বিহার নির্বাচনের একদম শেষ পর্বে এসে লিবারেশনের সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর ভট্টাচার্য, বস্তুত তৃণমূলের সঙ্গে বাম জোটের খোলাখুলি প্রস্তাব দিয়ে ফেললেন।
বামরা বিহারে অসাধারণ ফলাফল করে ফেলেছে এমন নয়, তবে নিঃসন্দেহে কংগ্রেসের চেয়ে ভালো। সবচেয়ে এগিয়ে আছে সিপিআইএমএল লিবারেশন। এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের সাইটের খবর অনুযায়ী তারা ৯ টি আসনে জিতেছে এবং আরও ৩ টিতে এগিয়ে আছে। এই প্রেক্ষিতে দাঁড়িয়ে দীপঙ্কর স্পষ্ট করেই বলে দিলেন, যে, সর্বভারতীয় রাজনীতির প্রেক্ষিতে এবার পশ্চিমবঙ্গের বামদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে, তাদের অগ্রাধিকার কী? তৃণমূলের বিপক্ষে গিয়ে বিজেপির সুবিধে করা? নাকি বিজেপির বিরুদ্ধে গিয়ে তৃণমূলের হাত ধরা? শত্রুর বিচারে কংগ্রেস এবং তৃণমূল, দীপঙ্করের বিচারে বিজেপির কাছাকাছিও আসেনা, এই হল দীপঙ্করের মোদ্দা বক্তব্য। এবং সে কারণেই এদের সঙ্গে বামদের জোট করা উচিত।
পশ্চিমবঙ্গে বিগত লোকসভা নির্বাচনে বামদের বিপর্যয় হয়েছে। বাম ঘরানার ভোটের একটি বৃহদংশ বিজেপিতে চলে গেছে, ভোটের হিসেবে। সে নিয়ে প্রচুর সমালোচনাও হয়েছে। কিন্তু বাম নেতৃত্ব এবং কর্মীবৃন্দ সজোরে এর জবাবে বলে এসেছেন, যে, ওভাবে বাম-ভোট বলে কিছু হয়না। ভোট কারো সম্পত্তি নয়। উল্টোদিকে, যাঁরা সমালোচনা করেছেন, তাঁদের বক্তব্য হল, ভোটের রাজনীতিতে "বিশ্বস্ত ভোট" বা "ভোট ব্যাঙ্ক" বলে একটি বস্তু অবশ্যই হয়। বামদের সেই বিশ্বস্ত ভোটই গেছে বিজেপির দিকে। তার কারণ, বাম পার্টির নেতারা প্রচারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যতটা সরব, তার সামান্য ভগ্নাংশও বিজেপির বিরুদ্ধে নন। তাঁদের মূল আক্রমণ সর্বদা তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। এই লাইন মূলত আত্মঘাতী। এই লাইন কর্মী এবং সমর্থকদের "শত্রুর শত্রু আমার মিত্র" লাইনে ভাবতে উৎসাহ জুগিয়েছে। একদা সমর্থকরা বিজেপিকেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে অধিক কার্যকর ভেবে ভোট দিয়েছেন। এবং তার ফলেই এই বিপর্যয়।
এর জবাবে সিপিআইএম কর্মী সমর্থকরা, অন্তত আধা প্রকাশ্যে যেটা বলছেন, সেটাও এখানে প্রণিধানযোগ্য। পশ্চিমবঙ্গের ভোটের হিসেব বেশ জটিল। সিপিআইএম এর যে সাধারণ ভিত্তি, তার মূল সুরই হল তৃণমূল বিরোধিতা। তৃণমূলের প্রতি নরম এরকম কোনো সিপিআইএম সমর্থক খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ঠিক এই পরিস্থিতিতে যদি সমর্থকদের চিন্তার উল্টোদিকে গিয়ে পার্টির নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে হাত মেলান, তাহলে গণভিত্তি যেটুকু আছে, সেটুকুও পার্টিকে ছেড়ে চলে যাবে। গণভিত্তি খুঁজে নেবে তৃণমূলের বিরোধী শক্তিকে, ভোট দেবে তাকেই। অর্থাৎ শক্তিশালী হবে বিজেপিই। বিজেপির পাল থেকে হাওয়া কাড়তেই তাই বামদের তৃণমূল বিরোধিতা চালিয়ে যেতে হবে।
সমস্যা হল, এতদিন এই যুক্তিতে চলেও কিন্তু সিপিআইএম তার গণভিত্তি অটুট তো রাখতে পারেইনি। বরং তাতে বিপুল ধ্বস নেমেছে। তবুও এই লাইনটিই অনুসরণ করে যাওয়া হচ্ছে, এবং এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে তার খুব বেশি বিরোধিতা আসেনি। সিপিআইম এর যেটুকু গণভিত্তি এখনও আছে, তারা বিজেপির সর্বাত্মক বিরোধিতা করলে বাম ছেড়ে ডান দিকে চলে যাঅবে, এ আশঙ্কার আদৌ কি কোনো ভিত্তি আছে? নাকি আশু বিপদকে মাথায় রেখে সর্বাত্মক বিজেপি বিরোধিতা করলেই বামদের যেটুকু ভিত্তি আছে তা আরও শক্তপোক্ত হবে? এ নিয়ে অবশ্যই বিতর্ক হওয়া দরকার। বিহার নির্বাচনের পর বিষয়টিকে প্রকাশ্যে আনলেন দীপঙ্কর। কয়েক ঘন্টার মধ্যেই জানা যাবে বিহারের অন্তিম ফলাফল। তারপর সমস্ত তাসই এসে যাবে টেবিলে। সেসব টেবিলের নিচে লুকিয়ে না ফেলে সমস্ত সম্ভাবনা, সমস্ত বিচার এবং সামগ্রিক বিতর্ক অবশ্যই প্রয়োজন।
যদি এই চিহ্নগুলিকেই মাপকাঠি ধরে নিই, তো এর কটা তৃণমূলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য আর কটা বিজেপির ক্ষেত্রে?
বিজেপির সবকটাই। তিনিওদের ক্ষেত্রে যতগুলো সম্ভব প্রত্যেকটা।
আমি পুরো ফ্যাসিস্ট আর পৌনে ফ্যাসিস্টের মধ্যে পার্থক্য দেখতে রাজী নই। সুযোগ দিলে ঐ পৌনেটাও পুরো হবে। যেটা বিজেপির ক্ষেত্রে হয়েছে। বাজপেয়ী সরকারের নীতি পুরো হয়ে মোদি সরকার হয়েছে।
ফ্রডুলেন্ট ইলেকশন? বিজেপির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য?
তৃণদের ক্ষেত্রে কী কী প্রযোজ্য সেটাই তো জানতে চাইলাম। কারণ বেশিরভাগই তো সম্ভবই নয়।
দেখুন, পোটেনশিয়াল তো সবারই আছে। এই যে চিনের কমিউনিস্ট পার্টি, এ তো ফ্যাসিস্তের বাবা। কিন্তু পোটেনশিয়ালের সঙ্গে সম্ভাবনার কথাও তো ভাবত হবে। মমতা কেন্দ্রীয় সরকারের মাথায় বসে ফ্যাসিজম কায়েম করে ফেলল, এটা ঠিক ভাবা যাচ্ছেনা। বিমানবাবুরা ভাবলে ভাবতেই পারেন। শিল্পীর স্বাধীনতা। :-)
ফ্রডুলেন্ট ইলেকশান মানে কি শুধুমাত্র দিদির মতন বুথ ক্যাপচার করে ৭০০র মধ্যে ৬৯৭টা ভোট নিজের দলকে দেওয়া বোঝায়? ইলেকশানের ক্যাম্পেইনে ভয় ছড়ানো, বিভিন্ন রকমের মিথ্যা প্রোপাগান্ডাও তাই।
দিদির হাতে মিলিটারি নেই। এইটুকুই। নইলে পাহাড়ে ঝামেলার সময় ডোকালামের কথাও তুলেছে। আর নিজে হাতে কর্পোরেটদের তাড়িয়েছে, এক চীটফান্ডগুলো ছাড়া। এখন বিশ্বরঙ্গ করেও সেসব আর ফেরত আনতে paarchhenaa.
ন্যাশানালিজম?
আইডেন্টিফিকেশন অফ এনিমি / স্কেপগোটস অ্যাজ ইউনিফাইং কজ?
সুপ্রিমেসি অফ মিলিটারি?
কনট্রোলড মাস মিডিয়া?
অবসেশন উইথ ন্যাশানাল সিকিউরিটি?
রিলিজিয়ন অ্যান্ড গভর্নমেন্ট ইজ ইনটেরটুইনড?
এগুলো সব তৃণমূলের চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য? ওকে।
ন্যাশানালিজম? দিদি তো একসময় খুব বাঙালী বাঙালী করেছিলেন। নিজেকে বাঙালীদের মেসায়া করে তুলেছিলেন। কাজে দেয়নি।
আইডেন্টিফিকেশন অফ এনিমি / স্কেপগোটস অ্যাজ ইউনিফাইং কজ? সিপিএমের সাথে চা খাবেনা, একসঙ্গে বসবে না। গ্যানেশ্বরীর সময় সিপিএমের দোষ দিয়েছিল। সবই নাকি শিপিএমের দোষ, এইতো ছিল উনার ৪০ বছরের রাজনীতি।
কনট্রোলড মাস মিডিয়া?
এইটা বলতে হবে? নিজেদের একাধিক টিভি চ্যানেল অবধি ছিল। নেহাত বিজেপির সাথে টাকার জোড়ে পারছেনা। এখনও এবিপি আনন্দকে বলে দেয় কাকে তাদের প্যানেলে ডাকা যাবেনা।
রিলিজিয়ন অ্যান্ড গভর্নমেন্ট ইজ ইনটেরটুইনড?
সরকার থেকে এক ওকে ভাতা দেওয়া হয়। পুজোর চাঁদা দেওয়া হয়েছে সরকারের তহবিল থেকে। মমতা ব্যনার্জির সেকুলারিজম মানে দুই সম্প্রদায়কেই মাথায় তোলো। অনেকটা রাজীবের স্টাইলে, যার ফলাফল বাবরি মসজিদ ধ্বংস।
যাক বাকীগুলো যে মেনে নিয়েছেন, সেটাও অনেক। বালি একটু কমলো।
বাকিগুলো আর টাইপ করতে পারিনি। :-) এমনকি ওর সব কটা বিজেপি প্রসঙ্গেও খাটেনা।
এই ব্যাখ্যাগুলো নিয়ে তর্ক করারও মানে নেই।খুবই আরবিট লেখা হচ্ছে। যেমন ধরুন মাস মিডিয়া। সিপিএমেরও একটা চ্যানেল একটা কাগজ ছিল। তাতে কি তারা ফ্যাসিস্ট হয়ে গিয়েছিল? মাস মিডিয়ার উপর টোটাল কন্ট্রোল অন্য জিনিস। বিজেপি যার ৭৫% করতে পেরেছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর জন্য পুরোটা পারছেনা। কেন্দ্র এবং রাজ্যে একসঙ্গে ক্ষমতায় এলে বাকিটা করে ফেলবে ভাবছে।
এই আরকি।
দিদিকে সাট্টিফিকেট দিতে গিয়ে বিজেপিকেও সাট্টিফিকেট দিয়ে দিলেন যে।
বিজেপির ক্ষেত্রে তো সবকটাই খাটে। মাস মিডিয়ার উপর কন্ট্রোল মানে ১০০% পকেটে থাকতেই হবে, এরকম ইন্টারপ্রিটেশান হলে সত্যিই কিছু বলার নেই। হ্যাঁ আজকে দিদির তেজ অনেকটা কমেছে। কিন্তু ২০১১ থেকে ২০১৬ ভুলিনি।
মমতা র আগে পব তে এরকম রিলিজিয়াস পোলারিসসন ছিল ? না ছিলনা ? সিম্পল হ্যা বা না তে উত্তর দিলেই হবে।
ইমাম ভাতা থেকে শুরু করে কয়েকটা জায়গায় নাশকতামূলক কাজে চোখ বুজে থাকা, শাহী ইমাম বরকতির মতো আন্টি সোশ্যাল এলিমেন্টস দের মাথায় তুলে রাখা , পরে আবার বিপদ বুঝে ডাম্প করা উল্টোদিকে ক্লাব দখলে রাখতে পুজো য় ঢালাও অনুদান তিনোদের ন্যাতাদের - এতো সারজল দিয়ে জমি তৈরী করে এখন হটাৎ করে চোখে পড়ছে বিজেপির বিপদ ?
We need P T
We need P T
১। এখানে সার্টিফিকেট নয়, কংক্রিট অ্যানালিসিসের কথা হচ্ছে। বিজেপির পক্ষেও দুম করে ফ্যাসিজম কায়েম করে ফেলা সম্ভব না। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো। বিজেপি তাই প্ল্যান করে এগোচ্ছে। কেন্দ্রে তো আছেই, এর সঙ্গে বেশিরভাগ রাজ্যকে পকেটে পুরে ফেললে অনেকটাই কার্যসমাধা হবে। এর সঙ্গে একটি রাজ্যের শাসকের অগণতান্ত্রিক আচরণের কীকরে তুলনা হয়, আমি জানিনা। তুলনাটাই অবাস্তব।
২। সিপিএম আমলে কিঞ্চিৎ সাম্প্রদায়িক উত্থানের সহায়ক কাজকর্ম হয়েছে কিনা? হয়েছে। তসলিমা নাসরিনের কলকাতা ছাড়া ঘটেছে। তার আগে রাজীব হটানোর জন্য যৌথ প্রোগ্রাম হয়েছে। মমতার আমলেও বেশ কিছু হয়েছে। নাশকতা এবং চোখ বুজে থাকাটা বিজেপি প্রোপাগান্ডা, তার ফাঁদে না পড়াই ভাল। তবে অন্য নানা জিনিস হয়েছে। যেমন মমতার বিজেপির সঙ্গে জোট। বা সাম্প্রতিক কালের গণেশ চতুর্থী। দুই সম্প্রদায়কে হাল্কা করে তোল্লাই দেওয়া কংগ্রেসি সংস্কৃতি। কংগ্রেস এসব অনেক বেশি করেছে। শাহবানু মামলা থেকে বাবরি মসজিদের দরজা খুলে দেওয়া পর্যন্ত।
তো, কংগ্রেস অসাম্প্রদায়িক হয়ে গেল কীকরে, আর মমতা = বিজেপি -- এই জায়গাটা বোঝা যাচ্ছেনা। সহজ করে বুঝিয়ে দিলেই হবে। বাকি মমতার নিন্দে নিয়ে কোনো তর্ক নেই।
বাবরি মসজিদ দ্বংসের পর বিজেপির জোটসঙ্গী হয়েছে কোন দল? এইটার উত্তর জানলে বাকীটাও বোঝা যাবে।
ফ্যাসিস্ট কে? যে ফ্যাসিজম আনতে চাইছে সে? নাকি যে ফ্যাসিজম এনে ফেলেছে, শুধুমাত্র সে? আমি প্রথমটায় বিশ্বাস করি, তাই বিজেপি মোদি অমিত শাহকে ফ্যাসিস্ট মনে করি। প্রসঙ্গত আজকে মোদি শাহ যা করছে, তার অনকে কিছুরই অসফল কিন্তু ড্রাই রান হয়ে গেছিলো বাজপেয়ির আমলে।
মমতা ব্যানার্জি একজন অথোরোটারিয়ান। নিজেকে মহাপুরুষদের সাথে একই লাইনে বসিয়েছেন। ধর্মকে রাজনীতির স্বার্থে ব্যবহার করছেন। রাজ্যের বামশক্তিকে চুরমার করে দিতে চেয়েছেন। তার জন্য অন্য দক্ষিনপন্থী সাম্প্রদায়িক দলের সাহায্য নিয়েছেন। রাজ্যে তাদের জন্য জায়্গা করে দিয়েছেন। দুর্নীতি আর ইলেকশান ফ্রডের কথা ছেড়েই দিলাম। মিথ্যা কথা বলেছেন এবং ক্রমাগত মিথ্যা প্রচার করেছেন। দুইবছর আগে অবধিও মিডিয়া আর পুলিশ তার হাতের পুতুল ছিল। এমনকি ২০১৬ সালের ইলেকশানে এও বলেছেন যে সবকটা সীটে তিনি নিজেই প্রার্থী। এইরকম একজনকে ফ্যাসিস্ট না বললে কাকে বলবো জানিনা। তার হাতে মিলিটারি নেই, এই কারণে স্বস্তি পেতে চাওয়ার বিপদ আছে।
মমতা লালু মায়াবতী - এরা সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত অটোক্রেটিক পাওয়ারমংগার পরিবারতন্ত্রে বিশ্বাসী ধান্দাবাজ। কিন্তু সবাই ১) আঞ্চলিক ২) বিগ কর্পোরেটের কৃপাধন্য নয় ৩) সরাসরি উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং সাম্প্রদায়িক নয়। এদের কারুর সাথে বিজেপির তুলনা করা বালখিল্য বললেও কম বলা হয়। তৃণমূল ইত্যাদির পক্ষে আদৌ বিজেপির সমতুল্য বিপজ্জনক শক্তি হওয়া সম্ভবই নয়।
মমতার পক্ষে মিডিয়ার ৭৫% কে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবই নয়। এগুলো একেবারে বোকাবাকা এবং ফ্যাকচুয়ালি ইনকারেক্ট কথা হচ্ছে। সর্বভারতীয় চ্যানেল যেমন জি নিউজ , রিপাবলিক , এনডিটিভিকে মমতা নিয়ন্ত্রণ করবে? ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণ করবে? হোয়াটসঅ্যাপকে নিয়ন্ত্রণ করবে! ওগুলো দিয়েই তো মগজধোলাই হচ্ছে। বরং নিজে ওগুলো দিয়ে প্রক্ষালিত হয়ে আছো কিনা নিজেকে প্রশ্ন করে দেখতে পারো। নিওলিবারাল শিল্পায়ন নিয়ে যা চোখের জল খসাও কীসে যে 'বাম' মনোভাবাপন্ন সেটাই বোঝা দুষ্কর হয়ে যায় মাঝে মাঝে।
কংগ্রেসকে অসাম্প্রদায়িক দল কে কখন বললো আবার ? তফাত তো শুধু মাত্রায়। একদল পুরোপুরি ডাইরেক্ট কম্যুনাল আর একদল হালকা করে যেখনে ভোটার দরকার । তো মমব্যান তো সেই ডাইরেক্ট কম্যুনাল দলের মন্ত্রী হয়ে সুখী ছিলেন দিব্যি অনেক বছর, কারণ বামেদের সরানো তখন প্রায়োরিটি ছিল।
এখন পরতে সিচুয়েশন পাল্টে গেছে , তেনার নিজের গদি নড়ে যাওয়ার চান্স আছে , তাই হটাৎ করে তিনি সেকুলার সাজছেন। একবার কোনোমতে মোদী শাহকে যদি ম্যানেজ করে ফেলা যায় যে পব টা ওনারা দিদিকে ছেড়ে দেবেন ,তাহলেই আবার মিলমিশ হয়ে যাবে। কিন্তু বিজেপি ও ছাড়তে রাজি নয় , সবকটা স্টেটই ওদের চাই সেখানেই সমস্যা.
রিলিজিওনকে স্টেটের সাথে পুরোপুরি 100-% আলাদা রাখবে এমন কোনো দল তো দূরবীন দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা.. তার মধ্যেও বামেরা অন্তত অনেক বছর সেটাকে ধামা চাপা দিয়ে রেখেছিল , মাথায় উঠতে দেয়নি তসলিমার মতো দুয়েকটা ছোট ঘটনা ছেড়ে দিলে .
আরো যেটা বোঝা যাচ্ছেনা জোটের দায় কি একা বামেদের ? দিদি তার দামাল ভাইদের দিয়ে গুড় বাতাসা খাইয়ে ২৯৪ টা সিটের ই দখল নিতে চাইবেন। আর ওদিকে বিজেপিকে ঠেকানোর স্বার্থে বামেরা নিজেদের বলি দেবে ? এনিওয়ে ভোট তো মাত্তর ৭-% , কি এসে যায় ?
<"ওগুলো দিয়েই তো মগজধোলাই হচ্ছে। বরং নিজে ওগুলো দিয়ে প্রক্ষালিত হয়ে আছো কিনা নিজেকে প্রশ্ন করে দেখতে পারো। নিওলিবারাল শিল্পায়ন নিয়ে যা চোখের জল খসাও কীসে যে 'বাম' মনোভাবাপন্ন সেটাই বোঝা দুষ্কর হয়ে যায় মাঝে মাঝে।" >
পিনাকিদা যদি এই কথাগুলো আমাকে বলে থাকেন, তাহলে জানাবেন। উত্তর পেয়ে যাবেন।
হ্যাঁ বললাম। ঘুরেফিরে সিঙ্গুর প্রসঙ্গ তোলো। কোন মিডিয়া থেকে পড়ে বা দেখে সিঙ্গুর প্রশ্নে অবস্থান তৈরী করেছো জানতে ইচ্ছে করে। সেই মিডিয়ার মালিক কারা একটু লিখো। জনতার স্বার্থে এগুলো ডকুমেন্টেড থাকা ভাল।
আমার ফেসবুকে কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। হোয়াটসাপে আছে। কিন্তু সেখানে কোনও গ্রুপে নেই। অতএব এই অভিযোগ একেবারেই ফালতু। হয়তো নিজেরই প্রোজেকশান।
এখানে আপনি আর ঈশানদা তো দিদিকে ডিফেন্ড করছেন। সেটা বামমনোভাবাপন্ন কিনা জানাবেন। আর ব্যক্তিগত যখন হলেনই তখন বলেই দিইঃ নিজে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করবো, তার ষোলোআনা ফায়্দা লুটবো আর নিজের রাজ্যে যাতে সেই চাকরিটাই না যায়, সেটার ব্যবস্থা করবো - এই হিপ্রোক্রিসিটা করতে পারছিনা দাদা। কারণ আপনার মত অনুযায়ী তো শিল্পায়ন চাওয়া লোকজন বাম মনোভাবাপন্ন হতেই পারেনা। এখানে কে কে প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করে হাত তুলুক, ক্যাপিটাল মার্কেট উঠলে কার কার লাভ হয় হাত তুলুক, তারপর নাহয় বাম মনোভাবাপন্নদের হিসাব নেওয়া যাবে।
কোনও মিডিয়া পড়তে হয়্না। কোনটা দেশের জন্য ভালো সেইটুকু বোঝার ক্ষমতা নিজেরই আছে।
সিঙ্গুরের সময় তো ফেসবুক ছিল না। সিঙ্গুর নিয়ে অবস্থান তৈরী করেছো কোন মিডিয়া থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করে? হিপোক্রিসি ইত্যাদি তো পরের কথা। আমেরিকায় বসে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে কথা বলাও তাহলে হিপোক্রেসি ধরতে হয়। ওসব বাদ্দাও। তথ্যে এসো। কোন মিডিয়া দেখো পশ্চিমবাংলা আর ভারতের খবর পাওয়ার জন্য?
ঘুরে ফিরে সিঙ্গুর তুলি কারণ ঐটাকে দেখিয়েই ২০১১ সালে পালাবদল করা হয়েছিল। এই সাইটেও তর্ক বিতর্ক কম হয়নি। আর এটুকু বুঝি যে ইলেকশানস হ্যাভ কনসিকুয়েন্স। যারা ভেবেছিল যে দরকার হলেই রুটির দিকটা পাল্টে দেবে, তাদেরকে দেখে এখন করুনা হয়। কারণ রুটি পাল্টাতে গিয়ে অন্যপিঠে মোদিকে দেখতে পাচ্ছে। কারণ সেই দূরদর্শীতা তাদের সেইসময়ও ছিলনা, এখনও নেই।
আমার প্রশ্নটা এড়িয়ে যেও না। সিঙ্গুরে তো তুমি থাকো না। তাহলে সিঙ্গুর নিয়ে জেনেছো কোন মিডিয়া মারফৎ?
"আমেরিকায় বসে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ নিয়ে কথা বলাও তাহলে হিপোক্রেসি ধরতে হয়।"
হ্যাঁ, অবশ্যই। সেইকারণেই তো আমি অন্তত এই নিয়ে বিশেষ মুখ খুলিনা। একটু খেয়াল করে দেখবেন।
"সিঙ্গুরে তো তুমি থাকো না। তাহলে সিঙ্গুর নিয়ে জেনেছো কোন মিডিয়া মারফৎ?"
যদিও প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য নই আমি তবু আপনি ঠিক কোন মিডিয়ার দিকে ইঙ্গিত করছেন সেটা জানালে বুঝতে সুবিধা হয়। আর মিডিয়ার প্রয়োজনটাই বা কি? নিজের চোখ কান খোলা রাখলে বোঝা যায় না? র ডেটা গুলো দেখে কিছু বোঝা যায় না? সিরিয়াসলি এতটা ডিপেন্ডেন্ট আপনারা মিডিয়ার উপর? nijeder এক্সপিরিয়েন্স থেকেও to anek kichhu bojhaa Jaay.