বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন।
বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা বক্তব্য। এবং সে কারণেই এদের সঙ্গে বামদের জোট করা উচিত।
পশ্চিমবঙ্গে বিগত লোকসভা নির্বাচনে বামদের বিপর্যয় হয়েছে। বাম ঘরানার ভোটের একটি বৃহদংশ বিজেপিতে চলে গেছে, ভোটের হিসেবে। সে নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। কিন্তু বাম নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দ সজোরে এর জবাবে বলে এসেছেন, যে, ওভাবে বাম-ভোট বলে কিছু হয়না। ভোট কারো সম্পত্তি নয়। উল্টোদিকে, যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁদের বক্তব্য হল, ভোটের রাজনীতিতে "বিশ্বস্ত ভোট" বা "ভোট ব্যাঙ্ক" বলে একটি বস্তু অবশ্যই হয়। বামদের সেই বিশ্বস্ত ভোটই গেছে বিজেপির দিকে। তার কারণ, বাম পার্টির নেতারা প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব, তার সামান্য ভগ্নাংশও বিজেপির বিরুদ্ধে নন। তাঁদের মূল আক্রমণ সর্বদা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই লাইন মূলত আত্মঘাতী। এই লাইন কর্মী এবং সমর্থকদের "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র" লাইনে ভাবতে উৎসাহ জুগিয়েছে। একদা সমর্থকরা বিজেপিকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকর ভেবে ভোট দিয়েছেন। এবং তার ফলেই এই বিপর্যয়।
এর জবাবে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা, অন্তত আধা প্রকাশ্যে যেটা বলছেন, সেটাও এখানে প্রণিধানযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের হিসেব বেশ জটিল। সিপিআইএম এর যে সাধারণ ভিত্তি, তার মূল সুরই হল তৃণমূল বিরোধিতা। তৃণমূলের প্রতি নরম এরকম কোনো সিপিআইএম সমর্থক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যদি সমর্থকদের চিন্তার উল্টোদিকে গিয়ে পার্টির নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে গণভিত্তি যেটুকু আছে, সেটুকুও পার্টিকে ছেড়ে চলে যাবে। গণভিত্তি খুঁজে নেবে তৃণমূলের বিরোধী শক্তিকে, ভোট দেবে তাকেই। অর্থাৎ শক্তিশালী হবে বিজেপিই। বিজেপির পাল থেকে হাওয়া কাড়তেই তাই বামদের তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে হবে।
সমস্যা হল, এতদিন এই যুক্তিতে চলেও কিন্তু সিপিআইএম তার গণভিত্তি অটুট তো রাখতে পারেইনি। বরং তাতে বিপুল ধ্বস নেমেছে। তবুও এই লাইনটিই অনুসরণ করে যাওয়া হচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তার খুব বেশি বিরোধিতা আসেনি। সিপিআইম এর যেটুকু গণভিত্তি এখনও আছে, তারা বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধিতা করলে বাম ছেড়ে ডান দিকে চলে যাঅবে, এ আশঙ্কার আদৌ কি কোনো ভিত্তি আছে? নাকি আশু বিপদকে মাথায় রেখে সর্বাত্মক বিজেপি বিরোধিতা করলেই বামদের যেটুকু ভিত্তি আছে তা আরও শক্তপোক্ত হবে? এ নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হওয়া দরকার। বিহার নির্বাচনের পর বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনলেন দীপঙ্কর। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যাবে বিহারের অন্তিম ফলাফল। তারপর সমস্ত তাসই এসে যাবে টেবিলে। সেসব টেবিলের নিচে লুকিয়ে না ফেলে সমস্ত সম্ভাবনা, সমস্ত বিচার এবং সামগ্রিক বিতর্ক অবশ্যই প্রয়োজন।
কংগ্রেসকে অসাম্প্রদায়িক কে বলল? এই তো সিপিএম। বিমান বাবুও বলেছেন কালই।
বাবরির পরে এনডিএ তে কে ছিল? ন্যাশানাল কনফারেন্স, তৃণমূল, তেলেগু দেশম, এডিএমকে ইত্যাদি প্রভৃতি। একটা পলিসি হতেই পারে, যে এদের কারো হাত ধরবনা। সেটা আমার অপছন্দ হলেও বুঝতে অসুবিধে হবেনা। কিন্তু এরা কেউ কেউ তো ইউপিএ আলো করে বসে আছে। বামরাও কারো কারো সঙ্গে বোঝাপড়া করেছে। কাজেই এই লাইনটাও বুঝতে অসুবিধে হচ্ছে।
শিপিএম কি ইউপিএ সরকারের অংশ ছিল, নাকি বাইরে থেকে সমর্থন দিয়েছিল? আর ইউপিএর অন্যতম সদস্য হওয়া আর রাজ্যে ডাইরেক্ট কোয়ালিশান করার মধ্যে পার্থক্য আছে।
আরো অনেক পার্থক্য আছে। ইলেকশানের পর বিজেপির সরকার যাতে না হয় সেই জন্য বামেরা সাপোর্ট দিল সেটা একরকম ব্যাপার আর প্রি ইলেকশান কোয়ালিশান আলাদা ব্যাপার। আপনি যেটা বলছেন সেটা হল বামেরা কোনও সীটে দাঁড়াবে না, কিন্তু নিজের ৭% ভোটারদের বলে দেবে তিনোদের ভোট দিতে। তিনোরা সেই ভোট পেয়ে ইলেকশান জিতবে। তারপর যাখুশি করে বেড়াবে, এমনকি প্রয়োজনে কেন্দ্রে মোদিকে সমর্থনও করবে। কারণ দিদি একটাও জেতার মতন সীট ছাড়বেনা কাউকে, কোনও মিনিমাম কমন অ্যাজেন্ডায় রাজী হবেনা, রাজী হলেও ইলেকশানের পরই সেসব আর মানবে না, এমনকি প্রয়োজনে বিজেপিকেও সমর্থন করবে।
তাহলে কোনো কোম্পানিতে চাকরি করলে সেই কোম্পানির বিরুদ্ধে কথা বলা যাবে না বলছো? তাহলে তো সমস্ত ট্রেড ইউনিয়ন আন্দোলনকে 'হিপোক্রিসি হচ্ছে। আগে চাকরি ছাড়ুন তারপর আন্দোলন করুন' বলতে হয়। এগুলো বহু আলোচিত। নতুন করে বিতর্ক করার মত বিষয় নয়।
মূল বক্তব্যে ফেরা যাক। আমি কোনো সময়েই মমতাকে ডিফেন্ড করিনি। দীপংকর ভটচাজের বক্তব্যকে করেছি। তোমার কি মনে হয়? উনি এটা বললেন কেন? এমনি এমনি? কোনো বাস্তবতা ছাড়া? উনিও কি মমতাকে ডিফেন্ড করছেন? যদি তাই হয় তাহলে সিপিএম ওনার সাথে জোটে আছে কেন?
বাংলার সিপিএম নেতৃত্বের একাংশের অপরচুনিজম আজ নতুন বিষয় নয়। সিপিএমের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাঁটা যেখানে থাকে বাংলার নেতৃত্বের সেই অংশের কাঁটা তার তিরিশ ডিগ্রি ডানে হেলে থাকে। সেটা কংগ্রেসের সাথে জোটই হোক , শিল্পায়নই হোক , আর বিজেপি তিনোমূলের মূল্যায়নই হোক। এবং এখনও অব্দি ডিজাস্টার ছাড়া এর কোনো পজিটিভ আউটকাম দেখতে পাওয়া যায়নি।
আমেরিকায় বসে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে কথা বলা হিপোক্রেসি হলে ভারতে বসে বর্ণহিন্দু হয়ে বিজেপির হিন্দুত্ববাদ নিয়ে কথা বলাও ত হিপোক্রেসি। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা দেখে মাইরি মুগ্ধ হতে হয়।
ইন্ডিভিজুয়াল কোম্পানির কথা আপনিই আনছেন। যদিও লোয়েস্ট ওয়েজে লেবার ইউনিয়নের মেম্বার হওয়া আর ব্যান্ক ম্যানেজার বা আইটির প্রজেক্ট ম্যানেজারদের মধ্যে যে পার্থক্য আছে, সেটা আপনার অজানা হওয়ার কথা নয়। আপনিই তো বললেন যে শিল্পায়ন যে চায় সে বাম মনোভাবাপন্ন হতে পারেনা। সেই হিসাবে কেউ শিল্পায়নের সমস্ত সুযোগ সুবিধা ভোগ করলেও বাম মনোভাবাপন্ন হয় কি করে? আমার মতে সেটা যখন করতে আমরা বাধ্যই হচ্ছি, তাহলে সেটা নিজের রাজ্যে হলেই ভালো হত না?
বাকীটার উত্তর উপরের পোস্টে আছে।
"আমেরিকায় বসে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে কথা বলা হিপোক্রেসি হলে ভারতে বসে বর্ণহিন্দু হয়ে বিজেপির হিন্দুত্ববাদ নিয়ে কথা বলাও ত হিপোক্রেসি।"
একটু পার্থক্য আছে। আমেরিকায় থাকাটা অন্তত আমাদের কাছে চয়েস। ভারতে থাকাটা বা বর্ণহিন্দু হয়ে জন্মানোটা চয়েস নয়।
সিঙ্গুরের র ডেটা কোথা থেকে দেখেছো? সেটাই তো জানতে চাইছি। অর্থনীতির কথা যদি বলো তো প্রভাত পটনায়েক প্রণব বর্ধন - এঁরা সমর্থন করেননি বাম সরকারের পলিসি। বামপন্থী অর্থনীতির জার্নাল ইপিডাবলিউতে সিঙ্গুরের সমর্থনে কোনো ডেটাভিত্তিক অ্যানালিসিস প্রকাশিত হয়নি। সুপ্রীম কোর্ট সিঙ্গুরের জমি অধিগ্রহণ অবৈধ বলে রায় দিয়েছে। সিঙ্গুর্র মত একটা বাম অধ্যুষিত এলাকায় রাতারাতি মানুষ সিপিএমের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। তার মানে সিরিয়াস অ্যাকাডেমিক জার্নাল সুপ্রিম কোর্ট স্থানীয় জনগণ - সবার দ্বারা রিজেক্টেড একটি বিষয়কে একটা দল ঘুরেফিরে মহান প্রমাণ করতে চায়। আর কারা একে মহান বলত? কিছু বৃহৎ পুঁজি এবং আবাপর মত মিডিয়া। কার মতাদর্শে তুমি প্রভাবিত এবার নিজেই ভাবো।
সিঙ্গুরে বিরোধী আন্দোলন চলেইছে অন্য বড় পুঁজির পয়সায়। ধান্দাবাজ আঁতেলরা তখন সবাই সিঙ্গুর বিরোধী। পরে অবশ্য জানা গেছিল যে তারা হয় অমুক তমুক কমিটির মেম্বার হয়ে পয়সা কামিয়েছে বা ডাইরেক্ট চীটফান্ডের টাকা পেয়েছে। আর ঐ আপাবেই তো দিনের পর দিন ধরে সোকল্ড বুদ্ধিজীবিরা মিথ্যা কথা বলে গেছে। কোথায় গাড়ির কারখানা করলে ভালো হয়, সেই নিয়ে মূল্যবাণ বক্তব্য রেখে গেছে।
সিঙ্গুর থেকে টাটাদের বিদায় নেওয়া হ্যাজ প্রুভেন টু বি আ ডিজাস্টার। ঐ জমিতে আগামী কয়েক দশক কোনও ফলন হবেনা। নিজের চোখে দেখা। পুরো ফ্যাক্টরি হয়ে গেছিল। সেই অবস্থা থেকে মেশিপত্তর উঠে গেছে। সিঙ্গুরের কৃষকদেরই একবার নাহয় জিগ্যেস করে দেখা যেতে পারে।
ডেটা দেখতে ইচ্ছা করলে সিঙ্গুরের আশে পাশের রিয়েল এস্টেটের দামটা চেক করে নেবেন।
সিঙ্গুর নিয়ে অমর্ত্যসেনের একটা চিঠি আছে। সেটা পড়ে নেবেন।
আর ইকনমিক ডেভালাপমেন্টের একটা বড় পদক্ষেপ হল কৃশি ভিত্তিক অর্থনীতি থেকে শ্লিপভিত্তিক অর্থনীতিতে উত্তীর্ণ হওয়া।
কৃষি আর শিল্প
আরে, আমি তো ডায়রেক্ট কোআলিশনের কথাই বলছি। এই যেমন তামিলনাড়ু। ডিএমকে-সিপিএম বোঝাপড়া হয়েছিল ২০১৯ এ। ডিএমকে পুরোনো এনডিএ সদস্য।
এই জন্যই তো বলছি স্ট্যান্ডের মাথামুন্ডু বুঝিনা। নইলে সিপিএম কি আর আমার দুশমন?
তামিলনাডুর হিসাব দিয়ে তো আর পস্চিমবঙ্গ চলে না। কারণ সেখানে বামেদের ভোট নগণ্য.
বামেদের ভোট তো পশ্চিমবঙ্গেও নগণ্য। এক সময় অবশ্য অনেক ভোট পেত। :-)
কিন্তু সে যাই হোক, তামিলনাড়ুর হিসেব বাংলায় হুবহু নাই মিলতে পারে। সেজন্য, ব্যক্তিগতভাবে আমি একেবারেই তৃণমূল-বাম জোট প্রিচ করছিনা। কিন্তু বামেদের এবং কংগ্রেসের কাছে প্রত্যাশা এইটুকুই, যে, তাঁরা এইটা বিশ্বাস করবেন, এবং এই মর্মে প্রচার করবেন, যে, " আপনি তৃণমূলের অপশাসনে বিরক্ত? তা বলে বিজেপিকে ভোট দেবননা কিন্তু, ওরা আরও বিপজ্জনক, আমাদের ভোট দিন"। এবং "তৃণমূল আর বিজেপি দুইই একই মাত্রার ফাশিস্ত, একই মাত্রার সাম্প্রদায়িক" -- এই ধোঁকার টাটিটা দেবেননা। ওটার মানে, নিচের তলায় "শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু" ই দাঁড়াচ্ছে। কিছু কিছু জায়গায় শুনেছি একেবারে সংগঠিত ভাবে এই মর্মে কাজ হয়েছে, যেমন হয়েছিল দমদমে তপন শিকদারের জয়ের সময়। কিন্তু শোনা কথায় কান দিচ্ছিনা। প্রত্যাশাটুকু বললাম।
এতে আমার কিছু লাভ এমন না। কিন্তু বাম দলগুলো নিজেদের পিছনে নিজেরা কেন বাঁশ দিয়ে চলে এইটা বুঝিনা। সত্যিই বুঝিনা। এই ধরুন, আসামে বিগত ৪০ বছর, কংগ্রেস বাম দক্ষিণ নির্বিশেষে অসমীয়া উগ্রতম জাতিয়তাবাদের পিছনে হাওয়া দিয়ে গেছে। এনআরসি সমর্থন করেছে। প্রশ্ন করলে বলে " আদালত বলেছে আমরা কী করব। " কথাটা অর্ধসত্য। কারণ আদালত রায় দেবার আগে প্রতিটি দলের মত জানতে চেয়েছিল। প্রায় সর্বসম্মতিক্রমে এনআরসির পক্ষে মত এসেছিল, তাই আদালতও ওই রায় দেয়। সে যাই হোক, কথাটা হল এতদ্বারা বামদের কী লাভ হয়েছে? বাঙালিরা ক্রমাগত কোণঠাসা হয়েছে, সেটা জাতিগত সমস্যা। আর দলগত ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বামেরা। সিপিএম এবং লিবারেশন দুটো দলেরই আসামের দুটো অঞ্চলে ভাল জনভিত্তি ছিল। দুটোই উবে গেছে। এর জন্য কোনো সিআইএ, আন্তর্জাতিক পুঁজি, দক্ষিণপন্থা কেউ দায়ী না। বামরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের আন্দোলনের ফসল তুলে দিয়েছে অন্যের ঘরে। এর কী মানে তারাই জানে।
কংক্রিট অ্যানালিসিস অফ দা কংক্রিট সিচুয়েশন। লেনিন বলেছিলেন। আমি কিছু লেনিনপন্থী না। কিন্তু কান্ডজ্ঞানের জন্য ভদ্রলোককে অত্যন্ত সম্মান করি। এই কান্ডজ্ঞানটুকু বাম ঘরানা থেকে উবে যেতে বসেছে। এ নিয়ে থিসিস লেখার কোনো মানে নেই।
পুঃ সব কান্ডজ্ঞান চলে গেছে তা নয়। এই যাদবপুরের ক্যান্টিনের পেজে দেখলাম অপর্ণা সেন কী বলেছেন প্রজেক্ট করা হচ্ছে। "তুই যে ব্যাটা সেবার আমাদের বিরুদ্ধে বলেছিলি " পুষে না রেখে। বামদের বৃহত্তম একটা কোয়ালিশন যে চাই, তারা যে সত্যিই ৭% এ নেমে এসেছে, এই বোধটুকু আছে দেখে খুবই ভালো লেগেছে। বলা ভাল, উদ্যোগটা এমনিও ভালো লেগেছে। সে অন্য কথা।
পিনাকী এবং ঈশানদার কী আদৌ সদর্থক আলোচনার ইচ্ছে আছে নাকি সেই ঘুরেফিরে ভোটের আগে হাওয়া গরমের মতন ব্যাপার। ঃ) সিপিয়েমের সাপোর্ট চাইলে দিদিভক্তদের আগে সিপিয়েমকে গাল দেওয়া বন্ধ করতে হবে - এটা মিনিমাম কিন্তু, ঃ)))
বিমানবাবু ঠিকই বলেছেন তো, একশো শতাংশ ঠিক। লড়াই বিজেমূলের বিরুদ্ধে। এটায় আশা করি মেসেজ ক্লিয়ার হচ্ছে।তৃণমূল অ্যামন কিছু কাজ করেছে যেটাকে সাম্প্রদায়িকতা তো অবশ্যই বলা যায়। যেটার সুযোগ নিয়ে বিজেপি মাথা তুলে দাঁড়িয়েছে।
সিঙ্গুর নিয়ে সমস্ত পক্ষ অ্যাত হ্যাজ দেওয়ার পরও ফের সেইসব ! সুপ্রীম কোর্ট কে শিরোধার্য করলে অন্যান্য অনেক জায়গায় কিন্তু বিরুদ্ধে আসবে ঃ))) পিনাকীদা সুপ্রিম কোর্ট দেখাচ্ছে যখন, জান্তে ইচ্ছে করে যে রায়টা আদৌ উনি পড়ে দেখেছেন কীনা! জমি অধিগ্রহণ বে আইনি ছিল কিনা সে বিষয়ে দুই বিচারপতির মতামত ছিল উল্টো। ঃ) কিন্তু দুজনই একমত ছিলেন যে চাষীদের জমি ফিরিয়ে দেওয়া দরকার। সম্ভবতঃ ইপিডাব্লুতে বা মৈত্রিশ ঘটক, কোন একটা প্রবন্ধে সরকারের অজান্তেই শালি জমির চরিত্রবদলের গল্পটা ছিল, যার জন্য কম্পেনশেসন প্যাকেজে তফাত হয়। সিঙ্গুরের ক্ষোভ কতটা ন্যায্য আর কতটা কৃত্রিমভাবে তৈরী করা সেই নিয়ে প্রচুর হ্যাজ হয়েছে তো, আবার সেইসব ক্যানো।
সে যাকগে, আমার প্রশ্নটি এই যে অ্যাত বদনামের ভাগীদার শিপিয়েমের কাছ থেকে সমর্থন নিতে রাণীমা ও তাঁর অনুগামীদের বাধবে না! অ্যাঁ! ঃ)
আমি কারো ভোট বা সমর্থন চাইনি বাপু। সিপিএমের ভোট তৃণমূলের ভোট যেখানে যা যায় যাক না। আমার কাজ পোবোন্ধো লেখা সে আমি লিখে চলবই। তাতে ট্রাম্প, বাইডেন, সিপিএম লিবারেশন যাকে খুশি গাল দেব। ভোটভিক্ষে তো আমি করিনা, ভোট দিন ভোট দিন বলে ভিক্ষে রাজনৈতিক দলগুলো করে। তাদের সমর্থন কেউ চাইতে যায়না। আমি তো না ই। সিপিএমের বা তৃণমূলের ইভন বিজেপির দরকার হলে আমাকে তোয়াজ করবে। আমি কাউকে করবনা। ভোট পলিটিক্সের এই টুকু প্রাথমিক ব্যাপার। এই বোঝাপড়া টুকু না থাকলে কীসের নঙর্থক আর কীসের সদর্থক।
হ্যাঁ, এইরকমই প্রচার হয়। বিজেমূল থেকে দূরে থাকুন। মাইক্রো কর্মসূচীগুলোতে প্রচার একেক রকম হয়। কর্পোরেশনের রাস্তার দূর্নীতির প্রতিবাদের সময় নিশ্চয়ই রামমন্দির প্রসঙ্গ উঠবে না। বা আম্পানের পর চালচুরি নিয়ে বলার সময় আর্টিকল ৩৭০।
কে বেশী ভীরাট হিন্দুদের জন্য ভাবছে সেসব নিয়ে কম্পিটিশন কারা করেছে ! পশ্চিমবঙ্গ কী রাণীমার খেলনাবাটি খেলার জায়গা ! মেসেজের যে সূক্ষ্ম ভেরিয়েশনের জন্য বাম নাকি বিজেপিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অ্যাত কিছু কথা, অথচ এইসব কাজের নিন্দেমন্দ করার ব্যাপারে তো এক লাইনও খরচ হয় না দেখি! তাহলে সিপিয়েম ভোটাররা ক্যানো ভাববে না যে যারা তৃণমূলকে ভোট দিতে বলছে তারা আসলে বিজেপির অ্যাজেন্ডাই পূরণ করছে!
দ্যাখো, গণেশপুজোর মরসুমে রীতিমতো পাল্লা দিয়ে ঐসব, কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়েও লেকে ছটপুজোর আয়োজন করে দেওয়া, দক্ষিণবঙ্গে মৌলবাদী হুজুরদের কন্টিন্যুয়াস প্রশ্রয়, ইত্যাদি এসব কারা করেছে? এর বিরুদ্ধে ঐ সবেধন নীলমণি তসলিমা নাসরিন দেখিও না। নিতান্ত অপদার্থ না হলে কেউ সংখ্যালঘুদের জন্য কিশুই না করে সংখ্যালঘু তোষণের খেতাব পেতে পারে না। সিপিয়েম কর্মী সমর্থকরা গ্রামছাড়া অথচ বিজেপি করলে গ্রামে ঢোকার ছাড়পত্র পাওয়া যাচ্ছে এইসব কারা করেছে ঃ)) যে উদ্যোগ নিয়ে গ্রামীণ বাংলায় শিপিয়েম বিতাড়ণ হয়েছে, সেই একই উদ্যোগ নিয়ে বিজেপি ক্যালালে আজ এইদিনই আসত না। ঃ)))
রাণীমা আসলে ভেবেছিলেন, কখনো প্রয়োজনে সিপিয়েমকে চল্লিশ নামাব আর বিজেপিকে তিরিশ তুলব, আবার দরকারমতন বিজেপিকে আশি নামিয়ে সিপিএমকে তিরিশ তুলে ভোট ভাগটা করে রেখে দেব। এই খেলায় উনি একেবারেই পারদর্শী নন দেখাই যাচ্ছে। বিজেপি সূঁচ হয়ে ঢুকে ফাল নামিয়ে দিয়েছে। আগে এইসব নিয়ে অতিবামরা একটা খসড়া নিন্দাপ্রস্তাব নামাক, তারপর না হয় শিপিয়েমের প্রচারের টোনের চুলচেরা বিশ্লেষণ হবে।
হ্যাঁ, প্রবন্ধ অবশ্যই চলবে।
আগেও লিখলাম, রাজ্যপাট হারানোর ভয় রাণীমার এখনো অতটা নেই। উনি যে পরের ভোটও পেরিয়ে যাবেন তার পক্ষে আমি অন্তঃত বাজি ধরছি। এটলিস্ট বর্তমান পরিস্থিতির সাপেক্ষে। এবং আমার মনে হয় গদি এনশিওর করতে সিপিয়েমের প্রতি ভরসা না রেখে রাণীমার উচিত হবে ভাষা রাজনীতির পক্ষে চালিয়ে খেলা যেটা উনি এখনও শুরু করছেন না। বাংলা পক্ষের রিচ বেশীদূর না। বিজেপিকে একবার বর্গী জাতীয় তকমা লাগাতে পারলে, এবং নিতান্ত গুটখা পার্টি যারা বাঙালীত্ব হরণ করতে চলেছে যার সহযোগী হচ্ছে বাজারি মিডিয়া এইরকম প্রচার করতে পারলে, রাণীমার কাউকেই আর লাগবে না।
"আগে তৃণমূলকে নিয়ে একটা খসড়া নিন্দাপ্রস্তাব নামাক তারপরে সিপিএম " -- এ অতি বাজে কথা। এই "আগে তৃণমূল" টা কখনই শেষ হয়না। নোনাডাঙা থেকে শুরু করে, অনুব্রত হয়ে হোককলরব কামদুনি মেডিকাল আন্দোলন, ব্যক্তিগত ভাবে এর প্রতিটিতে আমার কী অবস্থান ছিল, কী কী লিখেছি, সবই ডকুমেন্টেড। হারিয়ে তো যায়নি। এখানে, ফেসবুকে, খবরের কাগজে। কিন্তু তার পরেও সিপিএমকে নিয়ে লিখলেই পয়েন্টের কোনো উত্তর আসেনা। দুটো কথা আসে মূলত।
১। আগে তৃণমূলকে নিয়ে বলুন। এই "আগে" আর কখনই শেষ হয়না। অনেকটা আজ নগদ কাল ধারের মতো।
২। ৭% কে নিয়ে অত চিন্তা কেন।
এগুলোর সত্যিই উত্তর দেবার মতো কিছু নেই। দিচ্ছিওনা। ক্লান্ত লাগে, এইটুকুই। বরং পয়েন্টগুলো নিয়ে লিখি। এটাও মনে হয় আগেই লিখেছি। তবুও। হ্যাঁ, মমতা একটা সর্বধর্ম তোল্লাইয়ের খেলা খেলেছেন। গণেশ, ছট, বিহারি, বাঙালি, সিপিএম বিজেপি, -- নানা সময়ে নানা কিছু। সেটা বেশ বিপজ্জনক। এবং এই মুহূর্তে ব্যাকফায়ার করেছে।
আর সিপিএম ঠিক করেছেবল মুশকিল। কানাঘুষোয় নানা জিনিস আসে। কিন্তু যাই করে থাক, সেটা আরও বেশি ব্যাকফায়ার করেছে। গত ভোটের ফলাফলে মালুম। সমস্যাটা হল তৃণমূল বিরোধী ভোট সিধে বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে। এবারও যাবে। নইলে আর সমস্যা কী ছিল।
এই তো ব্যাপার। এর মধ্যে রাগারাগি মান-অভিমানের কিছুই নাই।
"আগে তৃণমূলকে নিয়ে একটা খসড়া নিন্দাপ্রস্তাব নামাক তারপরে সিপিএম " -- এ অতি বাজে কথা। এই "আগে তৃণমূল" টা কখনই শেষ হয়না। নোনাডাঙা থেকে শুরু করে, অনুব্রত হয়ে হোককলরব কামদুনি মেডিকাল আন্দোলন, ব্যক্তিগত ভাবে এর প্রতিটিতে আমার কী অবস্থান ছিল, কী কী লিখেছি, সবই ডকুমেন্টেড। হারিয়ে তো যায়নি। এখানে, ফেসবুকে, খবরের কাগজে। কিন্তু তার পরেও সিপিএমকে নিয়ে লিখলেই পয়েন্টের কোনো উত্তর আসেনা। দুটো কথা আসে মূলত।
১। আগে তৃণমূলকে নিয়ে বলুন। এই "আগে" আর কখনই শেষ হয়না। অনেকটা আজ নগদ কাল ধারের মতো।
২। ৭% কে নিয়ে অত চিন্তা কেন।
এগুলোর সত্যিই উত্তর দেবার মতো কিছু নেই। দিচ্ছিওনা। ক্লান্ত লাগে, এইটুকুই। বরং পয়েন্টগুলো নিয়ে লিখি। এটাও মনে হয় আগেই লিখেছি। তবুও। হ্যাঁ, মমতা একটা সর্বধর্ম তোল্লাইয়ের খেলা খেলেছেন। গণেশ, ছট, বিহারি, বাঙালি, সিপিএম বিজেপি, -- নানা সময়ে নানা কিছু। সেটা বেশ বিপজ্জনক। এবং এই মুহূর্তে ব্যাকফায়ার করেছে।
আর সিপিএম ঠিক করেছেবল মুশকিল। কানাঘুষোয় নানা জিনিস আসে। কিন্তু যাই করে থাক, সেটা আরও বেশি ব্যাকফায়ার করেছে। গত ভোটের ফলাফলে মালুম। সমস্যাটা হল তৃণমূল বিরোধী ভোট সিধে বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে। এবারও যাবে। নইলে আর সমস্যা কী ছিল।
এই তো ব্যাপার। এর মধ্যে রাগারাগি মান-অভিমানের কিছুই নাই।
লোকে বিজেপিকে ভোট দিলে শিপিয়েম কী করবে! ঃ))) জনসভা পথসভা প্রচার সবই তো হচ্ছে। নেতারা মাইক নিয়ে হাঁকছেন। প্যামফ্লেট বিলি হচ্ছে। জেলাশাসকের বাংলোর বাইরে ধর্ণা হচ্ছে। পুলিশ স্টেশন ঘেরাও হচ্ছে। রেল রোকো হচ্ছে, ধর্মঘট হচ্ছে, আবার কমিউনিটি ক্যান্টিনও চালানো হচ্ছে ইত্যাদি। সাত পার্সেন্ট স্ট্রেংথ নিয়ে আর ঐ কৌটো নাড়ানো পয়সায় যা যা সম্ভব সবই হচ্ছে। এইসবে কিছু হ'ল না আর মিডিয়ায় চারমিনিটের বাইটে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে গ্যালো!!
এই তো টেট কেলেঙ্কারী নিয়ে ডিওয়াইএফাই, এসেফাই লাগাতার আন্দোলন চালিয়ে গ্যালো। (কল্লোলদা শিপিয়েম কী করেছে সেই নিয়ে কত কাঁদলেন, তারপর বছর তিনেকের আন্দোলনের খবর পোস্টাতেই দুঃখ পেয়ে গেলেন ঃ)))))) কিছু ক্ষেত্রে আন্দোলনের চাপে পড়ে সরকার দাবী মেনে নিল। তারপর ভোট আসতে দেখা গ্যালো যে কমবয়সীদের ভোট বিজেপিতে গিয়ে পড়ল। কিভাবে এক্সপ্লেন হবে এইসব! আউটকাম দেখে এফোর্ট টা বিচার করতে গেলে সব ক্ষেত্রে ঠিক হবে বলে মনে হয় না।
রানির তিনটি তাস - মুসলমান, মতুয়া এবং জঙ্গলমহল - একচেটিয়া থাকছে না। মতুয়াদের দলবদল লোকসভাতেই বোঝা গেছে। বাকি দুটো সম্পর্কে আজকের আনন্দবাজার।
আর ওসব গুজ্জু-গুটকা কলকাতার লব্জ। ও দিয়ে কিসুই হবে না।
"তৃণমূল আর বিজেপি দুইই একই মাত্রার ফাশিস্ত, একই মাত্রার সাম্প্রদায়িক" -- এই ধোঁকার টাটিটা দেবেননা।"
তাহলে কি বলতে হবে? তৃণমূল বিজেপির থেকে একটু কম ফ্যাসিস্ট আর সাম্প্রদায়িক। অতেব ওদেরকে ভোট দিন? যদিও এই "একই মাত্রার" টা আপনার সংযোজন।
সে যত খুশি প্রবন্ধ নামুক না। খোলা পাতায় নামলে তার কাউন্টার পয়েন্ট ও আসবে।
মাত্তর ৭-% ভোট নিয়ে সিপিএম কে নিয়ে এতো আলোচনার দরকারই বা কি বাপু ? যারা ভোট দিয়ে তাদের সরিয়েছে বা দিদিকে এনেছে , সেই জনতাই বুঝে নিক গিয়ে কিসে ভালো হবে। যেমন বিহারে বুঝেছে। ২০০৯-এ তো বলাই হয়েছিল যে আসে আসুক , বামেরা যাক। তো বামেরা গেছে . তো সমস্যা এখোন কোথায় ?
ভোটের বাজারে ভোট চাইতে নেমেছে যখন আলোচনা হবেই। জিতব বলে নেমে ৭% পেলে গুছিয়ে প্যাঁক ও উপদেশও দেওয়া হবে। গম্ভীর আলোচনাও হতেই পারে। তাতেই বা সমস্যা কোথায় এটা বুঝিয়ে বলা হোক। :-)
না, খেলাটা ঠিক সর্বধর্ম 'তোল্লাইয়ের' খেলা নয়। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যবিত্ত জনমানস মোটের উপর ইসলামোফোবিক এবং সংখ্যাগুরুত্বের সুবিধে পেয়ে আসায় অভ্যস্ত। সামাজিক বিবিধ ব্যাগেজ। এতো ঐতিহাসিকভাবে।
মমতা কালীঘাট না দক্ষিণেশ্বর কোন একটা মন্দির সংস্কার করলেন, ওঁর দল রেটে গণেশপুজো করল, সরকারি ব্যবস্থাপনায় দুর্গাপুজোর কার্নিভাল চলল, এবং ভুঁড়ো বাঙালি বলল তো কীইই হয়েছে। কিন্তু যেই হজযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে হিজাব পরা রাণীমার ছবির ব্যানার এয়ারপোর্টের গেটের কাছে পড়ল অমনি সেই একই ভুঁড়ো বাঙালি আঁতকে উঠে বলল দেখেছ! কিরম তোষণ করছে! ঃ))) অমনি রেটে হোয়া ফরোয়ার্ড শুরু হ'ল এবং ভীরাট হিন্দুরা মাঠে নেমে পড়লেন।
ক্লাস সিক্স না সেভেনের সরকারি বইতে সিঙ্গুর আন্দোলন সম্পর্কে আটপাতা লেখা, এবং এট দা সেম টাইম তেভাগা নিয়ে নমো নমো করে লেখা। এগেইন, সিঙ্গুর নিয়ে লিবারেশনের পার্স্পেক্টিভ যাই হোক না ক্যানো, মধ্যবিত্ত আজও ভাবে যে সিঙ্গুরে কারখানাটা হওয়া দরকার ছিল। দশবছর পরেও শিল্প সংস্থানের হাল যা ছিল, মোটের উপর তাইই আছে, এবং এইক্ষেত্রে সেরকম কোনো অপটিক্সও নেই যেটাকে মমতা দেখিয়ে বলতে পারবেন যে এই দ্যাখো এটা আমি করেছি। অথচ সিঙ্গুর নিয়ে এইসব স্কুল লেভেলে প্রচার করে আরো ডিসঅ্যাসোশিয়েশন করেছেন।
এইগুলো জাস্ট ট্যাকটিকাল মিস্টেক, চাইলেই অ্যাভয়েড করা যেত এবং এইরকম বিবিধ বিন্দু দিয়ে আজকের সিন্ধু হয়েছে। এর সঙ্গে ন্যাচারেলি জুড়ে গেছে বিবিধ দূর্নীতি এবং চড়াম চড়াম ইভেন্ট। নইলে এই রেটে জনসমর্থন নিয়ে এসে এইরম কেউ ছড়ায়। ভেটেরান পলিটিশিয়ানের এই নমুনা। ইনি আটকাবেন বিজেপি !!
"জিতব বলে নেমে ৭% পেলে গুছিয়ে প্যাঁক ও উপদেশও দেওয়া হবে।"
শিপিএম অবশ্যই লুজার। কিন্তু এই লুজারদের কাছ থেকে যারা ভোট চাইছে, তাদের জন্য অন্য প্যাঁক অপেক্ষা করছে।
এই এস কিছু পড়ছেননা। কেবলই রেগে যাচ্ছেন। একটা পোস্টে লিখে দিলাম কী প্রত্যাশা, সেটার ওই অংশটা বাদ দিয়ে বাকিটা পড়ে একই কথা বলে চলেছেন। আমি আজ ক্ষান্ত দিলাম। টি কে কাল লিখব।
পড়েছি। :))
সেই নিয়েও তো লিখলাম। আগের পোস্টে।