এখন তো সবই বেদে আছে বললেই সমস্যা মিটে যায়। তবে কুমারী পূজার সমস্যা বোধহয় মেটে না। কারণ বেদে এই প্রথার উল্লেখ আছে বলে জানা নেই। তন্ত্রপুরাণে আছে। তবে বেদ পরবর্তী কালে এর উদ্ভব এতে সন্দেহ নেই। আমাদের পীঠস্থান বেলুড় রামকৃষ্ণ মিশনে এর প্রচলন অতি অধুনা। স্বামী বিবেকানন্দ কাশ্মীর বেড়াতে গিয়ে এক মুসলমান কন্যাসন্তানের মধ্যে দেবীভাব দেখেছিলেন ও তাকে পূজা করেছিলেন। তারপর থেকেই মিশনে এই কুমারী পূজা চালু হয়। এখন তো অনেকখানেই হচ্ছে।তবে কখনোসখনো দু একটি ছুটকো খবর উড়ে এলেও আর কারো হিম্মত হয়নি 'বেজাতের' কুমারী এনে পুজোবেদীতে বসাবার। শাস্ত্র বলে কুমারীর জাতধর্মবর্ণ না দেখলেও চলে, কিন্তু পুজোর সময় মিশনসহ সব উদ্যোক্তারা খোঁজে অল্পবয়সী ব্রাহ্মণকন্যা।
করোনা-আননোন লোকেদের মধ্যে মাস্ক পরে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা নিশ্চয়ই করোনা-নেগেটিভ লোকেদের মধ্যে মাস্ক না পরে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনার চেয়ে অনেক কম। মাস্ক না পরিয়ে টেস্ট করিয়ে সন্ন্যাসীদের রিস্কের মধ্যে ঠেলে দেওয়া হল কেন?
লেখিকা দাবি করেছেন, কুমারী পূজার ফলে শিশু র ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে। শিশু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে! আশা করি লেখিকা নিজের দাবির পক্ষে উপযুক্ত তথ্যসূত্র সহ প্রমাণ দেবেন! না হলে প্রতিপন্ন হবে নিজের ব্যক্তিগত অপছন্দ প্রচার করার জন্য মিথ্যাচারিতা করেছেন!
দীপবাবু সুস্থ আছেন তো। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথাই বলেছি। নজরে পড়েনি। যেটা খালি চোখে সাধারণ জ্ঞানে বোঝা যাচ্ছে খারাপ, সেটার জন্য শাস্ত্র পড়ে জ্ঞান বাড়াতে হবে, তাও এমন শাস্ত্র যার যা-খুশি-তাই ব্যাখ্যা করে বলে দেওয়া হচ্ছে কুমারী পূজা দুর্দান্ত একটি জিনিস। আপনি কি মল্লিনাথ নাকি, আপনার টিকা অব্যর্থ হবে ! আশ্চর্য তো মশাই, যাকে খুশি তাকে মিথ্যেবাদী মূর্খ ডেকে যাচ্ছেন ! রিয়েলিটি শোতে বাচ্চাদের নামানো খারাপ একথা মনস্তাত্ত্বিকরাই বলে থাকেন। তাদের জিজ্ঞাসা করুন অকারণে দেবীত্ব আরোপ করলে ভবিষ্যতে ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে কিনা। ছোঁয়াছুঁয়ি শুচিতা এসব সম্বন্ধে ভুল ধারণা ঐ রজোদর্শনের ব্যাপারটা বুঝে গেলে তারপর থাবা গেড়ে বসতে পারে কিনা।
শুনুন, আপনি যা খুশি বললেও লেখাটা যা ছিল তাইই থাকবে। গুরুগিরিতে কোনো পরিবর্তন হবে না। একজন মন্তব্য করেছেন এটা অবস্কিউর্যান্টিস্ট আর মডার্ন মাইন্ডের টক্কর। মানে যদি বুঝে থাকেন তাহলে এবার আসুন। আপনার কোনো কথারই আর জবাব পাবেন না।
প্রমাণ থাকলে তো উত্তর দেবেন! আর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা কোথায় পেলেন, দিবাস্বপ্নে?
আর পাঁচ থেকে আট বছরের মেয়ে রজোদর্শন বোঝে? রিয়েলিটি শো ই বা কোথায় পেলেন?
যা খুশি তাই লিখলেই হলো?
প্রথমে বলেছিলেন প্রমাণ আছে! এখন বলছেন সাধারণ জ্ঞানেই বুঝে গেছেন! বেশ ভালো!
অভ্যু বা মৃধা যে সিম্পল প্রশ্নগুলো করেছিলেন, সেগুলোর সোজা সুজি উত্তর দেওয়া ভক্তদের ধকে কুলোলো নাতো -? তাই যথারীতি সেই এক গরুর রচনায় আবার ফিরতে হলো ? অবশ্য সেটাই স্বাভাবিক।
উঃ কি রাগি সব লেখক। বিদ্যাসাগর নিয়ে যিনি লিখছেন তিনিও বলছেন জবাব দেব না। ইনিও তাই। বাবা রে।
হ্যাঁ, গরু গরু খুঁজে বেড়াচ্ছে! পোঁয়ের দল ছুটে আসছে! একের পর এক মিথ্যাচারিতা ধরা পড়েছে, তাই ব্যক্তিগত আক্রমণ সম্বল!
স্বাভাবিক। গাধাদের খুঁজে আর লাভ কি ? তারা তো রীতিমতো ভিসিবল সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আহা, গাধা বেহদ্দ হয়ে গাধা খুঁজে যাচ্ছে!
সেতো সবাই দেখতেই পাচ্ছে গাধাটা কোথায় চেল্লাচ্ছে কদিন ধরে।
সে তো দেখাই যাচ্ছে! কখনো বলা হচ্ছে আইটি সেল, কখনো বলা হচ্ছে বিজেপি র লোক! এইভাবে দিনের পর দিন ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হয়েছে! অসামান্য যুক্তিনির্ভর আলোচনা!
আর হ্যাঁ চাইল্ড অ্যাবিউসের প্রমাণ চাই! কিভাবে চাইল্ড অ্যাবিউস করা হয়েছে, কিভাবে শিশুর ওপর মানসিক নির্যাতন চালানো হয়েছে, তা উপযুক্ত প্রমাণ সহযোগে প্রতিপন্ন করতে হবে। নাহলে আবার বলব নির্লজ্জ মিথ্যাবাদী!