এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  শিক্ষা

  • মানববধের নৈতিক যুক্তিঃ অন্য চোখে ভগবদ্গীতা

    Ranjan Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | শিক্ষা | ১৩ মার্চ ২০২৩ | ৪১৫৮ বার পঠিত | রেটিং ৪ (২ জন)
  • গীতায় যুদ্ধের নৈতিক যুক্তি

    প্রস্তাবনাঃ

    ভারতবর্ষের বৃহত্তর জনসমুদয় হিন্দু ধর্মাবলম্বী।  এঁদের মূল ধর্মগ্রন্থ বেদ, যদিও হাতে গোনা লোক ছাড়া কেউ বেদ পড়েন না, ভাষাগত কারণে সম্ভবও নয়। তবে আজকাল বাংলা হিন্দি ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষায় সুলভ অনুবাদ পাওয়া যায়। যাঁরা বেদকে সনাতন অজর অমর এবং ভগবানের মুখনিঃসৃত বলে বিশ্বাস করেন তাঁদের ধর্মাচরণকে এককথায় 'সনাতন হিন্দুধর্ম' আখ্যা দেওয়া হয়। এই সংজ্ঞাটি সম্ভবতঃ আদি শংকরাচার্যের তৈরি।

    সনাতন হিন্দু ধর্মের তাত্ত্বিক আশ্রয় হল তিন প্রস্থান — উপনিষদ, ব্রহ্মসূত্র এবং গীতা, যাকে একসঙ্গে ‘ত্রয়ী’ বলা হয়। শংকরাচার্য প্রতিষ্ঠিত দশনামী সম্প্রদায়ের সমস্ত সন্ন্যাসীদের অবশ্য পাঠ্য হোল ওই ‘ত্রয়ী’।

    এই ত্রয়ীর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সহজলভ্য গ্রন্থ হোল ভগবদগীতা বা সংক্ষেপে ‘গীতা’। এর আকারও ছোট, অষ্টাদশ অধ্যায়ে বিভক্ত বইটিতে রয়েছে মোট ৬৮১, এবং গীতামাহাত্ম্য ইত্যাদি মিলিয়ে প্রায় ৭০০ শ্লোক। অন্ততঃ পকেট সংস্করণ গীতা প্রায় সবার বাড়িতে পাওয়া যাবে। শ্রাদ্ধশান্তি বা বিভিন্ন ধার্মিক অনুষ্ঠানে গীতা পাঠের প্রচলন রয়েছে।

    বর্তমান সময়ে একটি কথা প্রায়ই শোনা যায় -- গীতা বা তার নির্বাচিত অংশ, সমস্ত স্কুলে পাঠ্য করা হোক। উদ্দেশ্য অল্পবয়েসীদের মধ্যে ভারতীয় ঐতিহ্য ও নৈতিকতার শিক্ষা দেওয়া। বলা হয় গীতার বাণী আমাদের সমাজে আদর্শ আচরণবিধির জন্যে মডেল হবে।

    প্রশ্ন ওঠেঃ গীতার মূল্যবোধ বলতে ঠিক কী বোঝায়?

    এখানে ওখানে খামচে প্রসঙ্গের উল্লেখ না করে কয়েকটি শ্লোকের কথা বলা হয়। যেমন, তোমার অধিকার কেবল কর্ম করায়, ফলপ্রাপ্তিতে নয়। তাই ফলের চিন্তা না করে কর্ম করে যাও (গীতা, ২/৪৭)।  
    অথবা, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ আমাদের সমাজে গুণ ও কাজের ভিত্তিতে চার বর্ণের সৃষ্টি করেছেন (গীতা, ৪/১৩)।
    অথবা, স্বধর্মে নিধন শ্রেয়ঃ, অন্য ধর্ম ভয়াবহ (গীতা, ৩/৩৫)।
    আর রয়েছে — সব ধর্ম ছেড়ে আমার শরণাগত হও, কোন পাপের ভয় কোর না; আমি আছি (গীতা, ১৮/৬৬)।

    কিন্তু গীতার মূল পরিপ্রেক্ষিত, স্থান-কাল- প্রসংগের কথা ভুলে বিচ্ছিন্নভাবে এই শ্লোকগুলোর চর্চা আমাদের বোধকে ঘুলিয়ে দেয়। আজকাল কোথাও সমগ্র গীতার অন্তর্নিহিত ভাবনা নিয়ে একটি সুসংবদ্ধ লেখা চোখে পড়ে না।

    এই সংক্ষিপ্ত পরিসরে আমি চেষ্টা করছি গীতার মূল থিমে — আত্মীয় পরিজনের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণে পরাঙ্মুখ অর্জুনকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করতে নীতিকথায় — ন্যায় ও  অন্যায় যুদ্ধের ফারাকটুকু বোঝার চেষ্টা করা। কারণ, প্রায় প্রতিদিন ভারতের কোথাও না কোথাও স্বঘোষিত ধর্মযোদ্ধাদের হিংসা ও বিদ্বেষে ভরা ঘোষণা চোখে পড়ছে।

    ভগবদগীতা কার রচনা?

    • মনে হয় গীতা মহাভারতের কাহিনীর উল্লেখ সত্ত্বেও একটি স্বতন্ত্র রচনা। মুখোমুখি কৌরবের একাদশ অক্ষৌহিণী সেনা এবং পাণ্ডবদের সাত অক্ষৌহিণী। রথে বসে ধনুকের টংকার ও দু’পক্ষের শংখধ্বনির মধ্যে যে স্নায়বিক চাপ তার মাঝখানে বসে গম্ভীর মেটাফিজিক্স চর্চা? এগুলো বিভিন্ন সময়ে অনেক কবির সম্মিলিত সংযোজন।
    • অশোকের শাসনকালে কিছু ব্রাহ্মী ও খরোষ্ঠীলিপির নিদর্শন পাওয়া যায়, তাতে গীতার কোন উল্লেখ নেই। তবে প্রথম সংস্কৃত ভাষা এবং নাগরী লিপির নিদর্শন  দেখা যায় জুনাগড়ের তাম্রলিপিতে, যা  খ্রিষ্টীয় দ্বিতীয় শতকের মধ্যভাগে যা চারশতক পরের পতঞ্জলির যোগশাস্ত্রের  কথা মনে করায়। মনে হয় শুঙ্গ রাজবংশের (পুষ্যমিত্র শুঙ্গ স্থাপিত) থেকে গুপ্ত বংশের শাসনকালের মধ্যে বিভিন্ন কবির হাতের ছোঁয়ায়  বর্তমান রূপ ধরেছে ভগবদগীতা।


    গীতার দার্শনিক ভাষ্যের কিছু বৈশিষ্ট্যঃ

    গীতা হল আসলে ষড়দর্শনের শেষতম দার্শনিক মত বেদান্ত বা উত্তরমীমাংসার অনুযায়ীদের সৃষ্টি। কারণ ১৮টি অধ্যায়ের প্রত্যেকটি  শেষ হচ্ছে “শ্রীমদ্ভগবদ্গীতাসু উপনিষৎসু ব্রহ্মবিদ্যায়াং যোগশাস্ত্রে” এই ভণিতা দিয়ে। (বড় হরফ আমার)। ব্রহ্মবিদ্যা বলে দার্শনিক ধারণাটি একান্তভাবে বেদান্তদর্শনের, অন্য কারও নয়।

    ষড়দর্শনের মধ্যে গীতায় শুধু সাংখ্য, যোগ ও বেদান্তের কথা রয়েছে। বাদ পড়েছে, ন্যায়, বৈশেষিক ও পূর্বমীমাংসা। বরং বেদবাদরতাঃ শ্লোকে (২/৪২, ৪৪) পূর্বমীমাংসা দর্শনের নিন্দা করা হয়েছে।

    কারণ, পূর্বমীমাংসা কেবল বেদের যাগযজ্ঞকেই শুরু ও শেষ মনে করে। নিরীশ্বরবাদী পূর্বমীমাংসা দর্শনে ব্রহ্ম বা ঈশ্বর কিছুই নেই। সাংখ্যে ঈশ্বর নেই, রয়েছে নিষ্ক্রিয় চেতন পুরুষ এবং সক্রিয় প্রকৃতির কথা। গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ের নাম সাংখ্য যোগ বটে, কিন্তু তাতে নিরীশ্বরবাদী সাংখ্যের মূল চরিত্র বদলে দিয়ে ঈশ্বর ও পরমাত্মা নিয়ে অনেক কথা ঢোকানো হয়েছে। ফলে যিনি গীতাকে ভারতীয় দর্শন বা অধ্যাত্ম চিন্তার সার বা সমন্বয় বলবেন, ভারতীয় বা বিদেশি পন্ডিত, তার মধ্যে গোঁজামিল থেকেই যাবে।

    গীতার তৃতীয় অধ্যায়ে সৃষ্টিতত্ত্ব বিষয়ে বলা হয়েছে – প্রাণের উদ্ভব অন্ন থেকে,  অন্নের উদ্ভব বৃষ্টি থেকে, বৃষ্টির উদ্ভব যজ্ঞের ধোঁয়া থেকে, যজ্ঞের উদ্ভব কর্ম থেকে, কর্মের উদ্ভব ব্রহ্ম থেকে এবং ব্রহ্মের উদ্ভব অক্ষর থেকে (৩/১৪ এবং ৩/১৫)।

    আজ আমরা সবাই জানি বৃষ্টির উদ্ভব কীভাবে হয়, অবশ্যই যজ্ঞের ধোঁয়া থেকে নয়। আর ব্রহ্ম যদি অক্ষর থেকে উদ্ভবের পরিণাম তাহলে তিনি নিত্য সর্বোগতং স্থানু অচলোহং সনাতনঃ হতে পারেন না। কারণ উনি নিশ্চিত ভাবে একটি নির্ধারিত সময়ে একটি তত্ত্ব (অক্ষর) থেকে উদ্ভূত হচ্ছেন, তাহলে অমনই এক সময়ে তাঁর বিনাশ অবশ্যম্ভাবী।

    মহাত্মা গান্ধীর গুজরাতিতে লেখা ‘অনাসক্তি যোগ’ ভাষ্যটি সতীশচন্দ্র দাশগুপ্ত বাংলায় ‘গান্ধীভাষ্য’ নামে অনুবাদ করেছেন। গান্ধীজি আবার তাঁর অহিংসার সঙ্গে গীতার হিংসাকে জোর করে মেলাতে চেষ্টা করেছেন। বলছেন — গীতার হিংসা প্রতীকী, আসল শারীরিক হিংসা নয়। কিন্তু মূল পাঠে প্রথম, দ্বিতীয় এবং একাদশ অধ্যায় পড়লে বোঝা যায় – ওটা গান্ধীজির বৃথা চেষ্টা। তেলে জলে মেশেনি।

    বরং সমগ্র গীতা জুড়ে রয়েছে ক্ষাত্রধর্ম এবং হিংসার ঔচিত্য, তার জয়গান। খেয়াল করা দরকার যে শ্রীকৃষ্ণ নিজেও ক্ষত্রিয় রাজপুরুষ।  

    গীতায় মনুসংহিতার জাতিবাদের প্রচন্ড প্রভাব। আধুনিক ব্যখ্যাকারেরা জোর করে মেলাতে গিয়ে শুধু ওই একটা শ্লোকের কথা বলেন - চাতুর্বণং ময়া সৃষ্ট গুণকর্মবিভাগশঃ। ওঁরা উল্লেখ করেন না “স্বনুষ্ঠিতাৎ পরধর্মাৎ বিগুণঃ স্বধর্ম শ্রেয়ান। স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ঃ, পরোধর্মো ভয়াবহঃ” (৩/৩৫)।

    অর্থাৎ, অন্যধর্মের (জাতির) নির্দিষ্ট কর্ম ভালভাবে করার চেয়ে নিজের নিজের জাতিধর্মের অনুরূপ কর্ম খারাপভাবে করাই শ্রেয়স্কর ।
    নিজ জাতের অনুযায়ী কর্ম করতে গিয়ে মরে যাওয়া ভাল। নীচু জাত নীচুতেই থাকবে, দক্ষতার জোরে উপরে উঠতে পারবে না (১৮/৪১-৪৪)।

    উপরের সমস্ত টীকা/ব্যাখ্যা ভক্তের দৃষ্টিতে, যেখানে গীতা হচ্ছে শ্রীভগবানের মুখনিঃসৃত বাণী। তা নিয়ে বিচার চলে না। শুধু মুগ্ধ হতে হয়, শুধু মেনে চলতে হয়।

    বাংলাসাহিত্যের বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাঁর ‘পারাপার’ উপন্যাসে একটি চরিত্র বিমানের সন্দর্ভে বলেছেন যে গীতা হোল পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ কাব্য! গীতার বেশিরভাগটাই অনুষ্টুপ এবং অল্প একটু অংশ ত্রিষ্টুপ ছন্দে লেখা। কিন্তু কাব্যগুণ? ভিন্নরুচির্হিঃ লোকাঃ।

    গীতার মূল বক্তব্যঃ

    ভগবদগীতায় দুটো স্তর রয়েছে। একটা মহাভারত নামক মহাকাব্যের কাহিনীর অংশ, অন্যটি দার্শনিক সমন্বয় এবং কৃষ্ণ কাল্টের জয়গান।
     
    গীতা শুরুই হচ্ছে ধৃতরাষ্ট্রের সঞ্জয়কে প্রশ্নটি দিয়ে “ধর্মক্ষেত্রে কুরুক্ষেত্রে সমবেতা যুযুৎসবঃ”। অর্থাৎ, রচনাকার প্রথমেই কুরুক্ষেত্রকে ধর্মক্ষেত্র মেনে নিয়েছেন।

    তাই কাহিনীর মূল থীম হল কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আরম্ভের সময় ধনুর্বাণ ত্যাগ করে গালে হাত দিয়ে রথে বসা অর্জুনকে বুঝিয়ে সুজিয়ে যুদ্ধে রাজি করানো। কারণ অর্জুন যুদ্ধক্ষেত্রে মুখোমুখি আচার্য, পিতামহ, মাতুল, শ্বশুর, শালা, পুত্র, পৌত্র ও ভ্রাতাদের দেখে যুদ্ধ করতে চাইলেন না।  
    “আচার্যাঃ পিতরঃ পুত্রাস্তথৈব চ পিতামহাঃ।
    মাতুলাঃ শ্বশুরাঃ পৌত্রাঃ শালাঃ সম্বন্ধিনস্তথা’’।। (১/৩৩)

    বিষণ্ন অর্জুন কৃষ্ণকে বললেন -- স্বজনহত্যা করে বিজয়ী হতে চাই না, রাজ্যসুখও চাই না, এতে কোন মঙ্গল হবে না।
    ‘ ন চ শ্রেয়োনুপশ্যামি হত্বা স্বজনমাহবে।
    ন কাঙ্ক্ষে বিজয়ং কৃষ্ণ ন চ রাজ্যং সুখানি চ ’।। (১/৩১)

    কারণ, যাঁদের নিয়ে রাজ্য এবং সুখভোগ করার কথা ভাবি, এখন তাদেরই হত্যা করতে হবে?
    “কিং নো রাজ্যেন গোবিন্দ, কিং ভোগৈর্জীবিতেন বা।
    যেষামর্থে কাঙ্ক্ষিতং নো রাজ্যং ভোগাঃ সুখানি চ ’’।।(১/৩২)

    এখানে অর্জুন এই যুদ্ধকে অন্যায় ভাবছেন মূলতঃ প্রাচীন গোষ্ঠীসমাজের কিনশিপ মূল্যবোধের প্রেক্ষিতে।

    কিন্তু দুর্যোধন আদি কৌরব তো অন্যায় ভাবে ছল করে পাণ্ডবদের রাজ্য কেড়ে নিয়ে ওদের বনবাসে পাঠিয়েছে, দ্রৌপদীকে অপমান করেছে। তাহলে ওই অন্যায়ের প্রতিকারে এই যুদ্ধ কি ন্যায়যুদ্ধ নয়?

    অর্জুন বলছেন, পৃথিবীর কথা ছাড়ুন, আমাকে ত্রিলোকের রাজা করলেও আমি এদের মারতে পারব না (১/৩৪)।

    ধৃতরাষ্ট্রের পুত্রদের বধ করে কি সুখ পাব?
    “এই সকল আততায়ীকে হত্যা করিলে আমাদিগকে পাপ আশ্রয় করিবে” (১/৩৫)। (জগদীশ্বরানন্দের টীকা)

    অতএব দুর্যোধনাদি ও তাহাদের বান্ধবগণকে হত্যা করা উচিত নয়। স্বজনকে হত্যা করে আমরা কী করে সুখী হব? (১/৩৬)

    মানছি, ওরা রাজ্যলোভে অভিভূত হয়ে কুলক্ষয়জনিত দোষ এবং মিত্রদ্রোহজনিত পাপ দেখতে পাচ্ছে না। কিন্তু “হে জনার্দন! বংশনাশজনিত  দোষ উপলব্ধি করিয়াও আমরা এই পাপ হইতে নিবৃত্ত হইবার উপায় জানিব না কেন?” (১/৩৭-৩৮)।

    আমি এর প্রতিকার জানি না, অস্ত্রত্যাগ করলাম। এখন কৌরবরা আমাকে বধ করলেই অধিকতর কল্যাণ হবে (১/৪৫)।

    অর্থাৎ, অর্জুন একটি অন্যায়ের প্রতিকার হিসেবে অন্য একটি অন্যায়ের আশ্রয় নেওয়াকে যুক্তিযুক্ত মনে করছেন না। প্রতিশোধ, বদলা এসবের চেয়ে সার্বিক নরহত্যা এবং লোকক্ষয় ও কত নারী বিধবা হবে, অনাথ হবে – সেইটি তাঁর কাছে বৃহত্তর নৈতিক প্রশ্ন।

    তখন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে (দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে) যুদ্ধ করার জন্য বোঝাতে শুরু করলেন।

    কৃষ্ণের যুক্তিগুলিঃ

    ধর্মযুদ্ধের পক্ষে কৃষ্ণের নৈতিকতার আধার বর্ণাশ্রম ধর্ম।  যে মানুষ যে কুলে বা জাতিতে জন্মেছে, সে যদি সেই জাতের জন্য  নির্ধারিত আচরণ মেনে চলে, তাহলেই ধর্মরক্ষা হয়, ন্যায় হয়।

    তাই উনি বলছেনঃ
    “ হে অর্জুন, আর্যগণের অযোগ্য, স্বর্গগতির প্রতিবন্ধক এই মোহ এই ক্লীবভাব এই কাপুরুষতা তোমায় মানায় না। এসব দুর্বলতা ছেড়ে শত্রু সংহারে নেমে পড়।’’ (২/২-৩)
    “ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ নৈতৎ ত্বযুপপদ্যতে।
    ক্ষুদ্রং হৃদয়দৌর্বল্যং ত্যক্ত্বোত্তিষ্ঠ পরন্তপ।।’’

    অর্জুন মানতে পারছেন না। বলছেন ভীষ্ম-দ্রোণের মত গুরুজনদের হত্যা করে বেঁচে থাকার চেয়ে ভিক্ষে করে খাব — সে ও ভাল। (২/৪-৫)।
    তখন কৃষ্ণ এই যুদ্ধকে ন্যায়োচিত সিদ্ধ করতে তাঁকে দুটো যুক্তি দিলেন।
    এক, হত্যা বলতে কী বোঝায়? শরীরের ধ্বংস। কিন্তু দেহ তো অনিত্য, একমাত্র আত্মাই অবিনাশী। তাকে অস্ত্র ছেদ করতে পারে না, আগুন পোড়াতে পারে না, হাওয়া শুকোতে পারে না , ইত্যাদি (২/২৩)।
    “নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাণি নৈনং দহতি পাবকঃ।
    ন চৈনং ক্লেদয়ন্ত্যাপো ন শোষয়তি মারুতঃ।।’’

    এভাবে দেখলে যে মারে আর যে মরে দুজনেই অবিনশ্বর আত্মা রূপে থেকে যাবে। অর্থাৎ কেউ আসলে মরে না। মৃত্যু দৈহিক বিকার মাত্র। শরীর নষ্ট হলেও আত্মা নষ্ট হয় না। আত্মা কেউকে মারে না, নিজেও মরে না। কেবল জামাকাপড় পাল্টানোর মত দেহ বদলায়।  তাহলে কেন আফশোস?  কেন শোক করা? ( ২.১১ - ১৭-১৯)।
    ‘ ন জায়তে ম্রিয়তে বা কদাচিৎ,
      নায়ং ভূত্বাভবিতা বা ন ভূয়ঃ।
    অজো নিত্যং শ্বাশ্বতোয়ং পুরাণো,
      ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে’।। (২/২০)

    আর যদি তুমি আত্মাকে অবিনশ্বর মনে না কর, যদি ধরে নাও যে প্রত্যেক আত্মা স্বতন্ত্র, দেহের সঙ্গে জন্মায় ও মরে তাহলেও অনুশোচনা উচিত নয়। (২/২৬)। কারণ, জাত ব্যক্তির মৃত্যু নিশ্চিত এবং স্বীয় কর্মানুসারে মৃত ব্যক্তির পুনর্জন্ম অবশ্যম্ভাবী।
    ‘জাতস্য হি ধ্রুবো মৃত্যুর্ধ্রুবং জন্ম মৃতস্য চ।
    তস্মাদপরিহার্যের্থে ন ত্বং শোচিতুমর্হসি।। ’ (২/২৭)

    অর্থাৎ, শ্রীকৃষ্ণ এখানে জন্মমৃত্যুকে গুরুত্বহীন, ট্রিভিয়ালাইজ, করে যুদ্ধে অবশ্যম্ভাবী নরহত্যা জনিত পাপবোধ থেকে অর্জুনকে মুক্ত করে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে উচিত ঠাউরিয়েছেন। বলা যায়, এক অর্থে এই ন্যায়যুদ্ধ/অন্যায় যুদ্ধ ডিকোটমিকেই বিতর্কের বা বিবেচনার বাইরে করে দিচ্ছেন।

    অর্জুন ঠিক সান্ত্বনা পাচ্ছেন না।

    তখন কৃষ্ণ ফের চলে এলেন বর্ণাশ্রমভিত্তিক ‘ধর্মযুদ্ধ’কে ন্যায়যুদ্ধের পর্যায়বাচী করতে।

    উনি বলছেন, এক, কোন প্রাণীর দেহনাশে শোক কর না; কারণ তার দেহে অবস্থিত আত্মা সদা অবধ্য।

    আর স্বধর্মের কথা ভাবলেই তোমার ভয় কেটে যাবে। কারণ, ধর্মসঙ্গত যুদ্ধ অপেক্ষা ক্ষত্রিয়ের পক্ষে মঙ্গলকর আর কিছুই নাই।(২/৩১)।  

    হে পার্থ, এই প্রকার ধর্মযুদ্ধ হচ্ছে অনায়াস  স্বর্গদ্বারের মত।  শুধু ভাগ্যবান ক্ষত্রিয়ারাই এই সুযোগ পায়। (২/৩২)।

    আর এই ধর্মযুদ্ধ না করলে তুমি স্বীয় ক্ষত্রিয়ধর্ম ও কীর্তি পরিত্যাগ হেতু ‘প্রত্যবায়’ (পাপের) ভাগী হবে। সবাই ছি ছি করবে। ‘সম্মানিত ব্যক্তির পক্ষে অখ্যাতি মৃত্যু অপেক্ষাও অধিকতর দুঃখদায়ক’। (২/৩৪)

    কর্ণ ও ওর সঙ্গের যোদ্ধারা তোমাকে ভীতু ভাববে। সম্মান হারাবে, শত্রুরা অকথা-কুকথা বলবে; এর চেয়ে বেশি দুঃখের আর কী হতে পারে? (২/৩৬)

    আর এই যুদ্ধে মরে গেলে তুমি স্বর্গে যাবে; জয়ী হলে রাজ্য ভোগ করবে। অতএব, যুদ্ধের জন্যে দৃঢ় সংকল্প হয়ে লেগে পড়।

    খানিকটা ইসলামের জেহাদি ধর্মযুদ্ধের সঙ্গে মিল আছে না? ওরাও বলে যে ইসলামিক ধর্ম বা ন্যায়ের রাজ্য স্থাপনের জন্যে গাজী হয়ে শহীদ হলে বেহেস্তে গমন নিশ্চিত।

    ‘হতো বা প্রাপ্স্যসি স্বর্গং জিত্বা বা ভোক্ষ্যসে মহীম্‌।
    তস্মাদুত্তিষ্ঠ কৌন্তেয় যুদ্ধায় কৃতনিশ্চয়ঃ।। (২/৩৭)

    তুমি ক্ষত্রিয়; ধর্মযুদ্ধই তোমার স্বধর্ম। সুতরাং ‘তুমি  সুখে অনুরাগ ও দুঃখে দ্বেষ না করিয়া এবং লাভ ও ক্ষতি, জয় পরাজয় তুল্য জ্ঞান করিয়া ধর্মযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হও। এইরূপ করিলে গুরুজনাদি-বধজনিত পাপ তোমার হইবে না’।
    ‘সুখদুঃখে সমে কৃত্বা লাভালাভৌ জয়াজয়ৌ।
    ততো যুদ্ধায় যুজ্যস্ব নৈবং পাপমবাপ্স্যসি’।।(২/৩৮)।

    এবার কৃষ্ণ অর্জুনকে পাপের থেকেও মুক্তি দিলেন। সোজাসুজি বললেন – তোমার অধিকার শুধু কর্ম করায়, ফলপ্রাপ্তিতে নয়। অতএব কোন কাজের ফল কী হবে (পাপপুণ্য) এসব নিয়ে ভাবতে নেই। নিষ্কাম হয়ে কর্ম কর। ফলপ্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা থেকেই আসক্তি জন্মায়, বন্ধনের কারণ হয়।
    “কর্মণ্যেবাধিকারস্তে মা ফলেষু কদাচন” (২/৪৭)।
    “তুমি ভগবানের উদ্দেশে অনাসক্ত হইয়া বর্ণাশ্রমোচিত সর্ব কর্ম কর। (৩/৯)। অর্থাৎ ক্ষত্রিয় তার জন্মসিদ্ধ কর্তব্য/আচরণ যুদ্ধ করলে কোন পাপ হয় না।

    এরপর ১২টি অধ্যায় জুড়ে রয়েছে কিছু বৈদান্তিক ও অন্য দার্শনিক তত্ত্ব নিয়ে কৃষ্ণের উপদেশ। কিন্তু সামনে যে একাদশ অক্ষৌহিণী কৌরব সেনা দাঁড়িয়ে রয়েছে, দু’পক্ষের রণশংখ একে অন্যকে চ্যালেঞ্জ করে বেজে উঠছে — সে নিয়ে কোন কথা নেই।

    ইতিমধ্যে অর্জুনকে বিশ্বরূপ দর্শন করিয়ে যথেষ্ট ভয় দেখানো হয়েছে (১১শ অধ্যায়)। অর্জুন দেখছেন ভীষ্ম-দ্রোণ-কর্ণ-দুর্যোধন সবাই শ্রীকৃষ্ণের জ্বলন্ত মুখগহ্বরে প্রবেশ করে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে দাঁতের ফাঁকে মাংসের টুকরোর মত আটকে আছে।
    “বক্ত্রাণি তে ত্বরমাণা বিশন্তি, দংষ্ট্রাকরালানি ভয়ানকানি।
     কেচিদ্বিলগ্না দশনান্তরেষু, সংদৃশ্যন্তে চূর্ণিতৈরুত্তমাঙ্গৈঃ”।।

    এবার ভীত অর্জুনকে প্রবোধ দিয়ে কৃষ্ণ বোঝাচ্ছেন যে - আমি লোকক্ষয়কারী মহাকাল। তুমি না মারলেও এরা সবাই মরবে। তুমি শত্রুদের বধ করে যশস্বী হয়ে রাজ্য ভোগ কর।
    দ্রোণ, ভীষ্ম, জয়দ্রথ, কর্ণ সবাই এর মধ্যেই আমার হাতে মারা পড়েছে। কাজেই তুমি মৃতদের মারবে।
    ফলে তোমার কোন দায়িত্ব নেই, তুমি নিমিত্ত মাত্র। ভয় না পেয়ে যুদ্ধ কর, নিশ্চয়ই বিজয়ী হবে (১১/৩২-৩৩-৩৪)।
    “তস্মাৎ ত্বমুত্তিষ্ঠ যশো লভস্ব, জিত্বা শত্রূন্‌ ভুঙ্ক্ষ রাজ্যং সমৃদ্ধম্‌।
    ময়ৈবৈতে নিহতাঃ পূর্বমেব, নিমিত্তমাত্রং ভব সব্যসাচিন্‌”।। (১১/৩৩)

    শেষ অধ্যায়ে আবার উনি ফিরে গেলেন বর্ণাশ্রমের যুক্তিতে , “মানুষ নিজ নিজ বর্ণ ও আশ্রমের কর্মে নিরত হইয়া জ্ঞাননিষ্ঠাযোগ্যতানুসার সিদ্ধিলাভ করে”।
    “স্বে স্বে কর্মণ্যভিরতঃ সংসিদ্ধিং লভতে নরঃ।
      স্বকর্মনিরতঃ সিদ্ধিং যথা বিন্দতি তচ্ছৃণু”।। (১৮/৪৫)

    কিন্তু, “স্বীয় বর্ণ ও আশ্রমবিহিত ধর্ম অঙ্গহীনভাবে অনুষ্ঠিত পরধর্ম অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। কারণ, স্বভাবনিয়ত* কর্ম করিলে মানুষ পাপভাগী হয় না”।
    “শ্রেয়ান্‌ স্বধর্মো বিগুণঃ পরধর্মাৎ স্বনুষ্ঠিতাৎ।
    স্বভাবনিয়তং কর্ম কুর্বন্নাপ্নোতি কিল্বিষম্‌”।।(১৮/৪৭)
    *স্বভাবনিয়ত=স্বভাবজাত (গীতা ১৮/৪২-৪৪)। স্বামী জগদীশ্বরানন্দের টীকা (শ্রীমদ্ভগবদগীতা, পৃঃ ৩৮৯)।

    এখানে দুটো জিনিস স্পষ্ট। কুরুক্ষেত্র যুদ্ধকে ন্যায় যুদ্ধ প্রতিপাদিত করতে শ্রীকৃষ্ণ গীতাতে কোন নীতিশাস্ত্রের সিদ্ধান্তকে আশ্রয় করেন নি। বরং তাঁর যুক্তি মূলতঃ একটাই -- ক্ষাত্রধর্ম পালন করলে ক্ষত্রিয়ের নরসংহারের পাপ হয় না। এখানে মনুসংহিতায় কথিত চতুর্বর্ণের আচরণবিধিকে হুবহু সমর্থন করা হয়েছে গীতার অন্তিম অধ্যায় (১৮তম) মোক্ষযোগে। দেখাই যাচ্ছে গীতা (১৮/৪৭) শ্লোকে জাতপাত এবং তার গুণকে জন্মজাত বলছেন, দক্ষতাজনিত যুক্তিকে খণ্ডন করছেন।

    আর শেষ অধ্যায়ে (১৮শ, মোক্ষযোগ) আরও ধমক দিচ্ছেনঃ  
    যদি তুমি পাণ্ডিত্যের অভিমানে আমার কথা না শোন, তাহা হইলে তুমি পুরুষার্থের অযোগ্য হইবে। (১৮/৫৮)
    ভাবছ, যুদ্ধ করবে না? ওটা তোমার অহংকারজনিত ভ্রম। তোমার ক্ষত্রিয় স্বভাবই তোমাকে যুদ্ধে প্রবৃত্ত করাবে। (১৮/৫৯)।

    শেষে ছাড়লেন মোক্ষম তিরঃ
    ‘সর্বধর্মান্‌ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ।
    অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্যো মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচঃ’।। (১৮/৬৬)

    সকল ধর্মের অনুষ্ঠান ছেড়ে একমাত্র আমার শরণাগত হও। আমি তোমাকে সব রকম পাপের থেকে মুক্ত করব, খামোখা শোক কর না।

    ব্যস্‌; অর্জুন বললেন - আমি আপনার উপদেশ শুনে মোহমুক্ত হলাম, অজ্ঞান নষ্ট হয়েছে। এখন আপনার কথামত কাজ করব। (১৮/৭৩)।

    সোজা কথায়, সমগ্র গীতায় কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধকে ন্যায় যুদ্ধ বলতে শ্রীকৃষ্ণ জাতিধর্ম পালন এবং আমি বলছি তাই — এছাড়া আর কোন নীতি ও যুক্তির কথা বলেন নি।

    এ’ব্যাপারে রবীন্দ্রনাথ কী বলেছেন?

    “পারস্যে” ভ্রমণকাহিনীতে রবীন্দ্রনাথ গীতার নীতিবোধকে স্পষ্ট বিদ্রূপে বিঁধছেন — “গীতায় প্রচারিত তত্ত্বোপদেশও এইরকম একটি উড়োজাহাজ – অর্জুনের কৃপাকাতর মনকে সে এমন দূরলোকে নিয়ে গেল — যেখানে মারেই-বা কে, মরেই-বা কে,  কেই-বা আপন কেই-বা পর। বাস্তবকে আবৃত করার এমন অনেক তত্ত্বনির্মিত উড়োজাহাজ মানুষের অস্ত্রশালায় আছে, মানুষের সাম্রাজ্যনীতিতে, সমাজনীতিতে, ধর্মনীতিতে। সেখান থেকে যাদের উপর মার নামে তাদের সম্বন্ধে সান্ত্বনা দেওয়া হয়েছে এই যে, ন হন্যতে হন্যমানে শরীরে”। ( পারস্যে, পৃঃ ৫)

    ষোড়শ শতাব্দীতে মধ্যযুগের চার্চ আশ্রিত স্কোলাস্টিক দর্শনের বিপরীতে ক্যাথলিক ধর্মবিশ্বাসী ফরাসী দার্শনিক রনে দেকার্তে বলেছিলেন – সবকিছুকেই প্রশ্ন করে বাজিয়ে নিয়ে তারপর বিশ্বাস করা উচিত; এমনকি ঈশ্বরকেও যুক্তিসিদ্ধ হতে হবে। সেখান থেকেই ইউরোপিয় দর্শনে আধুনিকতার সূত্রপাত।

    আমার আকাঙ্ক্ষা আজ একবিংশ শতাব্দীতে দাঁড়িয়ে ধর্মচর্চা ও ধর্মদর্শনের গ্রন্থগুলো আরও যুক্তিসিদ্ধ হোক, আরও জীবনমুখী হোক। আর সমস্যার সমাধান হিসেবে হত্যার ঔচিত্য নিয়ে প্রশ্ন উঠুক, নায়যুদ্ধ অন্যায়যুদ্ধের সংজ্ঞা এবং প্রাসংগিকতা নিয়ে আরও সনিষ্ঠ আলোচনা হোক।

    =======================================

    ঋণস্বীকারঃ এই প্রবন্ধটি দু’বছর আগে মধ্যমগ্রাম নিবাসী কবি কমলেশ পালের অনুপ্রেরণায় লেখা। ওঁর কাছে আমি  রবীন্দ্রনাথের ‘পারস্যে’ প্রবন্ধে গীতা নিয়ে মন্তব্যটির উল্লেখ করার জন্যে বিশেষভাবে ঋণী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১১:০৫739701
  • প্রিয় ভ্লাদিমির,
                একই ছুরি দিয়ে সার্জারি হয়, তাতে মানুষের প্রাণ বাঁচে। আবার সেই ছুরি  দিয়ে মানুষ খুন করাও যায়।  
    তাতে ছুরির মূল চরিত্র একই থাকে। 
     
    আর আমি কোন গুরুবাদে বিশ্বাস করি না , রাশিয়া বা গীতা। কাজেই আপনার দামি উপদেশগূলো অপাত্রে বর্ষিত হল।
    দূ:খিত।
     
  • | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১১:২৮739702
  • ধুরো রঞ্জনদা আপনার যা যা লেখার লিখে যান না। মাঝের এই ব্যক্তিকেন্দ্রিক কাঁইকিচিরে জড়িয়ে তুই বেড়াল না মুই বেড়ালে  কিবা কাম! যারা নিজেদের সহিহ ব্যারাল মনে করে তারা রোঁয়া ফুলিয়ে ফ্যাঁসস করতে থাকুক। আপনি মুচকি হেসে লেখায় মন দেন পড়ায় মন দেন। 
  • :) | 2405:8100:8000:5ca1::a3:***:*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১২:০৭739703
  • হ্যাঁ হ্যাঁ কুয়ো থেকে বেরোতে যাবেন না। নিজে নিজে একজন ডারউইনের তত্ত্ব বুঝেছিল। অন্যদের বুঝিয়েছিল কি হাস্যকর সেই মাল! 'একজোড়া বাঁদর-বাঁদরী রাস্তায় পোঁদ ঘষতে ঘষতে ধীরে ধীরে সোজা হয়ে দাঁড়াল আর মানবজাতির আবির্ভাব হল। এমন যুক্তিহীন হাস্যকর কথা কখনও শুনেছেন?'
    অনেকেই সায় দিয়ে মাথা নেড়েছিল বলে খবর আছে।
  • একক | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১২:৪৫739704
  • লেখাটি পড়েচি। কিন্তু লেখকের প্রশ্নটি বুঝিনি। গীতা জেনোসাইডের লজিক প্রোমোট করে। হ্যাঁ,  করে তো!  সবাই জানে। মানে, তাতে কী??  এটা নতুন কথা নয়। 
     
    গীতা,  কুরান এমনকি আপ্নাদের গুড বয় বুদ্ধিজম ও জেনোসাইডের লজিক প্রোমোট করে। তাতেই বা কী?  
     
    ঠিক কি বলতে চান। 
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৩:১৭739705
  • একক 
         মুশকিল হচ্ছে সবাই গীতা মহাভারতে কী জন্যে লেখা হল  আর কি পারপাস সার্ভ করল সেটা এড়িয়ে  এতে অনেক ভাল ভাল নীতি কথা বলা আছে এবং সেগুলো আমাদের ব্যক্তি জীবনে পথ দেখায় বলে দাবি করেন. 
    কিন্তু কিছু বিচ্ছিন্ন কোট ছাড়া সামগ্রিক ভাবে তাতে নীতি শাস্ত্রের তাত্ত্বিক আধার টি  কী  সেটা নিয়ে রা' কারেন না।
     আমার অনুসন্ধানে দুটো জিনিস পেলাম। 
    এক, যুদ্ধের ঔচিত্য বোঝাতে বার বার গোলপোস্ট সরানো।
    দুই, মনুস্মৃতির অনুসারী জাতিবাদ। 
     
    দার্শনিক চর্চা হিসেবে  কোন উপনিষদ ও সূত্রগ্রন্থের ধারে কাছে নেই। বিতর্ক,  যুক্তির অবকাশ নেই। একতরফা
  • bb | 2405:8100:8000:5ca1::96:***:*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৫:৫৩739706
  • "সবাই গীতা মহাভারতে কী জন্যে লেখা হল  আর কি পারপাস সার্ভ করল সেটা এড়িয়ে  এতে অনেক ভাল ভাল নীতি কথা বলা আছে এবং সেগুলো আমাদের ব্যক্তি জীবনে পথ দেখায় বলে দাবি করেন. 
    কিন্তু কিছু বিচ্ছিন্ন কোট ছাড়া সামগ্রিক ভাবে তাতে নীতি শাস্ত্রের তাত্ত্বিক আধার টি  কী  সেটা নিয়ে রা' কারেন না।"
     
    গীতাভাষ্যে বুঝি শুধু কিছু বিচ্ছিন্ন কোট পাওয়া যাচ্ছে আজকাল? কোন পাবলিশারের কোন এডিশন বলুন তো?
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৬:৩০739707
  • "গীতাভাষ্যে" বিচ্ছিন্ন কোট? নিজের করা কোট আর একবার দেখুন। "সবাই " শব্দটি রয়েছে।
     
     
      "সবাই " মানে "গীতাভাষ্য" নয়।
    যে তিনটে গীতাভাষ্য পড়েছিলাম বলে দাবি করছি তাতে 700 শ্লোক আছে।
     
    "সবাই" মানে আপনার আমার মত ম্যাঙ্গো পাবলিক যাঁরা গীতা বাড়িতে রাখেন কিন্তু পড়েন না। 700 শ্লোক ধৈর্য ধরে না পড়ে ওই চারটে শ্লোক আউড়ে চলেন। 
    এখানে "আপনার আমার " প্লেস হোল্ডার।
     
    এসব কথা আমার লেখার প্রথম দিকেই বলেছি।
    শেষে আমার অর্বাচীন লেখা পড়তেও কি গুরুর দরকার?
  • দু পয়সা | 2601:5c0:c280:d900:a18a:5347:582a:***:*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪৭739708
  • আচ্ছা একটা প্রশ্নঃ যদি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কবি গীতায় নিজদের মত করে দু-চার কথা জুড়ে থাকেন, তাহলে তো গীতার বিভিন্ন অংশের মধ্যে একটা মূল তাত্ত্বিক আধার থাকবেই এমনটা তো নাও হতে পারে, নয়? অর্থাৎ গীতা তো একটা heterogeneous সম্পাদনা হতেই পারে, যার কোনো অংশে ইমোশনাল রেগুলেশন নিয়ে জ্ঞান, কোনো অংশে নিজের চাহিদাকে নিয়ন্ত্রণ করার জ্ঞান, কোনো অংশে ভগবানপ্রীতি এইসব আছে। হয়তো ৫০০-২০০ বিসির মধ্যে একটা এমনি বিবিধ জ্ঞানের (উইজডমের) জনপ্রিয় কালেকশন ছেলো, ৫০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ সেটাকে নিজেদের মত করে tweak করে মহাভারতে গুঁজে দেওয়া হয়েছে যাতে ধর্মের নামে যুদ্ধোযুদ্ধি করতে ঐটাকে কোট করা যেতে পারে। 

    তবে সে যাই হোক, লেখাটার একটাই খুঁত যে নতুন কিছু শুনলাম না। কে জানে, হয়তো এমন পরিবেশে বড়ো হয়েছি যে এই তত্ত্ব-ই শুনেছি - আমাদের গ্রামের স্কুলমাস্টারের কাছে গীতার প্রথম শ্লোক শোনা, "ক্লৈব্যং মাস্ম গমঃ পার্থ", বলেছিলেন ঐ অ্যাম্বিভ্যালেন্স দূর করে যুদ্ধে পাঠানোর ভোকাল টনিক আর কি। 

    চীনেও একটা এইরকম প্রাচীন হাল্লাবাচক টেক্সট আছে, আর্ট অফ ওয়র, সে অবশ্য পড়িনি। 
  • M | 2405:8100:8000:5ca1::fb:***:*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৯:০৫739709
  • মানুষ নিজের জীবনকে খুব সিগনিফিক্যান্ট ভাবতে ভালবাসে। গীতা কিংবা পেল ব্লু ডটের ফান্ডা সেই বেলুনটি ফুটো করে দেয়। তাই এত অসোয়াস্তি।
  • খিক | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:***:*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ১৯:৩২739710
  • সত্যি মাইরি। এটা যেন পরীক্ষার দিন স্কুলে গিয়ে পেট কামড়ানো কেস! কৃষ্ণের বলা উচিত ছিল আহা বাছা, মারামারি করা খুব খারাপ, চলো বাড়ি যাই, তোমরা কৌরবদের দাসত্ব করবে, দ্রৌপদী তাদের ভোগ্যা হবে, যারা তোমাদের হয়ে যুদ্ধ করতে এসেছে সব আত্মসমর্পণ করে যুদ্ধবন্দী হবে। ব্যস, মহাভারত শেষ।
     
    এই ভার্সনটা নামান। মহাভারত অন্য চোখে।
  • লেখাটা | 136.226.***.*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ২০:০৩739711
  •  এই লেখাটা কি শেষ হয়ে গেল? মানে, রঞ্জনদাকে আর উত্সাহ দিয়ে লাভ নেই? sad
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৩ ২২:০১739712
  • @ দু'পয়সা
      আপনি যা বলছেন তা খুবই যুক্তি সঙ্গত। আমার এই লেখাটির গোড়ার দিকেও 'ভগবদগীতা' কার লেখা' উপ-শিরোনামে এই সম্ভাবনার দিক ইঙ্গিত করেছি। 
     @খিক
        'মহাভারত অন্য চোখে' লেখা হচ্ছে তো, অনেক মহিলা দ্রৌপদীর দৃষ্টিকোণ থেকে লিখছেন, খণ্ড খণ্ড করে। দক্ষিণ এবং পশ্চিম ভারতে তো বটেই, বাংলাতেও।
      আর আর একবার মহাভারত পড়ুন, গীতাও।
     দ্রৌপদী এবং পঞ্চপাণ্ডবকে দাস-দাসী বানানোটা ধৃতরাষ্ট্র দুধ-ভাত করে দিলেন। কিন্তু ক'দিন পরে ফের জুয়ো খেলতে ডাকলে যুধিষ্ঠির আবার গেলেন এবং গোহারা হেরে সপরিবারে বনবাস ও অজ্ঞাতবাসে গেলেন।
    ফলে "তোমরা কৌরবদের দাসত্ব করবে, দ্রৌপদী তাদের ভোগ্যা হবে," প্রশ্নটাই অবান্তর হয়ে গেল। 
     
    বরং  গীতার প্রথম অধ্যায়ে অর্জুন যে আশংকা প্রকাশ করেছিলেন--যুদ্ধে কেউ জিতবে না, সবাই নির্বংশ হবে-- সেটা ফলে গেল। দ্রৌপদী হারালেন তাঁর পঞ্চপুত্রকে। এই ক্ষতি অপূরণীয়। 
     
    @লেখাটা,   
      কী হবে আর লিখে? যখন গুরুবাদের প্রাবল্যে সব ট্রোলিং এ ব্যস্ত, শ্লোক ধরে টেক্সচুয়াল আলোচনায় কারও উৎসাহ নেই।
    বরং  অমিত যেমন বলেছেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড নিয়ে আলোচনায় ব্যাপক যুক্তি, উদাহরণ ও তর্কের ঝড় বয়ে গেছল। আমার প্রশ্ন তোলা সার্থক হয়েছিল। সবাই যদি আমার সঙ্গে তাল দিয়ে একসুরে কথা বলে সেটাও খুব বোরিং। 
    চাই বিতর্ক, চাই পালটা যুক্তি ও বিশ্লেষণ। তব তো মজা আয়েগা। 
    আমিই যা বলছি তাই ঠিক এ অহংকার আমার নেই।
  • বাপ্রে | 162.247.***.*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ২২:৩৫739713
  • রঞ্জনবাবু অহিংসাতে গান্ধীকে কম্পিটিশন দিচ্ছেন। গান্ধী ব্রিটিশদের বলেছিল হিটলারের সামনে অস্ত্র নামিয়ে রেখে অধিকার ছেড়ে দিতে। রঞ্জনবাবু পাণ্ডবদের দাসত্ব ও দ্রৌপদীর দাসীবৃত্তিকে অবান্তর করে দিয়েছেন। অহিংসার বাই যে কি সাংঘাতিক আবার টের পেলাম।
  • Hmm | 2001:67c:6ec:203:192:42:116:***:*** | ১৪ মার্চ ২০২৩ ২৩:০০739714
  • দাসত্বতত্ত্বের উড়োজাহাজ।
  • Ranjan Roy | ১৪ মার্চ ২০২৩ ২৩:০৭739715
  • আমি না তো, ব্যাংকের করেছেন। 
    আরেকবার মহাভারত পড়ুন।
     
    কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের আগে  পাণ্ডবেরা কৌরবদের দাস ছিলেন  না তো। ইন্দ্রপ্রস্থে  সিংহাসনে আসীন।
    যুদ্ধ তো দ্রৌপদীকে নিয়ে হয় নি। দাসত্ব নিয়েও নয়।
     লড়াইটা ছিল ভূমির স্বামীত্ব নিয়ে।
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৫:২৭739716
  • একটু ডাউট হলো আমার। গীতা নিয়ে নয় যদিও - সে বিদ্যে নেই আগেই বলে দিয়েছি। 
     
    কিন্তু যুদ্ধের আগে পাণ্ডবরা কি ইন্দ্রপ্রস্থ ফেরত পেয়ে গেসলো ? দুৰ্যোধন বিনাযুদ্ধে সুচাগ্র মেদিনী ফেদিনি কিসব বলে ওটা ফেরত দিতে চায়নি বলে যুদ্ধ হয়নি ? যদ্দুর মনে পড়ছে যুদ্ধের আগে  কৃষ্ণ-র কৌরবসভায় দ্যূত হয়ে যাওয়ার মাস্টার প্ল্যান টা হয়েছিল পাঞ্চাল রাজসভায় - মানে পান্ডব দের কমন শ্বশুরবাড়ি তে। নিজের রাজত্ব ​​​​​​​থাকলে ​​​​​​​সেটা ​​​​​​​কেন ? 
     
    পড়ার টাইম নেই এক্কেরে। চাপে আছি এখন। ডিডিদা থাকলে ভালো হতো। কিন্তু এই যুধিষ্টির মাল টার এমন ফালতু জুয়া র নেশা না থাকলে এত ঝামেলাই হতোনা। ধম্মরাজ মাই ফুট। 
  • Ranjan Roy | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৫:৩৫739717
  • 'ব্যাংকের ' নয়,  বেদব্যাস।  অটো কারেকশনের উৎপাত। 
  • Ranjan Roy | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:০৭739718
  • অমিত 
    আপনি ঠিক বলেছেন। বলতে চাইছিলাম কৌরবদের দাস হয়ে থাকা ও দ্রৌপদীকে ওদের ভোগ্যা হওয়ার প্রশ্নটি প্রথম দ্যূতসভার পরেই তামাদি হয়ে গেছল।
    ইন্দ্রপ্রস্থ থেকে যুধিষ্ঠিরের ফের জুয়ো খেলতে যাওয়াই কাল হল।
     
    যুদ্ধ হল এলাকার দখল নিয়ে। কৃষ্ণের দৌত্যকার্যে কোথাও দাসত্ব বা দ্রৌপদীর মালিকানা ইস্যু ছিল না।
    বরং "মেদিনী'র ভাগাভাগিটাই ইস্যু।
    সমগ্র গীতার কোথাও দ্রৌপদী বা দাসত্ব নিয়ে কথা  নেই।
    যুদ্ধের ঔচিত্য প্রতিপাদিত করতে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন--- মরে গেলে স্বর্গে যাবে, জয়ী হলে রাজ্যসুখ ভোগ করবে।
    "হতো বা প্রাপ্সসি স্বর্গং জিহ্বা তু ভোক্ষসি মহীম্"।
    কোন উচ্চ নৈতিক দর্শন নয়।
     
    যোদ্ধাদের জন্য এই প্যাকেজের প্রতিধ্বনি পরবর্তী কালে অনেকবার  শোনা যাবে।
  • আনসার্টেইনটি | 2601:5c0:c280:d900:5963:cd12:99a9:***:*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:২৬739719
  • আচ্ছা এই যে আমাদের মডার্ণ উইজডমের একটা কর্ণারস্টোন জীবনের প্রতিপদে অনিশ্চয়তা বা আনসার্টেইনটিকে স্বীকার করা, তাকে বোঝার চেষ্টা করা, যাকে বলে embrace করে নেওয়া ... গীতায় তো আসলে সেই অনিশ্চয়তাকেই অতিক্রম করে যেতে বলেছে, অর্থাৎ আনসার্টেইনটিকে একেবারেই জায়গা দেয়নি। 

    এটা কি ঠিক পর্যবেক্ষণ? যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে এইখানে অন্যান্য এনসিয়েন্ট ভারতীয় টেক্সট (উপনিষদ ভাবছি) কি আলাদা? 
  • Ranjan Roy | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:২৮739720
  • অমিত
    দ্রৌপদী ও যুধিষ্ঠির নিয়ে দু'পয়সা। 
     
    মাতা কুন্তী কখনও বলেন নি পাঁচভাই দ্রৌপদীর  স্বামী হও।  বলেছিলেন যা এনেছ, সমান ভাগ করে নাও।স্পষ্টত: ভিক্ষা , কারণ তাঁরা তখন ব্রাহ্মণ বেশে থাকতেন।
    তখনকার সমাজে পলিয়ান্ড্রির প্রচলন ছিল না। মনুস্মৃতির নির্দেশে পলিগ্যামির বিধান আছে, পলিয়ান্ড্রির  নেই।
    কিন্তু যুধিষ্ঠির মায়ের কথার অপব্যাখ্যা করে দ্রৌপদীর পঞ্চস্বামীর নির্দেশ দিলেন এবং নিজে জ্যেষ্ঠ স্বামী হলেন।
    আবার স্বর্গারোহণ পর্বে দ্রৌপদীর আগে মৃত্যু হলে বললেন-- দ্রৌপদী সবচেয়ে বেশি পাপ করেছেন,  কারণ উনি  সব ভাইকে সমান  ভালবাসেন নি, অর্জুনকে একটু বেশি!
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:৩২739721
  • দ্যাখেন আমার স্বল্পবুদ্ধিতে আর গোদা চোখে যা দেখি- সবকটা রিলিজিওন ই তো  ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মিসোজিনিস্ট। মেয়েদের ইকুয়ালিটি বা প্রপার্টি রাইটস কনসেপ্ট টাই এক্কেরে হাল আমলের। সেটা প্রাক্টিক্যালি ইমপ্লিমেন্ট হতে আরো কয়েকশো বছর  যদি মানুষ টিকে থাকে। ওই দুএকটা বিদুষীর গল্প দিয়ে কি ম্যাংগো সমাজের রিফ্লেকশন হয় ? 
     
    যোদ্ধাদের প্যাকেজ + বোনাস না দিলে তারা যুদ্ধ করবে কেন ? ট্রাইব কালচারে পাশের গোষ্ঠী বা দেশ দখল করে সেখানকার জমি , মেয়ে , গরু বাছুর সব দখল করাটাই তো আসল ইনসেনটিভ। ধর্মের নামে বা  দেশমাতার নামে যুদ্ধ টুদ্ধ ওসব আদতে ভোকাল টনিক , মরার ভয়ে একটু নেতিয়ে পড়া লোকজনকে চাঙ্গা করা যাতে দম নিয়ে লড়তে পারে-আগেই কেলিয়ে না যায়। 
     
    সেখানে দ্রৌপদীর নামে পাণ্ডবরা যুদ্ধ করবে কেন ? সবকটার তো একগাদা বৌ ছিল অলরেডি। ওটা লিখলে গল্প জমতোনা। রামায়ণে লঙ্কা দখল করার পরে রামচন্দর ও ডায়লগ দিচ্ছিলেন সীতাকে যে ওনার জন্যে থোড়াই যুদ্ধ করতে এসেছেন। ইভেন ইলিয়াড এও এক গল্প মেনেলাউস আর্মাগেডন এর।  সবই এক গোয়ালের গরু। 
  • Amit | 121.2.***.*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:৩৬739722
  • হ্যা - সেই পাঁচ ভাইকে বিয়ে নিয়ে আবার গুল্প বানাতে হলো যে আগের জন্মে দ্রৌপদী নাকি পাঁচবার শিবের কাছে বর চেয়ে বসেছিলেন ভালো বরের জন্যে। কিসব ঢপের কীর্তন। 
     
    সবথেকে মজা হলো নর্থ ইন্ডিয়ায় পুরোনো যত ডিনাস্টির লোকাল গল্প শুনেছি সব নাকি মহাভারতের সময় থেকে আছে আর সব নাকি কোনো এক পক্ষে যুদ্ধ করছিলো। কেউ মরে ফৌত হয়নি। 
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:৪৪739723
  • আগামেমনন। মেনেলাউসের দাদা। রাজা। উনিই পালের গোদা ছিলেন। ট্রয় অভিযান উনিই অরগানাইজ করেন। হেলেন আছিলা মাত্র, ট্রয় আক্রমণই মূল লক্ষ্য ছিল। নির্ঘাৎ অনেক কিছু লুটে এনেছিল।
    এই আগামেমনন সাংঘাতিক লোক। স্রেফ পালে হাওয়া পাবার জন্য নিজের মেয়ে ইফিজেনাইয়াকে প্রাসাদ থেকে আনিয়ে তারপরে বন্দরের মন্দিরে বলি দিয়েছিল। রাণীকে মিথ্যে করে বলেছিল রাজকন্যার সঙ্গে অ্যাকিলিসের বিয়ে দেবে। এরই প্রতিশোধ পরে নিয়েছিল রাণী, অনেক পরে ট্রয় জয় করে রাজা বাড়ি ফেরার পরে।
    সারা দুনিয়ার পুরাণ মহাকাব্য এপিক টেপিক হ্যানো ত্যানো সবই মারামারি খুনোখুনি বলিদান যুদ্ধ প্রতিশোধ ইত্যাদিতেই ভর্তি। অমন যে পবিত্র বাইবেল, তার ওল্ড টেস্টামেন্ট দেখুন, যুদ্ধে টুদ্ধে ভর্তি।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫৪739724
  • আর পান্ডবদের বা কৌরবদেরও অন্য কোনো অপশনই ছিল বলে দেখা যাচ্ছে না। হেরে গিয়েও সন্ধি টন্ধি করে নেবার কোনো অপশনের কথা কিন্তু সেভাবে শোনা যায় না। হয় যুদ্ধে মরে স্বর্গে যাও, নয়তো জিতে রাজত্ব করো। সম্ভবতঃ সমস্ত দুনিয়ার সমস্ত ট্রাইবেরই অবস্থা এইরকমই ছিল একসময়। 'লিভ অ্যান্ড লেট লিভ' এর ধারণা সেভাবে ছিল না। হয় মরো, নয় মারো। মাঝামাঝি ব্যবস্থা কিছু ছিল না।
  • Ranjan Roy | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৬:৫৬739725
  • @আনসার্টেনটি
    1 গীতা অবশ্যই অনিশ্চয়তার বিপরীতে শ্রীকৃষ্ণের প্রতি সমর্পণে মুক্তির নিশ্চয়তার আশ্বাস দেয়।
    "সর্বধর্মান্ পরিত্যাজ্য মামেকং শরণং ব্রজ, 
    অহং ত্বাং সর্বপাপেভ্য মোক্ষয়িষ্যামি মা শুচ:"।
     
    2 ঋগ্বেদে দু এক জায়গায় (নাসদীয় সূক্ত) এবং কিছু উপনিষদের কয়েক জায়গায় প্রশ্ন আছে, অনিশ্চয়তার কথা আছে বটে। কিন্তু বিশাল ঔপনিষদিক সাহিত্যের মূল সুরটি নিশ্চয়তার। 
     
    কারণ ওই দর্শনে সত্যের মাপকাঠি  হল যা শাশ্বত, যা অপরিবর্তনেয়,  যা ধ্রুব , অচল, অজর, অমর, অক্ষয়। অর্থাৎ নিশ্চিত, নিত্য। 
    এর বিপরীতে বৌদ্ধ দর্শন ক্ষণিকবাদের কথা বলে। যেখানে অনিশ্চয়তাই সত্য।  সবকিছুই ক্ষণিক, কোন কিছুই শাশ্বত নয়-- এটাই সত্য। 
     
    3 তাই মনে হয় গীতা উপনিষদের অনুসারী, ব্যতিক্রম  নয়।
  • &/ | 151.14.***.*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৭:০০739726
  • গোটা মহাভারতে বারে বারে এই সন্দেহ হয়, কিছু একটা কভার-আপ করা হচ্ছে। পান্ডবরা, যাঁদের কিনা দিগ্বিজয়ী মহাবীর বলে প্রোজেক্ট করা হয়েছে, তাঁরা কেন ধৃতরাষ্ট্র বা দুর্যোধনের কাছ থেকে একটুকরো রাজ্য নেবার জন্য ঝোলাঝুলি করে? থাকতো ধৃতুরা ওদের হস্তিনাপুরে নিজেদের মত, এই পান্ডবদের তো নিজেরা দিগ্বিজয় করে বিশাল রাজ্য গঠন করে নেবার কথা! এত যদি বীর তেনারা! তা না, এরা বারে বারে রাজ্যের জন্য ধৃতরাষ্ট্রের কাছে দেন-দরবার করে!
    হয় এরা মোটেই সেরকম দিগ্বিজয়ী বীর ছিল না, নয়তো ভেতরে অন্য ঘাপলা ছিল।
  • আনসার্টেইনটি | 2601:5c0:c280:d900:5963:cd12:99a9:***:*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৭:১৫739727
  • বাঃ থ্যাঙ্ক ইউ! এবার আরেকটা কৌতূহল-ও জিজ্ঞেস করেই যাই নিকের আড়াল থেকেই। 

    মহাভারত দেখলে মনে হয় কৃষ্ণের আর্চ-এনিমি মগধের জরাসন্ধ, তিনি আবার মগধ বেল্টের সম্রাট। মহাভারতের কবিদের কল্পনায় তৎকালীন পূর্বভারত এক ভয়ানক জায়গা বিশেষ, তাই নয়? রাজাদের ধরে নরবলি দেওয়ার গপ্পো ইত্যাদি ... তা সেই সময় থেকেই কি পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম ভারতের সাথে বঙ্গ-কলিঙ্গের খারাখারি ছিলো? মহাভারতে সুপ্ত একটা কি হিন্দু-বৌদ্ধ সঙ্ঘাতের আভাস আছে? 

    (বৌদ্ধ দর্শনের ক্ষণিকবাদ নিয়ে যথার্থ বলেছেন।) 
  • s | 2405:8100:8000:5ca1::62:***:*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৭:২১739728
  • রঞ্জন লেখেন ভালো। একটু পড়াশোনা করে লিখলে আরও ভালো হত। কৃষ্ণের শান্তি প্রস্তাব নিয়ে যাওয়া, বিনা যুদ্ধে সূচ্যগ্র মেদিনী না ছাড়ার হুঙ্কার মহাভারত পড়লে এগুলো পেতেন, যুদ্ধের কারণটা বুঝতে পারতেন। যুদ্ধ করতে গিয়ে পালিয়ে আসার ফল সম্পর্কে ধারণা হত। দুর্যোধনের দাস হিসেবে পাণ্ডবরা স্ত্রীপুত্রসমেত আনন্দে থাকতেন এ জাতীয় কল্পনার বাস্তব সম্ভাবনা কিছুটা বুঝতেন।
  • reference | 2601:5c0:c280:d900:5963:cd12:99a9:***:*** | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৮:০০739729
  • Ranjan Roy | ১৫ মার্চ ২০২৩ ০৮:৩৭739730
  • @আনসার্টেনটি, 
    আপনার কনজেকচারটি  ইন্টারেস্টিং। 
    এভাবে কখনও ভাবি নি। দেখুন, পূর্ব ভারত সবস্ময় বেয়াড়া। মোগল সাম্রাজ্যের সময়ও বার ভুঁইয়ারা ছিলেন। বাংলার মুসলমান রাজারা মনে হয় দিল্লিকে টোকেন কর দিয়ে একধরণের অটোনমি এনজয় করতেন।
    মহাভারত ও রামায়ণে অশ্বমেধের ঘোড়া  পুবদিকে সমতটে কামরূপে খুব একটা দৌড়ে ছিল কি? ঠিক মনে পড়ছে না। প্রাগজ্যোতিষপুর থেকে ভগদত্তের হস্তিবাহিনী কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিল বটে। 
    আর আদি বৌদ্ধধর্মের ক্ষেত্র অবশ্যই উত্তর বিহারের মগধ, শ্রাবস্তী, ওড়িষ্যা বা কলিঙ্গ এবং পূর্ব উত্তরপ্রদেশের কিছু অংশ, বড়জোর মালবের মালভুমি। 
    কাজেই রামায়ণে যেমন উত্তর ভারতের আর্য সভ্যতার সঙ্গে বিন্ধ্য পর্বতের অপর পাড়ের দ্রাবিড় সভ্যতার সংঘর্ষের পট ভূমি , তেমনই  মহাভারতের রচনার পেছনে উত্তর ও পশচিম ভারতের হিন্দুধর্মাশ্রিত রাজন্য ও পূর্বের বৌদ্ধ সংস্কৃতির দ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। প্রবল পরাক্রান্ত মগধের রাজা জরাসন্ধের ভয়ে শ্রীকৃষ্ণকে পশ্চিম সমুদ্রের দ্বারকায় গিয়ে লুকিয়ে থাকতে হয়।
    মহাভারতের গ্রন্থরূপ যদি পুষ্যমিত্র শুঙ্গের সময়ে (যখন বৌদ্ধদের দমিত করে হিন্দু রাজত্বের পুনরুত্থান) লেখা হয়ে থাকে তাহলে এটা অন্যতম সম্ভাবনা।
     
    তবে আমি বোধহয় এ নিয়ে কথা বলার যোগ্য লোক নই। এর জন্যে অনেক বড় মাপের পড়াশুনো দরকার।
    আসলে আমার আসক্তি ইতিহাস বা পুরাণের চেয়েও বেশি দর্শন চর্চায়।
    বুঁদ হয়ে পড়তে থাকি ন্যায়ের সঙ্গে বৌদ্ধ দর্শনের প্রমাণ সম্বন্ধিত বিতর্ক গুলো। এবং নাগার্জুনের কূটতর্ক।  বর্তমানে মাধ্যমিক কারিকা ও 'বৈদুর্য' নিয়ে পড়ছি, অবশ্যই বিশুদ্ধ দার্শনিক খোঁজে। 
     
    পেলাম শংকরের মায়াবাদে প্রযুক্ত 'অবিদ্যা'  শব্দটি  উপনিষদে কোথাও নেই,, আছে নাগার্জুনের দর্শনে। মনে হয় শংকর তাঁর পূর্বসূরী নাগার্জুনের থেকে ধার নিয়েছিলেন দুটো জিনিস।
    এক,  'অবিদ্যা' শব্দটি। উপনিষদে  এটি নেই, আছে ব্রহ্মের 'মায়িক শক্তি' বা মায়ার কথা বলা আছে যা রামানুজ এবং অন্য বৈদান্তিকেরা উপযোগ করেছেন।  ব্রহ্মসূত্রের বিতর্কগুলো পড়লে মনে হয়, উপনিষদের ঝোঁক শংকরের অদ্বৈতবাদের চেয়ে  রামানুজের বিশিষ্টাদ্বৈতবাদের দিকে। তাই শংকর আনলেন নতুন শব্দ 'অবিদ্যা'।
     দুই, সমস্ত তর্কপদ্ধতিকে কেবল ব্যবহারিক বলে নস্যাৎ করে দেওয়া। এ ব্যাপারে নাগার্জুন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। 
    তাই কি শংকরকে একসময় প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ বলা হত? এ নিয়ে পরে লেখার ইচ্ছে আছে।
     
    আমার বর্তমান আগ্রহ যুদ্ধের নৈতিকতা এবং হিংসার আবশ্যকতা নিয়ে। মাইকেল ওয়ালজারের জাস্ট ওয়ার থিওরি পড়েছি, পুরোটা মানতে পারি নি। 
    বড় হয়েছি বাম-রাজনীতির আবহাওয়ায়, সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ অন্যায়,  সব মুক্তিযুদ্ধ ন্যায় মেনে। 
    এই বয়সে আমার উপলব্ধি-- এই ন্যায়/অন্যায় যুদ্ধ বোধটি আপেক্ষিক, সাব্জেক্টিভ। সব আক্রমণকারীই বলে আমরা আক্রান্ত। 
    এই দৃষ্টিকোণ থেকেই গীতা নিয়ে লেখাটি লেখা, কিন্তু একক যেমন বলেছেন --অসম্পূর্ণ। 
    এরপর ক্রিশ্চান থিওলজিতে এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধের পর মাইকেল ওয়ালজারের ন্যায় যুদ্ধ নিয়ে তর্ক/বিতর্ক নিয়ে  লিখব।
    আজ মনে হয় সব যুদ্ধ নিষ্ফলা, কোন স্থায়ী সমাধান নয়।  যুক্তি তো রাশিয়ারও আছে,  
    উক্রাইনেরও। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : guruchandali@gmail.com ।


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে প্রতিক্রিয়া দিন