এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • যাদবপুর: কাঙালিদের হাতেও‌ রক্তের দাগ 

    Eman Bhasha লেখকের গ্রাহক হোন
    ২০ আগস্ট ২০২৩ | ৩৪৪৬ বার পঠিত | রেটিং ৫ (৩ জন)
  • শিবপুর প্রেসিডেন্সি ধ্বংস প্রাতিষ্ঠানিক। তাতেও কাঙালিদের সায় । 
    শিবপুর কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে গেলে নাকি ভালো হবে।
    দেশের আইআইটিগুলো থাকা সত্ত্বেও শিবপুরের নাম ছিল দেশে সর্বোচ্চমানের।‌ দেশের দ্বিতীয় ভালো প্রতিষ্ঠান ছিল।
    এখন?
    প্রেসিডেন্সি কলেজ ছিল মানবিক বিদ্যায় দেশের সেরা প্রতিষ্ঠান।
    বিজ্ঞানে দ্বিতীয়।
    কোনওবার সেন্ট জেভিয়ার্স কোনওবার সেন্ট স্টিফেন্স হতো প্রথম বা দ্বিতীয়।
    লোকে, বললো, বিশ্ববিদ্যালয় ও স্বশাসিত হলে ভাল্লো হবে।
    এখন ১৫০-র মধ্যেও আসে না।
    বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে যাদবপুর এখনও দেশের চার নম্বর প্রতিষ্ঠান।
     
    কিন্তু ragging বিরোধিতার নামে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কেই Ragging করে সংঘ পরিবারকে যাদবপুরের দখল নিতে বহু প্রগতিশীল, বহু তৃণমূল, কিছু বাম যেভাবে সহায়তা করলেন তা লজ্জার। যাদবপুর বাঙালির গর্ব। সারা দেশে বাঙালির গর্ব করার মতো আর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কোথায়? যাদবপুরকে বিশ্বভারতী বানানোর চেষ্টা হচ্ছে।
    তাতে আমার চেনা অচেনা বহু মানুষের হাতে রক্তের দাগ থাকছে।
    যাদবপুরে কিছু ছাত্রের অন্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক শিক্ষার্থী শিক্ষা সহায়ক কর্মীদের দায়ী করা কোন ধরনের শিক্ষাপ্রেম?
    বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে Ragging হয় না?
    দেশের আইআইটিগুলোতে আংশিক বেসরকারিকরণ হয়েছে।
    গরিবের ছেলেমেয়েরা আর পড়তে পারেন না। ৮-১২ লাখ টাকা লাগে।
    যাদবপুরে চার বছরে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে লাগে ১৮৪০০ টাকা।
    যাদবপুর বেসরকারিকরণে রাজি হয় নি।
    তাই তার বছরে মাত্র ৫ হাজার টাকায় একজন ছাত্র এম এ পাস করতে পারবেন।
    ওটাই অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে গেলে ১০ লাখের বেশি লাগবে। শুধু টিউশন ফি।
    বাইরের লোক গিয়ে মদের বোতল, কন্ডোম ফেলে আসবে?
    আর ছবি তুলে বলা হবে, যাদবপুরের সবাই এমন?
    বলা হয়েছে, যাদবগাছি!
    জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে যা করা হয়েছে, এখানেও তাই ।
    শুধুমাত্র তফাৎ এই, জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে প্রচার করেছিল সংঘ পরিবার।
    এখানে বাঙালি নামক কাঙালি সমাজ।
    তাদের অতৃপ্ত বাসনা, অসূয়া, ঈর্ষা আর দলাদলির প্রবণতা থেকে বাঙালির সবচেয়ে গর্বের এবং গরিবের শেষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সংঘ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে নিজেদের সাফাই গাইছেন।

    একজন ছাত্র মারা গেছেন।
    খুব অন্যায়।
    আর একটা গর্বের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বহুজন  মিলে জেনে বুঝে ফাঁসিকাঠে চড়ানোও ক্ষমাহীন অপরাধ।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১:১০522748
  • আপনি যখন ইউনি তে পড়েন না, তখন মতামত নাই বা দিলেন। আমার মতামত, সিসিটিভি ও আই ডি কার্ডের পক্ষে। কারণ আমি আমার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শুধু চিন্তিত নই, শঙ্কিত ও  বটে।
    যদি যাদবপুরের স্টুডেন্টরা কোনো বিকল্প রাস্তা বার করে র্যাগিং বন্ধ করতে পারে, বহিরাগত দের আসা বন্ধ করতে পারে, নেশা মুক্ত ক্যাম্পাস এর পথে এগোতে পারে, হোস্টেল থেকে প্রাক্তনীদের বের করতে পারে, তাহলে নিশ্চয় মেনে নেবো।
    এঁরা প্রচুর আন্দোলন করেছে, কিন্তু মূল সমস্যা গুলো সযত্নে ঢাকা চাপা দিয়ে গেছে। বরঞ্চ সিচুয়েশন দিন কে দিন খারাপ হয়েছে।
    আর এই সিসিটিভি কিছু পথ ও খুলে দিয়েছে।
    কোর্ট অন্তত আদেশ দিয়েছে সব থানা তে সিসিটিভি বসবে।
    আপনি নিশ্চয় অবগত আছেন থানায় গেলে অভিযোগকারীকে কত রকম অসুবিধের সম্মুখীন হয়।
    সর্বদা পুলিশ স্টেট বলে জুজু দেখালে চলবে?
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:9813:2cbe:ba01:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১:২০522750
  • থানা তো রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রধাণ অংশ, নিশ্চয় সেখানে সিসিটিভি বসবে।

    আপনি পরবর্তী প্রজন্মের জন্য শংকিত হতে পারেন, কিন্তু ইউনিতে কী হবে যেখানে আপনার পরবর্তী প্রজন্ম পড়ে, সে ব্যাপারে মত তারাই দেবে। এটাই হওয়া উচিত। পরবর্তী প্রজন্মের স্বার্থেই। এক সময়ে ভুল হলেও, তারাই তাদের ঠিক বুঝে নেবে। এবং ইউনি যারা চালায়, তাদেরই অনেক অনেক দায়িত্ব আছে, কিছুই না করে বড় কিছু ঘটে গেলে সিসিটিভি দিয়ে ম্যানেজ করাটা তাদের অক্ষমতা, যা যা আপনি বলেছেন স্টুডেন্টদের করা উচিত সেসবের দিকে এগোনো কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব। স্টুডেন্টদের ঘাড়ে দোষ চাপালে বলতে হয় তারা গোলপোস্ট সরাচ্ছে।
  • সিএস | 2405:201:802c:7838:9813:2cbe:ba01:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১:২৭522751
  • তিনোরা তো বলেছে দেখলাম বাথরুম পরিষ্কার করতে হবে। সে করার দায়িত্ব কী ছাত্রদের নাকি ? অথবা তারা সেই কাজে বাধা দিয়েছিল ? নাকি পরবর্তী প্রজন্ম পরিষ্কার বাথরুম চায় না ?
     
     
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১:৪০522752
  • আপনি গোলপোস্ট একটু বেশিই সরিয়ে ঘুরছেন। আমি স্টুডেন্ট দের একার দায়িত্ব কখন বললাম?দায়িত্ব পালন তো করবে কতৃপক্ষ । স্টুডেন্টদের সহযোগিতা কাম্য।
    আন্দোলন করে সিসিটিভি না বসানোর পরিবেশ সৃষ্টি করা অনুচিত।
    সিসিটিভি বসার পক্ষে কোর্টের রায় আছে।ইউ জি সির গাইড লাইন আছে।
    এটা ইমপ্লিমেন্ট করবে কতৃপক্ষ । স্টুডেন্ট বা টিচার বা ডিন বা ভিসি কেউ বিপক্ষে যাবে কেন? 
    স্টুডেন্টরা সাজেশন দিতে পারে বড়জোর।
    তাঁরা  এই ক্ষেত্রে পলিসি মেকার বা শেষ কথা হবে কেন? 
    স্টুডেন্ট দের হাতে সব ছেড়ে দিলে তো সুপার পরিদর্শন করতে গেলে আটকে যাবে। র্যার্গিং চলতেই  থাকবে। বহিরাগতরা যুগ যুগ ধরে আসতেই থাকবে।হোস্টেল বাপরা ঠিক করে দেবে কারা বোর্ডার হবে।
    মানে বড়দার হাতে চাবি কাঠি।ভিসি, ডিন দর্শক হিসেবে থাকবে।
    আপনি তাহলে স্ট্যাটাস কুও এর পক্ষে?
  • Amit | 220.235.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০১:৫৫522753
  • প্রশ্ন হলো যেখানে আইআইটি বা এনাইটি গুলোতে বা অন্যান্য বেশির ভাগ কলেজে সিসিটিভি বা আইডি কার্ড সিস্টেম কড়াভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা গেছে সেক্ষেত্রে যাদবপুরে করা হবেনা কেন ? এই ব্যাপারটা তো শুধু ছাত্রদের মতামত বলে ছেড়ে দেওয়া যায়না। তাহলে কি বলতে চান বাকি সমস্ত কলেজের ছাত্ররা নিজেরাই ওসব চেয়েছে ? যাদবপুর বাকিদের থেকে কেন আলাদা হবে ? কি স্পেশালিটি ​​​​​​​আছে ​​​​​​​? 
     
    এক্সস্টুডেন্ট ​​​​​​​রা ​​​​​​​হোস্টেল ​​​​​​​দখল ​​​​​​​করে ​​​​​​​থাকা , বাইরের ​​​​​​​ছেলেদের ​​​​​​​এসে ​​​​​​​অবাধে ​​​​​​​হোস্টেলে ​​​​​​​দাদাগিরি ​​​​​​​করা ​​​​​​​এসব ​​​​​​​জিনিস ​​​​​​​তো ​​​​​​​২০-২৫ বছর আগে আমরাও দেখেছি। এতো বছরেও যে অবস্থা কিছু উন্নতি হয়নি সেটা দেখা যাচ্ছে। বরং রীতিমতো খুনের লেভেলে পৌঁছেছে। সেক্ষেত্রে সার্ভেইল্যান্স সিস্টেম লাগানোতে এতো আপত্তি কোথায় ? দুটোর মধ্যে কোনটা বেশি দরকারি ? কয়েকজন দখলদারের প্রাইভেসির মৌরসীপাট্টা না কয়েকজনের সেফটি ? সিসিটিভি আইডি কার্ড কড়াভাবে ইমপ্লিমেন্ট না করেও সবকিছু মেন্টেন করা যায় এসব হ্যাজ নামাবেন না। নমুনা দেখান। হ্যাজ নামাতে হলে যে ছেলেটা মারা গেছে তার বাপমায়ের কাছে গিয়ে নামান। 
     
    আর মতামত বলতে সরকারি ইউনি চলে পাবলিক ট্যাক্স পায়েরের টাকায়। সকলের অবশ্যই মতামত দেওয়ার অধিকার আছে। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:621e:5ea8:a484:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০২:০৪522754
  • ইয়ার্কি বাদ দিয়ে দুটি সিরিয়াস কথা।
     
    এক, পাবলিক স্পেসে সিসিটিভি বসানো নিয়ে আমার কোন নীতিগত আপত্তি নেই।
     
    দুই, বর্তমান রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কোন সরকারী জায়গাতেই সিসিটিভি বসানো নিয়ে আমার ঘোরতর আপত্তি আছে। আমার সন্দেহ যেক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজ থেকে সরকার কিছু ফায়দা লুটতে পারবে (এই যেমন বিরোধীদের বাঁশ দেওয়া) সেক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া যাবে। আর যদি সরকারের পক্ষে অসুবিধার হয় তো সিসিটিভি হয় খারাপ থাকবে নয় ফুটেজ হাওয়া হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত ভোটে বুথে বুথে সিসিটিভি বসানোর আদেশ ছিল আদালতের। তার থেকে কি অশ্বডিম্ব হয়েছে সে তো দেখাই গেল। কয়েক বছর আগে কোন পক্ষ বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে তাই নিয়ে কিছু চাপানউতোর চলেছিল। কিন্তু সিসিটিভির ফুটেজ পাওয়া যায়নি। কুলোকে সন্দেহ করে ফুটেজ থাকলে সরকার ব্যাকফুটে চলে যেত।
     
    কাজেই মিছিমিছি আশায় থাকবেন না সিসিটিভি বসলেই আপনার ছেলে খুন হবে না। বরং সেক্ষেত্রে বিরোধীপক্ষকে লোপ করে দিয়ে সরকারপক্ষ একতরফা রাজত্ব করবে। আপনার ছেলে মেয়ে যদি জেনে বা অজান্তে তাদের বিরক্তির কারণ হয় তো কোন বিরোধীপক্ষের অনুপিস্থিতিতে তাদের নির্বিবাদে খুন করা হবে।
  • দীপ | 42.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০২:০৬522755
  • আমি জানি মৌচাকে ঢিল পড়েছে।
     সত্যিই তো JU এ যা যা হয় তা মিডিয়া জানত না? আলবত জানত। কিন্তু এলিট গ্রুপের হাতে তামাক খেয়ে মিডিয়ার কিছু হর্তাকর্তা এইসব প্রতিষ্ঠানের নেতিবাচক দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকত। জুনিয়র সহকর্মীর আনা তথ্য ডাস্টবিনে চলে যেত সন্ধেয় কোনো এলিটের সান্নিধ্যে সিঙ্গল মল্ট আর কামু কাফকা আওড়ানোর সমীকরণে। হ্যাঁ আমি মধ্য‌ও ন‌ই, নিম্নমেধা। গ্রামের সাধারণ স্কুল আর শহরের উপকন্ঠে সাধারণ কলেজে পড়েছি। শহরের নামজাদা প্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি বা জার্নালিস্ট বা এলিট বাবা মায়ের পেডিগ্রি কোনটাই আমার নেই। তাই লালবাবা কলেজে অন্যায় হলে চিল্লাব আর JU হলে চুপ করে থাকব এ দায়‌ও আমার নেই। যে দায় থেকে মিডিয়ার কয়েকজনকে এখন আমায় কটাক্ষ করে এলিট গ্রুপের কাছে সাধু সাজতে হচ্ছে। কোনো অধ্যাপক বিদেশে সেমিনার করে ফেরার সময় ডিউটি ফ্রি থেকে তোলা জিনিসটির আমন্ত্রণ টামন্ত্রণ রাখতে হয় তো এক শ্রেণীর সাংবাদিককে। তারা বড় বড় লেখা নামাচ্ছে। আমার হাসি পায়। আমি গর্বিত আমার সহকর্মীরা সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলে। প্রতিষ্ঠানের নাম অনুযায়ী তাদের news sense বদলায় না। উন্নাসিক এলিট মহলের যত আক্রমণ আসুক আমরা সাধারণ মানুষের কথা বলব। শুধু স্ব**প নয়, যে অভিযুক্তের বাবা ফল বেচেন তাঁরাও কি জানতেন গর্বের এই প্রতিষ্ঠান ছেলেকে আধুনিকতা ও গণতন্ত্রের নামে কীসের পাঠ দেবে? তাঁরাও তো ভিক্টিম। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জায়গা। আড্ডা খেলা প্রেম সব আসতে পারে। কিন্তু যদি একটা প্রতিষ্ঠানের কালচার তরুণ মনে এই বিশ্বাসের জন্ম দেয় যে মদ মাদক birth right বুঝতে হবে গলদ আছে। অপ্রিয় কথা বলে যাব। Come what may.
    -মৌপিয়া নন্দী
  • Amit | 163.116.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০২:২৬522756
  • এটা কেও আশা করেনা যে সিসিটিভি বসালেই কালকে থেকে সব সমস্যা অটোমেটিক মিটে যাবে। কিন্তু সিসিটিভি , ইলেক্ট্রনিক আইডি কার্ড , সিকিউরিটি এক্সেস গেট এই সবগুলোই এক একটা এফেক্টিভ ডিটেরেন্ট যেগুলো সব কটা সভ্য দেশে চালু হচ্ছে আর ইন্ডিয়াতেও বেশির ভাগ কলেজে চালু হয়ে গেছে। আর কোনো ঘটনা ঘটলে সেগুলোর ইনভেস্টিগেশন এও এগুলো কাজে আসতে পারে। এর সাথে সাথে স্টুডেন্টস কাউন্সেলিং , প্রফেসর / সুপার দের রেগুলার ভিজিট , ফিডব্যাক সিস্টেম কমপ্লেন রিড্রেসল সিস্টেম সবকিছুই ইন প্যারালাল চালানো দরকার। কেও তো ​​​​​​​বলছে ​​​​​​​না ​​​​​​​ক্যামেরা ​​​​​​​লাগিয়ে ​​​​​​​বাকি ​​​​​​​সব ​​​​​​​ভুলে ​​​​​​​যাও। 
     
    আর যাদবপুরে এখনো অবধি কি ওপরের কোনোটাই ঠিকঠাক হয়েছে ? প্রফেসর রা কবার হোস্টেলে গেছে এই ঘটনার পরে ? আমার ব্যাচমেট এখন পড়ায় ওখানে। পার্সোনালি অনেক কিছুই বললো যেগুলো মিডিয়ার সামনে কখনোই বলবে না। 
     
    সব কিছু ডেটারেন্ট থাকা সত্ত্বেও একটা দুটো দুর্ঘটনা ঘটতেই  পারে। সবকিছু থাকা মানে জাস্ট প্রোবাবিলিটি কমানো। জিরো র গ্যারান্টি কেও দিতে পারেনা  - যদিও টার্গেট সেটাই থাকা উচিত। 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:621e:5ea8:a484:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০২:৩০522757
  • এই রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারের অধীনে সিসিটিভি ডেটারেন্ট এই কথাটাই তো বিশ্বাস করিনা। এদের হাতে সিসিটিভি বিরোধী হটিয়ে অপরাধী রাজত্ব কায়েম করার অস্ত্র।
     
    যতটুকু রাজনৈতিক সভ্যতা থাকলে সিসিটিভি অন্ততঃ আংশিক ডেটারেন্ট হতে পারে ততটা সভ্যতা এদের কারোরই নেই।
  • Amit | 163.116.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০২:৩৭522758
  • তাহলে অল্টারনেট সল্যুশন কি আপনার ?
  • Politician | 2603:8001:b102:14fa:6493:4e76:e1f9:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০৫:১০522761
  • একটা মোটামুটি যুক্তিসঙ্গত সমাধান থাকলে তবেই তো বিকল্প সমাধানের কথা আসে। সিসিটিভি তো কোন যুক্তিসঙ্গত সমাধান নয় যে বিকল্প সমাধানের কথা আসবে। 
  • Amit | 163.116.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০৫:২১522762
  • কিছুই বুঝ্তে পারলাম না। যেখানে ইউজিসির গাইড লাইনে পরিষ্কার ভাবে বলে দেওয়া আছে ক্যাম্পাসে সমস্ত ভাইটাল পয়েন্টে সিসিটিভি লাগাতে হবে সেখানে আপনার ক্লেম সেটা কোন যুক্তিসঙ্গত সমাধান নয় ? ? 
     
    কেন ? কি কারণে ? ইউজিসি লেটার টাও দিয়ে দিলাম নিচে। দেখে নিতে পারেন। 
     
     
    হ্যা - এটা অ্যাডভাইসারি লেটার। ম্যান্ডেটরি নয়। কিন্তু যেখানে খুন অবধি গড়াচ্ছে সেখানে এডভাইস কেন নেওয়া হবেনা ?বিকল্প কি ? 
     
  • Politician | 2603:8001:b102:14fa:6493:4e76:e1f9:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৪৮522763
  • ধরুন বিবেকানন্দের সময় ডায়াবেটিসের কোন এফেকটিভ চিকিৎসা ছিল না। কবিরাজ ওনাকে জলের বদলে দুধ খেতে পরামর্শ দিয়েছিলেন যেটা ডায়াবেটিসের রোগীর পক্ষে খুবই ক্ষতিকর। আপনি কি বলবেন যেখানে রোগ মৃত্যু অবধি গড়াচ্ছে সেখানে (ক্ষতিকর) পরামর্শ কেন নেওয়া হবে না!! 
     
    সিসিটিভি কেন ক্ষতিকর সেটা আমি ২১ আগস্ট ২০২৩ ০২:০৪ এর পোস্টে ব্যাখ্যা করেছি। 
  • Amit | 163.116.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০৫:৫৮522764
  • যাদবপুরের এক্স-ভিসি অভিজিৎ চক্রবর্তীর ​​​​​​​ইন্টারভিউ  যেনাকে হোক কলরবের পান্ডারা তাড়িয়েছিলো।শুনে ​​​​​​​মনে ​​​​​​​হচ্ছে ​​​​​​​ইনিই ​​​​​​​১০০% ঠিক ​​​​​​​ছিলেন। 
     
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:621e:5ea8:a484:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৪১522772
  • ফ্র্যাংকলি, আকামের পেছনে টাকা খরচ করতে হলে মন্ত্রী এমএলএ মেয়রদের মাথায় সিসিটিভি বসানো হোক। তাতেও কিছু হবেনা অবশ্য। শুভেন্দু, মদন, ববি ইত্যাদিরা তো ক্যামেরাতেই টাকা খেল। কিছু কি হল? তবুও, আকামের টাকা খরচ উচ্চপদস্থ লোকেদের দিয়ে শুরু হোক।
  • CCTV | 74.82.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ০৮:৫১522774
  • https://www.tandfonline.com/doi/abs/10.1080/10824669.2022.2092110
     
     
    Findings indicate that CCTV surveillance cameras in these schools were predominantly aimed at controlling students’ and teachers’ non-compliant behaviors to promote academic performance. While the study explored how these schools utilized surveillance technology to their advantages, findings contribute to the practical understandings that the technology is equally subject to misuse and can victimize children, given the lack of legal regulations in place.
     
     
    Universities using closed circuit television (CCTV) systems often tout its deterrent role when justifying the use of this technology. Using a sample of 336 U.S. universities, we examine the relationship between CCTV and reported crime rates using Clery Act crime data to discern whether CCTV has a deterrent impact on campus crime, controlling for other variables. We find that CCTV appears to have little to no impact. Rather, crime rates are associated with location (suburban, urban, rural), institutional control (public, private), student population density, level of tuition and fees, student-body demographics (e.g., gender, race), and crime control practices other than CCTV (e.g., scheduled security patrols, student transportation/escort services). These relationships differ by type of crime (e.g., property vs. violent). Implications for policy and future research are discussed.
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১২:২৪522781
  • এটা আই আই টি বম্বের খবর

    https://www.edexlive.com/news/2023/feb/07/why-are-iit-bombay-students-upset-with-security-measures-on-campus-is-it-violating-their-privacy-33780.html

    ছাত্রদের মধ্যে একটা গ্রুপ বলছে, তাদের প্রাইভেসি নষ্ট হচ্ছে ও তাদের ট্র‌্যাক করা হচ্ছে।

    কীভাবে ?
    Starting with making biometric attendance mandatory a few months earlier, IIT Bombay has now started installing CCTV cameras in hostel corridors. Students claim it is a violation of their right to privacy and want the surveillance removed.

    The Spokesperson of Ambedkar Periyar Phule Study Circle (APPSC), a student organisation at IIT Bombay, on the condition of anonymity, explained that their biometrics were first linked to their I-cards. The I-card was scanned during entry and exit from the institute. Next, it was linked to attendance for some of the departments. And then the students were required to scan their I-card at the mess.

    "So the data of when a student is eating is now saved electronically and is stored at the central server. This effectively means the institute is now tracking every movement of the student. Institute knows when a student ate breakfast, attended class or whether they went outside," reads a statement from APPSC.

    "The eating habits are very personal and private information. There are students who do not wish to share this information with anyone," the statement adds.

    The students are uncomfortable because they claim there is no accountability for the biometric data thus stored. "There is no security protocol. We don't know who has access to this data, where it is stored and what will happen to it after we leave the institute," the student said, concerned. He also pointed out that IIT Bombay itself had issued a poster informing biometric data was unreliable.

    ইউজিসি যা রেকোমেণ্ড করেছিল, ক্রমশঃ এখানে সেসবই চালু করা হচ্ছে, সিকিউরিটির স্বার্থেই ! কিন্তু আদতে শিক্ষার্থীদের ট্র‌্যাক করে ফেলা যাচ্ছে, তাদের খাবার টেবিল অবধি প্রয়োজন হলে এইসব তথ্য নিশ্চয় বিশেষ কিছু লোকজনের বিরুদ্ধে, বিশেষ পরিস্থিতিতে ব্যবহার কর যাবে। এবং এই ট্র‌্যাকিং যা ঘটছে, কর্পোরেটের চাকুরেরাও মনে হয় না এর মধ্যে দিয়ে যায়, এ ব্যবস্থা কলেজকে প্রায় জেলখানাই বানিয়ে ফেলছে।

    এও মনে হয়, আপত্তিটা যে পেরিয়ার গ্রুপের মধ্যে থেকেই তৈরী হচ্ছে, যা দলিত স্টুডন্টদের গ্রুপই হবে, এবং তারা খাবার অবধি ট্র‌্যাকিংকে প্রশ্ন করছে, তার সাথে তো সমসাময়িক রাজনীতি আর দেশের পরিস্থিতি যুক্ত।

    আরো আছে, একই ব্যবস্থা নিয়ে -

    While traveling to or from the bathroom, students have to take a long walk down the corridor. "We are unsure who would be watching this footage or where would it be stored," expressed a student who informed that the CCTV cameras have only been installed in corridors of one boys' hostel of the total 16 functional student hostels on the IITs.

    Drawing a parallel, the student group said that installing CCTV cameras in hostel corridors is like having cameras in one's living room. The letter drafted by APPSC goes on to question the cost effectiveness of this move as well.

    https://www.freepressjournal.in/education/mumbai-students-are-not-prisoners-iit-bombay-group-irked-to-find-cctv-cameras-in-hostel-corridors

    তো এখানে, ছাত্ররা হোস্টেলকে বাড়ি বা প্রাইভেট স্পেস হিসেবেই দেখছে এবং আপত্তি জানাচ্ছে। এই আপত্তি যাদবপুরেও উঠতে পারে এবং তখন কি ছাত্ররা তাদের অপকর্ম লুকোনোর জন্য আপত্তি তুলছে বলা হবে ?

    যারা বলছেন পাবলিক প্লেসে সিসিটিভি সমর্থনই করেন, তারা আমার ধারণা ঐ ব্যবস্থার মধ্যে 'নিজেদের' দেখতে পান না, একরকমের 'anonymous' হিসেবে নিজেকে দেখেন অথবা অথরিটি ফিগারটিও সহজে বুঝতে পারেন না, কিন্তু এইগুলো যাদের কাছে স্পষ্ট হবে, যেমন এই খবরের ছাত্রদের কাছে, তারা আপত্তি জানাবে। আবার ছাত্রদের মধ্যেও অনেকেই থাকবে যাদের এসবে যায় আসবে না, আমি তো আর খারাপ কিছু করছি না তাহলে আমার চিন্তা কি ইত্যাদি মনোভাবও থাকবে, স্থানবিশেষে, ইউনি - কলেজ অনুযায়ী, কারা পড়তে আসছে, কারা মনে করছে তাদের কন্ট্রোল করার চেষ্টা করা হচ্ছে, সেই অনুযায়ী আপত্তি কোথায় হবে বা কীভাবে হবে, সেসব বদলে যাবে।

    আগে যা লিখেছিলাম, সারভিলিয়েন্সই গোলপোস্ট, দেখা যাচ্ছে ভুক্তভোগী পড়ুয়ারাও সেরকম মনে করছে।
     
     
  • dc | 2401:4900:1cd0:82e0:5997:48dc:f96a:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:২০522782
  • সিসিটিভি সার্ভেল্যান্স = কন্ট্রোল = অথরিটারিয়ানিসম, এটা বেশ পুরনো ইকুয়েশান আর বহু দেশেই এ নিয়ে প্রচুর ডিবেট হচ্ছে। সিটিজেনস রাইটস, সিভিল রাইটস ইত্যাদি ইস্যু এর সাথে সরাসরি যুক্ত।
     
    এবার আইআইটি বম্বে তে দেখা যাচ্ছে হোস্টেল করিডরেও সিসিটিভি বসানো হয়েছে, যা কিনা ছাত্রদের প্রাইভেট স্পেস। আমরা কি আমাদের আবাসনের করিডরগুলোতে ক্যামেরা বসাতে দিই? আর সিসিটিভির সাথে ফেস রিকগনিশান সফটওয়্যার লাগিয়ে, তার সাথে মেসের অ্যাক্সেস করে ছাত্রদের খাওয়ার টাইমিং আর কে কি খাচ্ছে সেসবও সহজেই শনাক্ত করা যাবে। কেউ নন ভেজ খেলেই তাকে বহিষ্কার করতে সুবিধে হবে। 
     
    "While traveling to or from the bathroom, students have to take a long walk down the corridor. "We are unsure who would be watching this footage or where would it be stored," expressed a student who informed that the CCTV cameras have only been installed in corridors of one boys' hostel of the total 16 functional student hostels on the IITs."
     
    কে ফুটেজ দেখছে আর সেই ফুটেজ নিয়ে কি করা হচ্ছে, এসব নিয়ে কোন ইনস্টি কোথাও কোন পলিসি অ্যানাউন্সমেন্ট করেনি মনে হয়। কোন হোয়াইট পেপার ইত্যাদিও কোন ইনস্টি বার করেছে বলে মনে হয়না। 
  • Amit | 220.235.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৪২522783
  • ইন্ডিয়ার আবাসন রুল কি জানা নেই। ইউকে অস্ট্রেলিয়া নিউ জিলান্ড মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুর এই কটা দেশে যেসব এপার্টমেন্ট এ থেকেছি - সেখানে দেখেছি লিফট আর করিডর ক্যামেরা কভারেজ এর আওতায় আসে। প্রাইভেট এরিয়া নয়। ​​​​​​​আর হোস্টেলে করিডরে ​​​​​​​ক্যামেরা ​​​​​​​থাকলে ​​​​​​​ঠিক ​​​​​​​কার কিসের ​​​​​​​সমস্যা ​​​​​​​?বরং ​​​​​​​ৱ্যাগিং ​​​​​​​আটকাতে ​​​​​​​সেইটা এফেক্টিভ মেজার। ​​​​​​​
     
    এই সো কল্ড নন ভেজ খেলে আজ অব্দি কোথাও কাউকে বহিস্কার হতে দেখার ঘটনা কারোর নিজের জানা  আছে ? নাকি সবই ফাঁকা আওয়াজ ?
  • dc | 2401:4900:1cd0:82e0:5997:48dc:f96a:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৩:৫৬522784
  • অমিতবাবুর জন্য :-)
     
    Tensions Flare at IIT Bombay as Food Choices Divide: Vegetarian-Nonvegetarian Controversy Grips Hostel Canteen
    Moreover, reports suggest that efforts may be made to discourage non-vegetarian students from dining in the canteen altogether.
    A heated dispute over food choices at the prestigious Indian Institute of Technology (IIT) Bombay has sparked tensions on the campus. The contention centers around the segregation of students based on their dietary preferences in the hostel canteen. Allegedly, a confrontation between two students occurred, wherein one student humiliated another for consuming non-vegetarian meals. As a result, certain students took it upon themselves to display posters in the canteen, declaring that only vegetarian students were welcome to occupy the seating area. Moreover, reports suggest that efforts may be made to discourage non-vegetarian students from dining in the canteen altogether.
    This incident has shed light on an age-old debate about food choices and inclusivity on educational campuses. While the IIT Bombay administration has not implemented an official food policy, students have self-imposed divisions based on their dietary preferences.
     
    ফ্যাসিজম এক পা এক পা করেই এগোয়। 
  • Amit | 220.235.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০১522785
  • এগেন প্রশ্নটা সেটা ছিল না। আগের পোস্টে যে বলা হলো নন ভেজ খেলে বহিস্কার করতে সুবিধা হবে সেটা এখনো অবধি কোথাও হয়েছে কি না ?  ভবিষ্যতে কি হতে পারে তার প্রোবাবিলিটি নয়। 
  • dc | 2401:4900:1cd0:82e0:5997:48dc:f96a:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০১522786
  • আর ইউকে অস্ট্রেলিয়া নিউ জিলান্ড মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে অ্যাপার্টমেন্টের করিডরেও সিসিটিভি বসানো থাকে নাকি? বাপরে! যাক, আমাদের স্যান্টোরিনি হাউজিং এর অ্যাপার্টমেন্টেগুলোর করিডরে যে আমি সিসিটিভি বসাতে দিইনি, সেটা জেনে ভালো লাগছে। আমার ফ্ল্যাটের দরজা খুলে করিডরে বেরোলাম আর অমনি সিসিটিভিতে ধরা পড়ে গেলাম, ভাবতেও কেমন অদ্ভুত লাগছে। 
  • dc | 2401:4900:1cd0:82e0:5997:48dc:f96a:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:০৩522787
  • নাঃ এখনো অবধি কোথাও বহিষ্কার হয়নি। এখনো অবধি শুধু কয়েকটা লোক তাদের ফ্রিজে কিসব রেখেছিল, সেই সন্দেহে তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। তবে এখনো বহিষ্কার করা হয়নি, আর ভবিষ্যতে কি হবে সে নিয়ে আমরা চিন্তিত নই। 
  • dc | 2401:4900:1cd0:82e0:5997:48dc:f96a:***:*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১০522788
  • আমাদের সবার পূজনীয় মোহন ভাগবতজী অবশ্য নন ভেজদের খুব ভালো পরামর্শও দিয়েছেন।
     
    RSS chief Mohan Bhagwat's ‘advice’ to those who eat meat: 'Follow discipline'
    RSS chief Mohan Bhagwat said that if people eat “wrong food” then they will go on a “wrong path”.
     
    কাজেই সিসিটিভিতে যখন ধরা পড়বে কেউ কেউ এতো সুন্দর পরামর্শ সত্ত্বেও ভুল খাবার খায়, তখন গৌমাতারা নিজ দায়িত্বে এসে সেই ভুল শুধরে দিয়ে যাবে আশা করি। ভিডিও ফুটেজ কি আর কেউ অমান্য করতে পারবে? জয় শ্রীরাম! 
  • Amit | 220.235.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১২522789
  • এইতো প্রশ্নের উত্তর এসে গেছে। বাকি হ্যাজে ইন্টারেস্ট নেই। 
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:১৩522790
  • ডিসি আবার ফালতু বকছে।বহু হাউজিং এ  করিডোর বা স্টেয়ার কেস সংলগ্ন এরিয়ায় সিসিটিভি লাগানো থাকে।এটার  সিদ্ধান্ত  নেওয়া হয় আবাসিক দের মিটিং এ ।নতুন কোনো ব্যাপার নয়।
    দুই, হোস্টেল এর করিডোর সংলগ্ন এরিয়ায় সিসিটিভি থাকলে জানা যেতো,বিবস্ত্র অবস্থায় ছেলেটি কেন দৌড়াচ্ছিল? বোঝাই যাচ্ছে গুরুর পাকা আঁটি গণ এসব কিছু ধর্তব্যের মধ্যে আনছেই না।পাকা পাকা প্রবচন ঝাড়ছে।
    পৃথিবীর কোন উন্নত দেশ সিসিটিভি বসায় না? 
    বা সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে?
  • যুক্তি | 116.193.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৪:২২522791
  • ইউকে অস্ট্রেলিয়া নিউ জিলান্ড মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে অ্যাপার্টমেন্টের করিডরেও সিসিটিভি বসানো থাকে নাকি? বাপরে! যাক, আমাদের স্যান্টোরিনি হাউজিং এর অ্যাপার্টমেন্টেগুলোর করিডরে যে আমি সিসিটিভি বসাতে দিইনি, সেটা জেনে ভালো লাগছে
    ---
    প্রথমে ডিসি আশ্চর্য্য হচ্ছে ইউকে,অস্ট্রেলিয়া,সিঙ্গাপুর - বাগেরা বাগেরা, তে করিডোর এ সিসিটিভি বসানো হয় নাকি!! 
    আবার নিজের আবাসনে করিডোর এ সিসিটিভি বসানো নাকি বন্ধ করে দিয়েছে। নিশ্চয় করিডোর এ সিসিটিভি বসানোর প্ল্যান হয়েছিল!  হি হি।
    কি বিশাল ঘ্যাম! বীরপুঙ্গব!!
    বললে হবেনা, পোতিবাদী ইমেজ!
  • একক | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৪৭522792
  • সিসিটিভি যে অথরেটরিয়ান এপ্রোচ এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। প্রশ্ন হল এই সর্বগ্রাসী প্রবণতার সঙ্গে আমরা কিভাবে লড়বো??? 
     
    আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম আমাদের এডোলেসেন্স এবং পিউবার্টির চাহিদাগুলো লুকোতে শিখিয়েচে। পাড়ার কাকুকে দেখেই সিগারেট লোকাও তাহলে তিনি দেখেও দেখবেন না,  এটাই ছিলো আমাদের কলেজ বয়েসের কালচার। চুমু লুকিয়ে খেতে হয়। রাস্তায় ছেলে মেয়ে হাগ করলেও লোকে ড্যাব ড্যাব করে তাকায় কারণ এসব লুকিয়ে করার কাজ।
     
    খুব স্বাভাবিকভাবেই এই প্রজন্ম " লুকোনর অধিকার " চাইছে। সেটারই পোশাকি রূপ সিসিটিভি বিরোধিতা। লুকোনোর দরকার না থাকলে অধিকার নিয়ে হৈচৈ থাকবে না। 
     
    এই লড়াই মুখোমুখি না লড়ে কোন লাভ নেই। স্মোকিং জোনের দাবি উঠুক যেখানে ছাত্র ছাত্র শিক্ষক শিক্ষিকা সবাই স্মোক করতে পারবেন। অবশ্যই যত্রতত্র নয়। 
     
    বাগানে - ঝিলের ধারে ইন্টিমেসি ফ্রী জোন থাকুক যেখানে ঘনিষ্ঠ হওয়া যাবে।  ইউনির মধ্যে সেক্স এজুকেশন কিয়সক - কন্ডোম ভেন্ডিং মেশিন বসানোর দাবি উঠুক। 
     
    "লুকোনোর অধিকার " চেয়ে লাভ নেই। অনেক হয়েচে এই ধ্যাস্টামো। নতুন প্রজন্ম কে বুকে বল মনে সাহস দিয়ে সিসিটিভির সামনে দাঁড় করিয়ে দিন। তারা ঠিক লড়ে নেবে। 
     
    আগামী দিনে যা করতে হবে ঔ খোলা চোখের সামনে। সে বুড়ো আঙ্গুল দেখান কি মাঝের আঙুল। 
  • একক | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৫:৫০522793
  • সিসিটিভি ঐ নয় ঔ।  অনেক ও ব্যক্তিবাচক। 
  • সিএস  | 103.99.***.*** | ২১ আগস্ট ২০২৩ ১৬:২৭522794
  • ১। আরো কিছু লিংক, একটু পুরোন, সিসিটিভি ও হোস্টেল সংক্রান্ত।

    হোস্টেলে সিসিটিভি বসানোর বিরোধিতা করা যাদবপুর বা কলরবপন্থীদের একচেটিয়া নয়। যে সময়ে ঐসব বিরোধিতা যাদবপুরে হয়েছে, মোটামুটি একই সময়ে এই সব জায়গাতেও হয়েছে।

    ২০১৪ঃ
    https://mumbaimirror.indiatimes.com/mumbai/cover-story/students-protest-as-xaviers-puts-cctv-cameras-in-hostel/articleshow/40436009.cms

    করিডোর ও সিঁড়িতে সিসিটিভি বসানোতে আপত্তি ছিল, কলেজের উদ্দেশ্য ছিল ঐগুলো বসিয়ে এটা নিশ্চিত করা যে রাত ১০টার পরে ছেলেমেয়েরা একে অন্যের ঘরে যাবে না ! ফলে, তারা বাথরুমে দেখা করত, একসাথে সিনেমা দেখতে পারত না, মাঝরাতে জন্মদিন পালন বন্ধ অথবা মিউট করে ভিডিও গেমস খেলত ! তো, তাদের বক্তব্য ছিল -

    “If our marks and attendances are fine, what’s the problem? They expect us to behave like priests or scholars, not students. They should respect the fact that we’re adults who They should respect the fact that we’re adults who can manage our studies".

    তো এই হল ব্যপার, কর্তৃপক্ষ বা পরবর্তী প্রজন্ম নিয়ে শংকিত জনেরা ছেলেপুলেদের বড় মানুষ বলে মনেই করে না, ফলতঃ ক্যামেরা বসিয়ে কন্ট্রোল করা।

    ২০১৫ঃ
    https://www.thehindu.com/news/cities/chennai/iitm-students-unhappy-with-cctv-cameras/article6810122.ece

    আই আই টি মাদ্রাজ, সেখানেও ক্যামেরা নিয়ে আপত্তি। পুরো খবরটা পড়া যাচ্ছে না, মূল ভাবটা বোঝা যাচ্ছে, হোস্টেল - প্রাইভেসি একদিকে, কলেজের সিকিউরিটি রক্ষা অন্যদিকে।

    ২০১৬ঃ
    https://www.change.org/p/chief-warden-manipal-university-jaipur-remove-unnecessary-cctv-cameras-installed-in-muj-s-girl-s-hostels

    জয়পুরের মণিপাল ইউনির মেয়েদের হোস্টেল থেকে ক্যামেরা সরানো নিয়ে পিটিশন। তাদের বক্তব্য হলঃ

    We as students understand the need of installing CCTV cameras at entry and exit points of the hostel to ensure prevention of breaking and entering or unwanted persons entering our hostel. But what we are bringing up is the unnecessary CCTVs installed in the corridors on every floor of the girl's hostels. There are multiple cameras that face directly inside the girl's rooms which is a clear invasion of our privacy. Our hostel rooms are meant to be a safe space and somewhere we can enjoy our privacy.

    ছেলেদের হোস্টেলে নয় র‌্যাগিং হয়, অতএব করিডোরে ক্যামেরা দরকার, মেয়েরা কেন আপত্তি জানায় ? প্রাইভেসি প্রাইভেসি প্রাইভেসি - এর জন্য এত উতলা কেন ? হোস্টেলকে বাড়ি ভাবা কেন ?

    ২০১৭ঃ
    https://www.bombaytimes.com/are-cctv-cameras-in-mumbai-hostels-an-invasion-of-privacy/amp_articleshow/58195372.cms?from=mdr

    বম্বের বিভিন্ন হোস্টেলে থাকা পড়ুয়াদের বক্তব্য আছে, সর্বক্ষণের নজরদারি নিয়ে, পোশাকের ব্যবহার নিয়ে, বাথরুমে যাওয়া নিয়ে।

    “My hostel has a CCTV at the entrance and in each corridor, but frankly, it would be nice to not have them at all. Do you need a CCTV when you are roaming around in your house? Sometimes, we just walk across to the bathrooms, which are away from our rooms, and we may not always be dressed appropriately. With cameras around, we have to be careful.

    IIT বম্বের ছেলেদেরও কথা ছিল করিডোর দিয়ে বাথরুমে যাওয়া নিয়ে ও সে ছবি তোলা নিয়ে। মেয়েদেরও একই বক্তব্য। কিন্তু ছেলেদের আবার লজ্জা কী ?

    “Ours is a girls’ hostel and we roam around in shorts, so I prefer not having a camera inside the living or dining area. We need some amount of privacy, but with CCTVs, it feels like someone is constantly watching us. It’s okay to have cameras installed in front of the gate or the entrance, not inside.”

    “I am 21. I don’t think I need anyone to keep an eye on me,” he says, adding, “I’ve been in this hostel for the last five years and there has been no case of ragging; there are measures to tackle such incidences. If the camera has been installed to monitor ‘forbidden activities’ like drinking and smoking, then the purpose is defeated because no one does that in the hallway. Instead, this will only add to the cost.”

    এই লিংকটায় অন্য মতও আছে, নীচের দিকে। থাকারই কথা।

    তো সর্বত্র, কলেজ কর্তৃপক্ষ এত পড়ুয়াদরদী, এত সিকিউরিটি কনশাস, এত ভাল, তাও কেন এত এত জায়গায় সকলেরই একই রকমের আপত্তি ? করিডোরে ক্যামেরা নিয়ে, ছবি তোলা নিয়ে, নিয়মনীতি নিয়ে ? এসব জায়গায় তো যাদবপুরের ইউনিয়ন নেই, হয়ত ইউনিয়নই নেই অথবা র‌্যাগিং হয়ে ফাটিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেও তো মনে হচ্ছে না। তাহলে কী, অকারণে কেন নজরদারির মধ্যে ঢুকতে হবে, ছেলেমেয়েদের সেটাই আপত্তি ? সে আপত্তি কলেজ বা ট্যক্সপেয়াররা বোঝে ? পাত্তা দেয় ? পাত্তা দেওয়ার যোগ্য মনে করে ?
     


     
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন