকোনো যত হাসি,
    ছলছলে কান্নার সুখে বাজবে ঝুমঝুমি।
     
    তানপুরার জুড়ির তার যখন নেমে যাবে,থেমে যাবে
    আস্তে আস্তে,ধীরে ধীরে চুপচাপ টুপটাপ রাত্তির
    ছেয়ে ,চৈতালি সুগন্ধী মহুয়া-মাতাল চাঁদ উঠবে,
    গান গাইব আমি ,জল কাঁপবে,বুক-গলা থিরথির।
     
    বেহাগের ছুটের সুরেরা এসে বসবে, তিলক-কামোদে
    গান্ধার,মধ্যমে বিছানো আসনে;অলকচূর্ণ বেয়ে
    শিরশিরে বাসন্তী বাতাস-অন্যমনা স্নেহে,আমোদে,
    তোমার আঙুল,কপালে উড়ো চুল দেবে সরিয়ে।
     
    তোমার বাঁশি বাজাবে বাগেশ্রী,মা ধা নি ধা নি,
    ঝিঁঝিঁর সেতার দেবে ঝংকার;জোনাকীর টিপ 
    পরা লাল সব পাথর-আমি ,তোমার অন্যজন্মের রানী,
    কাঁধে রাখব মাথা,গায়ে পদ্মকাঁটা,বুকের ভেতর ঢিপঢিপ।
     
    সিংভূমি রিমিঝিমি হাওয়া,আকাশে রোহিণী,স্বাতী,
    অরুন্ধতী-নাক্ষত্র আশীর্বাণী ঝরিবে অনিবার,শুভলগ্ন;
    পিছনে পড়ে র‌ইবে-যত ব্যথা,ক্ষত,ব্যাক্তিগত লাভক্ষতি,
    একসাথে বসে দেখব -তারাদের মৃত্যু, পুষ্পবৃষ্টি,নবজন্ম।
     
    সেসব কথার কী হল ,বলো-সেইসব কানে কানে বলা 
    ফিসফিসে ,ঘন নিঃশ্বাস মেশা,আতপ্ত,সুরভিত কথা-
    ভুলে গিয়েছ,না?আহা,সেসব দিন কবে আসবে গো?
    আমাদের কিন্নরজন্মে এসব অপূর্ণ আশা,অব্যক্ত ব্যাকুলতা...গন্ধর্বগন্ধে আকুল যত গোপন ব্যথা...
    লবণাক্ত স্বাদে ভরে যায় মুখগহ্বর।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৮:৫৯735783
  • যে নারী অন্যদেহী
     
     
    আমি বুকের ভিতর একবিন্দু জল নিয়ে জন্মেছিলাম।
    জল,স্বাতী নক্ষত্রের জলবিন্দু-জলের‌ই ভিতর।
    এখন গায়ে জন্মায় শ্যাওলা ,অমসৃণ ধূসর ত্বক
    কঠিন,কর্কশ মোহ আবরণ।
     
    জলের তলায় কখনো দমবন্ধ লাগে,কখনো ঘোর;
    সবুজ,ভয়ধরানো হিমজাগানো ছ্যাতলাপড়া সবূজ
    নিয়ত জাগায় মৃত্যুমোহ,ঝিমধরানো আদিম কালচে
    ভাবলেশহীন শীতল শ্যাম।
     
    বুকের ভেতর বালুকণা জমে;কাঁকর,পলি,স্যাঁতাগন্ধ
    স্তনযোনিহীন মাংসপিন্ড হয়ে তালগোল পাকিয়ে
    পড়ে র‌ই ,কলঙ্কছাপ,পাঁকতিলক মেখে,ঊননারী-
    ঊর্ণনাভি জাল বুনি নিজেই নিজের রক্ষাকবচ,
    লূতাতন্তু দিয়ে সৃজি আপন বিশ্ব :আঁধারবাসিনী,
    যে মহামায়া ফল্গুবাহিনী কালস্রোতে বিরাজিতা ।
     
     
    হে নাথ,তবু আমি নারী ,শুক্তিলীনা-
    মুক্তো কবে আসবে , প্রভু?মুক্তি কবে আসবে?-
    এসব প্রশ্নের উত্তর, এখনো জানি না।
  • ফরিদা | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:৩২735784
  • পৃথিবী অনন্ত হ'লে অমরত্ব পাব ভাবি
    যাবতীয় দূরত্ব তাতে অনন্তে আসীন। 
    ফলে স্থানুবৎ এই ক'টি অক্ষরে 
    কাঁপতে থাকব শীতে।

    তোমাকে পাব না কখনও
    যতদূর যাই সব প্রাণশক্তি দিয়েও..
    এমনিতে। 
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২০:৪২735793
  • সর্বনাম নেই কোনো
     
    আমাদের কোন সর্বনাম হয় না।
    সমাজ,সংসার,বিশ্ব চাপিয়ে দেয়
    কিছু অচেনা বিশেষ্য,পঙ্কিল বিশেষণ
    আর অবাঞ্ছিত কিছু সর্বনাম,
    দয়ার দান রিক্ত ভিক্ষাপাত্রে।
     
    আমরা অনামিকা শবনমের দল,
    এমনিই এসে ভেসে যাই,ভোরের বেলা
    যখন সবাই মগন ঘুমের ঘোরে,
    এমনিই হেসে চলে যাই দূরে,
    আমাদের মন লাগেনা কোনো সুরে।
     
    আমাদের রক্ত ঝরে,হৃদয়ে চোরাক্ষত
    বালিয়াড়ির উপর বাঁধি বাসা ,আশাহত-
    শ্যাওলাদামের মত ভেসে বেড়াই
    চিকচিকে রোদ্দুরে ভেজা জলে,
    রংধনু বিভা ছড়াই কড়ি-কোমল।
     
    আমাদের অঙ্গে সাতরঙ,সতরঞ্চের ছকে,
     সাদা-কালো বোড়ের জগতে আমরা অতিরিক্ত।
    একই রোদ্দুরে দাঁড়াই,একই ঘাসে দিই পা,
    এক‌ই গান গাই,তবু নামে বৃষ্টিধারা,সিক্ত
    গালে মিশে যায় লোনা দাগ অপমানের।
     
    তাও আমরা চঞ্চল,আমরা অদ্ভুত,তাই
    এত দুঃখেও হাসি,রোগে-শোকে-শঙ্কায়
    অনির্দেশ্য ইশারায় ফুটে উঠি নিত্য‌ই,
    প্রাণের ধারা করে না বঞ্চনা।
     
    একই আকাশের নীচে,এক‌ই হৃৎপিন্ডের ধুকধুকে
    বাঁচি আমরা,আমরা সব্বাই ... রাঙা টুকটুকে হৃদয়গুলি
    এক‌ই ছন্দে কাঁপে তিরতির,বেঁচে থাকার আনন্দে,
    তাই আর ভয় করি নে, কোন কিছুকেই না।
  • b | 117.194.***.*** | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ২১:৫৮735802
  • শ্ব | 1.39.166.61 | ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৯:৪৩
  • শ্ব | 2409:4060:2e9b:ad46:255a:5bca:bf24:***:*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৪:১৪735803
  • #১
     
     
    সকলেরই, নিজস্ব কিছু প্রেতবিশ্ব আছে, 
    এইসব অধিসত্য জেনে,  ছৌ - এর মুখোস
    থেকে ঝড়ে যায় অ্যালুমিনিয়াম। 

    জ্বলন্ত চাঁদ থেকে যেভাবে ছলকে পড়ে 
    চন্দ্রবোড়া আলো  , দেবীর অঞ্জলিরীতি
                               সেইরূপ লিপিবদ্ধ থাকে। 

    যেভাবে হলুদ কালো পিত্তলের আল ধরে 
                        অন্ধকার বাসস্ট্যান্ড ছোটে,  

    সেরকমই,  ভিজ্যুয়ালি - 
    দুরন্ত আকাশি ঘরে 
    মুখোমুখি থেকে যায় বনদেবী,  বাঘ ।।
  • শ্ব | 43.25.***.*** | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৪৪735805
  • ২#
    ~~~
     
    সারারাত ঘোঁ ঘোঁ শব্দ 
     
    কারা ওঠে কারা নাবে ,
     
    বুঝিনা বিশেষ , শুধু জানি - 
     
    রাত্রি ন'টার পর এলিভেটরের 
    আলো অফ থাকে, অখিল 
     
    বিশ্ব জুড়ে যেমন গেঁহুর গন্ধ 
    মর্মরিত হলে ,
     
    অন্ধ সুরং পথে, ফিরে আসে ঘরেলু ইঁদুর ।।
     
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৪735852
  • বীণাপাণির জন্য প্রশ্ন
     
    প্রচ্ছন্ন রামধনুর দেবী,বলো , এ আকুলতা
    কখন যাবে চুপিসাড়ে,বিদায়ী কৈশোরের ব্যথা,
    অনাগত যৌবনের যন্ত্রণা কত আছে বাকি?
     
    তুমি তো পদ্মবনে;শান্তি ,যেন পোষা হাঁসটি,
    চ‌ইচ‌ই ডাকে ফেরে পিছু পিছু-যত্ত ফষ্টিনষ্টি
    শুধু আমাদের সাথে,খেলার পুতুল অসহায়।
     
    কেন মা ,কেন? এত্তো কেন নিষ্ঠুরতা-হায়,
    আমাদের দিন কাটে কত মনোবেদনায়।
    রাক্ষসী,তত্ত্ব নিতে নেই সন্তানের মনের?
     
    অলোকসামান্যা,নিভৃত নীরব যত কোণের
    সাম্রাজ্যে,ছায়াময়- মায়াময়ী যত নির্জনের
    যত বেদনা নিয়ে আর খেলো না মাগো।
     
    আমাদের রূপে দাও কালি,বুকের ভিতর খালি,
    হৃদয়খানি যত‌ই খুঁড়ি,শুধুই বালি আর বালি।
    মাগো,আর তো পারিনে,এবার তুমি জাগো।
     
    সত্যি বলো,ভালোবাসা কি চন্দনগন্ধী?
    যাকে ভালোবাসি,অথচ বলা হয়নি-
    সেও কি পায় আমার সমুদ্রশ্বাসের লাবণি?
    চুপ থেকো না আর,সখী,সরস্বতী বোনটি।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১১:২৮735873
  • মনে,রেখে দিয়ো
     
    আমার এক পৃথিবী অতীত আছে,
    দুঃখ,ব্যথা,একাকিত্ব,কালো ছায়া,
    শুক্লা প্রতিপদের ক্লিষ্ট চাঁদের কাছে,
    শুকনো পাতা,কাঁটার ডালে ছাওয়া।
     
    সেসব অতীত গুমোগন্ধী ভ্যাপসা মেঘ,
    আদুল ধুলোমাখা স্মৃতি,চাপা গুমরোনো অস্বস্তি,
    কেমন বেনারসী ওড়নায় ঢাকা চেয়ে দেখ,
    যেন পাঁচিলের আড়ালে লুকিয়ে রাখা বস্তি।
     
    এক পৃথিবী ভার বয়ে আমি বারাহী হয়ে উঠি,
    বর্বর,বন্য,দন্তর,দুরন্ত নারী অবতার;স্বরক্ষিণী-
    মুঠি মুঠি ধুলো,দু'হাত,বুক,পিঠ,গলা ভরে লুঠি,
    নিজের ভেতর আটকে পড়া অসহায়া সিংহিনী।
     
    একদিন এভাবেই পাথর হয়ে যাব,নরম রোদ্দুর
    যেমনি কড়া হয়ে ওঠে বেলা বাড়ার সাথে সাথে 
    লুকিয়ে রাখে,চাঁদ-তারা,লেবুফুল,সারিন্দার সুর,
    ধূ-ধূ ধুলো ওড়ানো হাওয়া,ছড়ানো মাঠ বহুদূর।
     
    তখন যদি পারো,মনে করো অবরে-সবরে,
    এক নারী,প্রতিমা হয়ে গেছিল,বেদনার ভারে।
  • JSL | 2405:201:8005:9947:8498:ada4:91b9:***:*** | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৪:০২735874
  • আমার মাথার ভিতরর্টা যদি ছবি তুলে দেয়
    হুলুস্থুলু লঙ্ককাণ্ড হাত চোখ ছোটভাই জিভ ঠোঁট
    কেটে ডালকুত্তাদের মাঝে
    বন্ধু পরিজন বিবাহ সমাজ বিচ্ছেদ, দেশনিকালা
    সকলে বলবে গিয়ে থাক তুই শিম্পাঞ্জিদের মাঝে
    ওরা বুঝবে না শিম্পাঞ্জিরা তো আমায় দলে নেবে না,
    খাইয়ে দেবে সিংহ দিয়ে বরং।

    মাথার ভেতরটার ছবি যদি তোলে কেউ
    অন্ধকার অলম্বুষ চতুর্দশপদী মাকড়সার ঝুল
    তেলচোরা খরখরে শুঁড় নিয়ে চেটে খায় পুরাতন তেল

    তবে বলা যায় না, হয়তো নোবেল কমিটি দিয়ে দিল সান্ত্বনা পুরস্কার একপিস,
    চাপড়ে দিলেন পিঠ লালন ফকির এক গাল হেসে,
    আমেরিকার রাষ্ট্রপতি একান্তে পররাষ্ট্রনীতি,
    বলা যায় না কিছু।

    সে সকল যাক। আমি ভাবি কেউ যদি মাথার ভেতরের ছবি তোলে কেউ
    বোমারু বৈমানিকের, হাল্লা ও শুন্ডীর রাজার
    ছাতচরা পুলিশের, সদাহাস্য সাহিত্যিক আমলা

    ভাবি মাথার ভিতর কীরকম জটিল বিচ্ছেদি। 
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ০১ মার্চ ২০২২ ০১:১৯735891
  • যখন যুদ্ধ যুবতী
     
    এখন হাওয়ায় গোলা-বারুদের গন্ধ,
    অণু অণু মৃত্যু, পলে পলে ,রন্ধ্রে রন্ধ্রে 
    মিশে যাচ্ছে-ঘাড়ের উপর বরফ শ্বাস,
    হৃদয় ভুলে যাচ্ছে উষ্ণতার ভাষা।
     
    ঘুড়ির কাঁপের মতো শিরদাঁড়া যে ওর,
    ওদের সবার-তিরতির করে কাঁপছে -
    যেকোন মুহূর্তে নুয়ে পড়বে,শুয়ে পড়বে,
    মিশে যাবে আভূমি প্রণামে ও শিরোনামে।
     
    অস্ত্র ছুঁড়ছো? ছোঁড়ো।
               পাথর ফেলছো?ফেলো।
                      কালি ঢালছো?ঢালো।
    এ সবকিছু বৈজয়ন্তী মালা হয়ে যাবে।
     
    এসময় দাঁড়িয়ে থেকো না,লড়াই করো
    গান দিয়ে,সুর দিয়ে,হাজার হাতে প্রেম নিয়ে,
    অর্ফিউসের বাঁশির সুর কমে এলো,
    এখন শিঙার সুরেই শৃঙ্গার করো প্রিয়ে।
     
    এ যুদ্ধক্ষেত্রে, রক্ত প্রান্তরে,রক্তবর্ণ আকাশতলে
    তুমি একা,সম্পূর্ণ একা,কোন সিংহ‌ও নেই এখন,
    অসুর অদৃশ্য থেকে নিয়ত অন্ধ বালুঝড় তোলে,
    লড়াই করো,লড়াই করো ,করো দৈত্য হনন।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ০৬ মার্চ ২০২২ ১৫:১২735937
  • প্রজাপতির নির্বন্ধ/শুভবিবাহ
     
     
    আঁধারবেলা শেষ হয়ে এল,
    এখন নিবিড় অমাবসনা রাত্রি
    তারার মালা পরে প্রতীক্ষায়,
    শুভলগ্ন সমাগতপ্রায়।
     
    দয়িতা উষা আসছেন,
    পুব আকাশ রাঙিয়ে,
    সলজ্জ ব্রীড়ার অভিনয়ে;
    এখন শুভপরিণয়।
     
    লাল চেলিখানি,বেনারসী শাড়ি,
    তপস্বিনীর তরঙ্গায়িত আঁচলখানি
    রাঙা,ঋত্বিক প্রশান্ত দিবাকর-
    তাঁরি রথে নববধূ;হাতে রাঙা কড়।
     
    ভৈরবীর কোমল আন্দোলিত ধৈবত,
    সুর জাগছে মৃদু-ধীর,শান্ত নহবত,
    নয়নাভিরাম রাত্রিদেবী অধীর:
    নাক্ষত্র বীণায় আলতো ললিত মীড়।
     
     
    এখন অভিসার,গান্ধর্ব বিবাহ,
    হোমাগ্নি শিখা সমুজ্জ্বল, পীত;
    তারার মালা,রুদ্রাক্ষমালায় মালাবদল,
    বাসন্তী ভোর,তিথিডোর,চোখ ছলছল।
     
     
    এবার বাসর।নিভৃত,নিরালায়।
    বিদায়ের ক্ষণ,শুধু অনির্বাণ অগ্নিখানি
    জ্বলবে সারাদিন,তারপর পুনরাভিনয়
    এই নিত্য বিরহ আর মিলনের ।
     
    শ্বাশ্বত মিলন,যা আমাদের চোখ
    দেখে না,কলুষ ছোঁয় না,সুনির্মল।
    রোদসী ছাপিয়ে কিশোরী শুকতারার
    শঙ্খধ্বনি বিভা ছড়ায় নরম রোদে‌। 
     
    অলোলিকা রবে আনো ফুলমালা,
    বেঁধে দাও,বেঁধে দাও দোঁহে,দয়িতাযুগলে-
    হৃদিমন্দিরদ্বার এবার খোলো,ভোর গেল,
    এবার তবে মঙ্গল করো,ওগো কল্যাণী।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ০৮ মার্চ ২০২২ ০০:১৪735959
  • নারীর ঋতু
     
    আমি, চিত্রাঙ্গদা ন‌ই।
    কুরূপা ন‌ই ,সুরূপাও ন‌ই,
    আমি অপরূপা,বিশ্ববীণার গান;
    এ গান কোন দ্বার খোলার চাবিকাঠি নয়।
     
    এই নারী,থাকবে না পুরুষের পার্শ্বে ,উর্ধ্বে,নিম্নে ,
    পুরুষের ব্রতে সাহায্যের জন্য তার জন্ম নয়।
    তার অন্তরের নারী,ভিন্ন তার ব্রত,স্বাধীন পূজার মন্ত্র।
    তার জন্য অর্ধেক আকাশ নয়,ওইটুকুতে তার আঁটেনা।
     
    তার চাই সম্পূর্ণ আকাশ,ডানা দিয়ে সে দিগন্ত ঢাকবে।
    সে চিরন্তনী নারী,প্রকৃতির অধিশ্বরী।
     
    তার রূপ আছে কি নেই,কম না বেশি,
    তার স্তন আছে কি নেই,ছোট না বড়ো,
    তার যোনি আছে কি নেই,অগভীর না গভীর-
    এসব প্রশ্নের লালাঝরা জিভ ছিঁড়ে সে নারী হয়ে ওঠে।
     
    রাজেন্দ্রনন্দিনী ন‌ই ,আমিই রাজরাজেশ্বরী;
    আমি,তুমি,ও এবং তিনি,প্রত্যেকেই সেই নারী।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১২ মার্চ ২০২২ ২২:৪৫736028
  • দেবী
     
    এখন তুমি কি করবে আমি যে রজোমতী হলাম?
    ভবের গোয়ালা হয়ে গাভিন গাইয়ের দুধ দুইতে জানোনা,দুয়ো দুয়ো !
    আমিও নরকাসুর বধ করেছি ছলে,তা তুমি জানো ভালোমতন-
    শুধু জানোনা বর্ষাঋতুর গোপন শ্যামল রক্তপাত।
     
    তোমায় দেখে মিলিয়ে গেল না ,আমার 
    নব-জলধর তৃতীয় পীন-পয়োধরখানি,
    তবে কেন মরা মাছচোখে রূপোলি ঝিলিক,
    গায়ে সমুদ্দুরের লোনা আঁশটে পাঙাশ গন্ধ।
     
    মিথ্যে মারি শুম্ভ-নিশুম্ভ,চন্ড-মুন্ড,রক্তবীজ;
    চামুন্ডা হয়ে রক্ষা করি তিলোত্তমার তেজ,
    এখন তবে হাঁটু কাঁপে ,বুক কেন থরথর-
    কে তুমি আগল ভাঙো,নেই বুঝি ভয়ডর?
     
    তবে কেন আর খামাজ ঠাটে কাগজের নৌকো ভাসাই;
    এবার নোঙর তুলে,পাল খুলে ময়ূরপঙ্খী ছাড়ি ,
    সপ্তডিঙা মধুকর নিয়ে মধুযামিনীর প্রেমবেসাতি বসাই,
    কন্যাকুমারী মালাখানি নাহয় তুমিই পরো গলে।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৫ মার্চ ২০২২ ২৩:৫৫736034
  • <black3 In a toxic relationship with ঈশ্বর
     
    মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় তোমায় শ-কারাদ্য ব-কারাদ্য
    গালাগালের স্তূপে কবর দিয়ে মেরে ফেলি চিরতরে,
    এত কষ্ট,ব্যথা ,বেদনা-এত শোক দাও নিত্য নিত্য,
    সব রাগ-ঝাল,কটু,তিক্ততার বমি ঝাড়ি তোমার 'পরে;
    খুব ইচ্ছা করে।
     
    তোমার নামে ভয় দেখায় নরকের আগুনে পোড়ার,
    ইচ্ছা করে, তোমায় দেখাই বুকের আগুনের তেজ।
    প্রচন্ড ইচ্ছা করে ,তোমার সাথে করি এবার কড়ার,
    আর কক্ষনো আনব না ফুল,জ্বালব না নীল সেজ-
    খুব ইচ্ছা করে।
     
    তোমার নামে শুনি ভয়ঙ্কর প্রলয় বন্যার কথা,
    ভাবি ,চোখের জলের বন্যায় তোমায় দিই ভাসিয়ে।
    সেই স্রোতে ভেসে যাক এত্ত সব জঞ্জালের স্তূপ,মিথ্যে,
    এবার যেন কেউ বাঁচে না-কোন নোয়া ,মনুর না'য়ে।
    ভারি ইচ্ছে করে।
     
     
    আমি আমার ইচ্ছের শক্তিতে লিলিথ হয়ে উঠি;
    কালো চন্দ্রমা:শয়তানের সহচরী ন‌ই,স্বাধীন নারী,
    সরস্বতী হয়ে মৃত জুঁইফুলের মুন্ডমালা পরে স্মিত হাসি,
    অলক্ষিতে অলক্ষ্মী সেজে আসি,লক্ষ্মীকে দিই ঢেকে।
    ইচ্ছামতী নারী‌।
     
    তারপর.....আবারো গাঁথি মালা,আলগোছে দিই পরিয়ে
    মায়া,মোহ,প্রেম-পাকে পাকে বেঁধে নরমপাকের সন্দেশ
    করে ফেলো আমায়,আদর দিয়ে ছেনে ছেনে;ছদ্মবেশ-
    ভালবাসি আবার , মাতাহারির কবচ বুকে নিয়ে-
    মধুভোগ ভরা অভিমানরিষ।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৮ মার্চ ২০২২ ০০:১৩736042
  •  
    বারান্দায়
     
    চৈতি রুমঝুম রুমঝুম দুপুর।
     
    রেললাইনের ওপারে হোলির ঢোল থেমে গেছে গোয়ালাপাড়ায়,একটু আগেই-স্থলিত কটা বেতালা হাতের বোল এখনো বাজছে আকাশে।
     
    কু-ঝিকঝিক একটা ট্রেন গেল,ঘুঘুর ডাক ম্লান করে।
    ঘরে দেওয়ালে একটা চুপচাপ টিকটিকি,পাশে চকচকে ফ্রেমে রাধাকৃষ্ণের পায়ে বাসন্তী আবির ; দু এক কণা মেঝের উপরে ,বাসন্তী পদরেণু।
     
    বেলা পড়ে আসছে,তকতকে নীল আকাশের উঠোনে
    চাঁদের মৃদু ছায়া ,পশ্চিম আকাশে শেষ দোলের প্রস্তুতি,
    উইন্ড চাইমে টুংটাং বিনয়ী গলাখাঁকারি বিদায়ী দখিনা হাওয়ার,দ্বিধানম্র চালখানি ।
     
    এখনো মৃদু চন্দনগন্ধী আবির চারদিকে,পাড়ার মোড়ের বাড়িটার দেয়ালে কারা লেপে গেছে আলকাতরা,কাদা,পাঁক-সার সার হাতের ছাপ জংলা বাঁদুরে সব রঙের।
     
    ঝিরিঝিরি কাঁঠালচাঁপার পাতায় রোদের রং‌ পাল্টে এল,কাফির সুর নিশ্চুপ,দূরে কে আজকের দিনেও বাঁশিতে রেওয়াজ করছে.....এবার বোধহয় বাহার ধরবে।
     
    নখের তলায় রং এখনো কুটকুট করছে,চিকন সব পাতার আড়ালে গন্ধরাজের কুঁড়ি বলছে "টুকি"।শুনশান নিঝুম চারদিক,ধুঁধুঁলগাছের ডালে কোকিলটাও চুপ...প্রেম এসে গেছে ওর‌ও জীবনে হয়তো।
     
    চারটে বাজল,কাপড়গুলো এবার তুলতে হবে।
  • প্রত্যয় ভুক্ত | ১৮ মার্চ ২০২২ ২২:৩৯736043
  • মানবী
     
    ্আমি দিন দিন দেখি,তুমি কি অপূর্ব হয়ে ওঠো!
    পলে পলে আঘাতে আঘাতে, পলকাটা সব হীরে
    তোমার অঙ্গ জুড়ে বসত বসায় ;ভুবনপারের ঘর-
    সেথায় কন্না করো অমরার কন্যে:ঝুমঝুমি পায়জোড়-
    আহা,ঝনর ঝনর মল বাজছে বাহির-অন্দর।
     
    নাগরি ভরা গুড় আর মৌচাকেতে নিমফুল মধু,
    তাই নিয়েই খেলনাবাটি সংসার পাতো নৈঃশব্দ্যের বধূ।
    পাথর করো চেরিপাপড়ি , পায়ে তোমার ডাইনিবেড়ি,
    রক্তে ভেজাও শক্ত নুড়ি,ফোটাও গোলাপফুল-
    আহা,হলদে,লাল,গোলাপি,সাদা-কত্ত গোলাপফুল।
     
    নাগর আসে,নগর আসে,দুয়ার ধরে দাঁড়ায় খানিক,
    নাচ 'পরে রাখে পা,থুতু ফেলে ,ছেটায় লাল পানের পিক-
    তারপর ঢিল ছোঁড়ে,ইঁট খসায়,বোমা,গালি,গুলিবর্ষণ...
    ফিরে যায় বীরপুঙ্গবরা,ব্যর্থ সব ধর্ষকের দল-
    আহা,পুরুষপ্রবর মহাবল,ধন্য সব বীরের দল।
     
    ভীরু পায়ে দোর খোলো,ঝনাৎ করে খিল,
    কব্জা মচমচ,পাল্লা ভাঙা-কবজিতে লেগেছে ঢিল।
    সেই কব্জিই মুঠো করে আকাশপানে তোলো,
    লুকানো সব গহ্বরে, অথ‌ই জলে ,আগুন জ্বালো-
    আহা,লকলকে সব সর্বনাশী সর্বগ্রাসী শিখা জ্বালো।
     
    ওগো বঁধু,ডাক পড়েছে,ডাকের সাজটি পরো,
    পথের 'পরে ডাক পড়েছে,এবার তুমি অস্ত্র ধরো।
    গুছিয়ে নাও রংতুলি,কলমপুঁথি,খাতাপত্তর,গান,
    পথে অনেক দৈত্য আছে,কাড়তে হবে জান-
    আহা,কত আঁধার,বন-বাদাড়ে লুকোনো দৈত্যের প্রাণ।
     
    ঘর খুলে বাইরে এসো,বসত তুলে তেপান্তরে,
    আমার মাঝে বাস করেছ কত না যুগ ধরে;
    এবার ছড়াও মুঠোরং,সুর,পাখোয়াজের বোল,
    ভোল পাল্টে,এবার জনস্রোতে তোলো কলরোল-
    আহা,বিশ্বমাঝে রক্তে রক্তে জাগুক কল্লোল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে প্রতিক্রিয়া দিন