জমা করুন।
ছাগোল?
ফেসবুকে পেলাম। বেশ ভালো লেখা।
আমার মনে হয় তৃণমূল সমর্থক, নেতা, কর্মীদের কাছে একটা ভুল বার্তা পৌঁছাচ্ছে। একটু পরিষ্কার করে দেওয়া দরকার। না ভোটের এই বিপুল পার্সেন্টেজ আপনাদের ভালোবেসে না। ২০০+ সিটে এগিয়ে থাকা আপনাদের উন্নয়নে অভিভূত হয়ে না। 'বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়', ক্যাম্পেনিংয়ের জন্য নয়। কন্যাশ্রী বা রূপশ্রী বা সবুজসাথীর জন্যও নয়। ৬৫ উর্ধ্ব ওই বয়স্ক মহিলাটিকে দেখেও না।
এবারে বাংলার বেশিরভাগ মানুষই আপনাদের ভোট দিয়েছেন বাইরে থেকে আসা বর্গীদের তাড়াতে। ওরা আপনাদের জেতাতে ভোট দেননি, দিয়েছে দাঙ্গাবাজ সাম্প্রদায়িক দলটাকে হারাতে। পার্থক্য বোঝেন? ওরা উত্তরপ্রদেশ দেখেছে, ওরা কৃষকদের রাস্তায় শুয়ে মরতে দেখেছে, ওরা পেট্রোপণ্যের দাম দেখেছে, ওরা দেশের অর্থনীতি দেখেছে, বেকারত্বের রেকর্ড দেখেছে এবং আরও কত কী! তাই ওরা নিজের রাজ্যটাকে ভালোবেসে ওদেরকে ভোট দেয়নি।
আমি এই থিওরিটায় সাবস্ক্রাইব করিনা। দিস ইজ নট আ ম্যান্ডেট এগেনস্ট বিজেপি। তাহলে বিজেপি 25%+ সিট আর 30%+ ভোট পেতনা। যদি রিজেকশনের কথা বলতে হয়, তাহলে সেটা সিপিএমের বিরুদ্ধে। দশ বছরের মধ্যে হিউজ মেজরিটি থেকে 0 সিট আর স্ট্যাটিস্টিকাল নয়েজের মত ভোট পার্সেন্টেজ।
এটা তৃণমূল মানে মমতার পলিটিকাল উইন। ডেটা তাই বলে। তার কারণ কী, সে নিয়ে মতান্তর থাকবে। আমি পার্সোনালি ওনার পাবলিক পালস বোঝা ক্ষমতা আর নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর মতন স্ট্র্যাটেজিক মুভকে সাম্প্রতিককালের মধ্যে দেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ পলিটিক্স মনে করি।
ওপরে ওই "ছাগোল" কোত্থেকে এল জানিনা। কাট-পেস্ট এরর মনে হয়।
ন্যাড়াদার সাথে একমত না হলেও মমতার পাবলিক পালস বোঝার ক্ষমতা আর নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর মতন গাটস দেখে খুব ইম্প্রেসড। সোনিয়া গান্ধীও দুটো আসনে দাঁড়িয়েছিলেন। মমতা একমাত্র নন্দীগ্রাম। অধিকারীদের গড়ে একা। হারি হারব লড়ে যাব। এই মানসিকতাকে কুর্নিশ না করে উপায় আছে?
ঐ আসনে জিতেও শুভেন্দুর হাতে রইল লণ্ঠন। হেরেও জিতলেন মমতা।
আমি মনে করি ভোটটা এখানে মমতা ভার্সেস মোদী দাঁড়িয়েছিল। যেটা দু পক্ষই চেয়েছে। সেখানে থার্ড পার্টির স্পেস ছিলই না। বিজেপি-রও একটা বাঙালি মুখ্যমন্ত্রী মুখ তুলে ধরার মুরোদ হয়নি এতো কলকাঠি নেড়েও।
ঠিক যে কারণে লোকসভা ভোটে এডভ্যান্টেজ মোদী হয়ে যায় কোনো অল্টারনেট প্রধানমন্ত্রী মুখ না থাকায়। সেটাই এখানে ব্যুমেরাং হয়েছে। একই ভাবে কেরালায় বাম , তামিলনাড়ুতে স্টালিন জিতে গেছে। মেট্রোম্যান শ্ৰীধৰণ কে কেরালায় মুখ্যমন্ত্রী মুখ বানিয়েও বিজেপি সুবিধা করতে পারেনি। স্টেট্ লেভেলে যেখানেই অল্টারনেট এবং পপুলার অপসিশন মুখ্যমন্ত্রী আছে আর স্টেট্ লেভেলে বিজেপির একসেপটাবল নেতা নেই, সেখানেই বিজেপি মোদী ভার্সেস "X" লড়াই করতে গিয়ে ছড়িয়েছে। যেমন ২০১৯-এ দিল্লিতে কেজরিওয়াল এর জেতা।
তবে মমতাকে সত্যি স্যালুট এবারে। তৃণমূলে একটাও সেকেন্ড রাং লিডার ছাড়া (ভাইপোকে ধরছিই না। পিসি না থাকলে কালকে ওকে কেও পুছবেও না এখনো অবধি) মোদী - শাহ র ম্যাসিভ মানি পাওয়ার আর সরকারি মেশিনারি কে একা হাতে বাঘের মতো মোকাবিলা করা আর এভাবে পাঁচ গোলে হারানো জাস্ট উনবিলিভেবল। শুভেন্দুকে ওর পাড়ায় এভাবে টক্কর নেওয়াটা মেজর গেম চেঞ্জার।
ওনার রাজনীতির সাথে দ্বিমত আছে আমার। থাকবেও। কিন্তু এই লড়াই টাকে কুর্নিশ।
কতদিন পর টইমস অব ইন্ডিয়ার ফার্স্ট পেজে একজন বঙ্গললনার মুখ - সিপিয়েম হেরেছে, অমি দুখী সাপোর্টার ছিলাম, আছি, থাকবো - কিন্তু এইটা দেখে গর্ব হোলো -
বাংলার মানুষের পালস - মমব্যানএর থেকে ভালো কেউ বোঝে না - এই কথাটা না মেনে তো উপায় নেই!
বামেদের ফেবুবীর, টুইটার জয়ীরা প্লীজ মানুষকে ছাগল বলাটা বন্ধ করুন - উন্নাসিকতা আর আইসোলেশন পার্টিটাকে এখানে নিয়ে এসেছে - পার্টিটাকে তো আপনারাও ভালো বাসেন, আর কতো খারাপ হবে বাংলার বামেদের অবস্থা!!
আরেকটা অবসার্ভেশন -
মমতা নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অ্যান্ড কোং কে ঐ নন্দীগ্রামের বাইরেই বেরোতে দেননি - ঐ একটা আসন ওদের প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে রয়ে গেছে - তার ফলস্বরূপ মেদিনীপুরে বিজেপির ভরাডুবি! এই গাটস আর রাজনৈতিক বোধকে সম্মান জানাতেই হয় -
অমিত ও দে'র বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি সহমত।
" আমি পার্সোনালি ওনার পাবলিক পালস বোঝা ক্ষমতা আর নন্দীগ্রামে দাঁড়ানোর মতন স্ট্র্যাটেজিক মুভকে সাম্প্রতিককালের মধ্যে দেখা অন্যতম শ্রেষ্ঠ পলিটিক্স মনে করি।"
এটা আমারও মনে হয়, অন্তত পাবলিক তাই মনে করছে। কাল থেকে আমার হোয়া গ্রুপগুলোতে তামিলরা মেসেজ করেই চলেছে, যে দিদি নিজের কেন্দ্র ছেড়ে নন্দীগ্রামে গিয়ে দাঁড়িয়ে যে সাহস দেখিয়েছে, কোন কিছুর সাথে তার তুলনা হয়না। এই ২০২১ এর ফল পুরো ভারতের গেম চেঞ্জার হয়ে উঠলেও আমি অবাক হবো না। রাজনীতিতে এরকম একেকটা সময় আসে যার এফেক্ট সুদূরপ্রসারী হয়।
এটা থাক এখানেও। বাঙালী ছাগলের তিন নম্বর বাচ্চা হয়ে নেচে বেড়াচ্ছে কিনা সেটা কিছুদিন বাদে বোঝা যাবে।
"Bhattacharya, a leading academic, maintains Banerjee retains "close relations with the RSS even today while indulging in slanging matches with the BJP leadership of Prime Minister Narendra Modi and Home Minister Amit Shah.....
...Banerjee's attempt to wipe out the Left opposition from Bengal has helped the RSS exponentially, she added. "One must not forget that her (Banerjee's) rabid attempts to eliminate the Left opposition in the state both physically and politically and her demolition of democratic institutions has helped exponential growth of RSS in the state during her regime," she said.
https://economictimes.indiatimes.com/news/elections/assembly-elections/west-bengal/cpim-leader-who-defeated-mamata-banerjee-32-years-back-blames-tmc-supremo-for-rise-of-rss-in-bengal/articleshow/82231097.cms?utm_source=contentofinterest&utm_medium=text&utm_campaign=cppst"
তৃণমূল কোনো মহৎ, আদর্শবাদী দল নয়। ভাইপো থেকে পাড়ার নেতা সবাই চোর! পশ্চিমবঙ্গের মানুষ খুব ভালোভাবেই সেকথা জানে! স্রেফ বিজেপিকে ঠেকাতে মানুষ তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে! আর যারা এই পিসি-ভাইপো পার্টির কাছে ল্যাজেগোবরে একসা হয়, তারা যে কতো অপদার্থ তা বুঝতে কোনো কষ্ট হয়না!
নিজে কিছু করবনা, খালি অন্যকে গালাগালি দিয়ে বেড়াবো! বিরোধী মত হলেই তৃণমূলের লোক! কিছুদিন আগেই এইশ্রেণীর মাতব্বররা শঙ্খ ঘোষকে "চালচোরেদের দালাল" বলেছিল!
সামান্য আত্মসমালোচনা নেই, খালি সব অন্যের দোষ!
যে কাজ করবে, মানুষ তাকে ভোট দেবে। বিজয়ন, কেজরিওয়াল মানুষের জন্য কাজ করেছেন, মানুষ তাঁদের বিপুল ভোটে জিতিয়েছে। একই নির্বাচনে কেরালা আর বাংলায় সম্পূর্ণ ভিন্ন ফল! সেখান থেকে কোনো শিক্ষা না নিয়ে গলাবাজি!
কিন্তু পিটিদা ক নম্বর চুতিয়ার বাচ্চা?
মালিনি ভট্টাচার্যের বক্তব্যের সঙ্গে RSS-এর প্রতিনিধির কথা মিলে যাচ্ছেঃ
"In the words of Abhijit Das, a swayamsevak who contested the 2009 and 2014 Lok Sabha elections and served as the BJP’s South 24-Parganas district unit president for several years until being sent to the state committee last year, “The Left cadres, having worked under favourable conditions for the most part of the past 40 years, failed to withstand the TMC’s political terror. Swayamsevaks survived battling the Left and fought it out on the ground with the TMC.”"
dc
হাটের মাঝে দাঁড়িয়ে কেন নিজেকে অপমান করছেন?
ডিসি,
অমুক তমুকের বাচ্চা বলাটা নোংরা প্র্যাকটিস। এটা গালি কারণ এই শুয়োরের বাচ্চা চুতিয়ার বাচ্চা ইত্যাদি উদ্দিষ্ট ব্যক্তির মায়ের যৌনাচার, যৌন অভ্যাসকে ঈঙ্গিত দেয়। আর সেটা সেক্সিস্ট এবং খানিকটা মিসোজিনিস্ট।
এটা না করার অনুরোধ থাকল। রাখবেন কিনা আপনার ব্যপার, কিন্তু আমার চোখে পড়লে প্রতিবাদ করে যাব।
দ দি, নিশ্চয়ই রাখবো :-)
পিটিদা, আপনার মতো নির্লজ্জ লোক থাকতে আর কেউ কি অপমানিত হতে পারে?
ভারতীয় রাজনীতিতে এর চেয়ে বড়ো সত্য আর হয়না! প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল গরীবদের শোষণ করতে থাকে। তাদের জীবন একই থাকে, খালি রাজনৈতিক নেতারা ফুলেফেঁপে ওঠে! আর দুকানকাটা নির্লজ্জ অন্যকে গালাগালি করতে থাকে!
সামান্য লজ্জাবোধ থাকলে মানুষ আত্মসমালোচনা করে, অন্যকে গালাগালি করেনা!
"এইশ্রেণীর মাতব্বররা শঙ্খ ঘোষকে "চালচোরেদের দালাল" বলেছিল! "
কোন লিং পাওয়া যাবে?
মৃত্যুর আগে শেষ গালাগাল তো তিনি কেষ্টর কাছে খেয়েছিলেন। আর দিদি চুপ করে সেই গালাগালকে সমর্থন ও জানিয়েছেন।
নাঃ পিটিদার সামান্য লজ্জাবোধ্টুকুও নেই। এক্কেরে দুকান কাটা :d
ভোটের ফল, ২০১৯ সালে কংগ্রেস+সিপিএমের ভোট চলে গেছিল বিজেপিতে, এবারেও যাবে জানতাম, প্রায় সব চলে যাবে বুঝতে পারি নি।
দিনের পর দিন কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই শঙ্খ ঘোষ, মহাশ্বেতা দেবী, সুনন্দ সান্যাল, কৌশিক সেন- এঁদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে! মমতার সভায় সুপ্রিয়া দেবীকে সম্বর্ধনা দেবার পর তাঁকে নিয়ে কুৎসিত মন্তব্য করা হয়েছে! সুনন্দ সান্যাল পদত্যাগ করলে বলা হয় গলাধাক্কা দেওয়া হয়েছে! আর এখন সেই মনুষ্যেতর প্রাণী প্রমাণ দাবি করছে!
নির্লজ্জের দাবি ছিল অম্বিকেশ মহাপাত্রকে গ্রেপ্তারের সময় কেউ নাকি প্রতিবাদ করেনি! প্রমাণ দেখানো হলে বলা হল এগুলো নাকি কোনো প্রতিবাদ নয়!
নন্দীগ্রামে গুলিচালনার দিন জনৈক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। তিনি নিজের প্রাণ বিপন্ন করে সেদিনের নানা ঘটনা পাঠকের সামনে তুলে ধরেছেন। কোনো তথ্যসূত্র ছাড়াই তাঁকে মিথ্যাবাদী প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে! এমনকি সবাই তৃণমূলের টাকা খেয়েছে, এই জাতীয় মন্তব্য করা হয়েছে!
অবশ্য এরপরও কোনো মনুষ্যেতর প্রাণী নির্লজ্জের মতো মাতব্বরি মারতে ছুটে আসবে!
এগুলো কী হচ্ছে? সিপিএম সাড়ে তিন পারসেন্ট ভোট আর মোট শূণ্য টা আসন পেয়েছে তার দায় পিটি দা কেন নিতে যাবেন?
এগুলো ঠিক হচ্ছে না। সৈকত প্লিজ দেখো। তোমার সাইট আফটার অল।